Vilen part-28+29

0
10

নাম : #vilen

পর্ব : ২৮

লেখিকা : #আনু_Anu

ফেসবুক পেইজ : #আনু_অনুভবে_অনুভূতি ( আনু )

✅গল্পের লিগাল লেখিকা আমি আপনাদের আনু আপু!

⛔মুক্ত মন-মানসিকতার আপুরা পড়বেন এবং কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ!⛔

——————————————————–

ভালোবাসা থেকে যদি ঘৃনা সৃষ্টি হয় তাহলে সেই ঘৃনা ভাঙানো যায় নাহ। তবে ঘৃনা থেকে কাউকে ভালোবাসলে যতো ঝড়,জামেলা আসুক বন্ধন ভাঙানোর শ্রাদ্ধ নেই কারো!

রোজি যে কীনা সেই লোকটাকে ঘৃনা করতো তাকে তার মতামতের বিরুদ্ধে বিয়ে করে। কারো সাথে বলতে গেলে ছেলেদের সাথে চলা পছন্দ করতো নাহ। তাকে তার ভুল দেখলে শাসন করতো। তার মতামতের বিরুদ্ধে। যেই লোকটাকে সে ঘৃনা করতো কেনোনা তাদের সম্পর্কটা প্রথম প্রথম এক তরফা ছিলো। যেই লোকটা তাকে পাওয়ার জন্যে তার মন পাওয়ার জন্যে কতো শতো ঝড়-ঝাপটা পেরিয়ে তাকে ভালোবেসেছে। তাকে তর পাশে চেয়েছে। যেমন একটও ডালে দুইটি পাখি বসে থাকে তেমন করে পাশে চেয়েছে। কিন্তু সে তখন তার কাছে ধরা দেয় নি। কিন্তু এখন যখন সে নিজে থেকে সম্পর্কটা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে। তখন আশেপাশের সকল কিছু যেনো বাঁধা দিচ্ছে!

আজ তিনদিন হলো সেই রেকর্ডটা শুনে আর কোথাও যায় নি রোজি। কেননা রেদোয়ান রোজিকে থানায় আর নিলয়ের খোঁজ করতে নিষেধ করেছে। যদি রোজি তাও বের হয় নিলয় এসে দেখে নিবে। আজ থেকে দুইদিন পর তাদের প্রথম বিবাহ বার্ষীকি। মেয়েটার মনেও নেই মনে হয়। মনে থাকবে কেমনে? স্বামী যদি কাছে নাহ থাকে তাহলে কী মনে সুখ থাকে?

দুইবোন তাদের নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই একই সাথে ঘুমায়। সাথে রেদোয়ান নিজের বউকেও দিয়ে রেখেছে কেননা আশা এবং রোজি দুজনই মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত। তাই নিজের বউকেও তাদের সাথে রাখা। তবে বলতে হবে এই কয়দিনে রেদোয়ান এর বউ শিউলি সকল কিছু সামলেছে। রোজি সকল কিছু খেয়াল রেখেছে। আগে রোজির কেয়ারটেকার হলেও এখন সে তার ক্লোজ অনেক ক্লোজ। এখন আরও বেশি কেয়ার করে তবে শুধু রোজির নাহ আশার ও!

শিউলির কেয়ারে তর ধমক ধমকানিতে তিনবেলা খাওয়া ও তার কিছুখন পর পর স্নেকস দিবেই নাহ খেতে চাইলে এক রাম-ধমক আর কী ধমক খেয়ে ফেলতে হয় তাকে। নিলয়ের অনুপস্থিতিতে রেদোয়ান অফিস সামলাচ্ছে। কোথাও সাইন লাগলে রোজির সাইন নিচ্ছে। লোকটা এতোই আত্মবিশ্বাসী রোজির উপর যে তাকে তার কম্পানির মালিকানা দিয়ে রেখেছে নিলয়ের পর যদি কারো অধিকার থাকে অফিসে সে হচ্ছে রোজি। রোজি যেহেতু ব্যবসায় শিক্ষা নিয়ে পড়াশোনা করেছে তাই সে রেদোয়ান যেখানে সাইন করতে বলে দেখে শুনে বুঝে তখনই সাইন কারে। যদি কোনো উল্টা পাল্টা হয়ে যায় লোকটা এখন কোথায় আছে সে জানে নাহ কেমন আছে যানে নাহ। যদি এই ঝামেলা থেকে এসে এমন কছু দেখে তাহলে সে কিভাবে এতো কিছু সামলাবে? অবশ্য সে সামলাতে পারবে তবে এতোটা ধকল রোজি তাকে দিতে চায় নাহ।

চলে গেলো একটি দিন। নিলয় এর দেখা পায় নি রোজি আজ ২০ দিন। তবে দুদিন হলো রেদোয়ান কোথায় যেনো দৌড়াদৌড়ি করছে। রোজি বেশি রুম থেকে বের হয় নাহ। তাই শিউলিকে আজ মুখ খুলে জিজ্ঞেস করলো,

রোজি : শিউলি তোর জামাই মানে রেদু ভাইয়া কোথায় দৌড়া দৌড়ি করছে রে?

শিউলি : এই আমি কী জানি আমি জিজ্ঞেস করছি। আমাকে বলে কী জানিস?

রোজি : কী বলে?

শিউলি : তোমার মাথা মোটা আর তোমাকে কেনো বলবো? তুমি যেনো যেয়ে তোমাদের মহিলা আস্তানায় খবরা-খবর পাচার করে রোজি ভাবিকে হাইপার করে দেও?

রোজি : কী বল্লি আমাদের মহিলা বলোছে?

আশা ও বলে উঠলো,

আশা : কী বললা আপু আমারা মহিলা?

শিউলি কাঁদো কাঁদো গলায় বললো,

শিউলি : হ্যা রে এটাই বলেছে আর কাল তো বাড়িতেও আসে নি জানিস এটা তোরা?

রোজি : ওরা কিছু না কিছু একটা করেছে আমাদের বলেছে নাহ রে এটা বের করতে হবেই!!

আশা : ঠিক বলেছো আপু।

শিউলি : ঠিক ঠিক!!!

এটা বলে নিজেদের মধ্যে কথা বলতে লাগলো। কিন্তু শিউলি স্বামীর জন্যে অপেক্ষা করছে সে আসলেই খবার দিবে। তার সামনে বসিয়ে খাওয়াবে। কাল বাড়ি ফিরলো নাহ। আহ ও আসবে কীনা জানে নাহ। এই ২০ দিন লোকটা ঠিক মতো দুমোঠো খেয়েছে কিনা সন্দেহ। তবে রাত ২ টা পেরলেও রেদোয়ান এর খোঁজ নেই বুঝে গিয়েছ এই বধ লোক আসবে নাহ ওমনি মন টা খারাপ হয়ে গেলো শিউলির। ইতিমধ্যেই চোখে পানি চিক চিক করছে। রোজি আর আশা ঘুম দিয়েছে এসি চলছে অল্প পাওয়ারে রোজির ঠান্ডা লেগে যাবে তাই রোজির যদি ঠান্ডা লেগে যায় নিলয় ভাই এসলে কী বলবে? তারপর শিউলি উঠে বারান্দায় গেলো রেদোয়ান এর জন্যে টেনশন হচ্ছে একটা কল করা যাক,

শিউলি : উনি কী কল ধরবে?

তাও দিলো কল প্রায় ৩ টা কল দিলো লোকটা ধরলো নাহ সে আশা হত হলো। ৫/১০ মিনি নিরবতা সে আবার ও একটা কল দিলো ধরছে নাহ একদম শেষ সময়ে কলটা ধরলো। ধরেই,

রেদোয়ান : বলো?

শিউলি কিছু বলছে নাহ অভিমান জমেছে মনে এই কয়দিন ঠিকমতো কথা ও বলে নি এই লোক তাকে ভালোবাসে কিনা যানে নাহ হঠাৎ নিলয় ভাই বলেছিলো তার নিখোঁজ হওয়ার আগে যে আশা ও রোহিদ এর সঙ্গে তোমার ও রেদোয়ান এর বিয়ে নাহ করলে ক্রসফায়ার করে দিব। এই ভয়ে বিয়ে করেছে। তবে বিয়ের পর থেকে লোকটা না দেখিয়ে তাকে কেয়ার করতো সে বুঝতো। এই আকাশ পাতাল ভাবতে ভাবতে আবারও কথা বেসে এলো ফোন থেকে,

রেদোয়ান : এই কল করে কথা বলছো নাহ কেনো?কী লাগবে বলো গার্ড দিয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছি?

বলতে দেরি শিউলির হু হু করে কাঁদতে দেরি হলো নাহ। শিউলির কান্না শুনে রেদোয়ান চুপ করে গেলো। বিচলিত কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো,

রেদোয়ান : এই মেয়ে কাদছো কেনো? কিছু হয়েছে?

শিউলি কাদতেই ব্যাস্ত। রেদোয়ান আবার বললো,

রেদোয়ান : কী চাই?

শিউলি : আপনাকে!

রেদোয়ান থমকে গেলো ঠোঁটে কিঞ্চিত শান্ত হাসি।দেখলে বুঝা যাবে নাহ সে হাসছে। রেদোয়ান আবার বললো,

রেদোয়ান : তাই?

শিউলি নিশ্চুপ রেদোয়ান আবার বললো,

রেদোয়ান : সময় মতো পেয়ে যাবে বউ এখন ভাবি আর আশার খেয়াল রাখ এবং নিজের খেয়াল রেখ ওকে আমি আসবো খুবই তারাতাড়ি!

রেদোয়ান এর মুখে বউ ডাক শুনে হেসে উঠলো শিউলি। শিউলি হাসি শুনে রেদোয়ান ও হাসলো,

শিউলি : আচ্ছা নিজের খেয়াল রাখবেন!

কথা শেষ হতেই পেছন ফিরতেই দেখলো রোজি এবং আশা বারান্দার দরজায় পর্দার ফাকে কান পেতে শুনছে কান ছাড়া কিছুই দেখা যাচ্ছে নাহ তাদের। এটা দেখে শিউলি ফোনটা দাঁত দিয়ে কামরে ধরলো। হয়তো তারা বুঝেছো অন্ধকারে শিউলি দেখেবে নাহ কিন্তু সে তো দেখে ফেলেছে। শিউলি ফোনটা দাঁত দিয়ে কামরে ধরে দুটোর কান মুচরে ধরলো। দুটোই লাফিয়ে উঠলো।

রোজি : আ’হহহহহ!!!!

আশা : ও’রেেেেে!!!!

শিউলি : তোরা আমার আর আমার স্বামীর রোমেন্টিক কথা শুনছিলি?

রোজি : তোর জামাই এতোই রোমেন্টিক যে প্রথম কথা নাহ বলতে পেরে হুহু করে কাঁদছিলি?

আশা : রোমেন্টিক নাহ ছাই নিলয় ভাই কে দেখ আরও একটা নিলয় নিয়ে আসছে আর আমরা?

শিউলি : ঠিক ঠিক বলেছিস রে আমাদের কপালে নেই।

রোজি তীক্ষ্ণ চোখে নিজের বোন এবং শিউলির দিকে চাইল। বাবা এই বাচ্চা মেয়ের এত উন্নতি কবে হলো নিজের বোনের দিকে তাকিয়ে ভাবলো। মুখে বললো,

রোজি : তোদের বিয়েই হল কিছুদিন মাসে হলোনা এখনই এই অবস্থা?

আশা : ওওওও আসলেই তো!

শিউলি : ওওও হ্যা হ্যা আমরা তো একটা চুমুও খাইনি।

আশা : হ্যা আমি ও।

রোজি : কীরে আশা আমি তোর বড় বোন নাহ কী বলছিস?

আশা জিহবায় কামরে বললো,

আশা : উপস ভুলে গেছি সরি।

শিউলি : এখন তো ফ্রি হ তোরা বিয়ে হইছে বোন বোন করে লাভ নেই।

বলেই তিন জন হেসে উঠলো। এভাবেই কথা বলতে বলতে তিন জন ঘুমিয়ে পরলো।

——————————————————–

~পরদিন সকালে শিউলি ঘুম থেকে উঠলো উঠেই রোজির নাস্তা বানালো তার পর বাকি সবার নাস্তা বনাবে। রোজি যেহেতু প্রেগনেন্ট ওর সকাল সকাল উঠতেই খিদে লেগে যায়। শিউলি রোজিকে ডেকে উঠালো মেড দিয়ে। সকাল সকাল রোজির ঘুম ভাঙলেই ওকে শরীরের জন্য উপকারী বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান রাতরে বিজিয়ে রাখে সকালে তা ছেকে রোজিকে খালি পেটে খেতে দেয়। তারপর হালকা নাস্তা দেয় তবে সব কিছুই উপকারী এমন খাবার রোজিকে কছুখন পর পর কিছু নাহ কিছু খেতে দেয় যেনো বাচ্চা সুস্থ থাকে। রোজিকে মেড ডাকতেই রোজি উঠলো। উঠে আরমোরা ভাঙলো। তারপর ফ্রেস হয়ে নিচে চলে গেলো।

নিচে,

শিউলি সকালের নাস্তা বানিয়ে আনুষাঙ্গিক কাজ করছে আর মেডরা নাস্তা সার্ভ করছে। রোজি নিচে নেমে তাড়াতাড়ি ডাইনিংয়ে বসে পরলো।

রোজি : এই শিউলি তাড়াতাড়ি খেতে দে না আমায় অনেক খুদা লাগেছে।

শিউলি : এইতো দিচ্ছি।

শিউলি নিজের হাতের কাজ ফেলে আগে রোজিকে রোজির হেম্দি খাবার দিলো। রোজি কিছু নাহ বলে খাওয়া শুরু করলো। রোজির কোনো কাজ মেড দিয়ে করে না হয় আশা না হয় শিউলি। তারপর শিউলি ও আশা খেতে বসলো মেডরা তাদের খাবার দিলো। তারাও খেতে লাগলো। খেতে খেতে রোজি বললো,

রোজি : রেদু ভাই আসছিলো রাতরে বা সকালে?

শিউলি : নাহ রে আসে নি দুদিন ধরে কই যে গেলো।

আশা : রাতরে জিজ্ঞেস করিস নি?

শিউলি : নাহ জানি তো করলেও বলবে নাহ এই বধ লোক।

আশা : আমার টাও বধ কিন্তু আমি মিস করছি ওকে অনেক।

রোজি : আমি আর কি বলবো আমি তো তাকে ছাড়া অন্ধকার দেখি সকল কিছু।

আশা : কেনো নিলয় ভাই কী তোর ব্যক্তিগত টর্চ?

শিউলি : হা হা হা টিক বলেছিস আশা।

রোজি : চুপ বেয়াদপগুলো আমার পিছনে লেগেই থাকে নিলয় আসুক বলছি ওনাকে।

আশা : নাহ নাহ রোহিদ আমায় পিটাবে।

শিউলি : সরি ভাই আমারটায়ও আমাকে পিটাবে।

বলতে বলতে হাসতে থাকে ওরা। হঠাৎ রোজির চোখে পানি চলে আসলো। চোখের পানি লুকাতে মাথা নিচু করে রাখলো শিউলি বুঝে খাবার ছেড়ে রোজির কাছে গেলো। মুখটা তুলে দেখলো রোজি কাদছে।

শিউলি : কাঁদিস নাহ এসে পরবে।

বলে নিজেও কেঁদে দিলো আশাও কাঁদছে সকলেই সকলকে সান্তনা দিচ্ছে। সকলে খেয়ে যে যার মতো রুমে গিয়ে গোসল করলো। রোজি তার বেজা চুলগুলো শুখাতে বারান্দায় গেলো। চুল নেড়ে শুকাতে লাগলো। আজ কেনযেনো মনটা খুবই ভালো লাগছে। কেমন যেনো লাগছে কিছু হতে চলেছে। আকাশ কুসুম ভাবতে ভাবতে বারান্দার দোলনায় বসে বসে গোলাপ ফুলের সুবাস নিতে লাগলো। নিলয়ের বারান্দায় অনেক রকল ফুল গাছ বেশির ভাগই গোলাপ রোজির গোলাপ পছন্দ তাই, অরকিট আরও অনেক। এমনি অনেকখন গেলো রোজি ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরলো। বিকেলে শিউলি এসে দেখলো রোজি ঘুম বারান্দার দোলনায় নিলয়ের একটা শার্ট বুকে জড়ানো। শিউলি কিছু বললো নাহ সে ও রোজির পাশে বসে রইলো হাতে একটা উপন্যাসের বই। পড়তে লাগলো বইটা। আশা নিজের রুমে আছে কী যেনো করছে।

রোজির ঘুম ভাঙলো প্রায় ৫:৩০ এর পর। উঠে দেখলো ও রুমে কেননা অন্ধকার হয়ে আসছিলো বলে শিউলি ওকে রুমে নিয়ে এসেছে। রোজি নিচে গেলো গিয়ে দেখলো কেমন যেনো নিবর নিবর সকল কিছু। মেডগুলোও কেমন যেনো কাজ করেই যাচ্ছে। এই সময় তাদের বাড়ীতে কাজ থাকে নাহ তবে আজ সকলে সকল কিছু পরিষ্কার করছে। সে মাথা ঘামালো নাহ। উপরে চলে গেলো আশা ও শিউলির সাথে আড্ডা দিবে।

এখন বাজে রাত ৯ টা। শিউলি ও আশা কেমন যেনো খুশু খুশি। রোজি এটা দেখলো কিছু বললো নাহ কেননা এতো দিন আশা মন মরা ছিলো হাসি কী ভুলে গেছে সে নিজেও। কিন্তু আজ এতো হাসি কেনো বুঝতে পারছে নাহ। কিনৃতু তাদের কথায় অভাক হলো অনেক। কেনোনা তারা রোজির দিকে একটা পাতলা কালো শাড়ি আচলে নিখুত কাজ। কাজগুলোও কালো হালকা ব্লাক পাথড়। ব্লাউজ টা ব্যাকলেস। আর আশা ডায়মন্ড এর ব্লাক জুয়েলারি দিলো তাতে আছে একটি নেকলেস, কানের দুল, দুটো চুড়ি। হালকা কাজ তবে নিখুঁত!

রোজি : এগুলো কী করবো?

শিউলি : যা বাবা এগুলো কী রেধে খাবি নাকি?

আশা : তোকে পরতে দিসি।

রোজি : চুপ!

শিউলি : তুই চুপ।

আশা : পর বলছি।

রোজি : কী শুরু করলি নিলয় নেই আমি কী করবো?

আশা : ভাই নেই তো কী হইছ?

শিউলি : পর নাহ প্লিজ???

তারা এতোটাই জোর করলো রোজি নাহ পরে পারলো নাহ আর।

রোজি : চুপপপপপ যয় বাবা পরছি।

বলতেই দুটি মেকআপ আর্টিস্ট ডুকলো ডুকে কিছু নাহ বলে ওকে সাজাতে লাগলো। রোজি অবাক তবে আশা আর শিউলি বের হয়ে গেছে তারা জানে রোজি কিছু নাহ কিছু জিজ্ঞেস করবে। তাই তারা বের হয়ে গেলো। রোজি তাদের দেখতে নাহ পেরে আর কী বলবে। মনে অনেক কথা আঁকিবুঁকি করতে লাগলো। সাজা শেষ হতে তারা চলে গেলো। আশা ও শিউলিও হালকা সেজেগুজে আসলো। তারাও শাড়ি পরেছে তবে এতোটা গরজিয়াস নাহ।

শিউলি ও রোজি রুমে ডুকতেই বিষম খেলো। রোজিকে পড়ি লাগছে। লাগছে আকাশ থেকে পড়ি নেমেছে। শাড়িটা পরা নিখুঁত ব্লাউটা শরীরে লেগে আছে একদম তার মাপে শাড়িটা গায়ে ফুটে আছে। চুলগুলো সামনে থেকে পেচিয়ে নিয়ে পেছনে একটা কাটা দেয়া তাও ব্লাক পাথর দিয়ে। আর নিচে খেলা চুল তা কার্ল করা।

শিউলি : মাশাআল্লাহ!!!!

আশা : মাশাআল্লাহ।

রোজি লজ্জা পেতে লাগলো। এটা দেখে তার আর কিছু বললো নাহ রোজিকে নিয়ে নিচে নামতে লাগলো এটা দেখে রোজি বললো,

রোজি : কীরে কই নেয়া হচ্ছে?

শিউলি : চুপ কর চল।

আশা : চল তো।

বলেই রোজিকে আশা পেছন থকে ঠেলে নিয়ে যেতে লাগলো। আর শিউলি হাত ধরে রাখলো শাড়ি পড়া যদি পরে যায় তাই। তারা গাড়িতে উঠলো। এটা দেখে রোজি বললো,

রোজি : কই নিচ্ছিস গাড়ি তে কেনো?

শিউলি : চুপ কর আমার মা!!!

আর কথা বললো নাহ একটা জায়গায় পৌছে রোজির চোখগুলো ডেকে দিলো এটা দেখে রোজি আরও ভরকালো।

রোজি : কী রে?

আশা : একটা কথা ও বলবি নাহ।

~বলেই ওকে নিয়ে যেতে থাকলো। নিয়ে ওর চোখ খুলে দিলো। রোজি পুরো অভাক চারিদিকে ব্লাক থিম দিয়ে সাজানো। অনেক সুন্দর এগুলো এতোটাই সুন্দর যে চোখ সরানো যায় নাহ। আবার দেখলো একটা বড় কেক সেখানে বড় বড়করে লিখা Happy Anniversary Rose and Niloy। রোজিতো ভুলে গেছিলো এটা। রোজি বললো,

রোজি : এগুলো করে কী লাভ সে কই তো নেই?

তখনি চারিদিকে অন্ধকার হয়ে গেলো একটা ফোকাস লাইট একজনের উপরে পরলো তার মুখটা নিচু দেখা যাচ্ছে নাহ। মুখটা নিচু করেই রোজির সামনে আসলো। এসে মুখটা তুলতেই সেই ব্যক্তিকে দেখে রোজি চিৎকার করে উঠলো এবং সাথে সাথে অজ্ঞান হয়ে ডলে পড়লো লোকটির বুকে। লোকটিও তাকে আগলে ধরলো!

চলবে,

নাম : #vilen

পর্ব : ২৯

লেখিকা : #আনু_Anu

ফেসবুক পেইজ : #আনু_অনুভবে_অনুভূতি ( আনু )

✅গল্পের লিগাল লেখিকা আমি আপনাদের আনু আপু!

⛔মুক্ত মন-মানসিকতার আপুরা পড়বেন এবং কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ কপি করলে পেইজ মেনসন দিবেন!⛔

——————————————————–

ভালোবাসা হলো এমন এক অনুভূতি, যা দেখা যায় না, ছোঁয়া যায় না—কেবল হৃদয় দিয়ে অনুভব করা যায়।তুমি আমার জীবনের সেই মানুষ, যার সাথে কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত স্বপ্নের মতো সুন্দর। ভালোবাসা মানে একসঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতি, সুখে-দুঃখে হাত না ছাড়ার অঙ্গীকার।ভালোবাসা কখনো দূরত্ব বোঝে না, শুধু বোঝে হৃদয়ের টান।ভালোবাসা হলো দুটি আত্মার একত্রে পথচলা, যেখানে একে অপরের সুখই সবচেয়ে বড় আনন্দ।

রাত তখন ২ টা চারদিকে হৈচৈ। মিউজিক চলছে চারপাশে মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। সেখানেই কাপল ডান্স হচ্ছে। গানের তালে তালে নাচছে সবাই তবে তার মধ্যে মুখ্যমনি হচ্ছে নিলয় ও রোজি। যারা খুবই ক্লোজলি ডান্স করছে। নিলয় ডান্সের মাঝে রোজিকে ডিপলি স্পর্শ করছে। যার কারনে রোজি বার বার কেপে কেপে উঠছে।

কিছুক্ষণ আগে রোজি নিলয়কে দেখেই অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলো। হঠাৎ নিলয়ের আগমন রোজিকে উত্তেজিত করে তুলেছিলো। এতোদিনের ধকল, টেনশন, ভালোবাসার মানুষ নিখোঁজ, থানায় দৌড়ানো মানসিক ভাবে ভেঙে ফেলেছিলো।

তবে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত জিনিস হয় যা হারিয়ে গেলে হঠাৎ একদিন হুট করে অনাকাঙ্ক্ষিত জিনিসটি পেয়ে গেলে মানুষ হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এই জিনিসটি রোজির ক্ষেত্রে ও হয়েছে তাইতো মেয়েটা নিলয়কে দেখে চিৎকার করে জ্ঞান হারায়!

জ্ঞান হারানোর পর নিলয় রোজিকে আগলে ধরেছিলো। রোজির জ্ঞান হারানো দেখে নিলয় বেশ অবাক হয়ে যায় সে রোজির গালে হালকা হাতে চাপর দিতে দিতে ডাকতে শুরু করে,

নিলয় : রোজ এই রোজ কী হলো? ওঠো জান এই দেখ আমি তো চলে এসেছি।

কিন্তু রোজিতো অজ্ঞান হয়ে আছে সে কী আর তা শুনতে পারে? তখনি শিউলি দৌড়ে পানি নিয়ে আছে এবং রোজির মুখে হালকা ছিটিয়ে দিতেই রোজি ধরফরিয়ে শোয়া থেকে উঠে বসলো। আার চারিদিকে তাকাতে লাগলো কিন্তু সেই অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিটিকে সে দেখতে পারল না। কেননা শিউলি আর আশা মিলে রোজির সাথে দুষ্টুমি করছে। তারা আগেই নিলয় কে সরিয়ে রেখেছে।

রোজি চারিদিকে তাকিয়ে ৭ ৫ না ভেবে জিজ্ঞেস করলো,

রোজি : এই আমি ওনাকে দেখেছি কই সে?

শিউলি : কারে দেখসছ?

রোজি : নিলয়কে উনি কই?

আশা : তুই পাগল হয়ে গেছিস? ভাইয়া তো নিখোঁজ!

এটা শুনেই রোজি চিৎকার করে কান্না করতে লাগলো নিজের চুল খামচে ধরলো এটা দূর থেকে নিলয় দেখে নিজেকে আর সামলে রাখতে পারলো নাহ দৌড়ে তার জানের কাছে আসলো। এসেই রোজিকে জরীয়ে ধরলো। রোজি যখন বুঝতে পারলো কেউ তাকে জরীয়ে ধরেছে। নাকে চেনা সুগন্ধি প্রবেশ করার সাথে সাথে সে বুঝলো এটা তার সেই ব্যক্তি যার জন্য সে এতোদিন এতো টানা পোরা দিয়ে গিয়েছে। সে সাহসা নিজের থেকে লোকটিকে ছাড়িয়ে দেখলো না এটা তো সে ই রোজি তাড়াতাড়ি তাকে জরীয়ে ধরলো বললো,

রোজি : কই ছিলো তুমি কই ছিলে।

বলেই জোরে জোরে কান্না করতে লাগলে। নিলয়ও রোজির চুলের ফাঁকে ফাঁকে হাত বোলাতে লাগলো আর আরেক হাত দিয়ে কোমড় জোরে চেপে ধরেছে লাগছে একটু ঢিলে হলেই রোজি পালিয়ে যাবে। রোজি এমনি অনেক কাঁদলো। কিছুখন পর নাক টানতে টানতো বললো,

রোজি : কই ছিলেন আপনি?

নিলয় : তুমি নাহ আমায় তুমি তুমি করে বললে এখনো বলে প্লিজ জান?

রোজি বেশ ল্জ্জা পেলো কিন্তু কিছু বললো নাহ নিলয় ও দেখলো ব্যপারটা। তাই আর লজ্জা দিতে চাইলো নাহ। নিলয় রোজির দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে। কেননা এই কালো জর্জেট শাড়িতে রোজিকে আগুন সুন্দরী লাগছে। এমনিতেই রোজি খুব ফর্সা যেন টোকা দিলে রক্ত বের হবে। নিলয় রোজির সুন্দর্যের মোহে আটকে গিয়েছে।

রোজিও নিলয় কে দেখছে নিলয় বেশ পরিবর্তন হয়েছে। মাথার সিলকি চুলগুলো হালকা ছোট করা। বেশি ছোট করা হয়েছে আগের মতো দোল খায় না। এই কাটেও যেন ওকে মারাত্মক লাগছে একদম ভিলেন টাইপ। কাল একটা শার্ট পড়ে এসেছে মনে হয় নামি-দামি কোন ব্র্যান্ডের। শার্টের স্লিপ্স গুলো গুটিয়ে রেখেছে। কালো একটা ডেনিম প্যান্ট পড়েছে। হাতে রোলাক্স ওয়াচ। গলায় একটা মোটা সিলভার কালার চেইন। এক কথায় নিলয়কে আজ মারাত্মক লাগছে!!

রোজি : বললেন নাহ কই ছিলেন আপনি?

নিলয় : জান পরে বলবো আগে কেক কাটি?

রোজি : চলুন!

নিলয় রোজির দিকে একটা ফুলের তোড়া এগিয়ে দিলো। রোজিও হাসতে হাসতে তা নিলো। তারপর সবাই একত্রিত হয়ে সবাই গোল করে দাঁড়ালো মাঝখানে রোজী এবং নিলয়। দুজনের মুখে হাসি। দুজন যখনই কেক টা কাটবে খুনি চারপাশ থেকে সবাই বলে উঠলো,

happy anniversary!!!!
happy anniversary niloy and rossy!!!
happy anniversary Bhai and bhabhi!!!!

অবশেষে রোজির বাবা-মা বলল,
মা – বাবা : happy anniversary!!! শুভকামনা রইল সব সময় হাসি খুশি থাকো!

সকলে তাদের গিফ্ট দিলো। এভাবে একে অপরের সাথে কুশল বিনিময় করতে করতে তাদের সাথে আড্ডার দিতে দিতে প্রায় ২ টা বেজে গেল শিউলি মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে স্টেজে উঠলো আর বলতে শুরু করল,

শিউলি : লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান আজকে এখানে কাপল ডান্স হবে সবাই তৈরি হন!!!

সবাই হৈ হৈ হৈ করে উঠলো। শিউলি সবাইকে দেখিয়ে দিলো কোথায় হবে ডান্স সকলে নিজেদের পজিশন মেতাবেক দাড়ালো। এদিকে রোজি ভাবছে আমি কী শাড়ি পরে ডান্স করতে পাবো? নিলয় তাকে টেনে নিয়ে গেলো। রোজি মৃদু চিৎকার করলো,

রোজি : এই শুনুন নাহ?

নিলয় : হুম জান বলো?

রোজি ভয় জড়ানো কন্ঠে বললো,

রোজি : আমি শাড়ি পরে ডান্স করতে পারবো?

নিলয় : কেনো পারবে নাহ তুমি নিলয় চৌধুরী এর বউ!!

রোজি : আমি যদি পরে যাই?

নিলয় : নিলয় থাকতে তুমি পরে যাবে?

রোজি : বললাম আরকি!!

নিলয় : নিলয় এর এতোটা কাছে থেকে তুমি এক বিন্ধু কষ্ট পাবে নাহ তবে আমি দিলে সেটা অন্য ব্যপার!

রোজি : চুপ অসভ্য লোক!!!

নিলয় : আমি সভ্য ছিলাম কবে?

রোজি : এসব বাদ দিন শুনুন?

নিলয় : হুম জান বলো?

রোজি লাজুক হেঁসে বললো,

রোজি : আমায় কেমন লাগছে?

নিলয় : নিলয়ের আগুন সুন্দরী!!!!

রোজি মুখে হাত চেপে হাসতে লাগলো। এদিকে নিলয় অপলক তাকিয়ে রইলো। এভাবে তারা তিন কাপল ডান্স করতে শুরু করলো। এক পাশে রোহিদ ও আশা এবং অন্য পাশে রেদোয়ান ও শিউলি মাঝে আমাদের নিলয় ও রোজি। তাদের ডান্স শেষ হতেই রোহিদ,আশা এবং রেদোয়ান,শিউলি নিচে নেমে আসলো আর আমাদের নিলয় ও রোজি শেষ দিকে নিলয় রোজির আঙ্গুল ধরে তাকে ঘুরিয়ে নিজের হাতো নিয়ে ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো!!!!!

সবাই হৈ হৈ করে উঠলো। রোজিতো লজ্জায় শেষ। কোথাও লুকাতে না পেরে অবশেষে নিলয়ের প্রশস্ত বুকে মুখ গুজলো।

——————————–

পার্টি শেষ হয়েছে অনেকখন তবে এখনো অনেকে ডান্স করছে মিউজিক এর তালে তালে। তবে রোজি ও নিলয় একান্ত সময় পার করছে নিলয় কথায় কথায় রোজিকে চুমু দিচ্ছে, চুল ঠিক করে দিচ্ছে। কোমড় ধরে তাকে আগলে রেখেছে।

অপরদিকে,

রোহিদ ওদের খুনশুটি দেখে নিজের বউকে খুজছিলো। যখন খুঁজে পেলো দেখলো আশা কেক খাচ্ছে।

রোহিদ : আমার প্রেম প্রেম পাচ্ছে আর আমার বউকে দেখ কেক খাচ্ছে একবার রুমে যাই দেখাচ্ছি মজা! ( ফিসফিস করে)

রোহিদ জোরে ডাক দিলো,

রোহিদ : আশু এই আশু?

আশা মুখ ভড়া কেক নিয়ে তড়িগড়ি করে করে গিলে উওর দিলো,

আশা : বলো!

রোহিদ আশার কাছ থেকে কেকের প্লেট নিয়ে বউকে কোলে নিয়ে চারপাশে তাকালো দেখলো কেউ দেখছে নাকি। এদিকে আশা তো অবাক করছে কী এই ছেলে। রোহিদ যখন সিওর হলো কেউ দেখছে নাহ সে দ্রুতো ওকে নিয়ে স্টেজের পিছনে গেলো। আশা এটা দেখে মৃদু চিৎকার করে বললো,

আশা : কই নিচ্ছো?

রোহিদ দৌড়াতে ব্যস্ত। এটা দেখে আশা ছটফট করতে লাগলো। আবারো বললো,

আশা : নিচ্ছো টা কই বললে তো আমি ই হেটে যাই!!

রোহিদ নির্দিষ্ট স্থানে পৌছে আশাকে নামালো তারপর বললো,

রোহিদ : জান আমার প্রেম প্রেম পাচ্ছে তো?

আশা ভেবাচেকা খেয়ে গেলো সে মৃদু ধাক্কা দিয়ে বললো,

আশা : কীহহহহহ!!!!

আর কিছু বলতে না দিয়ে আশার ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে দিলো রোহিদ। আশা থ হয়ে গেলো। সে ও কিছু নাহ বলে রেসপন্স করতে লাগলো।

এদিকে,

শিউলি দাড়িয়ে ছিলো তখনই দেখলো রোহিদকে দেখলো চারিদিকে কেমন চোরা চোখে তাকালো। তারপর দিকবেদিক নাহ দেখে বউ কুলে নিয়ে দৌড় দিলো পোছনে রোমেন্স করতে। এই খুনশুটি দেখে ওর ও সুপ্ত অনুভূতি মাথা চারা দিয়ে উঠলো। সে ভাবতে লাগলো তার স্বামী মানে রেদোয়ান একদমই আনরোমেন্টিক। কিন্তু ৫ মিনিট পর শিউলি যেই নাহ একটা জুস হাতে তুললো দেখলো কেউ তার দিকে তেড়ে আসছে। সে আর কেউ নাহ রেদোয়ান। সে চারদিকে তাকিয়ে দেখছে। এসে তার হাত থেকে সশব্দে জুসটা নিয়ে রেখে তাকে টানতে টানতে নিয়ে গেলো। শিউলির জ্ঞান লোপ পেয়েছে। শিউলি বেকুব এর মতো রেদোয়ান এর দিকে তাকিয়ে আছে। সে বুঝতে পারছে নাহ কী করছে। রেদোয়ান তাকে টানতে টানতে পেছনে নিয়ে গেলো গিয়েই তাকে ছেড়ে দিলো। শিউলি বললো,

শিউলি : কী হলো এখানে আনলেন কেনো?

রেদোয়ান : জান ভই কী সুন্দর রোমেন্স করছে।

বলেই শিউলির ঠোঁটে তার ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো। শিউলির হাত দুটো নিচে ঝুলে গেলো স্বামীর প্রথম ছোয়া। সে বেকুব বনে গেলো। সে ভাবলো,

শিউলি : আমার কি রেসপন্স করা উচিত? নাকি চুপ করে থাকা উচিত? না না রেস্পন্স করি প্রথম কিস বলে কথা!!!!!! (মনেমনে)

শিউলি রেস্পন্স করতে লাগলো এটা দেখে রেদোয়ান এক হাত দিয়ে তার কোমর চেপে তাকে আরো কাছে টেনে নিল।

এদিকে

দুই কাপল কিস করতে করতে একেকজন পিছুতে লাগল হুট করেই দুই কাপল অর্থাৎ আশা ও রোহিদ এবং শিউলি ও রেদওয়ান ধাক্কা খেলো।
দুই কাপলেরই ধ্যান ভেঙ্গে গেল দুই কাপল রাই লাফিয়ে উঠলো একে অপরের দিকে তাকাতে পারছে নাহ লজ্জায় কিছু বলতেও পারছে নাহ। এদিকে তাদের ফুলটুসি রা এগুলো সহ্য না করতে পারে দুজন দুই দিকে দৌড় দিল। তাদের বউরা অন্যদিকে দৌড় দিতেই দুজন একে অপরের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকালো তাদের তাকানোর মানে হচ্ছে “ভাই তুই এখানে কেন এলি অন্যদিকে যেতে পারতি কেন আমার রোমেন্সের বারোটা বাজাই লি”
তারপর ওরা দুজনও নিজেদের বউদের পেছনে দৌড় দিল।

রেদোয়ান : বউউউ যেও নাহ!!!!!!

অন্যদিকে,

রোহিদ : আশু যেওওওওও নাহহহহ প্রেম পাচ্ছে তো!!!!!!

সকল কাজ পার্টি শেষে সবাই বাড়ীতে ডুকলো। নিলয় রোজিকে কোলে করে নিয়ে যাচ্ছে কেননা রোজি ক্লান্ত। সবাই যে যার মতো বউ নিয়ে দৌড় রুমে। রোহিদ ও রেদোয়ান তো যুদ্ধে নেমেছে কে কার আগে বেইবি নেবে। নিলয় রোজিকে কোলে করে ধীরে সুস্থে রুমে প্রবেশ করল। তারপর রোজিকে ওয়াশরুমে নিয়ে গিয়ে ফ্রেশ করিয়ে আনলো। রোজিকে নরমাল কাপড় পরিয়ে দিল!

নিলয় : এখন শান্তি লাগছে?

রোজি : হ্যা অনেকটাই হালকা লাগছে। যান আপনি ও ফ্রেস হয়ে আসুন!

নিলয় সায় দিয়ে চলে গেলো। নিজেও ফ্রেশ হয়ে এলো। রোজি কে কিছু বলল না রোজি খুব ক্লান্ত।
তবে একটু দুষ্টুমি তো কাই লাগে। নিলয় খাকারি দিয়ে বলল,

নিলয় : রোজ আজ নাহ আমাদের বাসর?

রোজি শুকনো ঢোক গিল্লো বলল,

রোজি : ম ম মনে কীসের বাসর?

নিলয় : গত বছর ঠিক এই সময়টাই তো আমাদের বাসর ছিল তাই না?

রোজি : হুম তো কী হইছে?

নিলয় নির্দ্বিধায় বলল,

নিলয় : তাহলে নিশ্চয়ই আজও আমাদের বাসর?

রোজি : হ্যা তো লী হইছে?

নিলয় : আসো তাহলে বাসর করি?

রোজি : নাাাহহহহ!!! আপনার মাথা ঠিক আছে।

নিলয় কিছু না বলে রোজির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল!! রোজি ভেবেছিল নিলয় হয় তোবা কিছু করবে। কিন্তু নিলয় রোজিকে সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণ করে দিয়ে রোজিকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে রইলো। রোজির মাথায় একটা শব্দ করে চুমু খেলো। চুলে হাত বোলাতে লাগলো। রোজিও আর কিছু বলল না দুজন একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়ল!!!!

চলবে,