#তিক্ততার_সম্পর্ক
লেখনীতেঃ তাহমিনা তমা
পর্বঃ ১৩
ইয়াদ নিজের কাঁধের দিকে তাকিয়ে ঝাঁঝালো কণ্ঠে ধমক দিয়ে বললো, Remove your hand from my shoulder.
ইমা কেঁপে উঠলো ইয়াদের ধমকের স্বরে কথা শুনে আর কাঁপা-কাঁপি আরো বেড়ে গেলো। ইমা খুব করে চাইছে হাতটা সরিয়ে নিতে কিন্তু ইমা পারছে না। মনে হচ্ছে অদৃশ্য কোনো শক্তি তার হাত আঁটকে রেখেছে। হয়তো অতিরিক্ত ভয়ের ফলে।
ইয়াদ এক ঝটকায় ইমার হাত সরিয়ে দিয়ে বেড থেকে উঠে দাঁড়ালো। ইয়াদ ইমার হাত মুচড়ে ধরে বললো, তোমার সাহস হলো কী করে আমাকে টাচ করার ? মেয়েদের ছায়াও আমি ঘৃনা করি আর তুমি আমাকে টাচ করলে কোন সাহসে ?
ইয়াদের এমন কথায় ইমা ভয় পাওয়ার চাইতে বিস্মিত হলো কয়েকগুণ বেশি।
ইমা কাঁপা গলায় বললো, মেয়েদের যদি এতোই ঘৃণা করেন তাহলে বিয়ে কেনো করেছেন ?
ইয়াদ ইমার হাতটা ঝটকা দিয়ে সরিয়ে বললো, বিয়ে করেছি আমার বোনের জন্য কারণ আমার বোন আমার কাছে ভাবি চেয়েছে তাই রাজি হয়েছি। আর মিসেস রুবিনা কবিরের চাল জানতে পেরে রাজি হয়েছি।
ইয়াদ শেষের কথাটা রহস্যময় এক চিলতে হাসি দিয়ে বললো।
ইমা অবাক হয়ে বললো, বোন বিয়ে করতে বললো আর মেয়েদের ঘৃণা করা সত্ত্বেও বিয়ে করে নিলেন ? এতো ভালোবাসেন বোনকে ? কিন্তু কেন, সেও তো একটা মেয়েই।
ইমার এহেন কথায় ইয়াদ রেগে ইমার গাল চেপে ধরে বললো, সাবধান তোদের মতো থার্ডক্লাস মেয়েদের সাথে আমার বোনের একদম তুলনা করবি না। আমার বোনকে আমি আমার নিজের হাতে বড় করেছি। নারী জাতির ধোঁকাবাজির ছায়া ওর উপর পড়তে দেইনি। একদম ফুলের মতো পবিত্র আমার বোনের মন।
ইমা এক দৃষ্টিতে ইয়াদের দিকে তাকিয়ে থেকে বললো, আপনার বোন পবিত্র ভালো আর বাকি সবাই লোভী ?
ইয়াদ রেগে বললো, হ্যা তাই সব মেয়ে ধোঁকাবাজ ছলনাময়ী। নিজের স্বার্থের জন্য যে জাতি নিজের অনাগত সন্তানকে খুন করার কথা চিন্তা করতে পারে তারা কখনো ভালো হতে পারে না, কখনো না।
ইমা অবাক হয়ে বললো, মানে ?
ইয়াদ কিছু না বলে দরজা খোলে সজরে দরজাটা ধাক্কা দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেলো। ইমা সেদিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। ইমা বুঝতে পারছে না ইয়াদ এমন কেনো করছে। তবে এটা বুঝতে পারছে এই রাগী গম্ভীর চেহারার আড়ালে অনেক বড় কোনো রহস্য লুকিয়ে রেখেছে সে আর কোনো কারণে নারী জাতি সম্পর্কে হয়েছে নিকৃষ্ট ধারণা। ইমা বুঝার চেষ্টা করছে তার ভবিষ্যৎ কী ফলাফল হিসাবে চোখ ভড়ে এলো পানিতে।
বিড়বিড় করে বললো, সুখের প্রত্যাশাকারী তো সবাই কিন্তু প্রদানকারী কেবল মাত্র মহান আল্লাহ তাআ’লা। সুখ যাকে দেওয়ার আল্লাহ তাআ’লা তাঁকেই দিবে আর যাকে না দেওয়ার সে হাজার চেষ্টা করেও সুখের দেখা পাবে না।
ইমা কিছু না ভেবে বেডে শুয়ে পড়লো। চোখের পানি ফেলতে ফেলতে একসময় ঘুমের দেশে তলিয়ে গেলো। ইমাকে তখন কথাগুলো বলতে বলতে অতীতের কিছু তিক্ত স্মৃতি ধরা দিয়েছিলো ইয়াদের চোখের পাতায় আর তা কোথা থেকে যেতো রাগী চোখে পানির আগমন ঘটিয়েছিলো তাই ইমার সামনে থেকে চলে আসে সে। ইয়াদের চোখের পানি সেদিনের পর না কেউ দেখেছে আর না কোনোদিন দেখবে। ইয়াদ বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে কিছু সময় রাতের হাঁসতে থাকা আকাশটা দেখতে লাগলো। প্রকৃতির হাঁসি দেখলে ইয়াদের বড্ড হিংসা হয়। ইয়াদ মনে করে প্রকৃতি হাঁসতে হাঁসতে তাকে উপহাস করে বলে ইয়াদ তুই হাঁসতে ভুলে গেছিস। শেষ কবে প্রাণ খোলে হেসেছিলি তোর মনে আছে তো ইয়াদ ? আর এসব প্রশ্নের উত্তর ইয়াদ দিতে পারে না। একসময় প্রকৃতির সাথেও রাগ করে নিজেকে ব্যস্ত করে তুলে কাজের মাধ্যমে। ছেলেদের কাঁদতে হয় না কিন্তু ইয়াদের মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে চিৎকার করে কেঁদে বুকের জমা কষ্টটা বের করে দিতে কিন্তু ইয়াদ কাঁদতেও পারে না। কষ্টগুলো দিনের পর দিন, মাসের পর মাস আর বছরের পর বছর বুকের মাঝে জমতে জমতে তাকে পাথর করে দিয়েছে এখন। সবাই জানে ইয়াদ রাগী কিন্তু তার এই রাগী আর কঠিন হওয়ার পেছনের কারণটা কেউ জানতে চায় না।
ইয়াদ বিড়বিড় করে বললো, আমার বোনটা কীভাবে ছলনাময়ী হবে ইমা ? সে নিজেই তো মা নামক এক ছলনাময়ীর স্বীকার। জানো ইমা আমি আজও এই হিসাবটা মিলাতে পারিনি একটা মেয়ে খারাপ হতে পারে, একটা স্ত্রী খারাপ হতে পারে কিন্তু একজন মা কীভাবে এতো জঘন্য হয় কীভাবে, কীভাবে ? এর উত্তর আমি আজও পাইনি। না না যে জাতি মা নামক একটা পবিত্র শব্দের সাথে ছলনা করতে পারে সেই জাতির কোনো রুপই ভালো হতে পারে না, কখনো না। আমি আমার বাবার মতো ভুল কখনো করবো না, কোনোদিন না।
ইয়াদ আবার রাগে অগ্নিমূর্তি রুপ ধারণ করে রুমের দিকে পা বাড়ালো। রুমের দরজা ঢেলে ভেতরে ঢুকতেই চোখে পড়লো বেডের ওপর শুয়ে থাকা এক পরীর ওপর। এতোটুকু সময়েই ঘুমিয়ে কাঁদা হয়ে গেছে ইমা। ভেজা চুলগুলো বালিশের ওপর দিয়ে এলিয়ে নিচের দিকে নামিয়ে দেওয়া যা থেকে টপটপ পানি পরে ফ্লোর ভিজে যাচ্ছে। রুমের এসি বন্ধ তবে ফ্যানটা চলছে আর তাতে ইমার ছোট ছোট চুলগুলো উড়ে বেড়াচ্ছে ইমার সারা মুখময় জুড়ে। কালো রঙের লম্বা হাতার ব্লাউজ আর কালো একটা শাড়ী গায়ে জড়নো ইমার। শাড়ী পড়া দেখে মনে হচ্ছে এটাতে সে অভস্ত্য আগে থেকেই। ইমার বন্ধ চোখের দিকে তাকিয়ে থাকলো ইয়াদ। পরক্ষণে নিজের মধ্যে ধীরে এলো সে। কেবলই ঘুমের রাজ্যে পারি জমিয়ে ছিলো ইমা কিন্তু সেটা বেশি সময় স্থায়ী হলো না। ইমা ঘুমের মধ্যে অনুভব করলো তার হাত ধরে হেঁচকা টানে তাকে কেউ বসিয়ে ফেলেছে। চমকে গেলো ইমা কী হয়েছে বুঝতে পারলো না কিছু সময় পর যখন বুঝতে পারলো তখন খেয়াল করলো চোয়াল শক্ত করে দাঁড়িয়ে আছে ইয়াদ তার ঠিক সামনে। ইয়াদকে দেখে ভয়ে একটা ঢোক গিললো ইমা। এই কিছু মুহুর্তের মধ্যে ইমা অনেকটা বুঝে গিয়েছে ইয়াদ কেমন।
ইমা ভয়ে ভয়ে বললো, ক,,কী হয়েছে ?
ইয়াদ দাঁতে দাঁত চেপে বললো, তুমি আমার বেডে শুয়েছো কোনো সাহসে ? তুমি ভাবলে কীভাবে আমি একটা মেয়ের সাথে আমার বেড শেয়ার করবো।
ইমা ভীত গলায় বললো, তাহলে আমি কোথায় ঘুমাবো এখন ?
ইয়াদ একই ভঙ্গিতে বললো, তুমি কোথায় ঘুমাবে আই ডোন্ট কেয়ার বাট আমার বেডে নয়। বেড ছেড়ে রুমের যেখানে খুশি শুতে পারো বাট রুমের বাইরে যেতে পারবে না। এই রুমের দরজার বাইরে সবাইকে বুঝাবে তুমি আমার সাথে অনেক হ্যাপি, আমি তোমাকে চোখে হারায় বিশেষ করে মিসেস রুবিনা কবিরকে এটা বুঝাবে।
মা না বলে বারবার নিজের মায়ের নাম বলাতে অবাক হয়ে ইয়াদের দিকে তাকালো ইমা। সে কিছু বলার আগেই ইয়াদ আবার বললো, ভুলেও যদি আমাদের সম্পর্ক তুমি মিসেস রুবিনা কবিরের সামনে প্রকাশ করার চেষ্টা করেছো আমার সবচেয়ে নিকৃষ্ট রুপ তুমি দেখবে মনে রেখো।
ইমাও তার মায়ের ওপর অভিমান করে আছে তাই বলে ইয়াদের বারবার নিজের মায়ের নাম বলা তার সয্য হলো না।
ইমা বললো, উনি আপনার মা হয় বারবার উনার নাম বলছেন কীভাবে আপনি ?
ইয়াদ ইমার সাহস দেখে অবাক না হয়ে পারছে না তার একটা কথার উত্তরও ছেড়ে দিচ্ছে না ইমা, এতে ইয়াদের রাগ আরো বেড়ে গেলো। আবার ইমার গাল চেপে ধরলো ইয়াদ। ইমা এবার নিজের গাল ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে লাগলো।
তা দেখে ইয়াদ আরো শক্ত করে ধরে বললো, জন্ম দিলেই কেউ মা হতে পারে না। মা শব্দের মহত্ব অনেক বড় সেটা যার তার সাথে জুড়ে তার অপমান করতে চাই না আমি।
ইমা ওভাবে থেকেই বললো, মা তো মাই তার সাথে অভিমান করা যায় তবে তাকে ঘৃণা করা যায় না।
ইয়াদ ইমার মুখে রুবিনা কবিরের সাপোর্ট সয্য করতে পারছে। ইমার এই সাপোর্টে ইয়াদের বিশ্বাস আরো দৃঢ় হচ্ছে ইমা রুবিনা কবিরের পক্ষে কাজ করার জন্যই তাকে বিয়ে করেছে।
ইয়াদ দাঁতে দাঁত চেপে বললো, কত টাকা দিয়েছে রুবিনা কবির তোকে আমার জীবনে আসার জন্য ?
ইমা যেনো ইয়াদের কথায় আকাশ থেকে পড়লো কীসের টাকার কথা বলছে ইয়াদ সেটা ইমার বোধগম্য হচ্ছে না।
ইমা চমকে বললো, কীসের টাকার কথা বলছেন আপনি ? আমি কেনো টাকা নিবো ?
ইয়াদ তাচ্ছিল্যের হাসি হেঁসে বললো, হয় তুমি অতিরিক্ত চালাক না হলে অতিরিক্ত বোকা আর তাই আমাকেও বোকা মনে করো।
ইয়াদ ইমাকে ছেড়ে বেডে বসে বললো, তোমার কী মনে হয় তোমার মতো চালচুলোহীন একটা মেয়েকে রুবিনা কবির বিনা স্বার্থে এই বাড়ির বউ করে নিয়ে এসেছে সেটা আমি বিশ্বাস করে নিবো ? তোমার কী মনে প্রশ্ন জাগে না ? তুমি এই বাড়ির বউ হওয়ার যোগ্য কী না ?
ইমা ইয়াদের কথায় থমকে গেলো। সত্যি তো তার মতো এতিম অসহায় মেয়ে কী আবরার হামিদ ইয়াদের মতো সফল বিজনেসম্যানের স্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রাখে। আর মিসেস রুবিনা কবির কীভাবে তাকে নিজের এমন ছেলের বউ করে আনতে পারে ? সে তো সত্যি যোগ্য নয় ইয়াদের।
ইয়াদ তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বললো, কী হলো কথা বন্ধ হয়ে গেলো ?
ইমা কিছু না বলে মাথা নিচু করে ফেললো আর বরাবরের ন্যায় চোখের পানি তার সঙ্গী হলো।
ইয়াদ আবার বললো, মিসেস রুবিনা কত টাকা দিয়েছে তোমাকে ?
ইমা অসহায় দৃষ্টিতে ইয়াদের দিকে তাকিয়ে বললো, বিশ্বাস করুন আমি সত্যি কোনো টাকার কথা জানি না।
ইয়াদ সামনের দিকে তাকিয়ে বললো, বিশ্বাস আর নারী জাতিকে সেটা এ জন্মে আমার পক্ষে সম্ভব নয় মিসেস ইসমাত আবিয়াত ইমা। অফিস থেকে মোটা অংকের টাকা সরিয়েছে মিস্টার ডি কে আর মিসেস রুবিনা কবির। সেটা আমি জেনে গেছি আর তার প্রামণও আছে আমার কাছে। আর এটাও জেনে গেছি টাকাগুলো ব্যয়ের উৎস তুমি তাই আমার সামনে নাটক করে লাভ নেই। যা যা জানো সব বলে দাও এতে তোমারই মঙ্গল।
ইয়াদের সব জানা খুব বেশি প্রয়োজন তাই নিজেকে অনেক কষ্টে শান্ত রেখে ইমার পেট থেকে সব কথা বের করার চেষ্টা করছে। তবে ইমার বারবার অস্বীকার করা দেখে ইয়াদের রাগ ধাপে ধাপে বাড়ছে। কতক্ষণ কন্ট্রোল করতে পারবে সেটা ইয়াদের জানা নেই।
ইমা ভেজা গলায় বললো, বিশ্বাস করুন আমার কথা আমি সত্যি টাকার বিষয়ে কিছু জানি না।
ইয়াদ চোখ বন্ধ করে নিজের রাগ কন্ট্রোল করার শেষ চেষ্টা করলো কিন্তু শেষ পর্যন্ত সফল হতে পারলো না। এতোক্ষণের পুষে রাখা রাগ সব বেড়িয়ে গেলো। ইয়াদ আগের মতো রক্তচক্ষু করে তাকালো ইমার দিকে। ইয়াদ এবার ইমার হাত ধরে এক টানে বেড থেকে ফেলে দিলো ফ্লোরে ইমা হাঁটুতে ব্যাথা পেয়ে আহ্ করে উঠলো। এতে ইয়াদের মনে কোনো মায়ার সৃষ্টি হলো না বরং এটা ইমার অভিনয় মনে করলো।
ইয়াদ রেগে অগ্নিমূর্তি হয়ে বললো, কী ভেবেছিস তুই না বললে আমি বার করতে পারবো না ? এই ইয়াদ যেটা করতে চায় সেটা করেই ছাড়ে। তুই বললে তোর জন্য ভালো হতো আর আমার জন্য সহজ বাট তুই ভালো কিছু পাওয়ার যোগ্যই না। আর কান খোলে শুনে রাখ ভুলেও যদি রুবিনা কবিরের সামনে প্রকাশ করিস আমি টাকার বিষয়ে সব জেনে গিয়েছি তাহলে সেটাই তোর শেষদিন হবে। আর ইয়াদের হাতে মৃত্যু মানে মৃত্যুর আগে জাহান্নামের কষ্টের নমুনা দেখা। তাই এই রুমের কথা যেনো দরজার বাইরে না যায়। আর আমার থেকে সবসময় দশ হাত দুরত্ব বজায় রাখবি সেটা তোর জন্য ভালো হবে।
কথাগুলো শেষ করে ইয়াদ বেডে শুইয়ে পড়লো কপালে হাত রেখে আর ইমা ফ্লোরে বসে ফুপিয়ে কাঁদতে লাগলো।
কান্নার শব্দ শুনে ইয়াদ বিরক্ত হয়ে বললো, আর একবার যদি আমার কানে কান্নার শব্দ আসে ছাঁদ থেকে নিচে ছুঁড়ে ফেলে দিবো।
ইয়াদের কথায় ইমা ভয় পেয়ে মুখ চেপে ধরে কান্না আটকানোর চেষ্টা করলো।
ইয়াদ আবার বললো, টাকার লোভে আবরার হামিদ ইয়াদকে বিয়ে করে জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল করেছো সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাবে সারাজীবন মিসেস ইসমাত আবিয়াত ইমা। তুমি যদি ভেবে থাকো আমি তোমাকে ডিভোর্স দিবো তাহলে সেটা সম্পূর্ণ ভুল। আমার সাথে সারাজীবন কাটানোই হবে তোমার শাস্তি। কারণ আমি মনে করি আমার থেকে নিকৃষ্ট আর ভয়ংকর মানুষ পৃথিবীতে আর দুটো নেই।
ইমা এবার খানিকটা রেগে বললো, কী করলে বিশ্বাস করবেন আমি টাকার বিষয়ে কিছুই জানি না। আমার মৃত বাবার নামে কসম করে বললে ?
ইমার রাগী গলায় এমন কথায় ইয়াদ চমকে উঠে তাকালো ইমার দিকে।
চলবে,,,,,