রাখিব তোমায় যতনে পর্ব-১৯

0
584

#রাখিব_তোমায়_যতনে
#সাদিয়া_জাহান_উম্মি
#পর্বঃ১৯
ঘরোয়াভাবেই নীবদ্ধ আর শুদ্ধতার বিয়ে সম্পন্ন হলো।তিন কবুল বলে একে-অপরের হয়ে গেলো তারা সারকজীবনের জন্যে। পবিত্র সম্পর্কের বন্ধনে জড়িয়ে গেলো তারা।বিদায় বেলায় বুকফেটে কান্না আসছিলো শুদ্ধতার।তবে হাউমাউ করে কাঁদেনি।শুধু রক্তিমচোখ হতে অঝোরে জল গড়িয়ে পরছিলো।রাশেদ সাহেব আর রিনা বেগম তাদের একমাত্র রাজকন্যাকে দিয়ে দিলেন অন্যের অধীনে সারাজীবনের জন্যে।মেয়েকে নীবদ্ধ’র হাতে তুলে দেওয়ার সময় সে-কি কান্না তার।শুদ্ধতা বাবা আর মাকে জড়িয়ে ধরেছিলো অনেকক্ষন।অবশেষে বিদায় নিয়ে স্বামির ঠিকানায় পারি জমালো শুদ্ধতা।চোখ বন্ধ করে গাড়িতে বসে আছে ও।মাথাটা প্রচন্ড ব্যাথায় শুদ্ধতা চোখ কুচকিয়ে ফেলছে একটু পর পর।নীবদ্ধ শুদ্ধতার এহেন মুখশ্রী দেখে বেশ চিন্তিত।ডেকে যে কিছু জিজ্ঞেস করবে তারও উপায় নেই। মেয়েটা যদি ঘুমিয়ে থাকে? অহেতুক ঘুম ভাঙ্গালে যদি মেয়েটা রেগে যায়? এসব ভাবতে ভাবতে নীবদ্ধ আর শুদ্ধতাকে ডাকলো না।সমস্যা হলে বাড়িতে গিয়েই কিছু জিজ্ঞেস করে নিবে।আধাঘন্টা পর নীবদ্ধদের গাড়ি বাড়ি এসে পৌছাতেই নীবদ্ধ উপায় না পেয়ে শুদ্ধতাকে আলতো স্বরে ডেকে উঠলো,
-‘ শুদ্ধতা,উঠুন। আমরা এসে পরেছি।’

একডাকেই শুদ্ধতার ঘুম ভেঙে গেলো।লাল চোখজোড়ার ওই দৃষ্টি দেখে নীবদ্ধ ঠান্ডা কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
-‘ কি হয়েছে আপনার? মাথা ব্যাথা করছে?’

শুদ্ধতা জানে নীবদ্ধ ওর সবকিছু বলার আগেই বুঝে যায়।তাই আলতো করে মাথা দুলিয়ে বুঝালো হ্যা করছে ওর মাথা ব্যাথা।নীবদ্ধ চটজলদি গাড়ি থেকে নেমে দাড়ালো।তারপর হাত বাড়িয়ে দিলো শুদ্ধতার দিকে।শুদ্ধতা একপলক নীবদ্ধ’র দিকে তাকিয়ে তারপর নীবদ্ধ’র হাতজোড়া ধরে নেমে দাড়ালো গাড় থেকে।শুদ্ধতার অপারপাশের হাত এসে আকড়ে ধরলো আরেকটা হাত। শুদ্ধতা চমকে গিয়ে পাশে তাকাতেই ঈশানকে দেখে মিষ্টি হাসলো।ছেলেটা একদম ভাবি পাগল।নীবদ্ধ ঈশানকে দেখে বলে,
-‘ ওই তুই এইভাবে হাত ধরেছিস কেন?’

ঈশান মুখ ভেংচি মেরে বলে,
-‘ তোমার কি? আমি ভাবির হাত ধরেছি।তাই না ভাবি?’

শুদ্ধতা আলতো হাসলো।অতঃপর সকল নিয়ম নিতী মেনে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করানো হলো।শুদ্ধতা ক্লান্ত থাকায় খুব তাড়াতাড়িই ওকে রুমে দেওয়া হয়।রুমে এনে বসিয়ে দিয়ে সানাম চলে যায়।যেহেতু নীবদ্ধ’দের বাড়িতে আয়েশা রহমান ছাড়া কোন মেয়ে নেই তাই সানামকে পাঠানো হয়েছে সাথে।
শুদ্ধতা চুপচাপ বসে রইলো।বাহির থেকে একটুপরেই সানাম, ঐক্য, আর ঈশানের কন্ঠ শুনা যাচ্ছে।মূলত ওরা টাকা চাইছে নীবদ্ধ থেকে।তবে বেশিক্ষন চাওয়া লাগলো না কারন নীবদ্ধ অল্পতেই টাকা দিয়ে দিয়েছে।দরজা খোলার আওয়াজে শুদ্ধতা নড়েচড়ে বসলো।আজ কেমন যেন বুকটা ধরফর করছে।অন্যসময় তো এমন লাগে নাহ।কেমন যেন অস্থির লাগছে।ঘামছে শুদ্ধতা প্রচুর।নীবদ্ধ রুমে প্রবেশ করে পুরো রুমটায় চোখ বুলালো।নাহ,বেশ ভালোই সাজিয়েছে।বেলি আর গোলাপ আরো নানানফুলের বাহার চারদিকে।ফেইরি লাইট্স ও লাগিয়েছে।ফলে রুমটা আরো সুন্দর দেখাচ্ছে।নীবদ্ধ এইবার চোখ রাখলো ফুলের বিছানার মধ্যিখানে বসা শুদ্ধতার দিকে।নয়নজোড়া স্থির হয়ে আসলো নীবদ্ধ’র।অসহ্য ভালোলাগায় বুকটায় ব্যাথা করে উঠলো।চোখজোড়া জ্বলছে।অতি খুশিতে কি এই পাথর মনটা এখন কাঁদতে চাইছে? শুদ্ধতা আজ নিজের স্ত্রী করে নিয়ে আসলো নীবদ্ধ।ওর এতোদিনের ভালোবাসা আজ পূর্ণতা পেলো।মেয়েটা আজ ওর অর্ধাঙ্গিনি।ওর জীবনসাথি।বউ সাজে যখন মেয়েটাকে প্রথম দেখলো নিশ্বাসটাই বোধহয় আটকে যাচ্ছিলো নীবদ্ধ’র।এতো অমায়িক সুন্দর লাগছিলো যে নীবদ্ধ চোখই সরাতে পারছিলো না।এদিকে শুদ্ধতা নীবদ্ধ’র কোন সারাশব্দ না পেয়ে আবারও দরজার সম্মুখে তাকালো।নীবদ্ধ’কে ওইভাবে স্ট্যাচু হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে অবাক হলো।তবে এই নিরবতা নিজেই আগে ভাঙলো,
-‘ আসসালামু আলাইকুম! ‘

শুদ্ধতার মুখে সালাম শুনে হুশ ফিরে আসলো নীবদ্ধ’র গলা খাকারি দিয়ে জলদি সালামের জবাব দেয় নীবদ্ধ।তারপর ধীর পায়ে এগিয়ে যায় শুদ্ধতার দিকে।শুদ্ধতার পাশে বিছানায় বসতেই শুদ্ধতার বুকটা কেউ যেন কামড়ে ধরে।নীবদ্ধ প্রশ্ন করল,
-‘ মাথা ব্যাথা কমেছে?’

শুদ্ধতার আলতো কন্ঠ,
-‘হ্যা।মা ঔষুধ দিয়েছিলো সাথে কফিও দিয়েছিলো।তাই কমেছে।’

-‘ ভালো।গরম লাগছে না? এই ভারি বেনারসি আর গহনা পরে আছেন?’

শুদ্ধতা নিজের দিকে একবার তাকিয়ে বলে,
-‘ হ্যা তা তো লাগছেই।’

-‘ যান চেঞ্জ করে আসুন।’

শুদ্ধতা মাথা দুলিয়ে উঠে চলে যেতে নিয়েও কি মনে করে যেন থেমে যায়।আবারও নিজ স্থানে বসে পরে।নীবদ্ধ’র দিকে শীতল দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলল,
-‘ আপনি আমায় সাদা বেনারসি দিলেন যে বিয়েতে?’

নীবদ্ধ শুদ্ধতার প্রশ্নে হাসলো।সে জানতো শুদ্ধতা এই প্রশ্নটা করবেই।নীবদ্ধ এইবার আবিষ্ট কন্ঠে বলে,
-‘ আপনার নামের অর্থ কি জানেন? শুদ্ধতা অর্থ নির্দোষ, শোধিত, পবিত্র, নির্ভুল। আর শুভ্র রঙ হলো পবিত্রতার প্রতিক। ঠিক এইজন্যেই আমি আপনাকে সাদা বেনারসি দিয়েছি।’

শুদ্ধতা মুগ্ধ হয়ে শুনলো নীবদ্ধ’র কথা শুনে।লোকটার প্রতিটি কথায় শুদ্ধতা আঁচ করতে পারে শুদ্ধতাকে ঠিক কতোটা ভালোবাসা নীবদ্ধ।নীবদ্ধ আবারও বলল,
-‘ যান ফ্রেস হয়ে আসুন।তারপর বিশ্রাম নিন।আজ আপনার উপর অনেক ধকল গিয়েছে।’

শুদ্ধতা বিছানা থেকে নেমে দাড়ালো।কিন্তু রুমের কোথাও জামাকাপড়ের ব্যাগটা দেখতে পেলো না।অবাক হলো শুদ্ধতা।এদিকে শুদ্ধতাকে এখনো দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে নীবদ্ধ বলে,
-‘ কি হলো? দাঁড়িয়ে আছেন কেন?’

শুদ্ধতা ঘার ঘুরিয়ে তাকালো।বলল,
-‘ আমার জামাকাপড় পাঠায়নি আম্মু? ব্যাগ দেখছি না যে?’

-‘ নাহ পাঠায়নি।মূলত আমিই মানা করেছি।’

শুদ্ধতা আশ্চর্য হয়ে বলে,
-‘ কি বলেন?এমন করলেন কেন আপনি?এখন আমি কি পরবো?’

নীবদ্ধ হাসলো।চোখের ইশারায় আলমারি দেখিয়ে দিয়ে বলে,
-‘ আপনি আগে আলমারিটা তো খুলে দেখবেন?সেখানেই আপনার প্রয়োজনীয় সব আছে।আমি আমাদের বিয়ের আগেই আপনার জন্যে সব কিনে রেখেছিলাম।এখন আপনার আমানত আপনি বুঝে নিন।’

শুদ্ধতা হা হয়ে নীবদ্ধ’র কথা শুনলো।অবাকের চরম পর্যায়ে গিয়ে আলমারি খুলেই ওর চোখজোড়া শান্ত হয়ে আসলো।পুরো আলমারি অর্ধেকের বেশি ওর জন্যে আনা জামা-কাপড় দিয়ে ভর্তি।সবগুলো দেখে শুদ্ধতা শান্ত চোখে তাকালো নীবদ্ধ’র দিকে।লোকটা এখনো ওর দিকে হাসিমুখে তাকিয়ে।শুদ্ধতা একটা শাড়ি নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো।ফ্রেস হয়ে শাড়িটা পরে ওয়াশরুমেই দাঁড়িয়ে রইলো।নিজের মনে অনেক কথা ভাবতে লাগলো।নীবদ্ধ’কে কি আজ স্বামির অধিকার দিবে শুদ্ধতা? লোকটা ওকে ভালোবাসা তা খুব ভালোভাবে জানে শুদ্ধতা।আর নীবদ্ধ যে ওকে জোড় করবে না এটাও জানে সে।এটুকু বিশ্বাস আছে নীবদ্ধ’র প্রতি শুদ্ধতার। শুদ্ধতা মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলো যদি নীবদ্ধ একটুও ইশারা করে যে আজ ও শুদ্ধতাকে নিজের করে চায় তাহলে শুদ্ধতা মানা করবে না।কারন নীবদ্ধ ওর স্বামি।আর এটা তার অধিকার।মনে মনে নিজেকে শক্ত করে শুদ্ধতা বাহিরে আসলো।শুদ্ধতা বের হতেই মুখোমুখি হলো নীবদ্ধ।নীবদ্ধ বলে,
-‘ যান গিয়ে শুয়ে পড়ুন।আমি ফ্রেস হয়ে আসছি।’

নীবদ্ধ ওয়াশরুমে চলে যেতেই শুদ্ধতা বিছানার একপাশে গিয়ে সুয়ে পরলো।কেমন যেন অস্থির অস্থির লাগছে।চোখ বুজে নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করতে লাগলো শুদ্ধতা।

ফ্রেস হয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আসলো নীবদ্ধ।বিছানায় তাকাতেই ঘুমন্ত শুদ্ধতাকে দেখতে পেলো নীবদ্ধ।তপ্ত শ্বাস ফেললো নীবদ্ধ।ঘরের আলো নিভিয়ে ড্রিম লাইট জ্বালিয়ে নিজেও অন্যপাশে সুয়ে পরলো।নীবদ্ধ’র ঘুম আসছেনা একটুও।বার বার এপাশ ওপাশ করছে। ভাবছে,
-‘ মেয়েটা কি সত্যিই ঘুমিয়ে গেলো? ওকি আমায় ভয় পাচ্ছে? ও তো জানে আমি ওর অনুমতি ছাড়া কিছু করবো না।তাও কেন এমন করছে? আজ রাতটা তো আমরা গল্প করেই কাটিয়ে দিতে পারতাম।’

নীবদ্ধ এইবার সাহস জুগিয়ে আস্তে করে ডেকে উঠলো,
-‘শুদ্ধতা,ঘুমিয়ে গিয়েছেন?’

শুদ্ধতা নিজেরও ঘুম আসছিলো না।চোখ বুজে ছিলো।তাই নীবদ্ধ’র একডাকেই সারা দিলো। নীবদ্ধ’র দিকে ঘুরে তাকালো,
-‘ জি বলুন।’

-‘ আপনি ঘুমাননি?’

-‘ উহু!’

-‘ কেন?’

জবাব দিলো না শুদ্ধতা চুপ করে রইলো।কিইবা জবাব দিবে। ওর অন্তর কাঁপছে। নীবদ্ধ কি বলবে তা নিয়ে ভেবে ভেবে অস্থির হচ্ছে ক্রমশ।

-‘ আপনি কি আমায় ভয় পাচ্ছেন শুদ্ধতা?’

চট করে দৃষ্টি রাখলো নীবদ্ধ’র দিকে শুদ্ধতা।বলল,
-‘ নাহ তো! আপনি কি বলছেন?’

-‘ তাহলে ওইভাবে ঘুমের ভাণ ধরেছিলেন কেন?’

-‘ এমনিতেই।কিছু তো করার নেই।তাই চোখ বুজে ছিলাম।ঘুম এসে যাবে একটু পর এটা ভেবে।’

নীবদ্ধ শুদ্ধতাকে ভালোভাবে দেখলো।অতঃপর মোহাচ্ছন্ন কন্ঠে বলে,
-‘ আপনি আজ থেকে শাড়িই পড়বেন শুদ্ধতা। শাড়িতে আপনাকে ভীষন সুন্দর লাগে।’

শুদ্ধতা কেমন কেঁপে উঠলো।লজ্জা পেলো বোধহয়।তাইতো চোখজোড়া নিচু হয়ে গেলো।আবারও নীবদ্ধ’র কন্ঠ শোনা গেলো,
-‘ আপনার কাছে একটা আবদার করবো শুদ্ধতা?একটা নিষিদ্ধ আবদার? রাগ করবেন আপনি?’

শুদ্ধতার বুকটা ধরাস করে উঠলো।নিষিদ্ধ আবদার মানে? নীবদ্ধ কি আজই ওর থেকে স্বামির অধিকার চাইবে? শুদ্ধতার কি না চাইতেও সে ডাকে সারা দিতে হবে?ঠোঁট কামড়ে ধরলো শুদ্ধতা।এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে সবকিছু শুদ্ধতার।জোড়ে জোড়ে শ্বাস ফেলছে।ভয়ার্ত চাহনী নিক্ষেপ করলো শুদ্ধতা।কাঁপা গলায় বলল,
-‘ কি নি..নিষিদ্ধ আবদার? আর রা..রাগ কেন করবো?’

-‘ আপনি কাঁপছেন কেন শুদ্ধতা?’

-‘ কাঁপছি না তো।’

-‘ তাহলে কি বলবো আমার আবদারটা?’

-‘ হ্যা বলুন!’

শ্বাস চেপে রইলো শুদ্ধতা।সে জানে নীবদ্ধ এটা করবে না। অন্তত আজ নয়ই।তবুও শুদ্ধতার অস্থির লাগছে।ভয় করছে।নীবদ্ধ নরম গলায় বলে,
-‘ আমি জানি আপনি রাগ করবেন।তাও বলবো।আমার শূন্য বুকটায় নিজেকে সমর্পন করে পূর্ণ করে দিবেন? আমার বুকটার মাঝে আপনাকে নিয়ে নিজের বাহুডোরে লুকিয়ে রেখে প্রশান্তির একটা ঘুম দেওয়ার বড্ড ইচ্ছা আমার।পূরন করবেন? আর কোন চাওয়া নেই আমার আপনার কাছে।স্বামির অধিকার খাটাবো আপনার উপর।আপনার অনুমতি ছাড়া কিছু করবো না।শুধু আমার এটুকু আবদার মেনে নিন নাহ।’

শুদ্ধতা বাকরূদ্ধ,ভাষাহীন হয়ে গিয়েছে। মানুষটাকে নিয়ে শুধু শুধু এতোক্ষন উল্টাপাল্টা ভাবছিলো।শুদ্ধতার ঠোঁটের কোনে আনমনেই হাসি ফুটে উঠলো। ধীরে ধীরে এগিয়ে গেলো নীবদ্ধ’র দিকে।শুদ্ধতাকে নিজের দিকে এগিয়ে আসতে দেখে প্রশান্তির হাসি হাসে নীবদ্ধ।দু হাত মেলে দিলো শুদ্ধতাকে তার মাঝে লুকিয়ে ফেলার জন্যে।শুদ্ধতা গিয়ে নীবদ্ধ’র বুকে মাথা রাখতেই শুদ্ধতার সারা শরীর ঝংকার দিয়ে কেঁপে উঠলো। মনে হলো এই বুকটাই তার জন্যে সবচেয়ে প্রশান্তি আর নিরাপদ স্থান।বড্ড ভরসার স্থান এটা।অসহ্য সুখে আপনা আপনি চোখ বুজে এলো শুদ্ধতার। হঠাৎ অনুভব করলো নীবদ্ধ’র হৃদস্পন্দন খুব বেড়ে গিয়েছে।শুদ্ধতা মাথা তুলে আতংক দৃষ্টিতে তাকালো,
-‘ আপনার হৃদস্পন্দন অনেক বেড়ে গিয়েছে নীবদ্ধ।কি হয়েছে আপনার?’

নীবদ্ধ চোখ বুজেই রইলো।তবে যা বললো তা শুনে কি বলবে ভেবে পেলো না শুদ্ধতা।মুখ লুকিয়ে নিলো নীবদ্ধ’র বুকে।এখনো নীবদ্ধ’র বলা কথাগুলো বার বার বাজছে,
-‘ আপনি বুকে মাথা রাখাতেই তো এমন হলো শুদ্ধতা।আপনাকে আমি অনেক ভালোবাসি শুদ্ধতা।অনেক ভালোবাসি।’

#চলবে__________

ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।