কন্ট্রোললেস পর্ব-১১

0
335

#কন্ট্রোললেস
#অনুপ্রভা_মেহেরিন
[পর্ব ১১]

” কী চাই?”

” আব্বা ফোন করে রাগারাগি করছে তোকে বাড়ি যেতে বললো।”

” যাব না বাড়ি।রাগারাগি করছে কেন সেটা বলো।”

” রাশেদ আর চাচি নাকি তোকে নিয়ে ভীষণ গালমন্দ করছে তারা সন্দেহ করছে তুই রুমুকে লুকিয়ে রেখেছিস।”

” করুক গালমন্দ খালি আমার বাড়ির সীমানায় এসে পা ফেলুক, গালমন্দ করুক ওর গাল আর পা দুইটা আর আস্ত থাকবে না।আমি এমনি এমনি এলাকা ছেড়ে বউয়ের কাছে আসিনি ওখানে সব ব্যবস্থা করেই এসেছি।শুধু রাশেদ একবার গন্ডোগোল করুক আমার বাহিনী তার কি অবস্থা করে দেখবে।আর কিছু বলবে?”

উজ্জ্বলের রাগান্বিত মুখটা দেখে চুপসে গেল উর্মি।ভাই হঠাৎ কেন রেগেছে?

” তুই কি রেগে আছিস উজ্জ্বল?”

” একদমি না।এই যে দেখো আমি হাসছি হি হি হি হা হা হা।”

উজ্জ্বল মেকি হাসলো।উর্মি বুঝতে পারলো ভাই হয়তো কোন ব্যপারে রেগে আছে।বিছানায় গুটিয়ে বসে থাকা রুমুর দিকে তাকিয়ে উর্মি বলে,

” বেলা এগারোটা বাজে বসে থেকো না নাস্তা করে যাও।উজ্জ্বল তুইও আয়।”

উর্মি চলে গেল।উজ্জ্বল তার পানে তাকিয়ে দরজা বন্ধ করে তাকালো রুমুর পানে।মুখটা তার পাংশুটে রেখে অতি আবদার সুরে বলে,

” আরেকবার চান্স দিবি?”

লজ্জায় হঠাৎ প্রস্তুত ভাবে সংকোচে ছিল রুমু।উজ্জ্বলের এমন প্রশ্নে অবাক হয়ে বলে,

” কিসের চান্স?”

” বুঝতে পারছিস না?”

” বুঝিয়ে বলেন।”

” বুঝে নে।”

” পারবো না।আপনি বলেন।”

উজ্জ্বল ফসফস শ্বাস ছাড়লো।তার এত লজ্জা লাগছে কেন?একে তো মনের বাসনা অপরদিকে লজ্জা আর রুমুটাও হয়েছে এক ত্যাড়া সব বুঝেও উজ্জ্বলকে শায়েস্তা কর‍তে না বোঝার ভান করে। উজ্জ্বল কি এসব বোঝেনা?খুব বুঝে।একবার লজ্জা ভেঙে দুটি দেহের সন্ধি হোক আর ছাড়বে না কিছুতেই না সারাটাদিন সারাটাক্ষণ রুমুকে জ্বালানো হবে।এক মাঘে শীত যায়?যায় না।সুযোগ উজ্জ্বলেরো আসবে যখন কাতর হয়ে উজ্জ্বলের কাছে আসবে উজ্জ্বল তাকে বুঝিয়ে দেবে বুঝেও না বোঝার ভান করার শাস্তি।

উজ্জ্বল যখন ওয়াশরুমের দরজা বন্ধ করলো রুমু তখন আঁচলে ঠোঁট গুজে হাসলো।উজ্জ্বলকে জ্বালাতে তার একটু বেশি আনন্দ হয়।গত একবছর যাবৎ বিয়ে করবি?চল বিয়ে করি?তুই কবে রাজি হবি চল বিয়ে করি।এসব বলে রুমুর মাথা খেয়েছে উজ্জ্বল
অথচ এখন যখন বিয়ে করার সুযোগটা হয়েছে তখন বিয়ের পরেও উজ্জ্বলকে জ্বালানো থামানো যাবে না।
.
সকালের নাস্তা সেরে বেরিয়ে পড়লো উজ্জ্বল তার কাজ এখন এই শহরটা ঘুরে দেখা। তাছাড়া হাত একদম খালি কিছু টাকাও তুলতে হবে।
উজ্জ্বল বেরিয়ে যেতে উর্মির হাতে হাতে কাজ এগিয়ে দিল রুমু।দুজনের মাঝে বেশ আড্ডা চলছিল।যেহেতু তারা পূর্ব পরিচিত তাই কারো মাঝে কোন জড়াতা নেই।
দুপুর গড়িয়ে বিকাল হলো উজ্জ্বল দুপুরে খেতে আসেনি ছেলেটা কোথায় আছে কে জানে।অসময়ে তামিমকে বাসায় আসতে দেখে বেশ অবাক হয় উর্মি তামিমের অফিস ছুটি এত তাড়াতাড়ি তো হয়না।

” এত তাড়াতাড়ি এলে যে?”

” বাড়িতে সাংঘাতিক কান্ড ঘটেছে আম্মা সিড়ি থেকে পড়ে মাথা ফাটিয়েছেন।আব্বা হসপিটাল নিয়ে যাচ্ছে।”

” সেকি কথা।অবস্থা কি খুব খারাপ?”

” জানি না।আমার মাথা কাজ করছে না তুমি তাড়াতাড়ি তৈরি হও ব্যাগ গুছিয়ে নাও।আমি গাড়ি ধরিয়েছি কিছুক্ষণ পরেই আসবে।”

উর্মি অপেক্ষা করলো না তাড়াতাড়ি আলমারি খুলে প্রয়োজনীয় জামাকাপড় ব্যাগে ভরলো।এখান থেকে উর্মির শ্বশুর বাড়ি যেতে প্রায় দুই ঘন্টার রাস্তা তাই যত দ্রুত সম্ভব রওনা হলো তারা।বাসায় একা পড়ে রইলো রুমু।তামিম অবশ্য বাসা ছাড়ার আগে উজ্জ্বলকে ফোন করে আসতে বলেছে রুমু বাসায় একা সে যেন তাড়াতাড়ি আসে।

রৌদ্র মাখা আকাশটায় হঠাৎ মেঘ করেছে।অন্ধকারের অতলে ডুবে যাচ্ছে ব্যস্তময় শহর।এতদিনের ভ্যাপসা গরমে হঠাৎ মেঘে শহর জুড়ে স্বস্তির সংকেত দিচ্ছে।তবে এই স্বস্তিতে খুশি হতে পারলো না রুমু।অনেকটা সময় পেরিয়ে গেল উজ্জ্বল এখনো আসেনি।আকাশ ডাকতে শুরু করেছে সময়ের তালে তালে সেই ডাক বেড়েছে।ধীরে ধীরে বাতাসের তান্ডব বাড়লো অশনি ঝড়ে গাছপালার উথাল-পাতালে ভয়ে কুঁকড়ে গেল রুমু।
একা একটা বাসায় এমন
ভয় কাতুরে রুমু কি করে শান্ত থাকবে?একে তো ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেল তার উপর বিজলি এবং বজ্রপাত সব মিলিয়ে ভয়ে কাঁপতে থাকে মেয়েটা।এই মুহুর্তে যত প্রকার বিশ্রি গালি আছে উজ্জ্বলকে দিতে মন চাইলো তার কিন্তু আবার মনে পড়লো উজ্জ্বল হয়তো দূরে কোথাও গেছে আসতে নিশ্চয়ই দেরি হচ্ছে সেও হয়তো ঝড়ের কবলে পড়েছে।সব মিলিয়ে অনুভূতি শূন্য হয়ে দম খিঁচে বসে রইলো মেয়েটা।

চিন্তায় চিন্তায় অনেকটা সময় পেরিয়ে গেলো। উজ্জ্বলকে ফোন করতে পারলে মনে শান্তি পাওয়া যেত।সমস্যা বাঁধলো রুমুর ফোনটা উজ্জ্বলের কাছে।

হঠাৎ দরজার খটখট শব্দে উঠে দাঁড়ালো রুমু।দ্রুত দরজা খুলে উজ্জ্বলকে দেখতে পেয়ে মনে স্বস্তি ফিরলো।

” দেখ ভিজে গেছি।অনেক দূরে গিয়েছিলাম।”

” কাক ভেজা হলেন কি করে?কোথাও থামেননি।”

“না।চাইলে বাইকটা কোথাও রেখে ছাউনিতে অপেক্ষা করতে পারতাম তুই বাসায় একা তাই ঝড় মাথায় নিয়ে ছুটে এসেছি।একি তুই কাঁপছিস কেন?”

” ঠান্ডা লেগে যাবে তো দ্রুত বাথরুমে যান।”

“এই বউ কাঁপছে কেন তোর শরীর?ভয় পেয়েছিস?এইতো চলে এসেছি।
দেখলি তোর কথা কত ভাবি তাও তো ভালোবাসিস না।”

” ভালোবাসার যখন সময় হবে ভালোবাসা যাবে।”

” সময়টা কবে হবে?”

রুমু ঠোঁট বাঁকিয়ে অন্য রুমে চলে গেল।উজ্জ্বল জামা পাল্টে মাথা মুছে বসলো বিছানায়।ঝড়টা তখনো কমেনি বরং তুমুল বৃষ্টি আর বজ্রপাত সময়ের তালে তালে বেড়ে গেল।এই ঠান্ডায় উজ্জলের জন্য একমগ কফি বানিয়ে ফিরলো রুমু।এক চুমুকে বিস্বাদে ভরে গেল উজ্জ্বলের মুখ তবে রুমুকে কিছুই বললো না সে।বউটা প্রথমবার নিজ হাতে বানিয়েছে কিছু বললে কষ্ট পাবে।সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হয়ে গেল এখনো ইলেক্ট্রিসিটি আসার খবর নেই।একটা শীতল দিনে রোমান্টিক ওয়েদারে বউটা আশেপাশে ঘুরঘুর করছে অথচ উজ্জ্বল হাত পা কোলে নিয়ে বসে আছে।একি মানা যায়?

” আমার ফোনটা দিন উজ্জ্বল ভাই।”

” কেন?”

” এভাবে হাত-পা গুটিয়ে কতক্ষণ বসে থাকা যায়?ফেসবুকে যাব।”

” তুই সিম অন কর ফেসবুকে যা আর তোর ভাই লোকেশন পেয়ে তোকে পিস পিস করে বস্তা বাঁধুক এটাই তো চাস?”

” সিম বাদ তাহলে নতুন একাউন্ট খুলে দিন।”

” কেনো ফেসবুকে পোস্ট দিবি?তা কি পোস্ট দিবি.. রোমান্টিক ওয়েদার, জামাই নিয়ে শুয়ে থাকার মতো ওয়েদার,আজ সিঙ্গেল বলে,আজ জামাই নাই বলে কাঁথা জড়িয়ে ঘুমাই। এসব পোস্ট দিবি?”

রুমু বুঝতে পারলো উজ্জ্বলের খোঁচা। প্রতিবার বৃষ্টি হলে রুমু এসব পোস্ট করে আহাজারি করে।তার এই পোস্টকে ঘিরে আমেজে মেতে থাকে তার বন্ধুদল।

” হুম এসব পোস্ট দিব এবার ফোন দিন।”

” তুই এখনো সিঙ্গেল?এই তোর চোখে কি এই জলজ্যান্ত মানুষটাকে নজরে আসে না?”

” উজ্জ্বল ভাই ভালো….”

” কে ভাই?কে ভাই?আগে এই প্র‍শ্নের জবাব দিবি।”

” ভুলে মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে।এত রেগে যাচ্ছেন কেন?আপনিতো আমার ভাই….”

রুমু কথা শেষ করার আগে উজ্জ্বল উঠে দাঁড়ায়।শার্টের বোতাম খুলতে খুলতে বলে,

” আমি ভাই?আজ তোকে বোঝাবো আগের উজ্জ্বল ভাইয়ের মধ্যে আর এখনকার উজ্জ্বলের মাঝে কি পার্থক্য।”

উজ্জ্বল রুমুর কাছে ক্রমশ এগিয়ে এলো। রুমু দ্বিধাদ্বন্দে পেছাতে পেছাতে দেয়ালের সাথে ধাক্কা লাগে।উজ্জ্বল হাসে, শার্টের বোতাম মাত্র দু’টো খুলতে রুমু উজ্জ্বলকে বাঁধা দেয়।ছেলেটা ভ্রু কুচকে তাকাতে রুমু নিজেই উজ্জ্বলের শার্টের বোতাম খুলে দেয়।উজ্জ্বলের অনাবৃত বুকে আঙুলের ছোঁয়া দিতে উজ্জ্বল হাত ধরে নেয়।রুমুর প্রেম প্রেম চাহনি উজ্জ্বল বুঝতে পারে তবুও সুনিশ্চিত হতে প্রশ্ন করে,

” ইয়েস ওর নো?”

” ধরেনিন কোন উত্তর নেই।”

” তবে নীরবতা সম্মতির লক্ষণ।”

উজ্জ্বল রুমুকে পাঁজাকোলে তুলে নেয়।ভয়ে গলাটা শুকিয়ে যায় রুমুর।খোলা জানলায় উথাল পাথাল বৃষ্টির শব্দ উত্তাল করে দুটো মন।উজ্জ্বল সেচ্ছায় রুমের লাইট অফ করে।অন্ধকারে রুমুকে জড়িয়ে বসে থাকে কিয়ৎক্ষণ।রুমুর সাড়াশব্দ নেই শুধু শ্বাস প্রশ্বাসের আন্দোলন বাড়ি খাচ্ছে উজ্জ্বলের কানে।বেচারা উজ্জ্বলের তৃষ্ণার্ত ঠোঁট জোড়া প্রেয়সীর সংস্পর্শে এসে নিয়ন্ত্রণ হারায়।দু’জোড়া ঠোঁট মিলিত হয় গভীর আলিঙ্গনে।রুমুর বাঁধা দেওয়ার তাড়া নেই বরং উজ্জ্বলকে নিজের আবদার বোঝাতে হাতে হাত মিলিয়ে জড়িয়ে ধরেছে।সময় পেরিয়ে যায় বেশ কিছুক্ষণ,বজ্রের শব্দে কেঁপে উঠে রুমু উজ্জ্বল তাকে পরম আদরে গভীর আলিঙ্গনে জড়িয়ে ধরে।মেয়েটার ঘাড়ে গালে গলায় উষ্ম স্পর্শে বেসামাল করে তুললো।রুমু যখন নিজের নিয়ন্ত্রণ হারা তখনি উজ্জ্বল রুমুকে রেখে উঠে দাঁড়ায়।কন্ট্রোললেস উজ্জ্বল নিজেকে কন্ট্রোল করে বিছানা ছেড়ে বারান্দার থাইগ্লাসটা খুলে দেয়।এক দমকা বাতাসে শীতল হয়ে যায় তার শরীর।উদাম শরীরটা টানটান করে কোমড়ে হাত গুজে দাঁড়ায়।রুমু ভীষণ অবাক হয় উজ্জ্বল এমনটা কেন করলো!এই ছেলের মনে চলছে কী?
রুমু উঠে বসে কোন মতে গায়ে শাড়ি জড়িয়ে বিছানা ছেড়ে বারান্দায় আসে।উজ্জ্বল রুমুর অবাক চাহনি পরখ করে বলে,

” এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন?”

” কাজটা কি খুব ভালো হলো?”

” সরি,হঠাৎ মাথায় আসলো অনুমতি ছাড়া কিছু করলে সেদিনের মতো যদি তুই অজ্ঞান হয়ে যাস।তাই ভয়ে চলে এলাম।তাছাড়া তুই তো অনুমতি দিলি না।”

” অনুমতি দেওয়া কি খুব দরকার?সব বুঝেন আর…. ফালতু লোক।থাক থাকেন বারান্দায় রুমে আসবেন না।আর কখনো যদি চান্স চান… খু ন করে ফেলবো।”

রুমু রেগে মেগে রুমে ফিরলো।উজ্জ্বল বুঝতে পারলো বউ জবরদস্ত খেপেছে।রুমু যখনি অন্য রুমে পা বাড়ায় তখনি তাকে ধরে নেয় উজ্জ্বল।টেনে এনে জড়িয়ে ধরে বুকের মাঝে।

” এত রাগ!অনুমতি দিচ্ছিস তবে।”

” না।”

” তাহলে বুঝতে পারছি কলিকাতা হারবাল আমার না তোর প্রয়োজন।আমি সৈয়দ উজ্জ্বল আনিস একবার যখন বলেছি প্রেক্টিক্যালি দেখিয়ে ছাড়বো তখন দেখাবই।”

রুমু নিজের জেদটাকে ধরে রেখে উজ্জ্বলের ডাকে সাড়া দিল না।জেদ দেখিয়ে অনেকক্ষণ ঝুটঝামেলা করলো তবে লাভ কী হলো?উজ্জ্বলের বলবান দেহের সাথে কিছুতেই পেরে উঠলো না।উজ্জ্বল যখন তাকে তুলে বিছানায় ফেললো মেয়েটা তখন ভেবেই নিয়েছিল আজ বোধহয় তার পিঠের হাড় ভেঙে খান খান হয়ে গেছে।উজ্জ্বল ক্রমশ অসংলগ্ন হয়ে উঠলো রুমু আবিষ্কার করলো অন্যরকম উজ্জ্বলকে যে প্রতিটি স্পর্শে ভালোবাসার জানান দিতে উঠে পড়ে লেগেছে।গলায় ঘাড়ে এলোপাতাড়ি চুমুগুলো কামড়ে রূপান্তরিত হলো।যত্নে পরা শাড়িটা উজ্জ্বল কোথায় ছুড়ে মেরেছে কে জানে।রুমু ভেবেছে উজ্জ্বল হয়তো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে রুমুর ভালো মন্দে ছেলেটা মাথা ঘামাবে না।
অথচ দুটি দেহের সন্ধিক্ষণে উজ্জ্বল এতটাও বেপরোয়া হয়ে যায়নি বরং নিজের কেয়ারিং স্বভাবটা রেখে প্রশ্ন ছুড়েছে।

” ঠিক আছো?”

তুই থেকে সম্পর্কটা তুমিতে রূপান্তরিত হলো।এর আগে কি সম্পর্ক ছিল মাথাতেই নেই উজ্জ্বল শুধু রুমুকে চেয়েছে, মেয়েটার দেহের প্রতিটা ভাজে নিজের অস্তিত্ব জানান দিয়ে মেয়েটাকে বুকে জড়িয়ে ঘুমায়।অবশ্য উজ্জ্বলের এই ঘুম এক ঘন্টাও স্থায়ী হয়নি।বৃষ্টি মাখা সারাটা রাত উজ্জ্বল রুমুকে জ্বালিয়েছে,ভালোবাসার অত্যাচারে বন্দি করেছে রুমু চুপচাপ সব হজম করলেও একটা সময় ঘুমের লোভে ত্যক্তবিরক্ত হয়ে যায়।উজ্জ্বলকে ঝারি দিয়ে গা থেকে সরানোর বৃথা চেষ্টা চালিয়ে বলে,

” আর কত?”

” মাত্র শুরু।অল্পতে অধৈর্য!”
চলবে…