#রাখিব_তোমায়_যতনে
#সাদিয়া_জাহান_উম্মি
#অন্তিম_পর্ব
সময়ের কাটা ঘুরতে থাকে।দেখতে দেখতে কেটে গেছে পুরো একটা বছর।সবাই স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করছে।তবে আসল কথা।সেদিনের ঘটনার রেশ এখনো সবার মনের মাঝে গেঁধে আছে।সেদিন জুনায়িদ শেখের মৃত্যুতে শোকাভিভূত ছিলো সবাই।তবে সবচেয়ে কষ্ট পেয়েছিলো শুদ্ধতা।প্রথমে অনেক কান্না করলেও পরবর্তীতে কেমন যেন চুপচাপ হয়ে গিয়েছিলো।কারো সাথে তেমন কথাবার্তা বলতো না।জুনায়িদ শেখকে সকল মন্ত্রি,মিনিষ্টার আর পুলিশসহ সবাই সম্মানের সাথে শেষ বিদায় দেন।তার মতো তাকে শুভ্রতার পাশেই কবর দেওয়া হয়। শুদ্ধতা আর নীবদ্ধকে সরকারের পক্ষ থেকে পুরষ্কৃত করা হয় তাদের সাহসীকতার জন্যে। মেয়েগুলোকে উদ্ধার করে সবার আপনজনদের কাছে সহি সালামতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।আর শিশুদের উদ্ধার করা হয়েছে আরেক জায়গা থেকে।প্রথমে সন্ত্রাসীরা বলতে চায়নী পরর্তীতে নিজেদের অপরাধ স্বিকার করে।জুনায়িদ শেখ যখন আরো কয়েকবছর আগে গ্রেফতার করে ফেলেছিলো।তাদের থেকে কয়েকজন ছাড়া পেয়ে পালিয়ে গিয়েছিলো।ওরাই আবার বিশাল বড় প্লান করে ফিরে এসেছিলো।এক,প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যে আর দুই তাদের এইসন অবৈধ ব্যবসা আবার চালু করার জন্যে।তবে এবারও তারা সফল হতে পারেনি।অন্যায়কারিরা কখন সফল হতে পারে না।একদিন নাহ একদিন তাদের ধ্বংশ হতেই হয়।
________________
টিভির সামনে হাসিমুখে বসে আছে শুদ্ধতা,আয়েশা রহমান আর ঈশান।কারন টিভিতে নীবদ্ধকে দেখা যাচ্ছে।যে আপাততো এই শহরের নতুন এমপি।শুদ্ধতা মুগ্ধ চোখে ওর মানুষটাকে দেখছে।ওর মানুষটা কি সুন্দর দাম্ভিকতার সাথে একের পর এক ভাষণ দিয়ে যাচ্ছে। শুদ্ধতা কখনও ভাবেও নি।নীবদ্ধকে সে এতোটা ভালোবেসে ফেলবে।এতোটাই ভালোবেসে ফেলেছে যে এখন নীবদ্ধকে ছাড়া শুদ্ধতা নিজেকে কল্পনাও করতে পারে নাহ। আর না বেসে শুদ্ধতা আর কোথাই বা যাবে?নীবদ্ধ ওকে যেই পরিমান ভালোবাসে সেই ভালোবাসাকে উপেক্ষা করবে কিভাবে শুদ্ধত? পারেনি শুদ্ধতা নীবদ্ধ’কে দূরে ঠেলে রাখতে। মুখে হাসি নিয়ে উঠে দাড়ালো শুদ্ধতা।আস্তেধীরে রান্না ঘরে এগিয়ে গেলো।নীবদ্ধ’র পছন্দের খাবার আজ নিজ হাতে রান্না করবে ও।যেই ভাবা সেই কাজ।একে একে সব রান্না করলো।শেষে খুব সুন্দর ভাবে পায়েশ রান্না করলো শুদ্ধতা।নীবদ্ধ পায়েশ খুব পছন্দ করে।রান্নাবান্না শেষে রুমে চলে গেলো শুদ্ধতা।প্রচন্ড গরম আর অস্থির লাগছিলো।গোসল দিয়ে তারপর শুদ্ধতা বিছানায় সুয়ে পরলো।মাথাটা ঘুরাচ্ছে কেমন যেন।হঠাৎ ফোনের আওয়াজ হতেই ফোনটা হাতে তুলে নেয় শুদ্ধতা।সানামের কল দেখে দ্রুত রিসিভ করে।
-” কংগ্রাচুলেশনস দোস্ত।ভাইয়াকে আমার পক্ষ থেকে এতো এতো অভিনন্দন।আমার ভাগের মিষ্টি রেখে দিস।আমি ঢাকা আসলে আমার ভাগেরটা বুঝে নিবো।”
-” আস্তে বল।চিল্লাচ্ছিস কেন?”
-” তোর কন্ঠ এমন শোনাচ্ছে কেন?”
সানামের চিন্তিত গলা।
-“কেমন শোনাচ্ছে আবার?”
-” তোর কি শরীর খারাপ শুদ্ধতা?”
-” নাহ ওই আরকি তোর ভাইয়ার জন্যে রান্না করেছিলাম।তাই একটু গরম লাগছে আর মাথা ঘুরাচ্ছে।” শুদ্ধতার দূর্বল কন্ঠ।
-” শুদ্ধতা তুই আমার কথা মেনে নেহ।আমি তোকে সেই কবে প্রেগ্ন্যান্সি টেস্ট কিট দিয়ে গিয়েছিলাম।একবারও কি তুই পরিক্ষা করেছিস?”
-” নাহ! করেনি।”
-” আমার মনে হয় তুই প্রেগন্যান্ট। তোর পিরিয়ড নাকি আড়াই মাস যাবত বন্ধ।তুই এতো হেলাফেলা করছিস কেন?”
-” আমার তো এমনিতেও মাঝে মাঝে গ্যাপ যেতো।তাই আর মাথা ঘামায়নি।”
-” তুই একবার টেস্ট করে আয়।আমি আবার পাঁচ মিনিট পর তোকে ফোন করছি।”
সানাম ফোন কেটে দিতেই শুদ্ধতা নানান কিছু ভাবতে লাগলো।মনের মাঝে কেমন যেন একটা অনুভূতি।ও মা হবে? সত্যিই কি? হঠাৎ কয়েকদিন আগের ঘটনার কথা মনে পরে যায় শুদ্ধতার।ইলেকশনের কাজে ব্যস্ত ছিলো নীবদ্ধ।তাই শুদ্ধতাকে তেমনভাবে সময় দিতে পারছিলো না।প্রচন্ড ব্যস্ততায় কাটছিলো নীবদ্ধ’র সময়।কাউকে ফোন করে কথা বলার সময়টুকুও নেই।একদিন শুদ্ধতার অনেক পেটে ব্যাথা হচ্ছিলো।নীবদ্ধকে জানালে ও প্রথমে অনেক অস্থির হয়ে যায়।বলে ও আসছে একটু পরেই।কিন্তু কিছু সমস্যার কারনে আটকে যায় নীবদ্ধ।চেয়েও আসতে পারেনি ও। ফোন করে জানিয়েছিল যে, ও এখন অনেক ব্যস্ত।তাই আসতে পারবে না।তাই আয়েশা রহমানকে নিয়ে যেতে বলেছিলো।সাথে ঐক্যকেও পাঠিয়েছিলো।তবে নীবদ্ধ খুব সুন্দরভাবে কথাটা বলেছিলো।কিন্তু শুদ্ধতা মানতে পারেনি।এমনিতেই নীবদ্ধ’র সাথে ওর তেমন একটা কথাবার্তা হচ্ছিলো না।কাজের প্রেসারে নীবদ্ধ সেই রাত করে বাড়ি ফিরতো। কিন্তু শুদ্ধতা ঘুমিয়ে যেতো।তবে ও চেষ্টা করতো জেগে থাকার জন্যে তবে চেয়েও পারতো না।তবে সেদিন নীবদ্ধ’র ওই কথায় বেশ আঘাত পেয়েছিলো।ডাক্তার দেখানোর পর রিপোর্ট দিলে জানতে পারে শুদ্ধতার জরায়ুতে সমস্যা আছে ও মা হতে পারবে না।এই কথাটা শোনার পর শুদ্ধতার পেনিক হয়ে গিয়েছিলো।ওর বোনকের ক্ষেত্রেও তো জাহিদ মা হবে না এইজন্যে আরেকটা বিয়ে করেছিলো।যদি নীবদ্ধও তেমন করে?সব পুরুষদেরই ইচ্ছা বাবা হবার।কিন্তু শুদ্ধতা তো নীবদ্ধকে বাবা ডাক শোনাতে পারবে নাহ।কেমন যেন ভীতরে ভীতরে আতংকীত ছিলো শুদ্ধতা।বাড়ি ফিরে আসে স্বাভাবিকভাবে।রুমে গিয়ে নীবদ্ধকে কল করলে নীবদ্ধ ওর ফোন রিসিভ করে না।এরপরেই শুরু হয় শুদ্ধতার পাগলামো।নীবদ্ধ ওকে আর ভালোবাসে না।আর যদি জানতে পারে ও মা হবে না তাহলে নীবদ্ধকে ওকে ছেড়ে দিবে।আরেকটা বিয়ে করে আনবে। কেউ থামাতে পারেনি শুদ্ধতাকে।নীবদ্ধকে ফোনে না পেয়ে ঐক্য ছুটলো নীবদ্ধ’র কাছে।নীবদ্ধকে সব জানানোর পর ছুটে চলে আসে নীবদ্ধ।শুদ্ধতার বেহাল দশা দেখে ও হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলো।পুরো ঘর অন্ধকার করে ফ্লোরে এলোমেলো হয়ে সুয়েছিলো শুদ্ধতা।নীবদ্ধ দৌড়ে গিয়ে বুকে জড়িয়ে নিয়েছিলো শুদ্ধতাকে।সে কি পাগলামি শুদ্ধতার। নীবদ্ধ সারারাত শুদ্ধতাকে বুকে নিয়ে এটাসেটা বুঝিয়ে শান্ত করেছিলো।ভালোবাসাও দিয়েছিলো প্রচুর।পরেরদিন শুদ্ধতাকে নিয়ে আবারও সেই হাসপাতালে ওই ডাক্তারের কাছেই যায়।গিয়ে জানতে পারে শুদ্ধতার রিপোর্ট ভুল ছিলো।শুদ্ধতা নামের আরেকজন পেসেন্টের সাথে ওর রিপোর্ট বদলে গিয়েছিলো।নীবদ্ধ ও রেগে মেগে ফায়ার।ও পুলিশে মামলা করতে চেয়েছিলো।পরে ডাক্তার অনেক ক্ষমা টমা চায় নীবদ্ধ’র কাছে।শুদ্ধতা ছেড়ে দিতে বলে।সেদিনের কথা মনে করে মলিন হাসলো শুদ্ধতা।কি পাগলামিটাই না করেছিলো।শুদ্ধতা উঠে ওয়াশরুমে চলে গেলো।সানামের কথামতো প্রেগ্ন্যান্সি টেস্ট করলো।এবং রিপোর্ট পজিটিভ আসলো।হা হয়ে রইলো শুদ্ধতা।বার বার লাল দুটো দাগের দিকে বড় বড় চোখে তাকিয়েছিলো।পরমুহূর্তে খুশিতে চিৎকার করে উঠে ও।নাচানাচি শুরু করে দেয়।একটু পর নিজেই থেমে যায়।বিরবির করে,
-” রিলেক্স শুদ্ধতা।এভাবে লাফালাফি করা যাবে না।তুই এখন একা নস।তোর সাথে আরেকজনেরও প্রান আছে।”
রুমের ফোন বাজার শব্দ হতেই ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আসে শুদ্ধতা।সানামের কল রিসিভ করতেই ওকে সব জানায় শুদ্ধতা।প্রচন্ড খুশি হয়।আর শুদ্ধতাকে আইডিয়াও দেয় কিভাবে নীবদ্ধকে আজকে এই খুশির কথাটা বলবে শুদ্ধতা।
————
হাসিমুখে বাড়ি ফিরে আসে নীবদ্ধ।আয়েশা রহমান পায়েশ নিয়ে বসেছিলেন।ছেলে আসতেই আগে মিষ্টিমুখ করালেন।নীবদ্ধকে নিচের ফ্লোরের ওয়াশরুম থেকেই ফ্রেস হয়ে আসতে বলেন তিনি।নীবদ্ধ ওতোশতো না ভেবে ফ্রেস হয়ে নেয়।বেড়িয়ে এসেই প্রশ্ন করে,
-” মা শুদ্ধতা কোথায়?”
আয়েশা রহমান আমতা আমতা করলেন।শুদ্ধতার সাথে তিনি খুব ফ্রি।শুদ্ধতা তাকে জানিয়েছে নীবদ্ধকে ও সার্প্রাইজ দিতে চায়।তাই যেন নীবদ্ধকে খাইয়ে দাইয়ে একেবারে উপরে পাঠায়।এর আগে না।তিনিও মেনে নেন কথা।তিনি বলেন,
-” শুদ্ধতা আছে ও উপরে আছে খেয়ে দেয়ে বিশ্রাম নিচ্ছে।এসব রান্না মেয়েটা একা হাতে করেছে।তাই ক্লান্ত হয়ে পরেছিলো।আমি ওকে খাইয়ে দিয়ে বিশ্রাম নিতে পাঠিয়ে দিয়েছি। তুইও খেয়ে নেহ।”
নীবদ্ধ’র খটকা লাগলো।তাও চুপচাপ খাওয়া দাওয়া করে রুমের দিকে অগ্রসর হলো।রুমে প্রবেশ করে পুরো রুম অন্ধকার।নীবদ্ধ লাইট জ্বালাতেই সামনে তাকাতেই অবাক হলো।রুমটা খুব সুন্দরভাবে সাঁজানো।আর ওর সামনে দাঁড়িয়ে আছে এক অপরূপা সুন্দরী নারি।শুদ্ধতা হাসিমুখে দাঁড়িয়ে।নীবদ্ধ মুগ্ধ নয়নে শুদ্ধতাকে দেখছে।লজ্জা পেলো শুদ্ধতা।দৃষ্টি হলো নত।নীবদ্ধ আলতো হেসে এগিয়ে যায় শুদ্ধতার দিকে।কাছে এসে হাত গলিয়ে দেয় শুদ্ধতার উন্মুক্ত কোমড়ে তারপর আরেকহাত স্পর্শ করে ওর পেটে।কেঁপে উঠে নীবদ্ধকে খামছে ধরে শুদ্ধতা।কাঁপা গলায় বলে,
-” কি করছেন?”
নেশাময়ী কন্ঠ নীবদ্ধ’র,
-” কি করছি জানো না?”
শুদ্ধতা চুপ।নীবদ্ধ আবারও বলে,
-” সুন্দর লাগছে আমার রানি।”
-” ধন্যবাদ।”
-” শুধু ধন্যবাদে কাজ হবে না ম্যাডাম।আপনার স্বামি আজ এমপি পদে বিজয়ী হয়েছে।তাকে মিষ্টিমুখ করাবেন নাহ? জানেন তো কোন মিষ্টির কথা বলছি।”
শুদ্ধতা গলা জড়িয়ে ধরলো নীবদ্ধ’র। নীবদ্ধও আগলে নিলো শুদ্ধতাকে।শুদ্ধতা বলল,
-” কোলে নিন।”
নীবদ্ধ হাসলো একঝটকায় শুদ্ধতাকে কোলে তুলে নিলো।
-” বারান্দায় চলুন।”
নীবদ্ধ বারান্দার দিকে হাটা ধরলো।এরমাঝে শুদ্ধতা ওর কানের কাছে ফিসফিস করে বললো,
-” আপনার জন্যে আজ আমার দেওয়া বেস্ট গিফট হবে।”
নীবদ্ধ চওড়া হাসলো।বারান্দায় গিয়ে আরো অবাক নীবদ্ধ।শুদ্ধতা বারান্দার ফ্লোরে বিছানা করেছে।পুরো বারান্দাটা সুন্দর করে সাঁজানো।নীবদ্ধ আলতো হেসে শুদ্ধতাকে সেই বিছানায় বসিয়ে দিলো।শুদ্ধতা মুচকি হেসে বলে,
-” কফি খাবেন?”
-” কফি? কোথায় ভাবলাম বউ আমার রোমান্টিক মুডে আছে।তার ঠোঁটের পরশ দিয়ে আমায় মিষ্টিমুখ করাবে।তা না সে আমায় কফি সাধছে।”
খিলখিল করে হাসলো শুদ্ধতা।নীবদ্ধ মুদ্ধ হয়ে সে হাসি দেখলো।শুদ্ধতা নিজের পিঠ ঠেকিয়ে দিলো নীবদ্ধ’র বলিষ্ট বুকে নীবদ্ধ শুদ্ধতার পেট জড়িয়ে ধরলো দু হাতে।শুদ্ধতা এইবার একটা কফি মগ এগিয়ে দিলো শুদ্ধতাকে।নীবদ্ধ মগটা হাতে নিয়ে মগের ভীতর তাকাতেই অবাক হয়।মগের ভীতরে একটা কাগজ।বিনাবাক্যে কাগজটা হাতে নেয় নীবদ্ধ।কাগজটা খুলতেই দেখে সেখানে লিখা, ” ১+১=৩”
অবাক হয় লেখাতে পরে নীবদ্ধ।একটু সময় নেয় লিখাটা বুঝার জন্যে।কিন্তু পরে বুঝতে পারতেই ঠোঁট প্রসস্থ করে হাসে নীবদ্ধ।শুদ্ধতাকে একঝটকায় নিজের দিকে ফিরিয়ে ওর ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়। দীর্ঘক্ষণ ভালোবাসা আদান প্রদান করে সরে আসে নীবদ্ধ।কাঁপা গলায় নীবদ্ধর প্রশ্নে,
-” এটা সত্যি শুদ্ধতা?”
মুচঁকি হাসলো শুদ্ধতা।নীবদ্ধ’র বুকে মাথা রাখে ও।তারপর নীবদ্ধ’র একহাত ওর পেটে রেখে বলে,
-” হ্যা সত্যি নীবদ্ধ। আপনি বাবা হতে চলেছেন।
শুদ্ধতার কথাটা শুনে প্রশান্তির হাসি দেয় নীবদ্ধ।শুদ্ধতাকে সুইয়ে দিয়ে।ওর শাড়ির আঁচল সরিয়ে দেয়।লজ্জা পেয়েও চুপ থাকে শুদ্ধতা।নীবদ্ধ ইচ্ছামতো শুদ্ধতার উদরে ভালোবাসার স্পর্শে ভড়িয়ে দেয়।ভীষনভাবে কাঁপতে থাকে শুদ্ধতা।তবে নীবদ্ধ’র পাগলামিগুলো দেখতে থাকে মুগ্ধ হয়ে।সরে আসে নীবদ্ধ।শুদ্ধতার পাশে সুয়ে ওকে বুকে জড়িয়ে নেয়।শুদ্ধতাও আবেশে চোখ বন্ধ করে নেয়।নীবদ্ধ ভেজা কন্ঠে বলে,
-” ধন্যবাদ বউ আমাকে জীবনের সবচেয়ে বড় খুশিটা দেওয়ার জন্যে।ভালোবাসি বউ অনেক ভালোবাসি।”
-” আমিও ভালোবাসি নীবদ্ধ।ধন্যবাদ আপনাকে আমার জীবনে ভালোবাসা নিয়ে আসার জন্যে।”
থামে শুদ্ধতা আবার বলে উঠলো,
-” আমায় এইভাবেই ভালোবাসবেন তো নীবদ্ধ?সারাজীবন ভালোবাসায় আগলে রাখবেন তো আমায়।”
শুদ্ধতার কপালে চুমু দেয় নীবদ্ধ।ওর গাল স্পর্শ করে বলে,
-” তোমায় আমি ভালোবাবেসেছিলাম,ভালোবাসি আর আজীবন ভালোবাসবো।যতোদিন বেঁচে থাকবো এই বুকের মাঝে আজীবন #রাখিব_তোমায়_যতনে।”
নীবদ্ধ শুদ্ধতার ঠোঁটে অধর স্পর্শ করে।তলিয়ে যায় ভালোবাসার সুগভীর যমুনায়। আজীবন বেচে থাকুক এই ভালোবাসা।একে অপরকে ভালোবেসে তারা যেন দুজন দুজনে যতনে রাখতে পারে।এই দোয়া করবেন।
______________
——–সমাপ্ত———–
______________
ভুলগুলো ক্ষমা করবেন।