#আবার_প্রেম_হোক
#নুসরাত_জাহান_মিম
২৯.
পাহার,নদী আর সমুদ্রের অনন্য এক মিলনস্থল বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের ভূমি টেকনাফ।টেকনাফের পূর্ব পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নাফ নদী।টেকনাফ উপজেলার সংরক্ষিত বন টেকনাফ বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য।টেকনাফ থেকে উত্তর দিকে ১৫ কিলোমিটার দূরত্বে এই অরণ্যের অবস্থান।সংরক্ষিত এই বনের ভূ-প্রকৃতি,জীববৈচিত্র্য এককথায় অনন্য।এই অভয়ারণ্যটির সর্বোচ্চ চূড়া ‘তৈঙ্গা’ নামে পরিচিত।এবং একেই বলা হয় ‘তৈঙ্গা চূড়া’।তৈঙ্গা পাহার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে বেশ উঁচু।এ বনটি আয়তনেও বিশাল।বনের কাছে পৌঁছেই প্রণয় বন পরিচালকদের সাথে কথা বলে সবাইকে নিয়ে ভেতরে ঢুকে গেছে।সবার আগে আগে হাটছে চৈত্র আর মির এবং সবার শেষে দিয়ে আসছে প্রণয়।বাকিসবাই এদের সাথে বা মাঝে দিয়েই হাটছে।কখন কি হয় বলাতো যায়না।যতই হোক বন তো?এ মনোভাবের দরুন ই প্রণয় পেছনে এসেছে যাতে কোনো সমস্যা হলে সে সেটা দেখতে পারে।আর চৈত্র আগে আছে কেনোনা এসব এলাকা সে ভালো করেই চেনে।উশ্মি বনে ঢুকেই বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলে বিভিন্ন ধরণের ছবি তুলতে ব্যস্ত।উশ্মির সাথে যোগ দিয়েছে নিমৃতা আর রুবাও।রিদি,শিফা গল্প করতে করতে হাটছে।রিহা অমৃতার পাশ ঘেষে দাঁড়িয়ে ফিসফিসিয়ে বলছে,
“তুমি যে রবিনের গার্লফ্রেন্ড এটা কি চাঁদ জানে?”
হঠাৎ করে রিহার আকস্মিক প্রশ্নে হতবিহ্বল হয় অমৃতা।এরপর শ্বাস ফেলে বলে,
“হ্যা আপু।আমি আপুকে সবই জানিয়েছি।আপুর বিয়ের পরদিন সকালেই”
“আর কেউ জানে তুমি রবিনের গার্লফ্রেন্ড?”
“তোমরা আর চাঁদ আপু ব্যতীত কেউই জানেনা আপু”
“আচ্ছা।রবিনতো স্ট্যাবলিশড।বিয়ে করছোনা কেনো তোমরা?”
অমৃতা হেসে বলে,
“আজই না বললে?অরণ ভাইয়া ভালো না হওয়া ব্যতীত তোমরা কেউ বিয়ে করবেনা?তাহলে আমার আর রবিনের বিয়েটা কিভাবে এক্সপেক্ট করলে আপু?”
মুচকি হেসে রিহা বললো,
“তুমি বেশ বুদ্ধিমতী একটা মেয়ে”
অমৃতা আরও কিছু বলতে নেওয়ার আগেই শিফার কথায় তার দিকে ধ্যান যায় তার,
“আচ্ছা ভাবি তুমি যে শাড়ি পরলে,উপরে উঠবে কি করে?”
রুবাও শিফার সাথে তাল মিলিয়ে বলে,
“হ্যা রে।যেই উঁচু!আগে জানলেতো আসতামই না।একটা বরও নেই যে কোলে কর….”
অতঃপর তার ঠিক পেছনেই যে তার বড় ভাই রায়হান দাঁড়িয়ে সে কথা স্মরণ হতেই তড়িঘড়ি করে বলে,
“ব..ব..বর দিয়ে কী?আমি একাই উঠতে পারবো।পায়ে বেশ জোর আছে আমার হেহে!”
বলেই দাত বের করে বেক্কলের মতো হাসতে আরম্ভ করে রুবা।তা দেখে মুখ ভেংচে শিফা বলে,
“ভ্যাটকাস না।পায়ে যে কত জোর তাতো জানিই….”
রিদি শিফার কাধে জোরে চাপড় মে!রে চোখ ছোট ছোট করে উদ্ভট হেসে বলে,
“আমি কি কিছু বলবো সোনামণি?”
শিফা রিদির হাত সরিয়ে তার কাধে এক হাতে জড়িয়ে হালকা চাপ দিয়ে খানিকটা হাসার চেষ্টা করে বলে,
“তুমি চুপ থাকলে আমার পেট থেকেও কিছু উগলাবে না কলিজার টুকরা”
রুবা ওদের কথায় বিরক্ত হয়ে বলে,
“এমন গিরগিটির ভালোবাসা পরেও দেখাতি পারবি তোরা।এই ভাবি তুমি বলোতো সবাই আমরা কম্ফোর্ট্যাবল পোশাক পরেছি।আর তুমি শাড়ি কেনো?”
চাঁদ স্মিত হেসে বলে,
“শাড়ি আমার জন্য কোনো ব্যাপারই না,বেশ কম্ফোর্ট্যাবল।আমি শাড়ি পরে দৌড়াতেও পারি।বিশ্বাস না হলে রিহাপু আর মির ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করতে পারো তারা দেখেছে আমায়।শাড়ি পরেই বখা…”
বলেই দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে চাঁদ।বাকিটা আর বলা হয়না তার। তাই চাঁদের কথাটা রিহা ই পূর্ণ করে দেয়,
“বখাটে তাড়িয়েছে।আমি,মিরা আমরা সবাই ওর সাথেই ছিলাম।ওর বন্ধু-বান্ধবেরাও ছিলো।ছেলেগুলোকে শাড়ি কোমড়ে গুজে যা মা!রটাই না দিয়েছিলো!আমার এখনো মনে পড়লে পেটে খিল ধরে যায়”
বলেই একদফা হাসে রিহা।রিহার কথা শুনে রিদি বলে,
“ভাবি তো তাহলে ভীষণ সাহসী।একাই সবাইকে নাস্তানাবুদ করতে পারে”
রিহা জবাব দেয়,
“অনেকটা তেমনই।কাউকে ছাড় দেয়না”
চৈত্র তাদের কথা হালকা শুনতে পেয়ে একটু চেচিয়ে বলে,
“আগে দিতোনা।এখন কাউকে ছাড় দেবে দূর ধরেও না”
মির সাথে সাথেই উত্তর দেয়,
“কিন্তু কেনো?কী হয়েছে ঘসেটির?”
চাঁদ প্রসঙ্গ এড়াতে বলে,
“আমি শাড়ি পরেছি চূড়ায় উঠে ভালো ভালো কয়েকটা ফটো তুলতে।শাড়িতে এমন মনোরম পরিবেশে বেশ ভালো ভালোই ছবি আসবে।এই নিমু আমার কয়েকটা ছবি তুলে দেতো আয়”
বলেই নিজের ফোনটা নিমৃতার দিকে এগিয়ে দেয় চাঁদ।অতঃপর বিভিন্নভাবে পোজ দিয়ে ছবি তোলায় ব্যস্ত হয় দু’বোন।ছয়-সাতটা ছবি তোলার পর আরেকটা তুলতে নিলেই নিমৃতার ফোনে কল আসায় সে চাঁদের ফোন তার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে,
“আপু একটু পরে তুলে দিচ্ছি হা?কলটা ধরি?”
চাঁদ স্মিত হেসে বোনের কাছ থেকে ফোন নিতে নিতে বলে,
“ফোন ধরতেও পার্মিশন নিতে হবে তোর?”
মাথা চুলকে নিমৃতা বলে,
“তোমাকে যে বড্ড ভালোবাসি আপাই।তোমার কাজ বাদ দিয়ে নিজেরটা করতে মন স্বায় দেবে কি?”
বোনের কাছে এসে তার মাথায় হাত বুলিয়ে চাঁদ বলে,
“থাক সোনা।তুই যা কথা বল সমস্যা নেই”
এ কথা শুনতেই নিমৃতার চোখেমুখে খুশির ঝিলিক দেখা দেয়।চোখদুটো তার চকচক করে উঠে।তা দেখে চাঁদ হেসে বাকিদের সাথে হাটা ধরতে নিলে দেখতে পায় কেউই কোথাও যায়নি।কেউ কেউ বসে আছে,কেউ ছবি তুলছে তো আবার কেউ দাঁড়িয়ে মোবাইল ব্যবহার করছে।তা দেখে চাঁদ বলে,
“তোমরা যাওনি?”
চাঁদের প্রশ্নের জবাবটা এবার রায়হান দেয়,
“তোমাদের রেখে চলে যাবো,বোকা নাকি?”
রায়হানকে সচরাচর কথা বলতে দেখে না চাঁদ।তাই তার থেকে জবাব পেয়ে ইতস্ততবোধ করে চাঁদ বলে,
“আসলে…ভাইয়া সরি”
“ওয়েল।বসো,রেস্ট নাও।অনেক উঁচুতে উঠতে হবে।মনে হচ্ছেনা শাড়ি পরে পারবে আর তোমার বর এতোটা দয়ালুও নয় যে তোমায় কোলে করে উঠাবে।কিন্তু দেখা যাক!তারতো কোনো ঠিক ঠিকানা নেই।হুটহাট অসম্ভব কিছু করে ফেলার প্রতিভা নিয়েই জন্মেছে”
বলেই মিরের সাথে কথা বলতে মির আর চৈত্রের সামনের দিকে এগোয় সে।গিয়ে শুনতে পায় মির চৈত্রকে বলছে,
“বুঝলেন ভাই?এখানে ঘুরতে এসেও গার্লফ্রেন্ডের প্যারায় শান্তি নাই!”
চৈত্র হেসে বলছে,
“গার্লফ্রেন্ডতো প্যারাই দেয় ভাই।রেখেছো কেন?”
মির অসহায়ের ন্যায় বলে,
“একটা গেলে আরেকটা আসে এমনকি একটা থাকলে দুই-তিনটাও আসে।কি করবো ভাই?”
মিরের কথা শুনে চৈত্র হেসে দিয়ে বলে,
“তুমিতো দেখি পাক্কা প্লেবয়!”
রায়হান চৈত্রের পাশে এসে দাড়াতে দাড়াতে সুর তুলে বলে,
“হ্যা ভাই।পাক্কা প্লেবয় রোমিও”
মির রায়হানের কথা শুনে কপাল কুচকে বলে,
“নো।ইটস পাক্কা প্লেবয় মিশকাত মির”
রায়হান মিরের কাধে চাপড় মেরে বলে,
“প্লেবয় ট্যাগ লাগাতে ভালোই লাগে না?”
“অসম্ভবরকম লাগে রায়হান!তুমি বুঝবেনা”
চৈত্র মিরের কথা শুনে আফসোসের সুরে বলে,
“না পারলাম পাক্কা প্লেবয় হতে আর না পারলাম এক নারীতে আসক্ত হতে।হায় জীবন!”
রায়হান উদাসীনভাবেই চৈত্রকে উদ্দেশ্য করে বলে,
“এক নারীতে আসক্ত হয়েও কোনো মজা নাই ভাই।ইহা বড্ড পোড়ায়!”
রায়হানের কথা শুনে চৈত্র তার দিকে তাকিয়ে বলে,
“কেন?তুমি এক নারীতে আসক্ত নাকি?”
“নারীই আসলে খারাপ বুঝলেন ভাই?আসক্তি বানালেও মা!রে আবার না বানালেও জান ক!ব!জ করে নেয়”
রায়হানের কথার মানে বুঝতে না পেরে চৈত্র কপাল কুচকে বলে,
“মানে?”
রায়হান হালকা হেসে বলে,
“কিছু না ভাই”
চৈত্র রায়হানের কাধে হাত রেখে বলে,
“বলো প্যারা নাই!আমরা আমরাইতো নাকি?”
রায়হান দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে,
“কাউকে ভালোবেসেছেন ভাই?না বাসলে হয়তো বুঝবেন না।পেয়েও হারানোর বেদনা ঠিক কতখানি”
চৈত্র এক গালে হেসে তুচ্ছ করে বললো,
“আর একান্ত নিজের করে নেওয়ার পরেও পাখি যখন উড়াল দেয়?তখন?তখন প্রেমচিত্ত ঝলসে যায় রায়হান!”
রামিমের হঠাৎ আগমন আর কথা শুনে ভড়কে যায় চৈত্র,
“কী ঝলসে যায় চৈত্র ভাই?”
মির ঠাট্টার সহিত রামিমকে বলে,
“এখানে বেশ সিরিয়াস কথাবার্তা চলছে রামিম।ওসব তুমি বুঝবেনা!যাও উশ্মির সাথে গিয়ে প্রেম করো”
রামিমও বিরক্ত হয়ে ঠাট্টার সুরে বললো,
“গার্লফ্রেন্ড আছে বলেই যে সারাদিন প্রেম করি এমন চিন্তাধারা বাদ দাও মির।সবাই কি তোমার মতো?”
মির ঠাট্টার রেশ ধরে রেখে ঠোটে হাসি ঝুলিয়েই বলে,
“আমার মতো হতে চাও?তাহলে দশ-বারোটা প্রেম করো।করবে?তাতো করবেনা।তোমরা সবগুলো এক নারীতে আসক্ত হয়ে এভাবেই ঝল!সে যাবে।কিছুই করতে পারবেনা”
এমতাবস্থায় সেখানে প্রণয়ও হাজির হয়।কিন্তু সে কিছু বলেনা।তা দেখে রামিম বলে,
“নিজের ফালতু ভাবটা বজায় রাখতেই হবে তোর তাই না?”
মিরও উস্কিয়ে বলে,
“না রাখলে ওর জমে নাকি মামা?”
রায়হান কপাল কুচকে বলে,
“তোমাদের মতো প্লেবয়গিরি করে নাকি ও?”
মির অবাক হওয়ার ভঙ্গিতে রায়হানের পানে চেয়ে বলে,
“আয়হায় সেকেন্ডেই পল্টি!”
চৈত্র প্রণয়ের দিকে তাকিয়ে বলে,
“তোমাকে সবসময় গম্ভীরই দেখি প্রণয়।সবসময় কি এমনই ছিলে?নাকি কোনো এক্সিডেন্টবশত?”
প্রণয়ের পরিবর্তে মিরই হতাশ হয়ে চটজলদি জবাব দেয়,
“আরেএ ভাই ও সারাজীবন এমন দেবদাসই ছিলো”
রামিম মিরের সাথে তাল মিলিয়ে বলে,
“ইয়েস।দেবদাস উইদাউট এনি পারো”
রায়হানের উদাসীন কন্ঠস্বর শুনে তার পানে তাকায় সকলে।তাকায় প্রণয়ও,
“চাঁদ নামক পারোকে প্রণয়রূপী দেবদাস তো পেলোই।সবার কপালে কি আর তার নিজস্ব পারোকে পাওয়া হয় চৈত্র ভাই?”
ঠিক তখনই প্রণয়ের শান্ত কিন্তু ধারালো কন্ঠস্বর শুনে রায়হানের থেকে দৃষ্টি সরে গিয়ে প্রণয়ের পানে সকলের চোখজোড়া থমকায়,
“না চাঁদ কোনোকালের পারো আর না প্রণয় তার জন্য দেবদাস।ঐ চন্দ্রময়ী নারী তার শুদ্ধ পুরুষের একান্ত লালগোলাপ,যে গোলাপে হাজারটা কাটারূপে স্বয়ং প্রণয় বিদ্যমান।কাটারূপী প্রণয়ই যথেষ্ট প্রতিটা জমিদারকে ছি!ন্ন!ভি!ন্ন করে দিতে।প্রণয় চন্দ্রময়ী নারীকে পারো হতে দেয়নি।চন্দ্রতো কখনো পারো ছিলোনা,হতে পারেইনা!”
To be continued….
#আবার_প্রেম_হোক
#নুসরাত_জাহান_মিম
৩০.
“ভাই আর ভাবির কেমিস্ট্রি জাস্ট অসাধারণ লাগে আমার!”
হঠাৎ উজানের কন্ঠস্বর শুনতে পেয়ে ঘুরে তাকালেই সকলে দেখতে পায় সে আর তন্ময় তাদের দিকেই আসছে।দু’জনে সামনে আসতেই তন্ময় বলে,
“হ্যা ভাই।হুটহাট যখন দু’জনই অজান্তে এমন কিছুই বলে ফেলে,যা শুনলে আমার প্রেম প্রেম পায়।মনে হয় না জানি দু’জনের মাঝে কতখানি প্রেম ছিলো!”
“কলা অতিরিক্ত পেকে গেলে পচে যেতে বাধ্য হয়,তা জানিস কি?”
বলেই অন্যকোথাও যাওয়ার জন্য পা বাড়াতে নিলেই চৈত্রের প্রশ্নে পা জোড়া থমকায় প্রণয়ের,
“আমার বোনটাকে খুব ভালোবাসেন প্রণয়?”
সহসাই জবাব আসেনা প্রণয়ের।কিছুক্ষণ চৈত্রের পানে তাকায় সে।অতঃপর গম্ভীরভাবে শিথিল দৃষ্টি সহিত বলে,
“বাসতাম”
বলে যেতে নিলে আবারও চৈত্রের প্রশ্নে নিজেকে স্থির করে প্রণয়,
“এখন বুঝি বাসেননা?”
অতঃপর সেভাবে থেকেই প্রণয় জবাব দেয়,
“জানিনা”
চৈত্রের আরও কিছু বলার পূর্বেই প্রণয়ের গম্ভীর কিন্তু শান্তস্বর ভেসে আসে,
“কাইন্ডলি নো মোর কুয়েশ্চন ভাইয়া”
অমৃতা আর শিফা পাশাপাশি বসে আছে।অনেক্ক্ষণ যাবৎ ই শিফা তার দিকে আঁড়চোখে চেয়ে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিচ্ছে।সে যে কিছু বলার চেষ্টা করছে তা বুঝতে পেরে অমৃতাই গলা খাকারী দিয়ে বলে,
“কিছু বলবে তুমি?বা বলতে চাও?”
অমৃতার প্রশ্নে তার দিকে অবাক চোখে তাকায় শিফা।অতঃপর আমতাআমতা করে বলে,
“না মানে।আসলে…”
অমৃতা হেসে বলে,
“যা বলতে চাও বলে ফেলো,সমস্যা নেই।আমি কিছু মনে করবোনা”
খানিকটা ইতস্তত করে মাটির দিকে চেয়ে শিফা বললো,
“আসলে আপু….আপনি সেদিন পালালেন কেনো?”
অমৃতার হাসি বিস্তৃত হয়।হাসির রেখা ঠোটে এঁকেই সে বলে,
“না পালালে বুঝি এতো সুশ্রী আর স্নেহময়ী একটা ভাবি পেতে?”
অমৃতার কথা শুনে চোখ তুলে তাকায় শিফা তার দিকে।অতঃপর দৃষ্টি আকাশপানে নিবদ্ধ করে বলে,
“তা অবশ্য পেতাম না”
“দু’টো ভালোবাসার মানুষকে এক করতে পেরেছি এতেই আমার শান্তি”
“আপনার নামে যে কত বদ!নাম রটলো?”
“অমন দু’একটা বদ!নামে অমির কিছু হয়না।ইম…নাম কী তোমার?”
“শিফা”
“শিফা শব্দের অর্থ জানো?”
“হিম।নিরাময়”
“এর মানে বুঝলে?”
“মানে?”
“তুমি যার জীবনে যাবে তার সকল দুঃখ-কষ্ট-ব্যাথা নিরাময় করে দিবে”
বলেই হাসলো অমৃতা।শিফা তা শুনে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে,
“সত্যি যদি তা হতো আপু!”
“ভালোবাসো নাকি কাউকে?”
শিফা হাসার চেষ্টা করে বলে,
“কোথায় আর ভালোবাসা?আপনার টা বলুন।বিয়ের দিন শুনেছিলাম বয়ফ্রেন্ডের সাথে নাকি গেছেন?সত্যি কি তাই?আপনার বয়ফ্রেন্ড আছে?”
“হ্যা আছেতো।আর বয়ফ্রেন্ডের সাথেই গিয়েছিলাম তবে পালাতে নয়।চাঁদ আপুর বিয়েটা প্রণয় জিজুর সাথে কনফার্ম করতে।আর একা ছিলাম নাতো।আমার বয়ফ্রেন্ডের একটা বান্ধবীও ছিলো।তার বাসায় ই ছিলাম।”
অমৃতার সোজাসাপটা উত্তরে মেয়েটার প্রতি শিফার নেগেটিভ চিন্তাভাবনা চলে গিয়ে পজিটিভ চিন্তাদের আশ্রয় হয়।অতঃপর সে বলে,
“আচ্ছা।আজকালকার যেই যুগ আপু।ছেলেদের বিশ্বাস করা যায়না।করতে নেইও আসলে”
“আমাদের নয় বছরের সম্পর্ক শিফা”
শিফা স্মিত হেসে বলে,
“নয় হোক আর দশ-বারোই হোক আপু।যে পর্যন্ত তাকে পেয়ে না যাচ্ছি সে কখনোই আমার না।”
তখনই শোনা যায় চাঁদের কন্ঠস্বর,
“প্রেম সবসময়ই হারাম শিফা।সে যত বছরের সম্পর্কই হোক না কেন”
বলতে বলতেই শিফার পাশে এসে বসে চাঁদ।বসে লম্বা শ্বাস টানে সে।অতঃপর শুনতে পায় শিফার প্রশ্ন,
“তাহলে সবাই প্রেম করে কেনো ভাবি?”
জবাবটা অমৃতা দেয়,
“সেই প্রবাদটা শোনোনি?’প্রেম স্বর্গ থেকে আসে’।একটা সুখকর অনুভূতি নিয়ে।এ অনুভূতি শ্রেষ্ঠ অনুভূতির একটা শিফা”
এমতাবস্থায় রিদি ওদের তিনজনকে আড্ডা দিতে দেখে নিজেও এসে পাশে দাড়ালে শুনতে পায় শিফার সন্দেহজনক কন্ঠ,
“প্রেম যদি স্বর্গ থেকেই আসে তবে তাকে হারাম কেনো ঘোষণা করা হলো আপু?”
চাঁদ এবার অমৃতার দিকে তাকায়।অপেক্ষায় আছে তার জবাবের।কিন্তু সে চুপ।অর্থাৎ তার কাছে কোনো জবাব নেই।অতঃপর হঠাৎ করে রুবার কন্ঠ শুনে তার পানে তাকায় সকলে,
“যে জিনিসকে হারামই ঘোষিত করা হয়েছে তা স্বর্গ থেকে কি করে আসতে পারে শিফু?”
উশ্মি ফোন হাতে নিয়ে রুবার পাশে দাঁড়িয়ে বলে,
“তবুও তো মানুষ প্রেম করে।এবং জেনেশুনেই করে”
সব মেয়েদের এক জোট হয়ে গল্প করতে দেখে রিহা তাদের কাছে এসে জিজ্ঞেস করে,
“কী নিয়ে আলাপ হচ্ছে লেডিস?”
শিফা রিহার জবাব দেয়,
“প্রেম নিয়ে আপু”
কপাল কুচকে রিহা জিজ্ঞেস করে,
“প্রেম নিয়ে মানে?”
“মানে প্রেমকে হারাম করা হয়েছে কেনো এসব আরকি”
রিহার সোজাসাপ্টা জবাব,
“যেটা হারাম সেটা সারাজীবন হারামই থাকবে শিফা।কেনো করা হয়েছে এ নিয়ে গবেষণা করার আমরা কে?বিধাতা যা হারাম করেছেন তা কেয়াম!ত অব্দি হারামই থাকবে।হয়তোবা কেয়াম!তের পরেও”
উশ্মিরও সোজাসাপটা প্রশ্ন,
“তবুও তো মানু্ষ প্রেম করছে আপু।প্রেম করে বিয়েও করছে।এই যে প্রণয় ভাইয়া আর ভাবিই তো করলো?”
রিহা কপাল কুচকে উশ্মিকে প্রশ্ন করে,
“প্রণয় আর চাঁদ প্রেম করেছে এটা তোমায় কে বললো?”
“কে আর বলবে আমিই বললাম”
“ভুল বললে।ওরা কখনোই প্রেম করেনি”
উশ্মির কিছু বলার পূর্বেই চাঁদের শীতল কন্ঠস্বর শোনা যায়,
“ভুলে গেলে আপু?তোমার সামনে দাঁড়ানো মেয়েটা ব্যারিস্টার।বারী মে!রে কথা নেওয়া তার শিরায়-উপশিরায় বিদ্যমান”
উশ্মি চাঁদের কথা শুনে হালকা হেসে মোবাইল জিন্সের পকেটে রাখতে রাখতে বললো,
“বাহ!তুমিতো বেশ বুদ্ধিমতী ভাবি।বুঝেছোই যখন বলেই দাওনা তোমাদের সম্পর্কটা এক্সেক্টলি ছিলো কিরকম?কেনো এতো টান?কেনোই বা তুমি ও শহর ছেড়ে এখানে পাড়ি জমিয়েছো?আর কেনোই বা ভাই কেবল তোমায় এবং তোমায় বিয়ে করতেই এতো মিথ্যা জিনিস সাজিয়েছে?কেনোই বা তুমি আমার ভাই থেকে এতোদূরে চলে এসেছো?টপার অফ বিডি হয়ে কি করেই বা তুমি নিজের স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিতে পারো ভাবি?”
To be continued….
#আবার_প্রেম_হোক
#নুসরাত_জাহান_মিম
৩০.(বর্ধিতাংশ)
“স্টপ আস্কিং সাচ সিলি কুয়েশ্চনস উশ্মি।অনেক রাত হয়েছে।এবার সবাইকে আগাতে হবে।জাস্ট কাম আফটার মি”
হঠাৎ প্রণয়ের কন্ঠ পেয়ে খানিকটা ভড়!কায় উশ্মি।অতঃপর বলে,
“ভাইয়া আ…”
“নো মোর ওয়ার্ডস।আয় টোল্ড টু কাম”
প্রণয়ের গম্ভীর কন্ঠে সকলেই তার পিছু যেতে লাগলে বাধ সাধে চাঁদ,
“এক মিনিট,নিমু কোথায়?সেই কখন ফোনে কথা বলতে গেলো।দেখছিনা কেনো মেয়েটাকে?”
অমৃতা বিচলিত হয়ে আশেপাশে চোখ বুলিয়ে বললো,
“নিমু?নিমু নেই এখানে?”
রিহা অমৃতাকে সাহস জুগিয়ে তার কাধে হাত রেখে বললো,
“ডোন্ট বি হাইপার অমৃতা।নিমৃতাকে পেয়ে যাবো আমরা”
হঠাৎ করেই চাঁদ দ্রুত গতিতে যেদিকটায় শেষবার নিমৃতাকে দেখেছিলো সেখানে যেতে উদ্যত হতে নিলেই শাড়ির কুচির সাথে পা বেঝে পড়ে যেতে গিয়ে ‘আহ’ শব্দ করে বসে পড়ে।অতঃপর দাত কা!মড়ে চিৎকার দিয়ে বলে উঠে,
“আম্মু!”
চাঁদের চিৎকার শুনে চৈত্র দৌড়িয়ে মিরদের সাথে আড্ডা রেখে সেখানে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করে,
“কী হয়েছে ছোটি?কী হয়েছে তোর?”
“ভাই পা!পায়ে কী যেনো বিধেছে।জা!ন বেরিয়ে যাচ্ছে আমার!”
হাটু ভাজ করে বোনের সামনে বসে চৈত্র বলে,
“দেখি কোন পা?এই কেউ ফ্ল্যাশ জ্বালাও প্লিজ”
রিদি সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিলো বিধায় সে দ্রুত ফোনের ফ্ল্যাশ অন করে চাঁদের পায়ের দিকে তাক করেই আঁতকে উঠে বলে,
“আল্লাহ!ভাবির পা দিয়েতো গলগ!লিয়ে র*ক্ত ঝড়ছে।লোহা জাতীয় কিছু চুবেছে”
বলেই চোখজোড়া বন্ধ করে খিচে রয় রিদি।অর্থাৎ খুব ভয় পেয়েছে।চৈত্রও তা দেখে দাতে দাত চেপে বলে,
“সম্ভবত এটা তারকাটা।দেখি বোন জুতাটা খোল”
চাঁদ চোখ বুজে দাত কিড়মিড়িয়ে বলছে,
“আমি কিছুই খুলতে পারছিনা ভাই।জুতা আটকে আছে।আমি খুলতে পারবোনা।একদমই পারবোনা ভাই!”
হঠাৎ উশ্মি চাঁদকে জিজ্ঞেস করে,
“জুতা পরলে এসব বিধে কি করে?”
তৎক্ষনাৎ রায়হান মেজাজ খারাপ করে জবাব দেয়,
“সবজায়গায় ওকালতি সাজে না ইউ ব্লা!ডি ব্যারিস্টার”
বলেই চাঁদের পায়ের কাছে বসে দাতে দাত চেপে সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে বলে,
“শিট!”
অতঃপর চোখ খুলে প্রণয়ের দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে রায়হান বলে,
“অ্যান্ড ইউ!তুই না ওর হাজবেন্ড?তার উপর খুব বড় মাপের একজন ডাক্তার?এভাবে মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে আছিস কি মজা দেখার জন্য?কাম ফাস্ট!আর অল্প একটু বাকি আছে।বলতে গেলে পুরোটাই ঢুকে গেছে।”
রায়হানের কথায় হেলদোল হয়না প্রণয়ের।সে স্বাভাবিকভাবেই হেটে সামনে এসে চাঁদের পায়ের কাছে বসে পা পর্যবেক্ষণ করে বলে,
“এরকম জুতা পরলে এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক”
প্রণয়ের কন্ঠ শুনে চাঁদ চোখজোড়া খুলে।অতঃপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে চেয়ে বলে,
“আমার কারো সিমপ্যাথির প্রয়োজন নেই।এসব জিনিস আমি নিজেই করতে পারি।ভাই তুমি ফ্ল্যাশ টা সামনে ধরো আমি দেখছি কী করা যায়”
চাঁদের অপরপাশে বসে তার বাহু ধরে নিজের দিকে ঘুরিয়ে এক হাতে তার থুতনি আর গাল চে!পে ধরে প্রণয় বলে,
“বড্ড বেশি কথা বলেন মেয়ে”
হঠাৎ চাঁদের চিৎকারে সকলে ভড়!কাতে বাধ্য হয়,
“ওমা!”
হাতের চুবিটা মাটির একদম ভেতরে চেপে দিয়ে চাঁদের পা ধরে আস্তে করে জুতাটা খুলে ফেলে প্রণয়।খুলে সেখানে কিছুক্ষণ দৃষ্টিপাত করে।অতঃপর সবাইকে আরেকদফা অবাক করে দিয়ে হুট করেই চাঁদকে কোলে তুলে দাঁড়িয়ে বলে,
“পায়ের অবস্থা বেশি একটা ভালোনা।কিল তুলে ফেলেছি,এখনই ফার্স্ট এইড করে ইঞ্জেকশন দিতে হবে।গাড়িও পার্কিং এরিয়ায় রাখা।আমি ওখানটায় ই যাচ্ছি।তোরা সবাই এখানেই থাক।কোথাও যাবিনা।আর মির,রায়হান তোরা নিমৃতাকে খুজে আন।চৈত্র ভাই আপনি আর রামিমরা এখানেই থাকুন মেয়েগুলোর সাথে।আমি আমার কাজ সেরে শীঘ্রই ফিরছি”
বলে চাঁদকে নিয়েই পেছনের দিকে পা বাড়ায় প্রণয়।অতঃপর খানিকটা হেটে কপাল শিথিল রেখেই বিরক্তির সুরে বলে,
“আমি কোনো পরপুরুষ নই যে গলা জড়াতে আপনার বিরাট সমস্যা হয়ে যাচ্ছে।আর বেকারদের মতো অলস হয়ে না থেকে বা’হাত দিয়ে পকেট থেকে ফোনটা বের করে ফ্ল্যাশ অন করুন”
চাঁদ অবাক হয়ে বলে,
“ফোনতো ওখানেই পড়ে গেছে আর আমিতো শাড়ি পরেছি পকেট কোথায় পেলেন?”
“আমার পকেট”
চাঁদ লজ্জা পেয়ে চোখ নামিয়ে বলে,
“সরি”
অতঃপর পকেটের দিকে হাত নিতে গেলেই শুনতে পায় প্রণয়ের গম্ভীর কন্ঠস্বর,
“গলা ধরুন।আপনাকে নিয়ে এভাবে হাটতে অসুবিধা হচ্ছে”
পকেট থেকে তড়িৎ গতিতে ফোন বের করে চাঁদ বলে,
“আপনাকেতো কেউ কোলে নিতে বলেনি?”
চাঁদের দিকে বিরক্তির দৃষ্টি নিক্ষেপ করেও মুখভঙ্গি শান্ত রেখে প্রণয় বলে,
“আপনি কি গলা জড়াবেন?”
চাঁদ নিশ্চুপ রয় শুধু।তা দেখে প্রণয় ঠান্ডাস্বরে বলে,
“লাস্টবার বলছি চন্দ্র।ঘাড়ে হাত রাখুন আদারওয়াইজ আমি আপনাকে ফেলে দেবো”
চাঁদ মেজাজ দেখিয়ে চেচিয়ে বলে,
“হ্যা দিন!ফেলে দিন”
প্রণয় ভাবলেশহীনভাবে চাঁদকে আলগা করে দিয়ে বলে,
“ওকে।আপনার জীবন ন!ড়!ক বানানোর শুরুটা নাহয় আপনার কোমড় ভাঙা দিয়েই হোক”
এ কথা শুনতেই চাঁদ দু’হাতে প্রণয়ের গলা আঁকড়ে ধরে চোখ বুজে বলে,
“না না!আপনার এমন লম্বা দেহ থেকে অতো নিচে পড়লে আমার মেরুদণ্ড আর কখনোই জোড়া লাগবেনা প্রণয়।প্লিজ ফেলবেন না”
“ফেলছিনা।ফ্ল্যাশ অন করুন”
অতঃপর চাঁদ মোবাইল মুখের সামনে রেখে শাটার নামিয়ে ফ্ল্যাশ অন করে রাস্তার দিকে তাক করতেই প্রণয় কিছুটা দ্রুত গতিতে হাটা ধরে।তা টের পেয়ে চাঁদ বলে,
“একটু আস্তে হাটুন।আমি পড়ে যাবো”
চাঁদের কথাকে তোয়াক্কা না করে প্রণয় আগের ন্যায়ই হাটতে হাটতে বলে,
“যেভাবে ধরেছেন,আমার ঘাড় ছি!লে র*ক্ত বের হবে কিন্তু আপনি পড়বেন না।বেশি নড়াচড়া না করে স্থির থাকুন”
প্রণয়ের কথায় ভীষণভাবে লজ্জা পেলো চাঁদ।অতঃপর প্রণয়ের ঘাড় আলগা করে ধরে চুপ থাকার চেষ্টা করলো।
খানিক বাদে চোখ ঝাপসা হতে লাগলো তার।মাথাটাও ধরছে।তাই চোখজোড়া বন্ধ করাকেই শ্রেয় মনে করলো।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
বেশ কিছুক্ষণ পর চাঁদের দিকে তাকালো প্রণয়।অতঃপর নজরে আসলো চাঁদের বন্ধ চোখজোড়া।চাঁদকে ঘুমন্ত ভেবে তার দিকে স্থির দৃষ্টি রেখে মোহময়ী গলায় প্রণয় বললো,
“আপনি বড্ড উষ্ণ চাঁদ।সর্বাঙ্গ ঝ!লসে যাচ্ছে আমার!”
জাগ্রতই ছিলো চাঁদ।চোখজোড়া বন্ধ ছিলো শুধু।হঠাৎ প্রণয়ের মুখে এরূপ বাক্য শুনে চাঁদের চোখেমুখে লজ্জারা এসে হানা দিলো।গালদু’টো জ্বলে উঠলো নিমিষেই।তবে সে চোখ খুললোনা।প্রণয়কে বুঝতেও দিলোনা সে জেগে আছে।অতঃপর প্রণয়ের দীর্ঘশ্বাসও শুনতে পেলো।সেইসাথে শুনলো প্রণয়ের কন্ঠে হৃদয় বিদারক কতগুলো কঠিন বানীও,
“কেনো আপনি ওরূপ বিশ্রী একটা কাজ করলেন চন্দ্র?আমার একান্ত লালগোলাপ হয়ে আমাতে বিলীন হতে পারলেন না?কেনো পারলেন না আপনি?কেনো জীবনে অসীম প্রেম নিয়ে এসে মাত্রাতিরিক্ত বিষাদতা ছড়িয়ে দিলেন?আপনাকে ঘৃণা করতে গিয়েও আমার চিত্ত ম!রে যাচ্ছে!পুড়ে যাচ্ছে,ঝ!লসে যাচ্ছে চন্দ্রময়ী!”
To be continued….