উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন পর্ব-২২

0
7

#উষ্ণ_প্রেমের_আলিঙ্গন
#পর্ব২২
#আফিয়া_আফরোজ_আহি

মুহূর্তেই বিস্মিত, হতোভম্ব, কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেলাম। কি থেকে কি হয়ে গেল কিছুই বুঝতে পারলাম না। আদ্র ভাই নিশ্চল চোখে তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে। তার চাহনি বড্ড শান্ত। ইভান ভাই এখনো আমার বহু ধরে আছেন। দুজনের অবস্থান অনেকটাই কাছাকাছি। আদ্র ভাই কিছুক্ষণ আমাদের দিকে তাকিয়ে থেকে চোখ সরিয়ে নিলেন। এমন সময় তার ফোন বেজে উঠলো। উনি পকেট থেকে ফোন বের করে আমাদের দিকে একবার তাকিয়ে নিচে নেমে গেলেন। আমি অসহায় চোখে তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছি। আদ্র ভাই কি তবে আমাকে ভুল বুঝলো? ধ্যান ভাঙলে ইভান ভাইকে এক ঝটকায় নিজের থেকে দূরে সরিয়ে দিলাম। ওনাকে ইচ্ছে করছে খু*ন করে ফেলতে। এই লোকটার কি একবার আমায় ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে শান্তি হয়নি? আবার কেন এসেছে তিনি ? ইভান ভাইয়ের উদ্দেশ্যে হুংকার দিয়ে বলে উঠলাম,
“আপনাকে বলেছি না আমার থেকে দূরে থাকবেন। কথা কানে যায় না? এরপর আমার আশেপাশে দেখলে একদম খু*ন করে ফেলবো। জানে মে*রে ফেলবো বলে দিলাম”

কি বলছি কি করছি মাথা ঠিক নেই। হন্তদন্ত হয়ে নিচে নেমে এলাম। সারা বাড়ি আদ্র ভাইকে খুঁজে চলেছি তবে উনাকে পাচ্ছি না। পুরো বাড়িতে কোথাও উনি নেই। তবে কি উনি আমাকে ভুল বুঝে চলে গেল? নিজেকে কেমন অসহায় অসহায় লাগছে। রুমে এসে আদ্র ভাইয়ের নাম্বার ডায়াল করলাম। রিং বেজে চলেছে কিন্তু রিসিভ হচ্ছে না। অনবরত এককে পর এক ফোন দিতে লাগলাম। আদ্র ভাই রিসিভ করছে না। ইচ্ছে করছে হাত পা ছড়িয়ে ছিটিয়ে কান্নাকাটি করি। হলোও তাই চোখ বেয়ে পানি পড়তে লাগলো। কোনো মতেই কান্না আটকাতে পারছি না। মনের মাঝেই একটাই প্রশ্ন,
“তবে কি আদ্র ভাই আমাকে ভুল বুঝলেন?”
——–

মাথায় কারো উষ্ণ স্পর্শ অনুভব করতে পারছি। কেউ একজন খুব যত্ন করে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। ঘুমটা হাল্কা হয়ে গেল। পিটপিট করে চোখ খুলে সামনের মানুষটাকে দেখে উঠে বসে হুট্ করে জড়িয়ে ধরলাম। সামনের মানুষটা আচমকা এমন আক্রমনে পিছন দিকে একটু হেলে গিয়েও নিজেকে সামলে নিলো। আলতো হাতে নিজের সাথে জড়িয়ে ধরলো আমায়। মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে পরম যত্নে। শান্ত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
“ভয় পেয়েছিস?”

মাথা নেড়ে ‘না’ জানালাম মুখে কোনো উত্তর দিলাম না। দুজনের মাঝে নীরবতা । নিশ্চুপে তার বুকে মাথা রেখে তার হৃদস্পন্দনের শব্দ শুনছি। কি সুন্দর ছন্দের মতো তার হৃদস্পন্দন হচ্ছে। এভাবেই নীরবে কেটে গেল কিছু মুহুর্ত। আদ্র ভাই নিজের থেকে আমায় ছাড়িয়ে নিলেন,
“কি হয়েছে? ভয় পেয়েছিস? এভাবে হুট্ করে জড়িয়ে ধরলি যে?”

আদ্র ভাইকে দেখে বিকেলের কথা মনে পড়ে গেল। সেকি জঘন্য পরিস্থিতি। নিমিষেই চোখে পানি জমতে শুরু করলো,
“তুমি কি আমায় ভুল বোঝেছো আদ্র ভাই? বিশ্বাস করো ইভান ভাই আমায় ক্ষমা চাওয়ার জন্য ডেকেছিল। তাই গিয়েছিলাম। তুমি চাইলে আমি প্রমানও দিতে পারি যে ইভান ভাই আমায় কেন ডেকেছিল। তবুও তুমি আমায় ভুল বুঝো না প্লিজ”

বলতে বলতে চোখের পানি গড়িয়ে পড়লো। আদ্র ভাই কেমন অবাক চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। অতঃপর দুহাতে আমার চোখের পানি মুছে দিলেন। গালে হাত রেখে আদুরে কণ্ঠে বললেন,
“হুস! কাঁদে না। একদিন বলেছি না আমার রৌদ্রময়ীর চোখে পানি মানায় না। তাকে হাসিখুশি রূপে মানায়”

“তুমি বলো তুমি আমায় ভুল বুঝছো কিনা?”

আদ্র ভাই আমার চোখের দিকে তাকালেন। তার তীক্ষ্ণ চোখের চাহনি। চোখে চোখ রেখে বলেন,
“আমি আমার নিজের সত্ত্বা কে অবিশ্বাস করতে পারি তবে আমার রৌদ্রময়ীকে নয়। আমি জানি আমার রৌদ্রময়ী সদ্য ফুটে ওঠা পদ্মের ন্যায়। যার মাঝে আছে একরাশ মুগ্ধতা। তাই ভুল বোঝার প্রশ্নই আসে না”

“সত্যিই? তুমি আমায় ভুল বোঝোনি?”

“হ্যাঁ! সত্যি”

“তাহলে সেই সময় কোথায় গিয়েছিলে? আমি নিচে নেমে সারাবাড়ি খুঁজেছি তোমায় কিন্ত পাইনি। তোমায় কতগুলো কল দিলাম এক বারও রিসিভ করলে না কেন? জানো তখন আমার কেমন লাগছিলো? নিজেকে অসহায় লাগছিলো”

“সরি রোদ সোনা। তখন অফিস থেকে ইম্পরট্যান্ট কল এসেছিলো। তাই তাড়াতাড়ি করে চলে গিয়েছিলাম। আর ফোন সাইলেন্ট ছিলো তাই খেয়াল করিনি। এতদিন অফিসে না যাওয়ায় কিছু সমস্যা হয়েছিল সেগুলো নিয়ে আলোচনায় বসায় ফোনের দিকে খেয়াল ছিলো না”

তার কথা শুনে গাল ফুলালাম। যার জন্য আমার এতো টেনশন সে কিনা অফিস নিয়ে ব্যাস্ত। এও মানা যায়?
“আমি তোমার সাথে কথা বলবো না। তুমি আমার সামনে থেকে যাও। নাহয় গু*লি মে*রে তোমার খুলি উড়িয়ে দিবো”

“সরি বললাম তো”

“তোমার সরি’র গুষ্টি কিলাই”

“এই দেখ কান ধরছি। তাও মন খারাপ করিস না প্লিজ”

“কথা নাই তোমার সাথে”

গাল ফুলিয়ে বসে রইলাম। আদ্র ভাই অসহায়ের মতো আমার দিকে তাকিয়ে আছে। কি করবে ভেবে পেল না। কান ধরে আবারো সরি বলল। আমি মুখ ঘুরিয়ে রেখেছি। আদ্র ভাই কান ছেড়ে পকেটে হাত ঢুকালেন। দুই হাতে ভর্তি কিটক্যাট নিয়ে আমাকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলা শুরু করলো,
“কেউ যদি রাগ বাদ দিয়ে কিটক্যাট খেতে চায় তাহলে বলতে পারে। আর না খেতে চাইলে সে থাকুক মুখ ফুলিয়ে, এতে আমার কি?

কিটক্যাট দেখে লোভ লাগছে। আড়চোখে তাকাচ্ছি আদ্র ভাইয়ের দিকে। তিনি আমাকে দেখিয়ে দেখিয়ে একটা কিটক্যাটের প্যাকেট ছিড়ছে। আমার সামনে বসে কেউ আমার পছন্দের কিটক্যাট খাবে বিষয়টা মানতে পারছি না। আদ্র ভাই ধীরে ধীরে কিটক্যাটর পিস মুখের দিকে নিচ্ছে। উঠে গিয়ে তার হাতের কিটক্যাটের পিস মুখে নিয়ে নিলাম। আমার কাণ্ডে আদ্র ভাই হেসে দিলো। তার হাতের সব কিটক্যাট গুলো নিয়ে পাশে বসে খেতে খেতে বললাম,
“আজকে কিটক্যাটের জন্য বেঁচে গেলে না হয় এই রাগ আগামী দশ দিনেও কমতো না”

“আমিতো জানি আমার রৌদ্রময়ী কিটক্যাট দেখলে আমার ওপর রাগ করে থাকতেই পারবে না। তাই তো বুদ্ধি করে নিয়ে এসেছি। বুদ্ধিটা ভালো না বল?”

“ভালো। তবে শুধু কিটক্যাটে চলবে না, আরো কিছু লাগবে”

“কি লাগবে বল। আমি এক্ষুনি এনে দিচ্ছি”

“ঘুরতে যাবো, নিয়ে চলো। বাসায় থেকে থেকে বিরক্ত লাগছে”

“এখনই যাবি?”

“হ্যাঁ”

“ঠিক আছে তাহলে রেডি হয়ে নিচে আয়”

আদ্র ভাই চলে গেলেন। আমি খুশি মনে রেডি হচ্ছি। কালো রঙের থ্রিপিস পরে অল্প একটু সাজে নিলাম। সিঁড়ি দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে নামছি ফুরফুরে মনে। ড্রয়িইংরুম ক্রস করে যাব এমন সময় একজনকে দেখে মুখে বিরক্তি চলে এলো। থাকুক সে তাতে আমার কি? এর মাঝেই ডাক পড়লো,
“রোদ হলো তোর? তাড়াতাড়ি আয়”

তার দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে বাইরে চলে এলাম। গাড়ির কাছে আসতেই আদ্র ভাই গাড়ির দরজা খুলে দিলো। আমায় বসিয়ে নিজে ড্রাইভিং সিটে বসে পড়লো। গাড়ি স্টার্ট দিলে জিজ্ঞেস করলাম,
“আমরা কোথায় যাচ্ছি আদ্র ভাই?”

“গেলেই দেখতে পাবি”

আদ্র ভাই গাড়ি চালাচ্ছেন আর আমি তার পাশে বসে আছি। ফুরফুরে বাতাসে মনটা নিমিষেই ভালো হয়ে গেল। আদ্র ভাই এক মনে গাড়ি চালাচ্ছেন আর আমি তাকে আড়চোখে তাকিয়ে দেখছি। নেভি ব্লু শার্ট আর কালো প্যান্ট, হাতে ঘড়ি। শার্টের হাতে কনুই পর্যন্ত গোটানো।
“আড়চোখে না তাকিয়ে সরাসরি দেখতে পারিস। আমি মাইন্ড করবো না। এই আদ্র সম্পূর্ণ তোর”

চোর ধরা পড়লে যেমন হয় আমার অবস্থাও তেমনই। একটু লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছিলাম তাও ধরে ফেলল। তবে ধরা দেওয়া যাবে না।
“তোমায় কে বলল আমি তোমায় দেখছিলাম? আমি তো ওপাশের ভিউ দেখেছিলাম”

“ওপাশে দেখার মতো এমন কিছু নেই যে আড়চোখে দেখতে হবে। সত্যি টা স্বীকার করে নে”

“হ্যাঁ দেখছিলাম তো? আমার ভাইকে আমি দেখছি তাতে তোমার কি?”

আদ্র ভাই গাড়ি সাইড করে আমার দিকে ঘুরলো। ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো,
“আমি তোর কোন জনমের ভাই শুনি?”

“এই জনমের ভাই”

“আমি কি তোর মায়ের পেটের ভাই যে সারাদিন ভাই ভাই করিস?”

“ভাই ভাই করবো না তো জামাই জামাই করবো?”

“একদম আমার মনের কথা বলেছিস। তুই যদি চাস জামাই ডাকতেই পারিস আমার কোনো সমস্যা নেই”

“বেশি কথা না বলে গাড়ি চালাও তো”

আদ্র ভাই কিছু বলতে গিয়েও বললেন না। আদ্র ভাই গাড়ি এনে থামালেন নদীর পাড়ে । দুজনে গাড়ি থেকে নেমে এলাম। আদ্র ভাই আমার হাত তার হাতের হাতের মাঝে নিয়ে নিলেন। আমি তার দিকে তাকাতেই মুচকি হেসে বললেন,
“ছোটো মানুষ যদি হারিয়ে জাস তাই আরকি”

আমি কোনো কথা বললাম না। আশেপাশে কপোত কপোতিদের মেলা। নদীর পাশে একটা পার্কের মতো আছে। দুজনে হাতে হাত রেখে হেঁটে চলেছি। নদীর পাশটায় মনোরম পরিবেশ। স্নিগ্ধ বাতাস বইছে।
“নদীর পারে নিয়ে এলে যে?”

“শুনেছি তার নদীর পাড় বড্ড পছন্দের তাই শহরের সকল নদীর পার খুঁজে রেখেছি তাকে নিয়ে যাবো বলে”

এই মানুষটা আমার প্রতিটা পছন্দের খবর রাখে ভাবতেই ঠোঁটের কোণে মুচকি হাসি ফুটে উঠলো। প্রতিটা মেয়েই এমন একজন মানুষ জীবনে চায়। প্ৰিয় জায়গা সাথে প্ৰিয় মানুষটার সন্ন্যিধ্য সব মিলিয়ে সুন্দর এক অনুভূতি। ঘোরাঘুরি শেষে বায়না ধরলাম ফুচকা খাবো। কিন্তু আদ্র ভাইয়ের কথা ফুচকা খেলে রেস্টুরেন্টে যেয়ে খাওয়াবে। কিন্তু আমি এখানকার স্টল থেকেই খাবো। রেস্টুরেন্টের ফুচকা স্টলের মতো হয়না স্টলের ফুচকার মজাই আলাদা। আদ্র ভাই সেটা মানতে নারাজ। সে আমাকে কিছুতেই বাহিরের ফুচকা খেতে দিবে না। তাই মুখটা একটু দুঃখী দুঃখী করে বললাম,
“কেউ একজন বলেছিলো আমি যা চাইবো তাই এনে দিবে এখন আমাকে ফুচকা খাওয়াচ্ছে না। তার সাথে আর কথা নেই”

অগত্যা আদ্র ভাই রাজি হয়ে গেলেন। আমি একটা একটা করে ফুচকা মুখে দিচ্ছি আর আদ্র ভাই পাশে বসে আছেন। এক মনে ফোনে কি যেন করছেন। একটা ফুচকা নিয়ে তার মুখেরে সমানে ধরলাম। কিন্তু তিনি খাবেন না। না খেলে নাই। আমারই ভালো আমি ভাগে একটা বেশি বেশি পাবো। ফুচকা খাচ্ছি এমন সময় পাশে থাকা কিছু মেয়ের কথা কানে এলো।
“দেখ ছেলেটা কতো সুন্দর না?”

আরেকজন বলছে,
“সুন্দর হলে কি হবে গার্লফ্রেন্ড আছে”

“আরে ওটা গার্লফ্রেন্ড না ছোটো বোন”

মেয়ে গুলোর কথা শুনে মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। সুন্দর ছেলে দেখলেই এদের কেন নজর দিতে হবে? ইচ্ছে করছে এদের চুল গুলো ছিঁড়ে ফেলি। রাগের মাথায় কামড় বসলাম মরিচে। মুহূর্তে ঝালে মুখটা ধরে গেল। ঝালে আমার অবস্থা খারাপ। মুখ লাল হয়ে গিয়েছে। আদ্র ভাই আমার অবস্থা দেখে দৌড়ে আইসক্রিম এর দোকানে গেলেন। এক বোতল ঠান্ডা পানি আর আইসক্রিমনিয়ে এলেন। পানির বোতলের মুখ খুলে সামনে ধরতেই ঢক ঢক করে খেয়ে নিলাম। এখন ঝাল একটু কম লাগছে।
“বলেছিলাম না এগুলো না খেতে, শুনলি আমার কথা? এখন দেখ কি হলো”

তার কথায় পাত্তা দিলাম না। উঠে সোজা মেয়ে গুলোর সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। মেয়ে গুলো আমায় দেখে ভরকে গেছে।
“ওটা আমার ভাই না জামাই লাগে, জামাই। বুঝেছেন? এরপর উনার দিকে নজর দিলে খু*ন করে ফেলবো”

ওদের সামনে থেকে আদ্র ভাইয়ের কাছে এসে তার হাত ধরে হাঁটা শুরু করলাম। গাড়িতে বসে রাগে ফোঁসফোঁস করছি। আদ্র ভাই এখনো বুঝতে পারছেন না আমার কি হয়েছে। আমার দিকে আইসক্রিম বাড়িয়ে দিয়ে বলল,
“এটা খেয়ে মাথা ঠান্ডা কর”

আইসক্রিম প্রায় শেষের দিকে। মাথা এখন অনেকটা ঠান্ডা হয়েছে। আদ্র ভাই জিজ্ঞেস করলো,
“কি হয়েছে বলতো? হটাৎ ওভাবে রিয়েক্ট করলি যে?”

আদ্র ভাইকে মেয়েগুলোর কথা খুলে বললাম। উনি শোনার পর থেকে হেসে যাচ্ছেন। এর আবার কি হলো? এভাবেই হাসছো কেন?
“হাসছো কেন?”

“তোর কান্ড দেখে, মেয়েগুলোর সামান্য কথায় এতোটা রিয়াক্ট করলি তুই ভাবা যায়?”

“এগুলো সামান্য কথা? ওরা তোমায় নিয়ে এরকম বলবে কেন? ইচ্ছে করছিলো মেয়েগুলোর চুল ছিঁড়ে ফেলি”

“এতটা জেলাস তুই?”

” সন্দেহ আছে?”

“একটুও না”

আদ্র ভাইকে নিজের দিকে ঘোরালাম। শার্টের কলার ধরে তাকে নিজের দিকে ঝুকিয়ে বললাম,
“তুমি আমার মানে আমার। শুধুই আমার। অন্য কেউ তোমার দিকে নজর দিলে তার চোখ তুলে ফেলবো”

#চলবে?