#রেড_রোজ
পার্ট [১৮](স্পেশাল)
#লেখিকা_ফারহানা_নিঝুম
(কপি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ)
(কঠোর ভাবে প্রাপ্ত বয়স্ক এবং মুক্তমনাদের জন্য উ’ন্মুক্ত।)
বিছানায় সোজা হয়ে শুয়ে আছে উৎসা, সে যেনো ট্রোমা কা’টিয়ে উঠতে পারেনি এখনো। বে’ঘো’রে ঘুমাচ্ছে সে,ঢু’লতে ঢু’লতে ওর রুমের কাছে এসে দাঁড়ালো ঐশ্বর্য। দরজা ধাক্কা দিতেই খুলে গেলো, ঐশ্বর্য পিটপিট চোখ করে বিছানার দিকে তাকালো।উৎসা শুয়ে আছে,ওর উপর একটা সাদা ব্যা’ঙ্কেট দেওয়া। আচমকা ঐশ্বর্যের ভীষণ জে’লাসি ফিল হয়, ব্যাঙ্কেট কী নির্ল’জ্জ ভাবে তার ওয়াইফ কেই জড়িয়ে আছে। যেখানে ঐশ্বর্য এখনো ছুঁয়ে দেখলো না।
ঐশ্বর্য ঢু’লতে ঢু’লতে এগিয়ে গেলো, ব্যাঙ্কেট সরিয়ে ফ্লোরে ফেলে দেয়।চোখে ভাসমান হয় উৎসার তুলতুলে শরীর টা, ঐশ্বর্য মাথা থেকে পা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করে।
তার রেড রোজ আজ ব্ল্যাক রোজ হয়েছে,পরণে তার কালো রঙের ফ্রক। ওড়না অবহেলায় বিছানায় পড়ে আছে। ঐশ্বর্য টেবিলের উপর ফ্লাওয়ারবাস থেকে লাল টকটকে গোলাপ ফুল গুলো হাতে নিলো।
“রেড রোজ কে তো লালেই মানায় তাই না সুইটহার্ট!”
ঐশ্বর্য বিড়বিড় করে আওড়াল, অতঃপর উঠে একটা একটা ফুলের পাপড়ি ছিঁ’ড়ে বিছানায় উৎসার উপর ছড়িয়ে দিতে লাগলো। একেক টা ফুল ছিঁড়ে উৎসার উপর দিতে দিতে বলে।
“রেড রোজ ইউ আর মাইন,অনলি মাইন।”
প্রায় আধ ঘন্টা পর ঘুম কিছুটা হালকা হয়ে আসে উৎসার, এদিকে ঐশ্বর্য উৎসার সামনে ফ্লোরে বসে আছে। বিছানার সঙ্গে কনুই ঠেকিয়ে গাল চেপে আছে।উৎসা নড়াচড়া করতেই ওর বাহু থেকে ফ্রকের কিছুটা অংশ নিচে নেমে গেল।যার দরুন ইনারের কিছুটা অংশ দেখা যাচ্ছে, ঐশ্বর্য এলোমেলো দৃষ্টি ফেলে উৎসার দিকে। ঠোঁট কামড়ে ধরে ঐশ্বর্য, ইশ্ সামথিং সামথিং।ঐশ্বর্য খুব সুন্দর ভাবে তা তুলে দিলো,কপালে ছড়িয়ে থাকা চুল গুলো কানের পিঠে গুঁজে দেয়।। ঐশ্বর্যের অদ্ভুত ভাবে উৎসা কে পর্যবেক্ষণ করে।সে এলোমেলো দৃষ্টি ফেলে উৎসার পানে। ঐশ্বর্য নিজের বলিষ্ঠ হাতের মুঠোয় উৎসার তুলতুলে হাত স্পর্শ করে তৎক্ষণাৎ হাতের স্পর্শে পুরোপুরি ঘুম ছুটে যায় উৎসার। ঐশ্বর্য কে নিজের মুখের সামনে ঝুঁ’কে থাকতে দেখে আঁ’তকে উঠে।
“কী করছেন?”
উৎসা উঠে বসতেই ঐশ্বর্য দাঁড়িয়ে গেলো।উৎসা নিজের জামা কাপড় দেখছে, সব ঠিক আছে কী না? নিজের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়,ফুলের মধ্যে যেনো বসে আছে।তার শরীর জুড়ে শুধুই গোলাপ ফুলের পাপড়ি। ঐশ্বর্যের দিকে তাকাতেই ভুবন ভোলানো হাসি হাসে ঐশ্বর্য।
উৎসা শুকনো ঢুক গিললো।
“কী করছিলেন আপনি?”
ঐশ্বর্য বাঁ’কা চোখে তাকায়।
“কই কিছু না তো!”
উৎসার নাকের পাটা ফুলে উঠে, স্পষ্ট দেখেছে ঐশ্বর্য তার দিকে ঝুঁ’কে ছিলো।
“একদম মিথ্যে বলবেন না, আমি স্পষ্ট দেখেছিলাম। এখন কী আপনি আমার সুযোগ নিচ্ছেন?”
ঐশ্বর্য পিটপিট চোখ করে বলে।
“গড প্রমিজ আমি কিছু করিনি, সত্যি বলছি। একটুও বাজে ভাবে ছুঁই নি। তোমার ইনা…
“চুপ করুন অস’ভ্যতামো করবেন না।”
উৎসার অদ্ভুত লাগলো, ঐশ্বর্যের চোখের চাহনি নিষ্পাপ।তার উপর তার কন্ঠ নালি স্পর্শ করে প্রমিজ করাটাও অদ্ভুত ঠেকলো।
“তাহলে এখানে কী করছেন?যান নিজের রুমে।”
ঐশ্বর্য পিঙ্কি ফিঙ্গার মুখে ঢুকিয়ে কা’ম’ড়ে ধরে,উৎসা কে অদ্ভুত ভাবে দেখে বলে।
“সুইটহার্ট সত্যি চলে যাবো, কিন্তু….
উৎসার ঐশ্বর্যের ভাবসাব ভালো লাগলো না,সে কিছুটা নড়েচড়ে বসল।
“কিন্তু কী হ্যা?এত কিছু করেও শান্তি হয়না? এখন আবার কী চান?”
“আজকে তো ফার্স্ট নাইট তাই না!”
ঐশ্বর্যের এমনতর কথায় উৎসা একটু ভয় পায়, ফার্স্ট নাইট তো কী হয়েছে?
“ততো? আমার কী? আপনি যান তো!”
ঐশ্বর্য দু হাত মেলে টানিয়ে নেয়, হাড়ভাঙা শব্দ হয়। ঐশ্বর্য দুষ্টুমির স্বরে বলে।
” তোমাকে দেখতে কিউট লাগছে। আস্ত একটা রেড রোজ।”
উৎসা নিজের গায়ের ওড়না চেপে।
“দেখুন এবার কিন্তু খুব খারাপ হয়ে যাবে বলে দিলাম।”
ঐশ্বর্য শব্দ করে হেসে উঠলো, চোখ দুটো খুলে রাখতেই পারছে না সে। প্রচন্ড মাথা ব্যথা আর চোখ ভর্তি ঘুম। ঐশ্বর্য তবুও পিটপিট চোখ করে তাকালো।
“সুইটহার্ট গড প্রমিজ করেছি তো! একটুও খারাপ ভাবে ছুঁবো না।”
উৎসা বিছানা থেকে নেমে দাঁড়ালো। তর্জনী আঙ্গুল তুলে শা’সানোর সহিতে বলে উঠে।
“খারাপ হোক ভালো হোক কোনো ভাবেই ছুঁবেন না।”
ঐশ্বর্য ঠোঁট উল্টে বলে।
“জাস্ট ওয়ান কিস? প্লিজ!”
উৎসা ছিটকে দূরে চলে গেল।
“অসম্ভব, বিয়েটা হয়েছে মানে আপনাকে স্বামী মানি এটা কখনো না। আমি নিকি আপু রুদ্র ভাইয়া ওদের সবাই কে বলে দেবো।”
ঐশ্বর্য ভাবলেশহীন ভাবে বলে।
“আই ডোন্ট কেয়ার।আই প্রমিজ জাস্ট ওয়ান কিস।”
উৎসা ভয়ে রুম থেকে বের হতে গেলো, ঐশ্বর্য তৎক্ষণাৎ উৎসার হাত টেনে নিজের বুকের উপর এনে ফেললো।
“প্লিজ সুইটহার্ট!একটা কিস-ই তো।”
উৎসা ঐশ্বর্যের থেকে ছুটতে চায়, কিন্তু ঐশ্বর্য ছাড়লো না।উৎসা কে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে।
“ওকে ফাইন করব না কিস,জাস্ট পাঁচ মিনিট জড়িয়ে থাকো।জাস্ট স্টিক অ্যারাউন্ড ফর ফাইভ মিনিট।”
উৎসার ছটফটানি থেমে গেলো,সে নিশ্চুপ ভাবে দাড়িয়ে আছে। ঐশ্বর্য খুব শক্ত ভাবে উৎসা কে জড়িয়ে আছে।
দুজনের নিঃশ্বাস ভারী হয়ে আসছে,উৎসার নিঃশ্বাস ঐশ্বর্যের বুকে ভারী খাচ্ছে। ঐশ্বর্য মূহুর্তে শান্ত হয়ে গেলো, উৎসাও গলে জল। প্রথম বারের মতো ঐশ্বর্য তার কথা শুনছে। সত্যি সে আলতোভাবে জড়িয়ে রেখেছে।উৎসা ঐশ্বর্যের কাজে বেশ বিরক্ত,এই লোক এমন কেনো?
“আমাকে ছাড়ুন।”
ঐশ্বর্য উৎসার ঘাড়ে মুখ গুঁজে অদ্ভুত স্বরে বলল।
“উঁহু এখনও তিন মিনিট বাকি।”
উৎসা শুকনো ঠোঁট দুটো বারংবার ভিজিয়ে নিচ্ছে। ঐশ্বর্য উৎসা তে ম’ত্ত।
উৎসার মস্তিষ্কে একটা কথাই বারংবার হা’না দিচ্ছে, ঐশ্বর্য রিক চৌধুরী কী তাকে ভালোবাসে?উৎসা অকপটে শুধায়।
“আ,, আমাকে ভালোবাসেন?”
ঐশ্বর্য থামলো, মুখ উঠিয়ে উৎসার মুখশ্রী পরখ করে নেয়। কপালে কপাল ঠেকিয়ে নিঃশ্বাস টেনে বলে।
“ভালোবাসায় বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।”
উৎসার ঠোঁট দুটো তীর তীর করে কাঁপছে। তাহলে কিসের জন্য বিয়ে করেছে তাকে?
“আমার বোন কোথায়?”
ঐশ্বর্য উৎসার কপালে গাঢ় চুম্বন এঁকে দেয়, মৃদু কেঁপে উঠলো উৎসা।
“গুড নাইট সুইটহার্ট।”
ঐশ্বর্য ঢুলতে ঢুলতে বাইরে বের হয়,উৎসা উঁকি দিয়ে দেখে ঐশ্বর্য কোথায় যাচ্ছে? ড্রয়িং রুমে গিয়ে কাউচের উপর লম্বালম্বি হয়ে শুয়ে পড়ল ঐশ্বর্য।উৎসা কিছুই বুঝলো না, ঐশ্বর্য কি সত্যি তাকে ভালোবাসে?যদি ভালোবেসে বিয়ে করতে চাইতো তাহলে কী উৎসা কখনও মানা করতো? কিন্তু ঐশ্বর্য তো জোর করেছে।
উৎসা গুটি গুটি পায়ে ড্রয়িং রুমে এগিয়ে গেল,খিদে পেয়েছে তার।সেই সকালে খেয়েছিল, এরপর যা হলো তাতে খাওয়া তো দূরেই থাক।
কিচেনে গিয়ে ফ্রিজ খুলে কাস্টার্ড বের করে উৎসা, অল্প অল্প করে খেতে লাগল। তৎক্ষণাৎ কোমড়ে কারো স্পর্শ পেতেই কেঁপে উঠলো।ঘাড় ঘুরিয়ে ঐশ্বর্য কে দেখে থতমত খেয়ে গেল উৎসা,এই তো দেখলো ঘুমিয়ে গেছে!
“আপনি!”
উৎসা সামনে ঘুরতেই ঐশ্বর্য কোমড় ধরে কেবিনেটের উপর বসিয়ে দিলো।
“কী করছেন?”
ঐশ্বর্য উৎসার দু পা ফাঁক করে কোমড় টেনে নিজের কাছাকাছি নিয়ে এলো। লজ্জায় আড়ষ্ট হয়ে গেছে উৎসা, ঐশ্বর্য উৎসার নাকে নাক ঘষে লম্বা শ্বাস টেনে বলে।
“রেড রোজ ইউ আর লুকিং সো প্রীটি, তোমার বডি স্মেল টানে।”
উৎসা শুকনো ঢোক গিললো, ঐশ্বর্য কে বিশ্বাস নেই।
ঐশ্বর্য তর্জনী আঙ্গুল ছুঁয়ে দেয় উৎসার গালে, কিছুটা স্লাইড করতেই কেঁপে উঠে উৎসার নারী সত্তা।
“দেখুন অস’ভ্য রিক চৌধুরী আমি কিন্তু….
উৎসা পুরো কথাটা শেষ করার পূর্বেই ঐশ্বর্য উৎসার ঠোঁটের নিচে লেগে থাকা কাস্টার্ডে ঠোঁট ছোঁয়ায়। কিছুটা নড়েচড়ে বসল উৎসা, ঐশ্বর্যের ঠোঁটের সঙ্গে উৎসার ঠোঁট আরেকটু উপরে হলে মিলিত হবে।
ঐশ্বর্যের অবাধ্য হাত দুটো কোমড় জড়িয়ে আছে তার,উৎসা ছাড়াতে নিলে ঐশ্বর্য নাহুচ করলো।
“আমাদের ফার্স্ট নাইট অ্যাম আই রাইট সুইটহার্ট?”
উৎসা ওষ্ঠাদয় তীর তীর করে কাঁপছে, ঐশ্বর্যের বুকে আলতো করে ধাক্কা দিতেই ঐশ্বর্য উৎসা কে কোলে তুলে নেয়।এহেন কান্ডে উৎসা টাল সামলাতে না পেরে ঐশ্বর্যের গলা আঁ’ক’ড়ে ধরে।
“বেডের বদলে সোফা চলবে?”
উৎসা ফোঁস করে উঠলো, ঐশ্বর্য ঠোঁট কা’ম’ড়ে হাসে। উৎসা নিয়ে গিয়ে সোফায় বসে,উৎসা আরেক দফা চমকে উঠে।
“ছাড়ুন আমায়, এবার কিন্তু!”
ঐশ্বর্য আচমকা উৎসার গালে কা’ম’ড়ে দিলো, মৃদু স্বরে কঁ’কি’য়ে উঠলো উৎসা।
“বুকে থাকো, ঘুমিয়ে থাকা সিংহ কে জাগানো উচিত নয় সুইটহার্ট।”
উৎসা ঘাবড়ে গেল, এখন কী সারা রাত ঐশ্বর্যের কোলে বসে থাকতে হবে?
উৎসা উঠতে গিয়েও পারলো না, ঐশ্বর্য শক্ত করে ধরে রাখে। উৎসার বেশ অস্বস্তি লাগছে এভাবে বসে থাকতে, ঐশ্বর্য এর মাঝে বুকে ঠাস করে একটা চুমু খেয়ে নেয়।
উৎসা চোখ বড় বড় তাকালো, ঐশ্বর্য হাসলো।
উৎসা ঠাস করে ঐশ্বর্যের বুকে কি’ল বসিয়ে দিল।
“ফাজিল কোথাকার!”
ঐশ্বর্য তর্জনী আঙ্গুল কা’ম’ড়ে ধরে হাসে।
_________________
“চল রিক কে ডিস্টার্ব করি।”
কেয়ার কথায় ভ্রু কুঁচকে নেয় জিসান।
“ডিস্টার্ব করবি মানে?”
কেয়া বেশ বিরক্ত নিয়ে বললো।
“ওয় কাম অন ইয়ার কাল আমাদের রিকের বিয়ে হয়েছে!
রিক ম্যারিড ব্রো,আর অবশ্যই ফার্স্ট নাইট হয়েছে ইশ্,লেটস্ গো। সকাল সকাল গিয়ে ডিস্টার্ব করি।”
জিসান কিয়ৎক্ষণ ভাবলো। সত্যি ওদের যাওয়া উচিত গড জানে উৎসার কী অবস্থা?
“ওকে লেটস্ গো।”
জিসান নিজের গাড়িতে উঠে বসে,কেয়াও উঠলো। জিসান ড্রাইভ করে চৌধুরী প্যালেসে আসলো।
কলিং বেল বাজাতেই মিস মুনা ডোর অপেন করলেন।
“গুড মর্নিং স্যার,গুড মর্নিং ম্যাম।”
“গুড মর্নিং মিস মুনা,রিক কোথায়?”
“আই থিংক স্যার ভেতরে আছেন, আমি জাস্ট এসেছি।”
“ওহ্,ওকে থ্যাংকস।”
জিসান আর কেয়া ভেতরে প্রবেশ করে।মেইন ডোর পাড় হতেই ড্রয়িং রুম, সেখানে যাওয়ার মাত্র জিসানের চোখ গেলো কাউচের উপর। ঐশ্বর্য এলোমেলো হয়ে শুয়ে আছে। কেয়া নাক মুখ কুঁচকে নেয়।
” হোয়াট দ্যা হেল? রিক এখানে পাগলের মতো ঘুমাচ্ছে কেন?”
জিসান ঐশ্বর্যের বাহুতে টান দিতেই ঘুম ছুটে গেল তার, সকাল সকাল কেয়া আর জিসান কে দেখে লম্বা হামি দিয়ে বললো।
“কী রে চলে এলি সকাল সকাল ডিস্টার্ব করতে!”
কেয়া গালে হাত দিয়ে মলিন মুখে বলে।
“ব্রো হোয়াট ইজ দিস?তুই তো প্ল্যানে পানি ফেলে দিলি। আমরা ভাবলাম তুই এখনও ঘুমাবি আমরা দুষ্টুমি….
“ঘুমমম,যা সর তোরা।”
জিসান আশেপাশে দেখছে,মিস বাংলাদেশী কে খুঁজছে। মেয়েটা বড্ডো মায়াবী।
“মিস বাংলাদেশী কোথায়?”
“এই যে আমি, আপনাদের জন্য কফিই।”
উৎসা কফির ট্রে হাতে এগিয়ে আসছে।উৎসা কে এত ফুরফুরে মেজাজে দেখে ঐশ্বর্য বেশ অবাক হয়। উৎসা কে ঠিকঠাক দেখে জিসান শান্তি পায়, মেয়েটা তাকে যখন ভাইয়া বলে ডাকে তখন এক অদ্ভুত শান্তি পায় জিসান।
“এসো মিস বাংলাদেশী তোমার অপেক্ষায় ছিলাম।”
উৎসা কফি এনে একে একে সবার হাতে দেয়।
“এটা আপনার কফি, উইথ আউট সুগার।”
ঐশ্বর্য হাত বাড়িয়ে কফি কাপ নিলো।কেয়া উৎসা কে পরখ করে বলে।
“ওয়াও কিউট গার্ল তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে।”
উৎসা মৃদু হাসলো, ঐশ্বর্য উৎসা কে দেখলো। বাংলাদেশের নারীদের মতো সালোয়ার কামিজ পড়েছে। সত্যি মেয়ে টা কে দারুন লাগে, ঐশ্বর্য কফির কাপে চুমুক দেয়। তৎক্ষণাৎ তার ফোন বেজে উঠলো, মিস্টার রাজেশ
চৌধুরীর কল।
ঐশ্বর্য রিসিভ করলো।
“হ্যালো আঙ্কেল বলো।”
“ঐশ্বর্য ইউ নিড টু কাম টু দ্যা অফিস স্যুন।”
“ওকে, আই উইল কাম রাইট নাউ।”
ঐশ্বর্য ফোন রেখে জিসানের উদ্দেশ্যে বলে।
“জিসান অফিস যেতে হবে ইমিডিয়েটলি।”
জিসান উঠে দাঁড়ালো।
“ওকে লেটস্ গো।”
ঐশ্বর্য যাওয়ার পূর্বে কেয়া কে উদ্দেশ্য করে বলল।
“কেয়া তুই বরং রেড রোজের সঙ্গে থাক।”
কেয়া মাথা দুলিয়ে সম্মতি জানালো। উৎসা তাকিয়ে আছে নির্নিমেষ।রাগলো, এখন কী তাকে ঘরবন্দি করে রেখে যাবে নাকি?
উৎসা ফুস করে শ্বাস টেনে নেয় তৎক্ষণাৎ ঐশ্বর্য উৎসার কাছাকাছি এসে আচমকা কপালে ওষ্ঠাদয় ছুঁয়ে দেয়। মৃদু কেঁপে উঠলো উৎসা,আবেশে চোখ বুজে নেয়।
কেয়া জিসান কে ফিসফিসিয়ে বললো।
“হাউ সুইট!”
ঐশ্বর্য যেতে যেতে বলে।
“টেক কেয়ার সুইটহার্ট, মিস ইউ।”
চলবে…………..।✨