#লেবু
৯
লেখা : অতন্দ্রিলা আইচ
আবারও আজ রিপোর্ট করতে এসেছে সাবা। হাত গুটিয়ে ঘরে বসে থাকার মতো মেয়ে সে কোনোকালেই ছিল না। অকস্মাৎ ওই হামলার ঘটনায় কিছুটা ঘাবড়ে সে গিয়েছিল ঠিকই, তবে কয়েকদিনের মাঝেই সামলে নিয়েছে নিজেকে। সাংবাদিকতায় যে ঝুঁকি আছে এটা সে খুব ভালোভাবেই জানতো। তার ওপরে আবার ক্রাইম বিটের সাংবাদিক। বিপদের আশঙ্কা তার জন্যে একটু বেশিই।
ছোটবেলা থেকেই সাবা নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে শিখেছে। বাবা-মা যে কোনো সিদ্ধান্তে তার পাশে থেকেছে সব সময়। সাংবাদিকতা নিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত যখন সাবা নিলো, আত্মীয়-স্বজনরা কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছিল, “মেয়েমানুষের সাংবাদিকতা করে কী হবে?”
মূলত তখন থেকেই সাবার জেদ, অনেক বড় সাংবাদিক হবে। দেশের মানুষের কাছে সত্য পৌঁছে দেবে। এখনকার সময়ে সত্য কথা বলা কিংবা সত্যের সমর্থন করার মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ আর একটাও নেই। তবুও সেই ঝুঁকিটা মাথায় নিয়েই কাজ করে যাচ্ছে সাবা।
বিয়ের পর এই প্রথম শাফকাতের একটা কথা শুনলো সাবা। প্রতিদিন বডিগার্ড নিয়ে বের হয় বাড়ি থেকে। নিজে ড্রাইভ না করে পেছনের সিটে বসে থাকে। ড্রাইভার গাড়ি চালায়, আর তার পাশের সিটে সাবার বডিগার্ড জামশেদ বিরস মুখে বসে থাকে।
জামশেদকে বলা হয়েছিল, অফিস থেকে বাড়ি আর বাড়ি থেকে অফিসের পথটুকু সাবার সাথে থাকলেই হবে। তবে সাবার নির্দেশ মানার প্রয়োজনীয়তা তার মাঝে নেই। শাফকাতের নির্দেশ মোতাবেক সাবার সঙ্গে অফিসের ভেতরেও আসছে সে। সাবার কেবিনের সামনে পাথরের ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকছে। কেউ সাবার কেবিনে প্রবেশ করতে চাইলেই তাকে মুখোমুখি হতে হচ্ছে জামশেদের তীক্ষ্ণ জেরার।
সাবার বডিগার্ড নিয়ে অফিসে আসা নিয়ে ইতোমধ্যে অন্যান্য সাংবাদিকদের মতো শুরু হয়ে গেছে তিক্ততা। সেদিন ক্যান্টিনে কফি নিতে গিয়েছিল সাবা। তার দুজন কলিগ সেখানে বসেই চা-সিঙারা খেতে খেতে তাকে নিয়ে পরনিন্দায় মত্ত। সাবার উপস্থিতি হয়তো তারা টের পায়নি।
একজন তীক্ষ্ণ গলায় বললেন, “বডিগার্ড নিয়ে অফিসে আসতে হবে কেন? সে কি এমন সেলিব্রিটি? আমাদের জীবনের কী দাম নেই? আমরাও তো লাইফ রিস্ক নিয়ে কাজ করি। তাই বলে কি আমরাও বডিগার্ড নিয়ে অফিসে হাজির হচ্ছি?”
অপরজন হাসতে হাসতে বললেন, “আর বলবেন না ভাই। সবই এদের শোঅফ। জামাইয়ের টাকা আছে। সেই টাকায় বডিগার্ড রেখেছে, আমাদের দেখাতে হবে না?”
মনে মনে দীর্ঘশ্বাস ফেলে কফি নিয়ে চুপচাপ বেরিয়ে গেল সাবা। সে যেমন স্বভাবের মেয়ে, মনে স্বাভাবিকতা থাকলে এখনই কতগুলো কড়া কড়া কথা শুনিয়ে দিতো লোকদুটোকে। মনে স্বাভাবিকতা নেই বলেই হয়তো এড়িয়ে গেল তাদের।
শো অফের জন্যে সাবা বডিগার্ড নিয়ে আসে না অফিসে। শো অফ করতে চাইলে বিয়ের পরদিন থেকেই এই কাজ করতে পারতো। এত বড় একটা হামলা হলো তার গাড়ির ওপরে। গাড়িতে তো সেও থাকতে পারতো। অন্যদের তুলনায় তাই জীবনের ঝুঁকি হয়তো একটু বেশিই। তাছাড়া সামর্থ্যে যখন আছেই, তখন শুধু শুধু ঝুঁকির মধ্যে বাস করবে কেন সাবা?
জনাকীর্ণ একটা বস্তির পাশে রিপোর্ট করতে এসেছে সাবা। সঙ্গে তার বিশাল টিম। লাইটের লোক, ক্যামেরার লোক আরও কত কে! বস্তির পাশেই ঝোঁপের মতো একটা জায়গা। সকলে এখানেই লুকিয়ে আছে। সাবা খবর পেয়েছে রাতের অন্ধকারে গোপনে এই বস্তি থেকে মাদক সরবরাহ করা হয়। মাদকদ্রব্য তৈরির কারখানা বলা যায় এই বস্তিটাকে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের নেশায় ডুবে থাকা ছেলেপেলেরা এখানেই পড়ে থাকে দিনরাত। আর যারা আসতে পারে না তাদের জন্যে মাদক সরবরাহকারীরা এসে নিয়ে যায়।
তেমনই একজনের আসার কথা একটু পর। সাবা ওত পেতে আছে কখন সে আসবে, আর তারা সেটা ধারণ করবে ক্যামেরায়।
কিছুক্ষণ বাদেই একটা রিকশা এসে থামলো বস্তির সামনে। হ্যাংলা-পাতলা একটা ছেলে ভাড়া মিটিয়ে দ্রুত পায়ে নেমে পড়লো। টিম থেকে আলাদা হয়ে ক্যামেরা হাতে সাবা একাই তার পিছু নিলো। এতগুলো মানুষ একসঙ্গে গেলে ছেলেটা বা তার দল সতর্ক হয়ে যেতে পারে। নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে ছেলেটার হেঁটে যাওয়া রেকর্ড করছে সাবা। কয়েকবার ডানে-বামে মোড় নিয়ে বস্তির শেষপ্রান্তে একটা গলির ভেতরে ঢুকে পড়লো ছেলেটা। গলির মুখেই দাঁড়িয়ে রইলো সাবা।
চারিপাশে চাপা অন্ধকার। ভাগ্যিস ক্যামেরায় ইনফ্রারেড এলইডি লাইট আছে। অন্ধকারে কোনো ধারণ করা হলেও ভিডিওতে পুরো দৃশ্যটাই থাকবে চকচকে। ছেলেটা একটা ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে কয়েকবার কড়া নাড়লো। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই দরজা খুলে গেল। ছেলেটা আর ঘরের ভেতরে ঢুকলো না। ভেতর থেকে কেউ একজন তার হাতে দিয়ে দিলো মাদকদ্রব্যে বোঝাই একটা কাগজের ব্যাগ।
সেই ব্যাগ নিয়ে ছেলেটা আবারও আগের ভঙ্গিতেই হাঁটা ধরলো। সাবা তৎক্ষণাৎ আরেকটা গলিতে লুকিয়ে পড়লো। ছেলেটা তাকে পাড় করে এগিয়ে যেতেই আবারও নিলো তার পিছু।
ছেলেটা বস্তি থেকে বেরিয়ে পড়বে ঠিক তখনই তার সামনে পড়লো মধ্যবয়স্ক একজন লোক।
লোকটা উদাস গলায় বলল, “ভাই জিনিস আছে?”
মাদক সরবরাহকারী ছেলেটা থতমত খেয়ে বলল, “আরে না না! যান তো।”
“এমন করেন কেন ভাই? দিয়ে যান এক পুরিয়া।”
“আমার কাছে ওইসব নাই।”
“আরে ভাই বাড়ায় দিবো নে!”
বহুক্ষণ ইনিয়ে বিনিয়ে অবশেষে ছেলেটা এক পুরিয়া বিক্রি করেই দিলো লোকটার কাছে। অপরিচিত কারও কাছে এরা সহজে মাদকদ্রব্য বিক্রি করতে চায় না। দেখা গেল এরা ছদ্মবেশধারী পুলিশের লোক, কিংবা সাংবাদিক।
ছেলেটা টাকা নিয়ে দ্রুত পায়ে বেরিয়ে যেতেই ক্যামেরায় রেকর্ড বন্ধ করলো সাবা। এগিয়ে গেলো মাদক ক্রেতার কাছে। এই ক্রেতা আসলে ‘বাংলার বাতাস’-এর একজন সম্পাদক রাশেদ সাহেব।
সাবা পুরিয়াটা হাতে নিয়ে প্রশংসার সুরে বলল, “ওয়েল ডান রাশেদ ভাই! আমি জানতাম আপনিই পারবেন।”
রাশেদ সাহেব প্রশংসায় বিগলিত হয়ে বললেন, “কী যে বলো সাবা! আমার তো আত্মা উড়ে যাচ্ছিলো। মনে হচ্ছিল এক্ষনি ধরা পড়ে যাবো।”
টিমের অন্যান্যরা ঝোঁপের আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে বাহবা দিতে ব্যস্ত রাশেদ সাহেবকে। এতক্ষণ পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল সাবা। যে দুঃসাহসিক কাজটা আজ সে করলো, তাতে কি ঝুঁকি ছিল না? অবশ্যই ছিল। মাদক সরবরাহকারী ছেলেটা যেকোনো সময়ে দেখে ফেলতে পারতো তাকে। এদের কাছে তো অস্ত্র-সস্ত্রও থাকে। ক্যামেরাসহ সাংবাদিক দেখে চাইলেই করতে পারতো সাবার ওপরে আক্রমণ।
আক্রমণের আশঙ্কায় তাই বলে কি হাত গুটিয়ে বসে থাকবে সাবা? সে হাত গুটিয়ে বসে থাকলে আর দশটা মানুষের উপকার হবে কী করে? কাল এই রিপোর্ট প্রচারিত হবে। পুলিশ এই মাদকের আখড়ায় অভিযান চালাবে। অসৎ এই মানুষগুলোকে গ্রেফতার করবে। কিছু মানুষ অন্তত মুক্তি পাবে মানুষের অভিশাপ থেকে।
আনমনে সাবার চোখদুটো গিয়ে পড়লো গিয়ে পড়লো আকাশের দিকে। মাথার ওপরে চকচকে একটা তারা। এই তারাটা নিশ্চয়ই সে। যার সাবাকে নিয়ে অনেক গর্ব ছিল। এখনো আছে নিশ্চয়ই। ওই মানুষটাকে গর্বিত করার জন্যেই তো এখনো বেঁচে আছে সাবা।
বস্তির সামনে মাইক হাতে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালো সাবা। তার হাতে কিছুক্ষণ আগে রাশেদ সাহেবের কেনা সেই মাদকের পুরিয়া। রিপোর্টের শেষ অংশের শুট চলছে। ক্যামেরার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে রেখেই সাবা তীক্ষ্ণ স্বরে বলছে, “দেশের অলিতে-গলিতে এভাবেই গড়ে উঠেছে একেকটা মাদকের কারখানা। অবাধে চলছে তা কেনা-বেচাও। দিনে যারা বাসের কন্ডাক্টর কিংবা বাজারে ফল বিক্রেতা, রাতের অন্ধকারে তারাই মাদকের সরবরাহকারী। সত্যিই কি দেশের তরুণেরা মাদক থেকে নিরাপদ? সাবা আমির, বাংলার বাতাস, ঢাকা।”
লাইনগুলো শেষ করে ক্যামেরা থেকে চোখ সরাতেই চমকে উঠলো সাবা। কিছুটা দূরেই স্বগর্বে দাঁড়িয়ে আছে শাফকাতের চকচকে কালো গাড়ি। সেই গাড়ির সঙ্গে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে খোদ শাফকাত। সাদা শার্ট, ধূসর রঙের প্যান্ট, টাই আর স্যুট ভেস্টে কেমন ধ্বংসাত্মক সুন্দর লাগছে তাকে।
সাবা কয়েক মুহুর্ত হা করে তার দিকে তাকিয়ে থেকে সংবিৎ ফিরে পেয়ে নিজেই লজ্জা পেয়ে গেল। সেদিনের পর থেকে দুজনের মধ্যকার সম্পর্কটা কেমন এলোমেলো হয়ে গেছে। আগে তো একজন আরেকজনের সামনে পড়লেই কোনো একটা অজুহাতে জড়িয়ে যেত তীব্র বাক-বিতন্ডায়। তবে ইদানিং দুজনের মাঝেই বিচিত্র এক শীতলতা।
একে অপরকে এড়িয়ে যেতেও পারছে না। আবার সহ্য করতেও পারছে না। ঘুমের ঘোরে একটা কথাই অনবরত কানে বাজে সাবার। “আমার সাবা। যে তোমার দিকে চোখ তুলে তাকানোর সাহস করবে, তাকে আমি শেষ করে ফেলবো।”
শাফকাতের চোখেমুখে সেদিন স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছিল কতটা অধিকার নিয়ে কথাটা বলেছে সে। তাকে দেখেই বুঝে ফেলা যায় কেবল বলার জন্যে বলেনি, শাফকাত মনে প্রাণে এই সত্য ধারণ করে যে সাবা তার।
কিন্তু সমস্যা বেঁধেছে ভিন্ন জায়গায়। শাফকাত যে তাকে নিজের বলে দাবি করলো, এই নিয়ে বিন্দুমাত্র অস্বস্তি নেই সাবার মাঝে। নেই বিরক্তি কিংবা রাগও। কিন্তু এমনটা তো হওয়ার কথা নয়। তার তো গা জ্বলে ওঠার কথা রাগে। কিন্তু মনের অজান্তেই সাবার মন বলে, শাফকাত তাকে নিজের বলে দাবি করলে ক্ষতি কীসের?
এমন কেন হচ্ছে সাবার? সে তো সহ্য করতে পারে না শাফকাতকে। তবুও কেন বদরাগী এই লোকটাকে দেখলে এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে তার হৃদস্পন্দন। প্রেমে তো পড়েনি সে। তবে কেন?
প্রশ্নটার উত্তর খুঁজতে খুঁজতেই কখন যেন সাবা গিয়ে দাঁড়ালো শাফকাতের সামনে।
সাবা বিস্মিত গলায় বলল, “আপনি এখানে?”
শাফকাত তীক্ষ্ণ স্বরে বলল, “তোমাকে পিক করতে এসেছি ভেবো না।”
সাবা ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে রইলো শাফকাতের দিকে। ছেলেটা আবারও ফিরে যাচ্ছে পুরনো ফর্মে। এতদিন সাবাকে না জ্বালিয়ে থেকেছে। আর কত সম্ভব তার পক্ষে?
সাবা বিরক্ত গলায় বলল, “ভাবছিও না। মানুষের সুবিধা অসুবিধার খেয়াল রাখার মানুষ তো আপনি নন।”
শাফকাত সূক্ষ্ম হাসি হেসে বলল, “এত সিওরিটি নিয়ে বলছো কীভাবে? কতটুকু চেনো আমাকে?”
মনে মনে দীর্ঘশ্বাস ফেলল সাবা। আসলেই তো, আইনত যে মানুষটা তার স্বামী। বাবা-মা যে মানুষটার সঙ্গে তার জীবনটা জুড়ে দিয়েছে আজীবনের জন্যে, তাকে এই সাত মাসেও চিনে উঠতে পারলো না সাবা। আদৌ কি কোনোদিন চিনতে পারবে? সেই সম্ভাবনাও ক্ষীণ।
আক্ষেপমাখা চিন্তাগুলো আপাতত ঝেড়ে ফেলে সাবা বলল, “দেখুন আপনার সঙ্গে অযথা করার কোনো ইচ্ছা আমার নেই। কিছু বলতে হলে তাড়াতাড়ি বলুন। আমি প্রচন্ড টায়ার্ড, বাসায় যাবো।”
শাফকাত থমথমে গলায় বলল, “বাসায় তো এখন যেতে পারবে না তুমি।”
“কেন?”
“আমার সাথে প্যারাডাইসে যাবে। সেখানে একটা পার্টি হচ্ছে, অ্যাটেন্ড করবে।”
সাবা বিরক্তির চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে বলল, “এসব পার্টি-ফার্টিতে যেতে পারবো না এখন। সকাল থেকে কাজ করছি, প্রচুর টায়ার্ড আমি।”
শাফকাত নির্বিকার ভঙ্গিতে বলল, “সকাল থেকে আমিও কাজ করছি। তোমার মতো টায়ার্ড টায়ার্ড বলে চেঁচাচ্ছি না।”
“আপনার ইচ্ছা হলে যান না! কে আটকে রেখেছে আপনাকে?”
শাফকাত দৃঢ় গলায় বলল, “আমি তো যাবোই। তোমাকে নিয়েই যাবো। আমার একটা প্রেস্টিজ আছে সমাজে। যেকোনো গেদারিংয়ে মানুষ এক্সপেক্ট করি আমি আমার ওয়াইফকে নিয়ে যাবো। ঝামেলা না করে চুপচাপ গাড়িতে উঠে বসো।”
শাফকাত সরে দাঁড়িয়ে প্যাসেঞ্জার সিটের দরজাটা খুলে দিলো সাবার জন্যে। একরাশ বিরক্তি নিয়ে উঠে বসলো সাবা। এই লোকের সঙ্গে তর্কে জড়ানো মানে শুধু শুধু মূল্যবান সময়গুলো নষ্ট করা।
শাফকাত দরজাটা বন্ধ করতে যাবে তখনই সাবা তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে বলল, “মানুষের কথা আপনি আমলে নিতে শুরু করলেন কবে থেকে?”
বিন্দুমাত্র আমলে নেয়নি শাফকাত। আজকের এই পার্টিতে যাবার ইচ্ছা তারও ছিল না। তবে পার্টিতে যাওয়ার পথে এবং পার্টি থেকে ফেরার পথটুকু সাবাকে পাশে পাবার লোভ কিছুতেই সামলে উঠতে পারছিল না। কেন যেন দিনদিন এই তেজী মেয়েটার জন্যে মন এত দুর্বল হয়ে উঠছে!
(চলবে)