অনুরাগে সখি নিভৃতে যতনে পর্ব-৯+১০ এবং শেষ পর্ব

0
3

#অনুরাগে_সখি_নিভৃতে_যতনে
#মৌপ্রিয়া_ইসলাম_মিহি
#পর্ব_০৯_১০(সমাপ্ত)
___________________________
প্রায় তিন ঘন্টা পরে ডক্টর অপারেশন থিয়েটার থেকে বের হয়ে বললেন,

-“অপারেশন সাকসেসফুল হয়েছে।”

সবার মুখে হাসি ফুটলো।মৌরিন আড়ালে দাঁড়িয়ে খবরটা শুনে সেখান থেকে বেরিয়ে গেল।খুশির কারণে রেজওয়ানের চোখ থেকে এক ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়লো সে অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে হাসপাতাল থেকে চলে গেল।

আশহিরের চোখ দিয়ে একভাবে পানি পড়ে চলেছে তবে তার মুখে হাসি বিদ্যমান।অহিদা বেগম এসে আশহিরের পাশে দাঁড়িয়ে বললো,

-“তোকে একটা ধন্যবাদ দেওয়া উচিত।কারণ ডক্টরের খোঁজ তুই এনে দিয়েছিলি।”

আশহির চোখের পানি মুছে বললো,

-“আম্মু আমি আমার স্ত্রীকে সুস্থ করার জন্য তা করতেই পারি এতে ধন্যবাদ দেওয়ার কি আছে!”

আহমেদ সাহেব সেখানে এসে বললেন,

-“কি আছে তা তো তুমি ভালো করেই জানো।তাই আর জিজ্ঞেস না করাই উত্তম।”

আশহির আর কিছু না বলে চুপ করে রইলো।

কিছুদিন পরে তারিনিকে হসপিটাল থেকে রিলিজ দেওয়া হলো।তাকে নিয়ে সবাই বাড়িতে গেল।বাড়িতে যেতেই আশহিরের নামের একটা ডিভোর্স পেপার আসলো।যাতে মৌরিন আগেই সই করে দিয়েছে।তা দেখে তারিনি বললো,

-“আশহির তুমি সই’টা করো না।মৌরিনের সাথে গিয়ে কথা বলো।”

-“এখানে কথা বলার কোনো মানে নেই তারিনি।একটা মিথ্যা সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনো মানে নেই।”

কথাগুলো বলে আশহির ডিভোর্স পেপারে সাইন করে দিল।তারিনি আর কিছু না বলে রুমের দিকে চলে গেল।আশহিরও তার পিছু পিছু গেল।আশহির রুমে গিয়ে দেখলো তারিনি তার সব জিনিসপত্র সুটকেসে গোছাচ্ছে।আশহির গিয়ে তারিনি সামনে দাঁড়িয়ে বললো,

-“তুমি কি আজই চলে যাবে?”

-“হ্যাঁ।আমি হসপিটাল থেকে সোজা আমার বাড়িতেই যেতাম তবে আমার প্রয়োজনীয় সকল জিনিস এখানে তাই আসতে হলো!”

আশহির কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো,

-“না গেলে হয় না?”

-“না হয় নাহ্।এতোদিন তোমার সাথে এক প্রকার নিজের মনের বিরুদ্ধে ছিলাম।তবে আর নয়।বেঁচে গেছি ঠিকই তবে তোমাকে আর সুযোগ দিচ্ছি না।যে একবার বিশ্বাস ভাঙতে সে বারবারও ভাঙ্গতে পারে!
.
.
.
আশহিরের সাইন করা পেপারটা হাতে পেতেই মৌরিনের মুখে হাসি ফুটলো।ফরহাদ এসে মৌরিনের সামনে দাঁড়িয়ে বললো,

-“মৌরিন আমি অনেক দিন ধরেই আপনাকে কিছু কথা বলতে চাচ্ছি।তবে বলা হয়ে উঠেনি আপনার আর আশহির মির্জার বিয়েটার কারণে।তবে এখণ যখন আপনারা দুজনেই এই সম্পর্কটা চান না তখন কথাগুলো বলাই যায়।”

-“স্যার আপনি তো এটাই বলবেন তাই না যে,আপনি আমাকে পছন্দ করেন!এম আই রাইট ওর রং?”

মৌরিনের কথা শুনে ফরহাদ চমকে গেল।পরক্ষনেই নিজেকেই সামলে বললো,

-“ইউ আর রং!কারণ আমি আপনাকে পছন্দ করি না ভালোবাসি!পছন্দ করলে সময়ের সাথে সাথে পছন্দ বদলে যেতো।তবে প্রকৃত ভালোবাসা কখনো বদলায় না।তা সবসময় একরকমই থেকে যায়।”

মৌরিন কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো,

-“আগেই তো বলতে পারতেন স্যার।তাহলে সবটা অন্যরকম হতে পারতো!”

-“জানেনই তো আমি একটু অন্য ধাঁচের।সহজ বাক্য বলতেই দীর্ঘসময় লেগে যায় আর এ তো কঠিনতম বাক্য!”

মৌরিন দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো,

-“তবে স্যার আমি আপনার এমন সুন্দর জীবন নষ্ট করতে চাই না।আপনি বরং অন্য কাউকে নিয়ে সুখী হন।আপনি অনেক ভালো মানুষ।আপনি অনেক ভালো কাউকে ডিজার্ভ করেন।আমার মতো ডিভো…..”

এটুকু বলতেই ফরহাদ আলতো করে মৌরিনের মুখ চেপে ধরলো।মৌরিনের চোখে চোখ রেখে বললো,

-“আমি এইসব শুনতে চাই না।বার বার আমি আপনাকে হারাতে পারবো না।আমার আপনাকেই চাই এটাই লাস্ট কথা।সে আপনি যাই হন না কেন!”

কথাগুলো বলে ফরহাদ মৌরিনের মুখ ছেড়ে দিল।মৌরিন কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো,

-“স্যার আমার প্রধান কাজটা এখনো শেষ হয়নি।তা আগে শেষ করে আসি।তারপরে না হয় এইসব নিয়ে ভেবে দেখবো।”

মৌরিন কথাগুলো বলে অফিস থেকে বের হয়ে চলে গেল।সে ফোর্স নিয়ে সোজা আশহিরের বাড়িতে গেল।বাড়ির সবাই ড্রয়িংরুমেই ছিল।তারিনি তার বাবা-মায়ের সাথে আশহিরদের বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।মৌরিনকে ফোর্সসহ দেখে সবাই চমকে গেল।আশহির ফোঁস করে নিশ্বাস ফেলে বললো,

-“আপনি আমাদের বাড়িতে ফোর্স নিয়ে এসেছেন কেনো?”

-“কেনো আপনি তা জানেন না?আপনি যে কি পাপকর্ম করেছেন তা মনে নেই?”

-“কোনো প্রমাণ আছে আপনার কাছে?”

-“অবশ্যই আছে মিস্টার আশহির মির্জা।এতোদিন শুধুমাত্র তারিনি ম্যাডামের কথা ভেবে আমি চুপ ছিলাম।নাহলে আপনার মতো লোককে আমি সেদিনই অ্যারেস্ট করতাম।”

-“কি প্রমাণ আছে আপনার কাছে দেখান তো!”

মৌরিন আর কিছু না বলে ভিডিওটা সবার সামনে অন করলো।আশহির তা দেখে শকট।সে ভেবেছিল হয়তো মৌরিন এমনিই এতো বড় বড় কথা বলছে কারণ এই প্রমাণ তো তার চেনা লোক ছাড়া আর কেউ পাওয়ার কথা না।ভিডিও শেষ হতে আহমেদ সাহেব এসে ঠা*স করে আশহিরের গালে একটা চ*ড় মারলো।

-“তুই আমার ছেলে তা ভাবতেও আমার ঘৃণা হচ্ছে।”

অহিদা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বললেন,

-“এই ছেলের তো পাপের শেষ নেই।”

তারিনি থ হয়ে তার জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে।সে নিজেকে সামলে বাড়ি থেকে বের হতে যাবে আশহির তাকে আটকে বললো,

-“তারিনি এইসব মিথ্যা।আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।”

-“ওহ্ আচ্ছা তোকে ফাঁসানো হচ্ছে!”

কথাটা বলে রেজওয়ান সবার সামনে এসে দাঁড়ালো।আশহির অবাক হয়ে বললো,

-“রেজওয়ান তুই এখানে?”

-“আমি তো এখানে থাকবোই।কারণ প্রমাণটা তো আমিই দিয়েছি উনার হাতে।”

আশহির রেজওয়ানের কলার চেপে ধরে বললো,

-“এমনটা কেনো করলি তুই?বন্ধু হয়ে বন্ধুর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলি!”

রেজওয়ান এক ঝটকা দিয়ে আশহিরের হাত তার শার্টের কলার থেকে ছাড়িয়ে বললো,

-“তুই নিজে কি করেছিলি?আমি তারিনি ভালোবাসি তা জানা সত্ত্বেও তুই ওর সাথে প্রেম করে বিয়ে করেছিস!তুই কোন বন্ধুত্বের পরিচয় দিয়েছিস?”

-“কারণ আমি তোর আগে থেকেই তারিনিকে ভালোবাসতাম।তুই ভালোবাসতি তাই আমি কখনো প্রকাশ করিনি।কিন্তু তুই যা করলি ঠিক করিসনি।”

মৌরিন এসে তাদের সামনে দাঁড়িয়ে বললো,

-“একশো বার ঠিক করেছে।আপনার বন্ধুর বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওভাবে মেরে ফেললেন আমার ছোট বোনটাকে?একবারও হাত কাঁপলো না?”

তারিনি আশহিরের পাশে এসে দাঁড়িয়ে বললো,

-“এমন একটা অন্যায় করে তুমি এতোবছর ধরে সমাজে ঘুরে বেড়াচ্ছো?তোমার লজ্জা করে না আশহির?”

-“দেখো তারিনি তখন বয়স কম ছিল।তাই না বুঝেই ওমন একটা অন্যায় করে ফেলেছি।প্লিজ আমাকে ভুল বুঝো না।আর আমি সত্যিই তোমাকে অনেক ভালোবাসি।”

তারিনি আশহিরের গালে একটা চ*ড় মেরে বললো,

-“একদম এইসব নাটক করবে না আমার সাথে।তোমার সাথে আমার সবকিছু শেষ।”

তারিনি কথাগুলো বলে তার বাবা-মায়ের সাথে চলে গেল।মৌরিন আশহিরকে অ্যারেস্ট করে নিয়ে গেল।
_
_
_
বেশ কিছুদিন কেটে গেল।তারিনি তার কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে একটা শপিংমলে গেল।সে হঠাৎ করে মাথা ঘুরে পড়ে যেতে গেলে রেজওয়ান এসে তাকে ধরে ফেলল।রেজওয়ান তারিনিকে সোজা করে দাঁড়া করিয়ে বললো,

-“এই সময় একা একা চলাফেরা করা ঠিক না।”

-“আচ্ছা আমি যেখানে যাই আপনি সেখানে কিভাবে পৌঁছে যান?আপনি কি আমাকে ফলো করেন?”

-“আরে না।আমাদের মেবি কোনো কানেকশন আছে।তাই আপনি যেখানে যান আমিও সেখানে পৌঁছে যাই।”

-“জাস্ট শার্ট-আপ!”

তারিনি হাঁটা শুরু করলো।রেজওয়ান তার পিছু পিছু হাঁটতে হাঁটতে বললো,

-“চাইলে একবার সুযোগ দিতে পারেন।ছেলে কিন্তু আমি মন্দ না।”

তারিনি থেমে গেল।সে রেজওয়ানের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে বললো,

-“আপনার মাথায় কি সমস্যা আছে?আপনি জানেন না আমি যে অন্য একজনের স্ত্রী?যা বলবেন ভেবে চিন্তে বলুন!”

-“এখনো নিজেকে আশহিরের স্ত্রীই ভাবেন।”

-“ভাবার কি আছে আমি ওর স্ত্রীই।আমাদের এখনো ডিভোর্স হয়নি।”

তারিনি কথাগুলো বলে চলে গেল।রেজওয়ান দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো,

-“তুমি হয়তো কখনোই আমার হবে না।”

আশহির একভাবে দৌড়ে চলেছে।তার পিছনে ছুটছে মৌরিনসহ তার পুরো টিম।আশহির দৌড়াতে দৌড়াতে এক পর্যায় দাঁড়িয়ে পড়লো।মৌরিনের টিম মেম্বারের মধ্য থেকে একজনের হাত থেকে জোর করে বন্দুক কেড়ে নিয়ে মৌরিনের দিকে তাক করে বললো,

-“আমাকে পালাতে দেন।নাহলে কিন্তু আমি গুলি করে দিবো।”

আশহির এলোপাতাড়ি গুলি করতে লাগলো।অনেক কৌশলে মৌরিনের টিমের একজন সদস্য নিজেকে রক্ষা করতে গিয়ে আশহিরের বুক বরাবর গু*লি করলো।আশহির ছিঁটকে মাটিতে পড়লো।তারিনি দূর থেকে সবটা দেখে দৌডে এসে আশহিরের মাথা তার কোলে রেখে বললো,

-“আশহির কি হয়েছে তোমার?আশহির!”

তারিনির চোখে পানি।আশহির মৃদু হেসে অনেক কষ্টে বললো,

-“জীবনের শেষ সময় তোমার মুখখানা দেখতে পেয়ে শান্তি পেলাম তারিনি।আমার জীবনের একমাত্র ভালোবাসা তুমিই ছিলে।জানি আমি অনেক অন্যায় করেছি পারলে ক্ষমা করে দিও।আমাদের সন্তানের মানুষের মতো মানুষ তৈরি করিও।আমার মতো অমানুষ নয়!”

কথাগুলো বলে আশহির চোখ বন্ধ করে ফেলল।তারিনি চিৎকার করে বললো,

-“আশহির……”

মৌরিনে এসে তারিনি পাশে বসে বললো,

-“আমরা এমনটা করতে চাইনি।”

তারিনি নিজেকে সামলে বললো,

-“তোমার তো কোনো দোষ নেই।অন্য একজন গু*লিটা করেছে।আর নিজেকে রক্ষা করতে গু*লি করার নির্দেশ তো রয়েছেই।”



তারিনি তার একমাসের ছেলেকে কোলে নিয়ে আশহিরের কবরের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।তার চোখ দিয়ে দুই ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়লো।সে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো,

-“আমাদের ভালোবাসার পরিণতি এমন না হলেও পারতো।কেনো এমনটা করলে আশহির?তোমার ভুলে জন্য আজ আমার ছেলেটা বাবা হারা।”

-“কে বলেছে নিশহির বাবা হারা!আপনি মেনে নিলেই সবটা সুন্দরভাবে পূর্ণতা পাবে।”

তারিনি বিরক্তি নিয়ে বললো,

-“আপনার আর কোনো কাজ নেই?এখানে এসেও হাজির হয়েছেন?”

-“আপাততঃ আপনাকে রাজি করা ছাড়া আমার কোনো কাজ নেই।”

তারিনি আর কিছু না বলে হাঁটা শুরু করলো।রেজওয়ান তার পিছু পিছু যেতে যেতে বললো,

-“অনুরাগে সখি নিভৃতে যতনে,
আমার নামটি লিখ তোমার মনেরও মসজিদে!”

তারিনি মৃদু হেসে নিশহিরকে নিয়ে রিক্সায় উঠে চলে গেল।

কিছুদিন পরে নুহাশ আর অথৈয়ের বিয়ে হয়ে গেল।তারা সবাই এখন সুখে আছে।তারিনি অথৈকে জড়িয়ে ধরে বললো,

-“অনেক সুখী হও তোমরা দুজনে।”

-“দোয়া করো ভাবি।”
______________
দুই বছর পরে,

আজকে ফরহাদ আর মৌরিনের বিয়ে।কাজী বিয়ে পড়াচ্ছে!সুন্দরভাবে দুজনের বিয়ে সম্পূর্ণ হলো।

বাসরঘরে ফরহাদ এক দৃষ্টিতে মৌরিনের দিকে তাকিয়ে আছে।মৌরিন আঁচল দিয়ে মুখ ঢেকে বললো,

-“এভাবে তাকিয়ে থাকলে আমার লজ্জা লাগে না নাকি!”

-“লজ্জা লাগলেও কি!এতো কষ্টে তোমাকে পেয়েছি।মন ভরে যদি না দেখি তাহলে কিভাবে চলবে!”

-“স্যার এখন এইসব বলা বাদ দিয়ে ঘুমান।অনেক রাত হয়েছে।”

ফরহাদ মৌরিনের কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে বললো,

-“আজকে আমি এখানেই ঘুমাবো।আর তুমি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিবে।”

মৌরিন মৃদু হেসে ফরহাদের চুলে হাত বুলাতে লাগলো।

———
কিছুদিন পরে,
একটা নদীর সামনে বসে আছে রেজওয়ান আর তারিনি।তারিনির কোলে দুই বছরের নিশহির।তারিনি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো,

-“আপনি আমাকে বাধ্য করলেন!”

রেজওয়ান ভ্রু কুঁচকে বললো,

-“কি করতে?”

-“আপনার প্রেমে পড়তে!”

তারিনির কথা শুনে রেজওয়ান মুচকি হেসে বললো,

-“তাহলে কি মিশন সাকসেসফুল?”

-“তার আগে বলুন কখনো আশহিরের মতো করবেন না তো?”

রেজওয়ান মৌরিনের হাত ধরে বললো,

-“তোমার হাত ধরে বললাম কখনো এমন কিছু করবো না যাতে তুমি কষ্ট পাও।কারণ তুমি আমার অনেক শখের!”

তারিনি আর কিছু না বলে মৃদু হাসলো।

কিছুদিন পরে রেজওয়ান আর তারিনির বিয়ে হয়ে গেল।রেজওয়ানের এতোদিনের ভালোবাসা পূর্ণতা পেল।ফরহাদ আর মৌরিনও এখন অনেক সুখে সংসার করছে।

ফরহাদ আর মৌরিনে ছাদে বসে আকাশের চাঁদ দেখছে।তবে ফরহাদ চোখ মৌরিনের দিকে।মৌরিন আকাশের দিকে তাকিয়ে বললো,

-“চাঁদটা সুন্দর না?”

-“হ্যাঁ অনেক!”

মৌরিন ফরহাদের দিকে তাকিয়ে দেখলো সে তার দিকে তাকিয়ে আছে।মৌরিন ভ্রু কুঁচকে বললো,

-“না দেখেই বলছো?”

-“না আমি তো আমার চাঁদকে দেখেই বললাম।”

ফরহাদের কথা শুনে মৌরিন হেসে দিল।ফরহাদও মুচকি হাসলো।



রেজওয়ান আর তারিনি মিলে নিশহিরকে ঘুম পাড়াচ্ছে।রেজওয়ান হাই তুলে বললো,

-“একজনকে নিয়েই আমাদের এই হাল আরেকজন আসলে তো বেশ কষ্টকর হয়ে যাবে দুজনকে সামলানো।”

তারিনি রেজওয়ানের দিকে তাকাতে রেজওয়ান চোখ মারলো।তারিনি আলতো করে রেজওয়ানের বুকে কিল মারলো।তারপরে দুজনে একসাথে হেসে দিল।

_________________#সমাপ্ত____________________

[আল্লাহ হাফেজ।গল্পটা কেমন হয়েছে জানাবেন!ভূল-ভ্রান্তি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।]