#যেখানে_পথচলা_শুরু |২৯|
#লেখনীতে__সাদিয়া_মেহরুজ
বিমর্ষচিত্তে একাকী বসে রয়েছে অরোন। অন্তঃকরণ জুড়ে চাপা উদ্বেগের বিরাজ। চোখ দু’টো বন্ধ করে হিসেব মেলানোর চেষ্টা করছে। তীরুকে অকপটে বাবার আ ত্ন হ ত্যা করার বিষয়টা বলে দিলেও তার নিজের কাছে কেমন অবিশ্বাস লাগছে! বাবাকে ও বেশ ভালো করেই চেনে। তার বাবা ভীষণ শক্তপোক্ত কঠিন হৃদয়ের মানুষ। এমন কঠিন চরিত্রের একটা মানুষ কেবলমাত্র আত্মসম্মানের জোড়ে কি করে আ ত্ন হ ত্যা করতে পারে? ঘটনার গহীনে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিল ও। কিন্তু ফলাফল শূন্য! যাবতীয় সকাল প্রমাণাদি এটাই বলে যে, তার বাবা স্বেচ্ছায় আ ত্ন হ ত্যা করেছেন। এবং আ ত্ন হ ত্যা করার কারণ হিসেবে অন্যান্য আসামীর অরোনের কাছে বলা কারণটিই ধরা হচ্ছে। অরোন ব্যাতীত সবাই এ কারণকেই বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করছে।
-” ভাই বাড়ি যাবেন না? এদিকের কাজ তো শেষ। ” অন্তিক ব্যাস্ত গলায় বলল।
আঁখিজোড়া উন্মুক্ত করলো অরোন। চারপাশে দৃষ্টি বুলাল। সে এতক্ষণ যাবৎ বসেছিল পুলিশ স্টেশনে। গা ঝাড়া দিয়ে উঠে দাঁড়াল ও। হাত দু’টোতে ভীষণ য ন্ত্র ণা হচ্ছে। সামনের টেবিলে এক গাদা নাস্তা পড়ে। অরোনকে খেতে দেয়া হয়েছিল। ও তা ছুঁয়ে অব্দি দেখেনি। সেখান থেকেই এক গ্লাস পানি তুলে তৃষ্ণা মেটাল। হাঁটা ধরে অন্তিককে প্রশ্ন ছুড়ল,
-” তীরুকে বাসায় পৌঁছে দিয়েছিলি ঠিক মতো? ”
অন্তিক ঘন ঘন মাথা নাড়ল, ” জি ভাই। ”
একটু থেমে পুনরায় শুধাল,
-” কিন্তু ভাবীর শরীরটা ভালো না বোধহয়। ওনাকে অ সু স্থ দেখাচ্ছিল। ”
কপালে ভাজ পড়লো অরোনের। হুট করে তার মনে পড়লো সকালের কথা। বাসা থেকে বের হওয়ার পূর্বে তীরুকে কেমন দূর্বল, দূর্বল লাগছিল। তাড়া থাকায় এগোতে পারেনি সে তীরুর নিকটে। দ্রুত পায়ে চলে গিয়েছিল। মেয়েটার খোঁজ নেয়া ভীষণ দরকার। যদিওবা বাসাতেই যাচ্ছে। তবে বাসায় পৌঁছুতে কমপক্ষে দুই ঘন্টা লেগে যাবে। বাম হাত পকেরে ঢুকিয়ে ফোন বের করে অরোন। এবং ঠিক তখনি কাকতালীয় ভাবে তানহার কল আসে। দ্রুত ফোন রিসিভ করে অরোন। তৎক্ষনাৎ অপাশ হতে ভেসে আসে তানহার ব্যাকুল কণ্ঠস্বর।
-” বাবা, বাবা তুমি কই? তীরুর শরীর ভালো না বাবা। তুমি জলদি বাড়ি আসো। ও বারবার তোমার নাম ধরে ডাকতেছে। তোমাকে দেখতে চাইতেছে। ”
-” এক্ষুনি আসছি আমি। ওর খেয়াল রাখুন মা। ”
ছুটতে শুরু করেছে অরোন। চিন্তুিত কন্ঠে অন্তিক বারংবার প্রশ্ন করে যাচ্ছে তাকে। তবে অরোন যেন শুনেও শুনতে পাচ্ছে না। আশপাশটা আবছা হয়ে এসেছে। আঁখিদ্বয়ের সামনে ভেসে উঠছে কেবল তীরুর স্নিগ্ধ মুখোশ্রী। মেয়েটাকে গিয়ে আগলে না ধরা অব্দি ওর অশান্ত হৃদয় শান্ত হবেনা।
_
বিছানায় টানটান হয়ে শুয়ে আছে অরোন। তার বুকের ঠিক মাঝটাতে মাথা রেখে তীরু সুখের ঘুম দিচ্ছে। তীরুর নম্র দেহের সম্পূর্ণভাগ অরোনের ওপর। বিড়াল ছানার মতো গুটিয়ে আছে সে অরোনের দেহের ওপর। মধ্যরাত হলেও ঘুম নেই অরোনের দু’চোখে। সে বিরতিহীন ভাবে তীরুর ঘন চুলে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। মেয়েটা ঘুমোনের আগে বেশ আদুরে গলায় আবদার করেছিল, ‘ চুলে হাত বুলিয়ে দিন অরোন। ঘুম আসছে না। আমি ঘুমিয়ে গেলে হাত বুলানো নাহয় থামিয়ে দেবেন। ‘ তীরু ঘুমিয়ে পড়েছে অনেকক্ষণ। অরোন তার হাত দু’টো থামায়নি। ইচ্ছে করছে না। মেয়েটার ঘুম না ভাঙা অব্দি বোধহয় থামবে না।
তীরুর অসুস্থতার কারণ আবহাওয়া পরিবর্তন। প্রায় বেশ কয়েকবছর হয়েছে সে প্যারিসে পড়ে রয়েছে। হটাৎ করে দেশে এসে পড়াতে সমস্যা হয়েছে। দেহ মানিয়ে নিতে পারেনি এখানকার আবহাওয়া। যার দরুন এই অসুস্থতা।
তৃষ্ণায় হটাৎ তন্দ্রাভাব কেটে গেল তীরুর।অরোনকে সজাগ দেখে কপালে বলিরেখার উৎপত্তি হলো। ও চিন্তিত গলায় প্রশ্ন করলো,
-” ঘুমোচ্ছেন না কেন? কি হয়েছে? আপনারও কি শরীর খারাপ হলো নাকি? ”
হটাৎ করে তীরুর ঘুম ভাঙাতে হকচকিয়ে উঠলো অরোন। জিজ্ঞেস করলো,
-” তোমার হটাৎ ঘুম ভাঙলো কেন? ”
-” তৃষ্ণা পেয়েছে। ”
-” শুয়ে থাকো। পানি নিয়ে আসছি। ”
তৃষ্ণা মেটানোর পর তীরু পুনরায় অরোনকে তার করা প্রশ্নগুলো স্বরণ করালো। তারই পরিপ্রেক্ষিতে অরোনের প্রতিত্তুর,
-” ঘুম আসছিলো না। ”
‘ কেন? ‘ প্রশ্নটা করতে গিয়েও থমকায় তীরু। সে কি বোকা! আজ ছেলেটার ওপর দিয়ে এতো বড় একটা ঝড় বয়ে গেল অথচ বাড়ি ফেরার পর থেকে অরোনের মনোঃবস্থা জানার বিন্দুমাত্র চেষ্টা করেনি। অবশ্য এতে দোষের ভাগীদার সে নয় বরং তার হটাৎ অসুস্থতা। এতোটাই কাহিল হয়ে পড়েছিল যে অরোনকে কাছে পেয়েই নিদ্রায় মগ্ন হয়েছে। তীরু অরোনের মুখোশ্রীতে সুক্ষ্ম দৃষ্টিপাত মেলে দিলো। স্বাভাবিক লাগছেনা অরোনকে। নিশ্চয়ই আজকের দিনের ঘটনা গুলো নিয়ে চিন্তা করেছে। ওকে এই চিন্তা থেকে মুক্ত করা দরকার ভীষণ!
-” শুয়ে পড়ো। তোমার বিশ্রাম দরকার। ” তীরুর মাথা নিজের বুকে টেনে নিতে নিতে বলে উঠলো অরোন।
তীরুর আঁখিদ্বয় হতে তন্দ্রাভাব উধাও! মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে গেলে তার পুনরায় আর ঘুম আসেনা। সে অরোনের প্রশস্ত বুকে মাথা রেখে বুকের মধ্যিখানে চুমু খেল টুপ করে। বলল,
-” আমার আর ঘুম আসবেনা। মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলে ঘুম দ্বিতীয়বার আর চোখে ধরা দেয় না। তুমি বরং আমায় একটু আদর করো তো। ”
বিষম খেল অরোন! এহেন ঠোঁট কাটা কথাবার্তা তো সে বলে। তীরু তো লাজুকলতা। হুট করে মেয়েটার মুখে এরূপ কথা শুনে তার চক্ষু চড়কগাছ! শান্ত হয়ে শুধাল,
-” অসুস্থ হয়ে দেখি তুমি অদ্ভুত কথাবার্তা বলছো। ”
তীরু হাসল, ” উঁহু। অসুস্থ হয়ে নয়। এসব তোমার সংস্পর্শে আসার ফল। ”
অরোন কিছু বলতে চাচ্ছিল। তীরু তাতে নিজের কোমল অধরজোড়ার সাহায্যে বাঁধা প্রদান করলো।
চলবে~
#যেখানে_পথচলা_শুরু |৩০|
#লেখনীতে_সাদিয়া_মেহরুজ
-” আপনার বাবা সু ই সা ই ড করেননি অরোন সাহেব। ওনাকে হ ত্যা করা হয়েছে। ”
হাত দু’টো তিরতির করে কাঁপছে অরোনের। গলা শুকিয়ে কাঠ! তার নিশ্চল, নিষ্প্রাণ চোখ দু’টো দেখে মায়া হলো অফিসারের। তিনি উঠে গিয়ে এক গ্লাস পানি নিয়ে এলেন। অরোনের সামনে গ্লাসটা ধরে শুধালেন,
-” পানিটুকু খেয়ে নিন। বিস্তারিত বলছি। ”
অরোন চটজলদি গ্লাস হাতে নিয়ে পানি খেল। হাত থেকে গ্লাস নামিয়ে রেখে বুভুক্ষের ন্যায় তাকাল ও সম্মুখে। অফিসার ধীরে সুস্থে বলা আরম্ভ করলেন,
-” ধরা পড়া আসামীদের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। ওরা এতদিন গা ঢাকা দিয়েছিল দেশের বাহিরে। কিন্তু সেখানে খুব একটা সুবিধা করতে পারছিলো না। কষ্টের জীবন সেখানে কিনা। সারাজীবন দেশে চু রি, ডা কাতি, ড্রাগ সাপ্লাই করে বেশ টাকা কামিয়েছিল। বিলাসবহুল জীবনযাপন করেছে। আগের ইনকাম করা টাকার পরিমাণের কথা চিন্তা করে ওরা লোভ সামলাতে পারেনি। তাছাড়া যতটুকু টাকা অবৈধ পথে ইনকাম করেছিল তা দেশেই পড়েছিল। সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেনি৷ মূলত এসব ভেবেই ওরা দেশে এসেছে। ভেবেছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঝিমিয়ে পড়েছে। ”
অধৈর্যবান হয়ে পড়লো অরোন। তাড়া দিয়ে বলল,
-” বাবার কথা বলছিলেন না…,”
-” রিলাক্স অরোন! হুটহাট তো আর বলে দেয়া যায় না। সব যদি খুলে না বলি তাহলে তো আপনি আর সম্পূর্ণ বিষয়টা বুঝতে পারবেন না। ”
চেয়ারে পিঠ এলিয়ে দিল অরোন। ও কিভাবে বোঝাবে তার এতো বোঝা পড়ার দরকার নেই। বাবার বিষয়টুকু জানতে পারলেই চলবে। অফিসার পুনরায় বলা আরম্ভ করলেন,
-” আদালতের হুকুমে আমরা আসামীদের রি মা ন্ডে নিয়েছি। এবং তখনই জানতে পেরেছি এই কথা যে আপনার বাবা স্বেচ্ছায় সু ই সা ইড করেননি বরং তাকে জোড় করা হয়েছে। এটাকে হ ত্যা করাই বলে। শুরুর দিকে, যখন আপনার বাবা এই অবৈধ পেশা এর সাথে জড়িত হয়েছিলেন তখন তিনি নিজেও ছিলেন একজন ড্রা গ এডিক্টেট ব্যাক্তি। ওনার তখন মারাত্মক মানসিক অধঃপতন হয়েছিল। আপনার মা যখন ওনাকে ব্লাকমেইল করা শুরু করে তখন তিনি তার দলের অন্যান্যদের এই কথাটা জানিয়ে দিলেও আপনার মায়ের খুনের পিছনে আপনার বাবার হাত নেই। তিনি কেবল তার দলের সদস্যদের এই ব্যাপারে অবগত করেছিলেন। আপনার মা’কে মে রে ফেলার ব্যাপারে কিচ্ছুটি বলেননি। এই কাজটি করেছে তার দলের সদস্যরা। যারা আপনার বাবার সাথেই কাজ করতো। দলের বাকি সদস্যরা ভয় পেয়েছিল। আপনার মা বলে দিতে পারে এই ভয়ে তারা ওনাকে হ ত্যা করেন। আপনার বাবা আপনার মায়ের মৃ ত্যু র পর ওদের কে কিছু না বললেও একসময় তিনি তাদের হুমকি দিতে শুরু করেন। ওনার অজান্তে এ কাজ কেন করা হলো তা নিয়ে বেশ ঝামেলা তৈরি করেন। এবং এরপরই ওরা আপনার বাবাকে মে রে ফেলার সুক্ষ্ম বুদ্ধি আটেঁ। কিন্তু তখন সম্ভব হয়না। পরে সুযোগ পেয়ে ওরা আপনার বাবাকে হত্যা করে৷ কারণ আপনার বাবাও হুমকি দেয়া শুরু করেছিলো ওদের সব গোপণ তথ্য ফাঁস করে ওনাদের পুলিশের হাতে তুলে দিবেন। ওরা নিজেদের পথের কাটাঁ আপনার বাবা এবং মা’কে সরিয়ে দেয়ার পর নতুন করে আবার নিজেদের পথের কাটাঁ হিসেবে পায় আপনার বোনকে। আপনার বোন তনু ওদের হয়তো চিনতে পেরে যায় কোনোভাবে। তনু ওদের সম্পর্কে জানতে পারে যখন ওরা গ্রামে আসে। ওদের সন্দেহ জনক আচরণ তনুকে কৌতূহলপ্রবণ করে তোলে ওদের সম্পর্কে জানার জন্য। তনু যখন ওদের পিছু নিয়ে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছিল নিশ্চিত হওয়ার জন্য ঠিক তখন ওদের নজরে চলে আসে তনু এবং তারা তনুকে চিহ্নিত করে ওকে ও পথ থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য। অতঃপর যা হলো তা তো আমাদের সকলেরই অবগত। ”
শীততাপনিয়ন্ত্রিত রুমটায় ভারী দীর্ঘশ্বাস ফেলার শব্দ পাওয়া গেল। হৃদয়ের অস্থিরতা, চঞ্চলতা কমে গিয়েছে। বাবা নির্দোষ নয়! তিনি অন্যায় করেছেন। অবশ্যই এবং অবশ্যই তিনি বিরাট বড় অন্যায় কাজ করেছেন। সেই অন্যায়ের শাস্তি অতি করুণভাবে তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে প্রকৃতি। প্রকৃতি কখনো ছাড় দেয়না। কোনো অন্যায়ের ছাড় হয়না। এটাই হচ্ছে চিরন্তন সত্য। প্রকৃতি এ নিয়ম মেনে চলে।
বৃদ্ধ অফিসার নুরুল আমিন অরোনের মুখোবয়ব পর্যবেক্ষণ করলেন। শেষে নিজের গম্ভীরতা ছাড়িয়ে কিয়ৎ নরম সুরে বলে উঠলেন,
-” আপনার বাবা নির্দোষ ছিলো না তা তো বুঝতেই পারছেন। তাই কোনোরকম খারাপ লাগা কাজ করলে তা ঝেড়ে ফেলুন। এটা অযথা আপনাকে কষ্ট দেবে। তিনি যদি এভাবে অন্যের হাতে খুন নাও হতেন তবুও তাকে একদিন না একদিন শাস্তি পেতে হতোই। পুলিশের হাতে পড়লে আদালতের রায়ে ফাঁসি হয়ে যেত তার। তবে শেষদিকে যে তিনি তার ভুল বুঝতে পেরেছিলেন এটাই বড় একটা ব্যাপার। ”
-” আমি আজ তবে আসি অফিসার। আমার তো আর কোনো কাজ নেই থানায়। সব কাজ মোটামুটি শেষ। আশাকরি আর কোনো দরকারে আমার আর আপনাদের প্রয়োজন হবে না। ”
-” জি। এদিকের কাজ শেষ। আপনাকে বোধহয় আর দরকার পড়বেনা। আপনি কি তবে আবারও দেশের বাহিরে পাড়ি দিচ্ছেন? ”
-” জি। ওখানেই আমার সবকিছু গুছিয়ে নেওয়া হয়ে গেছে। আমার পেশা, আমার পরিবার, আমার বসবাসের স্থান। ”
-” এতোগুলো বছর পর অবশেষে আপনি চিন্তামুক্ত তবে বলা যায়? আপনার আগামী দিন গুলো ভালো কাটুক। ধন্যবাদ আমাদের সাহায্য করার জন্য। ”
নুরুল আমিনকে বিদায় দিয়ে অরোন বাহিরে এলো। আজ রৌদ্রজ্বল দিন। আকাশটা ধবধবে সাদা। চারপাশ কেন অতিরিক্ত উজ্জ্বল মনে হচ্ছে তার। বুক ভরে শ্বাস টেনে নিলো সে। হালকা অনুভূত হচ্ছে বেশ। বুকের ওপর চেপে বসে থাকা চিন্তার পাহাড়টা আজ ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। অরোন অম্বরে দৃষ্টি ফেলল। বিশাল অম্বরের নিচে নিজেকে একা মনে হচ্ছে। বাবা, মা হচ্ছে একজন মানুষের সবচেয়ে বড় শক্তি। এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা। তারা দু’জনই নেই তার পাশে। প্রকৃতি কখনো শূন্যস্থান পছন্দ করেনা। তাদের শূন্যস্থান ঠিকই পূরণ হয়েছে। তার বোন, তীরু, তানহা, অন্তিক কিংবা প্রিয়’র মতো চমৎকার মানুষ গুলোর দ্বারা। অরোন তপ্তশ্বাস ফেলল। আজ হতে তার মন খারাপের ছুটি। নির্ঘুম রাতের চিন্তার কারণ গুলো খাঁচা থেকে মুক্তি পেয়ে তার হতে বহু দূরে ছুটে পালিয়েছে।
চলবে~