অবশেষে ভালোবেসে পর্ব-১০

0
845

#অবশেষে_ভালোবেসে
পর্বঃ ১০
লেখিকাঃ মেহেরুন নেসা
.
এসব ভেবে ভেবেই উঠে গিয়ে কফি নিয়ে ওর ছোট্ট বারান্দা টায় গিয়ে বসলো তারপর মোবাইল টা নিয়ে কিছু সিম্পল মেকাপ আইডিয়া দেখলো ঘরে বসেই কিছু রুপচর্চার আইডিয়া ও নিলো এসব করছে ভেবেই ওর হাসি পাচ্ছে।
.
পাচ টায় দেখা করার কথা ওই ছেলের সাথে যেখানে দেখা করবে সেখানে পৌছাতে ওর প্রায় আধা ঘণ্টা লেগে যাবে তাই সেই অনুযায়ী রেডি হতে শুরু করলো ড্রেস আগেই ঠিক করে রেখেছে একটা মেরুন রঙের সালোয়ার কামিজ পরেছে আর সাথে চুনরি প্রিন্ট এর রঙিন ওড়না নিয়েছে এই রঙ টায় খুব মানায় সানভি কে তাই এই রঙের ড্রেস ও খুব কম ই পরে। তারপর একটু ফেস টা সাজানোর পালা মুখে তেমন ভারি কোনো মেকাপ করবে না ন্যাচারাল টোন এই একটু ক্রিম আর ফেস পাউডার ব্যবহার করলো ও কাজল দিলো না আইলাইনার ব্যবহার করলো পলক ফেলে দেখে নিলো কেমন লাগছে এবার লিপস্টিক এর পালা হালকা মেরুন রঙের একটা লিপস্টিক চুজ করলো দিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বললো,,, ঠিকাছে। তারপর একটা সেলফি তুলে ইলা কে পাঠালো সাথে সাথেই রিপ্লাই,,,,পুরোই ফিদা…। সানভি ফোন টা রেখে আবার আয়নায় তাকালো আজ অনেক দিন পর সালোয়ার কামিজ পরেছে সানভি এতোদিন তো লং টপস, কুর্তি, প্যান্ট, প্লাজো স্কার্ফ ইত্যাদি পরেছে। আজ অনেকদিন পর আবার পুরো সালোয়ার কামিজ পরতে ভালোই লাগছে। ঘড়িতে তাকাতেই দেখে সাড়ে চারটা বাজতে এখনো কিছু সময় বাকি তাই লাস্ট চেক করে বের হয়ে গেলো।
.
এদিকে নির্ভান এখন ম্যাক্স এর অফিসে গিয়েছে খুব টেনশনে আছে গিফট সিলেকশন নিয়ে কি দিবে ভেবেই পাচ্ছে না আর সানভি কেও জিজ্ঞেস করতে পারবে না।

– তুই কি ফার্স্ট কারো সাথে মিট করতে যাচ্ছিস বুঝলাম না তো? তোকে এতো নার্ভাস আমি কখনোই দেখিনি।

– তুই জানিস এবার ব্যাপার টা ভিন্ন।

– হ্যাঁ বুঝেছি তবুও তুই একটু বেশিই টেনশন নিচ্ছিস।।

– সত্যিই বেশি টেনশন নিচ্ছি??

– অবশ্যই। এখন তুই গিয়ে একটা এক্সক্লুসিভ ঘড়ি প্যাক করিয়ে নে You know you have a great choice and she is so carefull about time. তাই ঘড়ি ই বেস্ট হবে।

– ওকে থ্যাংকস ইয়ার তাহলে যাই গিফট টা নিজেই চুজ করে আসি আর হ্যাঁ তুই ও ঠিক সময়ে চলে আসিস।

– হু।
.
সানভি পৌছে গেছে রিক্সা ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে ঠিক করা জায়গায় গিয়ে দাড়াতেই দেখে আগের থেকেই একজন দাড়িয়ে আছে দেখে মনে হচ্ছিলো না যে ওর সাথে দেখা করতে এসেছে তবুও ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছিলো তখনই ইলার ফোন এলো

– হ্যাঁ আমি পৌছে গিয়েছি ও কোথায়?

– সরি রে ও আমাকে মাত্র ফোন করে বললো যে ওর অফিসের বস নাকি হটাৎ কি জন্য ডেকেছে তাই ও এখন যাচ্ছে বাট দেখা করা টাও ক্যান্সাল করতে চায় না। মিট টা রাতে করতে পারবি না? প্লিজ না করিস না।।

– হটাৎ কেন!! শুধু শুধুই কি তাহলে এখানে আসলাম!

– সরি রে ও অনেক সরি ফিল করেছে তুই কিছু মনে করিস না প্লিজ।

– নো নো ইটস ওকে তুই চিন্তা করিস না আমি চলে যাই তাহলে।

– তুই একটু ওয়েট করতে পারবি না? ও ১ বা দেড় ঘন্টার মধ্যে ও তোর সামনে থাকবে সত্যি।

– ১, দেড় ঘন্টা!! ওকে ঠিকাছে আমি ওয়েট করছি।

– থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ সো মাচ।

– মেনশন নট।
ফোন কেটে সামনেই একটা পার্ক আছে সেটায় গিয়ে বসে থাকবে ভাবলো। যাওয়ার আগে একবার ফোন টা চেক করে নিলো, হেটেই সেই পার্ক এ গিয়ে ওইখান টা একটু ঘুরে দেখলো তারপর একটা বেঞ্চে গিয়ে বসলো। এভাবে একা বসে থাকতে ও ভালো লাগছে আবার কেমন অদ্ভুত ও লাগছে তাই বারবার ফোন চেক করছিলো। ১ ঘন্টার বেশি হয়ে গিয়েছে কিন্তু তবুও ভাবছে ভালোই হয়েছে এই কারনেই একটু প্রকৃতি টা ও উপভোগ করতে পারছে ও৷
কিছুক্ষন পর আবার ইলা কল করলো

– তুই ওইখানেই আছিস?

– ওইখানে না একটু সামনে একটা পার্ক আছে ওই খান টায় আছি আমি। ও আসছে?

– নাহ আরো একটু সময় লাগবে আসলে আমি তোকে জানবো নে।

– ঠিকাছে৷ বলেই ফোন টা রেখে সামনেই কয়েকটা বাচ্চাদের খেলতে দেখে এগিয়ে গেলো ওদের সাথে কথা বলছিলো তখনই পেছন থেকে কেউ একজন ডাকলো

– সানভি?

– জি৷ বলেই পেছনে দেখে কতোগুলো বেলুন ধরে কে যেন দাঁড়িয়ে আছে তাই দাঁড়িয়ে দেখার চেস্টা করে বললো,,, কে আপনি?
আর বেলুন গুলো সরাতেই চমকে গেলো সানভি,,, অর্নব! আপনি?

– হ্যাঁ চিনতে পেরেছেন তাহলে।

– চিনবো না কেনো কেমন আছেন?

– হ্যাঁ ভালো। আপনি?

– জি আমিও ভালো।

– এখানে এতোগুলো বেলুন নিয়ে যে?

– আসলে খুবই দুঃখিত আমি….. এর মাঝেই আবার সানভির ফোন বেজে ওঠায় উনি থেমে গেলেন

– হ্যাঁ ইলা বল।

– পার্ক এ এখনো?

– হ্যাঁ জানিস কার সাথে দেখা হয়েছে… বলেই থেমে গেলো এখন ও বুঝতে পেরেছে আসলে,,,উনি??

– হ্যাঁ যে তোর সামনে যে দাঁড়িয়ে আছে উনিই তুই তাকেই দেখেছিস যার সাথে তোর দেখা করার কথা ছিলো।

– আচ্ছা ঠিকাছে রাখছি৷ বলেই ফোন টা কেটে দিলো।

– যা বলছিলাম আমি খুবই দুঃখিত এভাবে প্রথম দিনেই এমন লেইট করতে চাইনি তবুও। তাই অনেক অনেক সরি৷

– আরে ইটস ইটস ওকে সরি বলতে হবে না। আমি জানি জব করার ক্ষেত্রে এমন টা হতেই পারে আমিও এরকম সিচুয়েশন ফেস করেছি। হটাৎ গত দিনের কথা গুলো মনে পরে গেলো।

– বুঝতে পারার জন্য থ্যাংক ইউ৷

– চলুন ওই বেঞ্চ টায় গিয়ে বসি?

– হ্যাঁ অবশ্যই৷

অর্নব এর সাথে এর আগেও দেখা হয়েছিলো ওর যখন ইলার বার্থডের জন্য পার্টি দিয়েছিলো ইফাজ। তখন ই প্রথম এবং শেষ দেখা হয়েছিলো, অর্নব খুব ফ্রেন্ডলি তাই কথা বলতে কোনো সমস্যা ই হচ্ছে না । এই সেই বিভিন্ন কথা বলতে বলতে কখন যে সন্ধ্যা হয়ে গেছে খেয়াল ই নেই পার্ক থেকে সবাইকে বের করে দিচ্ছে তাই ওরা ও উঠে বেলুন গুলো ছেড়ে দিয়ে বের হয়ে এলো৷

– অর্নব আজ তাহলে আসি?

– আসি মানে? মাত্রই তো আসলাম এখন ও তো অনেক কথা বলাই বাকি চলো কোথাও যাওয়া যাক?

– ঠিকাছে কিন্তু কোথায়?

– আমার খুব পছন্দের একটা প্লেস আছে চলো সেখানে যাই।

– কোথায় সে টা?

– বিলিভ মি নিয়ে গেলে দেখলেই বুঝতে পারবে।

– ওহ ওকে।
বলেই ওরা হাটা শুরু করলো অর্নব রিক্সা নিচ্ছিলো , রিক্সা নেয়া দেখেই সানভির খেয়াল হলো এক রিক্সায় ওর এতো কাছে!!

– রি…রিক্সায় যাবো আমরা?

– হ্যাঁ এতো সুন্দর ওয়েদার তাই ভাবলাম রিক্সায় যাওয়া যাক৷ আর রিক্সায় প্রবলেম হলে? তাহলে সি এন জি নিবো??

সানভি হ্যাঁ বলতে নিলেই খেয়াল হলো এটা তো আবার বদ্ধ থাকবে তাই বললো

– না না ঠিকাছে।
.
এই প্রথম কারো এতো কাছে বসেছে সানভি। এর আগে নির্ভানের সাথে এতো বড় গাড়িতে দূরে বসলে ও অনেক কাছে মনে হতো আর এখানে এতো ছোট একটা রিক্সায় বসেছে। অর্নব ও একটু কেমন চুপ চুপ হয়ে আছে কথা কম বলছে যা অস্বস্তি আরো বাড়িয়ে তুলছে। এবার সানভি কথা বলতে নিলেই অর্নব ও বলতে নিলো তারপর অর্নব আবার কথা বলতে নিলে সানভি ও বলতে নিলো। দুইজনই হেসে দিলো

– উফফফ সানভি যা বলার বলো এরকম awkward situation ভালো লাগে না।

সানভি একটু হেসে বললো ও নিজেও এটাই বলতে চেয়েছিলো। তারপর দুইজনই কথা বলে বাকি রাস্তা টুকু কোনো অস্বস্তিকর পরিস্থিতি ছাড়াই পাড় করলো। সানভি তখন খেয়াল করলো রাস্তা টা তো খুবই পরিচিত এখানে তো ও অনেকবার এসেছে

– আরে সানভি হটাৎ চুপ হয়ে গেলে যে?

– নাহ, দেখছিলাম এই রাস্তায় তো আমি অনেক বার এসেছি মি. কেএএএএ…. আই মিন আমার স্যার মি. কে এর সাথে৷

– ওহ হুম।। মি. কে মানে নির্ভান খন্দকার রাইট?

– আ হ্যাঁ।৷

– ওই তো এসে পরেছি। ওই যে ওই সাইডে রেখে দিন মামা৷
অর্নব নেমে গিয়ে সানভি কে নামাতে সাহায্য করলো। তারপর ওকে নিয়ে বললো,,,, চলো তোমাকে এক জায়গায় নিয়ে যাই আমি সিওর তোমার খুব ভালো লাগবে।
.
জায়গা টায় এসে ওদের আসলেও খুব ভালো লাগলো কারন অর্নব ওকে কিছু পথ শিশুদের সাথে দেখা করাতে নিয়ে এসেছে যাদের সাথে ওর সময় যেন মুহুর্তেই কেটে গেলো। খুব ভালো লাগছে ওর আর বাচ্চা গুলো খুব বেশি মায়াবি আর দেখেই মনে হচ্ছে ওরা অর্নব কে খুব ভালো করেই চিনে।
.
এদিকে নির্ভান খুব ভালো করে রেডি হয়ে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছে নিজেই ড্রাইভ করছে আর পাশের সীট এ একটা নরমাল মাস্ক আর ক্যাপ রেখেছে বের হওয়ার সময় ওটা পরেই বের হবে। নাহলে ওর ফ্যানরা ওকে ওর কাজ টা ঠিক মতো করবে না আর বাদ বাকি রেস্টুরেন্টে তো আলাদা সাইড করেই টেবিল টা ঠিক করে রাখা আছে। । বারবার কাকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করছে ঠিক টাইম মতো সব হয়ে যাবে তো আর ওর বলা মতো সব করছে কিনা৷ ম্যাক্স ও ফোন দিয়ে জানিয়েছে ও বের হয়েছে কিছুক্ষনের মধ্যেই পৌছে যাবে রেস্টুরেন্টে।
.
– আরেকটু সময় কি পাবো?

– আরো একটু সময়?

– হ্যাঁ।

– কিন্তু….

– না প্লিজ আরেকটু সময় দিতে হবে আসলে ইম্পর্ট্যান্ট কথা গুলোই তো র‍য়ে গেছে।

– জি???

– না মানে আরো অনেক কথা বলা বাকি আমি জানি ইলা ভাবি আপনাকে সব জানিয়েছে তবুও আমার কথা ও তো বাকি। কোনো তাড়াহুড়ো নেই নো প্রেসার বাট আজকের এই টাইম টুকু চেয়ে নিচ্ছি।

– হ্যা তো বলুন।

– না এখানে না৷ অন্য কোথাও৷

– আবার কোথায়?

– ওই একটু সামনে।

– আবার সামনে?
.
একটু আগেই যেই খুশি সানভি হয়েছিলো তা মুহুর্তেই ভ্যানিস হয়ে গেলো কারন একটু সামনে বলে অর্নব ওকে নির্ভান এর ফেভারিট রেস্টুরেন্টেই নিয়ে এসেছে। এবং সানভির খুব ভালো করেই মনে আছে যে নির্ভান এর ও এখানে আসার কথা৷

– এই রেস্টুরেন্ট টা আমার খুব ফেভারিট আমি প্রায়ই কলিগ দের সাথে এখানে আসি৷।

– ইয়ে মানে এই টা তে! অন্য কোথাও যাই?

– না এটা বেস্ট অপশন বিলিভ মি।

সানভি মনে মনে বললো এটা যে বেস্ট অপশন তা তো জানি বাট এটা যে আমার জন্য ব্যাড অপশন সেটা কিভাবে বুঝাই! আরে হ্যাঁ বুকিং। ,,,,, কিন্তু এটা তে তো বুকিং দেয়া ছাড়া টেবিল পাওয়া যায় না।

– সেটা ও কমপ্লিট। আমি জানি তাই ইলা যেদিন বলেছে তুমি মিট করতে রাজি ব্যাস সেদিনই। বলেই একটা হাসি দিলো৷ সানভি খেয়াল করলো ওর হাসি টা খুব সিম্পল কিন্তু সুন্দর, আর ব্যাপার টা ও এতোক্ষনে খেয়াল করলো!,,,, জানি বারবার চলো চলো বলে খুব বিরক্ত করছি তবে এটাই লাস্ট… মানে আজকের জন্য। বলেই আবার হেসে দিলো৷ সানভি এবার ও ওর হাসিতে মুগ্ধ হলো লাইটের আলোতে যেন আরো বেশী সুন্দর লাগছে হাসি টা৷
.
ভেতরে ঢুকতেই সানভির নির্ভানের কথা মনে পরলো এখানে যদি মি.কে এসে পরে তাহলে তো কি না কি ভাবেন! ভাবলে ভাববে তাতে কি হবে ও উনার সেক্রেটারি গিএফ না যে অন্য কারো সাথে দেখলে প্রবলেম হবে।
.
ম্যাক্স রেস্টুরেন্টের ভেতর দিয়ে নির্ভানের বুক করা টেবিল টায় যাওয়ার সময়ই ও সানভি কে দেখতে পেলো ও এখানে কি করছে জিজ্ঞেস করতে এগিয়ে যাচ্ছিলো তখনই নির্ভানের কল আসায় আর ওর কাছে গেলো না৷ নির্ভানের কাছে গিয়ে বললো

– তুই সানভি কেও এখানে আসতে বলেছিস? তুই জানিস না সানভি কে যদি ও দেখে ফেলে কি হবে!!

– সানভি? মানে মিস.সান?

– হ্যাঁ।

– আমি ওকে এখানে আসতে বলিনি আর ওকে তো সারাদিনের ছুটি দিয়েছি। না বললে মিস. সান কখনোই আসবে না তুই হয়তো ভুল দেখেছিস।

– মোটেও না আমি মাত্রই ওকে দেখে এসেছি একটা ছেলে… ও ওহ এখন বুঝতে পেরেছি তুই আজকে ওকে অফ দিয়েছিস? হতে পারে ও ওর বয়ফ্রেন্ড এর সাথে। ওহ মাই মাই সি ইজ সামথিং।

– হোয়াট কি বলছিস?,, বলেই দাড়িয়ে গেলো,,, ছেলের সাথে? আর বয়ফ্রেন্ড? অসম্ভব ওকে কখনো কারো সাথে বারতি কথা বলতে দেখিনি আর বয়ফ্রেন্ড নাহ৷।

– বিলিভ না হলে চল তুই আমার সাথে।

– ঠিকাছে চল। বলেই জাস্ট ক্যাপ টা পরে নিয়ে ম্যাক্স এর সাথে সানভিরে টেবিলে যাচ্ছে।।
.
এদিকে অর্ডার দিয়ে ওরা কথা বলছে তখনই অর্নব সানভির হাতটা ধরেই বলতেই নিচ্ছিলো কিছু কিন্তু নির্ভান এসে

– মিস. সান। বলে প্রায় হালকা চিৎকার করে উঠতেই সানভি ও ভয়ে প্রায় হাত ছাড়িয়ে নিয়ে দাড়িয়ে বললো,,,, মি.কে আমি আসলে এখানে আসলে ইয়ে মানে ফে ফে ফ্রেন্ড এর সাথে এসেছিলাম।

নির্ভান আর কিছু বলার আগেই পেছনে থেকে একজন মহিলা বলে উঠলেন

– এই মেয়ে এখানে কি করছে নির্ভান??
.
.
.
চলবে।।