‘এখানে সুখ ছোঁয়া যায়’ (পর্ব-১০)
(কপি করা সম্পূর্ণ ভাবে নি’ষে’ধ।)
সাহিনুর বেগম সবে মাত্র চুলা থেকে চায়ের পাতিল নামিয়েছেন। এই দুই দিনে চা করতে করতে তিনি হাপিয়ে গেছেন। এমনিতেও বাড়ির সদস্য সংখ্যা কম না তাদের। এখন আবার অতিথি বেড়েছে অনেক। সবাই আর কিছু না খেলেও চা টা কেউই বাদ দিচ্ছে না। একেক জন একেক সময়ে চায়ের অর্ডার দিয়ে বসছে। হুটহাট নতুন নতুন অতিথিও আসছে। চা তাই বলা চলে প্রতি দুই ঘন্টা পর বা কখনো ঘন্টায় দুইবার বা তিনবার করা লাগছে। চা টা সাহিনুর বেগম চমৎকার বানান, তাই যতবারই কেউ চা খেতে চাইছে বেশির ভাগ সময় তাকেই বানাতে হচ্ছে। রান্নাঘর থেকে ছুটতে পারছেন না বেশিক্ষণের জন্য। বারবার রান্নাঘরেই আসা লাগছে। তার উপর বাড়ির বড় বউ তিনি! অবশ্য এখন আর বড় বউ নেই। আসল বড় বউ এসেই গেছেন। তবুও! এত বছর থেকে তিনিই সব সামলেছেন, সালমা কায়সার হয়তো দুদিন পর হাল ধরবেন সংসারের। তাঁর দায়িত্ব তো তা বলে কমে যায়নি। বরং এই অনুষ্ঠান, আয়োজন উপলক্ষে দায়িত্ব কিছুটা বেড়েছে। আর তিনি বরাবরই নিজের কাজ নিয়ে সচেতন। কষ্ট হলেও করে যথা সময়ে ভালোভাবে করে শেষ দিবেন। কাজ করতে তার খারাপ লাগে সেটাও না। বরং জা রা সবাই মিলে গল্প করে কাজ করতে করতে দারুন সময় কাটান। রান্নাঘরটাই তাদের সবার প্রিয় জায়গা। আজ একটু অধৈর্য হওয়ার পেছনে কারণ আছে বেশ কিছু। তার মধ্যে প্রধাণ কারণ শাশুড়ির পানের বাটাটা খুঁজে না পাওয়া। আজ এটা নিয়ে যে কোন ঝড় যেতে চলেছে এই বাড়ির উপর দিয়ে তা ভাবলেই তাঁর রীতিমতো অস্থির অবস্থা হয়। এর উপর জরিনা এসে জানিয়েছে বড় ভাবি তথা সালমা কায়সারের ছেলেটাকে নাকি চো’র ভেবে বসে আছেন আশুরা খাতুন। এই ব্যাপারটা যে আসলে কতটা বি’শ্রী হয়ে যাচ্ছে তা তো আর ব্যাখ্যা করে বলার অবকাশ রাখে না। শাশুড়িকে তিনি দুই বার বলেছেন এটা ছেলেটা করেনি, এই কাজ করে তার কি লাভ! কিন্তু শোনেনি আশুরা খাতুন। তিনি নিজের সিদ্ধান্তে অটল। বাড়ি ভরা অতিথিতে, এখন এই কাজটা করা তাদের নিজেদের জন্যই ল’জ্জার। সেটা আশুরা খাতুন বুঝতে চাইছেন না। তার এক কথা, খানদানি পানের বাটা, তার দাদী শাশুড়ির সময়ের। স্বর্ণের তৈরি। একই সাথে বাড়ির ঐতিহ্য এবং দামী বস্তু, হেলাফেলা তো নয়! তাঁর জীবিত অবস্থায় তিনি এটা হারিয়ে ফেলে অ’প’রা’ধী হতে চান না। তাই আর কী! কারো তাই কথা বলে বিশেষ লাভ হচ্ছে না। আশুরা খাতুনকেও দেখা বোঝা যাচ্ছে ভীষণ কষ্টে আছেন তিনি পানের বাটাটা না পেয়ে। সাহিনুর বেগমও চিন্তিত। কে নিতে পানের বাটাটা? কার এত বড় সা’হ’স হলো?
রিনিঝিনি নিজের রুমে গিয়ে রুমঝুমকে ঘুমাতে দেখে আর ডেকে বিরক্ত করল না। সোজা নিচে রান্নাঘরে মায়ের কাছে এলো। ছোট চাচী আর মা নিজেদের মধ্যে কি নিয়ে যেন কথা বলছেন। দুজনকেই চিন্তিত লাগছে। সে গিয়ে তার মাকে জড়িয়ে ধরল পেছন থেকে। জিজ্ঞেস করল,
-‘কি হয়েছে মা? আপসেট লাগছে কেন?’
-‘দ্যাখ না! তোর দাদুর পানের বাটাটা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মনে তো হচ্ছে কেউ চু’রি করে নিয়ে গেছে। এখন তোর দাদু সেটা খুঁজবে সব ঘরে তল্লাশি দিয়ে। সবার আগে যাবে বড় ভাবির ছেলেটার ঘরে। আম্মার ধারণা এটা ছেলেটার কাজ।’
আৎকে উঠল রিনিঝিনি। এটা হলে যে কী বি’শ্রী অবস্থা হবে ভাবতেই তার মুখটা বিবর্ণ হয়ে পড়ল।
-‘দাদী কোথায়?’
-‘উপরে গেল এই মাত্র।’
শোনামাত্রই রিনিঝিনি দেরি করল না আর এক মুহূর্ত। ছুটে চলে গেল তিন তলায়। তাদের বাড়িতে লিফটের ব্যবস্থা আছে। তার বাবা চাচারা নিজেদের মায়ের জন্য বিশেষ ভাবে লিফটের ব্যবস্থা করেছেন যেন যখন ইচ্ছে হয় উপরে যেতে পারেন, ক’ষ্ট করে সিঁড়ি না বাইতে হয়। আজ রিনিঝিনির সেই লিফটের উপরও রা’গ হচ্ছে। এটা না থাকলে দাদী কোনো ভাবেই উপরে উঠত না। দাদী কেন যে এমন করছে!
তিন তলায় রিনিঝিনি গিয়ে দেখল ইখতিয়ারের রুমের সামনে ছোট খাটো জটলা বেধে গেছে। ছোট ফুফু, বড় ফুফু, দাদী, জরিনা, আরো দুই তিন জন নিকটাত্মীয় আছেন। সবাই বোধহয় মাত্রই ইখতিয়ারের রুমে ঢুকেছে। রিনিঝিনি দ্রুত রুমে ঢুকল। দেখল বই হাতে বিছানার মাঝে বসে আছে ইখতিয়ার। এত গুলো লোককে দেখে সে যে ঘাবড়ে গেছে তাও না। বরং কৌতূহলী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আশুরা খাতুন ইখতিয়ারকে সরাসরি কিছু বললেন না। জরিনাকে বললেন,
-‘জরি খোঁজ! বাহির কর আমার পানের বাটা।’
জরিনা সাথে সাথেই এটা ওটা উলোট পালট করে খুঁজতে লাগল। ইখতিয়ারকেও বিছানা থেকে নামতে হলো এর জন্য। ইখতিয়ার রিনিঝিনির দিকে তাকাতেই ভীষণ ল’জ্জায় রিনিঝিনি মাথা নামিয়ে নিল। মনে হলো অনেক হয়েছে, এটা আসলেই আর নেওয়া যাচ্ছে না। আশুরা খাতুনকে গিয়ে বলল;
-‘দাদী! তোমার কি মাথা খা’রা’প হয়েছে? তোমার পানের বাটা নিয়ে ওনার কি কাজ বলো তো?’
আশুরা খাতুন থমথমে মুখে বলল,
-‘তুই কথা কইবি না। চুপ থাক।’
-‘আশ্চর্য! আমি কেন কথা বলব না? তুমি কি করছ তোমার আইডিয়া আছে? এই যে এত খুঁজলে পেলে? লোকটার ব্যাগ পর্যন্ত ঘাটলে! পেয়েছ? ছিঃ ছিঃ ছোট চাচা জানতে পারলে তার ল’জ্জায় মাথা কা’টা যাবে।’
কথাটা শুনে আশুরা খাতুন গম্ভীর স্বরে জানতে চাইলেন,
-‘তফুর ক’ল্লা কা’টা যাইব ক্যান? তফু কি করসে?’
রিনিঝিনি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল। দ্রুত বলে উঠল,
-‘আরে চাচার একার না। সবার মা’থা কাঁ’টা যাবে। এটা করা ঠিক হয়নি দাদী। উনি অতিথি। তোমার উচিত ক্ষমা চাওয়া।’
-‘আমি মাফ চাইতাম? আমি?’
-‘দাদী এটা কিন্তু ঠিক হয়নি। তোমরা তো পাওনি এখানে। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে এটা উনি নেন নি। তোমার ভুল হয়েছে। অবশ্যই ভুল হয়েছে।’
আশুরা খাতুন অবিশ্বাসের সহিত বললেন,
-‘তুই আমার নাতিন! তুই তো লাগতেছে আমার সতীন!’
ছোট ফুফু এতক্ষণে কথা বললেন।
-‘থাক না আম্মা! চলেন! হইছে তো। পান নাই এখানে। এবার তো শান্তি হইসে আপনার? চলেন! অন্য কোথাও খুঁজি।’
এরপর ইখতিয়ারের দিকে এগিয়ে গিয়ে বললেন,
-‘তুমি বাবা কিছু মনে করো না। আম্মার বয়স হয়েছে। এখন অনেক কিছুই ভালো মন্দ বিচার করতে পারেন না। কিছু মনে নিও না বাবা।’
ইখতিয়ার যেন কিছুই হয়নি এমন করে হাসল। বলল,
-‘আরে না আন্টি। আমি কিছুই মনে নেইনি। আমার ভালোই লেগেছে। কেউ দল বেঁধে আমার উপর তল্লাশি চালাচ্ছে, একটা নতুন অভিজ্ঞতা।’
ছোট ফুফু মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে রইল। সবাইকে নিয়ে চলে যাওয়ার সময় তিনি রিনিঝিনির কানের কাছে ফিসফিস করে বললেন,
-‘ছেলেটা খুব ভালো রে। দেখতে শুনতে যেমন ভালো, আচার ব্যবহারও তেমনই। এলিজার সাথে মানাবে খুব তাই না রে রিনি?’
রিনিঝিনি কথাটা শুনে একবার ইখতিয়ারের দিকে তাকালো। তারপর মাথা নাড়ল। ইশারায় বোঝালো মানাবে। ফুফু তাতে সন্তুষ্ট হয়ে গেলেন ভীষণ।
সবাই যখন চলে গেল থেকে গেল শুধু রিনিঝিনি। ইখতিয়ার নিজের ব্যাগ গুছিয়ে নিচ্ছিল তখন। রিনিঝিনি কিছুক্ষণ চুপচাপ থেকে আমতা আমতা করে বলল,
-‘আপনি দয়া করে কিছু মনে নিবেন না। আমি আমার পরিবারের পক্ষ থেকে দুঃখিত জানাই।’
ইখতিয়ার কাজ থামিয়ে তাকালো রিনিঝিনির দিকে। মৃদু হেসে বলল,
-‘ইটস্ ওকে। আমি কিছুই ভাবিনি।’
-‘ধন্যবাদ। কিছু মনে না করার জন্য সত্যিই ধন্যবাদ।’
রিনিঝিনি চলে যাওয়ার জন্য উদ্ধত হতেই পেছন থেকে ইখতিয়ার বলল,
-‘কিছু যে একেবারেই মনে নেইনি তাও কিন্তু না।’
রিনিঝিনি চমকে উঠে পেছনে ফিরল। ইখতিয়ার মুঁচকি হেসে বলল,
-‘দাদী কে এত ক’ষ্ট কেন দিচ্ছেন? বোঝাই যাচ্ছে প্রিয় জিনিস না পেয়ে খুব ক’ষ্টে আছেন তিনি। দিয়ে দিচ্ছেন না কেন জিনিসটা?’
রিনিঝিনি কিছু বলতে পারল না। এটা বোধ হয় সবচেয়ে বড় চমক ছিল তার জন্য। আশ্চর্য! তার বাড়ির লোক ধরতে পারল না ব্যাপারটা অথচ ইখতিয়ার ধরে ফেলল!
রাতের তখন বারোটা প্রায়। বাড়ি কিছুটা নিরব। সবাই খাওয়া দাওয়া করে শুয়েছে , আশুরা খাতুনকেও ঘুমের ঔষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়ানো হয়েছে। সারাটা সময় চিন্তায় কাটিয়ে নিজের শরীর প্রায় খা’রা’প করে ফেলছিলেন তিনি। রিনিঝিনিও ভাবল এমন করা আর ঠিক হচ্ছে না। সকাল হোক দিয়ে আসবে এক ফাঁকে। রিনিঝিনি ডাইনিং এ বসে ছিল। মূলত অনিরুদ্ধ কখন আসবে সেই অপেক্ষায় আছে সে। খাবারও খায়নি তাই। জরিনা কাজ শেষ করে শুতে যাবে তখন। রিনিঝিনিকে বসে থাকতে দেখে সেও পাশের চেয়ার টেনে বসল। বলল,
-‘দেখসেন বড় আফা! আইজ হইল টা কি? আমারে কয় আমি চু’র! আপনে কন আমি চু’র?’
রিনিঝিনি কিছু বলল না। তার বিরক্ত লাগছে। জরিনা জোর করতে লাগল,
-‘কন আফা! কইতেই হইব। আপনে না কইলে আইজ আমার শান্তি হইত না। কন আপনে!’
-‘কি বলব?’
-‘আমি চু’র কিনা হেইডা কন!’
-‘না; তুই ডা’কা’ত!’
পরের কথাটা রিনঝিনি ফিসফিস করে বলল। জরিনা শুনতে পেল না। সে না শুনেই খুশিতে আত্মহারা। হঠাৎ জরিনা কেমন যেন গম্ভীর হয়ে উঠল। একটা ক্রো’ধে যেন ফেঁ’টে পড়ছিল সে। চোখ ছোটছোট করে সে বলতে লাগল,
-‘যে চু’ন্নির ঘরের চু’ন্নি এই কাম করসে হেই চু’ন্নির হাতে ঠোঁসা উইঠা যাক। এমন ঠোঁসা উঠুক চু’ন্নি যেন আর চু’ন্নিগিরি না করতে পারে। আমি জরিনা এই ব’দ দোয়া দিলাম। আমার ব’দ দোয়া কারেন্টের মতোন কাম করে। কইছি, হইয়া যাইব ইনশাআল্লাহ্!’
এমন অ’ভি’শা’পের কথা শোনার পর ঘাবড়ে গেল রিনিঝিনি। নিজের দুই হাতের তালু মেলে ধরে ভালো মতো পরখ করল। জরিনা বিরক্ত হলো সেটা দেখে। বলল,
-‘আহ! আপনেরে কি কইসি? আপনে আপনার হাত দেখেন ক্যান! আপনেরে তো আমি দোয়া করি। আপনের হাতে আল্লাহ্ বরকত দান করুক। আপনার হাতে ভালা ভালা কাম হক। আপনের ভালা একখান বিয়াও হক। আমার দোয়া ঠা’ডার মতো কাম করব ইনশাআল্লাহ্!’
জরিনা চলে গেল। রিনিঝিনি বসে রইল। ভাবতে লাগল জরিনার ব’দ দোয়া নাকি দোয়া কোনটা তার উপর কাজ করতে চলেছে?
অনিরুদ্ধ চৌধুরী বাড়ির গেটের কাছে এলো রাত বারোটা বাজার পরে। আসলে সে আসবে কি আসবে না এই ভেবেই সময় পার করে দিয়েছিল। এখনও ভাবছে যাবে কিনা! বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর তার মনে হলো না যাওয়াই ভালো হবে। তাই চলে আসতে নেয়। রিনিঝিনির ডাক শুনতে পায় তখনই।
-‘আপনি কোথায় যাচ্ছেন?’
অনিরুদ্ধ আড়ষ্ট গলায় বলে,
-‘আমার মনে হচ্ছে বাড়ি ফিরে যাওয়া দরকার। কাল আসব না হয়!’
রিনিঝিনির কি যে হলো! একই সাথে অভিমান আর কোন অধিকারের বলে কে জানে! সে বলে উঠল,
-‘না! আপনি যেতে পারেন না।’
অনিরুদ্ধ এতে খুবই অবাক হলো। বলল,
-‘কেন?’
-‘আমি অপেক্ষায় ছিলাম আপনার জন্য!’
এবার যেন অনিরুদ্ধ বড় একটা ধা’ক্কা খেল! রিনিঝিনি তার জন্য অপেক্ষায় ছিল? কিন্তু কেন? মেয়েটা তার জন্য অপেক্ষা করবে কেন?
-‘আপনি অপেক্ষায় ছিলেন আমার জন্য?’
-‘হু।’
-‘কেন? আমি বলেছিলাম অপেক্ষা করতে? তাছাড়া আমার জন্য আপনার অপেক্ষা করার তো কিছু নেই।’
-‘আপনার জন্য নেই মানে এই নয় আমার জন্যও নেই।’
অনিরুদ্ধ ভ্রু কুঁচকে তাকাতেই রিনিঝিনি তাড়াতাড়ি করে বলল,
-‘আমার একটা দায়িত্ব আছে। আমি বড় মাকে কথা দিয়েছিলাম। আশ্বস্ত করেছিলাম আপনি থাকবেন। তাই!’
অনিরুদ্ধ বুঝতে পারল। বলল,
-‘ওহ, স্যরি। একটু রুড হয়ে পড়েছিলাম।’
-‘আসুন না! দাঁড়িয়ে আছেন কেন?’
অনিরুদ্ধ এগিয়ে এলো। দুজনে পাশাপাশি হাঁটতে লাগল। আজ আকাশে বড় চাঁদ উঠেছে। স্নিগ্ধ আলো চারিপাশে। অনিরুদ্ধ সেই স্নিগ্ধ আলোয় রিনিঝিনির মুখের দিকে তাকালো। রিনিঝিনিকে মিষ্টি দেখতে লাগছে। তার বেশ ভালো লাগল, তবে তার চেয়েও ভালো লাগল রিনিঝিনির কাজ কারবার। সবাইকে নিয়ে চলার মতো, সবাইকে নিয়ে বাঁ’চার মতো প্রত্যয় মেয়েটির মধ্যে। এমন ব্যক্তিত্ব অনিরুদ্ধ খুব কমই দেখেছে বোধহয়, আদৌ কি দেখেছে? রিনিঝিনি অনিরুদ্ধর দিকে তাকালো হঠাৎই। অনিরুদ্ধকে তার দিকে মদির চোখে তাকিয়ে থাকতে দেখে সে ল’জ্জা পেল। মাথা নুইয়ে ফেলল। অনিরুদ্ধর কেন যেন ব্যাপারটা বেশ ভালো লাগল। আরো কিছুক্ষণ তাকিয়ে দেখার বাসনা জাগল কিন্তু মস্তিষ্ক জানান দিল আর ঠিক হবে না। তাই চোখ ফিরিয়ে নিল দ্রুত। তবে মন পড়ে রইল অন্য কোথাও।
#চলবে।