প্রেমহিল্লোল পর্ব-৩১+৩২

0
121

#প্রেমহিল্লোল||৩১||
#তাসনীম_তামান্না

আধাঁর অন্তরিক্ষের বুকে কালো মেঘের খন্ডরা জমাট বেঁধেছে। হয়তো কুয়াশার মতো তাদেরও মন খারাপ। কিছু ভালো লাগছে না অযথায় কারণহীন মনখারাপ। তুষার বিগত কয়েক দিন হলো কাজে ব্যস্ত সকালে যায় সন্ধ্যা নাহলে রাত করে ফিরে এতো কী কাজ কুয়াশা বুঝতে পারে না। তিশা বেগম জানালেন পারিবারিক ব্যবসাটাও তো আস্তে আস্তে ছেড়ে দিচ্ছে। তুষার সেটা কখনো যুক্ত হয় নি সে সুইজারল্যান্ডে স্কলারশিপ পেয়ে পড়াশোনা শেষ করে ওখানেই জব নিয়েছে। কয়েকবছর জবের পর গ্রিন কার্ডের এ্যাপলাই করেছিল সেটাও পেয়ে গেছে এখন বাবা-মা, বউকে ওখানে নিয়ে যেতে চাই। তার আবার সারাদিন এ দেশে এতো কী কাজ? এতো ভেবেও কিছু খুঁজে পেলো না তিশা বেগম ও জানেন না।

ও বারান্দায় রেলিংয়ের ওপরে গালে হাত রেখে দৃষ্টি ঐ জনজট রাস্তার দিকে মনে মনে কত জল্পনা কল্পনা করে ব্যস্ত এমন সময় এক জোড়া শীতল হাত আলিঙ্গন করলো। ও প্রথমে ভয় পেয়ে আঁতকে উঠলেও পরে বুঝলো এই হাতের মালিকের ছাড়া আর কারোরই তাকে ছোঁয়ার সাধ্যি নাই। তুষার ওর কাঁধে থুঁতনি রেখে ওর পেট চেপে ধরে বলল “কীহ মিসেস তুষার কেমন আছেন? তুষার চুনোপুঁটি মাছটাকে তো আজ-কাল পাত্তাই দিচ্ছেন না।”

ও গম্ভীর কণ্ঠে বলল “কে কাকে পাত্তা দিচ্ছে না। আমি সবই দেখছি। তা আজ এতো জলদি ফিরলেন যে কী সমস্যা?”

ও ইনোসেন্ট ফেস করে বলল “বউয়ের জন্য মন পুড়ছিলো তাই চলে এসেছি”

ও তেতে উঠে বলল “একদম নাটক করবেন না। এতোদিন মন পোড়ে নি আসছে এখন আদিখ্যেতা করতে। আর একটা মিথ্যা কথা বললে ধাক্কা মেরে উপর থেকে নিচে ফেলে দিবো।”

তুষার আঁতকে উঠার নাটক করে বলল “ছিহ ছিহ বউ বরকে খুন করতে চাই কখনো দেখেছো? আমি মরে গেলে তোমাকে কে ভালোবাসবে?”

কুয়াশা মুখ চেপে হেসে বলল “পৃথিবীতে পুরুষের অভাব নাই লাইন লেগে যাবে…”

ও রেগে কুয়াশা নিজের দিকে ফিরিয়ে চোয়াল চেপে ধরে বলল “মেরে দিব একদম। আমি ছাড়া তোমার জীবনে কেউ আসবে না। কেউ তোমাকে ছুঁবে না তুমি পুরোটাই আমার। শুধু আমার।”

কুয়াশা ওর হাত ছাড়ানোর জন্য ছটফট করতে লাগলো। বলল “ছাড়ুন ব্যথা পাচ্ছি।”

–ব্যথা পাওয়ার জন্যই ধরেছি। আর কখনো এমন কথা বলবে?

–আমাকে টাইম দেন না উড়ে উড়ে বেড়ান। আমি উড়লে সমস্যা কোথায়?

–একদম জানে মেরে দিবো।

–দিন। তারপর আবার নতুন বউ আনিয়েন। ওই ঔ রি…”

কথা শেষ করতে পারলো না তার আগেই ওর কোমল ওষ্ঠ জোড়া পুরু ওষ্ঠের আয়ত্তে চলে গেলো। আঁখি জোড়া বৃহৎ আকৃতি ধারণ করে। ধীরে ধীরে আবেশে চক্ষু মুদে গেলো কয়েকপল পর ব্যথার আঁচ পেতে চোখ বৃহৎ গোল আকৃতির হয়ে গিয়ে তুষারের বুকে সজোরে ধাক্কা মারলো। ও সরলো না ছটফট করে কোনো উপায় না পেয়ে নিজেও তুষারের ওষ্ঠে দন্ত দ্বারা আঘাত হানলো। ও ব্যথা পেয়ে এবার ছাড়লো। কুয়াশা ওকে ধাক্কা দিলো। কয়েকপা পিছনে গিয়ে দুইজন দুইজনের দিকে রক্ত চক্ষু দিয়ে তাকিয়ে রইল। কুয়াশা ঠোঁটে হাত বুলিয়ে দেখলো ক্ষ’ত দ্বারা রক্ত বের হচ্ছে দাঁতে দাঁত চেপে কিড়মিড় করে বলল “রাক্ষস একটা!”

ও দমলো না একবিন্দু ছাড় দিলো না পাল্টা উল্টো উত্তর দিলো “নিজে কী রাক্ষসী, পেত্নী, সাতচুন্নি।”

–হ্যা তুই তারই জামাই। এখন আমি এই ঠোঁট নিয়ে কারোর সামনে যেতে পারবো না।

–তো আমি খুব যেতে পারবো? তোর মতো সাতচুন্নি বউ থাকলে মানসম্মান ধুলায় মিশে যাবে।

–তুইই তো শুরু করছিস। আবার আমাকে দোষারোপ করিস। তোর আবার মান সম্মান কী রে?

–জামাইকে তুইতোকারি করে বিয়াদপ বউ।

–নিজেকে সাধু মনে করছিস কেনো? তুই নিজেও প্রো লেভেলের বিয়াদপ বর।

এরইমধ্যে তিশা বেগম কুয়াশাকে ডাক দিলো। ও রক্তচক্ষু নিয়ে শাশুড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়ে গেলো রুমে আয়নার সামনে গিয়ে লিপস্টিক ও দিলো যাতে কেউ বুঝতে না পারে।

———————–

বাংলাদেশের গোয়েন্দা পুলিশ কৌশল চৌধুরী আর মনির চৌধুরীর আকস্মিক রহস্যময় মৃত্যুর তদন্ত করছিলো। কুশান আর মেঘকে তারা ডেকেছে তাদের তদন্ত বিভাগে ওরা ব্যস্ত থাকায় সেখানে উপস্থিত হতে পারে নি। আজকে অফিসের কাজকর্ম তাড়াতাড়ি শেষ করতে চেয়েও সন্ধ্যা হয়ে গেছে। তারা উপস্থিত হলো। ওদেরকে দেখে পুলিশ অফিসার চিন্তে পেরে বলল “আরে মিস্টার কুশান, মিস্টার মেঘ আপনারা অবশেষে আসলেন? আমরা আপনাদের অপেক্ষাতেই ছিলাম।”

কুশান বিনয়ী হয়ে বলল “দুঃখীত বুঝতে পারছেন। বাবা-চাচার মৃত্যুর পর মা-চাচীর মৃত্যু! পরপর এতোগুলো কাছের মানুষকে হারিয়ে আমাদের মানসিক অবস্থা শোক কাটিয়ে উঠা কতটা কষ্ট কর। এতো কিছু সহ্য করতে না পেরে বোন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেললো। বাবা-মার পছন্দের পাত্রের সাথে হুট করে বিয়েও হলো। কিন্তু তারমধ্যে আবার দুর্ঘটনা ঘটলো আপনারা না গেলে আরো বড় কিছু হতে পারতো”

–জি আমরা সেটা বুঝতে পেরেছি। কিন্তু কেসে আপনাদের সহযোগিতা আমাদের খুবই দরকার।”

–অবশ্যই বলুন কোনো কিছু কী পেলেন?

– হ্যাঁ, এই ক’মাসে আমরা যথেষ্ট প্রমাণ পেয়েছি তাতে বোঝা যায় এরা এক্সিডেন্টে নয়। মার্ডার। এটাতে আপনাদের অফিসের অনেকে জড়িত আছে। গোপন তথ্যে অনেক জনকে চাপ দিয়ে সত্য বের করা হয়েছে। এই ধরুন, কৌশল চৌধুরী আর মুনির চৌধুরীর যেদিন এক্সিডেন্ট হয়েছে সেদিন বিকাল অবধি গাড়ি সার্ভিসিংয়ে ছিলো। সেই আমরা সার্ভিসিংয়ের লোকটাকে চেপে কথা বের করেছি জানিয়েছে কেউ টাকা দিয়ে ব্রেক ও তেলের তার পাইপ কেটে দিয়েছিলো টাকার লোভে এমন মানুষেরা বিবেকবুদ্ধি হারিয়ে ফেলে। কিন্তু কে সেই লোক জানা যায় নি এখনো তদন্ত চলছে। আচ্ছা আপনাদের কাউকে কী সন্দেহ হয়? আপনারা তো আগেই বলেছেন শত্রু নেই। কিন্তু ব্যবসা বানিজ্য করতে গেলে দৃশ্য অদৃশ্য শত্রু থাকবে এটাই স্বাভাবিক”

কুশান আর মেঘ একে অপরের দিকে তাকিয়ে মেঘ বলল
– অনেক দিন হলো অফিসে জয়েন্ট করেছি। আগে যার যার নিজেদের পছন্দের প্রফেশনে ছিলাম। পারিবারিক ব্যবসায় আমাদের কখনো ইন্টারেস্ট ছিল না। বাবা-চাচাই দেখতো। কিন্তু অফিসে অনেকে সন্দেহের তালিকায় আছে। কাজকর্মে অনেক ভুলও লক্ষ্য করা যায়। আমার মনে হয় ওদেরকে জিজ্ঞেসা বাদ করলে অনেক কিছুই পাবেন।

–অবশ্যই। তার আগে কাগজে সন্দেহজনক মানুষদের নাম লিখুন তাহলে তাদেরকে জোর দিয়ে বেশি জিজ্ঞেসাবাদ করতে সুবিধা হবে।

ওরা অনেকগুলো নাম লিখে দিলো। আরো কিছু দরকারি কথাবার্তা সেরে বেড়িয়ে পড়লো বাড়ির উদ্দেশ্য।

চলবে ইনশাআল্লাহ

#প্রেমহিল্লোল||৩২||
#তাসনীম_তামান্না

সকালে ডাইনিং টেবিলের একে একে খাবারগুলো এনে রাখছে, কুয়াশা। হাত আগের থেকে অনেকটা সুস্থ ব্যন্ডেজ খোলা হয়েছে। শাশুড়ি তাকে একটা কাজেও হাত দিতে দিচ্ছে না অযথায় ধমক দিচ্ছে। আজ বুয়াখালা আসে নি। ব্রেকফাস্ট করবে সবাই তাই শাশুড়ির ধমকে পাত্তা না দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সবাই একে একে টেবিলে উপস্থিত হলো। তুহিন সাহেব বললেন “আরে কুয়াশা মা, তুমি কাজ করছ কেনো?”

কুয়াশা মুখ ফুলিয়ে বলল
–একটু কাজ করলে কি হবে বাবা? আপনি আর মা সবসময় এমন করে বলেন কেনো?

তুহিন সাহেব হেসে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল
–তুমি এখনো ছোট তার ওপরে অসুস্থ ঠিক হও তার পর না হয় কাজ করো। এ সংসার তো তোমারই এসব সামলানোর জন্য অনেক সময় পড়ে আছে।

কুয়াশা হাসলো তুহিন রিমার দিকে তাকিয়ে বলল
–আজকাল তোমাকে খুঁজে পাওয়া যায় না কী ব্যাপার কোথায় যাও কী করো আমাদেরকে তো বলে যেতে পারো। টেনশন হয় তো!

রিমা বিরক্তি নিয়ে বলল “আ’ম এডাল্ট মামা বাচ্চা নয়।”

তুহিন সাহেব আর কিছু বলল না। রান্নাঘরের সব কাজ শেষ করে তিশা বেগমও এসে সকলের সাথে টেবিলে বসলেন। তুষার বার বার কুয়াশার দিকে তাকাচ্ছে আর ও নিজের মতো কাজ করে যাচ্ছে। কালরাতের ঐ ঘটনার পর দুজন ঝগড়ায় করে গেছে সকালে কেউ কারোর সাথে কথা বলে নি। তুষার রুটি টুকরো টুকরো করতে করতে বলল “মা, বাবা অনেকগুলো মাস দেশে থাকলাম। আমার ছুটিও প্রায় শেষ আমার ফিরে যাওয়া উচিৎ অফিস থেকেও ইমেইল পাঠিয়েছে। বাই দ্যা ওয়ে তোমরা এদিকে কাজ গুছিয়ে কবে যাবে?”

ওর কথা শুনে কুয়াশার খাওয়ার হাত থেমে গেলো অবাক চোখে ওর দিকে তাকালো তুষার নিজের মতো খেতে লাগলো কুয়াশার দিকে তাকালো না।
তুহিন সাহেব বললেন “সব কিছু তো নিদিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। যাও তারপর না-হয় সময়-সুযোগ বুঝে আমরাও চলে আসবো।”

তিশা বেগম মন খারাপ করে বলল “জন্ম থেকে দেশে বেড়ে ওঠা এখান ছেড়ে যেতে ভালো লাগে না। মায়া জন্মে গেছে। কত স্মৃতি দেশের সব মানুষ আপন আপন লাগে ওখানকার মানুষ কেমন না কেমন হবে।”

–প্রথম প্রথম আমারও ওমন মনে হতো এখন ঠিক আছে সয়ে গেছে তোমাদেরও ঠিক হয়ে যাবে।

তিশা বেগম হাসলেন বললেন “তা তো। রিমা তুমি কবে ফিরছো? না-কি বাংলাদেশেই সেটেল্ড হতে চাইছো? এমন কেউ থাকলে আমাদেরকে জানাও। কথাবার্তা আগায় আমরা।”

–হুমম ঠিক বলেছ মা রিমাকে আজ-কাল এদেশের ছেলেদের সাথে বেশি দেখা যায়। ওর কাছে শুনো ভালো করে কাকে পছন্দ

রিমা গম্ভীর কণ্ঠে বলল “এমন কোন ইস্যু নাই। উই আর জাস্ট ফ্রেন্ড। উল্টো মিনিং বের করছ।”

কেউ আর কিছু বলল না। কুয়াশা এখনোও শকের মধ্যে আছে। তুষার যে ফিরে যাচ্ছে কুয়াশাকে জানাই নি। জানাবে কীভাবে লোকটা তো সারাদিন বাসায় থাকে না। যতোটুকু সময় থাকে তার পিছনে লেগে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ঝগড়াঝাটি করে। সবাই একে একে খেয়ে উঠে গেলো।
তিশা বেগম বলেন “কী হয়েছে তোর? এভাবে বসে আছিস কেনো? খাওয়াও শেষ করিস নাই কী সমস্যা তোর?”

–কিছু না মা খেতে ইচ্ছে করছে না। সকালে বেশি কফি খেয়েছিলাম সেজন্য।

তিশা বেগম নিজের মতো বকতে লাগলো বলল “কত বলেছি হাবিজাবি খেয়ে পেট ভরাবি না।”

কুয়াশা উঠে গেলো। হাত ধুয়ে সোজা রুমে গিয়ে তুষারের সামনে দাঁড়ালো। ও তখন ল্যাপটপে কিছু ইমেইল চেক করছিলো। কুয়াশাকে ওর সামনে দাড়াতে দেখে মাথা তুলে তাকালো। বলল “কিছু বলবে?”

কুয়াশা হাঁসফাঁস করতে করতে বলল “চলে যাবেন?”

–হ্যাঁ সেটা তো যেতেই হবে।

–আমাকে আগে কেনো বলেন নি?

তুষার ওর দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে চোখ ছোট ছোট করে বলল
–এটা এতোটাও ইম্পর্টেন্টস নয়।

কুয়াশা রাগ কন্ট্রোল করতে না পেরে চেঁচিয়ে উঠে বলল “কীহ! এটা ইম্পর্ট্যান্ট নয়? আমাকে জানানোর প্রয়োজন মনে করলেন না? কেনো আমি কী আপনার কেউ নয়? আমি আপনার স্ত্রী আমার সব কিছু জানার অধিকার আছে।”

তুষার ওকে আরো চেঁতিয়ে দিতে বলল “হ্যাঁ তা তো অবশ্যই। এই যে জানলে জানালাম তো আমি।”

ও রাগে কথা বলতে পারলো না চোখে পানি চলে এলো কাপোলো বেয়ে অশ্রু কণা গড়িয়ে পড়লো। তুষার ল্যাপটপ একপাশে রেখে ওর বাহু টেনে নিজের কোলে বসিয়ে বলল “কী হয়েছে বউ? কাঁদো কেনো?”

ও আলগোছে চোখের পানি মুছে নাক টেনে বলল
–কই কাঁদছি না তো!

–হুমম সে তো আমি দেখতে পারছি।

–আমিও দেখতে পাচ্ছি।

–কী দেখতে পাচ্ছো?

–আমার থেকে দূরে যাওয়ার খুব তাড়া! আমি কী খুব জ্বালায়?

–অবশ্যই!

কুয়াশা ওর কোল থেকে উঠার জন্য ছটফট করতে লাগলো তুষার ওকে নিজের সাথে চেপে ধরে রইলো ও জিদ্দি গলায় বলল “ছাড়ুন আমাকে। কী হয়েছে? কথা কানে যাচ্ছে না, ছাড়ুন ছাড়ুন বলছি।”

–আমার বউ আমার ইচ্ছে।

কুয়াশা ওভাবে থেকে কাঁদতে কাঁদতে চোখ ফুলিয়ে ফেললো। তুষার ওর দিকে তাকিয়ে বলল “ও বাড়িতে যাবে? চলো ঘুরিয়ে আনি। চলে যাওয়ার আগে।”

–যাবো না

–কেনো?

–আমার ইচ্ছে।

–তাহলে কী সোজা আমার সাথে বিদেশে চলে যেতে চাইছ? ওখানে গিয়ে ভাই-ভাবী যাবো বলে কাঁদলেও কিন্তু আনা সম্ভব নয়।

ওর কথা বুঝতে পেরে কুয়াশার কান্না থেমে গেলো। অক্ষি পেলব ঝাপটে বলল “আমাকেও নিয়ে যাবেন?”

–কেনো না? বিয়ে করেছি কি বউ রেখে যাওয়ার জন্য? তুমি কী ভেবেছিলে? তোমাকে রেখে যাবো?

কুয়াশা বোকাবোকা চোখে তাকিয়ে হাসলো। বলল “গুছিয়ে নি। ও বাড়ি থেকে ঘুরে আসবো!”

তুষার চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে রইল। কুয়াশা চট করে তার কোমল ওষ্ঠ ওর ডান গালে খোচাখোচা ‘চুহ’ শব্দে চুমু খেয়ে দৌড় দিলো হাতও ঢিলা হয়ে গেছিলো তাই দৌড় দিতে সুবিধা হলো। তুষার হতভম্ব হয়ে কুয়াশার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইল গালে ডান গালে হাতে দিয়ে হা হয়ে তাকিয়ে ঠোঁটে হাসি ফুটে উঠলো।

চলবে ইনশাআল্লাহ