গোধুলির শেষ বিকেলে তুমি আমি পর্ব-১৭

0
194

#গোধুলির_শেষ_বিকেলে_তুমি_আমি
#পর্ব১৭
#Raiha_Zubair_Ripti

এক নতুন সূর্যোদয়। চারিপাশ সূর্যের মৃদু রশ্মিতে ঝলমল করছে পুরো শহর টা। বেলকনি থেকে মুগ্ধ হয়ে দেখছে এই শহর কে রুয়াত। কুয়াকাটা শহর আস্ত এক ইমোশোনে ভরপুর। গরম ধোঁয়া ওঠা কফির মগে চুমুক দিয়ে বেলকনির ইজি চেয়ারে বসলো রুয়াত। সুইটি এখনও ঘুমে বিভোর। রুয়াত কফি মগ টা সাইডে রেখে ফোনের ডাটা অন করতেই ভেসে আসলো স্কিনে শাফায়াত এর মেসেজ৷ যেটা সেন্ড করা হয়েছে ৫ টা ৪৫ মিনিটে। আর এখন বাজে ৬ টা ৩০। রুয়াত কে বাহিরে বের হবার জন্য মেসেজ দিয়েছিলো। রুয়াত শাফায়াত কে লাইনে দেখে মেসেজ পাঠালো-
-“ আসবো বাহিরে?
শাফায়াত বাগানে থাকা টেবিলে নাইমুরের সাথে বসে ছিলো। রুয়াতের মেসেজ দেখে তপ্ত শ্বাস ফেলে লিখে পাঠালো-
-“ এখন আর এসে কি করবা। সূর্য তো উদয় হয়েই গেছে।

মেসেজ টা দেখে রুয়াত অপরাধীর ন্যায় লিখলো-
-“ আসলে আমি তো লাইনে ছিলাম না। আপনি যখন দেখলেন মেসেজ সিন হয় নি৷ তো ফোন দিতেন।

শাফায়াত কিছু লিখলো না। সিন করে রেখে দিলো। নাইমুর চায়ের কাপ টা সামনের টেবিলে রেখে বলল-
-“ কি হয়েছে মুখ এমন গোমড়া কেনো তোর?
শাফায়াত এদিক ওদিক তাকিয়ে বলল-
-“ নাথিং।

নাইমুর কিয়ৎ ক্ষন চুপ থেকে বলল-
-“ শাফু শোন।
-“ বল।
-“ আমার মনে হয় তোর আর রুয়াতের বিয়ের ব্যাপার টা পাবলিশ করা উচিত।
-“ হ্যাঁ আমারও তাই মনে হচ্ছে।
-“ হুমম। এখন চল রুমে ফেরা যাক।

শাফায়াত, নাইমুর রুমে চলে গেলো।

রোহান নিজের রুমে পায়চারি করছে। নেহাল নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে। নেহালের এই ঘুম রোহানের কাছে অসহ্য লাগছে। ফ্রেন্ড কোথায় তার অস্থিরতা কমাবে তা না করে শান্তির ঘুম দিচ্ছে। রোহানের ইচ্ছে করলো এক মগ পানি এনে নেহালের মুখে ছুঁড়ে দিতে। কিন্তু ইচ্ছে টা দমিয়ে নিলো। ব্রেকফাস্ট করেই তাদের আজ যাওয়ার কথা চর-গঙ্গামতির লেক, জায়গা টা অসম্ভব সুন্দর। রোহান মনে মনে ভেবে নিলো,,রুয়াত যেহেতু বিয়ে করছে বিয়ের পিক নিশ্চয়ই থাকবে। বিয়ের পিক দেখলে তবেই সে বিশ্বাস করবে। রুম থেকে বের হতে হতে বারবার আল্লাহ কে স্মরণ করলো যাতে রুয়াতের বিয়ের বিষয় টা মিথ্যা হয়।

সবাই সকালের নাস্তাটা সেরে চর-গঙ্গামতির লেকে চলে আসে। রুয়াত আজ পার্পেল কালারের থ্রিপিস পড়েছে। চুল গুলো হেয়ার ব্যান্ড দিয়ে উঁচু করে বেঁধে রেখেছে। শাফায়াত আর নাইমুর অন্যান্য টিচার দের সাথে হাঁটছে। রোহান আর নেহাল রুয়াত দের পেছন পেছন। রোহান একটু এগিয়ে এসে পকেট থেকে ফোন টা বের করতে করতে রুয়াত কে ডেকে উঠে। রুয়াত পেছন ফিরে রোহান কে দেখে বিরক্তিকর চাহনি নিয়ে বলে-
-“ কি ভাই?
ভাই ডাকটা শুনে রোহানের মুখটা ছোট হয়ে যায়। রুয়াত সাদমান আর শাফায়াত এর সেই কফি মগ নিয়ে তোলা পিকটা রোহান বের করে বলে-
-“ এটা তোমার হাসবেন্ড?
রুয়াত কফির মগ মুখে নেওয়া শাফায়াত এর ছবির দিকে তাকিয়ে বলে-
-“ হ্যাঁ আমার স্বামী।
-“ তোমাদের বিয়ের পিকটা দেখাও। ট্রাস্ট মি আমি আর বিরক্ত করবো না।
-“ শিওর?
-“ হ্যাঁ শিওর।

রুয়াত সাইড ব্যাগ টা খুলে ফোন নেওয়ার জন্য হাত দিতেই কোনো ফোন পেলো না। ভালো করে সাইড ব্যাগ টা খুঁজেও ফোনের দেখা মিললো না। রোহান না দেখানো তে বলল-
-“ কি হলো দেখাও।
-“ আসলে ফোন টা মেবি রিসোর্টে ফেলে এসেছি। রিসোর্টে গিয়ে দেখাবো নি আপনাকে। এখন আসতে পারেন।

রোহান মুচকি হেসে চলে গেলো। নেহাল রোহান কে হাসতে দেখে বলল-
-“ ব্যাটা হাসিস ক্যান?
-“ দেখলি রুয়াত পিক দেখাতে পারলো না। ও আনম্যারিড সেজন্য ।
-“ রিসোর্টে ফিরে যখন পিক টা দেখাইবো তখন হু**মা’রা টা ভালো মতো খাইয়ো৷ সেটার জন্য অগ্রিম শুভেচ্ছা রইলো। এখন আমারে আমার মতো একলা ঘুরতে দে।

নেহাল রুয়াত দের কাছে এসে রুয়াত কে বলে-
-“ রুয়াত তুমি কিছু মনে না করলে সুইটি কে নিয়ে যাই?
রুয়াত স্মিত হেসে বলে-
-“ নিশ্চয়ই।
নেহাল সুইটি কে নিয়ে চলে যায়। শাফায়াত দূর থেকে রুয়াত কে দেখে চলছিলো। রোহান কে বারবার রুয়াতের আশেপাশে ঘুর ঘুর করতে দেখে ভ্রু জোড়া বারবার কুঁচকে আসছে।

শাফায়াত রুয়াতের নম্বরে কল লাগালো। ফোনটা বেজে চলছে অথচ রিসিভ হচ্ছে না৷ মেজাজ টা খারাপ হয়ে গেলো শাফায়াত এর।

লেক টা ঘুরে দেখতে দেখে দুপুর হয়ে গেলো। পাশেই রেস্টুরেন্ট থেকে সকলে দুপুরের খাবার খেয়ে রওনা হলো শ্রী শ্রী অনুকূল ঠাকুরের আশ্রম ও মিশ্রীপাড়া বিশাল বৌদ্ধ বিহারের দিকে। এটা ঘুরে আবার সমুদ্র সৈকতে গিয়ে তারা সূর্যাস্ত দেখবে। রোহান কে এবার ও রুয়াতের পেছন পেছন যেতে দেখে বৌদ্ধ বিহারে এসেই শাফায়াত রুয়াতের হাত চেপে ধরলো। এতোক্ষণ দূর থেকে দেখে এসেছে। এতো ফোন দিচ্ছে তবুও ধরছে না। কথা বলার মতো স্কুপ ও পাচ্ছে না৷ তাই এবার সরাসরি হাত চেপে ধরলো। আশেপাশে দুএকজন স্টুডেন্ট বিষয় টা দেখলো। রুয়াত আকস্মিক শাফায়াত কে নিজের কাছে দেখে হকচকিয়ে যায়। শাফায়াত হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে বলে-
-“ ফোন টা কোথায় তোমার? কখন থেকে ফোন দিচ্ছি রিসিভ করছো না কেনো?
-“ ফোন টা মনে হয় রিসোর্টে রেখে এসেছি ভুলে।
শাফায়াত দাঁতে দাঁত চেপে বলল-
-“ নিজেকে ভুলে রেখে আসতো পারো না?
-“ রেগে আছেন মনে হয়?
-“ পেছনের ঐ ছেলেটা এতো ঘুরঘুর করছে কেনো তোমার পাশে? মধু নাকি তুমি যে মাছির মতো ঘুরছে?
রুয়াত পেছন ফিরে দেখলো রোহান দাঁড়িয়ে আছে। রোহানের মাথায় ঢুকলো না বিষয় টা। এই টিচার রুয়াতের হাত ধরে হাঁটছে কেনো? মেয়েটা যে বললো ও বিবাহিত তাহলে পরপুরুষ কে হাত ধরতে দেয় কি করে?

-“ আর বইলেন না এই ছেলেটার কথা। আমি যে ম্যারিড বিশ্বাস করছে না।
-“ কেনো?
-“ জানি না। আমাকে নাকি বিয়ে করতে চায়।
শাফায়াত হাঁটা থামিয়ে দিলো। ঠোঁট চেপে ধরে বলল-
-“ ও কেনো তোমাকে বিয়ে করতে চাইবে?
-“ সেটা আমি কিভাবে বলবো।
-“ দূরে দূরে থাকবে ওর থেকো।
-“ আমি তো দূরেই থাকি। ঐ ছেলেটাই তো আসে।
আমাকে কি বিবাহিত মনে হয় না?

শাফায়াত রুয়াতের পা থেকে মাথা অব্দি দেখে নিলো।
-“ তুমি বিবাহিত হাতে চুড়ি কোথায়? মা দেয় নি চুড়ি?
-“ হ্যাঁ দিয়েছে। ওটা তো বাসায় আলমারি তে।
-“ বাসায় ফিরে হাতে চাই চুড়ি গুলো।
-“ ওকে।

বৌদ্ধ বিহার টা ঘুরে সূর্যাস্তের আগেই সমুদ্র সৈকতে এসে ফিরলো সবাই।
সূর্যের লাল আভা ছড়িয়ে গেল সাগর জলে। ততোক্ষণে লাল সূর্য সাগরের নিজেকে সপে দিয়েছে অর্ধেক। একটু একটু করে সাগরের বুকে হেলে পড়ে সূর্য! সাগরের বুকে যতোই হেলে পড়ছে সূর্য, ততোই আবিররঙা হয়ে উঠে আকাশ, চারপাশ। শাফায়াত রুয়াতের হাত যে ধরেছে আর ছাড়ে নি। কে কি ভাবলো আর বললো সে কেয়ার করবে না। এমন দূরে দূরে থাকলে তার বউকে আবার এসে বিরক্ত করবে অন্য কেউ। তা মোটেও শাফায়াত চাইছে না। রোহান ডাবের পানি খেতে খেতে দুজন কে দেখছে। পাশেই নেহালের বাবা সাইফুল ইসলাম।
-“ স্যার আজকাল কি টিচার রা ট্যুরে আসলে তাদের স্টুডেন্টদের এভাবে হাত ধরে ধরে ঘুরায়?
সাইফুল ইসলাম জুশ খেতে খেতে বলে-
-“ মানে?
-“ সামনে তাকিয়ে দেখেন। শাফায়াত স্যার কিভাবে তার এক স্টুডেন্টের হাত ধরে ধরে ঘুরছে। বিষয় টা কোন দিকে যাচ্ছে ভেবে দেখেছেন?
সাইফুল ইসলাম তাকালো। শাফায়াতে থেকে এমন কিছু দেখবে তা সে কল্পনাও করতে পারে নি। ভার্সিটির রেপুটেশন কি নষ্ট করবে নাকি। সাইফুল ইসলাম এগিয়ে গেলো। শাফায়াত এর সামনে দাঁড়িয়ে বলল-
-“ শাফায়াত একটু সাইডে আসো তো।
শাফায়াত রুয়াতের দিকে তাকিয়ে হাত টা ছেড়ে দিয়ে সাইডে গেলো। সাইফুল ইসলাম অতি বিরক্তির সহিত বললো-
-“ হোয়াট’স রং উইথ ইউ শাফায়াত? তুমি এই খোলামেলা জায়গায় ছাত্রীর হাত ধরে ঘুরছো! তুমি তার টিচার ভুলে গেছো?
শাফায়াত শক্ত মুখ করে বলল-
-“ আমি কোনো অন্যায় করি নি স্যার।
-“ অন্যায় করো নি মানে কি বলতে চাইছো? তুমি জানো না টিচার স্টুডেন্ট এর মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ?
-“ রুয়াত আমার স্ত্রী। সেখানে তার হাত ধরে ঘুরাটা নিশ্চয়ই অবাস্তব নয়।

সাইফুল ইসলাম অবাক হয়ে বলেন-
-“ রুয়াত তোমার স্ত্রী?
-“ হ্যাঁ । আই থিংক আপনার সমস্যা হবার কথা নয় এখন।
-“ ওহ্। আগে জানাও নি কেনো? সবাই কিসব ভাবছে তোমাদের দেখে।
-“ জানানোর মতো পরিস্থিতি তো হয় নি। তাই জানানো হয় নি।
-“ বিয়ে যেহেতু করেছো,জানানো তো উচিত।
-“ জানিয়ে দিব।
সাইফুল ইসলাম চলে গেলো। শাফায়াত রুয়াতের কাছে আসলো।
-“ স্যার কি বললো?
-“ তোমার আর আমার বিয়ের বিষয় টা জানানো উচিত রুয়াত। এখানে লুকোচুরির কিছু নেই।
-“ আচ্ছা।

রাত আটটার দিকে সবাই রিসোর্টে ফিরে। ফ্রেশ হয়ে সকলে বাগানে গোল হয়ে বসে৷ মধ্য খানে মশাল জ্বালানো হয়েছে৷ সাইফুল ইসলামের কাছে ইতিমধ্যে কয়েকজন স্টুডেন্ট এসে রুয়াত আর শাফায়াত এর ব্যাপার টা নিয়ে কথা বলে গিয়েছে৷ তাই বিষয় টা শাফায়াত খুলে বলবে জল বেশি ঘোলাটে না হওয়ার আগেই। তাই শাফায়াত বলল-
-“ আপনারা হয়তো রুয়াতে সাথে আমাকে দেখে নেগেটিভ কিছু ইতিমধ্যেই ধারণা করে ফেলেছেন। সেজন্য বলছি অ্যা’ম ম্যারিড..

সবাই একে ওপরের মুখের দিকে তাকাতাকি করলো। রোহান বলে উঠল-
-“ আপনি যেহেতু ম্যারিড তো স্টুডেন্ট এর হাত ধরে ঘুরাঘুরি করেন কিভাবে?
শাফায়াত মুচকি হেঁসে বলল-
-“ পুরো কথাটা শেষ করতে দাও। আমি ম্যারিড বলেছি। আমার ওয়াইফ কে সেটা শুনবে না?
-“ সেটা শুনে কি করবো আপনার ওয়াইফ কে। আপনি রুয়াতের হাত ধরে ঘুরাঘুরি করবেন না ব্যাস?
-“ নিজের ওয়াইফ এর হাত তার স্বামী ধরে ঘুরবে না তো কি অন্য পুরুষ কে ধরে ঘুরার জন্য ছেড়ে দিবে?
রোহান বিরক্ত হয়ে বলল-
-“ আপনার ওয়াইফ এর হাত ধরে কেউ ঘুরতে চেয়েছে?
-“ না, ডিরেক্ট বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে৷ সে যাই হোক৷ কথাটা হচ্ছে আমার ওয়াইফ আর কেউ না রুয়াত। শি ইজ মাই ওয়াইফ। আমরা স্বামী স্ত্রী। আই হোপ আমাদের হাত ধরাধরি নিয়ে কারো মনে কোনো ডাউট নেই যে কেনো ঘুরছে৷ স্বামী স্ত্রী ঘুরতেই পারে।
রোহান বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো। মেজাজ তার তুঙ্গে। রুয়াত বলেছে তার স্বামী অন্য কেউ এই লোক হয় কিভাবে।
-“ আশ্চর্য আপনি কেনো নিজেকে রুয়াতের স্বামী হিসেবে দাবি করছেন। রুয়াত তো বললো তার স্বামী আরেকজন।

রুয়াত রোহানের দিকে তাকালো। সে কখন বললো তার স্বামী আরেকজন? রুয়াত বসা থেকে উঠে বলে-
-“ কি পাগলের মতো কথা বলছেন। আমি কখন বললাম আমার স্বামী আরেকজন?
রোহান ফোন থেকে সেই পিক টা বের করে বলে-
-“ তুমি বলো নি এটা তোমার স্বামী?
-“ হ্যাঁ আমার স্বামী।
-“ এখানে কোথায় শাফায়াত স্যার?
শাফায়াত রোহানের থেকে ফোন টা কেঁড়ে নিয়ে ছবিটা দেখলো। মুচকি হেঁসে বলল-
-“ আহাম্মক একটা৷ রুয়াতের পাশে কে কফির মগ মুখে নিয়ে বসে আছে? আর সামনে যে সেটা আমার ছোট ভাই। যদিও এখানে আমার ফেস দেখা যাচ্ছে না। ওয়েট বিয়ের ছবি দেখাই।

কথাটা শেষ করে শাফায়াত নিজের ফোন বের করে শাফায়াত আর রুয়াতের বিয়ের পিক দেখিয়ে বলে-
-“ বিলিভ হয়েছে এবার? আর কোনো সংশয় আছে এটা নিয়ে? রাজনীতি করো আর সামান্য খোঁজ টুকু রাখতে পারো নি যাকে বিয়ে করার ইচ্ছে পোষণ করো সে ম্যারিড নাকি আনম্যারিড! ফারদার রুয়াতের পেছনে যেনো ঘুরঘুর করতে না দেখি। তুমি কোথাকার কোন ভাইস প্রিন্সিপাল এর ভাগ্নে সব ভুলে যাব৷ শেষের কথাগুলো শাফায়াত আস্তে আস্তে করে বলল রোহান কে। তারপর রুয়াতের দিকে তাকিয়ে বলল- রুয়াত চলো রাত অনেক হলো।

শাফায়াত রুয়াতের হাত ধরে চলে গেলো। বাকি স্টুডেন্ট গুলো আর মাথা ঘামালো না৷ স্বামী স্ত্রী যেহেতু। হাত ধরে কেনো গলা ধরে ঘুরুক তাদের আর কি। স্টুডেন্ট রাও চলে গেলো।

রোহান এখনও একটা ঘোরের মধ্যে। এই টিচার টা রুয়াতের হাসবেন্ড! মানতে কষ্ট হচ্ছে।
নেহাল হাই তুলতে তুলতে বলল-
-“ খাইছস এহন বাঁশ টা। ভালো লাগছে? বলছিলাম ও ম্যারিড ভুলে যা। না নিজেরে তো হিরো ভাবো। তোমারে পরীক্ষা করার লাইগা সবাই খালি মিথ্যা কথা কইবো।
রোহান আড়চোখে তাকিয়ে কোনো কথা না বলেই চলে গেলো নিজের রুমে।

#চলবে?