#অবশেষে_পূর্ণতা
#লেখক_আহম্মেদ_নীল
#পর্ব_৬
‘-নীলের কথা শুনে ফারিয়ার বাবা-মা একজন আরেকজনের দিকে তাকা তাকি করতে লাগলো। ফারিয়ার বাবা নিজেকে একটু সামলিয়ে বলতে লাগলো। নীলের মুখ থেকে এমন কথা শুনে ওনি অনেকটা অবাক আর আশ্চর্য হয়ে গেলো। এদিকে সুরেচ মাত্রই পানির গ্লাসটা মুখে নিয়েছিলো,নীলের এমন কথা শুনে তার মনে হলো পানির বিপরীতে সে বিষ খাচ্ছে। ফারিয়ার মাও নীলের এমন প্রস্তাবে অনেকটা হতভম্ব হয়ে যায়।
-হঠাৎ নীল বলে উঠলো,আপনার চুপচাপ হয়ে আছেন যে,আপনারা কি আমার প্রস্তাবে রাজি নন.?
‘একটু পর ফারিয়ার বাবা আমিন সাহেব বলতে লাগলো,তুমি কি আমার সাথে মজা করছো.?নীল স্বাভাবিকভাবে বলে উঠলো, আমি কোন স্টান্ড আপ কমেডিয়ান না, যে আপনার সাথে এখানে মজা করতে আসবো।আমি মোটেও মজা করতে আসিনি। আমি সিরিয়াস।
-এটা কিভাবে সম্ভব.?দেখো তুমি আমার মেয়ের জীবন বাঁচিয়েছো কয়েকবার তার জন্য আমি বাবা হয়ে তোমার কাছে সারাজীবন ঋণি থাকবো। তাই বলে বিয়ে.? এটা কেমন করে সম্ভব.? তুমি কি ফারিয়ার অবস্থা আর ওর বিষয়ে সবটা জানো.? নীল বলতে লাগলো,আমি কোনকিছু জানতে চাইনা। ফারিয়া যেমনি হোক না কেনো আমি ওকেই বিয়ে করতে চাই।
(লেখক_আহম্মেদ_নীল)
-‘দেখো বাবা তুমি আবেগের বসে এখন এসব বলছো। বাস্তবতা যে বড় কঠিন আর নিষ্ঠুর। আমি মানলাম তুমি ফারিয়াকে বিয়ে করলে,কিন্তুু তোমার পরিবার যখন জানতে পারবে ফারিয়ার পেটে অন্য কারোর বাচ্চা তখন কি আদেও মেনে নিবে.? বাচ্চার কথাটা শুনে নীল বলতে লাগলো, বাচ্চা মানে.?(লেখক_আহম্মেদ_নীল) আমিন সাহেব এবার বলতে লাগলো,ফারিয়া এর আগে একটা জায়গায় বিয়ে হয়েছিলো। দীর্ঘদিন বাচ্চা না হওয়ার কারনে তাকে রেখে যেদিন আতিক মানে ফারিয়ার স্বামী যেদিন দ্বিতীয় বিয়ে করে আনে সেদিন ফারিয়া টেস্ট করে জানতে পারে,সে মা হতে চলেছে। ফারিয়া ভেবেছিলো তাদের দুঃখের দিন শেষ। সে অপেক্ষা করছিলো কখন আতিক অফিস থেকে বাসায় ফিরবে আর ফারিয়া আতিককে বড় সারপ্রাইজ দিয়ে চমকে দিবে। কিন্তুু আতিক সেদিন ফারিয়াকে চমকে দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করে ফারিয়াকেই বড় সারপ্রাইজ দিয়ে দিলো। বিয়ে করে বউ আনে আর সাথে করে ডিভোর্স পেপারেও রেডি করে আনে আতিক,যাতে করে ফারিয়াকে ডিভোর্স দিয়ে তাকে অতিদ্রুত ওই বাড়ি থেকে বেড় করে দেওয়া যায়।
“ফারিয়া চাইলে সেদিন আতিককে বাচ্চার কথা বলতে পারতো। কিন্তুু ফারিয়া চায়নি তাদের ভেতরে বাচ্চার দোহায় দিয়ে থাকতে। আতিক কত বড় স্বার্থপর তা বুঝতে পেরে ফারিয়া সেদিন ডিভোর্স পেপারে একপ্রকার বাধ্য হয়ে স্বাক্ষর করে চলে আসে। প্রেগন্যান্ট অবস্থায় ডিভোর্স হয়না,তারপরও আতিক তো জানতো না এসব বিষয়। আর ফারিয়া চায়নি এই বাচ্চার কথা আতিক কে জানাতে। তারপর আমি চলে আসি এখানে। আর সিদ্ধান্ত নিয়,বাচ্চাটা হওয়ার পর পুরনায় ডিভোর্স পেপারে পাঠাবো ওদের বাড়িতে তারপর আইনগতভাবে ডিভোর্সটা কার্জকর করবো,যাতে করে আতিক নামক স্বার্থপর আর বেঈমানকে হাজার চেষ্টা করলেও ফারিয়ার জীবনে না আসতে পারে। (লেখক_আহম্মেদ_নীল)কথাগুলো শেষ করতেই ফারিয়ার বাবার চোখ ভিজে গেলো অশ্রুকনায়। আমিন সাহেব একটু স্বাভাবিক হয়ে বলতে লাগল,আশা করছি সবকিছু শুনে তোমার সব আবেগুলো পালিয়ে যাবে.?
-“কথাগুলো শুনে নীলের ভেতরটা কষ্টে ভরে গেলো এই ভেবে,মেয়েটা কতটা অসহায়,কতটা কষ্ট বুকে নিয়ে এতগুলো দিন পার করে এসেছে। নীল বলতে লাগলো,আপনার কি মনে হয় আমার কথাগুলো আবেগ.?আমি সবকিছু জেনে শুনে তাও বিয়ে করতে রাজি। আমিন সাহেব একটু নড়েচড়ে সরে বসলেন।নীল যে এই বিষয় সত্যিই সিরিয়াস এই বিষয়টা আমিন সাহেবের বুঝতে একটুও সমস্যা হলো না।তিনি গম্ভীর কন্ঠে বলতে লাগলেন, কিন্তু কেনো.?দেশে এতো মেয়ে থাকতে ফারিয়াকেই কেনো.? ফারিয়ার মতো এমন প্রেগন্যান্ট, ডিভোর্সী মেয়েকে কেনো বিয়ে করতে চাও.?এতে কি লাভ তোমার.?
‘নীল স্মিত হেসে বললো,দেখুন আমি নিজের ব্যাপারে কখনো কাউকে কোন এক্সপ্লেনেশন দিয়না। কিন্তু আপনাকে বলছি কারণ, আপনি একজন বাবা। তাই সবটা জানা আপনার অধিকার আছে। আর কি যেনো লাভের কথা বলছিলেন.?আসলে ফারিয়াকে আমার জীবনে পাওয়ার লাভটা আমি আপনাকে ভাষার মাধ্যমে প্রকাশ করে বুঝাতে পারবো না। হ্যা আমি চাইলে দেশের হাজারটা মেয়ে বিয়ে করার জন্য একপায়ে রাজি হয়ে যাবে। তবে ফারিয়াকে দেখলে আমার মনের মাঝে একপ্রকার শান্তি আর খুশি আপ্লূত হয়, তা হয়তো অন্য কারো মাঝে আমি খুজে পায়নি।আর পাবোও না হয়তো। আর আমি এই খুশিটা হারাতে চায়না,কিছুতেই না। নীলের সামনে থাকা টি টেবিলের উপর একটা ফাইল ফেলে বলতে লাগলো, আমার বিষয়ে সব ডিটেইলস এই ফাইলে আছে।(লেখক_আহম্মেদ_নীল) তারপরও আপনারা চাইলে,অফিসে,বাসায় কিংবা যে কোন জায়গায় আমার ব্যাপারে খোঁজ খবর নিতে পারেন আপনাদের মতো করে। তাহলে আমার বিষয়ে আপনাদের কোন সন্দেহ থাকবে না।
আর কি বললেন আমার পরিবার মেনে নিবে না?? ওটা আমার উপরে ছেড়ে দিন। আমি চাই ফারিয়ার পেটে থাকা বাচ্চাটা আমাকে বাবা বলুক,সে তার নিচের পরিচয়ে অন্য সকল বাচ্চাদের মতো বেড়ে উঠুক। সে কখনো জানতেও পারবে না তার আসল বাবা আতিক,কথা দিচ্ছি আমি ফারিয়াকে সবসময় আমার সবটুকু ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখবো। আপনাদের মতো হয়তো এতোটা ভালোবাসতে পারবো না। কারন বাবা-মায়ের মতো করে কেউ তার সন্তানকে ভালোবাসতে পারেনা। কিন্তুু আমি আমার সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করবো। কখনো কোন কষ্ট ফারিয়াকে ছুঁতে পারবে না। কথাগুলো নীল ফারিয়ার বাবা মায়ের উদ্দেশ্য বলছে।
-“এদিকে ফারিয়া নীলের সব কথা শুনে চোখ দিয়ে টপটপ করে অঝোরে নোনাজল গড়িয়ে পরছে নিজের অজান্তেই। কেনো তার চোখ দিয়ে অশ্রু কনা গড়িয়ে পরছে সে নিজেও জানেনা। সেই অশ্রুগুলো তার সকল বাধা অতিক্রম করে নিজের মতো করে টপটপ করে পড়েই চলেছে। ফারিয়া নীলের কথা শুনে অনেকটা অবাক,এত কিছু কিভাবে একটা মানুষ মেনে নিতে পারে। আর একটা মানুষ একটা মানুষকে কতটা আপন করে পেতে চাইলে এত বড় একটা বিষয় মেনে নিয়ে একটা মেয়েকে স্ত্রী হিসাবে মানতে রাজি হয়। আজকে কেনো জানি ফারিয়ার নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। তার পেটে থাকা সন্তানকেও বাবার পরিচয়ও দিতে চাচ্ছে নীল। ফারিয়ার জানা ছিলো না এই স্বার্থপর দুনিয়ায় নীলের মতো ভালো মানুষ এখনও আছে। একটু পর ফারিয়া নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে রুমে চলে যায়।
(লেখক_আহম্মেদ_নীল)
‘এতক্ষণ ধরে নীলের বলা কথাগুলো শুনে আমিন সাহেব ও তার স্ত্রী দুজন দুজনের দিকে তাকাতাকি করছে। তাদের এখন কি বলা উচিৎ তারা বুঝতে পারছে না।একটু পর আমিন সাহেব গলা ঝাড়া মেরে নীলকে বলতে লাগলো,হুম সবটায় তো বুঝলাম বাবা। তুমি ফারিয়ার অবস্থার বিষয়ে সবকিছু শুনলে। সে একজন প্রেগন্যান্ট, এই কথাটা যখন সবাই জানতে পারবে তার তুমি তাকে বিয়ে করেছো,তখন সমাজের মানুষ কিন্তুু তোমাকে অনেক কুটকথা শুনাবে।তুমি পারবে এসব মেনে নিতে.? এটা কিন্তুু একটা দুইটা দিনের বিষয় না,,যখন তুমি ওকে বিয়ে করবে তখন কিন্তুু বিষয়টা সারাজীবন এর বিষয় হবে। এমনও হতে পারে এখন তোমার ফারিয়াকে ভালো লাগছে,কিন্তুু বিয়ের পর সমাজের মানুষের কুটকথা শুনে ভালো নাও লাগতে পারে। সমাজের মানুষের কথায় তুমি তখন ফারিয়ার উপর বিরক্তিকর হয়ে উঠবে। ওকে নিয়ে তুমি হয়তো অনেক জায়গায় লজ্জায় পড়বে। তখন ফারিয়ার উপর তিক্ত হয়ে ওকে তোমার জীবনে রাখতে চাইবে না। তখন আমার মেয়েটার কী হবে.?
“নীল বলে উঠলো,আমি বুঝতে পারছি বাবা হিসাবে আপনার এসব চিন্তা, ভাবনা করাটাই স্বাভাবিক।প্রতিটা বাবাই তো চাই তার মেয়েকে সুখে দেখতে। আপনার ক্ষেত্রেও এসব চিন্তা ভাবনা তার বিপরীতে নয়।আমি এখন যতই মুখে এসব বলিনা কেনো এসব করবো না।তবুও আমার মুখের কথায় আপনি হয়তো বিশ্বাস করতে পারবেন না। আপনি চাইলে এখনি আমি আমার সবকিছু ফারিয়ার নামে লিখে দিয়ে আপনার ভয়,আর চিন্তাগুলো দূর করতে পারি।কিন্তুু এতে করে ফারিয়ার জীবনটা হুমকির মুখে পড়তে পারে। কারন আমার এসব সম্পত্তির লোভ তখন ফারিয়ার উপর আমার শত্রুদের নজর লাগতে পারে। ওরা তখন ফারিয়াকে বিভিন্নভাবে বিপদে ফেলে সম্পত্তিগুলো নিজের করে নিতে চাইবে। এখন আপনিই বলুন কি করবেন কথাগুলো আমিন সাহেবকে বলছে নীল।
-‘নীলের কথাগুলো শুনে ফারিয়ার মা অহনা বেগম মনে মনে অনেক খুশি হলো।তার আর বুঝতে বাকি রইলো না যে,ছেলেটা তার মেয়েকে অনেক ভালোবাসে। আমিন সাহেব কিছুক্ষণ ভেবে বললেন,আমার ভাবার জন্য কিছুটা সময় দরকার। আমি ভেবে চিন্তে দুদিনের ভেতরে তোমাকে আমাদের সিদ্ধান্ত জানাবো কেমন। নীল বলে উঠলো,ঠিক আছে আমি দুদিন পর আবার আসবো। এখন আসি তাহলে.?
“আমিন সাহেব মাথা ঝাকিয়ে সায় জানালো। নীলের ফারিয়াকে দেখার তীব্র ইচ্ছে জন্মালো। কিন্তুু ফারিয়ার বাবার সামনে কথাটা বলতে ইস্ত তিস্ত বোধ হলো নীলের কাছে। একটু পর নীল আর সুরেচ চলে গেলো। সুরেচ এখনো হতভম্ব হয়ে আছে। সবকিছু জেনো তার মাথার উপরে দিয়ে যাচ্ছে। নীল গাড়িতে বসে বসে মুচকি হাসছে আর সুরেচ ড্রাইভিং করছে। তখন নীল মনে মনে কবিতা আবৃত্তি করতে থাকে,
লেখনিতে(“আহম্মেদ নীল”)
-তুমি আমার রঙিন স্বপ্ন, শিল্পীর রঙে ছবি..!
-তুমি আমার চাঁদের আলো,সকাল বেলার রবি..!
-তুমি আমার নদীর মাঝে,একটি মাত্র কূল..!
-তোমার আমার ভালোবাসা,থাকবে চিরদিন..!
—– “অবশেষে পূর্ণতা”—-
‘নীল চলে গেলে অহনা বেগম আমিন সাহেবকে উদ্দেশ্য করে বলতে থাকে,শোন আমার মনে হচ্ছে ছেলেটা আমাদের মেয়েটাকে অনেক ভালোবাসে। ছেলেটার চোখে মুখে আর কথার ধরন শুনে বুঝতে পারছি। ফারিয়ার বিয়ে শাদির আশা তো আমরা ছেড়েই দিয়েছিলাম। ফারির মতো ডিভোর্সী জানা শর্তেও হাসি মুখে মেনে নিতে চাইলো আবার সাথে বাচ্চাটাকে মেনে নিবে। তাও সরাসরি আমাদের বলতে এসেছে ফারিয়াকে তাদের ঘরের বউ করে নিতে চাই। তুমি যাই বলো নীল ছেলে অনেক ভালো। দেখো আল্লাহ চাইলে কি না পারে। আমাদের মেয়ের দিকে মুখ তুলে তাকিয়েছে। মেয়েটা হয়তো সুখের দিন দেখতে চলেছে। মুখে কোনে একরাশ হাসির ঝলকানি অহনা বেগমের।
-‘অহনা বেগমের কথা শুনে আমিন সাহেব একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন,হুম আমারও তাই মনে হচ্ছে নীল আমাদের মেয়েটাকে সত্যিই অনেক ভালো রাখতে পারবে। তবে এত তারাতাড়ি কোন ফয়সালা নেওয়া ঠিক হবেনা।
__________
‘আতিক অফিসের কাজ শেষ করে,রেস্ট রুমে গিয়ে বেডে শুয়ে পড়ে। আজ-কাল বাড়িতে যেতে তার একটুও ইচ্ছে করেনা। কারনটা আতিক একটু হলেও বুঝতে পারছে। বাড়িটার প্রতিটা দেওয়ালে কোনে ফারিয়ার স্মৃতি জড়িয়ে আছে। মেয়েটা এই বিরাট বড় শহরে কোথায় গেছে তা আতিক জানে না। আতিক কিছুদিন পর খোজ নিয়ে জানতে পারে তারা নাকি দূরে কোথায় চলে গেছে। আতিক তার একটা চাচাতো ভাইয়ের কাছ থেকে জানতে পারে তারা ঢাকায় চলে গেছে। কিন্তুু এতবড় ঢাকায় কোথায় গেছে কে জানে। আতিক এর তীব্র টান অনুভব করে ফারিয়ার জন্য। ফারিয়ার শূন্যতা আতিককে এখন প্রতিনিয়ত তাড়া করে বেড়ায়। আতিত উত্তেজিত গলায় বলে,
(লেখক_আহম্মেদ_নীল)
“শুধু একবার দেখা দাও ফারিয়া। আমি তোমাকে আবার নতুন করে ফিরে পেতে চাই। বিশ্বাস করো আমি নিজেও বুঝতে পারিনি দ্বিতীয় বিয়ে করার পর তোমাকে এভাবে মায়ায় জড়িয়ে ফেলবো। এই মায়াকে আমি কি নাম দিবো বলো.?আমি খুব বড় ভুল করেছি মায়ের কথা শুনে দ্বিতীয় বিয়ে করে। আতিক বিছানায় গা এলিয়ে দেয়। তার ফোনটা বেজে উঠে। আতিক জানে সামিয়া কল করেছে,কিন্তু আপাতত সামিয়ার সাথে আতিকের কোনপ্রকার কথা বলার ইচ্ছে নেই। তাই আতিক কলটা কেটে দেয়।সামিয়া আবার পুনরায় কল করে। আতিক বিরক্তিকর হয়ে ফোনটা কেটে দেয়। আজ সে বাড়িতেও যাবে না। অফিসেই কাটিয়ে দিবে রাতটা।
আতিক এভাবে ফোন কেটে দেওয়ায়,সামিয়া নাম,,,
চলবে কী.?