বিষচন্দ্রিমা পর্ব-১২ এবং শেষ পর্ব

0
3

#বিষচন্দ্রিমা
#শেষপর্ব
#তামান্না_আনজুম_মায়া
ফারাবীর ভীষণ গম্ভীর কন্ঠ তরী এতো গুলো কথা শুনিয়ে দিলো তবুও কিছু বললো না,এ কথা গুলো যেনো শুনেও না শোনার ভান করলো।

,,তুমি এখন এখানে এসে বসো আমি খাবার নিয়ে আসছি, ঔষধ না খাওয়া পর্যন্ত নড়বে না একদম!
তরী কথা শুনলো না, পা চালালো বাহিরে যাওয়ার উদ্দেশ্য, ফারাবী উঠে গেলো চট করে,তরী কে পাঁজা কোলে তুলে এনে বসালো খাটে নিজে গেলো বাহিরে,তরী অসুস্থ শুনে সায়েবা শেখ সহ বাড়ির সবাই ছুটে এসেছে,তরীর মতে সামান্য জ্বর তার আর এদের দেখো এমন ভাব করছে সে কোনো কঠিন রোগে ভুগছে।

ফারাবীর কান্ডে বেশি বিরক্ত তরী,ছেলেটা পেয়েছে কি তাকে সব কিছুতে কেনো নাটক দেখাতে হবে ।

সপ্তাহ খানেক কাটলো তরী একদম ফারাবীর সাথে কথা বলে না,ফারাবী সময় মতো তরীর সব খেয়াল রাখে কিন্তু কথা বলে না সে নিজেও নিরব যুদ্ধ চলছে দুজনের ভিতর পরিবার মানুষ টেরও পায়নি দুজনের মধ্যে কি চলছে।
নিয়ম মতো আজ তরী ভার্সিটি যাচ্ছে এখন আর ফারাবীর সাথে যাওয়া হয় না তার।একাই যায় সে,তন্ময়ের সাথে দেখা হয় অনেকদিন পর ছেলেটা বাসায় যায় না এখন, তরী কে দেখেই ডাক দেয় তন্ময়।

,,কেমন আছো তরী?

,,এইতো ভাইয়া ভালো!

,,ভাইয়া ডাকছো আবার মিথ্যা ও বলছো?
তরীর চোখ চিকচিক করে উঠে নিজেকে শান্ত রাখে সে,তন্ময় নিজ থেকে বলে ফারাবীর এমন করার কারন তোমার জানা উচিত তরী,তরী চমকালো

,,কি এমন কারন ভাইয়া?যার জন্য ওকে আমার সাথে নাটক করতে হলো,আমার কি দোষ সেটা জানার অধিকার তো আমার আছে!

,,তোমার বাবা!

,,কি করেছে আমার বাবা,আর উনি কি এখনো বেঁচে আছে?আপনি জানেন সে কোথায়?ফারাবী কেনো আমার বাবার জন্য আমার সাথে এমন করবে?
তন্ময় চমকালো তরী সত্যি ওর বাবার ব্যাপারে কিছু জানে না?

,,তোমার বাবা একজন দেশদ্রোহী!সে এমন কোনো অপকর্ম নেই করে নি।আমাদের দলের একজন জানিয়েছে তুমি তার সাথে জড়িত, ফারাবী কে ঠকাচ্ছো।ফারাবী তোমাকে ভীষণ ভালোবাসে তরী!ছেলেটা আগে একবার ভালোবাসায় ধোঁকা খেয়েছে এখন ওর মনে হচ্ছে তুমিও নিজের বাবার সাথে মিলে ওর সাথে ভালোবাসার নাটক করেছো!সংসার বিয়ে সব কিছুই সাজানো।

তরী চমকে উঠলো ফারাবী তাকে একবার জিজ্ঞেস করতে পারতো,না বুঝে ছেলেটা দুরত্ব বাড়িয়েছে!

,,বিশ্বাস করুন ভাইয়া আমার বাবা এখন দেখতে কেমন ওটাও আমি জানি না,আমি সেই পাঁচ বছর বয়সে তাকে শেষ দেখেছিলাম।আমার সাথে সে কোনো দিন যোগাযোগ করেনি,আমার দায়িত্ব পর্যন্ত নেয়নি মা মা’রা যাওয়ার পর দাদুর কাছেই মানুষ হয়েছি।আমি জানিও না কেনো এমন করছে ফারাবী একবার অন্তত আমাকে জিজ্ঞেস করতে পারতো,এতোটা অবিশ্বাস করলো আমাকে!
যদি আমার বাবা অপরাধী হয় তো,তাকে শাস্তি পেতে হবে,আমি কখনো অন্যায় কে সমর্থন করি না।বাবা বাবার জায়গায় একজন অপরাধী হলে সে বাবা নাকি ভাই এসব দেখার বিষয় না!

তবে ফারাবী কাজটা মোটেও টিক করেনি ভাইয়া।
তখন ফারাবী সেখানে আসলো, তন্ময় বিরক্ত হলো তার প্রতি।তরী মুখ ঘুরিয়ে নিলো অন্যদিকে।
ফারাবী গম্ভীর কন্ঠে বললো
,,তুমি চাও তোমার বাবা শাস্তি পাক?

,,আমি আপনার সাথে কোনো কথা বলতে চাই না!

,,তাকাও আমার দিকে।
ফারাবী জোর করে তরীর মুখ নিজের দিকে ঘুরালো,আমি তোমাকে অবিশ্বাস করি নি তরী!

,,আপনার কথা কেনো বিশ্বাস করবো আমি!

ফারাবী তন্ময়ের দিকে তাকিয়ে বললো
,,ওরে বুঝা তন্ময়,যদি শয়তা’ন গুলা জানে যে তরীর আর আমার সম্পর্ক ভালো তো ওকে মে’রে ফেলবে,আমি দুরত্ব সহ্য করে নিবো কিন্তু হারাতে পারবো না!

,,মে’রে ফেললেই তো খুশি হবেন আপনি আপনার জীবনের অর্ধেক ঝামেলা মিটে যাবে!

ফারাবী তরীকে একটা জোরে ধমক দিলো।

,,তোমার মাকে মে’রে ফেলেছে তোমার নিজের বাবা!যদি জানতো তুমি এখনো বেঁচে আছো তো আগেই মে’রে ফেলতো।ওই জ্যাক পাটোয়ারীর কাছে শুধু টাকাই সব,ওর কাছে নিজের স্বার্থ ছাড়া কিছু গুরুত্বপূর্ণ না।কিভাবে বুঝাবো আমি তোমাকে,আমাদের দলের লোক গুলোকেও কিনে নিয়েছে,বিশেষ করে শুভ ভাই কে,তোমার কি মনে হয় ও বললো আর আমি এসব বিশ্বাস করেছি?শুধু ওদের কে এতটুকু বুঝিয়েছি আমি ওদের মতো করেই আগাচ্ছি।

তরী অবাক নয়নে এখনো তাকিয়ে আছে কথা বলতে ভুলে গেছে সে,তার মাকে মে’রে ফেলা হয়েছিলো!

ফারাবী এগিয়ে গিয়ে তরী কে শান্ত করার জন্য জড়িয়ে ধরলো,ওই লোকটা আমার মাকে মে’রে ফেলেছে ফারাবী!তরী কথা টা বলেই কেঁদে দিয়েছে।ফারাবী তরীকে জড়িয়ে রাখলো কিছুক্ষণ।

তরী শান্ত হয়ে সরে গিয়ে বললো
,,আমি জামাল আহমেদের সাথে আগে জড়িত ছিলাম না কিন্তু এখন থেকে হবো!

ফারাবী তন্ময় চমকে উঠলো এমন কথায়।

,,কি বলতে চাইছো তুমি?
তরী হেসে বললো
,,কাটা দিয়েই কাটা তুলতে হয়!

আমি জামাল আহমেদের কাছে যাবো তার মেয়ে হয়ে এমন ভাব করবো আমি তার পক্ষে আপনার বিপক্ষে, আপনার প্রতি আমার রাগ অনেক বদলা নিতে চাই আপনার থেকে,জামাল আহমেদ সহ বাকিদের এক সাথে পাওয়াটা কঠিন যদি,একবার তার মন গলাতে পারি তো আপনারা সে সুযোগে পুলিশ নিয়ে আসতে পারেন।তখন ওদেরকে ধরা সহজ হবে!

ফারাবী চেঁচিয়ে বললো
,,না তোমাকে আমি শয়’তান টার কাছে একা কিছুতেই পাঠাতে পারবো না!

তরী বুঝিয়ে বললো
,,মাঝেমধ্যে ঝুঁ কি নিতে হয়,জামাল আহমেদ যেকোনে সময় আমার ক্ষ’তি করতে পারতো,কিন্তু এখনো করেনি তার মানে তার মনে কোথাও হলেও বাবা নামক মানুষ টা বেঁচে আছে,আমাকে সে সুযোগ টা নিতে হবে।
আর আমার মনে হয় ফুপ্পিও জড়িত এতে কিছুদিন আগে ভার্সিটি থেকে যাওয়ার সময় উনাকে দেখেছিলাম ভেবেছি চোখের ভুল কারন শহরে ফুপ্পির কোনো কাজ নেই!

তন্ময় এবার বললো
,,তার মানে ওই দলের মহিলা একজন তাহলে তোমার ফুপ্পি তরী।

,,তাই তো মনে হয় ভাইয়া!

আচ্ছা শুভ নামক লোকটা কে দরকার আমাদের,ওটার সাহায্যেই আমরা জ্যাকের কাছে পৌঁছাতে পারবো।

ফারাবী রাজি হতে চায় না,তরীর জোড়াজুড়ি তে রাজি হয়।
——
ভোরের আলো ফুটতেই তরী প্ল্যান মেতাবেক বের হয়।

শুভ কে ফোন আগেই করেছে সে।
শুভ এসে দাড়িয়েছে গাছ তলায়,তরী আসলো লুকানোর ভান ধরে

,,শুভ ভাইয়া আপনি?
শুভ মুখ ফিরেয়ে দেখলো তরীকে জ্যাক পাটোয়ারীর মতোই রঙ,চেহারায় মিল মেয়েটার।
তরী অধৈর্য কন্ঠে বললো

,,ভাইয়া আমাকে সাহায্য করুন প্লিজ,ওই ফারাবী নামক খারা:প লোকটা আমাকে একদম মে’রে ফেলবে,ওদের মুখে শুনেছি আমার বাবার কথা,উনার কাছে আমাকে নিয়ে যাবেন প্লিজ!দোহাই আপনার বাবাই পারে আমাকে বাঁচাতে!

,,শুভর একবারের জন্য ও মনে হয়নি তরী মিথ্যা বলছে মেয়েটা আতঙ্কে বার বার চারপাশ দেখছে,চোখে মুখে ভয়,নিজেকে ডেকেছে বড় চাদরে।

শুভ বললো ঠিক আছে চলো।

তরী ভাবতেও পারেনি লোকটা সহজে বিশ্বাস করবে,এতো বলদ হয়ে এরা এতো খারা’প কাজ করে কেমনে।
তরীর ফোন থেকে লোকেশন ট্র্যাক করছে ফারাবী আর পুলিশ অফিসার।

তরীকে নিয়ে আসা হলো একটা পুরনো একতলার বাড়ির কাছে শহরের ভিতরই একটা নির্জন জায়গায়।

,,শুভ ভিতরে নিয়ে যেতেই,হাত উঁচিয়ে দেখালো ওটা জ্যাক ওরফে জামাল,তরী দৌড়ে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরলো।
জামাল আহমেদ ভরকে গেলেন কিছুটা!তরী কেঁদে দিয়ে বললো
,,বাবা!তুমি বেঁচে আছো?জানো কতো অপেক্ষা করেছি আমি তোমার জন্য কোথায় ছিলে তুমি?

জামাল আহমেদের ভিতরে কি যেনো হলো,এতোদিন পর বাবা ডাক শুনে তার ভিতের চাপা পড়া ভালো মানুষ টা যেনো সজাগ হলো।

তরী ঠিক বুঝতে পারলো,তাদের পরিকল্পনা সফল হতে চললো।

তরী জামাল আহমেদকে যেভাবে পেরেছে বুঝিয়েছে ফারাবীর কতো বিরোধী সে,অনেক কষ্টে নিজেকে বাঁচিয়ে পালিয়েছে।
——–
সকালে জ্যাকের এখানে এসেছে তরী,যতোই নিজের বাবা হোক এই লোকটা যে কতো খারাপ এখানে আসার পর বেশ আন্দাজ করতে পেরেছে সে।তরী জামাল আহমেদের বিশ্বাস কিছুটা হলেও আন্দাজ করেছে,আজ হয়তো ভাগ্য সহায় হয়েছে তরীর জামাল আহমেদের সাথে যারা মিলিত সবাই মিলে মিটিং করবে এখানে তার মানে সব গুলাকে পাওয়া যাবে।
তরীর কাছে ওয়েবক্যাম লাগানো আছে, অনেক গোপনে সে সাথে এনেছে,ফারাবীর এক কথা তোমাকে না দেখলে শান্তি পাবো না আমি।
রাত বেড়েছে সবাই মিলে নিজেদেে প্ল্যানে মেতে উঠেছে ওরা তরীও সাথে,যেনো এখানে ও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সে।

হঠাৎই বাহিরে গু’লির শব্দ ভেসে আসলো,পুলিশ ঘিরে ফেলেছে সবাই কে।ভিতরে ঢুকে পড়লো সবাই। তরীর অবস্থা খারাপ সে এসব আওয়াজ একদম নিতে পারে না,হুঁশ হারিয়ে মেঝেতে নেতিয়ে পড়ে।ফারাবীরা দলের আরো ছেলে সহ ভিতরে আসে পুলিশ জ্যাকের সাথে ধরা পরে তার কর্মীরা তাদের আস্তানার খবর কেউ জানতো না হঠাৎ পুলিশ চলে আসবে কোনো দিন ভাবেও নি।পুলিশ সবাইকে নিয়ে যায়,ফারাবী পাগ’লের
মতো তরী কে খুঁজতে ব্যস্ত।টেবিলের এক কোনে নিস্তেজ দেহটা দেখেই ফারাবী অন্তর আত্মা কেঁপে উঠে,মেঝেতে হাঁটু ঘেরে বসে মাথা কোলে নিয়ে ডাকে

,,আঙ্গিনা,,,!
তন্ময় এগিয়ে এসে পানির বোতল থেকে পানি ছিটায় তরীর উপর।তরী পিট পিট করে চোখ খোলে,খুশি এবার কেঁদে দেয় ফারাবী তরীকে জড়িয়ে ধরে অগুনিত চুমু খায় তার মুখে।আশেপাশে দলের ছেলেরা বেড়িয়ে যায় সেখান থেকে।তরী অবাক হয়ে দেখছে ফারাবী কে,তরীকে নিজের সাথে মিশিয়ে বসে আছে মনে হয় ছাড়লেই হারিয়ে যাবে!

রাত বারোটার পর বাসায় ফিরে তারা চিন্তায় শেষ হয়ে যাচ্ছেন সায়েবা শেখ বাড়ির সবাই দাঁড়িয়ে আসে ড্রয়িং রুমে।
বাড়িতে ঢুকলো ফারাবী সাথে তরী। সায়েবা শেখ শুরুতেই বকা দিলেন না বলে কয়ে দুজন কোথায় হারিয়েছে। ফারাবী সবাই কে সব ঘটনা বলার পর কিছুটা শান্ত হয়।জয়নাল শেখ বেশ চটলেন ছেলের উপর যদি তরীর কিছু হয়ে যেতো।

সবাই কে বুঝিয়ে রুমে গেলো তারা।এখন আর চোখ খোলা রাখা সম্ভব না অনেক ক্লান্ত দুজন।বিছানায় ধপ করে শুয়ে পড়লো
সকালে ঘুম থেকে উঠে ফারাবী কে পেলো না তরী।মানে ছেলেটা উদাও আয়রার কাছে জানতে চেয়েছে কেউ জানে না কোথায় চলে গেছে।

সারাদিন ফারাবীর কোনো পাত্তা নেই,তরীর মন খারাপ হলো,আয়রার রুমেই বসে আছে সে রুমেও যায়নি আর।হুট করে কোথা থেকে সানায়া আর শিখা আসলো,আয়রা নিজেও দুজন মিলে বললো কোথাও ঘুরতে যাবে রাতে,তাই এখন যাতে তরী রেডি হয়।
তরী অনিচ্ছা স্বত্বেও রেডি হলো।
রাত এগারোটার কাটা ছুঁই ছুঁই, তরী রুমে আসলো কিছু একটা নেওয়ার জন্য।পুর, অন্ধকার রুম,তরী হাতরে খুঁজলো সুইচবোর্ড,তখনই পেছন থেকে দরজা লাগানোর শব্দ হলো।
তরী চমকে উঠলো কাঁপা কন্ঠে বললো
,,কে,,
জবাব আসলো না উল্টো পেছন থেকে কেউ ওকে জড়িয়ে ধরলো শক্ত করে।তরী প্রথমে ভয় পেলেও দ্রুত বুঝে গেলো পেছনে থাকা মানুষ টা কে।

তরী নাক ফুলিয়ে বললো
,,সারাদিন কোথায় ছিলেন আপনি একটা কল ও তো করেননি এখন এসে কেনো জড়িয়ে ধরেছেন ছাড়ুন বলছি।
তরীর কন্ঠে স্পষ্ট অভিমান
ফারাবী তরীর ঘাড়ে মুখ ঘষে বললো
,,মিসেস কি রাগ করেছেন?

তরী জবাব দিলো না,তখনই জ্বলে উঠলো ঘরের ড্রিম লাইটটি।পুরো রুম ফুল দিয়ে সাজানো,আবছা আলোয় সবকিছু যেনো আরো মোহনীয় লাগছে!
তরীর মন ভালো হয় গেলো চট করে।
ফারাবী তরী কে ছেড়ে সামনে এসে হাঁটু মুড়ে বসে পড়ে

,,আমার জীবনের বিষাদ প্রহরে ভেসে উঠা বিষচন্দ্রিমা তুমি।
প্রিয় অঙ্গনা,ভালোবাসি ভীষণ, হও তুমি বিষে ভরা কোনো জলপাত্র, আমি প্রাণ ভরে পান করবো সেই সুধা।হোক তাতে মর’ণ তবুও এ ভালোবাসা কম হবে না!

তুমি কি হবে আমার আঙ্গিনা?সবটুকু শুধু আমায় দিবে নিজের, তোমাকে নিয়ে আমি হারাতে চাই মধুচন্দ্রিমায়!

আমাদের দেখা হয়েছে বিষাদের কোনো ধূসর লগ্নে, আজ থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা মধুময় কোনো প্রহরে পা বাড়াবো!যেখানে শুধু থাকবো তুমি আর আমি।

ভালোবাসি মিসেস!গ্রহণ করবেন কি আমায় ভালোবেসে?

তরী ফারাবীর হাতে হাত রাখলো ফারাবী উঠে আসলো তরী ফিসফিস করে বললো
,,না গ্রহণ করবো না।ভালোবাসবো না আপনাকে।

ফারাবী তরীর কোমড় জড়িয়ে ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে নিয়ে বললো

,,আপনার না মানেই তো হ্যাঁ মিসেস ফারাবী!আমি আপনাকে জেনে গেছি পুরোটাই!

তরী খিলখিল করে হাসলো,,ফারাবী তরীর দিকে ঝুঁকে বললো
,,আই নিড ইউ মিসেস ভেরি বেড’লি!
তরী দুহাতে ফারাবীর গলা জড়িয়ে ধরলো চোখে চোখ রেখে বললো,,, যদি রাজি না হই!

তরীর ঠোঁট জুড়ে দুষ্টু হাসি।ফারাবী তরীর কপালে কপাল ঠেকিয়ে বললো,,,,,তাহলে আজ স জ্ঞানে ভালোবেসে আবার জোর করে ছুঁয়ে দিবো।
তরী গাল এলিয়ে হেসে বললো,,,,অসভ্য!

ফারাবী মুগ্ধ কন্ঠে বললো,,,শুধু তোমারি জন্য!

তরী ফারাবী কপালে গভীর চুম্বন করে বললো
,,ভালোবাসী ফারাবী ভীষণ ভীষণ ভালোবাসি!

সমাপ্ত