গোধূলি রাঙা আলোয় পর্ব-২৩

0
367

#গোধূলি_রাঙা_আলোয়
#পর্ব_২৩

আয়োজন সামান্য হলেও সবাই তৃপ্তি নিয়ে খেয়েছে। দেলোয়ারা বেগমের রান্না ভালো। নাহ্ শেষ পর্যন্ত মিসবাহকে একা আসতে হয়নি। বরযাত্রী হয়ে সাথে এসেছে ছোটোভাই হাসান, মিসবাহর দুই বন্ধু, বোন মোনা আর বোনের জামাই হারুন!
মোনা যে মিসবাহর সাথে আসবে তা কখনোই ভাবেনি মিসবাহ্। ছোটোবোন হেলেন তো পুরোপুরিভাবে এই বিয়ের বিপক্ষে ছিল। কিন্তু মোনা বাসায় এসে সবার বিপরীতে গিয়ে মিসবাহর পক্ষ নেয়। মায়ের জিদ, আর একচেটিয়া সিদ্ধান্তের বলি মোনার নিজের জীবনের কিছু না পাওয়া কষ্ট আছে। না তার স্বামী হারুন খারাপ মানুষ নয়। তবে যখন মোনার বয়স ছিল, সময় ছিল জীবনের সুন্দর কিছু মুহূর্ত উপভোগ করার তখন হারুন ছিল নিষ্প্রভ। নিজ পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে কখনোই মোনার জন্য দাঁড়ায়নি। মায়ের উপরও মোনার অভিমান পাহাড়সম। কেননা পড়তে চাওয়া, আরও কিছুদিন পড়ালেখা করার আর্জিগুলো যে মা পাত্তাই দেননি। তাই বিয়ের পর বাবার বাড়ির সাথে একরকম দূরত্বই হয়ে গিয়েছিল মোনার। বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসতো ঠিকই, কিন্তু নিজের ভালোমন্দ, সাংসারিক আলাপ কিছু নিয়েই কথা বলতো না। মিসবাহ চেষ্টা করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু আজ থেকে বারো বছর আগে মিসবাহর নিজেরই এতটা শক্তিশালী অবস্থান ছিল না যে বোনের শ্বশুরবাড়ির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাবে, বোনকে বিয়ের পরও লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিতে তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে। তাছাড়া জাহানারা বেগম নিজেই মিসবাহকে এই নিয়ে কিছু করতে দেননি। ওনার কাছে মেয়ের পড়ালেখার আগ্রহের চেয়ে বেয়াই বেয়াইনকে অসন্তুষ্ট না করাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

এরপর এক সময় হাসানও বোনের অভিমানের কারণ বুঝতে পেরেছে। অবশ্য মেজোভাই হামিদ বরাবরই সাংসারিক বিষয়ে উদাসীন, আর বোন হেলেন নিজের দুনিয়া আর নিজের খুশিতেই লীন। তাই বাবার বাড়ির যে দু’জন মানুষের উপর মোনার নিজস্ব একটা কোমলতা কাজ করে তারা হলো মিসবাহ আর হাসান। সময় গড়িয়েছে, মোনা নিজেই এখন নিজের সংসারের কর্ত্রী। তবু অনেক কিছু করার আর পাওয়ার মন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সকালের মিঠে রোদের স্বাদ তো আর দুপুরের গনগনে সূর্যের আলোতে নেই! সেই বয়সও নেই, সেই আহ্লাদও আর নেই। কিন্তু আজ বড়োভাই নিজের মতো করে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আর সবাই তার বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে শুনে মোনা নিজ থেকেই চলে আসে। সবাইকে মনে করিয়ে দেয় বাবার মৃত্যুর পর যদি মিসবাহ স্বার্থপর হতো তবে আজ কারোই নিজের পায়ে দাঁড়ানো হতো না।

“আম্মা যে সংসারের কর্ত্রী হওয়ার সুবাদে বাড়ি ভাগ করার কথা বলছেন, সেই বাড়ির জমি বাবার হলেও বাড়িটা এই ভাই মিসবাহর রক্ত পানি করে কামাই করা টাকায় বানানো। আমাদের দুই বোনের বিয়ে, ভাইদের নিজের পায়ে দাঁড়া করানো এই সবকিছুই এড়িয়ে গিয়ে ভাই নিজের কথা ভাবলে তার প্রথম স্ত্রী পায়রা তাকে ছেড়ে চলে যেত না। ভালো ছেলে, ভালো ভাই হতে গিয়ে ভালো স্বামী হতে পারেনি বড়ো ভাই। আর তাই তো যৌবনের দীর্ঘদিন তাকে একাকিত্ব নিয়ে পাড়ি দিতে হয়েছে। আজ ভাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে তাই কারও প্রশ্ন তোলার অধিকার নেই। ভাই নিজের পছন্দে যেকোনো মেয়েকে বিয়ে করার অধিকার রাখেন। আপনারা কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেন না। আপনারা কেউ বৌ আনতে না গেলে আমি আর হাসান যাব।”

বিয়ে পড়ানো শেষ। সবাই খেয়ে উঠেছে। সন্ধ্যা সাতটা ছুঁইছুঁই। দেলোয়ারা বেগম রাতের জন্য রান্না বসাবেন কিনা বুঝতে পারছেন মা। দুপুর দুইটায় কাবিন হলে, সন্ধ্যায় বৌ নিয়ে চলে যাওয়ার কথা ছিল। এখন তো দেরি হলো সবকিছুতেই। আবার নতুন করে রান্না বসাতে বাজার লাগবে। হাতে আছে পাঁচ হাজার মাত্র। বিয়েতে তো কিছু দিতে পারেননি। ভেবেছিলেন বিদায়ের সময় মেয়ে জামাই সালাম করলে এই টাকাটা হাতে দিবেন। এখন এই টাকা খরচ করেই বাজার আনাবেন কিনা বুঝতে পারছেন না। দশজন মানুষের জন্য মুরগী, ডিম এসব আনাতে হলেও দুই হাজার টাকার খরচ আছে। আশিককে ইশারায় ডেকে রুমে নিয়ে যান। মিসবাহ সবই খেয়াল করে। বসার ঘরেই আছে মিসবাহ। আতিয়ার সাথে বোন মোনা আর আতিয়ার দুই সহকর্মী আছে রুমে।

“আশিক, দুই হাজার টাকা দিমু। বাজার কইরা আন আস্তে। রাইতে খাইলে কী দিমু। দুপুরের খানা তো শ্যাষ।”

“কী আনবো?”

“মুরগী আনবি, আর ডিম। টাকা হইলে কোক আনতে পারোস।”

মিসবাহ্ আস্তে উঠে আতিয়ার রুমের সামনে যায়।।মিসবাহকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে জমিলা সিস্টার আর সোনিয়া মশকরা করে। তবে মোনা ভাইয়ের চেহারা দেখে বুঝতে পারে জরুরি কিছু।।তাই সবাইকো নিয়ে বাইরে বের হয়। ছোটো বাসা, দুটো মোটে রুম। মোনা ভাবে তাড়াতাড়ি বের হওয়া দরকার। এই কয়জন মানুষেই যেন বাসায় হাঁটার জায়গা নেই।

“ভাইয়া,বের হওয়া দরকার। আর রাত না করি।”

“হ্যাঁ। সবাইকে গুছিয়ে নিতে বল। আর আন্টি, মানে আতিয়ার আম্মাকে আর কোন কিছু করতে মানা লর এখন। তিনি যেন এখন আর কোন রান্নাবান্নার ঝামেলা না করেন।”

আতিয়ার পাশে গিয়ে বসে মিসবাহ। আতিয়া লজ্জা পায়। কেন জানি চোখ তুলে তাকাতেও অস্বস্তি ভর করছে। মিসবাহ তার দেওয়া সোনালি পাঞ্জাবিই পরেছে। বয়স চল্লিশ হলেও যথেষ্ট সুপুরুষ মিসবাহ। কানের কাছে অল্প কিছু চুলে পাক ধরলেও তা বয়সের ছাপ বহন করে না, বরং ব্যক্তিত্বে আলাদা শোভা এনে দেয়। একহারা গড়ন, মেদহীন শরীর, আর গড়পড়তার চেয়ে বেশখানিকটা লম্বা মিসবাহকে পাঞ্জাবি, চুড়িদার পায়জায়, আর নাগড়া জুতায় বেশ আকর্ষণী লাগছে। জমিলা সিস্টার আর সোনিয়াও আতিয়ার সাথে মজা করেছে এই নিয়ে, বলেছে দুলাভাই রীতিমতো নায়ক। এই নায়কের জন্য আতিয়াকেও নায়িকা হতে হবে। লজ্জা পেলে চলবে না। কিন্তু আতিয়া তো চোখ তুলেই তাকাতে পারছে না।

“আতিয়া, পলিনকে নিয়ে আসতে পারেনি। আম্মা দিলেন না। আমিও জোর করিনি। পলিন ভয় পাচ্ছিল। আতিয়া জানি বিয়ের প্রথম দিন এসব বলা ঠিক না। তোমার কাছে একটা অনুরোধ, তুমি পলিনের মা হওয়ার প্রয়োজন নেই, ওর বন্ধুই হইয়ো। ওকে সৎ মেয়ে হিসেবে দেখো না। মেয়েটা খুব একা। ও হয়তো তোমাকে সহজ ভাবে গ্রহণ করবে না। সবাই ওর মনে একটা ভয় ঢুকিয়ে দিচ্ছে তোমাকে নিয়ে। আমি তোমাকে বলছি না তুমি রূপকথার মতো কোন জাদুবলে ওকে নিজের করে নাও বা বাংলা সিনেমার নায়িকাদের মতো সব সহ্য করা কোন চরিত্র হও। তেমন জীবনসঙ্গী আমি চাইনি এবার। এর ফল ভালো হয় না। যারা মুখ বুজে সব সহ্য করতে থাকে, তারা হঠাৎ এমন করে পরিবর্তন হয় যে তার ফলাফল ভয়াবহ হয়। বরং তুমি কালোকে কালো, সাদাকে সাদাই বইলো। আমার পরিবারে অনেক কিছুর মুখোমুখি হবে, তুমি তোমার মতো যেখানে যা জবাব দেওয়ার প্রয়োজন দিও। আমি তোমাকে প্রশ্ন করবো না। একই ভুল আমি দ্বিতীয়বার করতে চাই না। যেখানে তোমার পাশে আমার দাঁড়ানো প্রয়োজন সেখানে আমি অবশ্যই দাঁড়াবো। কিন্তু যদি কিছু অন্যায় করো, তবে শাসন করার অধিকারও আমার আছে জেনো।”

“আমি জানি না কতটুকু কী পারবো। চেষ্টা করবো। সহজ না কবুল বলেই একটি সাত বছরের বাচ্চার মা হয়ে যাওয়া। আমার কোন সন্তান নেই। সন্তান পালনের কোন অভিজ্ঞতা আমার নেই। তবেবসব মেয়েই নতুন করেই মা হয়। কেউ সন্তান জন্ম দিয়ে। কেউবা আমার মতো। আর নতুনভাবে শুরু করা যেকোন কিছুতে ভুল হয়। তা কাজ হোক বা সম্পর্ক। অন্যায় আর ভুলের মাঝে পার্থক্য আছে। যদি আমার অন্যায় হয়, অবশ্যই শাসন করবে। কিন্তু যদি ভুল হয় তবে আমাকে ঠিক করে দিও।”

মিসবাহ, আতিয়ার হাতটা হাতে নিয়ে আস্তে একটা চাপ দিয়ে আস্বস্ত করে।

“আতিয়া, তেমাকে নিয়ো আজ হোটেলে থাকবো ভাবছি। আমার বন্ধুরা ইন্টারকন্টিনেন্টালে একটা রুম ভাড়া করতে চাইছে। আমিও তাই ভাবছি। আজকের দিনটা তিক্ততায় শেষ হোক চাই না।”

“আমি তো বরং চাই সমস্ত তিক্ততা আজ রাতেই শেষ হোক। এই না বললেন পলিন আমাকে ভয় পাচ্ছে? আজ প্রথম রাতই যদি আমরা বাড়ি না যাই, ওর এই ভয় পাকাপাকি হবে। ও ধরেই নিবে আমি এসেই ওর বাবাকে ওর কাছ থেকে নিয়ে গিয়েছি। বরং যা কিছু খারাপের মুখোমুখি হতে হয় আজই হই। একটা সুন্দর রাত তোমার কাছে পাওনা থাকলো। এত বড়ো হোটেলে আমি কখনো থাকি নাই। তবে আজ না। আজ আমরা হোটেলে গেলে তোমার মা, মানে আম্মাও ভালো ভাবে নিবেন না। ওনাকে আরও খেপিয়ে দেওয়ার মানে নেই।”

আতিয়ার গৃহপ্রবেশ খুব সাধারণ ছিল। রত্না ছেলেমেয়েদের নিয়ে দরজা দিয়েছে। হেলেন আর পলিন জাহনারা বেগমের রুমেই ছিল। জাহানারা বেগমও রুম থেকে বের হননি। মোনাই শরবত বানিয়ে ভাই ভাবীকে খাইয়েছে। পলিন দাদী আর ছোটোফুপুর রাগ রাগ কথাবার্তার মাঝেই উঠে এসে আড়াল থেকে বাবার পাশে নতুন মাকে দেখেছে। মোনা ডাকলেও দাদীর ভয়ে সামনে আসার সাহস হয় না। মোনার দৃষ্টি অনুসরণ করে নতুন মা আতিয়াও ওর দিকে তাকিয়েছে। ইশারায় কাছে ডেকেছে। পলিনের খুব রাগ হওয়ার কথা। কিন্তু কেন জানি রাগ হয় না। সবাই ভয় দেখিয়ে বলেছে সৎ মা খুবই ভয়ংকর হয়। কিন্তু আতিয়ার চেহারা পলিনের কাছে কেমন কোমল লাগে। মিষ্টি করে হেসেছে ওর দিকে তাকিয়ে। ডাইনির মতো ভয়ংকর একদম মনে হয়নি। এরচেয়ে বেশি ভয় বরং রত্না চাচীকে লাগে, যখন চাচী রেগে থাকেন, মুখটা কেমন রাগে লাল হয়ে থাকে। নতুন মায়ের মুখের লালটা তেমন রাগী লাগছে না। মোনাই পলিনকে কোলে করে নিয়ে এসে আতিয়ার পাশে বসিয়ে দেয়।

“পলিন, আমি আতিয়া। আমাকে তোমার পছন্দ হয়েছে?”

ঘাড় নেড়ে সায় দেয় পলিন।

“আমি আজ থেকে তোমার সাথেই থাকবো। আমাকে ঘুমাতে দিবে তোমার সাথে? আমি অনেক গল্প জানি। তুমি গল্প পছন্দ করো?”

আবারও ঘাড় নাড়ে পলিন।

“গল্প শুনতে হলে তো গল্প করতেও হবে। শুধু ঘাড় নাড়ালে তো হবে না।”

বলেই হাসে আতিয়া।এইটুকুতেই আতিয়াকে ভীষণ পছন্দ হয় পলিনের। যদিও এখনো জানে না আতিয়া ভালো না খারাপ! সবাই যে বলে খারাপ! পলিন আবারও মুখ শক্ত করে ফেলে।

হেলেন শ্বশুর বাড়ি চলে গিয়েছে। যাওয়ার আগে সাথে করে পলিনকেও নিয়ে গিয়েছে। যদিও মনে মনে পলিনের একটুও যেতে ইচ্ছে করছিল না। বরং নতুন মায়ের সাথে থাকতে কেমন লাগে তা দেখার খুব ইচ্ছে ছিল। বাবার সামনে নিশ্চয়ই নতুন মা মারতে পারতো না। কিন্তু দাদী জোর করে দিয়ে দিলেন, ফুপিও কঠিন কঠিন কথা বলে ওকে নিয়ে গেল। বললো পলিনের ছোটো ফুপু এখনো বেঁচে আছে। বাইরের কেউ এসে পলিনের সাথে খারাপ ব্যবহার করবে, আর ফুপুতা দেখবে, সেটা হবে না। যদিও কে খারাপ ব্যবহার করলো জানে না পলিন!

মোনা ভাইয়ের রুমে নতুন চাদর বিছিয়ে দিয়েছে। হাসান কোথা থেকে অনেকগুলো গোলাপ আর রজনীগন্ধার স্টিক নিয়ে এসেছে। তাজা গোলাপ আর রজনীগন্ধাগুলো ফুলদানি রেখে খাটের পাশের সাইড টেবিলের উপর রেখেছে মোনা। একটা পানির জগ আর দুটো গ্লাস। প্লেটে ঢেকে রেখেছে হালকা নাস্তা আর ফল। মিসবাহ বোনাের উপর কৃতজ্ঞ হয়ে যায়।

“আরে মোনা, হাসান কী করছিস তোরা! এসব লাগবে না।”

হাসান ব্লুটুথ স্পিকারে কিছু রোমান্টিক গান সেট করে দিচ্ছিল।

“কী করলাম ভাইয়া। রুমটা সাজানো হলো না।”

“যা হয়েছে যথেষ্ট। অনেক অনেক ধন্যবাদ।”

মোনা এরই ফাঁকে আতিয়াকে রুমে নিয়ে এসেছে। খাটে বসিয়ে দিয়ে বলে,

“ভাইয়া, এই দেখ তোমার বৌকে সুন্দর মতো রুমে এনে দিয়ে গেলাম। এই বার ভাইবোনকে খুশি করে বিদায় করো।”

মিসবাহ হেসে পকেটে হাত ঢুকায়। ভালো পরিমাণ বখশিশ পেয়ে ভাইবোন দু’জনই খুশি। মোনা আতিয়াকে জড়িয়ে ধরে বিদায় নেয়।

“ভাবী, ভালোই হলো হেলেন পলিনকে নিয়ে গেল। আজকের রাতটা দু’জন একাই থাকো। আমি এখন বাসায় যাব। কাল আসবো ইনশাআল্লাহ। আমার বাসা কাছেই। এমনিতে বাবার বাড়ি কম আসি। তবে এখন তোমার জন্য আসবো।”

সবাই চলে যেতেই রুমটা বন্ধ করে দেয় মিসবাহ। কড়া আলোটা নিভিয়ে দেয়। খুব কোমল ভাবে গান বাজছে হাসানের সেট করে দেওয়া স্পিকারে “আজ জানে কী জিদ না কারো…”

একরাশ ফুল, সাদা চাদর,আর নরম গান, আর বারান্দা গলে আসা চাদের আলো এইটুকুতেই যেন এক স্বপ্নালোক সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে এই এক চিলতে কামরায়।

(চলবে)