একি বন্ধনে জড়ালে গো বন্ধু পর্ব-০৮

0
11

#একি_বন্ধনে_জড়ালে_গো_বন্ধু
#অষ্টম_পার্ট
#কাজী_সানজিদা_আফরিন_মারজিয়া

প্রথম ক্লাসটা করে মুনমুনদের পুরো গ্যাংটা ডিসাইড করল তারা কলেজ বাঙ্ক দিবে। এই দলে আরো আছে আদিল, সোহেল, সায়মা, রূপা, মিয়াদ আর লাবণ্য। দলের নেতা ধরা হয় মিয়াদ আর সোহেলকে। যত ধরনের বদমাইশি বুদ্ধি আছে সব বের হয় এই দুইটার মাথা থেকে। রূপার ভাষ্যমতে, “সোহেল আর মিয়াদের শিরায় শিরায় শয়তানি। উঠতেও শয়তানি, বসতেও শয়তানি। অর্থাৎ শয়তানি স্কোয়ার।”
কথাটা খুব একটা ভুল বলেনি মেয়েটা।

সর্ব প্রথম মিয়াদ বলল, “আজকে শাহরিয়ার স্যারের ক্লাস করব না। হুদাই আমারে বকাঝকা করে!”
তারপর মুনমুনকে উদ্দেশ্য করে বলে, “এই মুন? তোর ভাই আমারে ছাড়া ক্লাসে আর কাউরে দেখে না? কি যে শত্রুতা আমার লগে! আজ তোর বাটপার ভাইয়ের ক্লাস ক্যান্সেল।”
মুনমুন প্রথমে প্রতিবাদ স্বরূপ বলল, “দেখ মিয়াদ? আমার ভাইয়াকে নিয়ে ফাও কথা বলবি না।” পরে বুঝাতে চাইল, “ভাইয়ার ক্লাস মিস করাটা রিস্ক হয়ে যাবে। ভাইয়ার যা বুদ্ধি, নির্ঘাত ধরে ফেলবে।”

মিয়াদ বলল, “তুই ভাই, গেলে চল। না গেলে তোর ভাইয়ের ক্লাস, তুই কর। আমি করবো না মানে করবো না। ডিসিশন ফাইনাল।”

মুনমুন ইতস্তত করে এক প্রকার বাধ্য হয়ে রাজি হলো। কিন্তু বেঁকে বসলো লাবণ্য। সে যাবে না।

সোহেল বলে, “এই এক সাধু-সন্ন্যাসী! তোরে ভাই আমরা এদ্দিনেও মানুষ করতে পারলাম না। ঢংয়ের একদম বাজার খুইলা বসছে। চল ভাই, চল। ঢং করিস না।”

লাবণ্য বলে, “না।”

আর সবাই জানে, লাবণ্য যখন একবার না বলেছে, তখন না-ই থাকবে। এই মেয়েটা যেমন ওদের টিমের সব চাইতে নরম মনের ঠিক তেমনি ত্যাড়া স্বভাবের। নিজের কথার নড়চড় সে খুব কমই করে।

লাবণ্যকে বাদ রেখেই তারা ঘুরার উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়ে। একটা ক্লাস ফাঁকি দেয়ার কথা বলে, সারাদিন ঘুরাঘুরি করে। কলেজ ড্রেস পরিহিত বিচ্ছু দল শহরের এ-মাথা হতে ও-মাথা দাঁপিতে বেড়ায়। কিছু উৎসুক জনতা আড়চোখে দেখে৷ কেউ কেউ সমালোচনা করে, “দেশটা রসাতলে যাচ্ছে! পোলাপান পড়াশোনায় চাঙ্গে উঠায়ে ফেলতেছে৷ দেশের ভবিষ্যৎ কই? সব অন্ধকার।”
কারো কোনোরূপ মন্তব্য এই দস্যিবাহিনীকে স্পর্শ করে না। তারা ছন্ন-ছাড়া, বাঁধন-হারা।
তারা সব বাঁকা, বাঁকা দৃষ্টি এড়িয়ে সিনেমা দেখে, রেস্টরন্টে যায়, সেলফি তোলে। হৈ-হুল্লোড় করে। সেলফিতে সে কি হাস্যকর পোজ একেকজনের!

এর মাঝে বেখেয়ালি রূপা রোড পার হতে গিয়ে রিকশার সাথে আঘাত পেয়ে হাত কেটে ফেলে।
সে আরেক হুলুস্থুলে কান্ড। জনতা সবাই রিকশা ওয়ালাকে বকে। আদতে বেচারাকে তেমন দোষ দেয়া যায় না।
দস্যিবাহিনী যথাসম্ভব সে স্থান ত্যাগ করে। ফাস্ট এইড এর জন্য পাশের এক ক্লিনিকে যায়৷ আদিল ফট করে বলে, “তুই হলি সিলভার, সিলভারের মতো থাকবি। কথায় কথায় হাত পা কেটে ফেলিস, হোয়াট কাইন্ড অব কাজকারবার দিজ ইজ!”

বাকি সদস্যরা কিটকিট করে হাসে। রূপা চোখমুখ বিক্রীত করে বলে, “দেখ আদির বাচ্চা? তোরে একশ দিন বলছি, আমারে সিলভার কইবি না। ভাল্লাগে না একদম।”
আদিল উল্টো মুখ ভেঙিয়ে ব্যাঙ্গ করে বলে, “বাল্লাগে না এগডম!”
পুনরায় সেই স্থলে হাসির হিল্লোল পড়ে যায়।

মুনমুন ঘড়ি দেখে কিঞ্চিৎ চিন্তিত হয়ে বলে, “এই গাইজ! এবার চল। দেরি হয়ে যাবে নাহয়। ভাইয়া টের পেলে মেরে ফেলবে আমারে।”
বাকি মেয়ে দুটো সম্মতি দিলেও ছেলেগুলো যেন তোয়াক্কাই করলো না। মিয়াদ এক মেয়েকে দেখিয়ে বলল, “জনগণ দেখ, মাইয়াটা কি জোশ! ক্রাশ খেয়ে গেলাম ঠাস করে!”
মুনমুন কিড়মিড় করে তাকায়। মিয়াদ বলে, “এমনে তাকাস ক্যান? সুন্দররে সুন্দর কইতারমু না? সুন্দররে সুন্দর না কওয়া বরং অন্যায়, তুই জানস না?”
মুনমুন ছোট মানুষ আবেগ বেশি৷ সে তার এই নড়বড়ে কম বয়সী সম্পর্ক নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত সিরিয়াস। ওর মুখ চুপসে যেতে দেখে মিয়াদ চুপ হয়ে গেল। সোহেল আগুনে ঘি ঢালতে সুর করে বলে, “লেগেছে, লেগেছে, লেগেছে আগুন…”

মুনমুন কাটখোট্টা কন্ঠে বলে, “আমি যাচ্ছি, কেউ গেলে আয়, না গেলে থাক।” বলেই হাঁটা ধরে।

মিয়াদ পেছনে যেতে যেতে ডাকে, “জান! দাঁড়া একটু, আমিও যামু তো।”
ওদের পেছন পেছন বাকিরাও হাঁটা ধরে। যেন এক ঝাক মৌমাছি সব!
.
মুনমুন যখন বাসায় ফিরল তখন শেষ বিকেলের আলো এসে ঘরদোরে লাগে। গাছের পাতা ঝিমিয়ে আসে।
মুনমুন ভয়ে ভয়ে কলিংবেল বাজাতে গিয়েও বাজায় না। দরজায় দুবার কড়া নাড়ে। মুনমুনের চিন্তাকে অতিক্রম করে দরজা খুলে যায়। যেন দরজা খোলার জন্যই প্রস্তুত ছিল।
কথায় আছে না? ‘চোরের মনে চুরি’…..মুনমুনের দশাও ঠিক তাই হলো। অন্যায় আড়াল করা হাসি হেসে পুষ্পি কিছু বলার আগেই ফিসফিসিয়ে বলল, “ভাবি, চুপ। কথা বোলো না। আজ একটু লেইট হয়ে গিয়েছে। কেন হয়েছে তোমায় পরে বলছি। ভাইয়া আসেনি তো না? থ্যাংক’স টু আল্লাহ।”
পুষ্পি ধীর কন্ঠে বলে, “কই গিয়েছিলা?”
মুনমুন বলে, “পরে বলছি ভাবী। আগে আমাকে ভেতরে যেতে দাও প্লিজ।”
পুষ্পি দরজার কাছ থেকে সরে দাঁড়ায়। মুনমুন ভেতরে ঢুকেই হতভম্ব। মা এবং ভাই ড্রয়িংরুমে। শাহরিয়ার যে এই সময়ে বাসায় থাকবে মুনমুনের কল্পনাতেও ছিল না।

ইতস্তত করে শাহরিয়ারের দিকে চায়। চোখমুখ লাল হয়ে আছে মানুষটার। মুনমুনের গলা শুকিয়ে আসে।
শাহরিয়ার ধীর অথচ দৃঢ় কন্ঠে বলে, “মা? তোমরা ভেতরে যাও। তুমি, আব্বা, তোমরা যথেষ্ট প্রশ্রয় দিয়েছ এযাবৎকালে। ভুল আমারও, আমিও দিয়েছিলাম অতিরিক্ত প্রশ্রয়। যার ফলে দুঃসাহস বেড়ে গিয়েছে। ভুল করেছিলাম। সবাই সব কিছুর প্রাপ্য না।”

পুষ্পি নিজেও তার স্বামীর এই রাগান্বিত মুখ প্রথম দেখল। তার রসিক, ধৈর্যশীল স্বামী রেগে গেলে যে কেমন ভয়ংকর হতে পারে তার খানিক ধারণা করতে পেরেই শিউরে ওঠে। শাহরিয়ারের কাছ ঘেঁষে গিয়ে দাঁড়ায় ঝটপট।
নিচু স্বরে কয়, “আপনি আগেই ওকে বকাঝকা করবেন না প্লিজ৷ আগে ওর কথা শুনুন।”

শাহরিয়ার এমন প্রতিক্রিয়া দেখাল যেন পুষ্পির কথা শুনতেই পায়নি। প্রচন্ড গম্ভীর হয়ে ডাকল, “মুন? এদিকে আয়।”
মুনমুন আগের স্থানেই দাঁড়িয়ে থেকে হাত কচলাতে কচলাতে বলে, “ভাইয়া….আমি…”

“এদিকে আসতে বলেছি।” প্রচন্ড জোর দিয়ে বলায় চমকে ওঠে মুনমুন। সেই সাথে পুষ্পিও।

কিন্তু এবার আর ভাইয়ের আদেশ অমান্য করতে পারে না মুনমুন। সে ভাইয়ের কাছে গিয়ে কেবল “ভাইয়া…” বলার সুযোগ পেয়েছে৷ আর কিচ্ছু বলার সুযোগ পায়নি৷ সঙ্গে সঙ্গে সজোরে এক ‘চপেটাঘাত’ এসে লাগে গালে।
মুনমুন নিজের অবস্থান হতে খানিক সরে যায়। গালে হাত রেখে ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে সঙ্গে সঙ্গে।
পুষ্পি দ্রুত গিয়ে ধরে ফেলে মুনমুনকে৷
সে আহত, বিস্মিত, হতভম্ব স্বামীর এহেন কর্মকান্ডে। এ কেমন ভিন্ন রূপ মানুষটার!

চড়টা মেরেই হনহনিয়ে স্থান ত্যাগ করল শাহরিয়ার।
পুষ্পি উপস্থিত বুদ্ধিমত্তার সহিত মুনমুনকে যথাসাধ্য সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করল। মুনমুন এই প্রথম যে শাহরিয়ারের শাসনের শিকার হয়েছে তা না। কিন্তু কলেজে উঠার পর অনেকখানি স্বাধীনতা সে পেয়েছিল। এবার বোধহয় পুনরায় তার স্বাধীনতায় শিকল পড়তে যাচ্ছে৷ মনটা প্রচন্ড ভেঙে পড়ে। ভাইয়ের এমন আকস্মিক শাসনও মেনে নিতে পারছে না। আবেক প্রবণ মেয়েটা এক সাগর আবেগে ভেসে যেতে লাগল অনায়াসে।
পুষ্পি বারবার করে বুঝাল, “তোমার ভাই-ই তো। এত কষ্ট পেও না৷ সে নিজেও অনেক কষ্ট পেয়েছে তোমার কাজে। আশাহত হয়েছে। কত দুশ্চিন্তা করেছে জান? ফোনটাকেও বন্ধ করে রেখেছ। তোমার কোনো বন্ধুকেউ কানেক্ট করা যাচ্ছিল না। লাবণ্যও প্রপার লোকেশন বলতে পারছিল না। তাঁর রেগে যাওয়াটা কি স্বাভাবিক নয়, বলো? তুমি তো তাঁর খুব আদরের তাই একটু রিয়্যাক্ট করে ফেলেছে। আর কেঁদো না প্লিজ।”

মুনমুন নিজেও বুঝতে পারছে ভাইয়া কষ্ট পেয়েছে। তাও এই আকস্মিক শাসন এক্সেপ্ট করতে পারছে না।
পুষ্পি মুনমুনকে শান্ত করে ওর রুমে রেখে, নিজে নিজের রুমে আসে। হঠাৎ-ই শাহরিয়ারকে তার ভয় লাগছে।
শাহরিয়ার মাথায় হাত রেখে খাটের এক পাশে বসেছিল। রুমে পিনপতন নিরবতা। পুষ্পি পানির গ্লাসটা টি-টেবিলের উপর রেখে শাহরিয়ারের পাশে বসে। দৃষ্টি আকর্ষণ এর জন্য একটা কাশি দেয়।
শাহরিয়ার খুব তীক্ষ্ণ কন্ঠে বলে, “দিন দিন একটা বেয়াদব তৈরি হচ্ছে।” বলতে বলতেই রাগে শ্বাস ভারি হয়ে আসে।
পুষ্পি অনেকক্ষণ সময় নিয়ে বলে, “তাই বলে এভাবে রিয়্যাক্ট করবেন! ছোট মানুষ, ভুল করেছে, বুঝিয়ে বলতেন! কত কষ্ট পেল মেয়েটা।”

শাহরিয়ার পুনরায় ক্ষেপে যায়। কিন্তু তাও নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করল কেন যেন। বলল, “পুষ্প, প্লিজ একটা কথাও বলবে না ওর হয়ে৷ আমাকে ঠিক-ভুল শিখাবে না।”

যে মেয়েটা সচরাচর রাগে না সেই মেয়েটারও এবার যেন ক্ষীণ রাগ জন্মাল। খানিক প্রতিবাদের সুরেই বলল, “আপনি কি ভুলের উর্ধ্বে মানুষ? আপনি কখনো ভুল করেননি? ও ছোট মানুষ….”

পুষ্পি কথাটা শেষ করতে পারল না। বিকট আওয়াজে কাচের গ্লাসটা মেয়েটার চোখের সামনে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেল।
পুষ্পি চমকে উঠল, থমকে গেল। এই মানুষটা…..!

শাহরিয়ার পুষ্পির চমকানো কিংবা থমকানো, কিছুর-ই তোয়াক্কা করলো না। বরং রুম থেকে অথবা বাসা থেকেই বেড়িয়ে গেল।
অথচ অন্যদিন এই মানুষটাই ওর সামান্য বিষন্নতায়ও বিচলিত হয়ে উঠত! মানুষের এমন বহুরূপী স্বভাবের ব্যাপারে বিন্দুমাত্র ধারণা ছিল না পুষ্পির।
মেয়েটার নিজেরও এবার খুব কান্না পেল। ওর সাথে কেন এত রাগ দেখাল? কী এমন বলেছে ও?

সারা সন্ধ্যা বাড়িটা নিশ্চুপ, নিরবতায় কাটল। পুষ্পি কাচগুলো তুলে পরিষ্কার করলো। খুব কষ্ট হলো তখন।
একবার গিয়ে মুনমুন এর সাথে দেখা করে এলো। অনেক কথা বলে মেয়েটার মন ভালো করার চেষ্টা করল। মাঝেমধ্যে ঠিক-বেঠিক বুঝাল।
মুনমুনকে স্বাভাবিক করল ঠিক তবে নিজের মনটা হয়ে রইল বিষন্ন।
শাহরিয়ার রাতে খেল নিশ্চুপ ভাবে। পুষ্পি একবার ভাবল খাবে না সে। কিন্তু সমস্যা একটাই, খুদা সহ্য করতে পারে না। তাই বাধ্য হয়ে খেয়েছে, নয়ত কিন্তু খেত না!

রুমে এসে অন্যদিন শাহরিয়ার কিছুক্ষণ বই পড়ে, তারপর পুষ্পির সাথে গল্প করে, এরপর ঘুমায়।
কিন্তু আজ রুমে এসেই ডিরেক্ট শুয়ে পড়ল।

মুখের ভাবভঙ্গি যথেষ্ট গম্ভীর। চোখ বুজে কপালে হাত রেখে বলল, “পুষ্প, মাথাটা একটু টিপে দাও তো।”
পুষ্পি চুলে বেনী করছিল। রাতে ঘুমানোর আগে এটা তার নিত্যদিনের কাজ। বিনুনি আটকাতে আটকাতে ভ্রু কুঁচকে চায় শাহরিয়ারের দিকে। লোকটার হাবভাব এমন যেন বিকেলের ঘটনা তার স্মৃতি থেকে আউট হয়ে গিয়েছে!
পুষ্পির অভিমানী মন এবার যেন বেশ সুযোগ পায় অভিমান করতে। ঠিক করে, একটা কথাও বলবে না মানুষটার সাথে৷ তার কি একা রাগ আছে শুধু? ওর নাই?
মনে মনে বলে, নিজের মাথা নিজে টিপুন। কেউ আপনার মাথা-টাথা টিপে দিতে পারবে না।

মনের কথা মনে রেখে বাস্তবে নির্লিপ্ত হয়ে বসে থাকে।
শাহরিয়ার পুনরায় চমৎকার অনুনয় করে বলে, “খুব ব্যথা করছে মাথাটা। একটু মাথায় হাত রাখো, প্লিজ।”
আশ্চর্যজনক ভাবে পুষ্পির মন মোমের মতো গলতে শুরু করে। যেমন ভয়ংকর তার রাগ ঠিক তেমন ভয়ংকর সুন্দর তার ভালোবাসার ধরন। অদ্ভুত সুন্দর তার ছোট ছোট আবদারগুলো।
পুষ্পিকে এবারও নির্লিপ্ত হয়ে রইল বিস্ময়কর অনূভুতিতে! মানুষটা এবার আর মেয়েটার নির্লিপ্ততা সইলো না। নিজেই পুষ্পির হাত টেনে মাথায় রাখে। নিজের হাত দিয়ে ওর হাতটা মাথায় চেপে রেখে বলে, “আমি কখনোই নিজের রাগ এত দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে পারিনি এর পূর্বে। তুমি আমায় এই আসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেছ। পুষ্প? এইজন্য এই মূহুর্তে তোমাকে আমার কঠিন শাস্তি দিতে মন চাচ্ছে।”

(চলবে)…..