#দ্বিতীয়_বসন্ত
#লেখা_Bobita_Ray
পর্ব- ১৫
একটা পরিত্যক্ত ঘুটঘুটে অন্ধকার বাড়ি। চারপাশ থেকে কেমন উটকো গন্ধ ভেসে আসছে। একটা কাঠের ঘর। ঘরে কোন জানালা নেই। গা চিড়বিড়ে ভ্যাপসা গরম। কে যেন, এই বন্ধ ঘরের ভেতরে সুপ্তিকে আটকে রেখেছে। হাত-পা বাঁধা। অতিরিক্ত ভয়ে সুপ্তি চিৎকার করছে। কিন্তু মুখ দিয়ে গো..গো শব্দ ছাড়া অন্যকিছু শোনা যাচ্ছে না। হঠাৎ লাইট জ্বেলে উঠল। অনেকক্ষণ অন্ধকারে থাকার ফলে, লাইটের ঝকঝকে আলো সুপ্তির চোখে কাটার মতো বিঁধলো। চোখদুটো জ্বলে গেল। সুপ্তি দুচোখ বুঁজে ফেলল। কারো বিকট শব্দে হা..হা..করে হাসির শব্দ ভেসে আসছে! অতিরিক্ত ভয়ে সুপ্তি চোখ তুলে তাকানোর সাহস পেল না। কে যেন রাশ ভারী কণ্ঠে বলল,
-‘আমি এসেছি সুপ্তি! চোখ খুলো প্লিজ?
সুপ্তি কাঁপতে কাঁপতে পিটপিট করে তাকিয়ে দেখল, ও ঘরে আবিরের পাশে শুয়ে আছে। আবির কাত হয়ে, সুপ্তির মুখের উপরে লাইটের আলো ফেলে অদ্ভুত চোখে তাকিয়ে আছে। সুপ্তির পুরো শরীর ঘামে ভেঁজা। জবজব করছে। মুখটা ভয়ে শুকিয়ে পাংশুবর্ণ হয়ে গেছে। আবির, সুপ্তির মাথায় হাত বুলিয়ে দিল। অস্থির হয়ে বলল,
-‘কী হয়েছে সুপ্তি? এমন করছো কেন?
আচমকা আবিরকে দুইহাতে জড়িয়ে ধরে, শব্দ করে কেঁদে দিল সুপ্তি। এখনো বুক ধড়ফড় করছে খুব। অস্ফুট স্বরে ফুঁপিয়ে বলল,
-‘আমি..আমি…খুব ভয়ংকর একটা স্বপ্ন দেখেছি।
আবির, সুপ্তিকে বুকের ভেতর শক্ত করে চেপে ধরল। পিঠে হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল,
-‘ভয় নেই সুপ্তি। আমি আছি তো।
প্রায় একমাস পর, আজ আবির বাসায় ফিরেছে। রাতে কয়েক দফা ভালোবাসা-বাসির পর, আবিরের বাহুডোরে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পরেছিল সুপ্তি। হঠাৎই দুঃস্বপ্নটা দেখল! এত বাজে আর ভয়ংকর স্বপ্ন জীবনেও দেখেনি সুপ্তি। সবকিছু সত্যি, জীবন্ত মনে হচ্ছিল। আবির ঘরের লাইট জ্বেলে দিল। বোতল থেকে গ্লাসে জল ঢেলে, সুপ্তির মুখের সামনে ধরল। বলল,
-‘খাও?
সুপ্তি ঢকঢক করে এক নিঃশ্বাসে জলটুকু গিলে ফেলল। জল পরে বুকের কাপড় অনেকটা ভিজে গেছে। আবির লাইট বন্ধ করল না। ওইভাবেই সুপ্তিকে নিয়ে শুয়ে পরল। মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল,
-‘অনেক রাত হয়েছে। ঘুমানোর চেষ্টা করো সুপ্তি।
চোখ বুঁজলেই বার বার ওই ভয়ংকর স্বপ্নটার দৃশ্য চোখের পাতায় ভেসে উঠছে। সুপ্তি ভয়ে আর চোখ বুঁজার সাহস পেল না। তাকিয়ে রইল অনেকক্ষণ।
খুব ভোরে ঘুম ভাঙল সুপ্তির। নিচে নেমে দেখল, তৃণারানী হাঁটতে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে। সুপ্তিকে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে দেখে, মিষ্টি করে একটুখানি হাসল। বিনয়ের সাথে বলল,
-‘আজ এত সকালে ঘুম থেকে উঠলে যে মামণি?
সুপ্তি বিরস মুখে বলল,
-‘এমনিই। আপনি কী হাঁটতে যাচ্ছেন মা?
-‘হ্যাঁ মামণি।
-‘আমিও যাব?
-‘বেশ। চলো তবে।
তৃণারানীর জোরে জোরে হাঁটার অভ্যেস। সুপ্তি শাশুড়ীমার পায়ে পা মিলিয়ে হাঁটতে পারছে না। হিমশিম খেয়ে, বার বার পেছনে পরে যাচ্ছে। ক্লান্ত হয়ে একটা বেঞ্চে পা তুলে বসে পরল সুপ্তি। একমনে তৃণারানীর হাঁটার দৃশ্য মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখতে লাগল। এই পার্কে প্রচুর গাছপালা। ভোরের ঝিরিঝিরি বাতাস গায়ে মেখে, বসে থাকতে মন্দ লাগছে না। তৃণারানী অনেকক্ষণ হেঁটে এসে সুপ্তির পাশে বসল। বলল,
-‘গল্প শুনবে সুপ্তি?
সুপ্তি অবাক চোখে শাশুড়ী মায়ের মুখের দিকে তাকাল। বলল,
-‘শুনব মা।
তৃণারানী বলতে শুরু করল,
-‘আবিরের বাবা-কাকা, পিসিরা ছিল মোট এগারোজন ভাইবোন। আমি যখন ওদের সংসারে বড় বউ হয়ে আসি। তখন একান্নবর্তী পরিবার। সারাক্ষণ বাড়িতে হৈ-হুল্লোড়, পুজো-পার্বন, উৎসব লেগেই থাকতো। প্রতিদিন বাড়িতে ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ জন মানুষের রান্না হতো। ত্রিশজন মানুষ তিনবেলা খেলেও নব্বই জন মানুষের রান্না করা লাগত। আমি যখন নতুন নতুন বিয়ে হয়ে এলাম। আবিরের বাবা তারও বহু বছর আগে থেকেই ঢাকায় সোনার দোকান। তো মানুষটা একমাস – দুইমাস পরপর বাড়ি আসতো। এত বড় পরিবার। কোনকিছুর অভাব নেই। অথচ সবার শেষে খেতে গেলে হয় ভাত থাকতো না, নাহয় তরকারি থাকতো না। সারাদিন এত কাজ করে, খিদের জ্বালা সহ্য করতে পারতাম না। লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদতাম। কত বড় বড় মাছ, বাছার বাছার মাংসের পিসগুলো এই হাতে, নেড়েচেড়ে রান্না করেছি। রান্না করার সময় কী যে লোভ লাগতো। কিন্তু কখনো ভাগে একটু ভাল মাছ-মাংস পাইনি, জানো? লজ্জায় কাউকে বলতেও পারতাম না। আবিরের আগে, আমার আরও দুটো সন্তান হয়েছিল। অপুষ্টিতে ভুগে একটা পেটেই মারা গেল। আরেকটা জন্মের তিনমাস পর মারা গেল। শুনলে বিশ্বাস করবে না মামণি, আগের বাচ্চাদুটো পেটে আসার পরও আমাকে কোনদিন ওরা ভাল খাবার খেতে দেয়নি। বাড়িতে প্রতিদিন দুধ জ্বাল হতো। পোয়াতি মানুষ। প্রথম প্রথম কিছু মুখে রুচে না। শুধু মনে হতো, একবাটি ঘন দুধের সাথে কলা চটকে, ভাত মাখিয়ে নিলে কী যে স্বাদ লাগবে খেতে! মনে হবে, অমৃত খাচ্ছি। আহ্..ভাবলেই তো জিভে জল এসে যেত। কিন্তু কেউ আমাকে দুধ খেতেই দেয়নি। শুধু বলতো, এত ভাল-মন্দ খাইলে পেটের বাচ্চা বড় হয়ে যাবে। সবসময় ভর্তা- ভাত কপালে জুটতো। রোজ রোজ ভর্তা ভাত খেতে কার ভাল লাগে, তুমিই বলো? উপায় নেই। তবুও খেতে হতো। কী করব? অতিরিক্ত কাজ করতে করতে খিদেয় পেট চু চু করতো যে! পর পর দুটো বাচ্চা হারিয়ে আমি পাগলপ্রায় হয়ে গিয়েছিলাম। আবিরের বাবাকে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছিলাম, হয় আমাকে আপনার সাথে নিয়ে যাবেন, নাহয় আমি নিরুদ্দেশ হয়ে যাব। মানুষটা ভয় পেল খুব। ঝগড়া, অশান্তি উপেক্ষা করে আমাকে ঢাকা নিয়ে আসল। ছোট্ট এক রুমের বাসা। চলার মতো কিছু জিনিসপত্র কিনে নিলাম। তবে এখানে এসে মানসিক শান্তি পাচ্ছিলাম খুব। মন যা যাইতো অল্প হলেও খেতে পারতাম। তারপর আবির পেটে এলো। আমার ছেলেটা আমাদের জীবনে সৌভাগ্য নিয়ে এলো। ব্যবসায় যেন সোনা ফলে উঠলো। চোখের পলকে, লটারি জিতে ছোট্ট দোকান বড় করে ফেলল, আবিরের বাবা। একরুমের বাসা ছেড়ে দুইরুমের বাসায় উঠলাম। আস্তে আস্তে পরিবার-পরিজনের সাথেও সম্পর্ক আবার আগের মতো ভাল হয়ে গেল। তারা খুব বলেছিল, আমি যেন আবির হওয়ার সময়ে ওই বাড়িতে গিয়ে থাকি। আমি রাজি হইনি। মনে মনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করে বসেছি, একা থাকবো তবুও ওই নরকে আর ফিরে যাব না৷ আবির একাই ভূমিষ্ট হলো। শুধু নাড় কাটার জন্য একজনকে ডেকে আনা হয়েছিল।
আমার এই ছেলেটা অনেক লক্ষ্মী সুপ্তি। এই ছেলেটা বড় হওয়ার সাথে সাথে আমাদের পুরো জীবনধারা পাল্টে গেল। আবির কখনো আমার কথার অবাধ্য হয়নি। কত শখ করে মেয়ে খুঁজে এনে, বিয়ে দিলাম। ছেলেটা একবাক্যে রাজি হয়ে গেল। বন্ধ ঘরে ওদের কত অশান্তি, ঝগড়াঝাটি হয়েছে। কখনো আবির আমাকে নিজে থেকে মুখ ফুটে বলেনি। কিন্তু আমি তো মা। ছেলের মলিণ মুখ দেখলেই বুঝতাম। কিছু একটা ঠিক নেই। তারপর একদিন ওই ডাইনিটা আমাদের সবকিছু চুরি করে নিয়ে পালিয়ে গেল। সেদিন সত্যিই আমি হাফ ছেড়ে বেঁচেছিলাম। আপদ নিজে থেকে বিদায় হয়েছে। ছেলের জীবন নষ্ট করার জন্য ভেতরে ভেতরে খুব অপরাধবোধে ভুগতাম।
তারপর একদিন তোমাকে দেখলাম। এক দেখায় তোমাকে ভাল লেগে গেল। কিন্তু ছেলেকে বলার সাহস পাইনি। তবে আবিরের চোখেও তোমার প্রতি অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করছিল। ওর চোখমুখ দেখলেই টের পেতাম। একদিন বলেই বসলাম। আশ্চর্য হয়ে খেয়াল করলাম, পাপড়ি চলে যাওয়ার পর থেকে, যে ছেলেটা সবসময় বিয়ের প্রতি অনিহা দেখাতো। সে কিছুই বলল না। শুধু তোমাকে যেন তার অতীত জানানো হয়। এতটুকুই দৃঢ় কণ্ঠে দাবি রাখল। তার পরের গল্পটা তো তুমি জানোই।
তৃণারানী একটু থেমে বড় করে দম ছাড়ল। সুপ্তির হাতদুটো আঁকড়ে ধরে বলল,
-‘আমাকে কথা দাও মামণি? কখনো আমার আবিরকে ছেড়ে যাবে না? সারাজীবন আমার আবিরকে ভালোবেসে আগলে রাখবে?
সুপ্তি আবেগপ্রবণ হয়ে গেল। গাঢ় কণ্ঠে বলল,
-‘কথা দিলাম মা। সারাজীবন আপনার ছেলের পাশে থাকব। সুখে-দুঃখে, আপদে-বিপদে কখনো ওকে ছেড়ে যাব না।
তৃণারানী, সুপ্তিকে একহাতে জড়িয়ে ধরল। বলল,
-‘আমি জানতাম মা..দেরি হলেও আমার আবিরের জন্য পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মেয়েটাকেই খুঁজে পেয়েছি। ওকে তুমি এক চিমটি ভালোবাসা দিয়ে দেখো..বিনিময়ে ও তোমাকে এক পৃথিবী সমান ভালোবাসা দেবে।
শাশুড়ীমায়ের কথা শুনে সুপ্তির মনটা প্রশান্তিতে ভরে গেল। সত্যিই এই যুগে এত ভাল মনের শাশুড়ী পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। তৃণারানী উঠে দাঁড়াল। বলল,
-‘অনেক বেলা হয়ে গেছে সুপ্তি। চলো? এবার বাড়ি ফেরা যাক!
আবির ড্রয়িংরুমে বসে একমনে চা খাচ্ছিল। শাশুড়ী-বৌমাকে একসাথে বাসায় ঢুকতে দেখে, ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠল। বলল,
-‘বাহ্..তুমিও হাঁটতে গিয়েছিলে সুপ্তি?
-‘হুম।
-‘হাত-মুখ ধুয়ে খেতে আসো? আমার খিদে লাগছে। তাছাড়া অনেকদিন শো-রুমে যাওয়া হয় না। আজ একবার যাব।
ওরা কথা বলতে বলতে আবিরের বাবাও চলে এলো। তারপর একসাথে চারজন খেতে বসল। খাওয়ার সময় তৃণারানী সুপ্তির পাতে এটা-সেটা তুলে দিল। সুপ্তি অস্থির হয়ে বলল,
-‘এত খাবার দিবেন না মা। আমি খেতে পারব না। বেশি খাবার দেখলেই আমার পেট ভরে যায়।
তৃণারানী স্মিত হেসে বলল,
-‘খাও সুপ্তি। নাহলে আমার মতো পরে, সারাজীবন আফসোস করবে। একটা সময় খাওয়ার জন্য জিভে জল এসে যেতো। এখন কত খাবার সামনে থাকে, অথচ ডায়াবেটিসের জন্য মন চাইলেও খেতে পারি না।
আহারে… সুপ্তির মনটা খারাপ হয়ে গেল।
অলস দুপুর। শুয়ে থাকতে ভাল লাগছে না। সমরেশ মজুমদারের সাতকাহন বইটা টেনে নিল সুপ্তি। প্রথম পড়েছিল ক্লাস টেনে থাকতে, পাঠ্য বইয়ের ভেতরে বইটা রেখে, লুকিয়ে লুকিয়ে। সে কী টানটান উত্তেজনা। রাতে ঘুম হয় না। পরে কী হবে ভাবতে ভাবতে বাটন ফোনের ফ্ল্যাশ জ্বেলে চুপিচুপি একপাতা দুপাতা করে পড়ে সুপ্তি। তারপর অনেকবার বইটা পড়া হয়েছে। ভাল লাগে। কিন্তু প্রথমবারের মতো এতটা উত্তেজনা আর কাজ করেনি। তবে খুব প্রিয় একটা বই। বই পড়তে পড়তে গল্পের গভীরে ঢুকে গেল সুপ্তি। সেই সাথে মাথা থেকে সেই বাজে স্বপ্নটার কথাও কখন যেন ফুড়ুৎ করে বের হয়ে গেছে। আবির এলো পড়ন্ত বিকালে। এসেই খাটে গড়িয়ে পরল। সুপ্তির হাত থেকে বইটা টেনে নিয়ে খাটের একপাশে নামিয়ে রেখে, সুপ্তিকে বুকে টেনে নিল। আবিরের বুকে ছোট ছোট লোম। সুপ্তি, আবিরের বুকে মুখ ডুবিয়ে দিতেই লোমগুলোর আলতো স্পর্শে গা শিরশির করে উঠল। আবির বলল,
-‘আমরা পরশু হানিমুনে যাব।
সুপ্তি মাথা তুলে তাকাল। বলল,
-‘কোথায়?
-‘জাফলং যাব।
-‘দীপ্তি যে যেতে চাইল?
-‘নো টেনশন। ওরাও যাবে।
-‘ওহ..ভাল।
মাঝখানে একটা দিন হাতে পেল ওরা। সারাদিন শপিং করেই কাটালো। তারপরের দিন, দুই জুটি একসাথে সিলেটের উদ্দেশ্যে রাত বারোটার দিকে রওনা হলো। সাথে অবশ্য ড্রাইভার নিয়ে নিয়েছিল আবির। ছয় সিটের গাড়ি। ড্রাইভারের পাশের সিটটা খালিই পরে রইল। আবির-সুপ্তি মাঝের সিটে বসল। আর শৌভিক-দীপ্তি পেছনের সিটে বসল। ঢাকার রোড ছেড়ে যেতেই ভেতরের লাইট বন্ধ করে, সুপ্তিকে হাত বাড়িয়ে কাছে টেনে নিল আবির। এই অন্ধকার রাত। কারো ঘন ঘন নিশ্বাসের শব্দ। মেয়েলি পারফিউমের মাতাল করা ঘ্রাণ। শৌভিকের সহ্য হলো না। মাথার ভেতর কী যেন কুটকুট করে কামড়ে ধরল। আচমকা দীপ্তির বুকের মাংসপেশিতে হাত রাখল শৌভিক। দীপ্তি ভয়ে আঁতকে উঠল। গলা শুকিয়ে কাঠ। শৌভিক নিচু কণ্ঠে ফিসফিস করে বলল,
-‘আমি।’
শৌভিকের মতিগতি একটুও ভাল লাগে না দীপ্তির। কিন্তু কাউকে মনের কথা মুখ ফুটে বলতেও পারে না। শৌভিকের হাতের চাপ ধীরে ধীরে বাড়ল। দীপ্তি ব্যথায় কুঁকড়ে গেল। ভয়ে দুচোখ বুঁজে ফেলল। সেই সাথে চোখ দিয়ে দুফোঁটা জলও গড়িয়ে পরল বোধহয়।
(চলবে)