দ্বিতীয়_বসন্ত পর্ব-১৬

0
140

#দ্বিতীয়_বসন্ত
#লেখা_Bobita_Ray
পর্ব- ১৬

(প্রাপ্ত মনস্কদের জন্য)
সাধারণত ঢাকা থেকে সিলেট যেতে আট-নয় ঘণ্টা সময় লাগে। যেহেতু রাতের রোড ফাঁকা থাকে। ওরা এক ঘণ্টা আগেই সকাল সাতটার দিকে, গন্তব্যে পৌঁছে গেল। দিনের আলো ফুটে গেছে অনেক আগেই। ওরা চারজন প্রথমে গিয়ে উঠল! আগে থেকে বুকিং দেওয়া, “জৈয়িন্তা হিল রিসোর্টে।” ধাপে ধাপে একতলা, দোতলা টিনের চাল দেওয়া, সুন্দর কারুকার্য করা সারি সারি ঘর। ঘরে কাঠের রেলিং দেওয়া বারান্দায় দাঁড়ালে, ভারতীয় সীমান্তে পাহাড় আর ঝর্ণার দেখা মেলে, নিচে বিস্তৃত সবুজ সমতল। সীমান্তঘেঁষা এ রিসোর্টের অবস্থান সিলেট শহর থেকে জাফলং যাওয়ার পথে, হাতের ডানে। আবির, সুপ্তিকে নিয়ে একটা ঘরে চলে গেল। তারপর ভেতর থেকে আস্তে করে দরজা বন্ধ করে দিল। শৌভিকের মনটা তিক্ততায় ভরে গেল। অন্যঘরে একটুও যেতে ইচ্ছে করল না। আজকাল কী হয়েছে কে জানে! শুধু সুপ্তির আশেপাশে থাকতে ইচ্ছে করে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও দীপ্তিকে নিয়ে অন্য একটা ঘরে চলে গেল শৌভিক। সারারাত গাড়িতে বসে থাকার ফলে, সুপ্তির পা দুটো ঝিম লেগে আছে। বিলাসবহুল রিসোর্টের নরম তুলতুলে, পরিষ্কার খাটে আরাম করে শুয়ে পরল সুপ্তি। আবিরও ব্যাগটা নিচে নামিয়ে রেখে, খাটে গড়িয়ে পরল। হাত বাড়িয়ে সুপ্তিকে কাছে টেনে নিয়ে, সুপ্তির পেটে সুড়সুড়ি দিতেই সুপ্তি খিলখিলিয়ে হেসে উঠল। অতিরিক্ত হাসতে হাসতে চোখের কোণে জল জমলো। আবিরের হাতটা দুইহাতে চেপে ধরে, মরিয়া হয়ে বলল,
-“প্লিজ আর না। হাসতে হাসতে পেট ফেটে মরেই যাব!
আবির, সুপ্তির পেটে মুখ গুঁজলো। সুপ্তি, আবিরের চুলগুলো টেনে ধরে বলল,
-‘কী হলো?
আবির চোখ তুলে তাকাল। চোখদুটো লাল টুকটুকে হয়ে গেছে। দৃঢ় অথচ শীতল কণ্ঠে বলল,
-‘নেক্সট টাইম তোমার মুখে, ‘মরে যাব’ এই কথাটা যেন আর না শুনি।
সুপ্তি স্মিত হেসে বলল,
-‘আমি তো কথার কথা বলছিলাম।
-‘প্লিজ সুপ্তি।
-‘ওকে।

একদম হুট করেই ঘরের চাল বেয়ে, ছন্দ তুলে ঝুপুরঝুপুর বৃষ্টি পরছে। আবির, সুপ্তিকে পাজকোলা করে, দোতলার বেলকনিতে নিয়ে গেল। সুপ্তিকে নামিয়ে দিয়ে, সুপ্তির পেছনে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে, সুপ্তির কোমর জড়িয়ে ধরল। অজানা শিহরণে কেঁপে কেঁপে উঠল সুপ্তি। ঝুমবৃষ্টির ছাট এসে ওদের বারংবার ভিজিয়ে দিয়ে যাচ্ছে। আবিরের চিবুক সুপ্তির উন্মুক্ত কাঁধে রাখল। দুজনের নিঃশ্বাসই ভারী হয়ে এলো। আবির নেশা জড়ানো কণ্ঠে বলল,
-‘তোমার সাথে আমার প্রথম দেখা হয়েছিল। কোন এক ঝুম বৃষ্টির রাতে। আমি একমনে গান গাইছিলাম। তুমি বোধহয় ভুল করে আমার ঘরে ঢুকে, লুকিয়ে লুকিয়ে, মুগ্ধ হয়ে, আমার গান শুনছিলে। আমাদের প্রথম দেখা, প্রথম কথা বলা, লেকের পাড়ে ঘুরতে গিয়ে, প্রথম আমার চোখে, মুখে তোমার চুলের স্পর্শ লাগা। সবকিছু আজও কত প্রখর ভাবে অনুভব করি আমি। একবারও কী ভেবেছিলাম? সেই যোজন যোজন দূরের তুমিটা, আমার এত কাছের, এত প্রিয়জন হয়ে যাবে? যাকে হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যায়। গভীর রাতে যার বুকে মাথা রেখে, উত্তপ্ত নিঃশ্বাসের শব্দ শোনা যায়, মন ভরে আদর করা যায়। আর অনেক অনেক ভালোবাসা যায়। তুমি আমার জীবনে ভুল করে আসা দ্বিতীয় অপশন নও সুপ্তি। তুমি আমার ছন্নছাড়া, এলোমেলো জীবনে, আমাকে সুখের সাগরে ভাসিয়ে দিতে, হঠাৎ আসা, ‘দ্বিতীয় বসন্ত’। আমি তোমায় অনেক ভালোবাসি সুপ্তি।
সুপ্তি ঘুরে দাঁড়িয়ে, আবিরকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরল। আবিরের বুকে মুখ ঘষে, আদুরে কণ্ঠে বলল,
-‘মিথ্যে কথা। এত তাড়াতাড়ি ভালোবাসা হয় না।
সুপ্তির সুন্দর, স্নিদ্ধ, মায়াবী মুখখানি আঁজলায় তুলে ধরল আবির। সুপ্তির মুখের দিকে ঘোর লাগা দৃষ্টিতে অনেক্ষণ তাকিয়ে রইল। এক হাত বাড়িয়ে বৃষ্টির জল মুঠোয় পুরে নিল আবির। তারপর সুপ্তির চোখে, মুখে বৃষ্টির স্বচ্ছ জলটুকু ঢেলে দিল। আবেশে দুচোখ বুঁজে ফেলল সুপ্তি। গায়ের ভেতর শিরশিরে অনুভূতি। জলের ছোট ছোট কণা সুপ্তির গাল বেয়ে গলা, গলা বেয়ে বুকে, চুইয়ে চুইয়ে পরছে। আবির একহাত দিয়ে সুপ্তির কোমর শক্ত করে চেপে ধরল, অন্যহাত দিয়ে ঘাড়ের পেছনে ধরে, মুখ বাড়িয়ে, সুপ্তির কাঁপা কাঁপা অধরে অধর রাখল। ধীরে ধীরে টেনে নিল, সুপ্তির অধরের গভীরে লুকিয়ে থাকা অমৃতসুধা।

আবিরদের সামনের রিসোর্টে শৌভিক, দীপ্তিকে নিয়ে উঠেছে। রিসোর্ট দুটো পাশাপাশি হওয়াতে, জানালা দিয়ে আবিরদের বেলকনির দৃশ্য স্পষ্ট দেখা যায়। সুপ্তিকে মরিয়া হয়ে, চুম্বন করার দৃশ্য শৌভিক খুব মনোযোগ দিয়ে দেখল, আর ভেতরে ভেতরে রাগে, দুঃখে, ক্ষোভে ফেটে পড়ল। প্রেয়সীকে অন্যকেউ চুমু খাচ্ছে! এই দৃশ্য নিজে চোখে দেখার পর কিছুতেই ঠিক থাকা যায় না। সহ্য করাও যায় না। শৌভিকের মাথায় আগুন ধরে গেল। সারাঘর দাপিয়ে বেড়াল। ঘাড়ে হাত চেপে ধরে, বার কয়েক মাথা ঘুরালো। না..না..তবুও অশান্ত মন কিছুতেই শান্ত হচ্ছে না। দীপ্তি এসেই কাথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে পরেছে। শৌভিকের বুকের ভেতর অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছে। এই যন্ত্রণা কী দিয়ে কমাবে শৌভিক?
অবাধ্য, বেহায়া চোখদুটো আবারও জানালার ফাঁক গলে, ওদের বেলকনিতে চলে গেল। আবির এখনো জোঁকের মতো সুপ্তির ঠোঁটজোড়া চুষে খাচ্ছে। এর চেয়ে ভাল, ভদ্র ভাষা আর শৌভিকের মাথায় এলো না। মানুষ রেগে গেলে, এর চেয়েও বাজে, কুৎসিত ভাষা মনে মনে বলে বোধহয়।
শৌভিক আচমকা ঝাঁপিয়ে পরল দীপ্তির উপরে। দীপ্তির ঘুম ছুটে গেল। শৌভিকের হিংস্রতা ভরা চোখ-মুখ দেখে, অতিরিক্ত ভয়ে থরথর করে কাঁপছে মেয়েটা। মুখ দিয়ে কোন শব্দ করার আগেই শৌভিক, দীপ্তির ঠোঁটে ঠোঁট রাখল। ইচ্ছে মতো কামড়ে দীপ্তির নরম ঠোঁটজোড়া জখম করে ফেলল। দীপ্তির গায়ের জামা টেনে ছিঁড়ে, খুলে ফেলল শৌভিক। তবুও মাথা ঠাণ্ডা হচ্ছে না। পুরো মাথা দপদপ করছে। মাথার নিউরন গুলো সুস্থ ভাবে কাজ করছে না। দীপ্তির শরীরের গভীরে কামড়ে, আঁচড়ে, রক্তাক্ত করে ফেলল শৌভিক। কাঁদতে কাঁদতে দীপ্তির সুন্দর চোখ-মুখ ফুলে গেছে।
-‘ ওমা গো…আমি মরে গেলাম! বাঁচাও….
চিৎকার করছে দীপ্তি। কিন্তু এত জোরে বৃষ্টি হচ্ছে। দীপ্তির কান্নার শব্দ, চিৎকার, চেঁচামেচির শব্দ ঘরের ভেতরে বার বার প্রতিধ্বনি হতে লাগল। শৌভিকের যেন এতে আনন্দ দ্বিগুন বেড়ে গেল। দীপ্তির বুকের সামান্য নিচে এমন জোরে কামড় বসিয়ে দিল। ব্যথায় দীপ্তির জ্ঞান হারানোর জোগাড় হলো। শৌভিক পৈশাচিক হেসে, দীপ্তির চুলের মুঠি শক্ত করে টেনে ধরল। বলল,
-‘তোকে এমন এমন জায়গায় মারব। কাউকে লজ্জায় দেখাতেও পারবি না..শালী!
দীপ্তি অস্ফুট স্বরে বলার চেষ্টা করল,
-‘আমি আপনার কী ক্ষতি করেছি?
শৌভিক, দীপ্তির তলপেট বরাবর জোরে লাত্থি মারল। দীপ্তি খাট থেকে গড়িয়ে নিচে পরে গেল। খাটের কোণা কপালে লেগে অনেকখানি কেটে গেছে। কপাল চুইয়ে চুইয়ে তিরতির করে রক্ত পরছে। শৌভিক জোর করে সেই রক্তটুকু দীপ্তির কাপড় দিয়ে ঘষে ঘষে মুছে দিচ্ছে। রক্ত পরা তো কমছেই না। আরও বাড়ছে। অতিরিক্ত ব্যথায় কুঁকড়ে গেল দীপ্তি। এ কোন মানুষ হতেই পারে না। মানুষরূপী নরপিশাচ। শৌভিক বলল,
-‘তুই কিছু করিসনি। তোর দিদির শাস্তিগুলো তোকে দিচ্ছি রে…!
দীপ্তি চমকে উঠল। অতিরিক্ত ব্যথায়, তীব্র যন্ত্রণায় হাত-পা অসার হয়ে আসছে! শৌভিক, দীপ্তির চুলের মুঠি এত জোরে ঘোরাল। দীপ্তি দুচোখে ঝাপসা দেখল। শৌভিক আবারও ঝাপিয়ে পরল দীপ্তির উপরে। দীপ্তির সারা শরীর ব্যথায় ব্যথায় নীল করে দিল।
একসময় শৌভিক ক্লান্ত হয়ে, দীপ্তির পাশে ধপ করে শুয়ে পরল।
শৌভিকের তন্দ্রা ভাব এসে গিয়েছিল। পাশেই দীপ্তি অচেতন হয়ে পরে আছে।
শৌভিকের ঘুম ভাঙল আবিরের ফোনে। শৌভিক ফোন রিসিভ করে স্বাভাবিক কণ্ঠে বলল,
-‘কী হয়েছে ব্রো?
-“খেতে যাবি না?
-‘খাবার ঘরে আনিয়ে নিয়েছি।
-‘এখন তো বৃষ্টি নেই। ঘুরতে যাবি কখন?
শৌভিক, দীপ্তির দিকে তাকিয়ে কেমন করে যেন হাসল। বলল,
-‘হেই ব্রো? একসাথে এসেছি দেখেই একসাথে ঘুরতে যেতে হবে না কী? তোমরা তোমাদের মতো ঘুরো। আমি দীপ্তিকে নিয়ে বিকালে চা বাগান দেখতে বের হবো। আপাতত দীপ্তির সাথে স্পেশাল সময় কাটাচ্ছি। বুঝোই তো। দূরে থাকি। সবসময় বউকে কাছে পাই না।
-‘বুঝচ্ছি। ফোন রাখ বেয়াদব।
-‘ওকে ব্রো।

আবির ফোন রেখে সুপ্তিকে বলল,
-‘রেডি হয়ে নাও সুপ্তি? ওরা যাবে না।
-‘ওমা..কেন?
আবির, সুপ্তির কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলল,
-‘একটু আগে আমরা যা যা করেছি। ওরাও এখন তাই করছে বোধহয়।
সুপ্তি লজ্জা পেল। আবিরের হাতে চিমটি কেটে বলল,
-‘ধেৎ…অসভ্য।

জাফলং সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার অন্তর্গত, একটি পর্যটনস্থল। জাফলং, সিলেট শহর থেকে ৬২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত। এখানে তেমন থাকার ব্যবস্থা নেই। দিনে দিনেই ঘুরে আসতে হয়। তাই আবির আর দেরি করল না। সুপ্তিকে নিয়ে জাফলংরের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে গেল। আবির সাদা শার্ট পরেছে, শার্টের হাত গোছানো। শার্টের বাম পাশের অংশ স্টাইল করে প্যান্টের ভেতর দিয়ে গুঁজে রেখেছে।
চোখে কালো কালারের সানগ্লাস। দেখতে কী যে সুন্দর লাগছে। সুপ্তি সাদা সালোয়ার-কামিজ পরল। গলায় সুন্দর করে লাল রঙা ওড়না পেঁচিয়ে নিল। সিঁথি ভর্তি সিদুর। লম্বা চুলগুলো আবিরের আবদারে ছেড়ে দিল। দুজনকে একসাথে দেখলে, দুচোখ জুড়িয়ে যায়।
সুপ্তি গাড়িয়ে উঠে বসল। মনটা খুঁতখুঁত করতে লাগল। বলল,
-‘ওদের ফোন দাও? দীপ্তিটা ঘুরতে খুব পছন্দ করে।
-‘তোমার কী মনে হয়? ফোন দেইনি? আসবে না সুপ্তি। শৌভিক বিকালে দীপ্তিকে নিয়ে চা বাগানের ওই দিকে ঘুরতে যাবে।
-‘ওহ।

ডাউকি পাহাড় থেকে অবিরাম ধারায় প্রবাহমান জলপ্রপাত, অরণ্য বেষ্টিত উঁচু উঁচু টিলা, সারি সারি পর্বতমালা, ঝুলন্ত ডাউকি সেতু, পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ নির্মল পানি, পাহাড়ের সঙ্গে লেগে থাকা বিশাল পাথরখণ্ড, নদীর পানিতে পরে থাকা পাথরের স্তুপ- ওদের মনে ভাব-আবেগের এক তরঙ্গজোয়ার সৃষ্টি করে দিল।
সুপ্তি মুগ্ধ হয়ে চারপাশে তাকাল। মুখে হাত চেপে ধরে বলল,
-‘এত সুন্দর… এত সুন্দর?
সুপ্তির চোখের কোণে আনন্দঅশ্রু চিকচিক করে উঠল।

ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে জাফলং ভিন্ন ভিন্ন রূপে সাজে। শীত, বর্ষার মৌসুমে জাফলং নিজ সৌন্দর্য ফুটে তোলে। বর্ষায় জাফলংয়ের রূপ লাবণ্য ফুটে ওঠে ভিন্ন মাত্রায়। এরজন্য ওরা এই সময়টা বেছে নিয়েছে। ধূলি ধূসরিত পরিবেশ হয়ে উঠে স্বচ্ছ, নির্মল। খাসিয়া পাহাড়ের সবুজাভ চূড়ায় তুলার মতো থাকে মেঘ রানীর বিচরণ। সেই সঙ্গে কয়েক হাজার ফুট উপর থেকে নেমে সফেদ ঝর্ণাধারার দৃশ্য! সেই অমায়িক দৃশ্য দেখে, সুপ্তির দু’নয়ন জুড়িয়ে গেল।

বর্ষায় মৌসুমী বায়ুপ্রবাহের ফলে ভারত সীমান্তে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে নদীর স্রোত বেড়ে যায়। নদী ফিরে পায় প্রাণ, হয়ে ওঠে আরও মনোমুগ্ধকর।

ওরা বড় বড় পাথর ডিঙিয়ে স্বচ্ছ জলে পা রাখল। আবির একটা পাথরের উপরে বসে পরল। পকেট থেকে ফোন বের করে সুপ্তির বেশকিছু ছবি তুলে দিল। তারপর নৌকা করে অনেকটা সময় ঘুরলো। হাসি, মজা, খুনসুটিতে মেতে রইল অনেকক্ষণ।
রিসোর্টে পৌঁছাতে পৌঁছাতে সন্ধ্যা লেগে গেল। গিয়ে শুনলো দীপ্তিকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফোন বন্ধ। শৌভিক কাঁদো কাঁদো মুখে, বার কয়েক সারা রিসোর্ট চষে ফেলেছে। আফসোস কোথাও দীপ্তি নেই।
সুপ্তি ধপ করে মেঝেতে বসে পরল। বুকের ভেতর কী যেন কামড়ে ধরল। চোখ দিয়ে টপটপিয়ে নোনা জল গড়িয়ে পরল। অচেনা জায়গা। তার উপর কিছুই ভাল মতো চিনে না দীপ্তি। না বলে-কয়ে হঠাৎ কোথায় হারিয়ে গেল মেয়েটা?

(চলবে)