#অতঃপর_প্রণয়
#পর্বঃ ১৭
#জেসমিন_জেমি
রাত বাড়লো, ঘড়ির কাটা গিয়ে ঠেকলো ১টায়। পুরো রাস্তা ফাঁকা ,জন মানবহীন। গাড়ীতে থাকা সবাই অলরেডি ঘুমিয়ে পড়েছে শুধু জেগে আছে আবরার। ইলমির হাত এখনো নিজের মুঠোয় পুরে বসে আছে। অন্ধকারে নিজের কাঁধে ইলমির অবয়ব দেখা যাচ্ছে। আবরার মাথা ঝুঁকে ঘুমন্ত ইলমির কপালের ক্ষতটাতে আলতো করে ঠোঁট ছোঁয়ালো। মেয়েটা তার চোখের সামনে আছে, সুস্থ আছে এর জন্য আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া। কালকে এক মুহুর্তের জন্য নিজেকে পাগল পাগল লাগছিলো তার। এক মুহূর্তের জন্য মনে হয়েছিলো তার দেহ থেকে প্রান পাখিটা উড়ে গেছে। কি আশ্চর্য! মেয়েটার অনুপস্থিতিতি মুহুর্তেই কঠোর মানুষটাকে উন্মাদ করে তুললো। যখন শুনলো ইলমিকে পাওয়া যাচ্ছে না কথাটা যেনো তার বুকে গিয়ে তীরের মতো বিঁধলো৷ পাগলের মতো খুঁজতে লাগলো৷ মুহুর্তেই পুরো বাড়ী সহ এলাকা তুলপাড় করে তুলেছিলো। উন্মােদের মতো ছুটছিলো সে। তারপর কি মনে হতে বাড়ীর পিছন দিকটায় যেতেই ইলমিকে এমন অবস্থায় পেলো। ইলমিকে এমন অবস্থায় দেখে নিজেকে স্বাভাবিক রাখতে পারলো না। ইলমির পিছনে ছুটে আসা আগুন্তকটার পেট বরাবর লাথি মারতেই আতর্নাত করে মাটিতে লুটিয়ে পড়লো লোকটা।
—————-
অর্ধেক রাস্তা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে এসেছে ইলমি এক পর্যায়ে কাঁদতে কাঁদতে আবরারের কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েছে। আবরার সীটে হেলান দিয়ে বলে উঠলো,,,
তোমাকে ছাড়া এই আবরার কিছুই না চড়ুই। বরং এই ফাহাদ আবরার তোমাকে ছাড়া অসম্পূর্ণ। শুনছো মেয়ে? আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে গেছো এই আবরারে। মানুষ আফিমের নেশার মত্ত হয় আর এই আবরার হয়েছে ইলমি নামক বাচ্চা মেয়েটায়। শুনছো মেয়ে? তোমাতে আসক্ত করে তুলেছো এই আবরারকে।
বলেই চোখ বুঁজে নিলো। অনেক গুলো কাজ বাকি তার, অনেক হিসেব নিকাশ ও বাকি।
________________
তালুকদার বাড়ীর সামনে গাড়ী এসে থামতেই একে একে সবাই নেমে গেলো। আবিরা ভাইজানকে কিছু বলতে চেয়েও বললো না। চুপচাপ গাড়ী থেকে নেমে এলো। তালুকদার বাড়ী রঙ বেরঙের আলোতে সেজে উঠেছে। আঁশ পাঁশের লাইটের আলো গ্লাস ভেদ করে ভিতরে অন্ধকার কাটিয়ে তুলেছে। আবরার লাইটের আলোয় ঘুমন্ত ইলমির দিকে চাইলো, মেয়েটা ঘুমন্ত চেহারাটা কি অদ্ভুত সুন্দর। লাল টুকটুকে বউ সাজে ইলমি আবছা আলোয় নূরের মতে চকচক করছে যেনো, আবরার ইলমির ঘুমন্ত চেহারাটায় গভীর দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো। ভ্রু কুচকে বললো,
মেয়েটা মায়াবিনী, অতিব মাত্রায় মায়াবীনি।
আবরার ইলমিকে ধীর আওয়াজে ইলমির মুখের কাছে গিয়ে ডাকলো,,
– ইলমি
কে শুনে কার ডাক ইলমি বেঘোরে ঘুমাচ্ছে, আবরার আবারও ডাকলো ইলমি শুনলো না, পরপর আবার ডাকতেই ইলমি ঘুমঘুম চোখে আবরারের দিকে চাইলো, ঠোঁট উল্টিয়ে মেকি রাগ দেখিয়ে বললো,,
উফফ, কি সমস্যা? শান্তিতে একটু ঘুমাতেও দিবেন না নাকি? রাক্ষস একটা।
আবরার মুচকি হাসলো, যে মেয়েটা অর্ধেক রাস্তা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছিলো, সেই মেয়েটাই এখন সব ভূলে নিশ্চিন্তে ঘুমে বিভর । ঘুমের ঘোরে কাকে কি বলছে টেরও পাচ্ছে না। যার কাধে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে তাকেই কিনা রাক্ষস বলা হচ্ছে। আবরার হাসি আটকে গম্ভির স্বরে ধমকে বললো,,
কি বললি? ইলমি উঠবি নাকি ধাক্কা মেরে ফেলে দিবো।
ইলমি ধরফড়িয়ে আবরারের কাধ থেকে মাথা তুললো আবরার গটগট পা ফেলে গাড়ী থেকে নামতে নিলেই আছমা বেগম ছুটে আসলেন ছেলে আর ছেলের বউকে নিতে৷ ইলমি ঘুম ঘুম চোখে আঁশে পাঁশে দেখে বুঝার চেষ্টা করলো সে কোথায় আছে আছমা বেগম এসে দাঁড়াতেই আবরার গাড়ী থেকে নেমে দাঁড়ালো ।
_______________
সব নিয়ম কানুন শেষে আবিরা , তূর্ণা, তূর্ফা মিলে ইলমিকে আবরারের ঘরে নিয়ে গেলো। ইলমি পুরো বাড়ীতে মিলিকে খুঁজলো কিন্তু পেলো না, হিমি বেগমকে একবার দেখেছে।, হিমি বেগম বরাবরই শান্ত স্বভাবের মহিলা সে কিচেনে আছে। এ বাড়ীতে এসে ইমরুল তালুকদার, ইমামূল তালুকদারকে ইলমি দেখলো না। ওদের বাড়ীতেই দু একবার দেখা হয়েছে। হয়তো ভীষণ ব্যস্ত তারা। ইলমি কেনো যেনো সবটা সন্দেহ লাগছে। মিলি হলুদে ছিলো বিয়েতে যায় নি কোনো? আর ওই ঘটনা? সবটার সাথে কি তবে মিলি জড়িত? সে কি ইচ্ছে করেই এসব করেছিলো? যদি তাই হয় তবে কেনো? আবিরাকে বললো,,
মিলি আপা কোথায়?
আবিরা কিছু বলতে নিলেই সুফিয়া এসে বললো, আছমা বেগম তাকে ডাকছে আবিরা বললো,,
আচ্ছা আপা, আপনি যান আমি আসছি।
সুফিয়া চলে গেলো অনেকগুলো কাজ পড়ে আছে তার ছোট সাহেবের বিয়ে বলে কথা সব দায়িত্ব তার কাঁধে এসে পড়ছে। ঘরদোর পরিষ্কার থেকে শুরু করে সব কিছুর।
আবিরা- আচ্ছা ৫ মিনিট আমি আসছি।
আবিরা রুম থেকে বের হতেই ইলমি ফুল সজ্জিত বেডটার কাছ দাঁড়ালো। চারপাঁশে নানা ফুলের সমাহার। পুরো রুমটা ফুলের সুভাসে মোঁ মোঁ করছে। মাথা ঘুড়িয়ে এপাঁশ ওপাঁশে নজর বুলালো সে বেশ সুন্দর করে সাজানো হয়েছে রুমটা। ইলমি অবাক চোখে সবটা দেখছে সামনে তাকাতেই দুই জোড়া চোখ নিজের একদম কাছে দেখতে পেলো সে। আকস্মাৎ এমন হওয়ায় ভয় পেয়ে গেলো সে কেঁপে উঠলো। মৃদুস্বরে বললো,,
ও আল্লাহ গো।
ছিটকে বিছানায় পড়লো ব্যান্ডেজ করা হাতটা গিয়ে বেডের কর্ণারে লেগে ক্ষতটাতে বেশ জোরালো ভাবেই আঘাত লাগলো। ইলমি সাথে সাথে চোখ মুখ কুচকে ফেললো দাঁতে দাঁতে চেঁপে ব্যথা সহ্য করে নিলো। তূর্ফা তূর্ণা ভূত দেখার মতো চমকে উঠলো। তারা দুজন ভাবে নি ইলমি এভাবে এতোটা ভয় পেয়ে যাবে। তূর্ণা তড়িগড়ি করে এগিয়ে গিয়ে ইলমিকে উঠিয়ে বসালো তূর্ফা পানির গ্লাস এগিয়ে দিতেই ইলমি একদমে পানিটুকু খেয়ে নিলো। তূর্ণা মুখ কাচু মাচু করে বললো,
– সরি
তূর্ণা মুখ ভেংচি কেটে বললো,
এই টুকুতে এতো ভয় পেয়ে গেলেন ভাবিজি। এই আপনার সাহস? ছ্যাহ ইনি নাকি ফাহাদ আবরার, আমাদের সাহসী ভাইয়ের অর্ধাঙ্গিনী হাসি পাচ্ছে খুব।
বলেই হেসে উঠলো। ইলমি ভ্রু কুচকে তাকাতেই তূর্ফা মুখ ছাপিয়ে ধরলো।
ইলমি কাঁধ ঝাড়া দিয়ে বললো,,
আমি কতটা সাহসী সেটা তুই জানিস তূর্ফা। আশা করি বাজির কথাটা ভূলে জাস নি। আমি এতোটা সাহসী যে কারো ভয়ে গাছের আড়ালে গিয়ে লুকাই নাহ হুহ।
তূর্ণা তূর্ফা জমজ হলেও তাদের চেহারায় কোনো মিল নেই, তাদের স্বভাব, আচরনেও রয়েছে বিস্তর ফারাক। তাদের জন্মটাই শুধু একসাথে হয়েছে, দুজনার মাঝে কোনে মিল নেই। একজন শান্ত আরেকজন চঞ্চল, দুষ্টু প্রকৃতির। তূর্ণা বরাবরই মায়ের মতো শান্ত প্রকৃতির তবে তূর্ফা ভীষন চঞ্চল স্বভাবের মেয়ে।
_____________
ফুল সজ্জিত বিছানাটায় বসে আছে ইলমি। তূর্ণা তূর্ফা আবিরা বের হয়ে গেলো মাত্রই। ভারী মেক -আপ, শাড়ী, গহনা পরে ইলমির অবস্থা নাজেহাল তার সাথে হাতের অবস্থা ও খারাপ। কি করবে? আবিরাকে বলতে চেয়েও বলে নি। ইলমি কি করবে, না করবে কিছুই বুঝলো না বসে বসে উশ-খুশ করতে লাগলো। হঠাৎ দরজায় শব্দ হতেই ইলমি নড়ে চড়ে বসলো, আড়চোখে দরজায় তাকাতেই দেখলো আবরার এসেছে। সাদা পান্জাবি পা জামা আর মাথায় টুপিতে শ্যামবর্ণ লোকটাকে একদম স্নিগ্ধ, অসম্ভব সুদর্শন লাগছে। আবরার দরজা আটকে পিছন ফিরতেই চোখাচোখি হয়ে গেলো ইলমি তড়িঘড়ি করে চোখ নামিয়ে নিতেই আবরার ভ্রু কুচকে ফেললো৷ আবরার বিছানার একপাঁশে এসে বসতেই ইলমি একটু সরে গিয়ে জড়ো সড়ো হয়ে বসলো, হঠাৎ করে কেনো যেনো ভয় লাগছে ইলমির। কি অদ্ভুত! লোকটাকে এতো ভয় পাওয়ার কি আছে লোকটা বাঘ নাকি ভাল্লুক? আবরার কিছু না বলে ইলমির হাত নিজের হাতে পুড়তেই ইলমি হকচকিয়ে উঠলো। চকিতে আবরারের দিকে চাইলো, তবে আবরার নিজে মতো কিছু একটা করতে লাগলো। আবরার বাম হাতটা টেনে হাতে মোটা বালা পড়িয়ে দিলো। বাম হাতটা টানতেই ইলমি অস্ফুট-স্বরে উহ! বলে উঠলো। আবরার হতভম্ব হয়ে ইলমির দিকে চাইলো। ইলমি তখন চোখ মুখ খিঁচে বসে আছে। হাতটা সামনে নিতেই দেখলো সাদা ব্যান্ডেজ লাল হয়ে উঠেছে ক্ষত থেকে ব্লিডিং হচ্ছে। আবরার মূহুর্তেই ব্যস্ত হয়ে উঠলো। প্রচন্ড রেগেও গেলো। গম্ভীর স্বরে থমকে উঠে বললো,
এসব? ব্যথা পেলি কিভাবে? বলিস নি কেনো? একটা মুহূর্ত, একটা মুহূর্ত শান্ত হয়ে থাকতে পারিস না? ইডিয়ট।
ইলমি কেঁপে উঠলো, ভীষণ ভয়ও পেলো লোকটাকে। আবরার এভাবে রেগে যাবে ভাবে নি ইলমি অবাক চোখে তাকিয়ে রইলো শুধু কিছু বললো না, আবরার রাগে গটগট পায়ে রুম থেকে চলে গেলো।
কিছুক্ষণ পরে হাতে ফাস্ট এইড বক্স নিয়ে ফিরলো। পুরনো ব্যান্ডেজটা ফেলে ক্ষত স্থানটা নতুন করে ব্যান্ডেজ করলো। ইলমি বিস্ময় ভরা দৃষ্টি নিক্ষেপ করে ব্যস্ত আবরারকে দেখলো। এই লোকটা কি সত্যিই তাকে শাস্তি দেয়ার জন্য বিয়ে করেছিলো? ব্যান্ডেজ শেষ হতেই আবরার উঠে দাঁড়ালো। ইলমি ঘোরের মাঝেই বলে উঠে,,,
ভালোবাসেন আমায়?
আবরার ভ্রু কুচকে পিছন ফিরলো, ভ্রু নাচিয়ে গম্ভীর স্বরে বললো,,,
হুহ? কিছু বললি?
ইলমিঃ আপনি কি ভালোবাসেন আমায় এমপি সাহেব?
আবরার ফাস্ট এইড বক্সটা রাখলো, বেডের কাছে এসে দাঁড়িয়ে হো হো করে হেসে উঠলো। ইলমি চমকালো, আবরার বললো,,
ভালোবাসি তোকে? এটাও শুনতে হলো আমার। আমি ফাহাদ আবরার, তোর মতো এমন বাচ্চা মেয়েকে ভালো বাসবো। হাউ ফানি ইলমি?
ইলমি চোখ দুটো টলমল করে উঠলো। কি বলছে লোকটা?
টলমলে চোখে বললো,,
-তাহলে এই বিয়েটা? বিয়ে কেনো করলেন আমায়?
আবরার ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বেলকনির দিকে যেতে যেতে বললো,,,
বিয়েটা জাস্ট তোর শাস্তি ছিলো এর থেকে বেশি কিছু না।
বিয়েটা জাস্ট শাস্তি ছিলো কথাটা ইলমির কানে বার বার বাজতে লাগলো। তবে কি হিমির কথায় সত্যি? লোকটা শুধু শাস্তি দেওয়ার জন্যই তাকে বিয়ে করেছে? তাহলে এটাও সত্যি লোকটা হিমিকে ভালোবাসে। শুধু আর শুধু শাস্তি দেয়ার জন্য এতো কিছু করলো লোকটা। আর ভাবতে পারলো না ইলমি। আবরারকে সে ভালোবাসে , ভীষণ ভালোবাসে। কিন্তু লোকটা তাকে ভালোবাসে না, সে তো অন্য কাউকে ভালোবাসে। কি করবে সে?
__________________
তূর্ফা ফ্রেশ হয়ে সবে মাত্র বিছানায় গা এলিয়ে দিয়েছে। চোখটা বুঁজে বিছানায় দুহাত দুদিকে ছড়িয়ে শুয়ে রইলো। তখনি ফোনটা বেজে উঠলো। এতো রাতে ফোন কল পেয়ে বেশ বিরক্ত হলো তূর্ফা। চোখ মুখ কুঁচকে বিরক্তিতে চো শব্দ করে ফোনটা হাতে তুলে নিলো।
– আসসালামু আলাইকুম
–
-কে বলছেন?
অপাঁশ থেকে কোনো আওয়াজ শোনা গেলো না তূর্ফা প্রচন্ড বিরক্ত হলো। এতো রাতে কল করেছে কি মজা করার জন্য নাকি আজব! রাগী স্বরে বললো,,,
-কে বলছেন? রাত বিরাতে কল করে কথা বলছেন না কেনো?
– সরি…….
ফোনের অপাঁশের কন্ঠস্বরটা ভীষণ চেনা লাগলো তবুও বললো,,
– কে বলছেন? কিসের সরি? হ্যালো, হ্যালো।
ফোনের এপাঁশ থেকে তন্ময় স্মিত হাসলো। বললো,,
– খারাপ লোক বলছিলাম।
তূর্ফা ঠোট কামড়ে চোখ বুজে নিলো, লোকটা কি কথায় কথায় তাকে লজ্জায় ফেলবে, সে তো ভূল করেছে। ভূল স্বীকারও করেছে, সরিও বলেছে তবুও লোকটা সব সময় এমন করে। ধ্যাত
তন্ময় হেসে বললো,
কেউ একজন বোধহয় আমার উপর রেগে আছে।
তূর্ফা যদিও তন্ময়ের উপর ভীষন রেগে ছিলো তবে মুখে বললো,,
মোটেই নাহ। আপনার উপর রেগে থাকার সময় কেউ একজনের নেই। কে আপনি? কি হোন? নিজেকে এতো ইম্পোর্টেন্ড কেনো ভাবছেন?
তন্ময় নিঃশব্দে হাসলো। হঠাৎ করে একটা ইমপোর্টেন্ট কাজের জন্য ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও বিয়েতে এটেন্ড করতে পারে নি। তবে ইলমির বিদায় বেলাতে সে ছিলো তবে ততক্ষণে তূর্ফা গাড়ীতে ছিলো। তন্ময় মেয়েটাকে দেখলেও তূর্ফা তন্ময়কে দেখে নি। তন্ময় হাসি থামিয়ে বললো,,
তন্ময়ঃ ওকে, কারো যখন সময় নেই তাহলে বরং রাখি। ভালো থাকবেন।
তূর্ফা: ঢং করছেন?
তন্ময়: হোয়াট? ডং করবো কেনো? আর ডং করে কিভাবে?
তূর্ফা এবার হেসে উঠলো,এপাশ থেকে হাসির শব্দ শুনতেই তন্ময়ও হেসে উঠলো। তূর্ফা হাসি থামিয়ে বললো,,
– আসেন নি কেনো?
তন্ময়ঃ যাই নি কে বললো? অবশ্যই গিয়েছিলাম তবে যার জন্য এতো কষ্ট সেই কিনা ওয়েট করতে পারলো না। সো স্যাড,
তূর্ফা: এই এই একদম মিথ্যা বলবেন না বলে দিলাম। ছিলেন না আপনি, আসেন নি ।
তন্ময় হেসে বললো,,,
আচ্ছা ম্যাম আপনি যখন বলছেন, তবে ছিলাম না।
অতঃপর তাদের মাঝে কতক্ষন ধরে ফোন আলাপ চললো ওরাও টের পেলো না। তূর্ণা রুমে আসতেই তড়িঘড়ি করে কল কেটে দিলো৷ তূর্ণা লাইট অফ করে বিছানায় শুয়ে পড়লো তূর্ফা অন্যপাশ ফিরে শুয়ে রইলো। দু চোখের পাতায় ঘুমের দেখা মিললো না। চোখ বুজতেই শুধু তন্ময়ের হাসি মুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠলো তূর্ফা পড়লো মহা ঝামেলায়। কি হচ্ছে তার সাথে? এই লোকটাকে কেনো সে ভূলতে পারছে না? তবে কি লোকটাকে সে ভালোবেসে ফেললো? আচ্ছা এটা কি তবে প্রণয়ের সূচনা? তূর্ফা কি সে তন্ময় নামক মানুষটার মায়ায় পরে গেলো? আচ্ছা এভাবেও কি ভালোবাসা যায়?
চলবে,,,,,
(ভুলত্রুটি মার্জনীয়।)