তোমাতেই আমি মগ্ন পর্ব-১৩

0
424

#তোমাতেই_আমি_মগ্ন 🌸

#পর্ব_১৩

#লেখক_ঈশান_আহমেদ

ফারাবী গাড়ি নিয়ে সোজা কাজি অফিসে গেলো।ফারাবী আর অন্নার বিয়ে হয়ে গেলো।অন্নার কাছে সবটা ধাঁধার মতো লাগছে।

অন্না গাড়িতে বসে আছে।ফারাবী গাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে মোবাইলে কথা বলছে তার বাবার সাথে।

অন্নার মাথা কাজ করছে না।সে প্রেগন্যান্ট এটা কিভাবে বাবা-মা কে বলবে!আর ফারাবীর বাবা-মা যদি জানতে পারে তাহলে তো কখনোই তাকে মেনে নিবে না।কেউই চায় না একজন ধর্ষিতাকে তাদের বাড়ির বউ করতে।

ফারাবীর কথা বলা শেষ হলে সে গাড়িতে এসে বসলো।

অনুমা আমি বাবাকে সবটা জানিয়েছি।বাবা শুনে অনেক খুশি হয়েছেন।আর এখন তোমার বাড়িতে যাবো।তোমার বাবা-মাকে-ও তো সবটা জানাতে হবে।আর হ্যাঁ আমি এখন থেকে তোমাকে তুমি করেই বলবো।আফটার অল তুমি আমার বউ।(ফারাবী মুচকি হেসে বললো)

আর আমি যে প্রেগন্যান্ট এটা আপনার বাবা-মাকে জানাবেন না?(অন্না)

দেখো তুমি আমার বউ।আমি কাকে বিয়ে করবো এটা আমার ডিসিশন।আর বাবা-মাকে সময় হলেই সবটা জানাবো।তা নিয়ে তোমার ভাবতে হবে না।(ফারাবী)

অন্না আর কিছু বললো না।কারণ সে জানে ফারাবীকে কিছু বলেও লাভ নেই।

ফারাবী গাড়ি স্টার্ট দিয়ে অন্নাদের বাড়িতে গেলো।অন্না দরজার সামনে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে।

কি হলো?কলিংবেল বাজাবে না?(ফারাবী)

অন্না ফারাবীর দিকে চোখ রাঙিয়ে তাকালো।এমনি টেনশনে মরে যাচ্ছে।তার উপরে ফারাবী আরেকটা ঝামেলা বাধিয়েছে।

ফারাবী অন্নার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে কলিংবেল বাজালো।কলিংবেল বাজতেই অন্নার মা এসে দরজা খুললো।অনেমার বেগমের মুখে হাসি।

আসো বাবা ভিতরে আসো।(অন্নার মা)

অন্না বুঝতে পারছে না তার মা ফারাবীকে এতো যত্ন করে বাড়ির ভিতরে কেনো নিতে চাচ্ছেন।

অন্না আর ফারাবী দুজনে ভিতরে গেলো।

আসলে আমি আপনারাদের কিছু বলতে চাই।(ফারাবী)

আমরা সবটা জানি।খান সাহেব আমাদের কল করে জানিয়েছেন।(অন্নার বাবা)

যাক তাহলে তো আমার শ্বশুর মশাই আর শাশুড়ি মা আমাদের উপর রাগ করে নাই যা চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।(ফারাবী)

তুমি আমার মেয়েটাকে একটা নতুন জীবন দিয়েছো।কিন্তু বাবা তুমি তো বোধহয় একটা বিষয়ে জানো না।(অন্নার মা)

উনি সবটা জানে আম্মু।আমি উনাকে সবটা জানিয়েছি।(অন্না)

সবটা জানার পরেও তুমি……(অন্নার বাবা)

অন্নার বাবাকে থামিয়ে ফারাবী বললো,

শ্বশুর মশাই এইসব নিয়ে আর কথা বলার দরকার নেই।(ফারাবী)

/🦋/

অন্নাকে অনেমা বেগম জোর করে একটা লাল শাড়ি পড়িয়ে দিয়েছেন।যতই হোক নতুন বউ প্রথম তার শ্বশুরবাড়ি যাবে বলে কথা!

অন্না আর ফারাবী খান বাড়িতে দাঁড়িয়ে আছে।অন্নার হৃদকম্পন বেড়ে চলেছে।তার খুবই ভয় হচ্ছে।

যাক আমার পছন্দের পাত্রীকেই তাহলে বউ করে আনলি।(ফারাবীর মা)

ফারাবীর মায়ের কথা শুনে অন্না চমকে যায়।

রুমানা বেগম এক গাল হাসি নিয়ে অন্নার দিকে এগিয়ে যায়।অন্নার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে আস্তে করে অন্নার থুতনিতে হাত দিয়ে অন্নার মুখটা উপরে তুলেন।

খুব সুন্দর লাগছে আমার বউমাকে।(ফারাবীর মা)

ফারাবী সারাদিন অনেক ধকল গিয়েছে।তুই অন্না মাকে নিয়ে তোর রুমে যা।মেয়েটার চোখ-মুখ কেমন শুকিয়ে গেছে।(খান সাহেব)

ফারাবী আর কথা না বাড়িয়ে অন্নাকে নিয়ে তার রুমে আসলো।ফারাবী ওয়াশরুমে গিয়েছে ফ্রেশ হতে।অন্না ফারাবীর রুমের ইজিচেয়ারে বসে আছে।সবকিছুর সাথে সে ঠিক তাল মেলাতে পারছে না।কি থেকে কি হয়ে গেলো!তার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।ওই ফাহাদ নামক নরপিশাচের বাচ্চা তার পেটে!

ফারাবী ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে অন্না চোখ বন্ধ করে আছে আর তার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।ফারাবী গিয়ে আলতো করে অন্নার চোখের পানি মুছে দেয়।আচমকা হাতের ছোঁয়া পেতে অন্না শিউরে উঠে।তাকিয়ে দেখে ফারাবী তার দিকে তাকিয়ে আছে।অন্না ফারাবীকে দেখে উঠে দাঁড়ালো।

কেনো আমাকে বিয়ে করলেন?নিজের জীবনটা নষ্ট করার খুব ইচ্ছা জেগেছে তাই-না?(অন্না)

অনুমা কি সব বলছো তুমি?তোমাকে বিয়ে করলে আমার জীবন কেনো নষ্ট হবে?(ফারাবী)

অন্না ফারাবীর কলার ধরে জোরে চিৎকার করে বললো,

হ্যাঁ!হ্যাঁ!আমাকে বিয়ে করার জন্য আপনার সুন্দর জীবনটা নষ্ট হয়ে যাবে।আমি একজন কলঙ্কিত নারী।(অন্না)

অন্না কথাগুলো বলে ফারাবীর বুকে মাথা ঠেকে কেঁদে দিলো।অন্নার কান্না দেখে ফারাবীর অনেক কষ্ট হচ্ছে।ফারাবী অন্নাকে জড়িয়ে ধরলো।অনেকক্ষণ যাবৎ এভাবেই কাটলো।অন্না কাঁদছে আর ফারাবী মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।অন্না উপলব্ধি করতে পারলো সে ফারাবীকে জড়িয়ে ধরে আছে।অন্না ফারাবীকে ছেড়ে চোখের পানি মুছে নিলো।

ফারাবী অন্নার হাত ধরে বললো,

তুমি কোনো কলঙ্কিত নারী নাহ্।এরপরে যদি তোমার মুখে এমন কথা শুনি তাহলে দেখবে এই ফারাবী খান কি করতে পারে!আর তোমাকে বিয়ে করে আমার জীবন একদমই নষ্ট হয়নি।তোমাকে বিয়ে করে আমার জীবনে সুখবিলাস নিয়ে এসেছি।(ফারাবী)

ফারাবী মুচকি হেসে অন্নার দিকে তাকিয়ে আছে।অন্না ফারাবীর মুচকি হাসির দিকে তাকিয়ে আছে।তার চোখ দিয়ে পানি পড়েই চলেছে।

ফারাবী ভ্রু কুচকে বললো,

ওফ!আমার শার্টটা তো নাকের জল আর চোখের জল দিয়ে পরিপূর্ণ করে ফেলেছো।আরো পানি কোথা থেকে আসছে।তোমার চোখের ভিতরে কি সমুদ্র আছে নাকি!(ফারাবী)

ফারাবীর এহেন কথায় অন্না হেসে দিলো।ফারাবীর মুখেও হাসি ফুটলো।সে তো এতোক্ষণ অন্নার মুখের এই হাসিটাই দেখতে চাচ্ছিলো।

!✨!

রাতে কিভাবে ঘুমাতে চাও বলে ফেলো।তুমি চাইলে আমি সোফায় বা নিচে শুয়ে পড়বো।(ফারাবী)

আপনার বাড়িতে এসে আমি আপনাকে কি করে নিচে শুতে বললো!আর তার চেয়ে বড় কথা বিছানাটা একদম ছোট না।দুজনেই শুতে পারবো।আর আমি আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণ বিশ্বাস করি মি.খান।(অন্না)

কথাগুলো খুব সুন্দর লাগলো।বাট মি.খান বলাটা ভালো লাগেনি।আবির বাবুর মতো তো আমাকেও ফারাবী বাবু বলা যায় তাই-না!(ফারাবী)

অন্না কিছু না বলে বিছানায় শুয়ে বললো।ফারাবী-ও মুচকি হেসে অন্নার পাশে শুয়ে পড়লো।

||💚||

সকালে ঘুম ভাঙতে অন্না দেখলো ফারাবী বাচ্চাদের মতো মুখ করে ঘুমিয়ে আছে।যা দেখে অন্নার মুখে হাসি ফুটলো।সে তাকিয়ে দেখে যথেষ্ট দুরত্ব মেইনটেইন করে ফারাবী ঘুমিয়ে আছে।অন্না উঠে বসলো।বিছানা থেকে নেমে বেলকনিতে চলে গেলো।বাইরে বৃষ্টি পড়ছে।যার কারণে চারিপাশ মেঘাচ্ছন্ন।শীতের সকালে বৃষ্টি মানে অন্যরকম ব্যাপার।

হয়তো যারা জীবনে অনেক আঘাত পেয়ে থাকে আল্লাহ তাদের জন্য এমন একজনকে পাঠিয়ে দেয়।যে আঘাত প্রাপ্ত মানুষটাকে তার ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখে।আমার জীবনেও এমন একজনের আগমন ঘটেছে।আই রেলি রেসপেক্ট ইউ ফারাবী বাবু।(অন্না)

অন্না কথাগুলো বলে হেসে দিলো।

—————————–

ফারাবী আর ফারাজ খান অফিসে গিয়েছে।অন্না আর রুমানা বেগম রান্নাঘরে কাজ করছে।তবে অন্নাকে রুমানা বেগম কিছুই করতে দিচ্ছেন না।তিনি নিজেই সবটা করছেন।অন্না শুধু দাঁড়িয়ে দেখছে।

হঠাৎ করে অন্নার মাথা ঘুরতে লাগলো আর বমি বমি ফিল হতে লাগলো।অন্না তাড়াতাড়ি করে ভ্যাসিনের কাছে গিয়ে বমি করে দিলো।যা দেখে রুমানা বেগম কিছুটা ভয় পেয়ে গেলেন।

_💙_

জরুরি তলব দিয়ে রুমানা বেগম ফারাজ খান আর ফারাবীকে বাড়িতে আসতে বলেছেন।ফারাজ খান আর ফারাবী বাড়িতে এসে দেখে রুমানা বেগম চোয়াল শক্ত করে বসে আছেন।আর অন্না এক কোণে চুপটি করে দাঁড়িয়ে আছে।

ফারাবীকে দেখে রুমানা বেগম তার দিকে এগিয়ে আসলো।

লজ্জা করে না তোর?কার না কার বাচ্চা ওই মেয়ের পেটে।আর তুই তাকে বিয়ে নিয়ে এসেছিস।আর তুই নাকি সবটা জানতি?(রুমানা বেগম কর্কশ গলায় বললো)

ফারাবী একবার রুমানা বেগমের দিকে আরেকবার অন্নার দিকে তাকালো।

তুমি কিভাবে জানলে আম্মু?(ফারাবী)

কিভাবে আবার!বমি করতে ছিলো।আমি ভয় পেয়ে ডাক্তারকে খবর দিয়েছি।ডাক্তার এসে বলে গেছে।আর ও-কে জিগাসা করতে ও বললো তুই নাকি সবটা জানিস।ভালোই তো কার না কার পাপের ফল নিজের ঘাড়ে চেপে নিয়েছিস।কোথাকার নষ্টা মেয়ে।আর আমি নাকি এ-কে বাড়ির বউ করতে চেয়েছিলাম।(রুমানা বেগম)

ব্যাস আম্মু!(ফারাবী চিৎকার করে বললো)

ফারাবীর কথায় রুমানা বেগম থমকে যায়।

ফারাবী আবার বলতে শুরু করে,

না জেনেশুনে কোনো কিছু নিয়ে কথা বলাটা ঠিক না।তুমি কিভাবে জানলে ও নষ্টা মেয়ে?তোমার কাছে কোনো প্রমাণ আছে?আর যেই বাচ্চাকে বলছো কার না কার পাপের ফল।তুমি ঠিকই বলেছে।এটা কারো না তোমার বড় ছেলের পাপের ফল।মানে ফাহাদ খানের উপ্স এখন তো সে আবার ফাহাদ হোসেন হয়েছে।তোমার ছেলেই অন্নাকে জোর করে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছিলো।(ফারাবী চোখ রাঙিয়ে কথাগুলো বললো)

রুমানা বেগম চুপ হয়ে গেছেন।তার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।

তাহলে আমি ঠিকই ভেবেছিলাম।ফাহাদ আর ফারাবী জমজ ভাই।এর জন্যই এতো মিল!(অন্না মনে মনে বললো)

আর বাবাকে আমি সবটা বলেছি অফিসে গিয়ে।তোমাকে বলবো ভেবেছিলাম তার আগেই তুমি জেনে গিয়েছো।একদিক দিয়ে ভালোই হয়েছে।(ফারাবী)

রুমানা বেগম ধীর পায়ে অন্নার দিকে এগিয়ে গিয়ে অন্নাকে জড়িয়ে ধরলো।

মা আমাকে মাফ করে দে।আমি তোকে অনেক কিছু বলে ফেলেছি সবটা না জেনে।(ফারাবীর মা)

—–🍂—–

অন্না রুমে এসে দেখে ফারাবী বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছে।অন্না গিয়ে ফারাবীর পিছনে দাঁড়ালো।কারো উপস্থিতি টের পেতে ফারাবী পিছনে ঘুরে দেখে অন্না দাঁড়িয়ে আছে।

আই এম রেলি সরি অনুমা।আমার জন্য তোমাকে এতোগুলো বাজে কথা শুনতে হলো।(ফারাবী)

আমি কিছু মনে করিনি।আর গুরুজনরা তো শাসন করবেই।আর মায়ের রিয়েক্ট করাটা একদম স্বাভাবিক বিষয়।কারণ কোনো মা চায় না যে তার ছেলের বউ একজন ধর্ষিতা হোক তার সাথে আবার পেটে বাচ্চা।(অন্না)

জাস্ট স্টপ ইট অন্না।এইসব কথা আমি আর শুনতে চাই না।(ফারাবী ধমকে বললো)

অন্না বুঝতে পেরেছে ফারাবী অনেকটা সিরিয়াস হয়ে গেছে।কারণ আজ পর্যন্ত ফারাবী কখনো তাকে অনুমা ছাড়া অন্না বলে ডাকেনি।

দু-জনের মধ্যে নিরবতা বিরাজ করছে।

আচ্ছা একটা কথা বলবো?(অন্না)

হুম বলো অনুমা।(ফারাবী)

মানে ফাহাদ হোসেন আই মিন খান আপনাদের সাথে থাকেনা কেনো?আর উনি এমন হয়ে গেছেন কেনো?(অন্না)

ফারাবী কিছুক্ষণ চুপ থেকে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলতে শুরু করলো,

আমার তখন অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষা শেষ।কিন্তু ফাহাদ তখনও ক্লাস টেনের গন্ডি পেরোতে পারেনি।আসলে ওর পড়াশোনায় তেমন মন ছিলো না।বলতে পারো সে ছিলো বকাটে ছেলেদের লিডার।তার পড়াশোনার জেনো উন্নতি হয় সেই আশায় বাবা-মা মিলে ফাহাদকে আমাদের পাশের বাড়ির এক আপুর কাছে পড়তে দেয়।যে আমার আর ফাহাদের থেকে পাঁচ বছরের বড় ছিলো।সেই আপু ওই বাড়িতে একা থাকতো।তার বাবা-মা থাকতেন গ্রামে।অনেক কষ্টে বুয়েটে ভর্তি হয়েছিলো।উনারা অনেক গরীব ছিলো।আপু নিজের পড়াশোনার খরচ চালাতো টিউশনি করিয়ে।পাশের বাড়িতে একটা রুম ভাড়া নিয়ে থাকতো।আর ছেলে-মেয়েদের পড়াতো।ফাহাদ-ও পড়তে যেতো।কয়দিন ভালোভাবেই কেটে যায়।কিন্তু হঠাৎ একদিন ফাহাদ ওই আপুর রুমের দরজা লাগিয়ে আপুকে….(ফারাবী এটুকু বলে থেমে যায়)

নিজেকে স্বাভাবিক করে আবার বলতে শুরু করে,

সেই আপুকে রেপ করে।আপু চিৎকার করায় সবাই দরজা ভেঙে সেখানে গিয়ে হাজির হয়।আর ফাহাদ বসে বসে জোরে শ্বাস নিচ্ছিলো।সে তো খুব মহৎ কাজ করেছিলো।(লাস্টের কথাটা ফারাবী দাঁতে দাঁত চেপে বলে)

ফারাবীর চোখ-মুখ লাল হয়ে গেছে।ফারাবী রাগে একপ্রকার কাঁপছে।অন্না ফারাবীর কাঁধে হাত রাখলো।ফারাবী চোখ বন্ধ করে নিজেকে স্বাভাবিক করলো।

অন্না ছোট্ট করে বললো,

তারপর?(অন্না)

আপুর ওমন অবস্থা করার কারণে মানুষ ফাহাদকে মারতে চেয়েছিলো তারপরে ফাহাদ পালিয়ে যায়।তারপরে থেকে মানুষ আমাদের নিচু চোখে দেখতে শুরু করে।তারপরে এখানকার মায়া ত্যাগ করে আমি আর বাবা-মা সিলেটে চলে যাই।ফাহাদের সাথে তারপরে থেকে আর কোনো যোগাযোগ ছিলো না।এখনো নেই।(ফারাবী)

ফারাবী পকেটে হাত ঢুকিয়ে চোয়াল শক্ত করে দাঁড়িয়ে আছে বাইরের দিকে তাকিয়ে।

আচ্ছা ওই আপুর কি হয়েছিলো?(অন্না)

আপু এখন বিয়ে করে বিদেশে আছে।তার বেস্টফ্রেন্ড তাকে ওমন একটা খারাপ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে।দ্যান ওই বেস্টফ্রেন্ডের সাথেই বিয়ে হয়।আমি এটুকুই জানি।তাও অনেক খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পেরেছি।(ফারাবী)

#চলবে…………………………………………………..

[ভূল-ভ্রান্তি ক্ষমার চোখে দেখবেন।]