এক মুঠো বুনোপ্রেম পর্ব-০৮

0
10

#এক_মুঠো_বুনোপ্রেম

পর্ব ৮

#জান্নাতুল_মাওয়া_লিজা

এষের কর্মকান্ডে আর্শি লজ্জাস্নাত হয়ে গেলো। আর এষ আবেগে আপ্লুত! যে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা, আর মহাযু’দ্ধ নিয়ন্ত্রণ করা, একই কথা! আরো বেশি কাছে আসলে হয়তো ভুল কিছু হয়ে যেতে পারে, তার দ্বারা, এই ভেবে এষই প্রথম নিজের বিরুদ্ধে যু’দ্ধ ঘোষণা তথা গা ঝাড়া দিয়ে সরে বসলো অনতিদূরে। আর্শি একাকী এলোমেলো ভাবে শুয়ে পড়ে রইলো বিনব্যাগে। আর্শি কিছু বলার আগেই এষই বলে উঠলো,

” স্যরি! আই লস্ট মাই ঔন কনট্রোল , যদি ভুল কিছু হয়ে যায়, পরে আমাকে আবার তুই ভুল বুঝবি রে, ভাববি আমি ক্যারেক্টারলেস, অথবা তোর দেহপ্রেমী! , তুই রুমে গিয়ে শুয়ে পড়, আমি গেস্ট রুমে শুচ্ছি, আর তুই গেইট লক করিস কিন্তু, তাছাড়া আমি আবার তোকে দেখতে ঢুকে পড়তে পারি, আর এতদিন তোর অনুমতি ছাড়া তোকে দেখেছি, সেজন্য স্যরি। কিন্তু গড সেক তোর ঘুমন্ত শরীর আমি কোনোদিন ভুলেও ছুঁয়ে দেখিনি। আমার ভালোবাসা আগে মানসিক, তার বহু পরে শারীরিক। কারন আমি যে বয়স থেকে তোকে ভালোবেসে আসছি, সে বয়সে শারীরিক কোনো বোধ আমার হয়নি। আর শিশু বয়সের সে ভালোবাসা চালাতে চালাতে আমি এখন যৌবনে পৌঁছে গেছি, তাই ভুলবশত: যা যা করে ফেলছি, তার সবই বয়সের দোষ। মনের দোষ ভেবে আমার থেকে দূরে সরে যাসনা! আর ফুপিকে দোষ দিস না, সে নিজেও জানতো না যে আমি এতদিন তোর রুমের পাশের এটাচ ব্যালকনিটায় ঘুমাতাম! ”

আর্শি শুয়ে শুয়েই একদৃষ্টে এষের দিকে চেয়ে সব কথা শুনছিলো। আর এসব বলেই এষ গেস্ট রুমের দিকে ফিরেই যাচ্ছিলো, ঠিক তখনি আর্শি পেছন থেকে এষকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরলো।

এষ শুধু একটা শব্দই বলে উঠার সুযোগ পেলো,
” একি!”
তারপর সে নিযে থেকেই মোড় ঘুরে সামনাসামনি আর্শিকে জড়িয়ে ধরলো, আর আর্শি এষকে। আর আর্শি এবারে নিজে থেকেই এষের ঠোঁট দুটিতে একএকটা শক্ত চুম্বন দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে গেলো স্বীয় বেডরুম অভিমুখে।
আর পালিয়ে যাওয়ার আগে এষ কে বলে গেলো,
” এটা বয়সের দোষ!”
এষ একটা হাজার ভোল্টের শক খেয়ে ঠাই দাঁড়িয়ে রইলো।
অত:পর রিমঝিম একটা হাসির শব্দ শুনতে পেলো এষ। শক থেকে আবার মিনিটের ব্যবধানে সম্বিত ফিরে পেয়ে নিজের ঠোঁটে এই প্রথম আর্শির ঠোঁটের স্পর্শ পেলো এই খুশিতে এষ লাফিয়ে উঠলো, ” ইয়া হু” শব্দযোগে।
.
.

আগের দিন মা’কে পুরাতন ঢাকায় দেখেছিলো, সেকথা হঠাৎ ই মনে পড়লো আর্শির। তবে জিজ্ঞেস করার আগেই সে ভাবলো, যদি মা ই উল্টো তাকে জিজ্ঞেস করে সে কি করছিলো ওখানে, তাহলে কি উত্তর দিবে? তাই আর জিজ্ঞেস করা হলো না।
অপরাজিতা বরাবরের মতোই তার মর্নিং ওয়াক শেষ করে, গোসল করে, নাস্তা করে সরাসরি অফিসে। আর প্রায়ই তাকে কাজের খাতিরে বিদেশে যেতে হয়। বড় হয়ে আর্শি জানতে পেরেছে পররাষ্ট্র সচিব গণ নাকি প্রথম পাঁচ বছর দেশে চাকরি করে তারপর শুধু বিদেশে চাকরি করে। কিন্তু বিদেশে থেকেছে এরকম স্মৃতি তার মোটেও মনে পড়ে না। তার ছোটোবেলার কোনো কিছুই মানে ক্লাশ ওয়ান, টু, থ্রি বার ফোরে সে কোন স্কুলে পড়েছে, কোথায় পড়েছে সেসব কিছুই কেনো তার মনে পড়ে না, তা সে নিজেকেই জিজ্ঞেস করে প্রায়শই।
.
.
আর্শির ক্লাশরুমে পূর্ণ আর অগ্র বাদে ওদের সার্কেলের তিন বান্ধবী যথা আর্শি, নিহু আর আরাধ্যা বসে আছে।
পূর্ণ আর অগ্র গেছে ল্যাবে, তাদের নিজেদের প্রাকটিক্যাল করতে। সেই সুযোগে তিন বান্ধবী মিলে বসেছে কিভাবে পূর্ণের সাথে আরাধ্যার একটা সেটিং করিয়ে দেওয়া যায় সে ব্যাপারে। আগের রাতেও তারা তিন জন এ ব্যাপারে ক্ষাণিক ক্ষণ আলোচনা করেছিলো, তবে এ ব্যাপারে কোনো কূল কিনারাই পায়নি। অগ্র কোনো কথাই তার পেটে রাখতে পারে না। তাই অগ্রকে তারা এ বিষয়ে কিছু না জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নিহু আরাধ্যা কে শুধু থেমে থেমে বকছে।

” শালী, দুনিয়াতে আর কোনো পোলা ছিলো না নাকি, দেখে দেখে ঐ পূর্ণের প্রেমেই পড়তে পারলি?”

আরাধ্যা মুখ গোমড়া করে মাথা নিচু করে বসে ছিল। কোন উত্তর ই দিলো না সে।

বরং আর্শি বলে উঠলো,

” ধুর! বেচারি কি আগে জানতো নাকি? আর সে যে পূর্ণের প্রেমে পড়ে গেছে, তা বুঝতে পারে ঐদিন সি এন জি তে কাছাকাছি বসার পর! আর ভালোবাসা কি বলে কয়ে আসে নাকি? আরাধ্যার জীবনেও তেমনি ভালোবাসা বলে কয়ে আসেনি। দেখ, আমাকেই দেখ, কয়েক দিন আগেও আমি এষকে ধুর ধুর ছাই ছাই করতাম, আর আজ এষকেই ভালোবেসে ফেলেছি! তবে পূর্ণের মতো এমন বাস্তববাদী আর কাঠখোট্টা ছেলেকে পটাতে তোর ভীষণই বেগ পেতে হবে!”

নিহু এবারো বকে উঠলো,
” পূর্ণ ইজ নট আ রাইট চয়েজ, আর পাঁচটা মাস চলে গেলেই, তুই একজন ইঞ্জিনিয়ার, পূর্ণও ইঞ্জিনিয়ার। পূর্ণ আর তোর র‍্যাঙ্ক তো একই রে! তোর উচিত ছিলো বেটার কাউকে চুজ করা। একচুয়ালি ইউ ডিজার্ভ বেটার!”

নিহুর একথা শুনে আর্শির আবারো রাগ হলো। সে রেগেমেগে বললো,

” আরেহ! নিহু, আমি বারবার বলছি, ভালোবাসা কি সবসময় ই এত কিছু দেখে শুনে, যাচাই, বাছাই করে হয়? ভালোবাসা বেশির ভাগ সময়ই আসে সাবকন্সাস মাইন্ডে অর্থাৎ অবচেতন মনে, তাই বলি আরাধ্যা কে আর বকাঝকা না করে কিভাবে পূর্ণের সাথে ওর একটা ম্যাচ আপ করিয়ে দেওয়া যায়, সেই চিন্তা কর, আর সেটা চিন্তা করার জন্যই আমরা এখানে বসেছি।”

আর্শির একথা শুনে নিহু বলে উঠলো,

” আরাধ্যা সেদিন পূর্ণকে হাগ করেছিলো, আর পূর্ণ সেটা লাইক করেনি, তার মানে মেয়েদের আগ বাড়িয়ে প্রপোজ করা বা ঘসামাঝা করা ব্যাপারটা পূর্ণ লাইক করেনা, তার মানে পূর্ণকে প্রেমের জালে ফেলে, ওকে দিয়েই প্রপোজ করিয়ে নিতে হবে”

এদিকে আরাধ্যার চোখ জলে ছলোছলো করছে। আর্শি ওকে বুকে টেনে নিয়ে আদর করে দিয়ে বললো,
” ধুর! পাগলি, কাঁদছিস কেনো? দেখিস পূর্ণ তোকেই হয়তো লাইক করে, কিন্তু ও খুবই কনজারভেটিভ মাইন্ডের, গ্রামে বড় হয়েছে কিনা! আর অনেক গরীব পরিবারের ছেলে ও, কত কষ্ট করে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে, কখনো টিউশনি করিয়ে, আবার কখনো বা পার্ট টাইম জব করে, আবার কখনো বা আমাদের ফ্রেন্ডদের এসাইনমেন্ট করে দিয়ে”

আরাধ্যা মাথা নাড়লো।

আর্শি আবার বললো,

” লিসেন আরাধ্যা আগে তোকে তোর ড্রেস আপ চেইঞ্জ করতে হবে!”

নিহু যোগ করলো,

” তোর চেহারায় মেয়েলি ভাব নেই বললেই চলে, একদম ছেলেদের মতো ছোটো চুল আর কিরকম লাগে দেখতে ছেলে ছেলে। আর মাথায় এসব ক্যাপ পড় বাদ দে”

বলেই নিহু আরাধ্যার মাথার ক্যাপটা এক টানে খুলে ফেললো। তারপর আবার বলা শুরু করলো গটগট করে,

” আগে কিছু ভালো ড্রেস কিনে নিয়ে বাসায় যা, আমি নাহয় তোর বাসায় গিয়ে তোরে হাল ফ্যাশানের কিছু ড্রেসিং স্টাইল আর হেয়ার স্টাইল শেখাবো। আর আজ থেকে নো প্যান্ট – শার্ট- কুর্তি, আজ থেকে সোজা থ্রি পিস! ”

বলেই নিহু আরাধ্যার প্রায় ছোটো চুলগুলোও একবার হাত বুলিয়ে দিলো।

এরপর দুজন মিলে আরাধ্যার নত মুখটাকে উপরে তুলে ধরে সুর তুলে গেয়ে উঠলো,

” কজ দিস ইজ পিওর লাভ…., কজ দিস ইজ পিওর লাভ….”

আরাধ্যা লজ্জায় লাল হয়ে গেলো।

.
ওদিকে ল্যাবে বসে পূর্ণ আর অগ্র নিজেদের পিসির ক্রিনে তাকিয়েই গল্প শুরু করেছে।

পূর্ণ বলে উঠলো,

” ধ্যাৎ, কবে যে এই বা’লের পড়াশুনা শেষ হবে?”

অগ্র হেসে বললো,

” গো কুল ডুড! এত অস্থির হচ্ছিস কেনো? আর মাত্র পাঁচটা মাসই! কেন রে? গ্রাজুয়েশন শেষ করেই বিয়ে থা করার চিন্তায় আছিস নাকি?”

পূর্ণ তাচ্ছিল্য র হাসি হেসে বললো,

” গরীবের আবার বিয়ে! মা মরণাপন্ন, বাবা অসুস্থ! বিয়ের বয়স্কা বোন ঘরে পড়ে আছে, তোদের মতো সোনার চামচ মুখে নিয়ে তো আর জন্মাই নি, যে গ্র‍্যাজুয়েশন শেষ করেই বিয়ে করে নেবো! বিয়ে আমার মতো পোড়াকপালের ভাগ্যে আছে কিনা, তা সে ই জানে, না থাকলেও আক্ষেপ নেই, কারন আমি প্রেম, বিয়ে এসবে বিশ্বাসী নই, পারলে চিরকুমার ই থাকবো আমি!”

অগ্র পূর্ণের কাঁধে হাত রেখে বললো,

” ডোন্ট ওরি, তোর বিয়ের দায়িত্ব আমি নিলাম দোস্ত, যাহ! তোরে বিয়ে না করায়া আমি বিয়ে করবো না, কথা দিলাম, আর তুই মেরিটেরিয়াস, জিনিয়াস, তোর ভালো কিছুই হবে নিশ্চিয়, আর কোনো সাহায্য লাগলে বলিস আমাকে? কেমন?”

পূর্ণ বন্ধুর এমন কথায় আশ্বস্ত হলো।

অগ্র আবার পূর্ণ কে জিজ্ঞেস করলো,

” কিন্তু আরাধ্যার সাথে কথা বলিস না কেনো রে দোস্ত?’

পূর্ণ হেসে বললো,

” গায়ে পড়া স্বভাবের মেয়ে আমার পছন্দ না জানিস, আর ও কিনা মানা করা স্বত্ত্বেও গায়ের উপর ঢলে পড়ে, যেখানে সেখানে হাগ করে বসে, অসহ্য! সেজন্যই কথা বলি না”

অগ্র একথা শুনে খিলখিল করে হেসে উঠলো,

” ও একটা পাগলী, তুই ওকে কাউন্ট করিস না! আজ থেকেই কথা বলিস, ভুলে যা ওসব! ”

পূর্ণ একটা দ্বীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো,

” ওকে!”

.

অপরাজিতার অফিসরুমে কেউ এসেছে, তা তার পিওন এসে খবর দিয়ে গেলো। অপরাজিতা হাসিমুখে অভিবাদন জানিয়ে দিলো

” হ্যালো, ডক্টর পাভেল লিও, ওয়েলকাম”

ডক্টর লিও হাত বাড়িয়ে দিলো, অপরাজিতার অভিমুখে আর অপরাজিতা লিও এর দিকে।

অপরাজিতা সুধালো,

” আসতে কোনো সমস্যা হয়নি তো?”

লিও মাথা নেড়ে বললো,

” নো মিসেস অপরাজিতা, প্রায় প্রতিমাসেই তো এখাননে আসতে হয়, আর এবার আপনি নিজেই ডেকেছেন!”

ডক্টর লিও এর বয়স ৩০ এর মতো হবে। তিনি একজন বিশিষ্ট বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইটালিয়ান মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। তবে তার চিকিৎসার পদ্ধতি ভিন্ন বলে, এদেশে তার পরিচিতি কম। তবে ইটালিতে তিনি দারুন জনপ্রিয়। বছরের ছয় মাস তিনি এদেশে এবং ছয় মাস ইটালিতে কাটান।

অপরাজিতা বলা শুরু করলো,

” আমার ডটার, নাম আর্শি, বারো বছর বয়স থেকে আলঝেইমার রোগে আক্রান্ত, সে তার বারো বছরের আগের কোনো স্মৃতিই আর মনে করতে পারে না এখন, বর্তমানে ঘটে যাওয়া অনেক কিছুও ভুলে যায়। আর মাঝে মাঝেই ওর ছোটো বয়সে ঘটে যাওয়া একটা ঘটনা ও স্বপ্নে দেখে। ওর একবার ছোটোবেলায় বিয়ে হয়েছিলো, সেটা ও স্বপ্নে দেখে। তবে ডক্টর বসাক ওকে মেডিসিন দিচ্ছিলো। যেনো সব তার মনে পড়ে, তবে আমি আর চাচ্ছি না যে, ওর আগের সব কথা মনে পড়ুক।”

লিও কপাল কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো,

” কেনো? আগের স্মৃতি মনে করে ফেললে সমস্যা কোথায়? আর বারো বছর বয়সে কি সে মাথায় বা শরীরে কোথায় আঘাত পেয়েছিলো?”

এ পর্যায়ে অপরাজিতা হঠাৎ ই নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে ব্যর্থ হলো, সে চোখে অশ্রু ছেড়ে দিয়ে বললো,

” আর্শির বারো বছর বয়সটা ওর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। দুর্বিষহ একটা সময় ছিলো সে বছরটা। ও সেই একই দিন তার বাবা,দাদা, দাদী, সহ সবাইকে হারায়! আসলে তারা সবাই স্বপরিবারে খু’ ন হয় একজনের হাতে, সে আর কেউ না আর্শির নিজের মা, যার হাতে ওর বাবা, দাদা ও দাদী খু’ ন হয়, এটা আর্শি সহ্য করতে পারে না। ”

লিও বিস্ময়ের চৌরাস্তায় দাঁডিয়ে জিজ্ঞেস করলো,

” তাহলে, আর্শি আপনার নিজের ডটার নয়? কার ডটার ও?”

অপরাজিতার অশ্রুতে কাপড় ভিজে যাচ্ছিলো, সে সংবরন করতে না পেরেই বললো,

” আর্শি আমার নিজের মেয়ে নয়, তবে যার মেয়ে সে ছিলো আমার প্রাণের প্রিয়জন, সে ছিলো আমার অভিশপ্ত প্রেম! আর্শির বাবা একজন আধা কোরিয়ান নাগরিক তার নাম ছিলো আরশ নাংজু। আরশের ডিভোর্স প্রাপ্ত প্রথম স্ত্রীর সন্তান আর্শি। আর্শিকে আমিই বড় করেছি, শিশুকাল থেকে… ”

অপরাজিতার কান্না দেখে লিও তাকে স্বান্তনা দিয়ে বললো,

” আপনি নিজেকে কনট্রোল করুন প্লিজ মিসেস অপরাজিতা, আমি আপনার কাহিনী আরেকদিন আমার অফিসে শুনবো, তবে এখন আপনাকে কোনো সলুউশন ই দিতে পারছি না। তবে আর্শিকে নিয়ে দ্রুত আমার চেম্বারে আসুন, ওর সাথে আলোচনা করেই আমি সিদ্ধান্ত নেবো”

অপরাজিতা মাথা নেড়ে সায় দিলো।

(চলবে)