এরই মাঝে পর্ব-১২

0
107

#এরই_মাঝে
#পর্ব-১২

সকালে দু’জন একসাথেই বেরিয়েছে। শায়লাকে ক্যাম্পাসে নামিয়ে দিয়ে রিদওয়ান গাড়ি নিয়ে চলে গেলো। সারাপথ দু’জন কেউ কারো সাথে কথা বলেনি। আসলে কি কথা বলবে কেউই ভেবে পাচ্ছিল না। শায়লা একবার মনে হলো রিদওয়ানকে সেদিনের জন্য সরি বলা উচিত কিন্তু ওর মুখ থেকে একটা কথাও বেরুল না। গাড়ি থেকে নেমে অনেকটা সময় দাঁড়িয়ে ছিলো সে। দৃষ্টি রিদওয়ানের গাড়িতে নিবন্ধিত। গাড়ি চোখের আড়ালে যাওয়া অবধি তাকিয়ে ছিলো।
“কে ছিলো গাড়িতে তোকে নামিয়ে দিলো?”
টুম্পাকে দেখে চমকে উঠলো শায়লা। পরক্ষনেই নিজেকে সামলে নিলো দ্রুত। বিয়ের ব্যাপারটা এখনই কাউকে জানাতে চায় না সে। ক্লাসের মেয়েগুলো না হয় খুব টিজ করবে। শায়লা জবাব না দিয়ে হাঁটতে শুরু করে। টুম্পা পিছু পিছু আসছে-“বললি নাতো কে নামিয়ে দিলো।”
“কাজিন।” শায়লার মুখ ফসকে বেরিয়ে এলো।
“ওহহহ। তো আগে বললে কি হতো? তোর কাজিনের সাথে প্রেম করতাম বুঝি?”
টুম্পা ঠোঁট ফুলায়। শায়লা হাটা থামিয়ে একবার টুম্পাকে দেখলো-“আগে কি করে বলবো আমিই তো কাল দেখলাম।”
“আচ্ছা! তা কেমন দেখতে তোর কাজিন?”
রিদওয়ানের পুরুষোচিত মুখায়বর শায়লার চোখের সামনে ভেসে উঠে মিলিয়ে গেলো। রিদওয়ান বেশ ফর্সা, স্বাভাবিক পুরুষালি উচ্চতা, চেহারার গড়ন ভালো। ঢাকায় বাড়ি, গাড়ি, দারুণ গোছানো পরিবার। জাকিয়া বাদে বাকী সবাই বেশ আন্তরিক যদিও দু’দিনের দেখায় কাউকে ভালো বোঝা সম্ভব না। ভাবতে ভাবতে শায়লা টের পেলো
এই রিদওয়ান ছেলেটার সাথে শায়লা কিংবা ওর পরিবারের সাথে শায়লার পরিবার কোনভাবেই যায় না। একটু ভেবেই পরিস্কার বুঝতে পারলো, এই পরিবারে শায়লা কখনোই মাথা উঁচু করেয় দাঁড়াতে পারবে না। ভাবনাটা মাথায় আসতেই মনমগজ অশান্ত হয়ে উঠলো শায়লার। তার মনেহলো এটা বিয়ে হতে পারে না কিছুতেই। কেবল দুই বুড়ো দাদু মিলিত পাগলামি হতে পারে। এরকম অসম সম্পর্ক কি শেষ পর্যন্ত আদৌও টিকে থাকে? শায়লার মনটা খারাপ হয়ে গেলো।
“কোথায় হারালি শায়লা? কাজিন দেখতে কেমন তা বলবি না বললেই হয়।”
শায়লা প্রসঙ্গ পাল্টে জানতে চাইলো-“তুই হঠাৎ ক্যাম্পাসে কি মনে করে?”
“আরে ভুলে গেছিস আজ আমাদের একটা সেমিনার এটেন্ড করার কথা? ওই যে কারিমা ম্যাডাম রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে দিলেন। তুই জানিস এটা করার জন্য কোথাও বেড়াতে যাচ্ছি না। নয়তো এতোদিনে নানু বাড়ি চলে যেতাম।”
শায়লা জিভে কামড় দিলো। আসলেও একদমই ভুলে গেছিল সেমিনারের কথা। সে কানে হাত দিলো-“সরি রে, আমি সত্যিই ভুলে গেছিলাম। চল আমার সাথে। রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বের হব।”
“কিন্তু দেরি হয়ে যাবে না?”
“উহু। আধাঘন্টা লাগবে হয়তো।”
অগত্যা টুম্পা শায়লার সাথ ধরলো। তখনকার মতো বিয়ে বিষয়ক ভাবনা মাথা থেকে সরে গেলেও পুরোপুরি মুছে গেলো না। বরং ভাবনাটা শায়লার মনে স্থায়ী আসন গেড়ে বসলো। বারবার ঘুরে ফিরে একই কথা মনে আসতে লাগলো। বিয়ে নিয়ে এতোদিন ভাবনা ছিলো কিন্তু কাল রিদওয়ান কে দেখার পর থেকেই মনেহচ্ছে। সে কিছুতেই তার মায়ের মতো জীবন চায় না। নিজের আত্মসন্মান বিসর্জন দিয়ে অসহায় হয়ে কারো দয়ায় সে বাঁচতে চায় না কিছুতেই।

নিজের মনে চলা দ্বন্দ থেকে বাঁচতেই দুইদিন পরে হুট করেই কাউকে কিছু না জানিয়ে শায়লা বাড়ি এসে হাজির। আচমকা নাতনীকে দেখে তৈয়ব মাওলানা বেজায় খুশি। তিনি ধরেই নিয়েছিলেন শায়লা আর নিজ ইচ্ছায় বাড়ি আসবে না। সকাল সকাল শায়লাকে দেখে তাই যারপরনাই আনন্দিত সে। হইচই করে বাজার করতে গেলেন। বাজারের সবচেয়ে বড় মাছ, মুরগী, গরুর মাংস কোন কিছু কিনতে বাদ রাখলো না। এতোদিন পরে নাতনি এসেছে তার খাওয়া দাওয়ার কমতি রাখবে না সে। শায়লা অবশ্য এতোকিছু টের পেলো না। সারারাত জার্নি করে এসেছে সে তাই বাড়ি ফিরেই নিজের রুমের দরজা আঁটকে ঘুম দিয়েছে। তার সেই ঘুম ভাঙলো বেলা গড়িয়ে। ঘুম ভাঙতেই টের পেলো শিয়রের কাছে মা বসে আছে। আলতো হাতে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। ভীষণ ভালো লাগলো শায়লার। টের পেলো এই স্নেহটুকুই সে মনে মনে ভীষণ মিস করেছে এতোদিন। মায়ের গায়ের গন্ধ, মমতামাখা হাতের স্পর্শ সব অনুভব করতেই শায়লা আরও কিছু সময় ঘুমের ভান করে মায়ের গায়ের সাথে লেপ্টে রইলো। অনেকটা সময় পার হওয়ার পর রুবিয়া মেয়েকে ডাকলো-“শায়লা, আমি জানি তুই জেগে আছিস। উঠবি না?”
শায়লা এবার লুকোচুরি বাদ দিয়ে মায়ের মুখের দিকে তাকালো-“বুঝলে কি করে?”
রুবিনা হাসলো-“যেমন করে তুই বুঝিস আমার মনে কি চলছে ঠিক তেমন করে। এখন উঠে পড় না মা। আমরা সবাই না খেয়ে বসে আছি তোর সাথে খাবো বলে।”
শায়লা আড়মোড়া ভাঙে-“কয়টা বাজে মা?”
“তিনটে বাজতে চললো।”
শায়লা লাফিয়ে উঠলো-“বলো কি? এতো বেলা হয়েছে?”
“হুম। আর এতো বেলা পর্যন্ত তোর দাদু না খেয়ে আছে। চল তাড়াতাড়ি।”
রুবিনা মেয়েকে তাড়া দিলো। শায়লা লাফিয়ে বিছানা ছাড়ে-“তুমি যাও মা আমি আসছি পাঁচ মিনিটে।”

নাজনীন নিজের ঘরে পান বানাচ্ছিল। দুপুরে খাওয়ার পর একটা পান না খেলে তার খাওয়া অসম্পূর্ণ মনে হয়। আজ শায়লা আসার খুশিতে তৈয়ব মাওলানাও গিন্নির কাছে পানের বায়না করলো। নাজনীন পান বানিয়ে দিতে তৈয়ব মাওলানা বললো-“জর্দা দিছো?”
“মাথা খারাপ আপনের? জর্দা খেয়ে অসুস্থ হওয়ার তাল করতেছেন? এমনেই খান, মিষ্টি মশলা দিছি।”
প্রসন্নচিত্তে পানটা মুখে পুড়ে নিয়ে শুধালেন-“নাজু, শায়লাকে দেখে কি মনে হইলো কও দেখি? জামাইকে পছন্দ হইছে ওর? তা না হইলে জামাই এর সাথে রাত কাটায়েই বাড়ি আসলো কেন?”
নাজনীন মুখ ভর্তি পানের রস চিমনিতে ফেলে বললো-“আমার কিন্তু তা মনেহয় না। অন্য কোন ব্যাপার আছে। শায়লা অতো সহজে কিছু মানার মতো মাইয়া না।”
তৈয়ব মাওলানা অবাক হলেন-“কি কও তুমি? অন্য কি ব্যাপার থাকবো?”
“আপনে ভুইলা গেছেন মনেহয়, শায়লা বাড়ি আসতে চায় নাই। আমার মনেহয় ও হুট কইরা বাড়ি আসছে অন্য কারণে।”
তৈয়ব মাওলানা বউয়ের সাথে তর্ক করতে উদ্যত হলেও পারলেন না। শায়লার গলা শোনা গেলো-“আসবো দাদাজান?”
নাজনীন তৈয়ব মাওলানাকে ইশারা করে মুচকি হাসলো। তৈয়ব মাওলানা কিছুটা বিব্রত হলো স্ত্রীর আচরণে। কেশে গলা পরিস্কার করে বললো-“শায়লা বু, আসো আসো। তোমার অপেক্ষায় ছিলাম। বসো আমার কাছে।”
শায়লা দাদা জানের পায়ের কাছে মোড়া টেনে বসলো। নাজনীনের দিকে তাকিয়ে বললো-“আমাকেও একটু পান দেন দাদীজান।”
নাজনীন নিঃশব্দে পান বানাতে শুরু করলো। শায়লা নাজনীনের পান বানানো দেখছে মন দিয়ে। আর তৈয়ব মাওলানা শায়লাকে। নিরবতা অস্বস্তি এনে দিলো ঘরে। তৈয়ব মাওলানা নিরবতা ভঙ্গ করে বললো-“শায়লা বু, শুনলাম শশুর বাড়ি গেছিলা। দেখা হইছে রিদওয়ানের সাথে?”
শায়লা বুঝলো তার দাদা ঢাকা থেকে প্রায় তিনশো কিলোমিটার দূরে থাকলেও সব খবর তার জানা। সে মাথা দুলিয়ে সায় দিলো। তৈয়ব মাওলানা তৃপ্তির হাসি দিয়ে জানতে চাইলো-“তা কেমন লাগলো নাত জামাইকে?”
শায়লা নাজনীনের হাত থেকে পান হাতে নিয়ে তৈয়ব মাওলানার দিকে তাকালো-“সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় এখনো আসে নাই দাদাজান। একবার একজনকে দেখলেই তাকে চেনা যায় না। এমনকি অনেক বছর সংসার করার পরেও না।”
তৈয়ব মাওলানা নীরব হয়ে গেলো। শায়লা এতো কঠিন কথা বলতে পারে তার আন্দাজ ছিলোনা। শায়লা অবশ্য দমলো না। সে বললো-“আপনার থেকে কিছু জানার আছে দাদাজান। আমি এইজন্যই হুট করে আসছি। আশাকরি সত্য বলবেন।”
তৈয়ব মাওলানা অবাক হয়ে বললো-“তুমি কি জানোনা তোমার দাদাজান মিথ্যা বলে না?”
শায়লা সে প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে পাল্টা জানতে চাইলো-“আচ্ছা দাদাজান, আপনি কি জানতেন রিদওয়ান ডাক্তার?”
“জানতাম।”
“তবুও আপনি ওনার সাথে আমার বিয়ে দিয়েছেন? আপনি জানেন না ডাক্তারদের আমি কতটা ঘৃনা করি?”
“জানবো না কেন বু? কিন্তু তোমার অপরিপক্ক জ্ঞান ভেবে পাত্তা দেইনি।”
শায়লার চেহারা লাল হতে দেখে মৃদুস্বরে হাসলো তৈয়ব মাওলানা-“পৃথিবীর সব মানুষ কি সমান ভালো বা সমান খাবার? এই যে আমরা একটা পরিবার, আমরা সবাই কি এক রকম ভালো বা খারাপ? আমার চার সন্তানের সবাই কি এক রকম না ভিন্ন? এমনকি তোমরা তিনবোন কি সমান? এই যে দেখো হাতের পাঁচ আঙ্গুলও সমান না। যে আঙ্গুল যেমন হইলে কাজ চলবে সেই আঙ্গুল তেমন। ঠিক তেমনই সব ডাক্তার খারাপ হইতে পারে না। তোমার ধারণা ভুল প্রমান করতেই আমি রিদওয়ান এর সাথে তোমার বিয়ে দিছি।”
শায়লার চেহারা কঠিন হয়ে উঠলো-“আর যদি খারাপ হয় তাহলে কি করবেন দাদাজান? আপনের ভুল কিভাবে শোধরাবেন?”
তৈয়ব মাওলানা ব্যাথিত নয়নে তাকিয়ে নাতনিকে দেখলো-“তোমার যদি লক্ষ্য থাকে আমাকে ভুল প্রমান করবা তাহলে অনেক কিছু হতে পারে।”
শায়লা এবার কন্ঠে কিছুটা নরম ভব এনে বললো-“খুব ভুল করছেন দাদাজান। আমি বারবার বলে গেছি নিজের পায়ে দাঁড়ানোর আগে আমি বিয়ে করবো আপনি শোনেন নাই। জোর করে ধরে বিয়ে দিয়ে দিলেন। আপনি কি একবারও ভাবেন নাই দাদাজান রিদওয়ান এর সাথে আমার কিছুতেই মিল হবে না।”
তৈয়ব মাওলানা বিরক্ত হয়ে জবাব দিলো-“মিল হবে না কেমন কথা? মিল করতে চাইলেই হবে। আর তোমাকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে কে মানা করেছে। তুমি কি এখনো বোঝ নাই ওই পরিবার এমন না। ওই বাড়িতে আরও দুইজন বউ আছে তারাও চাকরি করতেছে কেউ কি তাদের কিছু বলেছে? তুমি দেখেছ এমন কিছু? ওরা কেউ কি তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে? বারবার কেন একই কথা বলতেছ?”
শায়লার মেজাজ খারাপ হচ্ছে। সে কিছুটা চেচিয়ে উঠলো-“কোথাও ওরা কোথায় আমরা দাদাজান? ওদের শিক্ষিত পরিবার, টাকা পয়সা গাড়ি বাড়ি কোন কিছুর কমতি নেই। আর আমরা কোথায়? কি পরিচয় আমাদের? বাবা নেই দাদা আশ্রয় দিয়েছে বলে বেঁচে আছি না হলে কোথায় ভেসে যেতাম। এই আমার সাথে কি রিদওয়ান এর যায়?”
বলতে বলতে শায়লা কেঁদে দিলো। তৈয়ব মাওলানা হতবিহ্বল হয়ে শায়লাকে দেখছে। নাজনীন এসে শায়লাকে জড়িয়ে ধরে-“বেশি ভাবতেছ বু। আমরা ঢাকায় থাকি না বলে আমরা খুব নিচু শ্রেনী এমনটা কিন্তু ঠিক না। গ্রামে আব্দুর রব ভাইয়ের চাইতে বেশি না হলেও কম কিছু নাই আমাদের। সন্মানও আল্লাহ দিলে কেউ কম করে না। আর তোমরা তিনবোন কি কম নাকি? তুমি এতো ভালো সাবজেক্টে পড়তেছে, মহুয়া আর বিনাও দেখবা ভালো কিছু করবে। নিজেকে এতো ছোট মনে করতেছ কেন? আর তাছাড়া আমরা তো এখনো বেঁচে আছি নাকি? তোমাদের খারাপ হবে এমন কিছু আমরা কখনো করিনাই আর করবোও না।”
শায়লা নিজেকে সামলে নিয়ে খড়খড়ে গলায় বললো-“তাছাড়া ওই ডাক্তার ছেলেটার যে অন্য কারো সাথে রিলেশন নেই তা কিভাবে জানেন আপনি? ওকেও তো জোর করে রাজি করানো হয়েছে। যদি এমন হয়ে থাকে যে ওর সম্পর্ক ছিলো।”
তৈয়ব মাওলানা থমথমে মুখে বললো-“তেমন হলে আব্দুর রব এই বিয়ে হতে দিত না। নিজের দাদাজানের উপর ভরসা নেই তোমার? আমি তোমার জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলবো এমন ভাবনা কি করে ভাবো তুমি? সেই তখন থেকে আবোলতাবোল বকে যাচ্ছ। আমার তো মনেহচ্ছে তোমারই নতুন করে কাউকে ভালো লেগেছে এইজন্য উল্টো পাল্টা বকে রিদওয়ান এর ঘাড়ে দোষ দিতে চাইছো।”
শায়লা হতবাক হয়ে চেচিয়ে উঠলো-“দাদাজান, এসব কি বলছেন?”
“তুমি যেমন আমার নামে বলছো। নিজের নামে একটু কথা সহ্য হচ্ছে না আর আমাকে বলেই যাচ্ছ। আমাকে কি মনেহয় তোমার? আমি তো তোমাকে সংসার করতে ঠেলে দেইনি। পড়ালেখার সুযোগ দিয়েছি। বিয়েটাও তোমার সুবিধার জন্য দেওয়া। সেটা তুমি আজ না বুঝলে একদিন হয়তো বুঝবে। অথচ তুমি যেন আমাকে ভুল প্রমান করতে উঠেপড়ে লেগেছ।”
তৈয়ব মাওলানা রেগে গেছেন। হড়বড়িয়ে বলে থামলে শায়লাও অনড়ভাবে বলে বসলো-“আমিও আপনাকে বলে দিচ্ছি আমার মায়ের মতো জীবন আমি কখনোই কাটাবো না দাদাজান এটা আপনি মাথায় ঢুকিয়ে নিন। আর বাকী রইলো বিয়ের কথা। কখনো যদি মনেহয় এই সম্পর্কে আমি যথেষ্ট সন্মান পাচ্ছি না আমি এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসবো। আপনি কিন্তু তখন কিছুই বলতে পারবেন না। আমার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে আপনাকে।”

চলবে—-
©Farhana_Yesmin