#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
পর্বঃ২০
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমি আমার রক্ত পিপাসা ইগড্রাসিল এর রক্ত দিয়ে পূরন করলাম। ইগড্রাসিল যে আমার এতো বড় সর্বনাশ করবে সেটা আমি কিছুতেই ভাবতে পারি নি। ও কেনো যে সবাইকে বলে দিলো আমিই পরের ডেভিল কিং হবো। এখন তো পুরো পাঁচ রাজ্যই আমার উপরে যুদ্ধ ঘোষনা করবে। পাঁচ রাজ্যের দরকার নেই, এক রাজ্যই আমার বিরুদ্ধে আসলে আমি শেষ। একটা ডেভিল কিং এর ক্ষমতার সাথে এই মনস্টার রাজ্যের কোনো শক্তিই দাড়াতে পারবে না। আগের ডেভিল কিংকে তো ধোকা দিয়ে মারা হয়েছে। কিন্তু আমার কাছে ডেভিল কিং এর শক্তির ১০০ ভাগের মাত্র ৪ ভাগ আছে। এই অবস্থায় আমাকে মারা খুব সহজ। আর আমি জানি কোনো মনস্টারই চাইবে না ডেভিল কিং আবার শাসনে ফিরে আসুক। কারন সব মনস্টারই এখন ডেভিল কিং কে ঘৃণা করে। তারা ভয় পায় ডেভিল কিং এর ক্ষমতাকে। আর প্রত্যেক ডেভিল কিং এর থেকে পরবর্তী ডেভিল কিং এর পাওয়ার ছয়গুন বৃদ্ধি পায়। সেই ক্ষেত্রে আমি আগের ডেভিল কিং থেকেও ভয়ানক হবো। যদি আমার সিদ্ধান্ত ঠিক না থাকে তাহলে পুরো একটা জাতি ধ্বংস হতে পারে। সে যায় হোক ইগড্রাসিলের কথায় এবার পুরো সৈন্য আমার দিকে নিজেদের স্পেল রেডি করে রাজার আদেশের অপেক্ষা করছে। সবার চোখে আমি ভয় দেখতে পাচ্ছি। এদিকে রাজা বলে উঠতে লাগলো,
.
–যেহেতু প্রিন্স জ্যাকসন একজন ডেভিল কিং হবে। তাই আমি মনে করি জ্যাকসন রানী এন্জিলা আর পূর্ববর্তী ডেভিল কিং এর অবৈধ সন্তান। আমি তাকে এই রাজ্যের প্রিন্স হিসাবে মানি না। আর আমি পূর্ববর্তী ডেভিল কিং এর অবৈধ সন্তানকে নিজের রাজ্যে রাখতে চাই না। বরং এই দুনিয়াতেই তাকে রাখতে চাই না। যেহেতু সে পরবর্তী ডেভিল কিং হবে তাই সে এই রাজ্য এবং দুনিয়ার জন্য ঝুকিপূর্ন। তাই আমি সেনাদের আদেশ দিচ্ছি এই রাজ্যের যেখানেই জ্যাকসন পালিয়ে যাক না কেনো তাকে খুজে মেরে ফেলা। যদি কোনো সুযোগে রাজ্য থেকে পালাতে সক্ষম হয় তাহলে আমি এই রাজ্যের সকল হান্টারদের একটা কাজ দিচ্ছি। যে জ্যাকসনকে মারতে পারবে তাকে আমি প্রিন্সেস ক্যারেন এর সাথে বিয়ে দিবো।(রাজা)
।।।।।
।।।।।
রাজার আদেশ শুনে এবার সৈন্যরা আমার উপরে ঝাপিয়ে পরলো। আমি কি করবো বুঝতে পারছি না। এদের বিরুদ্ধে লড়বো নাকি পালিয়ে যাবো? কি করলে ভালো হবে সেটা বুঝতে পারছি না। তখন ইগড্রাসিল বলতে লাগলো,
.
–ব্যাপারটা মনে হয় আমি খারাপ করে দিলাম।(ভিরু)
.
–তোমাকে আর কি বলবো? ড্রাগনরা এতো বলদ হয় কেমনে? তুমি তো মনে হয় তোমার রাজ্য এই বলদগিরির জন্যই হারিয়েছো।(আমি)
.
–তুমি কিন্তু আমাকে অপমান করছো।(ভিরু)
.
–দেখো আমি কোনো অপমান করছি না। এতোক্ষন আমার ছায়ার মধ্যে ছিলে হঠাৎ বের হওয়ার কি দরকার ছিলো।(আমি)
.
–আমি তোমার ছায়ার মধ্যে থাকলে নিরবে ঘুমাতে পারি। কিন্তু তোমার শরীরে কোনো আঘাত লাগলে সেটা আমার ও ব্যথা লাগবে। তোমার হাত কেটেছে তাতে তোমার হিলিং পাওয়ার থাকায় তোমার তো দুই মিনিট ছাড়া তেমন ব্যথা হবে না। কিন্তু আমি সেটার দ্বিগুন ব্যথা পাচ্ছিলাম। তাই সহ্য না করে আমি বেরিয়ে এসে বলে দিলা।(ভিরু)
.
–ওওওও।(আমি)
.
–আচ্ছা সেটা বাদ দিলাম। এখন কি করবো আমরা? আমার তো এদের সবার সাথে লড়তে মন চাচ্ছে।(ভিরু)
.
–এতো গুলো মনস্টারের সাথে লড়লে তো অনেক মনস্টারই মারা যাবে। আমি চাইনা কেউ মারা যাক।(আমি)
.
–আমি প্রথম দেখলাম কোনো ডেভিল কিং মনস্টারের জীবনের জন্য মায়া দেখাচ্ছে। কিন্তু এদের সাথে না লড়লে তো এরা তোমাকে মারতে শুরু করবে। তোমার এখন যে পাওয়ার আছে তাতে তুমি বেশী আঘাত ঠিক করতে পারবে না। বরং বেশী আঘাত পেলে তুমি মারাও যেতে পারো।(ভিরু)
.
–আমার এখন থরের সাহায্য দরকার ছিলো। কিন্তু সে তো মনে হয় ঘুমাচ্ছে। আর আমি সিলভার লোটাসের সাহায্য ও নিতে পারবো না এখন থেকে। তারা যদি জেনে যায় আমি ডেভিল কিং হবো তাহলে আমাকে ঔ রাজ্যে নিয়ে গিয়ে মারবে।(আমি)
.
–তাহলে তো আমাদের এখান থেকে পালানো দরকার।(ভিরু)
.
–পালিয়ে যাবে কোথায়?(আমি)
।।।।
।।।।
সকল গার্ড সৈন্য যখন আমাকে ঘেরাও করে রেখেছে তখন কোন ফাক দিয়ে যেনো জেসি হ্যারি আর সাথে একটা বয়স্ক লোক আসলো।
.
–তোরা আমার কাছে আসলি কেনো? দেখলি তো ড্রাগনটা অবস্থা খারাপ করে দিয়েছে এতে তো তোদের পালিয়ে যাওয়া উচিত ছিলো জেসি।(আমি)
.
–তোকে ফেলে আমি কখনোই পালিয়ে যাবো না।(জেসি)
.
–হ্যা মাই কিং। আমি এখন আপনার বিশ্বস্ত একজন প্রজা। আমি আমার রাজাকে কখনোই একা বিপদে ফেলে পালিয়ে যেতে পারি না। আর তাছাড়া আপনার সাথে আমার কিছু জরুরী কথাও ছিলো।(হ্যারি)
.
–ঠিক আছে এখান থেকে পালিয়ে যেতে পারলে সেটা শোনা যাবে।(আমি)
.
–তোমরা দুজন অনেক বড় হয়ে গেছো। সেই ছোট বেলায় তোমাদের দুজনকে আমি শেষবার দেখেছি।(বয়স্ক লোকটা)
.
–জ্যাক উনি হলেন আমাদের দাদা। কারাগারে বন্দী ছিলেন। সকল গার্ডরা এদিকে চলে আসায় আমি আর হ্যারি মিলে উনাকে ছাড়িয়ে আনি।(জেসি)
.
–দাদা!(আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম তার দিকে)
.
–শেষ বারের মতো তোমাদের সাথে দেখা হলো এতেই আমি অনেক খুশি। দেখো তোমাদের সময় নষ্ট করা ঠিক হবে না। লংস্টারের কাছে অনেক গোপন সৈন্য আছে। যেটার জন্য আজ লংস্টার সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে শক্তিশালী রাজ্য। মূলত সেই সৈন্য গুলো আমিই বানিয়েছিলাম। তারা বিভিন্ন মনস্টারের সংমিশ্রনে বানানো। আমি তাদের নাম দিয়েছিলাম হাইব্রিড মনস্টার। তারা শুধু এই রাজ্যের রাজার আদেশই মান্য করে। তারা এখানে এসে গেলে অনেক দেরী হয়ে যাবে। আমি তোমাদের জন্য আন্ডারওয়ার্ল্ড এর দরজা খুলে দিচ্ছি। তোমরা সরাসরি আন্ডারওয়ার্ল্ডে চলে যাও। সেখানে এরা কখনো যেতে পারবে না।(দাদা)
.
–কিন্তু আন্ডারওয়ার্ল্ডের দরজা শক্তিশালী ডেভিল ছাড়া সাধারন কেউ খুলতে তো পারে না।(হ্যারি)
.
–লুসেফার আমার অনেক কাছের একজন বন্ধু ছিলো। সে আমাকে একটা স্পেল শিখিয়েছে যেটার সাহায্যে আমি যেকোনো সময় আন্ডারওয়ার্ল্ডে যেতে পারবো। কিন্তু সেটার জন্য আমার রয়েল পাওয়ার এর দরকার প্রয়োজন। কিন্তু সেটা কর্ডিলা তোমাদের বাবাকে বশিকরন করার পর আমার রয়েল পাওয়ার জ্যাসন নিয়ে যায়। আর সেটা পরে কর্ডিলা নিজের করে রাখে। এখন আমি এক বারই আন্ডারওয়ার্ল্ডের দরজা খুলতে পারবো। তারপর মনে হয় চিরকালের জন্যই আমার আত্মাটা আন্ডারওয়ার্ল্ডে চলে যাবে।(দাদা)
.
–মানে?(আমি)
.
–না দাদাভাই আপনি এটা করতে পারেন না। আপনি আমাদের জন্য নিজের জীবন দিতে পারেন না। হ্যারি আছে এখানে। ও কিছু একটা করবে। ও আমাদের আন্ডারওয়ার্ল্ডে নিয়ে যাবে।(জেসি)
.
–না ও পারলে তো সাহায্য করতোই। আন্ডারওয়ার্ল্ডের কেউ সেখান থেকে নিজ ইচ্ছায় বের হতে পারবে না যতক্ষন না যাবৎ ডেভিল কিং সেখানে পা রাখছে। সেটা পুরোপুরি ভিতর থেকে আটকানো। তবে ভিতরের কোনো ডেভিলকে কেউ যদি নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় কিছু দান করে ডাক দেয়, তাহলে পোর্টাল এর মাধ্যমে সেই ডেভিল আন্ডারওয়ার্ল্ড থেকে বের হতে পারবে। বেশী দেরী করো না, আর সময় নেই আমাদের। তোমাদের দুজনকে শেষ বারের মতো দেখতে পেয়েছি এটাই আমার শেষ ইচ্ছা ছিলো। জ্যাকসন তুমি তোমার ছোট বোনের খেয়াল রেখো। আর এই দুনিয়াটাকে একটা সুন্দর জায়গা বানিয়ো, যেটা আমি বানাতে পারি নাই।(দাদা)
।।।
।।।
দাদাভাই আর কিছু বললেন না। নিজে একটা স্পেল পরতে লাগলেন। স্পেল পড়ার সাথে সাথে তার মৃত্যু হয়ে গেলো। মৃত্যুর আগে শুধু একবার আমাদের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো। এরপর তার শরীরের সমস্ত রক্ত দিয়ে একটা দরজা তৈরী হলো এটাই আন্ডারওয়ার্ল্ডে যাওয়ার গেট। রাজা আমাদের গেটকে ধ্বংস করার আদেশ দিলো তার সৈন্যদের। সমস্ত সৈন্য আমাদের দিকে আগুন, পানি, বায়ুর বিভিন্ন ম্যাজিক স্পেল ছুড়ে মারছে। সব গুলো একসাথে দরজায় লাগলে সেটা ধ্বংস হয়ে যাবে। ভি রু দা তার বিশাল দুটো ডানা আমাদের চারপাশ দিয়ে ঢেকে দিলো। আমিও আমার ডানা চারটা বের করলাম। আমাদের আশে পাশের সবাই অবাক হয়ে গেলো। কারন আমার চারটা ডানা, আর মূলত অবাক হওয়ার কারন হলো আমার ডানা দুই রঙের। সেটা কখনো কেউ দেখেনি। আমি এবার আল্ট্রা স্পিডে উড়তে উড়তে গিয়ে আমাদের আশেপাশে যত সৈন্য ছিলো তাদের লাথি মেরে দূরে ফেলে দিলাম। আর এদিকে হ্যারি আর জেসি ভিতরে চলে গেলো। আমিও ভিতরে যাবো ঠিক তখনি পিছন থেকে ক্যারেন লাফ দিয়ে পরলো আমার দিকে। ইগড্রাসিল আমার ছায়ার মধ্যে চলে আসলো। আর ক্যারেন সহ আমি আন্ডারওয়ার্ল্ডের দরজার ভিতরে চলে গেলাম। আমাদের দরজা ঠিক একটা বিশাল রাজ্যের সামনে খুললো। আমি মোটেও আশা করি নি আন্ডারওয়ার্ল্ডে এতো বিশাল একটা রাজ্য হবে। আর প্রথমে ভেবেছিলাম জায়গাটা অনেক ভয়ানক হবে। কিন্তু না এখানের সব কিছুই আমার দেখা আর দুই রাজ্যের মতো স্বাভাবিক। মূলত এই আন্ডারওয়ার্ল্ডকে মনস্টার রাজ্যের একটা রাজ্য বলা যায় না। আমরা এখন যে দুনিয়াতে আছি এটাকে আমি সহজে বোঝানোর জন্য মনস্টার দুনিয়া নাম ব্যবহার করছি, কিন্তু এই দুনিয়ার আসল নাম হেডালিগ। নামটা কিছুটা উদ্ভদ তাই আমি মনস্টার দুনিয়া বলেই মজা পায়। এই হেডালিফ দুনিয়া দুই অংশে বিভক্ত এক হলো আপারওয়ার্ল্ড, আর একটা আন্ডারওয়ার্ল্ড। এখানে পৃথিবীর মতই মহাকাশ আছে, সূর্য আছে, বিভিন্ন গ্রহ-উপগ্রহ আছে। কিন্তু প্রান শুধু আন্ডারওয়ার্ল্ড আর মনস্টাররা যে প্লানেটে থাকে সেখানেই আছে এই দুনিয়ায়।
।।
।।
বিষয়টা নিয়ে আমি অবাক হলাম। এখানে পা রাখার পর থেকেই আমার অজানা অনেক তথ্য মাথা দিয়ে ঘুরতে থাকলো। আগের ভাবা সব কথাও এখন আমার মাথা দিয়ে ঘুরছে শুধু। মনে হচ্ছে আন্ডারওয়ার্ল্ডের সাথে আমার অনেক বড় ব্রেইন কানেকশন আছে। আমি মূলত আন্ডারওয়ার্ল্ডের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এটা এই দুনিয়ার নিচে বানানো হয়েছে। যার জন্য এখান থেকে তারা সূর্য আকাশের রিয়েল কোনো দৃশ্য পাওয়া যাবে না। এখন মূলত আমাদের উপরে আকাশে তারা দেখা যাচ্ছে কিন্তু এগুলো ম্যাজিক দিয়ে বানানো। একটা হলুদ চাঁদ দেখা যাচ্ছে সেটাও ম্যাজিক দিয়ে বানানো। এখানের গাছপালা গুলোও ম্যাজিক দিয়ে বানানো। এখানের কোনো প্রাকৃতিক জিনিসই বাস্তব নয়। হবেই কিভাবে আন্ডারওয়ার্ল্ডে মূলত কোনো অক্সিজেন নেই। এখানে ডেভিল ছাড়া অন্য কোনো মনস্টার থাকতে পারবে না। ডেভিলরা অক্সিজেন ছাড়াও বেঁচে থাকতে পারে তাই এটা তাদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা। আর আস্তে আস্তে এই আন্ডারওয়ার্ল্ডের জায়গা অনেক বারানো হচ্ছে। প্রথমে আন্ডারওয়ার্ল্ড শুরু করা হয়েছিলো একদম কম জায়গা নিয়ে, কিন্তু আজ এটা বিশাল একটা রাজ্যে রূপ নিয়েছে।
।।।
।।।
আমরা একদম রাজ্যের মেইন দরজার সামনে এসে দাড়িয়েছি। আমাদের এভাবে আস্তে দেখে ভিতর থেকে কিছু ডেভিল উড়ে আমাদের দিকে আসতে লাগলো,
.
–মাই কিং এটা আমার বাবা। আপনার চার প্রধান জেনারেলের মধ্যে একজন।(হ্যারি)
.
–এতো ফরমালিটি দেখাতে মানা করেছি।(আমি)
।।।
।।।
আমাদের দিকে লুসেফার আর দুইজন ডেভিল উড়ে আসলো। এসে আমার সামনে কুর্নিশ করলো,
.
–মাই কিং আমরা অনেক দিন আপনার অপেক্ষা করেছি। আজ সেই অপেক্ষা শেষ। আমাদের আর ভয়ে এখানে বসে থাকতে হবে না। আমরা এখন থেকে নিজ ইচ্ছায় আপনার আদেশে আন্ডারওয়ার্ল্ড থেকে বের হতে পারবো।(লুসেফার)
.
–আপনি বুঝলেন কিভাবে উনিই আমাদের রাজা হবেন?(হ্যারি)
.
–তুমি এখনো অনেক ছোট হ্যারি। সময় হলে তুমিও বুঝতে পারবে। মাই কিং আপনার পুরো শক্তি এখনো পূর্ন হয় নি। আমাদের শুধু অপেক্ষা করতে হবে সেই সময়ের জন্য। তারপর আমাদের যা ছিলো আমরা সেটা আবার নিজেদের করতে পারবো।(লুসেফার)
.
–আমার ও প্রশ্ন আপনি বুঝলেন কিভাবে আমিই ডেভিল কিং হবো? আর আমার শক্তি কতটুকু সেটা বুঝলেন কিভাবে?(আমি)
.
–মাই কিং আমরা আপনার সেনার মধ্যে চারজন প্রধান জেনারেল। আমাদের মধ্যেই ক্ষমতা আছে আমাদের কিং কে সব অবস্থায় চেনার। কারন আমাদের ডেভিল কিং এর শরীর দিয়েই শুধু মারাত্মক এক রকমের কালো অদৃশ্য ধোয়া বের হয়, যেটা শুধু আমরা চারজনই দেখতে পারি।(লুসেফার)
.
–আমার একটা প্রশ্ন, হঠাৎ এখানে আসার পর আমার সকল অজানা তথ্য মনের মধ্যে দিয়ে ঘুরতেছে কেনো।(আমি)
.
–আমাদের পুরান ডেভিল কিং এর সকল মেমোরী এই আন্ডারওয়ার্ল্ডে রয়েছে। আর আপনি এখানে পা দেওয়ার পরই সেগুলো আপনার মেমোরীতে যোগ হয়ে গেছে।(লুসেফার)
.
–ওওওও। আচ্ছা আরেকটা প্রশ্ন। এতোকাল কোনো রাজা ছিলো না ডেভিলদের। চার ডেভিল জেনারেলের মধ্য থেকেই তো একজন রাজা হতে পারতো। কিন্তু তারা সবাই আমার জন্য অপেক্ষা করছে কেনো?(আমি)
.
–কারন আমরা সত্যিকারের ডেভিল কিং ছাড়া সাধারন এক মনস্টারের জাত। আমরা যদি সিংহাসনে বসতামই তাহলে সেটা হতো আমাদের পুরো ডেভিলদের ধ্বংসের দিন। কারন আমাদের আসল রাজার শক্তি আর আমাদের শক্তি দুটোর আকাশ পাতাল পার্থক্য।(লুসেফার)
.
–ওওও।(আমি)
.
–মাই কিং। আপনার সাথে এই দুইজন কে? তারা কি আপনার সাথে রক্তের দিক দিয়ে কানেক্টেড? নাহলে তো তাদের এখানে বেঁচে থাকা সম্ভব হবে না বেশীক্ষন।(লুসেফার)
.
–ও জেসি আমার আপন বোন, আর ও হলো ক্যারেন। ভুল করে চলে এসেছে ও। আমার ছোট বোন ও।(আমি)
.
–তাহলে আর সমস্যা নেই। আপনার সাথে যারা রক্তের দিক দিয়ে কানেক্টেড থাকবে তাদের এখানে শ্বাস নিতে সমস্যা হবে না। আর আপনার পুরো ক্ষমতা ফিরে আসলে আপনি যাকে ইচ্ছা এখানে নিয়ে আসতে পারবেন।(লুসেফার)
.
–সেটা তো বেশ ভালো কথা।(আমি)
.
–হুমমম। চলুন মাই কিং। আপনাকে আপনার প্রাসাদে নিয়ে যাচ্ছি। আপনার প্রজারা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে অনেক বছর ধরে।(লুসেফার)
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
#ভ্যাম্পয়ার_কুইন#
পর্বঃ২১
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমি রাজ্যের মধ্যে প্রবেশ করেছি। রাজ্যের বিভিন্ন বাড়িঘর দেখতে লাগলাম আমি। আমাকে একটা ঘোড়ার গাড়ির মতো কিছু একটায় বসানো হলো। আমার সাথে জেসি আর ক্যারেন ও এসে বসলো। আন্ডারওয়ার্ল্ড এতো সুন্দর হতে পারে এটা আমি কল্পনা করে নি। যাক রাজ্যটা এতোটাও খারাপ নয়। শুধু শুধু আমার বাকি পাঁচ রাজ্যের দিকে নজর বারিয়ে লাভ কি? আমার তো নিজেরই আলাদা সুন্দর একটা রাজ্য হয়েছে। যদিও পরিবেশ অনেকটা কার্টুন কার্টুন লাগে, তারপরও আমার পছন্দ হয়েছে আন্ডারওয়ার্ল্ড। আর লুসেফার বললো আমি পুরোপুরি ডেভিল কিং হয়ে গেলে আমি পুরো আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রন করতে পারবো আমার আদেশে। মোটকথা এই জায়গাটা বানানো হয়েছে ডেভিল কিং এর শক্তি দিয়েই। তাই আমি ডেভিল কিং এর ক্ষমতা অর্জন করতে পারলেই হলো। আমরা যে ঘোড়ার গাড়ির মতো জিনিসটাতে যাচ্ছি সেটা চলছে কালো দুইটা ঘোড়ার মতো দেখতে মনস্টারের সাহায্যে। তাদের নাম ব্লাক মনস্টার হোর্স। এরা ডেভিলদের ঘোড়া। হঠাৎ জেসি আমাকে বলতে লাগলো,
.
–জ্যাক, ওকে আমাদের সাথে আনা কি ঠিক হয়েছে?(জেসি)
.
–আমি এনেছি নাকি? এটা নিয়ে আমাকে কিছু বলে লাভ নাই।(আমি)
.
–তাহলে কাকে বলবো?(জেসি)
.
–তোর প্রেমিককে বল গিয়ে সেটা।(আমি)
.
–হ্যারি আবার কি করেছে?(জেসি)
.
–আমাকে ওর বাচ্চার মা বানিয়ে দিয়েছে হ্যারি।(ক্যারেন)
.
–কি???? এই বাচ্চা মেয়ে বলে কি?(জেসি)
.
–এটা নিয়ে আবার শুরু।(আমি)
।।।।
।।।।
জেসি আর ক্যারেন এবার ঝগড়া করা শুরু করলো। আমি কোনোদিন ও মেয়েদের ঝগড়ায় পরতে চায় না। ভালো কথা ঝগড়া হ্যারিকে নিয়ে, তাই আমি জানালার দিকে মুখ করে বাইরের বাতাস খেতে খেতে ঘুমিয়ে পরলাম। প্রাসাদের সামনে আমাদের ঘোড়ার গাড়ি এসে হঠাৎ ব্রেক করার ফলে আমি ঝাকুনিতে উঠে পরলাম। এতোক্ষনে দেখি জেসি আর ক্যারেন এর মধ্যে ও ভাব হয়ে গেছে। বুঝতে পারতেছি না ওদের ঝগড়া এতো তারাতারি কিভাবে শেষ হলো। নাকি ক্যারেন ওর সাকুবিচ্ এর ক্ষমতা ওর উপর ও ব্যবহার করলো। না সেটা তো পারবে না।
.
–কিরে তোদের ঝগড়া এতো তারাতারি কিভাবে শেষ হলো?(আমি)
.
–এতো ছোট বিষয় নিয়ে ঝগড়া করে লাভ আছে? একজন ছেলের তো অনেক গুলো স্ত্রী থাকতে পারে সেটা স্বাভাবিক।(জেসি)
.
–হ্যা। আমরা চুক্তি করে নিয়েছি। আমাদের চুক্তি অনুযায়ী আমাদের মাঝে কোনো ঝগড়া হবে না।(ক্যারেন)
.
–কিসের চুক্তি?(আমি)
.
–সেটা শুধু আমাদের মধ্যেই। তুই আমাদের বড় ভাই, সেটা শুনে তোর লাভ নাই।(জেসি)
.
–আচ্ছা ঠিক আছে।(আমি)
.
–কিন্তু আমি এই সব বিষয়ে অবাক। হ্যারি আমাকে যখন বললো তুই ডেভিল কিং হবি তখন আমি কি করবো সেটাই ভেবে পাইনি।(জেসি)
.
–আমি বিষয়টা কাউকে জানাতে চাইনি। কিন্তু থর জানিয়ে দিয়েছে হ্যারিকে আর আমার ড্রাগন ইগড্রাসিল জানিয়ে দিয়েছে পুরো লংস্টার রাজ্যকে।(আমি)
.
–কিন্তু তুই বিষয়টা আমাকেও জানালি না।(জেসি)
.
–আমি চাইনি এটা নিয়ে তুই ও চিন্তা করোস। তাই গোপন রেখেছি।(আমি)
.
–ওওও। আচ্ছা চল এখন বাইরে যায়।(জেসি)
।।।
।।।
আমরা তিনজন বের হলাম বাইরে। আমার সামনে বিশাল একটা প্রাসাদ। আর পিছনে বিশাল সেনা। এতো সৈনিক যে পুরো কালো নদীর মতো লাগছে। লুসেফার আর সাথে আরো তিনজন আমার সামনে এগিয়ে আসলো, চারজনই কুর্নিশ করলো আমার সামনে হাটু গেড়ে। সেই দেখাতে আমার পিছনে পুরো সেনা হাটু গেড়ে কুর্নিশ করতে লাগলো। আমি দেখে তো অবাক, জেনারেল লুসেফার বলতে লাগলো,
.
–মাই কিং আপনার সামনে আমরা আপনার চার প্রধান জেনারেল। আর পিছনে আমাদের এক এক জনের অধীনে এক লক্ষ সৈন্য। এবং আমাদের পুরো রাজ্যের সকল প্রজারা আমরা সবাই এতোদিন শুধু আপনার আগমনের অপেক্ষায় ছিলাম।(জেনারেল)
.
–মাই কিং আমি আপনার চার জেনারেলের মধ্যে একজন। আমার নাম কর্ডিজ লুইংহাম। আমি আপনার হুকুমের অপেক্ষায় আছি।(কর্ডিজ)
.
–মাই কিং আমি আপনার চার জেনারেলের একজন। আমার নাম লুইস হেনফার্ড। আমি আপনার হুকুমের অপেক্ষায় আছি।(লুইস)
.
–মাই কিং আমি আপনার চার জেনারেলের একজন। আমার নাম লুসেফার অর্দ্রি। আমি আপনার হুকুমের অপেক্ষায় আছি।(লুসেফার)
.
–মাই কিং আমি আপনার চার জেনারেলের একজন। আমার নাম অর্নিজ লুইংহাম। আমি আপনার হুকুমের অপেক্ষায় আছি।(অর্নিজ)
.
–সবার নাম মনে রাখায় তো আমার পক্ষে কষ্ট।(আমি)
.
–মাই কিং আপনার কষ্ট করে আমাদের নাম মনে করার দরকার নেই। আপনি শুধু আমাদের জেনারেল বলেই ডাকলে হবে।(লুসেফার)
.
–তাছাড়া মাই কিং আপনি আমাদের আপনার সুবিধা মতো যে কোনো নামে ডাকতে পারেন।(অর্নিজ)
.
–ঠিক আছে।(আমি)
.
–আপনি নিশ্চয় ক্লান্ত, তাই চলুন মহারাজ ভিতরে গিয়ে প্রাসাদের ভিতরে গিয়ে বিশ্রাম নিবেন।(লুইস)
.
–হ্যা মাই কিং। চলুন আমার সাথে। আমি আপনাকে ভিতরে নিয়ে যাচ্ছি।(কর্ডিজ)
.
–ঠিক আছে।(আমি)
।।।
।।।
আমরা চার জেনারেলকে ফলো করে প্রাসাদের ভিতরে যেতে লাগলাম। ভিতরের ভিউ গুলো এতো সুন্দর হবে সেটা দেখেই অবাক। টাইলসের মতো দেওয়াল গুলো সুন্দর করে বাধানো। আর সেখানে বিভিন্ন ধরনের পুরাতন নকশা করা। নকশা খুলো অনেক নিখুত। কিছু মনস্টারের ছবিও আছে সেখানে যেগুলোকে দেখলে জীবন্ত মনে হবে। কারন সেগুলো আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিলো। চার জেনারেল এক এক করে আমাকে পুরো প্রাসাদ দেখাতে লাগলো। আর হ্যারি ক্যারেন আর জেসিকে নিয়ে গেলো ওদের একটা রুমে দিতে। পুরো দুই ঘন্টা লাগলো পুরো প্রাসাদটা দেখতে দেখতে। আমি পুরো ক্লান্ত হয়ে গেছি প্রাসাদ দেখতে দেখতে। অবশ্য আবারই ইচ্ছা ছিলো প্রাসাদ ঘুরার। লুসেফার মানা করেছিলো। কিন্তু আমি না শুনেই নিজের প্রাসাদ ঘুরতে লাগলাম। পুরোটা দেখতে দেখতে শরীর একদম ক্লান্ত হয়ে গেছে। অবশ্য শরীর ক্লান্ত হয় না, মনস্টারদের শারীরিক শক্তি অনেক বেশী থাকে, কিন্তু মানুষের সাথে থাকতে থাকতে আমার মানসিক অবস্থা তাদের মতই। অল্পতেই আমার ক্লান্ত লাগে। আমি চার জেনারেলের সাথে আমাকে শয়নকক্ষের দিকে যেতে লাগলাম এবং কথা বলতে লাগলাম,
.
–তো জেনারেলরা এখান থেকে আপনারা বের হতে পারতেন না?(আমি)
.
–না মাই কিং। আমরা নিজের ইচ্ছায় কখনো এখান থেকে বের হতে পারতাম না। তবে একটা উপায় ছিলো এখান থেকে বের হওয়ার।(লুসেফার)
.
–কি সেটা?(আমি)
.
–যদি কোনো মানুষ তাদের সবচেয়ে দামী কিছু আমাদের নামে উৎসর্গ দিয়ে আমাদের সাহায্য চাই তাহলে সেই দামী জিনিসের মান অনুযায়ী আমাদের এখান থেকে ডেভিলরা পৃথিবীতে প্রবেশ করতে পারে।(লুইস)
.
–ওও।। বিষয়টা তো বেশ দারুন।(আমি)
.
–হ্যা মাই কিং। এটাকে ডেভিল সামানিং বলা হয়। মূলত কিছু লো লেভেল ডেভিলরাই সবসময় পৃথিবীতে যেতে পারে। আমাদের মতো শক্তিশালী ডেভিলদের সেখানে কোনো মানুষ নিতে সামানিং এর মাধ্যমে নিতে চাইলে পুরো একটা দেশের মানুষের জীবন উৎসর্গ দিতে হবে।(অর্নিজ)
.
–আর আমাকে সেখানে কোনো মানুষ নিতে চাইলে কি করতে হবে তাদের?(আমি)
.
–সেটার জন্য পুরো পৃথিবীর মানুষকে তাদের জীবন দিতে হবে।(লুসেফার)
.
–ওওও। এটা তো বেশ ভয়ানক। কোনো মানুষ এটা চাইবে না।(আমি)
.
–হ্যা মাই কিং। আপানার শক্তির মতো কাউকে তারা কখনো সামানিং এর মাধ্যমে পৃথিবীতে নিতে পারবে না।(কর্ডিজ)
.
–মানুষগুলো লো ডেভিলগুলোদের সেখানে ডেকে কি করে?(আমি)
.
–মাই কিং, বিশেষ করে কিছু খারাপ চরিত্রের মানুষগুলো ডেভিল সামানিং স্পেল ব্যবহার করে। ওরা তাদের পরিবারকে উৎসর্গ করে দিয়ে খারাপ কাজের জন্য ডেভিলদের সাহায্য চায়। আর কিছু ডেভিল আছে যারা তাদের সেসব খারাপ কাজ করে দেয়।(লুসেফার)
.
–আবার কিছু মানুষ আছে যারা প্রতিশোধের জন্য ডেভিল সামানিং স্পেল ব্যবহার করে। এতে করে তারা তাদের শত্রুর থেকে প্রতিশোধ নিতে পারে।(লুইস)
.
–আর ডেভিল গুলো এসব খারাপ কাজ করে?(আমি)
.
–হ্যা মাই কিং। আমাদের ডেভিলদের মধ্যে এটা না করলে লো লেভেলের ডেভিলরা কখনো উপরে উঠতে পারে না। যে ডেভিল যত বেশী পৃথিবীতে কাজ পায় তার লেভেল ও আস্তে আস্তে বারতে থাকে। তাই ওরা সব রকম কাজই করে।(অর্নিজ)
.
–ওওও।।।। আর এই ডেভিল সামানিং স্পেল। সেটা মানুষ কিভাবে ব্যবহার করতে পারে?(আমি)
.
–এটা একটা ব্লাক ম্যাজিক মাই কিং। কিছু কিছু ব্লাক ম্যাজিক আছে যেগুলো মানুষ ব্যবহার করতে পারে। তার মধ্যে ডেভিল সামানিং একটা। সেটা দিয়ে ওরা একটা গোল বৃত্ত বানায়। আর তাদের প্রিয় জিনিস/মানুষকে সেটার মধ্যে উৎসর্গ করে। এবং পরে স্পেলটা উচ্চারণ করে।(লুসেফার)
.
–ওওও ব্যাপারটা তো একদম খারাপ আমার মনে হচ্ছে। আচ্ছা একটু আগে আপনারা বললেন আমি যে কোনো জিনিস আপনাদের আদেশ করতে পারি তাই না?(আমি)
.
–হ্যা। মাই কিং। আপনি যদি আমাদের জীবন দিয়ে দিতে বলেন সেটা দিতেও আমরা প্রস্তুত।(সকল জেনারেল)
.
–আমি তো এখনো সিংহাসন দখল করতে পারবো না, আমাকে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে সেটার জন্য তাই না?(আমি)
.
–জ্বী।(লুসেফার)
.
–সেটার আগে আমার একটা প্রশ্ন? হ্যারি এখান থেকে কিভাবে বের হয়েছিলো? আর ওর সাথের ডেভিলরা কিভাবে বের হয়েছিলো এখান থেকে?(আমি)
.
–আমাকে ক্ষমা করবেন মাই কিং। আমি আপনাকে এটা বলতে ভুলেই গেয়েছি। আপনি নিশ্চয় একটা ট্রেন দেখেছিলেন মনস্টার ওয়ার্ল্ডে। আমাদের নতুন ম্যাজিশিয়ান সাইনটিস্ট সেরকম একটা ট্রেন আবিষ্কার করেছে। মূলত এই ট্রেনটা আন্ডারওয়ার্ল্ড থেকে সোজা লোচার্ট একাডেমীর যে নিউটল জোন সেখানে যেতে পারে। আমাদের এই আবিষ্কারকে আরো সত্তর বছর যাবৎ উন্নত করা হচ্ছে। কিন্তু কোনো দিক দিয়েই কাজ হচ্ছে না। সেই এক জায়গায় সেটার গন্তব্য স্থান যাচ্ছে এতো গবেষনার পরও।(লুসেফার)
.
–ওওও তাহলে হ্যারি এই ট্রেইনের মাধ্যমেই সেখানে গেছে?(আমি)
.
–লোচার্ট একাডেমীটা মূলত আমাদের ম্যাজিকেই নিউটল জোনে বানানো হয়েছে। আমরা পুরান সময় থেকে এই সময়ে আসার পর থেকেই এখানের পাঁচ রাজার সাথে একটা সাধারন চুক্তি করি যাতে আমরা শান্তিতে থাকতে পারি। আর সেই চুক্তির জন্য আমরা নিউটল জোনো একটা প্রতিষ্ঠান বানায় যেখানে সকল নামি দামী মনস্টার এক হয়ে পড়তে পারে।(লুসেফার)
.
–মূলত আমরা সকল মনস্টার থেকে দুর্বল ছিলাম। আমাদের কিং ছাড়া আমাদের শক্তি পঞ্চাশ ভাগের পাঁচ ভাগ হয়ে যায়। তাই আমরা নিউটল জোনে একটা প্রতিষ্ঠান বানায় যেখানে সকল রাজ্যের সব রাজাদের ছেলে মেয়ে, নামী দামী বংশের ছেলেমেয়েরা থাকবে। যদি কখনো কোনো রাজ্য আমাদের বিরুদ্ধে যায় তাহলে নিউটল জোন থেকে তাদের সন্তানদের বন্ধী করে রাখা যাবে। এতে যুদ্ধ রোধ করা যাবে।(অর্নিজ)
.
–ওওওও। আমি তো এসবের কিছুঔ জানতাম না। আজকে শুনে অবাক হলাম। যাক এখন থেকে এসব কিছু আর করতে হবে না। আমি বুঝেছি এখান থেকে শুধু নিউটল জোনেই যেতে পারতো তাউ আবার যারা হাফ ডেভিল।(আমি)
.
–হ্যা মাই কিং।(লুসেফার)
.
–বিষয়টা ও হঠাৎ আমার মাথায় আসলো। জানি না আরো কত কি এভাবে আমার মাথায় আসবে পুরান ডেভিল কিং এর জ্ঞান থেকে। আচ্ছা যায় হোক, এখন থেকে আর ভয়ে থাকতে হবে না। আমাকে পুরান ডেভিল কিং এর রুমে নিয়ে যান আপনারা?(আমি)
.
–জ্বী মাই কিং?। কিন্তু আপনার তো এখন একটু বিশ্রাম নেওয়ার দরকার ছিলো।(অর্নিজ)
.
–আগের ডেভিল কিং এর মেমোরী থেকে আরেকটা জিনিস মাত্রই আমার মাথায় আসলো। সেটা হলো তার রুমে একটা জেনারেট ডিভাইস আছে। আমার এখন সেটার প্রয়োজন। আমি আর চাই না সব ডেভিলরা আর ভয়ে কষ্টে এখানে পরে থাকুক৷ এটা নিয়ে ভাবতে ভাবতে আমার মাথা নষ্ট হয়ে যাবে এই কয়েকদিন। তাই যতদিন আমার পুরো শক্তি না ফিরছে আমি সেই ডিভাইসে ঘুমের মধ্যে থাকবো।(আমি)
.
–মাই কিং, আপনার কি আমাদের জন্য কোনো আদেশ আছে?(সকল জেনারেল)
.
–হ্যা। আপনারা আপনাদের সকল সৈন্য প্রস্তুত রাখেন। আমি উঠলেই যুদ্ধে নামতে হবে।(আমি)
.
–আপনার আদেশ আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো মাই কিং। আপনি উঠেই দেখবেন আপনার সৈন্য প্রস্তুত।(সকল জেনারেল)
।।।।
।।।।
হঠাৎ আমার ডেভিলদের জন্য খারাপ লাগতে লাগলো। মূলত আমার মনস্টারদের শাসন প্রক্রিয়া একটুও ভালো লাগে না। এখানে একজন আরেকজনকে ছোট করে দেখে। আমি এটা চাই না। আমি এই পুরো মনস্টার রাজ্য আর আন্ডারওয়ার্ল্ড থেকে সেই জিনিস দূর করে দিবো। সবার থাকবে সমান অধিকার। সেটার জন্য আমি আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি বানাবো না। আমাকে রাজা হয়েই সেটা করতে হবে। দেখা যাক কি হয় সামনে।
।।।
।।।
আমি চলে আসলাম জেনারেট ডিভাইসের সামনে। একটা বক্সের মতো জিনিস। এটার মধ্যে আমার শুতে হবে। এখানে শোয়ার পর এটার মুখ কাচের গ্লাস দিয়ে বন্ধ হয়ে যাবে। এবং ভিতরে সবুজ এক ধরনের লিকুইডে আমি ভাসতে থাকবো। দেখা যাক ভিতরে গিয়ে কি হয়।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
পর্বঃ২২
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমি ডিভাইসটার মধ্যে শুয়ে আছি। ডিভাইসটার মুখ একটা গ্লাস দিয়ে ঢেকে গেলো। এরপর ভিতর দিয়ে একটা গ্যাস বের হলো। যেটা আমাকে ঘুমের দেশে চলে যেতে বাধ্য করলো। এরপর ডিভাইসের মধ্য দিয়ে পানি ভরতে শুরু করলো। আমার চোখ আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে গেলো। এই প্রক্রিয়ায় আমার পাওয়ার গুলো খুব তারাতারি ফিরে আসবে এবং আমি সেই সময় পর্যন্ত চিন্তা ছাড়া থাকতে পারবো। কিন্তু সব জিনিস চিন্তা ছাড়া হয় না। আমি ঘুমানোর কিছুক্ষন পরই আমার চোখ খুলে যায়। আমি সম্পূর্ন আলাদা একটা জায়গায় এসে পৌছালাম। পুরাতন কোনো মেমোরীই আমার মনে নেই। আমি কিছুই মনে করতে পারছি না। এবং আমি সম্পূর্ন অন্য একটা জায়গায় যেটা আমি কখনো দেখি না। জায়গাটা দেখতে অনেকটা একটা মেয়েদের সাজানো রুমের মতো। আমি এই রুমের মধ্যে হাত পা বাধা অবস্থায় একটা চেয়ারে বসে আছি। মুখ ও আঠালো কাগজ দিয়ে আটকানো তাই কথা বলতে পারবো না। জায়গাটা ভালো করে দেখার চেষ্টা করলাম। পুরো রুমটা পিংক কালারের। সারা রুমের মধ্যে ছোট বড় পান্ডা পুতুল সাজানো রয়েছে। আমার কেমন জানি মনে হচ্ছে সেগুলো জীবিত এবং আমার দিকে তাকিয়ে হাসার চেষ্টা করছে তারা। কিন্তু মনে হচ্ছে এটা আমার ভুল ধারনা শুধু। যায় হোক আমি এখানে কেনো সেটাই আমার মাথায় আসছে না। আর আমার আগের মেমোরী কি হয়েছে সেটাই বুঝতে পারতেছি না। মাথা এক দিক দিয়ে আমার ঘুরছে। কি করবো বুঝতে পারছি না। যায়হোক হঠাৎ রুমের মধ্যে একটা মেয়ে ঢুকলো। পুরো পিংক কালারের হাটু পর্যন্ত চুল ওয়ালা মেয়ে। আমি মনে হয় না আমার লাইফে পিংক কালারের চুল ওয়ালা মেয়ে দেখেছি। যদিও আমার লাইফ সম্পর্কে আমি এখন কিছুই জানিনা, মেমোরী লস হয়ে গেছে আমার একদম। তারপর ও বলতে পারি পিংক কালারের চুল সহজে পাওয়া যায় না। হয়তো কোথাও পাওয়া যাবে না যদি না সেটা কালার করা হয়। যাইহোক, মেয়েটা এসে একটা চেয়ার নিয়ে আমার সামনে বসলো। আমার মুখের আঠালো কাগজটা খুলে দিলো এবং বলতে লাগলো,
.
–ওয়েলকাম টু মাই ওয়ার্ল্ড।(মেয়েটা)
.
–মাই ওয়ার্ল্ড নামে তো কোনো ওয়ার্ল্ডই আমি শুনি নাই।(আমি)
.
–একদম চুপ। আমি কথা বলছি এর মাঝে কোনো কথা হবে না।(মেয়েটা)
.
–ওকে ম্যাম।(আমি)
.
–তুমি এখন আছো? দ্যা ওয়ার্ল্ড অফ ড্রিমস এ। এটা ১১ realms এর মধ্যে একটা। যেটাকে বলা হয় স্বপ্নের দুনিয়া।(মেয়েটা)
.
–কি স্বপ্নের দুনিয়া সত্যি আছে?(আমি)
.
–হ্যা। স্বপ্নের দুনিয়া সত্যিই আছে। আমার নাম লুসি দ্যা ফেইরী। আমি এই পুরো স্বপ্নের দুনিয়ার কুইন।(লুসি)
.
–কি তোমার মতো একটা মেয়ে একটা দুনিয়ার কুইন?(আমি)
.
–সাইলেন্স। সম্মান দিয়ে কথা বলো আমার সামনে। আমি একজন কুইন। আমার আদেশে তোমার জীবন যেতে পারে।(লুসি)
.
–সেটা কিভাবে সম্ভব? আপনিই তো বললেন আমি স্বপ্নের দুনিয়াতে। আমার রিয়েল বডি তো এখানে নেই তাই আমাকে মারতে পারবেন না।(আমি)
.
–মেমোরী চলে গেলেও লজিক যায় নি তাহলে। ঠিক আছে মানতে হবে পরের ডেভিল কিং হবে তুমি। এইটুকু জ্ঞান খারাপ না। কিন্তু বালক তুমি হয়তো এটা জানো না স্বপ্নের দুনিয়া কিভাবে কাজ করে। আমরা শুধু মানুষের স্বপ্নই নিয়ন্ত্রন করি না। বরং আমরা এখানে তাদেরকেও আটকিয়ে রাখতে পারি।(লুসি)
.
–আমি ডেভিল কিং? মজা করছেন নিশ্চয়। আমি তো সাধারন একটা মানুষ।(আমি)
.
–হ্যা তুমি নিজেকে সাধারন একজন মানুষ ভাবছো তাই তো আমার কাজটা খুব সহজ হবে, আমি তোমাকে একটা মনস্টার ভাবার সুযোগ দিতে চাই না।(লুসি)
.
–কিছু বললেন?(আমি)
.
–না। কিছু না। তোমাকে এখানে আনা হয়েছে একটা কারনেই, সেটা হলো তোমার ভবিষ্যত বেশী ভালো আমি দেখছি না। সব ডেভিল কিং এর থেকে বেশী শক্তিশালী তুমি। তোমার মতো শক্তির কাউকে আমি খোলা ছেড়ে দিতে পারি না। তাতে মানুষেরা শুধু খারাপ স্বপ্ন দেখবে।(লুসি)
.
–ডেভিল কিং, খারাপ স্বপ্ন এগুলো আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। আমার মাথায় তে কাজ করছে না।(আমি)
.
–এতো কিছু জানতে হবে না। মূলত আমি বলে দি স্বপ্নের দুনিয়াতে আমাদের কাজ হলো আমরা মানুষদের স্বপ্ন নিয়ন্ত্রন করে থাকি। যদি কোনো মানুষ খারাপ, ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখতে শুরু করে তাহলে আমাদের কাজ হলো তাদের সেই খারাপ, ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দূর করে ভালো স্বপ্ন দেখানো তাদের।(লুসি)
.
–ওওও। তাহলে আমাকে এখানে বেধে রাখা হয়েছে কেনো?(আমি)
.
–কারন তোমার শক্তির কারনে ইতিমধ্যেই অনেক মানুষেরা খারাপ, ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখা শুরু করে দিয়েছে। বিষয়টা আমাদের হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে এখনি। আর তোমার পুরো ক্ষমতা ফিরে আসলে কি হবে আমি সেটার চিন্তায় আছি। তখন তো মনে হয় আমার ক্ষমতা দিয়ে ও আমি মানুষদের ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখা থেকে আটকাতে পারবো না।(লুসি)
.
–এসবের কিছুই আমার মাথায় ঢুকছে না। মনে হচ্ছে কিছু ফেইরী টেইল(গল্প কাহিনী) বলা হচ্ছে আমাকে। শুধু বুঝতে পারছি আমার জন্য অনেক মানুষের সমস্যা হচ্ছে ঘুমে। আর সামনে আরো সমস্যা হবে।(আমি)
.
–ঘুমে নয়। যদি মানুষ প্রতি নিয়ত খারাপ, ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখা শুরু করে তাহলে সেই মানুষটা কিছুদিনের মধ্যেই আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। কারন স্বপ্ন ভয়ঙ্কর হলে সেটা মৃত্যুর মতোই হয়।(লুসি)
.
–ওওও। তাহলে আমাকে এখন কি করতে হবে? এখানে আটকে রাখা হবে? নাকি মেরে ফেলা হবে?(আমি)
.
–আমরা স্বপ্নের দুনিয়ার যেসব ফেইরী আছি আমরা কারো হত্যা করি না। বরং তাদের আমরা এখানে নিয়ে আসি তাদের সারাজীবন এখানেই রাখি।(লুসি)
.
–ওওও মানে আমার সারা জীবন এখানেই থাকতে হবে?(আমি)
.
–হ্যা। হ্যা এই বিষয়ে নিজ ইচ্ছায় রাজি হলে আমি স্বপ্নের দুনিয়ার রানী তোমার যেকোনো একটা ইচ্ছা পূরন করবো।(লুসি)
.
–বিষয়টা ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে। এমনিতেও আমার মেমোরী আমার সাথে আর নেই। পুরাতন জীবন মনে হচ্ছে অনেক খারাপ ছিলো। আর এখানে একটা রানী আমাকে আমার যেকোনো ইচ্ছার কথা বলতেছে। কি চাইবো আমি? কিছু কি চাওয়ার আছে আমার?(আমি)
.
–যা চাওয়ার শুধু বলে দেখো। চাওয়া মাত্রই জিনিসটা তোমার হবে।(লুসি)
.
–ওকে, তাহলে আমি চাই আপনি আমাকে আরো ১০ টা জিনিস চাইতে দিবেন আপনার থেকে।(আমি)
.
–কি? এইটা কোনো ইচ্ছা হলো? এটা তো চিটিং।(লুসি)
.
–আপনিই বলেছেন যেকোনো জিনিস।(আমি)
.
–না না। এইটা পারবো না।(লুসি)
.
–ঠিক আছে তাহলে আমার মেমোরীটা শুধু ফেরত দিন।(আমি)
.
–সেটাও পারবো না।(লুসি)
.
–তাহলে আপনি আমার কোনো ইচ্ছায় পূরন করতে পারবেন না।(আমি)
.
–না তুমি অন্য কোনো জিনিস চেয়ে দেখো?(লুসি)
.
–ঠিক আছে রানী আমার ঠোটে একটা চুমু দিন তাহলে।(আমি হেসে বললাম)
.
–কি? এতবড় সাহস আমার সামনে এই জিনিস চাওয়া হচ্ছে।(লুসি)
.
–বলছি তো পারবেন না আমার ইচ্ছা পূরন করতে।(আমি)
.
–আচ্ছা ঠিক আছে খারাপ কোনো ইচ্ছা চাইবে না। আরেকটা চাও সেইটা সিওর দিবো কথা দিচ্ছি।(লুসি)
.
–ঠিক আছে দ্যা কুইন অফ ড্রিম ওয়ার্ল্ড। বিয়ে করুন আমাকে। আমি আপনার স্বামী হয়ে চিরকাল এই আপনার স্বপ্নের দুনিয়ায় আপনার সাথে থাকতে চাই।(আমি)
.
–কি?(লুসি)
.
–জানি এটাও পারবেন না।(আমি)
.
–না এটা খারাপ বুদ্ধি না। ডেভিল কিং কে যদি আমি এখানে রাখতে পারি তাহলে মানুষেরা ভালো স্বপ্ন দেখবে। রানী হয়ে তো এটা করার দায়িত্ব আমার। আর ডেভিল কিং কে এখানে রাখা মানে তাকে পুরো যত্নে রাখা। যদি কোনো রকমে তার মেমোরী ফিরে আসে তাহলে এখান থেকে খুব সহজেই বের হতে পারবে। আর তখন সেটা আমাদের জন্য খারাপ হবে। তাই আমার বেস্ট চয়েজ তার কথায় রাজি হয়ে যাওয়া। এতে করে আমি অনেকটা জোর করতে পারবো তাকে এখানে থাকার জন্য।(লুসি ফিসফিসিয়ে বললো)
.
–তো আপনি কি রাজি?(আমি)
.
–হ্যা একটা শর্তে শুধু। সেটা হলো এখান থেকে বের হওয়ার চিন্তা কখনো মাথায় আনা যাবে না।(লুসি)
.
–এতো সুন্দর রানী যদি আমার বউ হয়। তাহলে তো আমি কখনো এখান থেকে যাবো না।(আমি)
।।।
।।।
লুসি আমার কথায় অনেকটা বুঝতে পারলো আমি এখান থেকে বের হবো না। যদিও রানীকে দেখে আমি প্রেমে পরে গেছি। তারপরও একটা লিমিট আছে। আমার মেমোরী হারিয়ে গেছে। যদি আমার জীবনে সুন্দর একটা গফ বা বউ থাকে তাহলে কি হবে। আমি এখানে আটকা থাকতে চাই না। এখান থেকে সোজাসোজি চলে যেতে চাইলে তো আমাকে আটকিয়ে রাখবে। তাই সবচেয়ে সুন্দর রাস্তা হলো রানীর মন জয় করো আর স্বপ্নের দুনিয়া ত্যাগ করো। এখান থেকে একবার বের হতে পারলে আমি আর কখনো ঘুমাবো না।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।