এক মুঠো বুনোপ্রেম পর্ব-১১

0
13

#এক_মুঠো_বুনোপ্রেম

পর্ব ১১

#জান্নাতুল_মাওয়া_লিজা

“মিসেস অপরাজিতা, আপনার পূর্বের ঘটনা বলতে কি খুব বেশি ট্রাবল হয়ে যাচ্ছে? আই মিন, অনেকেরই পাস্টের দু:খগুলোর স্মৃতি আরেকজনকে জানাতে তারা হেজিটেট(ইত:স্তত/ দ্বীধা) করে, তাই বলছিলাম আরকি! কিন্তু জানেন তো আর্শির ট্রিটমেন্ট করতে ওর সব হিস্ট্রি আমার জানা খুবই জরুরি…ইউ নো মিসেস অপরাজিতা?”

লিওয়ের কথা শুনে অপরাজিতার কপালে জমা বিন্দু বিন্দু ঘাম এখন টপটপ করে নিচে পড়ার উপক্রম। সে একটা টিস্যু দিয়ে ঘাম মুছতে মুছতে বললো,

” ডক্টর লিও, আগের এসব স্মৃতি নিয়ে যতবারই আমি বুলি আওড়েছি, ততবারই আমার কেনো জানি প্যানিক এটাক হয়, প্রচুর ঘাম হয়, আর বুক ধড়ফড় করে, তাই এসব বলা আমার পক্ষে খুবই কঠিন হয়ে যায়!”

লিও রুক্ষ হাসি হাসলো। আর বললো,

” হুউম, আপনি যতটুকু বলেছেন ততটুকু থেকে আমি অন্ততপক্ষে এটুকু বুঝেছি যে, আর্শির রোগটা পুরোপুরিই একোয়ার্ড(অর্জিত)। সে এই রোগটা জেনেটিক্যালি(বংশগত ভাবে) পায়নি। আর তার মা নিশ্চয় একজন ক্রিমিনাল ছিলো! তবে এখন পর্যন্ত তার মায়ের বৈশিষ্ট্য তার মধ্যে নেই!”

আর্শির মায়ের কথা উল্লেখ করায় অপরাজিতার চোখদুটি মুহূর্তের মধ্যেই অগ্নিমূর্তি ধারণ করলো,
সে দাঁত খিঁচে বললো,

” ঐ বা’স্টার্ড টাকে তো আমি কবেই জেলে পাঠিয়েছি. সে তার কৃতকর্মের ফল ভুগছে..সে আমার আরশকে আমার থেকে কেড়ে নিয়েছে যে! আর্শি পুরোপুরি আরশের মতো হয়েছে। অনেক মেধাবী মেয়েটা! তবে রোগটার জন্য পড়া বেশি মনে রাখতে পারে নাহ! ”

একথা বলতেই অপরাজিতার অগ্নিমূর্তি চক্ষু থেকেই গড়িয়ে এলো একরাশ অশ্রু।

লিও অপরাজিতাকে অনুনয় করে বললো,

” প্লিজ, ডোন্ট ক্রাই ম্যাম!”

অপরাজিতা কান্না থামালো বটে, তবে, ডক্টর লিওয়ের সাথে অপরাজিতার কথোপকথন টাও মাঝপথেই থামাতে হলো।

অপরাজিতার এক জরুরি কল এলো বৃটিশ হাইকমিশন হতে, তাই তার গল্প শোনানো শেষ না করেই তড়িঘড়ি ছুটতে হলো সেদিক পানে।

এদিকে অপরাজিতাকে বিদায় দিয়ে ডক্টর লিও সন্দিহান হয়ে বসে রইলো থ মেরে।

ডক্টর লিওয়ের কাছে অপরাজিতার গোটা ঘটনা এখনো ঝাপসা ও ঘোলাটে। যার নেই আগামাথা ও কোনো মিলগোছ। লিও ভাবতে লাগলো, আর একা একাই হিসেব মিলাতে লাগলো।
আর একা একাই বলতে লাগলো,

” এখানে একটা ক্রিমিনাল কেইস তো আছেই। কারন অপরাজিতা বলেছিলো আর্শির প্রকৃত মা ছিলো মিস্টার আরশের ডিভোর্স প্রাপ্ত স্ত্রী যে খু’ন করেছিলো আর্শির বাবা আরশ কে, সাথে আর্শির দাদা দাদী একাজে বাঁধা দেওয়ায় আর্শির দাদা, দাদীকেউ। তার মানে আর্শির মা একজন সিরিয়াল লেডি কিলার ক্রিমিনাল ছিলো! আর সেই ক্রিমিনাল ই আর্শিকে নিয়ে গিয়ে কারো সাথে বিয়ে দিয়ে দেয়! কিন্তু কেনো? কি তার উদ্দ্যেশ্য ছিলো? আরশকে খু’ন করার পেছনে তার কি কারন ছিলো? শুধুমাত্র আর্শিকেই পাওয়ার জন্য এ দ্বন্দ তথা খুন খারাবি হয়েছিলো? আর আর্শি তার মাথায় আঘাত টা কখন পেয়েছিলো? তারপর তার কি কি লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছিলো, এসব কিছুই আমার জানা নেই!”

লিওয়ের বাঙ্গালী সহকারী ডক্টর পার্সিয়াও অপরাজিতার কথাগুলো শুনছিলো।
সে লিওকে চিন্তিত আর একা একা কথা বলতে দেখে বললেন,

” ডক্টর, ডোন্ট ওরি, অপরাজিতা আরেকদিন আসুক, তারপর গোটা ঘটনার চুলচেরা বিশ্লেষণ সেদিনই করবেন নাহয়! আর সেদিনই আপনার সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া যাবে।”
.
.

ক্লাশ শেষ করে ভার্সিটির ল্যাবে বসে নিজের এসাইনমেন্ট সহ অন্যান্য বন্ধু বান্ধবী ও জুনিয়রদের এসাইনমেন্ট এর কাজ করে দিচ্ছে পূর্ণ। এমন সময় আর্শি আর নিহু এলো পূর্ণের কাছে। আরাধ্যাও ছিলো সাথে। তবে সেদিনের ঘটনার পর কিছুটা কম মেশে সে পূর্ণের সাথে। কারন আবার যদি পূর্ণ তাকে কোনো ব্লেইম দিয়ে বসে?
পূর্ণ নিজের কাজে ডুবে ছিলো। আর্শি আর নিহু একটা কাশি দিয়ে পাশে দুটো চেয়ার টেনে বসে পড়লো। তবুও পূর্ণের বোধ নেই। কে পাশে আসছে, যাচ্ছে বা বসছে সেদিকে তার কোনো মনোযোগ নেই। তার নিরবিচ্ছিন্ন মনোযোগ শুধু ল্যাপটপের স্ক্রিনেই আবদ্ধ।
নিহু হাস্যোজ্জল মুখে উচ্ছ্বসিত চিত্তে বলে উঠলো,

” পূর্ণ জানিস কি হয়েছে? ”

পূর্ণ চুপ!

এবার আর্শি খিলখিলিয়ে উঠে সুউচ্চ স্বরে বলে উঠলো,

” পূর্ণ! জানিস কি হয়েছে?”

পূর্ণ তবুও বিড়বিড় করে ল্যাপটপের স্ক্রিন পড়ছে আর দ্রুতবেগে কিবোর্ড চাপছে তো চাপছেই।

আর্শি আর পূর্ণ দুজনেরই বিরক্তি এবার তুঙ্গে।
আর্শি রাগ করে এবার পূর্ণের মাথার চুলগুলো সব এক ঝটকায় এলোমেলো করে দিলো। এবারে পূর্ণের হুঁশ এলো।

সে সজোরে ক্রোধের সাথে চিৎকার করে উঠলো,

” আরে! ধুত্তরি! কি ছাই করিস এসব?”

পূর্ণের এত জোরে চিৎকার শুনে আর্শি আর নিহু মন বেশ খারাপ করে ফেললো। পূর্ণ এবার বুঝতে পারলো যে সে কাজটা খুব বাজেভাবে করেছে। ল্যাপটপের স্ক্রিন হতে চোখ সরিয়ে সে আর্শি আর নিহুর দিকে তাকালো । তার বকুনি খেয়ে মেয়ে দুটোর চোখে মুখে রাজ্যের সঙ্কোচ আর বিতৃষ্ণা এসে ভীড় করেছে। ওরা স্থান ত্যাগেও উদ্যত হয়েছে।

পূর্ণ অনুনয়ের স্বরে ওদের বলে উঠলো,

” স্যরি রে! আমি হাইলি কনসেন্ট্রেটেড ছিলাম, আর তোরা এসে আমার কনসেন্ট্রেশন পুরাই নষ্ট করে দিয়েছিস, সেজন্যই তো রাগ হয়েছিলাম!”

আর্শি আর নিহু মুখ বেজার করে অন্যদিকে চেয়েছিলো। পূর্ণ এবার হাত জোড় করে তোষামেদ করে বললো,

” স্যরি রে! জানিস ই তো কি পরিমান কাজের প্রেশারে থাকি, তার উপর আবার জুনিয়রদের এসাইনমেন্ট ও করে দিচ্ছি, তাই গত কয়েক রাত ধরেই ঘুমাতে পারিনা, রাত দিন শুধু এসবই করি!”

নিহু নিজের মুখ কিছুক্ষণ খিঁচে ধরে রেখে পরে স্বাভাবিক করে বলতে লাগলো,

” জানি, অনেক প্রেশারে থাকিস তুই, তাই বলে আমাদেরকে তুই এভাবে এভয়েড করতে পারিস না দোস্ত! আফটার অল, সেই ফার্স্ট সেমিস্টার থেকেই আমরা একে অপরের সুখে দুখে বিপদে আপদে একসাথে আছি, এখন তুই নাহয় একটু বেশিই বিপদে আছিস, তাই বলে কি আমরা তোর বন্ধুরা এতই ফেলনা হয়ে গিয়েছি যে, আমাদেরকে পাঁচ পয়সা মূল্যও দিবি না, কিচ্ছু শেয়ার করবি না, আর একা একাই স্ট্রাগল করে করে নিজের ফিউচার গড়বি? তোর কষ্ট কমানোর কোন দায়িত্ব কি আমাদের নেই? আমরা কি কিছুই করতে পারিনা তোর জন্য?”

পূর্ণ ওদের বললো,

” অনেক করেছিস তোরা এই হীন বন্ধুর জন্য, একটা কিছু চিনতাম না, এই ঢাকা শহরের, তোরা সব চিনিয়েছিস, টাকা পয়সা ধার দিয়ে কিংবা টিউশনি দিয়ে, ফরমাল ড্রেস দিয়ে কিংবা ল্যাপটপ দিয়ে আর সবচেয়ে বড় মানসিক সাপোর্ট দিয়ে…আসলে তোরা যা দিয়েছিস, তা আর কোনো বন্ধুরাই হয়তো তাদের বন্ধুর জন্য করে না…কিন্তু আমিই তোদের মূল্যায়ন করতে পারিনি…”

আর্শি এবারে মুখের হাসি বড় করে বলে উঠলো,

” তুই জানিস না রে, তোর একটা জব হয়েছে, ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েই তুই ওখানে জয়েন করতে পারবি!”

পূর্ণ উচ্ছ্বসিত হয়ে বলে উঠলো,

” হাউ পসেবল?”

আর্শি এবার আরাধ্যাকে ডাকলো।

আরাধ্যার দিকে পূর্ণ তার পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকালো এবার। আশ্চর্য! প্রচন্ড ছটফটে আর দুরন্ত মেয়েটা আজ লাজুক চাহুনী দিচ্ছে! মেয়েটাকে তো চেনাই যাচ্ছে না। আগে যেখানে মেয়েটার চেহারায় ও পোশাকে মেয়েলি কোনো ভাবই ছিলো না, এখন সে পুরাদস্তুর ই মেয়ে মানুষ। পড়নে থ্রি পিস, পায়ে হিল, কানে কানের দুল আর হাতে স্টোন বসানো চুড়ি!
পূর্ণ আরাধ্যার পা থেকে মাথা পর্যন্ত চোখ বড় বড় করে চাইলো।
তারপর দৃষ্টি স্থির করে একবার আরাধ্যার দিকে গাঢ় দৃষ্টি দিয়ে ওর হাতে থাকা কাগজ টা স্বিয় হাতে তুলে নিলো। দ্বীধাগ্রস্ত চিত্তে খামের একাংশ খুলেই দেখতে পেলো, এপয়েনমেন্ট লেটার এসেছে বিডি সফট টেক থেকে। এটা বাংলাদেশের একটা বড় সফটওয়্যার নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান। তারা একদম ফ্রেশার জনবল নিয়োগ দিচ্ছে তাদের কোম্পানিতে। আর্শি পূর্নের কাঁধে একটা ঝাঁকুনি দিয়ে বললো,

” কনগ্রেচুলেশন পূর্ণ! ওরা তোকে সিলেক্ট করেছে রে! ”

পূর্ণ চোখ কপালে তুলে বললো,

” ফাইনাল রেজাল্ট আসার আগেই ওরা আমাকে কিভাবে সিলেক্ট করলো?’

নিহু জানালো,

” তাতে কি? যাদের অন্তত:পক্ষে পঞ্চাশ ক্রেডিট সম্পন্ন হয়েছে, তারা সবাই এপ্লাই করতে পেরেছে!”

পূর্ণ বিশাল বিস্ময় নিয়ে বললো,

” হোয়াট! কিন্তু আমি তো এপ্লাই ই করিনি!”

আর্শি একগাল হেসে জানালো,

” তাতে কি? তোর এ পর্যন্ত পাওয়া সকল পরীক্ষার মার্কশীট তুলে তোর হয়ে আমাদের আরাধ্যাই এপ্লাই করে দিয়েছে, আর তোর যা রেজাল্ট। সবি তো ফোর আউট অব ফোর, তোকে কে আটকায়?”

পূর্ণ হাসবেই নাকি কাঁদবেই তা নিজেই বুঝতে পারছিলো না।

আরাধ্যা এবার মুখ খুললো,

” ওরা তোকে অলরেডি হায়ার করে নিয়েছে। ফাইনাল এক্সামের আগের এই তিন/চারমাস তোকে ওরা হাফ সেলারি দিবে, তোকে মাত্র দু ঘন্টা করে ওদের জন্য কাজ করতে হবে, সো তোর পার্ট টাইম জব আর টিউশনি গুলো এখন বাদ! ”

খুশিতে পূর্ণের চোখ দুটি টলমলে হয়ে এলো।

যে পূর্ণ জড়িয়ে ধরার অপরাধে আরাধ্যের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলো, আজ সে আরাধ্যাকেই কাঁদতে কাঁদতে জড়িয়ে ধরলো।
.
.

গোধূলী লগ্নে আর্শি আর অপরাজিতা দু মা মেয়ে বসে কফি খাচ্ছিলো ব্যালকনিতে বসে।

আর ছোটোখাটো গল্প গুজব।

ঠিক সেই সময় এষ এলো পেছন থেকে। উল্লাস করে বলে উঠলো,

” ফুপি, তোমার ভাই আর ভাবী দেশে আসছে!”

অপরাজিতা এষের দিকে ঘুরে তাকালো।

” সে বেশ! তো কি হলো? আমেরিকার আরাম আয়েশ ছেড়ে এদেশের আলো বাতাসে তারা আর কি করতে আসছে?”

এষ অভিমানের ভঙ্গিতে বললো,

” ফুপি তুমি আমাকে একদমই বোঝো না! আর কত দেরি করবে তুমি? এই যে হাত দুটো পেতে আমি তোমার চরন তলে বসে গেলাম, এবার তো আর্শিকে আমাকে ভিক্ষে দাও…! আর কত অপেক্ষা করাবে?”

অপরাজিতা এষের এরকম বাণি শুনে খিলখিলিয়ে হেসে দিলো। আর আর্শি যার পর নাই লজ্জা পেয়ে গেলো। তবে সে অন্যদিকে মুডে চুপ করে রইলো।

অপরাজিতা এষকে একহাত ধরে পাশেই টেনে বসালো। মাথায় একটা হাত রেখে বললো,

” যাহ পাগল! আমি তো বলেছিলাম ই, তোরা দুজন ঠিক থাকলে আর কে কাকে আটকায়? তোর বাবা মা ও রাজী ছিলো না, এখন রাজী হয়েছে, তবে তুই একটা কথা শুনিস না তাদের! আট টা মাস যাবত এ দেশে এসে বসে আছিস!’

এ্ষ রাগত স্বরে বললো,

” ফুপি, তুমিও এসব বলো, সেই আজ থেকে না, আজ দশটা বছর থেকে আমি তোমার আর্শির পেছনে চড়কির মতো ঘুরছি, আর তুমি কিনা? আর বাবা মায়ের কোন কথাটা আমি শুনিনি? তারা আমেরিকায় স্যাটেল হতে বললো, হলাম, বড় ভার্সিটি হতে বড় ডিগ্রি নিতে বললো, নিলাম,। আর ছোটো থেকে কোন বিষয়টায় তাদের অবাধ্য হয়েছি? তবে আর্শির ব্যাপারে আমি কোনোমতেই সেক্রিফাইস করতে পারবো না, জানিয়ে দিলাম। প্রথমে তারা আর্শিকে মেনে নিলো না, তাই তাদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করলাম, কারন ততদিনে আর্শি আমার অন্তরের সাথে মিশে গেছে। ওকে ছেড়ে দেওয়া আর জান ছেড়ে দেওয়া একই কথা। আর এখন চাপে ফেলেছি বলেই তারা আর্শিকে বিয়ের বিষয়টা মেনে নিয়েছে। আর দেশে ফিরেই ওরা তোমার সাথে এ বিষয়ে ডিটেইল আলোচনা করবে। তো তোমার হবু মেয়ে জামাই আমি। আজ থেকে আমার জামাই আদর করবা বুঝলা?”

অপরাজিতা হেসে দিলো, এষের এরকম পাগলামী মার্কা কথাবার্তা শুনে।

” তোরা গল্প কর, আমার আর্জেন্ট কাজ আছে!”

বলেই স্বল্পভাষী অপরাজিতা স্থান ত্যাগ করলো।

আর এষ আর্শির আধা খাওয়া কফির মগে চুমুক দিয়ে বললো,

” আহ! কি মধু! তোর এঁটো কফিটা!”

আর্শি আর কিছু বলবেই ঠিক তখনি এষ ওকে কোলে তোলে নিয়ে নিলো। আর্শির কিছু বলার কোনো সুযোগ ই নেই।

এষ ই বলে চললো,

” আমদের বিয়ের আর দেরি নাই রে! চল! বাসর রাতের একটা ট্রায়াল দেই!”

(চলবে)