তুলির সংসার পর্ব-০৯

0
38

#তুলির_সংসার
পর্ব-৯

তুলির রিক্সাটা একটা অন্ধকার গলিতে ঢুকতেই পশ্চিম আকাশটাকে অনেক আলোকিত দেখালো।
আজ কি পূর্নিমা?
কিন্তু চাঁদতো কোথাও দেখছে না। বাড়ি ঘরের ফাঁক দিয়ে শুকতারাটাকে দেখা গেলো। ইশ কি সুন্দর একটা তারা।
বিন্দুর মতো তবু কতো উজ্জল। প্রাতে আর সন্ধ্যায় বিশাল আকাশটাকে আলোয় উদ্ভাসিত করে রাখে।
চাঁদের আলো কে তো জোছনা বলে তাহলে
তারার আলোকে কি বলে…
ভেবে পেলোনা তুলি। মোড়টা ঘুরতেই রাস্তার ঝকঝকে আলোতে তারাটা ম্লান হয়ে গেলো।

আজকাল নিজেকেও বড্ড ম্লান লাগে তুলির।
বাড়ির সামনে আসতেই পাচিলের ওপাশ থেকে শুভ্র আর টিনার চাপা হাসির শব্দ শুনলো। দাড়োয়ান দরজা খুলে দিতেই তুলি জিজ্ঞেস করলো ছোট সাহেব কখন এসেছেন

অনেকক্ষন আগে এসেছেন, টিনা আপার সাথে ব্যাডমিন্টন খেলছেন।

তুলি ফোনটা হাতে নিয়ে দেখলো শুভ্রর কোনো মিসড কল বা টেক্সট আসেনি।

ঘরে এসে কাপড় বদলে শুয়ে পরলো, খুব ক্লান্ত লাগছে কিছু খেতেও ইচ্ছা করলো না।

বেশ পরিতৃপ্তির সাথে জানালার পাশে দাড়িয়ে চায়ের কাপে
চুমুক দিচ্ছেন তোবারক হোসেন চৌধুরি। কি দারুন মানিয়েছে শুভ্র আর টিনাকে। টিনা ওনার বাল্যবন্ধু বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসী হাবিবের একমাত্র মেয়ে। মেয়ে হলে এমন হতে হয় সদা চন্চল হাস্যোচ্ছল। অনেক ব্রিলিয়ান্ট আর স্পোর্টি ও। আমেরিকার কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে এপ্লায়েড ফিজিক্সে পড়াশোনা করছে। বেশ কয়েক বছর আগে তোবারক হোসেন সাহেব সপরিবারে আমেরিকায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। তখন টিনার বয়স হবে ষোল সতেরো।কি আদর আপ্যায়ন করেছিলো ওনাদের। অতটুকুন মেয়ে নিজে গাড়ি চালিয়ে সব জায়গা ঘুরিয়ে দেখিয়েছিলো।
তখন থেকেই তোবারক হোসেনের ইচ্ছা টিনাকে শুভ্রর বউ করে আনার। কিন্তু শুভ্রর জন্যে যখন মেয়ে দেখা শুরু হলো। টিনার কথা বলতেই মানা করে দিলো।
কথাটা মনে করে একটা দীর্ঘশ্বাস নিলেন মন্ত্রী মশাই।
তার ইশারায় আমলা, সচিব এমন কি বড় বড় পুলিশের কর্মকর্তারা পর্যন্ত উঠ বস করে আর নিজের বউ ছেলেকেই জীবনে একটা কথা শোনাতে পারলেন না।

#
তুলি

হুম

শরীর খারাপ লাগছে তোমার

না

উঠো কিছু খেয়ে ওষুধ খাও তারপর আবার শুয়ে পরো

বাথরুম থেকে হাতমুখ ধুয়ে আসলো তুলি

শুভ্র ট্রেতে করে খাবার নিয়ে এসেছে।

তুমি খাওনি?

না

চুপ করে নিঃশব্দে খেলো দুজনে

তুলির খুব জিজ্ঞেস করতে মন চাইলো বাসায় এসে আমাকে না পেয়ে কেনো তুমি ফোন দিলেনা।
এখোনো তো একবারও জানতে চাইলে না, কোথায় গিয়েছিলাম আমি। হঠাৎ করেই শুভ্রর এই পরিবর্তনটা লক্ষ্য করছে তুলি। শুভ্র যেনো কেমন নির্লিপ্ত হয়ে গিয়েছে।প্রায় মাস খানিক হতে চললো টিনা মেয়েটা এসেছে প্রথমে বলেছিলো দু সপ্তাহ থাকবে এখন যাওয়ার কোনো নাম নেই।
তুলি সন্দেহ করার মতো মেয়ে নয়। কিন্তু আজকাল ওর
মনে হচ্ছে শুভ্রর পরিবর্তনটা টিনার জন্যেই। তুলির আগে টিনার সাথে বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো শুভ্রর। হয়তো ও এখন পস্তাচ্ছে।

তুলিকে আয়রনের টেবলেট খুলে দিয়ে পাশ ফিরে শুয়ে পরলো শুভ্র। চায়নিজে ওদের প্রথম দেখার পর থেকে যে ভাল লাগা কাজ করেছিলো, ছাদে শুভ্রকে জড়িয়ে ধরে তুলির বাঁধ ভাঙ্গা কান্নায় সেই ভাললাগা পূর্নতা পায়। সেদিন থেকে শুভ্র বিশ্বাস করতে শুরু করে তুলি শুধু ওরই। অন্য কারো নয়। কয়েকটা মাস দারুন আনন্দে কাটছিলো ওদের। বিয়ের পর মন খারাপ করে রাখা তুলি বদলে গিয়েছিলো আপাদমস্তক। সব সময় হাসি খুশি ভাব একটু পর পর অফিসে ফোন করছে শুভ্রকে। সেই সব আনন্দ পরিপূর্ন হয় তুলির মা হতে চলার সংবাদে।

যেদিন আলট্রাসনোগ্রাম করে জানতে পারলো তুলির মেয়ে হবে। খুশিতে পাগল হয়ে গিয়েছিলো শুভ্র।

কিন্তু তোয়া যখন হুট করে জহিরকে নয় অন্য এক ছেলেকে পালিয়ে বিয়ে করলো। শুনে এতো অবাক হয়েছিলো তুলি। শুভ্রর মনে আছে ওর সামনেই ফোন আসে তোয়ার। কথা বলতে বলতে কেমন যেনো আনমনা হয়ে যায়।সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত তুলি যেনো এক কালো মেঘের চাদরে ঢাকা মানুষ। তাহলে কি নিজের বোনের খাতিরে জহিরকে ভোলার চেষ্টা করেছিলো শুধু..?

তুলি প্রেগনেন্ট না হলে শুভ্র ওকে সরাসরি জিজ্ঞেস করতো। ও চাইলে ওকে ডিভোর্স দিয়ে মুক্ত করে দিতো। নিজের আগত সন্তানের কথা ভেবে তুলিকে আর কিছুই বলেনি, কিছু জানতেও চায়নি।

জহিরের বাবা অসুস্থ তুলি বলেছিলো শুভ্রকে।
শুভ্র জিজ্ঞেস ও করেছিলো তুমি দেখতে যাবে? চলো আমরা যেয়ে দেখে আসি। তুলি কিছু বলেনি চুপ হয়ে ছিলো। আজ যখন বাড়িতে এসে তুলিকে পায়নি শুভ্রর বুঝতে বাকি থাকেনি তুলি কোথায় গিয়েছে। হয়তো শুভ্রর সাথে যেতে চায়নি একা যেতে চেয়েছিলো। এজন্যেই ওকে আর কিছু জিজ্ঞেস করে অপ্রস্তুত করেনি।
ওর যা ভালো লাগে করুক।

স্পষ্ট করে কথা না বলাতে যতো দিন যাচ্ছে ওদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে। নিরবতা অসহ্য মনে হচ্ছে। তবুও তুলিকে ছাড়া নিজের জীবন কল্পনা করতে পারেনা শুভ্র।

কোনো কিছু জোড় করে আদায় করার মধ্যে কোনো সুখ নেই। আর ভালবাসা এমন এক অনুভূতি যা মন থেকে না আসলে হাজার চেষ্টা করেও পাওয়া যায় না।

তুলির শ্বাসের শব্দে ঘুরে তাকালো শুভ্র।
কেনো যেনো তুলিকে খুব দূর্বল মনে হলো ওর কাছে।

ইদানিং কি ও তুলিকে একটু বেশিই অবহেলা করে ফেলেছে..?
টিনা আসার পর থেকে বাবা ওকে বার বার টিনাকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গা ঘোরানোর জন্যে পাঠাচ্ছে।
টিনা যেখানেই যাচ্ছে সব খানেই শুভ্রকে টিনার সাথে যেতে হচ্ছে।

শুভ্র না করতে পারেনি, একেতো টিনা অতিথি তাছাড়া আমেরিকায় যখন ঘুরতে গিয়েছিলো তখন টিনাও ওদের অনেক সময় দিয়েছিলো। আর একটা কারণ হলো, শুভ্র নিজেও মনে হয় তুলির থেকে একটু দূরে দূরে থাকতে চেয়েছিলো।

তুলির ক্লান্ত মায়াবী মুখখানি দেখে শুভ্রর বুকটা মুচরে উঠলো। নিজের উপর খুব রাগ হলো। তুলির অন্য কোনো সমস্যাও তো হতে পারে। অনেক সময় মানুষের শরীর খারাপ থাকলে মন ও খারাপ থাকে। তুলির চুপচাপ থাকা মানেই যে জহিরের কথা ভেবে মন খারাপ করছে সেটা তো নয়। এমনোতো হতে পারে শুভ্র অফিসে চলে যাবার পর এ বাড়ির কেউ ওর সাথে খারাপ ব্যবহার করে। বাবাতো তুলির উপস্থিতি এক কথায় সহ্যই করতে পারেননা।

এভরিথিং ইস সো মেসড আপ।
আর ঘুমাতে পারলো না শুভ্র। ছাদে গিয়ে পায়চারি করতে লাগলো। কাল সকালেই তুলির সাথে কথা বলতে হবে। মাফ চাইবে গত কয়েকদিন ওকে অবহেলার করার জন্যে আর ওর এরকম মৌনতার কারন কি সেটাও সরাসরি জানতে চাইবে।
খুব বেশিদিন এভাবে চলতে দিলে এই সম্পর্ককে আর বাঁচানো যাবেনা।

#
গোধূলিগগনে মেঘে ঢেকেছিল তারা ।
আমার যা কথা ছিল হয়ে গেল সারা ॥
হয়তো সে তুমি শোন নাই ,
সহজে বিদায় দিলে তাই –

রবীন্দ্রনাথের গানের কথা গুলোর মতোই ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথে শুভ্রকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে তুলি বলে উঠলো। আমি বুঝতে পারছি টিনার সাহচর্য তুমি দারুন উপভোগ করছো। আমার তাতে কোনো আপত্তি নেই। প্রতিটা মানুষের নিজের মতো চলার অধিকার আছে। আমি ডেলিভারি পর্যন্ত এখানে থাকবো। তারপর চলে যাবো। অবশ্যই আমি আমাদের মেয়েকে নিয়ে যাবো তবে তুমি মেয়ের সাথে যখন চাও দেখা করতে পারবে আমার তাতে কোনো আপত্তি থাকবে না।

শুধু লগনটা গোধুলীর ছিলনা। শুভ্রর আর বলারও কিছু ছিলনা।

এতো সহজে হাল ছেড়ে দিলো তুলি..?
যেই তুলি বিয়ে হওয়ার পরও অনেকদিন পর্যন্ত জহিরের আশা নিয়ে ছিলো আজ সে এতো অল্পতেই শুভ্রকে অন্য কাউকে দিতে প্রস্তুত হয়ে গেলো..!

ও কি ভাবে শুভ্রকে। এতোদিনে এতোটুকু চিনেছে ওকে।
বহুদিন আগে যেদিন প্রথম জেনেছিলো ওর মা ওর নিজের মা নয় সেদিন কেঁদেছিলো তার পর আজ কাঁদলো। নিঃশব্দ কান্না। কোনো কিছু নিজের মনে করে ভালবাসার পর যখন কেউ জানতে পারে সে তো আমার নিজের কিছুই না তখনই মনে হয় এমন বাঁধ ভাঙ্গা কান্নার জোয়ার আসে। বুক ফেটে চৌচির হয়ে যায়। ছেলে মানুষেরও চোখ ফেটে জল আসে।

না এক মিনিটও সেখানে দাড়ায়নি শুভ্র। তুলিকে ওর চোখের জল দেখাতে চায়নি, ছুটে বেরিয়ে গিয়েছিলো ওর সামনে থেকে।

#
কয়েকদিন আগের ঘটনা…

বাবা আপনি আমাকে ডেকেছিলেন?

তোমাকে আমি বাবা বলার অনুমতি এখোনো দেইনি

সরি আর বাবা বলবো না
আঙ্কেল বললে ঠিকাছে

হ্যাঁ সেটা বলতে পারো।

কিছু বলবেন আমাকে

কিছু না অনেক কিছু
চেয়ারটা টেনে বসো।

তুলি ওর ভারী শরীর নিয়ে ধীরে ধীরে চেয়ারটা নিয়ে বসলো।
ওর কাছে মনে হচ্ছে তোবারক সাহেব অনেক সময় নিবেন। মানুষ যখন লম্বা সূচনা দিয়ে কথা শুরু করে তখন বুঝে নিতে হবে রচনা নির্ঘাত বড় হবে। তাই একটু আরাম করেই বসলো তুলি।
আঙ্কেল চা দিতে বলবো চা খেতে খেতে আপনার অনেক কথা শোনা যাবে…। কি বলেন…

তোবারক সাহেবের মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো। যার ভয়ে বাঘে কুকুরে এক ঘাটে জল খায় সেই প্রতাপশালী লোকের সাথে এই মেয়ে এমন ভাব করছে যেনো উনি ওর বাড়ির প্রাইভেট টিউটর, যার সাথে ছাত্রীরা যখন তখন মস্করা করে। উনি অনেক জোড়ে একটা ধমক দিতে নিয়ে খুব কষ্টে নিজেকে সামলালেন। হাজার হোক এই মেয়ের পেটে তার ভবিষ্যৎ বংশধর। সমস্যা নেই এই মেয়েকে সাইজ করার জন্যে যা যা ছুড়ি চাকু দরকার উনি সব শান দিয়ে রেখেছেন। অস্ত্র রেডী এখন শুধু সময় মতো ক্ষেপন করতে পারলেই হবে।

গলাটা একটু কাশি দিয়ে পরিষ্কার করে নিলেন। এক চুমুক পানিও খেলেন।

তুলির এখন একটু ভয় ভয় করছে

ঘটনা কি

ঘটনা হলো তোমার বাবা জামান সাহেব। উনি ওনার ব্যাংক থেকে অনেক গুলো টাকা তছরুপ করেছেন। সেটার জন্যে ওনার নামে মামলা দেয়া হয়েছে। যেকোনো মূহুর্তে তোমার বাবাকে এরেস্ট করা হবে।

তুলি এতো চমকে গেলো যে ওর হাতের ধাক্কায় পেপারওয়েট টা নিচে পরে গেলো।

গোল পাথরের পেপারওয়েটটা নিচে পরে গড়িয়ে গড়িয়ে টুং টুং শব্দ করতে লাগলো। পীনপতন নিরবতায় সে শব্দ তীব্র হয়ে কানে বাজলো।

তুলি রেগে গিয়ে বললো, আমার বাবা এমন কিছু করতে পারেনা আপনি মিথ্যা বলছেন

আমি মিথ্যা বলছিনা
আমি যদি মিথ্যা বলতাম তাহলে পুলিশকে বলে ওনার এরেস্ট আটকাতাম না।
শুধু এরেস্টই আটকাইনি তছরুপ হওয়া টাকাও ব্যাংকে শোধ করে দিয়েছি যাতে ওরা কেস তুলে নেয়।তবে ওনার চাকরিটা বাঁচাতে পারিনি।

তোমার আমার কথা বিশ্বাস না হলে তোমার বাবাকে যেয়ে জিজ্ঞেস করতে পারো। উনি আমার কাছে স্বীকার করেছেন বহু বছর ধরে সংসার আর ভাই বোনদের চাহিদা পূরন করতে যেয়ে উনি অল্প অল্প করে টাকা সরিয়েছেন

তুলির দম বন্ধ হয়ে আসছে। ও কি চোরের মেয়ে। শেষ পর্যন্ত ওর বাবা একজন চোর হলো। এই অপবাদ থেকে তো মরে যাওয়া ভালো।

আমি তোমাকে এখানে ডেকে এসব বলছি কেনো জানো। আমি চাইনা আমার ছেলের তোমার মতো মেয়ের সাথে কোনো সম্পর্ক থাকুক যার বাবা চোর, মা লোভী, বোন ভেগে বিয়ে করে আর যে নিজে বিয়ের পরও পুরোনো প্রেমিকের চিন্তায় মগ্ন।

তুমি নিশ্চয়ই টিনাকে দেখেছো। এরকম স্মার্ট ব্রিলিয়ান্ট মেয়ে তুমি কখনো দেখেছো..? তুমিই তো বলেছিলে শুভ্র অনেক সাহসী ও বুদ্ধিমান ছেলে। এখন তুমিই বলো ও কি তোমার মতো একটা মেয়ে ডিজার্ভ করে..?

আপনি কি বলতে চান..?

তুমি শুভ্রকে ডিভোর্স দিয়ে দাও।
টিনা আসার পর একটা জিনিষ নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছো ওর কাছে তোমার থেকে টিনা বেশি গুরুত্বপূর্ন। ওদেরতো বিয়ে আগে থেকে ঠিক ছিলো মাঝখান থেকে তোমার সাথে হঠাৎ বিয়ে হয়ে গেলো।
আমার মনে হয় টিনাকে কাছে পেয়ে তোমাকে বিয়ে করা যে একটা বড় ভুল হয়েছে শুভ্র ভালোই বুঝতে পারছে।

এ কথা যদি তোবারক হোসেন ওকে কিছুদিন আগে বলতেন হেসে উড়িয়ে দিতো তুলি কিন্তু গত কদিনে শুভ্রর আচরন ওকেও অবাক করেছে। শুভ্র তো সত্যি তুলিকে এড়িয়ে চলছে। অসুস্থ বউকে রেখে সেই মেয়েকে সময় দেয়া যেনো বেশি জরুরি হয়ে গিয়েছে ওর জন্য। এমনকি যখন তুলির সাথে থাকে তখনও নিরব থাকে তেমন কথাও বলেনা।

কি ভাবছো

তুমি রাজি হলে আমি সব ব্যবস্থা করবো। তোমার ভরন পোষন, বাচ্চার খরচ এগুলো নিয়ে তোমাকে কোনো চিন্তা করতে হবেনা।এমনকি তোমার বাবা যেনো একটা ব্যবসা পাতি কিছু করতে পারেন আমি সেটাও দেখবো।

আপনার যা ভালো মনে হয় করেন।

কষ্ট পেয়ো না আমার কথায় রাজী হয়ে তুমি শুভ্রর অনেক বড় একটা উপকার করলে। টিনা ওকে সেই ভালবাসা দিতে পারবে যা তুমি কোনো দিনও শুভ্রকে বাসতে পারোনি।

চলবে…