দুষ্ট ছাত্রীর রোমান্টিক প্যারা পর্ব-১০

0
503

গল্পঃ দুষ্ট ছাত্রীর রোমান্টিক প্যারা
পর্বঃ ১০
লেখকঃ দুষ্ট ছেলে

তানিয়াঃ আসুন স্যার বসুন আপনার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম।

নিরব মনে মনেঃ হাবভাব তো দেখছি খুবি খারাপ আল্লাহ রক্ষা করো।

তখন তানিয়া আবার নিরব কে বলে উঠলো ।

তানিয়াঃ বসুন স্যার কি খাবেন বলেন চা ঠান্ডা কফি ।

তখন নিরব আবার মনে মনে বললো।

নিরবঃ বাবাহ এতো দেখি রেগে এটম বোম হয়ে আছে আজ মার খেতে হবে সিওর পরিস্থিতি খুবি খারাপ ।

তখন নিরব চেয়ারে বসতে বসতে বললো।

নিরবঃ কিছু খাবো না তবে সিলিং ফ্যান ছেড়ে দাও আসে পাশের পরিস্থিতি খুবি গরম হয়ে আছে।

তানিয়াঃ তাই নাকি স্যার।

নিরবঃ হুম সিলিং ফ্যান ছেড়ে দাও।

তখন তানিয়া গিয়ে দরজা বন্ধ করে ঘরের ফ্যান ছেড়ে হকিস্টিক নিলো হাতে তখন নিরব বললো।

নিরবঃ কি ব্যাপার হকিস্টিক দিয়ে কি করো তুমি ।

তানিয়াঃ কি আর করবো কাবাডি,,,,কাবাডি,,,খেলবো।

নিরব অবাক হয়ে বললো।

নিরবঃ যাহহ বাবাহ হকিস্টিক দিয়ে কাবাডি খেলা যায় আগে যানতাম না তো৷।

তানিয়াঃ হুম খেলা যায় আগে না যানলে কি হয়েছে আজ তো জানলে ।

নিরবঃ হুম তা এখন এটা নিয়ে কি করবে।

তানিয়াঃ কিছু না স্যার এমনি একটু দেখছি আর কি আর কারো হাত পা ভাঙ্গা যায় কি না।

তখন নিরব এটা শুনে ভয় পেয়ে গেলো আর ভয়ে তুতলাতে তুতলাতে বললো।

নিরবঃ কা,,,কার,,,হা,,হাত,, পা,,,ভাঙ্গবে।

তানিয়াঃ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,( চুপ করে রইলো কিছু বললো না আর রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো )

নিরবঃ কি হলো বলো।

তখন তানিয়া হকিস্টিক রেখে ধরি নিয়ে নিরব কে সাথে সাথে দ্রুত পেচিয়ে চেয়ার এর সাথে বেধে ফেললো তখন নিরব ভয়ে ভয়ে বললো।

নিরবঃ কি,,,কি,,,হয়েছে বাঁধলে কেন আমায় বাধন খুলো বলছি।

তানিয়া কোনো কথা না শুনে শক্ত করে বেধে হকিস্টিক হাতে নিয়ে বললো।

তানিয়াঃ এইবার বলো কি কি বলছিলে।

নিরবঃ আর বলা হয়েছে আমার। প্লিজ আমায় ছেড়ে দাও।

তানিয়াঃ ছেড়ে দেওয়ার জন্য বাদিনী তোমাকে ।

নিরবঃ কিসের জন্য বাধছো,,,।

তানিয়াঃ মেরে হাড্ডি গুড্ডি সব ভাঙ্গবো।

নিরবঃ প্লিজ ছেড়ে দাও আমাকে প্লিজ মেরো না ।

তখন তানিয়া হকিস্টিক নিয়ে নিরব কে দুইটা বারি দিলো আর বললো।

তানিয়া রাগী গলায়ঃ তর কত বড় সাহস তুই আমার সামনে অন্য মেয়ে নিয়ে ঘুরছিস আবার তার হাত ধরে কি সুন্দর করে হেটে হেটে গিয়েছিস বাহহ।

নিরবঃ সরি প্লিজ ছেড়ে দাও আর কখনো যাবো না আ,,,,,, ।

কিন্তু তানিয়া আর কোনো কথা না শুনে নিরব কে বলতে না দিয়ে আরো দুইটা বারি দিলো আর বললো।

তানিয়াঃ সব সয্য করতে রাজি আছি কিন্তু আমার সামনে দিয়ে অন্য কোনো মেয়ে নিয়ে হাটবি সেটা কোনো দিন হতে দিবো না অই মেয়েকে নিয়ে আবার ফুচকা খেতে গিয়েছিস আবার এক রিকশায় বসে ঘুরাঘুরি করেছি তাই না ।

এইবলে মারতে লাগলো নিরব ব্যাথায় কিছুই বলতে পারছে না।

তানিয়া হকিস্টিক দিয়ে মারতে লাগলো পাঁচ মিনিট মেরে একটু শান্ত হলো তারপর খাটে গিয়ে তানিয়া বসে পড়লো ।

নিরব ব্যাথায় হালকা কাঁদতে লাগলো। তানিয়ার রাগ এখনো কমেনি।

এইভাবে আরো দশ মিনিট যাওয়ার পর তানিয়া শান্ত হলো তখন তানিয়া নিরব এর দিকে তাকিয়ে দেখে কাঁদছে । নিরব এর চোখে পানি দেখে তানিয়ার খুব খারাপ লাগলো তখন সে নিজেও কান্না করে দিলো আর দৌড়ে গিয়ে বাঁধন খুলে জরিয়ে দরে কান্না করতে করতে বললো।

তানিয়াঃ খুব ব্যাথা পেয়েছো তাই না সরি গো আমার মাথা ঠিক ছিলো ক্ষমা করে দিও যানো যখন তুমি অই মেয়ের সঙ্গে হাত ধরে গিয়েছো তখন খুব কষ্ট হচ্ছিল আমার সে কষ্ট কতটা হচ্ছিল তোমাকে বোঝানো হয়তো সম্ভব না আর প্রচন্ড রাগ হয়েছে মাথা একদম ঠিক ছিলে না। সরি ক্ষমা করে দাও।

তখন নিরব বললো।

নিরবঃ আগে শুনে তারপর তো মারতে পারতে আম্মু পাঠিয়েছে তার সাথে একটু ঘুরে আসতে আমি নিজের ইচ্ছে আসিনি আমি হাত ধরিনি আমার হাত সে ধরছে তার প্রতি আমার কোনো ফিলিংস নাই আগ্রহ নাই আমি যানি তোমার রাগ কষ্ট হবে কিন্তু আমার কিছু করার নেই আম্মুর কথায় গিয়েছি আর তুমি আমায় মারছো তোমার সাথে কোনো কথা নাই আমার যাও তুমি পচা ।

তানিয়াঃ সরি আর মারবো না।

নিরবঃ এখন আর মারবে কি করে যা মাইর দেওয়ার দিয়ে ফেলছো। হুম কথা নাই তোমার সাথে।

নিরব অন্য দিকে তাকিয়ে চুপ করে রইলো তখন তানিয়া বললো।

তানিয়াঃ সরি প্লিজ এই দেখো কানে দরছি।

নিরবঃ কোনো কাজ হবে না কথা নাই তোমার সাথে।

নিরব অন্য দিকে তাকিয়ে আছে তখন তানিয়া বললো।

তানিয়াঃ শয়তান,,বান্দর,,,বিলাই,,, রাগ করলাম আমি আর সে এখন উল্টো রাগ করছে যাহ না খমা করলে নাই কর এত বলতে পারবো না আমার কষ্ট হচ্ছে আমি আমার আদর নিয়ে ঠিক করি ।

এইবলে তানিয়া নিরব এর কোলে বসে তার মাথায় শক্ত করে দরে তার ঠোঁট গুলো দখল করে নিলো আর কিস করতে লাগলো ।

দশ মিনিট পর ছেড়ে দিয়ে আবার কিস করতে লাগলো আরো পাচ মিনিট কিস করার পর ছেড়ে দিলো তখন নিরব বললো।

নিরবঃ বাবাহ থামো থামো আর কিস করতে হবে না এইবার থামো।

কিন্তু তানিয়া আর কোনো কথা না শুনে আবার কিস করতে লাগলো আরো পাঁচ মিনিট যাওয়ার পর ছেড়ে দিলো ।

আর তখন দুজনেই নিশ্বাস নিতে লাগলো জোরে জোরে তখন নিরব বললো।

নিরবঃ আরেকটু হলে তো দম বন্ধ হয়ে যেতো,,,,।

নিরব আর কিছু বলতে যাবে তার আগেই আবার কিস করতে লাগলো তানিয়া এইভার দশ মিনিট পর ছেড়ে দিলো আর দুজনেই আবার হাঁপাতে লাগলো তখন নিরব আবার বললো।

নিরবঃ এ্যাহ 😭 এ্যাহ 😭 এ্যাহ 😭 ছাইড়া দেও আর কিস কইরো না থামো দোহাই লাগে।

তখন তানিয়া আবার নিরব এর ঠোঁট গুলো তার দখলে নিয়ে কিস করতে লাগলো এক মিনিট পর ছেড়ে দিলো আর নিরব বললো।

নিরবঃ দোহাই লাগে নামো ব্যাথা করছে এত গুলো বারি দিয়ে এখন আদর করছো না মারতে আসছো।

তখন তানিয়া আবার কিস করতে লাগলো কিছুখন পর ছেড়ে দিলো আর নিরব বললো৷

নিরবঃ আম্মু বাঁচাও।

তখন তানিয়া আবার ঠোঁটে কিস করতে লাগলো ১ মিনিট পর ছেড়ে দিলো আবার ।

নিরবঃ আব্বু বাচাও।

তখন আবার নিরবের ঠোঁটে কামড় দিয়ে দরলো কিস করতে লাগলো দুই মিনিট পর ছেড়ে দিলো আর তখন নিরব জোরে বললো।

নিরবঃ আব্বু আম্মু চাচা চাচি কেডা কই আছো বাচাও।

তখন তানিয়া আবার কিস করতে লাগলো তখনি রুমের বাহির থেকে ফারিয়া বললো।

ফারিয়াঃ তানিয়া যলদি দরজা খুলে বাহিরে আয় দেখে যাহ।

নিরব মনে মনেঃ যাক একজন আসছে বাচাতে৷ আর কেউ না আসলেও এইডা কিস করতে করতে নয়তো মারতো ।

তখন তানিয়া নিরব কে ছেড়ে দিয়ে গিয়ে দরজা খুলে দিলো তখন ফারিয়া বিতরে এসে দেখে নিরব এখানে তখন ফারিয়া তানিয়া কে বললো।

ফারিয়াঃ কিরে তানিয়া নিরব ভাইয়া কে এমন দেখাচ্ছে কেন।

তখন নিরব বললো।

নিরবঃ আর বইলো না শয়তান মাইয়া বান্দর মাইয়া। এমন মেয়ে কখনো দেখিনি আমি কি ডেঞ্জারাস । পিচ্চি হলেও হেব্বি সাংঘর্ষিক মেয়ে কি মাইরটাই না দিলো বাবা হাড্ডি গুড্ডি সব নাড়িয়ে দিছে।

ফারিয়াঃ কি মারছে আপনাকে আমিও তাই ভাবছিলাম তানিয়া একটা কিছু করবে আপনাকে কারণ যে রাগ দেখলাম তাই দৌড়ে আসছি।

নিরবঃ আসতে লেট হলো আগে আসলে এত মাইর খেতে হতো না।

তখন তানিয়া বললো।

তানিয়াঃ আগে আসলে একেও মারতাম ভাগ্য ভালো ছিলো না । দুজনেই মার খেতে হতো।

তখন ফারিয়া বললো।

ফারিয়াঃ কেন আমি কি করছি।

তানিয়াঃ তুই আমায় আটকিয়ে ছিলি এই বাহুবালি কে ইট নিয়ে যাওয়ার পথে তাই মাইর দিতাম।

ফারিয়াঃ বেশ করছি তখন আটকিয়েছি।

তখন নিরব বলে উঠলো।

নিরবঃ সন্ধ্যা হয়ে গেছে আমি এখন বাসায় যাই।

তানিয়াঃ যাও কিন্তু যাওয়ার আগে শুনে যাও অই মেয়ের সঙ্গে যেন তোমাকে না দেখি।

নিরবঃ ঠিক আছে যেই মাইর দিছো মনে থাকলে যামু না।

তানিয়াঃ আর দাড়াও একটু।

তখন তানিয়া তার বেগ থেকে টাকা নিয়ে বললো।

তানিয়াঃ এই নাও এখানে ৫০০ টাকা ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধ নিয়ে যাবে মনে করে।

নিরবঃ টাকা লাগবে না থাক।

তানিয়া রাগী গলায়ঃ টাকা নিবে নাকি আবার মাইর দিবো।

নিরবঃ ঠিক আছে নিচ্ছি এত রাগ দেখাও কেন।

তানিয়াঃ হুম আরেকটা কথা আগামীকাল সকালে আমার বাসায় আসবে।

নিরবঃ সকালে আমি পারবো না কলেজ যেতে হবে।

তানিয়াঃ ঠিক আছে আমি ইস্কুল থেকে আসার সময় যেন তোমাকে পাই।

নিরবঃ ঠিক আছে। এখন আমি যাচ্ছি।

তানিয়াঃ ঠিক আছে যাও।

তখন নিরব চলে গেলো বাসার বাহিরে গিয়ে বললো।

নিরবঃ বাবারে বাবা হাড্ডি নড়িয়ে ফেলছেরে শয়তান মাইয়া বিয়ের আগেই এমন দজ্জাল বিয়ের পর কি হবে কে যানে এমন গালফ্রেন্ড পাইছি কথায় কথায় রোম্যান্টিক হয়ে যায় আর কিছু হলে এক কেজি রাগ দেখায়। ডাক্তার কাকু কই তুমি আমি আইতাছি।

তারপর নিরব সেখান থেকে একটা ঔষধ এর দোকানে চলে যায় গিয়ে ঔষধ নিয়ে বাসায় চলে যায় বাসায় গিয়ে রুমে শুয়ে আছে তখনি সুলতানা এসে বললো।

সুলতানাঃ ডিয়ার হবু বর তোমার শাসন কিন্তু আমি পাইতাছি না

নিরব মনে মনেঃ একটার থেকে বেঁচে আসতে না আসতে আরেটা ঝালানোর জন্য এসে হাজির।

সুলতানাঃ শুনছো গো ডিয়ার হবু বর তোমার শাসন ছাড়া কেমন যানি খারাপ হয়ে যাচ্ছি তোমার ভালবাসা ছাড়া নিমপাতা হয়ে গেছি তোমার রোমাঞ্চ ছাড়া কেমন যানি শূন্য হয়ে গেছি যলদি ভালবেসে নাও না গো কাছে টেনে আদর দিয়ে নিমপাতা দাও না গো মিষ্টি করে।

নিরব মনে মনেঃ শালার কপাল আমার এতদিন একটাও গালফ্রেন্ড খোজ নাই এখন দুইটা এসে হাজির।

সুলতানাঃ কি হলো কথা বলছো না কেন।

নিরবঃ আমি এখন একটু ঘুমাবো প্লিজ তুমি এখন যাও।

সুলতানাঃ কেন আমি আসি তোমার উপর ঘুমাই।

নিরবঃ যাও তো প্লিজ পরে এসো ঘুম পাচ্ছে।

সুলতানাঃ ঠিক আছে যাচ্ছি ।

তারপর সুলতানা চলে গেলো নিরব চোখ বন্ধ করতেই আবার তার ফোন বেজে উঠলো।

তখন নিরব বিরক্ত হয়ে তাকিয়ে দেখে অপরিচিত ফোন নাম্বার তখন নিরব ফোনটা রিসিভ করে সালাম দিলো
ওপাশ থেকে উওর নিয়ে ছেলের কন্ঠে বললো।

_ আপনি কি নিরব আহমেদ।

নিরবঃ জ্বি আপনি কে বলছেন।

তখন ওপাশ থেকে বড় একটা নিশ্বাস ফেলে বললো।

_ আপনার ফোন নাম্বার চার তিন দিন পাগলের মতো খুজে বের করছি।

নিরবঃ তা কিসের জন্য।

_ আপনার সাথে আমার পারসনাল কথা আছে প্লিজ একটু দেখা করবেন।

নিরবঃ আপনি কে সেটা বলেন।

_ আমার নাম সুমন বাসা ঢাকা উওরা।

নিরবঃ ঠিক আছে কিন্তু কেন।

সুমনঃ আপনার সাথে কি সুলতানার বিয়ের কথা চলছে।

নিরবঃ হুম কেন কি হয়েছে।

সুমনঃ ফোনে বলা যাবে না আপনি আগামীকাল ঠিক দুপুর ১১ টায় যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে আসেন সব বলবো যদি ভাড়া লাগে আমি দিবো তবুও বলা দরকার প্লিজ।

নিরবঃ ঠিক আছে আমি আগামীকাল আসবো।

সুমনঃ ধন্যবাদ ভাই খুব খুশি হলাম আমি অপেক্ষায় থাকবো।

নিরবঃ ঠিক আছে আমি আসবো।

সুমনঃ তাহলে এখন ফোন রাখছি যা বলার সামনা সামনি বলবো।

নিরবঃ ঠিক আছে।

তারপর ফোন কেটে দিলো তখন নিরব ভাবতে লাগলো

নিরবঃ কি এমন কথা যা ফোনে বলা যাবে না কিছু একটা সন্দেহ লাগছে যাই হোক আগামীকাল গেলে শুনতে পারবো।

তখন নিরব আবার শুয়ে পড়লো তখনি আবার ফোন বেজে উঠল তাকিয়ে দেখে আরেকটা অচেনা নাম্বার তখন নিরব ফোন রিসিভ করার পর ওপাশ থেকে বললো।

_ ভাইয়া আমি ফারিয়া।

নিরবঃ হুম বলো কি মনে করে কল দিলে।

ফারিয়াঃ ভাইয়া কিছু কথা বলার ছিলো আপনাকে যদি কিছু মনে না করেন।

নিরবঃ হুম বলো।

ফারিয়াঃ ভাইয়া আমি তানিয়ার আম্মুর সাথে গতকাল কথা বলছি তখনি তানিয়ার আম্মু একটা কথা বললো তার মেয়ে নাকি আগের চেয়ে খারাপ হয়ে যাচ্ছে । আর লেখা পড়ায় মন নেই ক্লাসে গিয়ে প্রতিদিন টিচার এর কাছে বকা খায় অভিযোগ করছে তানিয়ার নামে তার আম্মুর কাছে ক্লাসে গিয়ে পড়তে চায় না মন থাকে অন্য যায়গায় কিছু বললে শুনে না যদি লিখতে বলে একটা লিখে আরেকটা । তাই অভিযোগ করা হয়েছে এমন করলে তাকে ইস্কুলে রাখবে না তার আম্মু চিন্তার মধ্যে পড়ে গেছে । আপনি তো যানেন তানিয়া যে ইস্কুলে পড়ে খুব চাপে রাখে। আর খারাপ রেজাল্ট করলে ইস্কুল থেকে বের করে দেয় আর ভর্তি হওয়ার সুজক নেই আপনাকে কিছু বলতে পারছে না তানিয়া কে একটু চাপে রাখতে কেন এমন করছে কিন্তু তানিয়া এখন আপনার প্রতি ডুবে গেছে আপনার প্রেমে পড়ে সব ছেড়ে দিয়েছে তার আর মন লেখাপড়ার মাঝে নেই ভাইয়া তাকে একটু লেখাপড়ার মাঝে মন বসান সামনে ফাইনাল পরিক্ষা এমন করলে ফেল করবে আর তানিয়ার আম্মু সন্দেহ করবে তখন আপনাদের সম্পর্ক মানবে না কিছু একটা করুন।

নিরবঃ ঠিক আছে কথা দিলাম আগামীকাল এর পর থেকে তানিয়া আগের চেয়ে বেশি পড়ায় মন থাকবে।

ফারিয়াঃ ধন্যবাদ ভাইয়া আচ্ছা ভাইয়া আমি রাতে কল দিবো আবার এখন রাখি।

নিরবঃ ঠিক আছে।

তখন ফারিয়া ফোন কেটে দিলো আর নিরব তখন শুয়ে পড়লো তখন নিরব এর আম্মু আসলো তার কাছে এসে বললো।

নিরবের আম্মুঃ নিরব বাবা জেগে আছিস।

তখন নিরব বললো ।

নিরবঃ হুম আম্মু কেন কি হয়েছে।

নিরবের আম্মুঃ কিছু কথা ছিলো উঠ বাবা।

তখন নিরব উঠে বসলো আর তখন নিরব জিজ্ঞেস করলো।

নিরব : হুম বলো এখন কি বলবে।

নিরবের আম্মুঃ শুন বাবা সুলতানর আর তর বিয়ে আগামী চারদিন পর হবে সবাই মিলে আমরা ঠিক করেছি

বানান গুলো ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন।

চলবে,,,,,,,