#অপেক্ষার_বসন্ত
ফাহমিদা তানিশা
পর্ব ১২
[কপি করা নিষিদ্ধ]
ফোনটা রিসিভ করে রাগী কন্ঠে বললো:এই সমস্যা কি? ফোন দিয়ে দিয়ে বারবার বিরক্ত করছেন কেন? সামনে পেলে আপনার ফোনটা আছাড় দিতাম।
_তাহলে সামনে এসে ফোনটা নিয়ে আছাড় দিয়ে যা।তবু তো অন্তত তোকে দেখতে পারবো।
আরাফের কথায় অর্নি থামলো।কতো সুন্দর করে কথাটা ঘুরিয়ে দিলো সে। অনায়াসে যেন রাগটা কমে যায়। তবু গলে যাওয়াটা তো দেখানো যাবে না। শান্ত কন্ঠে বললো: ফোন দিলেন কেনো?
_কথা বলতে মন চাইছে তাই।
_আমি ব্যস্ত আছি। ফোন রাখুন।
_তাহলে রাতে কথা বলতে হবে। যদি রাজি হোস তবে ফোনটা কাটবো।
অর্নি কিছু না বলে ফোনটা কেটে দিলো। চেয়ারে মাথাটা এলিয়ে দিয়ে চোখগুলো বন্ধ করলো সে। বেশ ক্লান্ত লাগছে।এতোদিন ধরে কতো কিছু ঘটছে তার সাথে। ক্লান্ত হওয়াটা স্বাভাবিক। একজন মেয়ে কি কখনো চায় তার সংসারটা ভেঙে যাক?তার মধ্যে যদি প্রিয় মানুষের সাথে বিয়েটা হয় তখন সবকিছুর বিনিময়ে হলেও তাকে আগলে রাখতে চায়। তবে কয়েকজন ব্যতিক্রম থাকে জুঁইয়ের মতো। কিন্তু অর্নি তো জুঁই নয়।সে চায় সবকিছু ঠিক হোক। সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে একটা সুন্দর সাজানো-গোছানো সংসার চায় সে।
অর্নি আর রুমানা প্ল্যানমতো জুঁইয়ের চেম্বারে গেলো। অর্নি ওড়না দিয়ে মুখটা ঢেকে রেখেছে যাতে আরাফ বা জুঁইয়ের চোখে না পড়ে।আরাফের চেম্বারও একই হাসপাতালে। যদি তার সামনে পড়ে তাহলে মহা মুশকিল হয়ে যাবে।রুমানা ভেতরে যাবে কিন্তু অর্নি বাইরে থাকবে। রুমানাকে অর্নি সব শিখিয়ে দিয়েছে কিভাবে কি বলবে।এমনে এমনে তো আর একজন ডাক্তার তার প্যাশেন্টকে তার পার্সোনাল ফোন নম্বর দিবে না। তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তার সাথে তা হ্যান্ডেল করতে হবে। কিন্তু যতো যায় হোক। আপাতত সিআইডি অফিসার সেই পরিচয়টা দেওয়া যাবে না।অন্য পরিচয় দিতে হবে জুঁইকে।
রুমানা জুঁইয়ের চেম্বারের ভেতরে গেলো আর অর্নি বাইরে বসে আছে। মনে মনে ভয় হচ্ছে রুমানাকে নিয়ে।সে পারবে তো ঠিকভাবে সব করতে?নাকি সব উল্টো করে দিয়ে চলে আসবে। বাইরে বসে অপেক্ষা করছে রুমানার জন্য। কারো জন্য অপেক্ষা করলে সময়টাও যেন থেমে থাকে। একদম ফুরাচ্ছে না সময়টা।যাক,অবশেষে রুমানা বের হলো জুঁইয়ের চেম্বার থেকে।তার চোখেমুখে হাসির ঝিলিক।তার মানে নম্বরটা নিতে পেরেছে সে। অর্নি দ্রুত গেলো রুমানার কাছে।
_ফোন নম্বর নিতে পেরেছো?
_ম্যাম এখন তো নিতে পারিনি। তবে বলেছে ঔষুধ কাজ না করলে সুপারভাইজারকে বলতে। তখন উনি নিজে ফোন করে কথা বলবে।
রুমানার কথায় অর্নির রাগ হলো।কতো হেসে হেসে আসছিল সে। অর্নি তো তার হাসি দেখে মনে করেছিল পুরো মাউন্ট এভারেস্ট জয় করে ফেলেছে সে। কিন্তু কিছুই হলো না। তবু রুমানাকে কিছু বললো না অর্নি। রুমানা তো চেষ্টা করেছে। জুঁই ফোন নম্বরটা না দিলে তার আর কি করার আছে?তাই শান্ত কন্ঠে বললো: এখন কিভাবে নম্বরটা পাবো?
_কেনো ম্যাম?রাতে সুপারভাইজারকে ফোন দিয়ে বলবো ঔষুধে কাজ করছে না। তারপর জুঁই ফোন দিবে নিজ থেকে। তখন পেয়ে যাবো।
অর্নি রুমানার কথায় তার দিকে তাকালো।কতোটা বোকার মতো কথা বলছে মেয়েটা। এখন যেহেতু জুঁই তার পার্সোনাল নম্বরটা দেয়নি তার মানে সে দিবে না।তাই এভাবে ঘুরিয়ে দিলো রুমানাকে। জুঁই মেয়েটা বেশ চালাক আসলেই। তাকে হ্যান্ডেল করতে একটু-আধটু হিমশিম খেতে হবে অর্নিকে।
মন খারাপ করে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যাচ্ছিলো অর্নি। তখনি হাসপাতালে ঢুকছে রকি। মানে আরাফের চাচাতো ভাই। অর্নি তাকে দেখে ডাক দিলো।কারণ আরাফের চাচাতো ভাই হলে আরাফের চেয়ে অর্নির সাথে রকির সম্পর্ক বেশি। একদম নিজের বোনের মতো করে কথা বলে রকি।এমনকি তাদের ডিভোর্সের ব্যাপারটা নিয়েও রকি প্রথমে তাকে বোঝাতে এসেছিল। অর্নিও তার মনের কথাগুলো রকিকে শেয়ার করে।
মুখ ওড়না দিয়ে ঢাকা থাকায় সে অর্নিকে খেয়াল করেনি। অর্নির ডাক পেয়ে রকি থামলো। তাকে দেখে রকি অবাক হলো। বেশ ঘাবড়ে গেলো সে অর্নিকে দেখে। অস্পষ্ট গলায় জিজ্ঞেস করলো: তুমি এখানে?কি জন্য আসলে?
অর্নি বুঝতে পারলো রকি ঘাবড়ে গেছে। কিন্তু কেনো ঘাবড়ালো সে? অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো:আরে আপনি এভাবে ঘাবড়ে গেলেন কেনো?আমি আমার একজন সহকর্মীর সাথে এসেছি।
এই বলে সে রুমানাকে দেখালো।
রকি অর্নির কথায় হেসে বললো: আমি মনে করেছি তোমাদের বাড়ির কেউ অসুস্থ হয়েছে তাই হাসপাতালে এসেছো।তাই ঘাবড়ে গেলাম।
_না না ভাইয়া। বাড়ির সবাই সুস্থ আছে। আপনি কেনো আসলেন?
_আমি এইতো আমার এক ফ্রেন্ড বাইক এক্সিডেন্ট করেছে। তাকে দেখতে আসলাম।
_সো স্যাড। আমিও সাথে যাবো আপনার বন্ধুকে দেখতে?
_আরে না। তুমি সাথে যাবে কেনো? তুমি হচ্ছো ব্যস্ত মানুষ।কতো কাজ আছে তোমার।সে বেশি ব্যথা পায়নি। তোমার অযথা সময় নষ্ট করতে হবে না।
_আচ্ছা তাহলে ঠিক আছে। আমি বরং চলে যায়।
_ওকে বাই।
এই বলে রকি চলে গেলো।
হঠাৎ কি ভেবে রকি অর্নিকে ডাক দিলো।অর্নি সাথে সাথে থামলো।রকি এক প্রকার দৌড়ে আসলো তার দিকে। ফিসফিসিয়ে বললো: হাসপাতালে আসার পর আরাফের সাথে দেখা হয়েছে?
_না হয়নি।কেনো?
_কিছু শুনেছো?
_কি?
রকি এবার রুমানাকে ইশারা করে বললো: ওকে একটু সাইডে যেতে বলো। পার্সোনাল বিষয় মানুষকে শোনানোর কি দরকার?
আসলেই তো।ঘরের কথা বাইরে বলার কি দরকার?তাই সেও রুমানাকে বললো:রুমানা তুমি গাড়িতে গিয়ে বসো।আমি আসছি।
রুমানা “ওকে ম্যাম” বলে চলে গেলো।
_এবার বলুন।
_মনে কিছু নিবে না তো?আসলে আমার খুব কষ্ট লাগছে বিষয়টা। ভাবলাম তুমি আমার বোনের মতো। নিজের বোনের সাথে এমন হলে কি মানতে পারতাম? এখন কিভাবে মানবো বলো।তাই তোমাকে বলে দেওয়া আমার কর্তব্য।
রকির কথায় অর্নি বেশ অবাক হলো।এমন কি হচ্ছে অর্নির সাথে যা রকি মানতে পারছে না? একটু ভাবলো অর্নি। কিন্তু কিছুই বুঝতে পারছে না সে। শান্ত গলায় জিজ্ঞেস করলো:কি হয়েছে ভাইয়া?আমি তো কিছু জানি না।
_কাউকে বলবে না তো?
_না না কাউকে বলবো না।
_আজকে দুপুরে আরাফের সাথে জুঁই আমাদের বাড়িতে গিয়েছিল।ছিল ঘণ্টা তিনেকের মতো। তোমার খালামনি ছেলের হবু বউকে রান্না করে খাওয়ালেন ভালোমন্দ। তারপর দুজনে চলে গেলো।
কথাটা শুনে অর্নির মাথায় যেতো বাজ পড়লো। নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না সে?আরাফ না হয় জুঁইয়ের প্রেমে পাগল হয়ে গেছে কিন্তু তার খালামনি?সে তো অর্নিকে দেখেশুনে সেই বাড়ির বউ করে নিয়ে গিয়েছিল। এখন কতো সহজে সব ভুলে গিয়ে জুঁইকে মেনে নিচ্ছে।তাও আবার রান্না করে খাওয়াচ্ছে?এসব কি মানা যায়?এতো নাটক কেনো করছে আরাফ? নিজের উপর নিজের রাগ হচ্ছে অর্নির। এমন এক ব্যক্তিত্বহীন পুরুষকে সে এতো ভালোবাসলো? ভাবতেই নিজের উপর রাগ হওয়াটা স্বাভাবিক।চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে অর্নির।
মুখ দিয়ে কোনো কথা আসছে না।রকি তা দেখে অর্নির হাত ধরে ফেললো। স্বান্তনা দিয়ে বললো: এভাবে ভেঙে পড়লে হবে? তোমার মতো স্ট্রং একজন মেয়ের এই অবস্থা হলে সাধারণ মেয়েদের কি অবস্থা হবে?আরাফ কি তোমার জীবনের সবকিছু?সে তো জুঁইকে নিয়ে খুব সুখে আছে। তুমি কেনো আরাফকে ভেবে নিজের জীবনটা শেষ করবে? তুমিও আরাফকে ভুলে তোমার জীবনটাকে গুছিয়ে নাও। দ্রুত ডিভোর্সটা দিয়ে নিজের মতো বাঁচার চেষ্টা করো। তখন আর পিছুটান থাকবে না।
অর্নি রকির কথাগুলো মন দিয়ে শুনলো। বেশ গুছিয়ে কথাগুলো বলছে রকি। আসলেই তার একটা কথাও ভুল নয়। এবার তাকে জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তটা নিতে হবে। এভাবে আর কতোদিন? এভাবে চলতে থাকলে সে নিজেও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে যাবে। তাকে তো বাঁচতে হবে নিজের জন্য, বাবা-মায়ের জন্য।আরাফকে ভুলে নতুন একটা পৃথিবী বানাতে হবে তাকে।
রকি একটু পর বললো: বোন হিসেবে তোমাকে কথাগুলো বলা প্রয়োজন মনে হয়েছিল।তাই বললাম।এসব কাউকে বলতে গেলে উল্টো আরাফ আমার পেছনে লাগবে। কাউকে বলো না কথাগুলো।
_না কাউকে বলবো কেনো?যে মানুষটা আমাকে কথাগুলো বলে এতো উপকার করলো তার কথা অন্যদের বলে বিপদে ফেলবো?এমন মেয়ে আমি নয়।
_আচ্ছা এবার আসি। তুমি টেনশন করো না। নিজের যত্ন নিও।
_আচ্ছা ভাইয়া। আপনিও ভালো থাকবেন।
রকি এবার চলে গেলো।অর্নি একবার রকির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে গাড়ির দিকে চলে গেলো। আজকে আর কিছুই ভালো লাগছে না। তাই অফিসে আর যাবে না সে।রুমানাকে নামিয়ে দিয়ে সোজা বাসায় যাবে সে।আর পারছে না এসব মাথায় নিতে।
গাড়িতে উঠে বসতেই রুমানা প্রশ্ন করলো:ম্যাম ছেলেটা কে?
_উনি আমার কাজিন হয়। খুব ভালো মনের মানুষ। আমাকে নিজের বোনের মতো ভালোবাসে।এই যুগে এমন মানুষ পাওয়া মুশকিল।
রুমানা অর্নির কথাগুলো শুনে আর কিছু বললো না। চুপচাপ একবার অর্নির দিকে তাকালো। তারপর তার ফোনে মনোযোগ দিলো।
রুমানাকে নামিয়ে দিয়ে অর্নির বাসায় আসতে আসতে প্রায় রাত এগারোটা বাজলো।বাসায় ঢুকতেই তার মা তাকে থামিয়ে দিলো।
_এতো দেরি হলো কেনো তোর? সারাদিন কোথায় ছিলি?
_কাজ ছিল। তাছাড়া এতো দেরি হয়নি। মাত্র এগারোটা বাজছে।
_রাত এগারোটা তোর কাছে মাত্র? আচ্ছা যাই হোক, উকিলের কাছে গিয়েছিলি?উকিল কি বললো।
_উকিলের কাছে কেনো যাবো?
অর্নির কথায় তার মা ভ্রু কুঁচকে তাকালো। গম্ভীর গলায় জিজ্ঞেস করলো: তাহলে আরাফের সাথে কোথায় গিয়েছিলি?
এতোক্ষণ পর মায়ের প্রশ্নে অর্নির মাথায় আসলো আরাফ তার মাকে মিথ্যা বলে তাকে নিয়ে গিয়েছিল। টেনশনে সে সব ভুলে গেছে। শান্ত কন্ঠে বললো: হ্যাঁ উকিলের কাছে যাওয়ার জন্য তো বের হয়েছিলাম। হঠাৎ ইমারজেন্সি কাজ পড়ে যাওয়ায় আর যেতে পারিনি।
_আরাফ কি বেকার মানুষ?আবার তোর সাথে কখন যাবে সে?
কথাটা শুনে অর্নির রাগ হলো।এতো ব্যস্ত মানুষ বলে জুঁইকে নিয়ে ঘুরছে সে। রেগে গিয়ে বললো:তার সময় না থাকলে সে তার মতো যাবে আর আমি আমার মতো যাবো।তোমার বোন আর বোনের ছেলের নামটা আমার মুখের সামনে আর কখনো নিবে না।
_আমার বোন তোকে কি করলো?নিজেরা নিজেরা সব করলি আর এখন সব দোষ আমার বোনের?
_হ্যাঁ।সব দোষ তোমার বোনের।ছেলেকে প্রকৃত শিক্ষা দিয়ে মানুষ করতে পারেনি। শুধু আশকারা দিয়ে দিয়ে মাথার উপর তুলতে জানে।
_দোষ আমার বোনের নয় আমার। তোকে বেয়াদব বানিয়েছি বলে সংসার টিকিয়ে রাখতে পারছিস না।
কথাটা শুনে অর্নি রেগে চিল্লিয়ে বললো:আমি বেয়াদব নয়।তোমার বোন আর ভাগিনা আমাকে বেয়াদব হতে বাধ্য করেছে।
_এই কি হয়েছে তোর?রাতের বেলা এভাবে চিল্লাচিল্লি করছিস কেনো?
_বেশ করছি। চিল্লাচিল্লি শুনতে ইচ্ছে না হলে এখান থেকে বিদায় হও অথবা আমাকে যেতে দাও।
এই বলে সে হনহন করে রুমে চলে গেলো।হাতে থাকা ব্যাগটা ছুড়ে মারলো বিছানায়।নিজেও ধপাস করে বিছানায় শুয়ে পড়লো। ভীষণ কান্না আসছে।এতো চেষ্টা করলো সংসারটা বাঁচানোর জন্য কিন্তু তার মা বলছে সে বেয়াদব বলে সংসারটা টিকিয়ে রাখতে পারছে না।আজ নিজের মা বলছে কাল থেকে পুরো এলাকাবাসী, আত্মীয়-স্বজন সবাই বলবে। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে সে। তখনি ফোনটা বেজে উঠলো।আরাফ ফোন করেছে।সে বলেছিল রাতে ফোন করবে।তাই হয়তো করেছে। কিন্তু অর্নি এখন কথা বলার মতো অবস্থায় নেই।সে দূরত্ব চায়। এমন একটা স্থান চায় যেখানে আরাফের ছায়াও থাকবে না।ফোনটা কেটে দিলো তাই।
ফোন কেটে দেওয়ার পর একটা টেক্সট আসলো।আরাফ পাঠিয়েছে।অর্নি ফোনটা ওপেন করে সেটা দেখলো।”তোর সাথে কিছু ইম্পর্ট্যান্ট কথা আছে। ফোনটা রিসিভ কর প্লিজ”
অর্নি মেসেজটা সিন করে কোনো রিপ্লাই দিলো না।তা দেখে আরাফ আবারো ফোন করলো। এবারো সে ফোনটা রিসিভ করলো না।আরাফ আবারো টেক্সট পাঠালো।
“শেষ বারের মতো একবার ফোনটা রিসিভ কর। শুধু একবার কথা বলবো। তারপর আর কখনো কথা বলিস না। আমি নিজেও তোকে কখনো বিরক্ত করবো না আর।”
চলবে…