অধ্যায়টা তুমিময় পর্ব-১৩ এবং শেষ পর্ব

0
4

#অধ্যায়টা_তুমিময়
#সমুদ্রিত_সুমি
পর্ব ১৩

ভাদ্রের শুরু। এই রোদ এই বৃষ্টি। জৈষ্ঠ্য হলো শেষ আষাঢ়ের দিন শুরু, ভাদ্রের সাথে হবে দেখা, তৈরি থেকো তুমি। সময়টা ঠিক এভাবেই এগিয়ে যায়। এগিয়ে গেছে জোনাকি আর মেঘের সময়ও। সারাদিন অফিস করে, জোনাকির খেয়াল রাখে মেঘ। মেঘের সেবায় জোনাকি এখন পুরোপুরি সুস্থ। অবশ্য এখানো মাথার আঘাতের জন্য তাঁকে ঔষধ খেতে হচ্ছে। মেঘের কড়া কথা এবং চোখ রাঙানি সবসময় ঔষধ খাওয়ার সময় দেখতে এবং শুনতে হয়। অবশ্য ভালোই লাগে সেই কড়া কথা আর চোখ রাঙানি। বাড়ির প্রতিটা মানুষ জোনাকির খেয়াল রেখেছে। পুরো দুপুর বৃষ্টির জন্য ঘর থেকে কেউ বের হতে পারেনি। এখন বিকেল চারটা। দু’টো চায়ের কাপ নিয়ে ছাঁদে দাঁড়িয়ে আছে জোনাকি। পড়নে তাঁর কালো রঙের একটি জামদানী শাড়ি, যেটা মেঘ তাঁকে উপহার দিয়েছে। মেঘ বলেছিলো, মনে কোন দ্বিধা রেখে শাড়িটা না পড়তে। দীর্ঘ এই চারমাসে জোনাকি ভালোই বুঝতে পেরেছে মানুষটা তাঁকে কত ভালোবাসে। তাঁর অপেক্ষা আজ সার্থক। ভুল মানুষটার জন্য সে নিজের মূল্যবান সময় নষ্ট করেনি। আল্লাহ তাঁকে নিরাশ নয় মুগ্ধতা দিয়েছে। ছোট্ট একটা এক্সিডেন্ট পুরো বদলে দিলো তাঁদের জীবনকে। কিছু খারাপ জীবনের নতুন অধ্যায়ের শুরু। সব কিছু ঠিক করতেই আজ জোনাকি ছোট্ট আয়োজন করেছে। সেই ছোট্ট আয়োজনে, দু’জনার জন্য দু’কাপ চা এবং একটু নিজেকে সাজিয়ে তোলা। এতটুকু আয়োজনেই মেঘ আকাশ পাবার মতো খুশি হবে।

জোনাকির ভাবনার মাঝেই মেঘ উপস্থিত হলো ছাঁদে। জোনাকিকে দেখে হঠাৎ মেঘ থমকে দাঁড়ালো। কারণ মেঘের দেওয়া সেই শাড়িটা জোনাকি পড়েছে। তাহলে কি? ছাঁদের রেলিঙে ঝুঁকে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে জোনাকি। হয়তো কোন ভাবনায় সে ডুবে আছে। ধীর পায়ে এগিয়ে পাশে দাঁড়ালো মেঘ। জোনাকির মুখপানে তাকিয়ে হঠাৎ মেঘের ঠোঁটে হাসি ফুটলো। তাহলে কি অবশেষে সব ঠিক হতে চলেছে। স্বাভাবিক রেখে মেঘ গলা খাঁকারি দিলো। তখন নিজের কল্পনার রাজ্য থেকে বেরিয়ে এলো জোনাকি। রেলিঙের উপর রাখা চায়ের কাপটা সামনে এগিয়ে দিলো। কাপটা হাতে নিয়ে তাতে চুমুক দিলো। চায়ের কাপে চুমুক দিতেই মেঘ বুঝলো এটা জোনাকি নিজের হাতে বানিয়েছে। কিছুটা আন্দাজ করে নিলো মেঘ। কিন্তু সে আগ বাড়িয়ে কিছু জানতে চাইলো না। নিজের সকল দ্বিধা দূরে রেখে এবার নাহয় জোনাকি কাছে আসুক। সে তো বুকটা বাড়িয়ে আছে, শুধু জোনাকির ঝাঁপিয়ে পড়ার পালা।
চায়ে শেষ চুমুক দিয়ে পাশেই রাখলো চায়ের কাপ। ছাঁদের রেলিঙের উপর হাত দিয়ে দূর আকাশের দিকে তাকিয়ে রইলো দু’জন। স্থির চোখটা দূর আকাশে কি দেখছে তা কেউ জানে না। আকাশের ওই ভেসে যাওয়া মেঘের মাঝে কিছু একটা আছে, যাতে চোখ পড়লে আর চোখ সরাতে ইচ্ছে করে না। উড়তে থাকা শাড়ির আঁচলটা ভাজ করে তুললো হাতের মাঝে। তারপর মেঘের উদ্দেশ্যে বললো।

_ কিছু সময় খুব দ্রুত এগিয়ে যায় তাই না জনাব।

_ হুম, বিশেষ করে সুখের সময় গুলো।

_ এটা ভুল বললেন,সময় ঠিক তাঁর নিজের মতো করেই ফুরিয়ে যায়! শুধু আমাদের চিন্তাধারা পরিবর্তন হয়। কখনো কি দেখেছেন কষ্টের সময় চব্বিশ ঘন্টা ছাব্বিশ ঘন্টায় গিয়ে ঠেকেছে। নাকি সুখের ঘন্টা চব্বিশের জায়গায় বাইশেই শেষ হ’য়ে গেছে। আসলে কি জানেন, কষ্ট গুলো সয্য করার ক্ষমতা আমাদের মাঝে নেই। আবার নেই বললেও ভুল হবে,কারণ যদি সইতে না পারি তাহলে এগিয়ে যাই কি করে। কিন্তু খেয়াল করে দেখবেন, হাত একটু কাটুক আর বেশি, ব্যথা কিন্তু আমাদের একি লাগে। শুধু সেরে উঠতে একটু বেশি সময়। ওই যে কিছু কষ্টের চাপা দীর্ঘশ্বাস আমাদের মাঝে মাঝেই বেরিয়ে আসে।

_ তোমার এই যুক্তিতর্কের কাছে আমি আজও হেরে গেলাম।

_ হারছেন কেন, আমি কি বলেছি?

_ তুমি বলোনি, কিন্তু আমার ভালো লাগে। কিছু হেরে যাওয়ার মাঝে আনন্দ আছে।

_ আচ্ছা।

_ হ্যা

_ ঠিক আছে মেনে নিলাম।

_ আজকাল দেখছি তুমি আমার সব কথাই মেনে নাও, ঘটনা কি খুলে বলো তো?

_ ঘটনা আবার কি হবে? আচ্ছা লোকতো আপনি! শুনলেও দোষ না শুনলেও।

_ আরে সেটা বলেছি।

_ বাকি রাখলেন কোথায়।

_ আর বলবো না ঠিক আছে।

_ হুম, একটু এদিকে আসুন তো?

_ কোনদিকে।

_ এই যে মেহেদী গাছের দিকে।

_ সেখানে গিয়ে কি করবে।

_ আরে আসুন না।

এই কথা ব’লেই জোনাকি মেঘের হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলো। বেচারা মেঘ কিছু বুঝতে পারলো না। জোনাকি মিন্দি গাছের তলায় মেঘকে দাঁড় করিয়ে, মেহেদী গাছের ডাল ধরে ঝাঁকি দিলো। যেহেতু দুপুরে বৃষ্টি হয়েছে, তাই গাছে জমে ছিলো বৃষ্টির পানি। চোখের পলকেই ভিজে গেলো মেঘ। হঠাৎ নিজের গায়ে এভাবে বৃষ্টির ফোঁটার মতো পানি পড়তেই ভ্যাবাচেকা খেলো মেঘ। জোনাকি পুর ছাঁদ কাঁপিয়ে হাসতে রইলো। সেই হাসিতে যেন ঝড়ে পড়লো হাজারো মুক্তোর দানা। কিছু পানি জোনাকির মুখে পড়েছে, হাসি আর পানির ফোঁটায় জোনাকিকে স্নিগ্ধ লাগছে। মেঘ জোনাকিকে কিছু বলতে চেয়েও পারলো না। মাথার চুল ঝারতে ঝারতে সরে এলো গাছের তলা থেকে। তখনো জোনাকি হাসছে। হাসতে হাসতে বললো।

_ কি যে সুন্দর লাগছিলো আপনায় কি বলবো।

_ আমাকে বোকা বানিয়ে এখন হাসা হচ্ছে তাই না।

_ পারলে আপনিও বানান বোকা, বারণ করেছি কি?

_ বাহ্।

_ কি বাহ্?

_ কিছু না।

_ ওওও

_ জানো নারীকে সব থেকে বেশি সুন্দর কখন লাগে?

_ কখন।

_ যখন সে আয়নার সামনে বসে ঢং করে।

_ কিহহ?

_ জিহহহ।

_ মজা হচ্ছে আমাকে নিয়ে, দেখাচ্ছি মজা।

এই কথা বলেই পুরো ছাঁদে মেঘকে দৌড় করালো জোনাকি। মেঘও তালে তাল মিলিয়ে দৌড়ে গেলো। এক সময় জোনাকি হাঁপিয়ে উঠলো। দুই হাঁটুর উপর হাত রেখে জোরে শ্বাস নিতে রইলো। আর বললো।

_ আমি আর পারছি না।

_ ঠিক আছে তাহলে আর আমাকে দৌড় করিয়ো না। তুমিই হাঁপিয়ে উঠবে। তাই দাঁড়িয়ে থাকাই ভালো।

_ আপনি খুব খারাপ।

_ আরে আরে এখানে খারাপের কি দেখলে?

_ অনেক কিছু।

_ আচ্ছা এখানে বসো জিড়িয়ে নাও।

তারপর ওরা দুজন দু’টো চেয়ারে বসলো। কিছুটা সময় পার হতেই মেঘ প্রশ্ন করলো।

_ জোনাকি একটা কথা বলবো?

_ হ্যা বলুন।

_ নয়ন নামের ছেলেটা তোমার চাচাতো ভাই হলেও, তোমার মনে হয় না সে একটু বেশিই তোমার খোঁজ নেয়। আজকাল তো নিজের ভাই খোঁজ নেয় না ঠিকমতো, সেখানে চাচাতো ভাই একটু বেশি না।

_ আমার কাছে লাগে না।

_ কেন?

_ কারণ আমি তাঁর না পাওয়া ভালোবাসা।

_ কিহহহ?

_ হুম, সে আমায় অনেক আগে থেকেই ভালোবাসে। শুধু মায়ের ভয়ে আমাকে বলতে পারেনি। আমারও যে তাঁকে খারাপ লাগতো তা নয়। যখন ভালো লাগা এসে মনে নাড়া দিয়েছে, তখনই আপনার সাথে বিয়ে হয়ে গেছে। তাই সেই ভালো লাগা বাস্তবের কাছে হারিয়ে গেছে। ভালোবাসে তো, তাই সে এতো আমার খোঁজ নেয়। সে জানে আমি তাঁর মনের খবর জানি না। কিন্তু আমি অনেক আগে থেকেই জানতাম। মানুষটা অনেক আলাদা, ওদের পুরো পরিবার থেকে আলাদা। অভিমান করে এই ছয় বছর বিদেশে গিয়ে পড়ে আছে। চাচি কতবার বলেছে ফিরে আসতে। কিন্তু আসবে না। আমিও বলেছি অনেক বার। কিন্তু বলে, কার জন্য ফিরে আসবো। আমি বুঝেও প্রশ্নটা এরিয়ে গিয়ে বলি, কেন তোমার পরিবারের জন্য। আর ও ততোবারই দীর্ঘশ্বাস লুকায় এটা ভেবে আজও আমাকে জানাতে পারলো না বা বোঝাতে। কিন্তু ও এটা জানে না, আমি অনেক আগেই জেনেছি ওর মনের খবর। যে দীর্ঘশ্বাসের কোন ঠিকানা নেই, তাঁকে গুনে কি হবে?

_ আচ্ছা, নিচে চলো আকাশে মেঘ হয়েছে, যখন তখন বৃষ্টি হতে পারে।

কিন্তু মেঘ মুখ ফুটে বলতে পারলো না, পৃথিবীর আকাশে নয় তাঁর মনের আকাশে মেঘ জমেছে।

_ নাহ, আজ বৃষ্টিতে ভিজবো।

_ এমনই শরীর ঠিক হয়নি তোমার। তাঁর মাঝে বৃষ্টিতে ভিজলে জ্বর হবে।

_ হলে হোক, সেবা করার জন্য তো আপনি আছেন।

মেঘ কিছু বলতে উদ্যোগ হলেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়তে শুরু করলো। কি প্রকৃতি, এই তো ঝলমল করছিল রোদে,কয়েক সেকেন্ডে মেঘ এখন বৃষ্টি। কোন রকম জোনাকির হাত ধরে বললো।

_ চলো চলো।

_ বললাম তো বৃষ্টিতে ভিজবো।

_ একদম পাগলামি করবে না। এখন বৃষ্টিতে ভেজা নিষেধ।

_ বৃষ্টিতে ভেজা নিষেধ, নাকি এই পাশের মানুষটা আমাকে ভেজা শরীরে দেখলে তাঁর কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলবে। সে তো আবার আমাকে ভেজা অবস্থায় দেখলে নিজের কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলে।

জোনাকির কথায় তাজ্জব হলো মেঘ। মেয়েটা বিচক্ষণ মানুষ। অল্প কথায় পুরো গল্প বানিয়ে ফেলে। নিজেকে সামলে বললো।

_ যেটাই ভাবো না কোন সমস্যা নেই, কিন্তু বৃষ্টিতে ভেজা চলবে না।

_ কিন্তু জনাব আমি তো একটা কথা বলতে চাই আপনায়।

_ কি কথা?

_ আজ যদি আমার ভেজা শরীর দেখে আপনি কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলেন! আর যদি কিছু ভুল হয়, আমি কিছু মনে করবো না।

কয়েক সেকেন্ড সময় লাগলো জোনাকির কথাটা বুঝতে। যখন বুঝলো তখন হাতের বাঁধনটা আরো শক্ত করে হেচাকা টান দিয়ে নিজের বুকে নিয়ে এলো। মেঘের বুকে লুটিয়ে পড়তেই জোনাকি ভয়ে চোখ বুঁজে ফেললো। চোখের পাপড়ি গুলো ঘনোঘনো পিটপিট করলো। হাল্কা জোনাকির শরীরটা কেঁপে উঠতেই মেঘ ছাঁদ কাঁপিয়ে হেঁসে উঠলো।

_ যাকে একটু ছুঁয়ে দিলে, লজ্জায় নুইয়ে যায়, তাঁর সাথে কিছু ভুল করলে তো আমাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে। আর বলবে, কাউকে অতিরিক্ত লজ্জা দেওয়ার অপরাধে ইউ আন্ডার এরেস্ট মিস্টার মেঘ।

মেঘের কথার মানে বুঝতেই জোনাকি একটা চিমটি কাটলো মেঘের বুকে।

_ আহহ কি করছো ব্যথা পাচ্ছি তো?

_ পান তাতে আমার কি? শুনুন লজ্জা মেয়েদের অলংকার, আর স্বামী তাঁদের অহংকার। যখন দু’টো সাথে থাকে, তখন তো নারী লজ্জায় নুইয়ে পড়বেই।

_ আচ্ছা তাঁর মানে আমার বউয়ের এই খোলা আকাশের নিচে বাসর করা শখ জেগেছে। সমস্যা নেই, আমি যখন তাঁর মাঝে ডুব দেবো নির্লজ্জের মতো, তখন আকাশ নির্লজ্জের মতো চেয়ে থাকলে আমার কিন্তু দোষ নেই।

_ ছি্ অসভ্য, মুখে কিছু আঁটকায় না।

তারপর জোনাকি মেঘকে ধাক্কা দিয়ে চলে যেতে নিলো। হাতটা টেনে ধরে মেঘ গেয়ে উঠলো।

_ এই ভালো এই খারাপ, ওও প্রেম মানে মিষ্টি পাপ। চলো মানেমানে দিয়ে ফেলি ডুব তুমি-আমি মিলে।
দু’জনেই মনটাকে,ওও বেঁধে ফেলি সাত পাকে। চলো ছোটখাটো করি ভুল চুক তুমি-আমি মিলে।
সাজিয়েছি ছোট্ট এক ফালি সুখ, রাজি আছি আজকে বৃষ্টি নামুক, তুমি আমি ভিজবো দু’জনে খুব, ভরসা দিলে। উমমম।
এই ভালো এই খারাপ, ওও প্রেম মানে মিষ্টি পাপ। চলো মানেমানে দিয়ে ফেলি ডুব তুমি-আমি মিলে।

_ দেখো না এই আকাশ শ্রাবন, নেমেছে আজ হাজার বারন জেনে।(জোনাকি)

_ ওওহ আওয়াজ শুনে আমায় ডাকো, ঢাকো চাদর আমায় কাছে টেনে। (মেঘ)

_ রঙে রঙে ভরিয়ে দিয়েছি ঘর।(জোনাকি)

_ ভিজে গেছি বৃষ্টি নামার পর(মেঘ)

_ তুমি আমি ঘর থেকেও যাযাবর যাচ্ছি চলে।(মেঘ-জোনাকি)

ওওও এই ভালো এই খারাপ, ওও প্রেম মানে মিষ্টি পাপ। চলো মানেমানে দিয়ে ফেলি ডুব তুমি-আমি মিলে।(মেঘ)

_ দুজনেই মনটাকে ওওহ বেঁধে ফেলি সাতপাকে।(জোনাকি)

_ চলো ছোটখাটো করি ভুলচুক তুমি-আমি মিলে(মেঘ )

সাজিয়েছি ছোট্ট এক ফালি সুখ, রাজি আছি আজকে বৃষ্টি নামুক তুমি আমি ভিজবো দুজনে খুব ভরসা দিলে।(মেঘ-জোনাকি)

_ ভরসা দিলে(জোনাকি)

দু’জনেই একে অপরকে জড়িয়ে এক সুখের অনুভূতি অনুভব করলো। সাত বছরের বিচ্ছেদ গুছিয়ে নিলো ভালোবাসা দিয়ে। নিজেদের সম্পর্কে শুরু হলো এক নতুন অধ্যায়, যেটা পুরোপুরি একে অপরের তুমিময় হয়ে। তাদের একান্ত ভালোবাসা শুরু হলো, #অধ্যায়টা_তুমিময় দিয়ে।

সমাপ্তি