বাঁধনহীন সেই বাঁধন অকারণ পর্ব-২৯

0
717

#বাঁধনহীন_সেই_বাঁধন_অকারণ|২৯|
#শার্লিন_হাসান

পরের দিন সকালে অন্তি,হানির সাথে হাতে,হাত লাগিয়ে নাস্তা বানাচ্ছে মেঘ। সবই ঠিকঠাক আছে শুধু
পড়ালেখা টা এক্সট্রা প্যারা মনে হয়। কিন্তু রুদ্রর জন্য তপমন কিছুই বলতে পারে না মেঘ। কোনরকম এক্সাম দিতে পারলেই সে বাঁচে।

নাস্তা রেডি করে টেবিলে সাজাচ্ছে মেঘ। অর্ণব,আরিশ এসেছে সাথে বাড়ীর বড়রা ও বসেছে। রোশান ও তাদের সাথে বসেছে। সাদবি জুশের জগ টেবিলে রেখে নিজেও নাস্তা খেতে বসে পড়ে। রুদ্র এখনো আসেনি খেতে। ফাইজা চৌধুরী মেঘকে পাঠিয়েছে রুদ্রকে ডেকে আনার জন্য! দৃঢ় পায়ে রুমের দিকে এগোচ্ছে মেঘ। ভেতরে প্রবেশ করতে দেখলো রুদ্র এখনও শুয়ে আছে। মেঘের সন্দেহ হয়! এতোবেলা অব্দি রুদ্র শুয়ে থাকে না। তড়িঘড়ি রুদ্রর পাশে দাঁড়িয়ে ডাকে মেঘ। রুদ্র চোখ তুলে তাকায়।

-এখনো রেডি হোননি? কলেজ যাবেন না?

-ভালো লাগছে না। আজকে যাবো না!

-ডক্টরের কাছে যাবেন?

-যাবো একটু পর!

– এখন উঠুন। আপনার জ্বর এসেছে?

-হুম!

******

মরিয়ম নওয়াজের সাথে হাতে,হাত মিলিয়ে কাজ করছে আনায়া। তার সংসারটা সুখী। নিজেকে ভাগ্যবতী মনে হয় এমন একটা পরিবার পেয়ে। আর নিবরাসের কথা বলে লাভই নেই!খুব ভালো লাইপ পার্টনার পেয়েছে আনায়া তার জন্য হাজারো শুকরিয়া আদায় করে সে।

মিসবাহ তো সারাদিন বউমনি,বউমনি। বাচ্চাটা তাকে যেমন জ্বালায় তেমন আগলেও রাখে। তার সাথেই অবসর সময়ে দুষ্টুমিতে মেতে থাকে আনায়া।

সবাই মিলে নাস্তা করছে বসে। তখন মিসবাহ বলে,

-চলো আমরা কোথাও ঘুরতে যাই?

তখন মাইশা বলে,

-তোমার দাদুর গ্রামের বাড়ীতে যাবো মিসবাহ।

-বাবাই আসলে যাবো আম্মু।

-তেমার বাবাই আসতে আরে চারমাস লেট। আমি তো ঢাকা শহরে বোর হয়ে গেছি একটু গ্রামের আবহাওয়া ও দরকার।

-তাহলে আমি ছুটি নিবো। তোমরা ডেট ফিক্সড করে জানিয়ে দিও আমায়।

নিবরাস বলে। তার কথার জবাবে মাইশা বলে,

-কিন্তু গ্রামের বাড়ীতে তো কেউই নেই! গিয়ে আমরা কী খাবো?

মাইশার কথায় নিবরাস বলে,

-কল করে বলে দিও সব ঠিক করে রাখতে। আমার খাবার নিয়ে যাবো ওইখানে রান্না করে খাওয়ার জন্য।

-সে একই তো হয়ে গেলো। অন্য কোথাও ঠিক করো যেখানে অবসর থাকবো কাজ করা লাগবে না।

-তাহলে তোমার জন্য বাসাই ঠিক আছে।

-ধুর! যাবোই না কোথাও।

মাইশার কথায় নিবরাস,মিসবাহ হাসে। গ্রামে যাওয়ার জন্য মাইশা একটু বেশী আগ্রহী তবে তাঁদের গ্রামে তেমন আত্নীয় স্বজন নেই। যা আছে সবই শহরে থাকে।
আনায়া ও বলতে পারছে না কারণ তার ছোট্ট একটা পরিবার সেটাও ঢাকা শহরে সেটেল। গ্রামের বাড়ীতে কত বছর আগে গেছে তাঁদের ঠিক নেই।

নাস্তা করে নিবরাস রুমে চলে যায়। আনায়া ও চটজলদি রুমের দিকে অগ্রসর হয়। নিবরাস নিজের ব্যাগটা গুছিয়ে দাঁড়ায়। আনায়া এসে সোজা দরজা লক করে দেয়।
নিবরাসকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আনায়া ফিক করে হেঁসে দেয়। নিবরাস কপাট রাগ দেখিয়ে বলে,

-এই হাসাহাসি বন্ধ করবা?

-তোমাকে দেখলেই আমার হাসি পায়।

-আমাকে জোকার মনে হয় তোমার?

-আরে ব্যপারটা তা না। কয়েকমাস গেলে ঠিক হয়ে যাবে।

-ঠিক হওয়ার দরকার নেই। এভাবে হাসবা আর আমি তোমার হাসি দেখবো। বুঝলা?

-হাসলে রাগ দেখাও কেন?

-ওটা তো থাক আর রাগ দেখাবো না।

আনায়া এসে নিবরাসকে জড়িয়ে ধরে। নিবরাস আনায়াকে আগলে নেয়।

-ভাইয়া শোনো না…”

-আবারো ভাইয়া?

হাসে আনায়া। নিবরাস আনায়াকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু আনায়া তাকে ছাড়ে না।

-তোমার রাগী ফেস প্রেমে পড়ি বারবার।
কথাটা বলে পা উঁকি দিয়ে নিবরাসের ওষ্ঠে আলতো স্পর্শ করে আনায়া। নিবরাস মুচকি হাসে।

-প্রেম করবা আনায়া?

-পরে! এখন যাও লেট হয়ে যাচ্ছে তো।

-গেলাম পাখি।

নিবরাস বেড়িয়ে যায় হসপিটালের উদ্দেশ্য।

*****

রাইহান চৌধুরী থানায় এসেছেন সাদিয়ার জামিনের ব্যবস্থা করতে। উকিলের সাথে কথা বলে টাকা দিয়ে এসেছেন। আগামী কালকে কাগজপত্র ঠিক হলে জামিনের ব্যবস্থা করে দিবেন। আয়মানের কেস আদালতে উঠবে। আলিশাকে জোর করে বিয়ে করা, সেই সাথে রুদ্রকে মে’রে ফেলার চেষ্টা। বিশেষ করে আয়মানের দলের লোকদের ধরেছে এবং তারা স্বীকার ও করেছে।

থানা থেকে বেড়িয়ে আসে রাইহান চৌধুরী। রুদ্রকে নিয়ে হসপিটালে যাবেন তিনি। চৌধুরী বাড়ীতে যায়। ফাইজা চৌধুরী রুদ্রর সাথে কথা বলছেন। রাইহান চৌধুরীকে দেখে বলেন,

-যাও রুদ্র বাবা চলে এসেছে। রাইহান আমার নাতিকে ভালো করে ডক্টর দেখাবি।

-দেখাবো মা। জারিফ চলো?

রুদ্র উঠে৷ রাইহান চৌধুরীর সাথে হসপিটালের উদ্দেশ্য রওনা হয়।

অর্ণব, সাদবি,মেঘ বসে,বসে কথা বলছে। মেঘ,সাদবিকে বলছে মেয়ে দেখার জন্য। সে বিয়ে করবে। মেঘ তেমন কারের সন্ধান দিতে পারেনি। যদিও এসব নিয়ে মাথা ব্যথা নেই তার। হানি,অন্তি,ফাইজা চৌধুরী মেয়ে বের করে নিয়ে আসবে।

বিকেলের দিকে তারা বাইরে হবে। সন্ধ্যায় ঘুরাঘুরি করবে। সাদবি,মেঘ,আরিশ,অর্ণব যাবে। রাখিও আসনে তাঁদের সাথে।

বিকেলে মেঘ রেডি হয়ে রুদ্রকে মেসেজ দিয়ে বলে দেয় সে বাইরে বের হবে।

আলিশার ডিভোর্স পেপার্স রেডি হয়ে গেছে। আগামী কালকে আসবে। আলিশা সাইন করতে পারলেই বাঁচে।
শুধু,শুধু আয়মানের সাথে নিজেকে জড়ালো আলিশা৷ যদিও আফসোস হয়! কিন্তু সে তো এই শহরে থাকবে না। আগামী পনেরো দিনের মধ্যে তার ফ্লাইটের ডেট পড়বে।

সন্ধ্যা আটটা বাজে বাড়ীতে ফিরে মেঘরা। রুদ্র ছয়টার দিকেই চলে এসেছে রাইহান চৌধুরী সহ। লিভিং রুমে বসে কথা বলছে ফাইজা চৌধুরীর সাথে।
মেঘ,সাদবি,আরিশ,অর্ণব আসতে তাদের ঠান্ডা পানি এগিয়ে দেয় অন্তি।

রাতে ডিনার করে বড়রা বসেছে কথা বলতে। মূলত সাদিয়াকে নিয়ে। তাকে নিয়ে কী সিদ্ধান্ত দেয় রাইহান চৌধুরী সেটাই শুনতে চায় সবাই।

রাইহান চৌধুরীর মতামত সাদিয়া সবার সাথে মিলেমিশে থাকতে চাইলে থাকবে নাহলে বিদায় করে দিবে।

এই নিয়ে আর কথা বাড়ায়নি কেউ। আগামী কালকে সাদিয়ার মুখ থেকে শুনে নিবে সবাই।

রুদ্র বুকে হাতে গুঁজে বসে আছে। মেঘ তার দিকে ব্রু কুঁচকে তাকায়। অতঃপর জিজ্ঞেস করে,

-কিছু নিয়ে চিন্তিত আপনি?

-না! কী নিয়ে চিন্তিত থাকবো।

-আপনি আগের থেকে কিছুটা চঞ্চল হয়েছেন।

-হ্যাঁ সেটা তেমার সামনেই। বাকীদের সামনে না। আর তোমার মতো বাঁচালের সাথে থাকলে যে কেউ চঞ্চল হয়ে যাবে।

-ভালোবাসার বাঁধনহীন বাঁধনে অকারণে বেঁধে নিয়েছি আপনাকে। সব আমার ভালোবাসার পাওয়ার।

মেঘের কথায় রুদ্র হাসে। চঞ্চল মেয়েটা জীবনে আসার পর অনেক কিছুই বদলে গেছে রুদ্রর। কিছু বাজে অভ্যাস। এখন আর তাকে মনে পড়ে না। শূন্য হৃদয়ের জায়গাটা মেঘ দখল করে নিয়েছে। ভালোবাসার বাঁধনহীন বাঁধনে অকারণে আটকে নিয়েছে।

*****

কেটে গেছে আরো দুইটা বছর। এখন আর পড়াশেনা করে না মেঘ। নিজের ছোট্ট সংসারটাকে আগলে রাখে। চৌধুরী অন্দরমহলে এসেছে ছয়মাস । আয়মান জেল থেকে বেড়োনোর পর চৌধুরী ইন্ডাস্ট্রিতে একটা পদে জব করে। নিজে আলাদা বাসায় থাকে। রাইহান চৌধুরীর সাথেও তেমন যোগাযোগ নেই তার। শুধু তার আকুতি মিনতি র জন্য একটা পদে জব করার সুযোগ দিয়েছে আরিয়ান চৌধুরী।

আলিশা দেশের বাইরে আছে দেড় বছর যাবত। আনায়া নিবরাসের সংসারটাও সুন্দর ভাবে চলছে। তাঁদের একটা মেয়ে বেবি আছে। নাম তার আরভীনা নুথ। মিসবাহ আগের থেকে অনেকটা বদলে গেলেও মামুকে ছাড়া তার এক মূহুর্ত ও চলে না।

অর্ণবের শের সাথে লিমার বিয়েটা হয়েছে। মেঘ রা দুই বান্ধবী এক বাড়ীর বউ। আরিশ এখনো বিয়ে করেনি। আগামী বছর বিয়ে করবে সে।

সকাল বেলা নাস্তার কাজে হাত লাগিয়েছে মেঘ। অন্যসব রান্না যা,যা এই রুটি টা সে বানাতে পারে না। তখন আবার কিচেনে প্রবেশ করে রুদ্র। আজকে তার কলেজ অফ। মেঘকে দেখে বলে,

-মেঘ নিজের কোন গুনটা নিয়ে এতো লাফালাফি করো?

কথাগুলো কানে বেগ পেতে গাড় ঘুরিয়ে তাকায়। নাকমুখ কুঁচকে বলে,

-এই যে দেখতে পারছেন না রুটি বানাচ্ছি। এটাই আমার একটা গুন। বুঝলেন?

-হ্যাঁ,হ্যাঁ তা তো দেখতেই পাচ্ছি কেমন রুটি বানিয়ে তুমি গুণবতী হচ্ছো। এটাকে কে বলবে রুটি? এটা তো দেখে এশিয়া মহাদেশের একটা দেশের মানচিত্র। বাট কোন দেশের সেটা গেস করতে পারছি না।

-এই মানচিত্র বানানোর মতো ট্যালেন্ট কয়জনের আছে বলুন তো?

-কারোর নেই আমার এই অকর্মা বউয়ের ছাড়া।

-অকর্মা না আমি। এই রুটি বানানো ছাড়া বাকী সবই মোটামুটি পারি।

-সেটাও দাদীনের বকাঝকায়।

-হুম।

রুদ্র প্রস্থান করে। ফাইজা চৌধুরী সোফায় বসে আছেন। সাদিয়ার সাথে রাইহান চৌধুরীর ডিভোর্স হয়নি। তবে তারা আলাদা থাকেন। সাদিয়া তার ছেলে আয়মানের সাথেই থাকে। এখানে আসলে কেউই তাকে পাত্তা দিবে না। ফাইজা চৌধুরী তো কখনোই না। যদিও রাইহান চৌধুরীর প্রতি অভিমানটা থেকেই গেছে মনের কোণে। সাদিয়ার একার দোষ দিয়ে তো আর লাভ নেই। রাইহান চৌধুরী ও অপরাধী।

মেঘ নাস্তা রেডি করে টেবিলে সাজিয়ে রেখেছে। সাদবি ভার্সিটি যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে এসেছে। মেঘ আগে তার নাস্তা এগিয়ে দেয়।

রুদ্র রুমে এসে একটা ডায়েরি খোলে। যেটায় কিছু তারিখ লেখা আছে। আজকেই সেই তারিখটা যেদিন তাদের বিয়ে হয়েছে। নাস্তা খেয়ে রেডি হয়ে বাইরে বের হয় রুদ্র। যদিও এই নিয়ে মেঘ বা কেউ কিছু জিজ্ঞেস করে না।

*****

বাড়ী জুড়ে হাসির ধ্বনি বাজছে। ছোট্ট নিষ্পাপ শিশুর হাসির ধ্বনি। নিবরাস রেডি হয়ে মেয়েকে কোলে তুলে চুমু খায়। আনায়া কাজে ব্যস্ত। মিসবাহ তাঁদের বাসায়।মরিয়ম নওয়াজ ও সেখানে।

নিবরাস নুথকে কোলে করে কিচেনে যায়। আনায়া নিবরাসকে আর তার মেয়েকে দেখে হাসে। আনায়াকে হাসতে দেখে তাদের নুথ ও হাসে।

-পাপাকে পেয়ে মাম্মাকে ভুলে গেছো নুথ?

-আমার মেয়ে কাউকে ভুলে না বুঝলে? তুমি নিজেই মেয়েকে ফেলে আমায় ভুলে যাও।

অভিমানী স্বরে বলে নিবরাস। আনায়া হাসে। নুথকে নিজের কোলে নিয়ে বলে,

-আমার ভালোবাসার মানুষ আছে বুঝেছো? আমার মাম্মাম আমার সাথে সারাক্ষণ গল্প করে, হাসে,খেলে তুমি তো আর গল্প করো না। সেই হসপিটাল নিয়ে ব্যস্ত থাকো। তেমন ছুটিও কাটাও না।

-আমার কাজই এটা। বুঝো না কেন পাখি?

-হয়েছে! যাও নাস্তা করে ভাগো তো।

-তুমি প্রিন্সেসকে নিয়ে সব সামলাতে পারবা না। আগে হাতের কাজ শেষ করো। তেমার কাজ শেষ হলেই আমি হসপিটালে যাবো।

-আরে কিছু হবে না।

-আমার মেয়ে সোফায় একা,একা বসে থাকবে? যদি পড়ে যায়? তোমার মাথায় আসলে কিছুই নেই।

-পরবে না। ও ফ্লোরে বসে খেলা করবে।

-যাতে ঠান্ডা লেগে যায়।

-ইশশ রে কী একটা মেয়ে। আমাকে তো কোনদিন এভাবে বলোনি।

-তুমি বুঝো। আমার প্রিন্সেস বুঝে না কিছু। আর আমার প্রিন্সেস আমার পৃথিবী বুঝলে?

আনায়া গ্যাস অফ করে লিভিং রুমে আসে। নিবরাসের নাস্তা রেডি করে দিয়ে নুথকে কোলে নেয়। মেয়েটা বাবার মতোই শান্ত হয়েছে। দেখতেও বাবার মতো! তবে আনায়ার কলিজা। তাদের বিয়ের দুইবছরের বেশী সময় গড়িয়ে গেলো। এরই মাঝে ছোট্ট প্রাণ আসলো তার মাঝে। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অনভূতি ছিলো এটা। এই ভাইয়ার সাথেই কীভাবে এডজাস্ট করে নিলো। ভালোবাসার বাঁধনহীন বাঁধনে নিজেকে আবদ্ধ করে নিলো। এই ‘ভালোবাসা’ যেটাকে নিয়ে অনেক ব্যাখা দেওয়া যায়। তবে আনায়ার কাছে ভালোবাসা মানে তার নিবরাস আর ছোট্ট আরভীনা নুথ।

নিবরাস মেয়েকে কোলে নিয়ে কপালে চুমু খায়। আনায়া তাকায়। আগে তাকে চুমু খেতো এখন তার সাথে মেয়েকেও চুমু দিয়ে বাইরে যায়।
নুথকে চুমু খেয়ে আনায়াকেও চুমু খায় নিবরাস।

-বাবুর আম্মু আবার রাগ করবে পরে।

-উঁহু! রাগ করবো না।

আনায়া,নিবরাস হাসে। মেয়েকে আনায়ার কাছে দিয়ে বেড়িয়ে পড়ে নিবরাস।

#চলবে