শত ঘৃণার পরেও ভালোবাসি পর্ব-১৭

0
1097

#শত_ঘৃণার_পরেও_ভালোবাসি (এক ভালোবাসার গল্প)
#Maishara_Jahan
Part………..17

রিমান,,,,,,,, অসুস্থ না হলে, মনে হয় আজ কপালে শনি ছিলো। আচ্ছা এতো তাড়াতাড়ি তোর মা ছেলে কোথা থেকে পাবে তাই না।

আহান,,,,,,মা চাইলে আজি ছেলে ঠিক করতে পারে।

রিমান,,,,,,,,,,, কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যে বিয়ে তো আর দিবে না।

আহান,,,,,,,,,, রুহি যেহেতু রাজি তাই মা আর বেশি দেড়ি করবে না, সিউড় এক সাপ্তাহের মধ্যেই দিয়ে দিবে।

রিমান জোরে আহানের পায়ে পাড়া দেয়। আহান হালকা চিৎকার দিয়ে রিমানে বার বার পায়ের দিকে ইশারা করে, কিন্তু রিমান অন্য দিকে তাকিয়ে আহানের পায়ে পা দিয়ে জোরে চাপ দিয়ে আছে। রিমান অনেক ক্ষন পড়ে দেখার বান করে বলে,,,,,,,,, ওহহ সরি সরি আমি দেখিনি।

আহান,,,,,,,,এখন তো দেখছস, তো এখন সরা।

রিমান পাটা সরিয়ে নেয়।

আহান,,,,,,,,,, আমি খোঁজ করছি রুহির জন্য ভালো কোনো ছেলে আছে নাকি,, তোর ভালো কোনো ফ্রেন্ড থাকলে বল।

রিমান আহানের দিকে তাকায়,, তাকিয়ে আহানের পায়ে উপরে পা দিয়ে হেঁটে চলে যায়।

আহান,,,,,,,,আউউ,,ঐ কই যাস,,, বলে তো যা তোর কোনে ফ্রেন্ড আছে নাকি।

রিমান সোজা হেঁটে চলে যায়। রুহি রাগে বালিশ নিয়ে ছিঁড়ার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না। কিছু ক্ষন পর রুহি দিয়ার দিকে বালিশটা এগিয়ে ধরে বলে,,,,,,,এটা ছিড়ে না কেনো। (রাগে)

দিয়া,,,,,,,, আমি জানি,, হয়তো তোর শক্তি নাই।

রুহি,,,,,,,,, তুই কি বলতে চাস আমি দুর্বল। জানিস আমার কতো শক্তি, ওর মতো দশটা রিমানকে একাই মেরে ফেলে দিতে পারবো৷ ও চিনে না আমাকে, কি ভাবছে কি নিজেকে হুমম। ভালোবাসি বলে যা খুশি তাই করবে, অদ্ভুত। (রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে)

দিয়া,,,,,,,,তুই কি সত্যি সত্যি বিয়ে করবি।

রুহি,,,,,,,,,, তো কি করমু,,, ও বিয়ে করবো আর আমি বসে বসে তাদের হানিমুনের ছবি দেখবো নাকি। আমি ওর সামনে বিয়ে করবো ওর আগে হানিমুনে যাবো।হানিমুনে কিছু করি আর না করি, কিন্তু দুজনের ক্লোজ ছবি তুলে অবশ্যই রিমানকে পাঠাবো। (রাগে কান্না করে দেয়)

আহান খাবার নিয়ে আসে রুহির রুমে। এনে রুহির সামনে রাখে।

আহান,,,,,,আরে খাবার না খেলে বেশি রাগ উঠে, আগে খাবারটা খেয়ে নে।

রুহি রুটি আপেল এমন ভাবে খাচ্ছে মনে হয় কতো জনমের শত্রুতা ওদের সাথে। রাগে ফসফস করছে আর খাচ্ছে। আহান হা করে তাকিয়ে আছে।

আহান,,,,,,,, ও এখাবে কেনো খাচ্ছে। (দিয়ার কানে কানে)

দিয়া,,,,,,,,ওর কষ্ট বা রাগ উঠলে, ও এভাবেই খায়।

আহান,,,,,,,,, আমি তো আমাদের তিনজনের জন্য খাবার এনেছিলাম।

দিয়া,,,,,,,, রুহির রাগ উঠলে অনেক খায়।

রুহির খাওয়া দেখে আহান ফসফস করে হাসতে থাকে, নিজের মুখ ধরে হাসি থামাচ্ছে।

দিয়া,,,,,,,,কি করছেন কি।

আহান,,,,,,,কি করবো ওর খাওয়া দেখে আমার অনেক হাসি পাচ্ছে। এভাবে কে খায়। আচ্ছা চলো তুমি নাস্তা করে নাও,, ওকে একটু একা থাকতে দাও।

দিয়া,,,,,,, হুমম।

আহান আর দিয়া নিচে চলে যায়।

দিয়া,,,,,,,,, আমি বুঝলাম না রিমান এমন কেনো করছে, আরে আমি ওর চোখে রুহির জন্য স্পষ্ট ভালোবাসা দেখেছি।

আহান,,,,,,,,, আর আমার চোখে, (দিয়ার দিকে মুখটা এগিয়ে নিয়ে)

দিয়া,,,,,,,, আরে আপনি তো ভাই হোন, আপনি তো রুহিকে ভালোবাসবেন এটাই স্বাভাবিক।

,,,,,,,,,, শুধু রুহির জন্য না, এখানে অন্য আরেকজনের জন্য ও আছে সেটা দেখতে পারছিস। (দিয়ার আরেকটু কাছে গিয়ে, দুষ্টু হাসি দিয়ে)

,,,,,,,,,,, না আমি কিছু দেখছি না (একটু দূরে গিয়ে)

আহান দিয়ার কোমর ধরে তার কাছে টানে।

আহান,,,,,,,,এখন বল দেখতে পারছিস।

দিয়া,,,,,,,,, আল্লাহ,, কি করছেন ভিতরে রুহি আছে, দেখে ফেললে।

,,,,,,,, আগে বল দেখতে পারছিস কিনা।

,,,,,,,, না পারছি না।

আহান তার চেহেরা দিয়ার আরো কাছে নিয়ে যায়, একদম কাছে নিয়ে বলে,,,,,, এখন দেখতে পারছিস নাকি আরো কাছে যেতে হবে।

দিয়া,,,,,,,আর কতো কাছে আসবেন, আর আ আ আসার জায়গা আছে নাকি।

আহান,,,,,,,,, চেষ্টা করলে আরো কাছে আসা যাবে,,গিয়ে দেখাবো।

দিয়া,,,,,,,, না না,, আমি দেখতে পারছি।

আহান,,,,,,,কি

,,,,,,,,ভালোবাসা।

,,,,,,,,,কার জন্য।

,,,,,,,,, আমার জন্য (একটু লজ্জা পেয়ে)

,,,,,,,,,, আচ্ছা,,, ঠিক আছে যা ছেড়ে দিলাম।

আহান দিয়াকে ছেড়ে দেয়। বিকেলে রুহি কষ্ট করে নিচে আসে।

আহান,,,,,,,তুই নিচে আসবি, আমাকে ডাকতি।

রুহি,,,,,,,, ভাইয়া, পায়ে হালকা ব্যাথা পেয়েছি, পা ভেঙে যায় নি। আমাকে বাড়িতে দিয়ে আসো।

আহান,,,,,,,কেনো তোর এখানে কি অযত্ন হচ্ছে নাকি।

রুহি,,,,,,,,,, আরে বাবা মা আমার জন্য ছেলে দেখেছে। তার জন্য ডেকেছে।

দিয়া,,,,,,,, খালামনি এতো তাড়াতাড়ি কোথা থেকে ছেলে পেলো।

রুহি,,,,,,,,কে জানে।

আহান,,,,,,,,তুই না করে দে,, এতো তাড়াতাড়ি বিয়ে করার কোনো দরকার নেয়, তোর বয়স হয়নি এখনো বিয়ে করার।

রুহি,,,,,,,,, বাচ্চা জম্ম দেওয়ার বয়স হয়ে গেছে, বিয়ে দেওয়ার বয়স হয়নি তাই না। আমি বিয়ে করবো মানে করবো। (রাগে)

আহান,,,,,,,,, আমিও যাবো, কার না কার সাথে বিয়ে দিচ্ছে সেটা আমিও দেখবো।

রুহি,,,,,,,, চল দিয়া তুই ও যাবি,,, আর হ্যাঁ কেও যদি রিমানকে খবর দেয় তাহলে তার এক দিন কি আমার একদিন। (আহানের দিকে আঙুল দেখিয়ে কটমট করে তাকিয়ে)

আহান,,,,,,, তুই আমার দিকে তাকিয়ে আছিস কেনো।

আহান রুহি আর দিয়াকে তাদের বাসায় নিয়ে আসে। আহান রুহিকে ধরে ধরে নিয়ে যায়, ভিতরে ডুকার আগে আহান দাঁড়িয়ে যায়। ভিতরে ডুকবে না ডুকবে না সেটা নিয়ে ভাবছে।

রুহি,,,,,,,, ভাইয়া ভিতরে চলো, এটা তোমারি বাড়ি। সবাই একটু রাগ করে আছে ঠিকি কিন্তু ভালো তো আগের মতোই বাসে। তুমিও রাগ দেখিয়ে চলে গেলে, বাবাও রাগ দেখিয়ে তোমাকে ডাকেনি। ঐ দিন সরি বলে দিলেই সব ঠিক হয়ে যেতো।

আহান,,,,,,,,তোর জ্ঞান দেওয়া হয়েছে।

রুহি,,,,,,,,হুমম হয়েছে, এবার চলো পিল্জ এতো ভেবে লাভ নেয়,, তোমার বোনের সারা জীবনের প্রশ্ন।

আহান,,,,,,,, হুমম চল।

আহান রুহিকে নিয়ে ভিতরে যায়,সবাই আহানকে দেখে দাঁড়িয়ে যায়। কিন্তু কেও কিছু বলে না।

রিমান,,,,,,,,,আহান তুই,, এদিকে এসে বস।

রুহি আহানের দিকে কটমট করে তাকায়।

আহান,,,,,,,,,আমি ওকে আসতে বলি নি।

রিমান,,,,,,,, আমাকে আংকেল আন্টি আসতে বলেছে।

রুহি,,,,,,,,কেনো বাবা।

বাবা,,,,,,,, রিমান এতো বছর ধরে আমাদের সাথে আছে, আমার ছেলের মতো তাকে ডাকবো না, আর ছেলেটা তোর জন্য ভালে না খারাপ সেটাও দেখবে। এই বাড়িতে তো কোনো ছেলে নেয় দেখার মতো, (আহানের দিকে তেড়া চোখে তাকিয়ে)

রুহি,,,,,,,,, বাবা এভাবে খুঁচা মরে কথা বলার কোনো দরকার নেয়।

বাবা,,,,,,,,, তুই বাহিরের মানুষকে ভিতরে নিয়ে আসলে কি করবো। রিমান তুই বলে দে, এসেছে ভালো কথা কিন্তু ছেলেদের সাথে কথা বলার কোনো দরকার নেয়।

আহান,,,,,,,, রিমান তুই বলে দে, কথা তো আমি বলবোই, আমার বোনের ভবিষ্যতের ব্যাপার কথা তো অবশ্যই বলবো।

মা,,,,,,,,,আরে চুপ করো তোমরা,, একটু পরেই এসে পড়বে ছেলেরা। তারা যাতে কিছু বুঝতে না পারে। উল্টা পাল্টা কিছু হলে ছাড়বো তো আমি কাওকেই না, বলে দিলাম। বসো সবাই চুপচাপ।

আহানের বাবা, আর আহান চুপচাপ বসে পড়ে।

মা,,,,,,,দিয়া তুমি গিয়ে রুহিকে রেডি করে দাও তো।

দিয়া,,,,,,, ঠিক আছে।

বাবা,,,,,,,, আচ্ছা রুহি তুই এতো তাড়াতাড়ি কেনো বিয়ে করতে চাস, কিছু হয়েছে।

রুহি রিমানের দিকে তাকিয়ে বলে,,,,,,,, কিছু না বাবা, শুধু বিয়ে করার শখ হয়েছে।

বলে চলে যেতে থাকে। কিছু ক্ষন পর ছেলেরা আসে, আর তার মা বাবা ও আসে। সবাই বসে। ছেলে দেখে আহানের পছন্দ হয়নি। কিছু ক্ষন পড়ে রুহিকে নিয়ে আসে। রুহিকে শাড়ি পড়িয়ে একদম হালকা সাজিয়ে দেওয়া হয়।

রিমান জায়গা করে দেয় রুহিকে বসার জন্য, কিন্তু রুহি রিমানকে দেখিয়ে ছেলের পাশে বসে।এতে রিমান রুহির দিকে রাগী ভাবে তাকালেও রুহি সেদিকে কোনো পাত্তা দেয় না।

আহান,,,,,,,, তোমার নাম কি। (ছেলেকে উদ্দেশ্য করে)

ছেলে,,,,,,,,,, আমার নাম রবিন।

আহান,,,,,,, কি করো।

রবিন,,,,,,,,,,,সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ার।

আহান,,,,,,,,,,, নাহহ,,আমার বোন ডক্টর, তুমি ইঞ্জিনিয়ার। মিলবে না, দুজনি বিজি থাকবে তাহলে সংসার করবে কিভাবে।

রিমান,,,,,,,,,, ঠিক কথা।

রুহি,,,,,,,,, সামলে নিবো আমরা, তাই না।

রবিন,,,,,,,হুমম (রুহির দিকে তাকিয়ে)

ঐদিকে রিমানের গায়ে আগুন জ্বলছে।

আহান,,,,,,,,, কোনো গার্লফ্রেন্ড ছিলো তোমার।

একথা শুনে তার বাবা মা সবাই আহানের দিকে কটমট করে তাকায়।

রবিন,,,,,,,, না ছিলো না।

আহান,,,,,,,কেনো।

আহানের বাবা কাশা শুরু করে দেয়, কিন্তু আহান সেদিকে কান ও দেয় না।

রবিন,,,,,,,,, সময় ছিলো না একটি মেয়েকে দেওয়ার জন্য তাই করি নি।

রিমান ,,,,,,,,, যার প্রেম করার জন্য সময় থাকে না, সে বিয়ের পর রুহিকে কি সময় দিবে।

রুহি,,,,,,,,,,, আগে তো আপনার ও সময় ছিলো না প্রেম করার মতো কিন্তু বিয়ের পর বউকে তো সময় দিবেন নাকি।

বরিনের মা,,,,,,,, মা তুমি রান্না করতে পারো৷

রুহি,,,,,,, হুমম পারি৷

রিমান,,,,,,, পাক্কা বিয়ের পর রুহিকে কাজের লোক বানিয়ে রেখে দিবে। ( আহানের কানে কানে)

রবিনের মা,,,,,,,, তোমার পায়ে কি আগে থেকেই সমস্যা।

রুহি,,,,,,, না, কালকে এক্সিডেন্ট হয়েছিলো গাড়ি চালাতে গিয়ে।

র,,মা,,,,,, এজন্যই বলি যার কাজ তাকেই মানায়।

রুহি,,,,,, মানে।

র,,,মা,,,,,,, গাড়ি চালানো হলো ছেলেদের কাজ, এটা মেয়েরা করলে তো এক্সিডেন্ট হবেই। মেয়েদের কাজ হলো ঘর সামলানো৷

আহান দাঁড়িয়ে গিয়ে বলে,,,,,,,, সরি আমরা আপনার ছেলের সাথে আমার বোনের বিয়ে দিবো না।

বাবা,,,,,,, কি বলছে এ।

আহান,,,,,,, ঠিকি বলছি,, ওদের কথায় স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে রুহির ভবিষ্যত কেমন হতে যাচ্ছে। হতে পারে বিয়ের পর ওরা রুহির পড়াশোনা ছাড়িয়ে দিতে পারে।

রবিনের মা,,,,,,, আমাদের এখানে এনেছেন কি অপমান
করার জন্য।

বাবা,,,,,,,, সরি সরি,, পিল্জ ভুল বুঝবেন না। আপনারা খাওয়া দাওয়া করে পরে যান।

র,,মা,,,, না থাক আমরা এখনি চলে যাচ্ছি।

রুহি,,,,,,, আর হ্যাঁ মেয়েরা আজ কাল সব করতে পারে, আর এক্সিডেন্ট মেয়েরা থেকে ছেলেরা বেশি করে।

ছেলেরা চলে যায়, রিমান দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মুশকি মুশকি হাসছে।

বাবা,,,,,,,,,, রিমান ওকে বল এতো কথা বলার কি দরকার ছিলো, ছেলেদের অনেক টাকা আছে আমার মেয়ে সুখে থাকতো৷

আহান,,,,,,,,,রিমান তুই বল,,টাকা থাকলেই সবাই সুখি হয় না।

বাবা,,,,,,,রিমান ওকে বল, আমাদের ফেমেলির বিষয়ে নাক না গলাতে।

আহান,,,,,,,, রিমান তুই বলে দে,, ওদের ব্যাপারে কেও কিছু বলছে না, কিন্তু আমি আমার বোনের ব্যাপারে অবশ্যই বলবো। ওর ভালো মন্দ আমিই দেখবো।

রিমান,,,,,,,, তোমরা নিজেরাই কথা বলছো তাহলে আমার নাম নেওয়ার কি দরকার। কেও কিছু বলতে তো দেয় না। আচ্ছা এখন বিয়ে যখন হচ্ছে না, তখন খাবার গুলো খেয়ে ফেলি, পড়ে পড়ে নষ্ট হয়ে যাবে।

রিমান খেতে নেয় তখনি সৌরভ তার মা বাবাকে নিয়ে আসে। রিমান সৌরভের দিকে তাকিয়ে রুহির দিকে তাকায়, রুহি একটা ভাব দেখিয়ে হাত ভাজ করে রিমানের দিকে তাকায়।

বাবা,,,,,,আরে সৌরভ তুমি এখানে,, ওরা কি তোমার মা বাবা।

সৌরভ,,,,,,, জ্বী আংকেল।

বাবা,,,,,,, পিল্জ এসে বসেন।

তারা এসে বসে।

সৌরভের মা,,,,,,,,, আমরা এখানে রুহির সাথে সৌরভের বিয়ের কথা বলতে এসেছি।

রিমান,,,,,,, কিহহ (জোরে বলে)

সবাই রিমানের দিকে তাকায়।

রুহি,,,,,,,, হুমম,,,সৌরভ দেখতে ভালো, ডক্টর সে, তাই আমাকে পড়াশোনা করাবে, আর আমরা একি হসপিটালে তাই আমাদের কাছে অনেক সময় আছে, আর সংসার ও ভালো করে করবো। আর তাছাড়া সৌরভ আমার সম্পর্কে সব কিছু জানে। আমি আজি জানতে পারি ওনি আমাকে পছন্দ করে তাই আসতে বলে দিয়েছি। কারো কোনো প্রবলেম আছে, এতে।

রিমান আহানকে খুচাচ্ছে।

আহান,,,,,,,,,, হুমম আমার কোনো সমস্যা নেয়। রিমান আহানের দিকে তাকায়।

বাবা,,,,,,,,আলহামদুলিল্লাহ আমাদেরও কোনো সমস্যা নেয়। সৌরভকে তো অনেক বছর ধরে চিনি।

আহান,,,,,,,,,দুজনে চাইলে একা কথা বলতে পারো। যাও গিয়ে একা কথা বলো।

রুহি আর সৌরভ উঠে।

দিয়া,,,,,,,, আমি রুহিকে নিয়ে যাচ্ছি।

সৌরভ,,,,,,,, ইটস ওকে দিয়া আমি রুহিকে নিয়ে যাচ্ছি।

সৌরভ রুহির এক হাত ধরে অন্য হাত কাঁধে রেখে নিয়ে যাচ্ছে। রিমান ওদের দেখে রাগে অন্য দিকে তাকিয়ে আছে। মনে হচ্ছে এখনি চোখ দিয়ে আগুন বেরিয়ে আসবে।

সৌরভ আর রুহি উপরে যায় গিয়ে কথা বলতে থাকে। রিমান বারবার উপরে তাকাচ্ছে, রিমান উঠে সবার থেকে দূরে যায়। আহান ও রিমানের পিছনে পিছনে যায়।

আহান,,,,,,,কি হয়ছে রিমান।

রিমান আহানের দিকে তাকিয়ে রাগে মারতে যায়, ঘুষি দেওয়ার জন্য হাত উঠায় আহান চমকে যায়, রিমান ঘুষি দিতে গিয়ে আবার হাত নামিয়ে ফেলে। আহানের দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে তাকিয়ে আবার সবার মাঝখানে যায়।

কিছু ক্ষন পরে সৌরভ একা একা ফিরে আসে। সৌরভ আসতেই রিমান বলে,,,,,,,রুহি কোথায়।

সৌরভ,,,,,,, ওকে ওর রুমে রেখে এসেছি, বার বার উঠা নামা করা ওর জন্য ঠিক না।

রিমান,,,,,,,, (সত্যি বলছে, নাকি অন্য কোনো কারন আছে, কিছু করলো না তো আবার।)

সবাই বিয়ের কথা ভার্তা বলে চলে যায়। রিমান শুধু ছটফট করছে রুহির রুমে যাওয়ার জন্য, কিন্তু পারছে না, আহান বার বার আটকে দিচ্ছে। সবাই চলে যায়।

আহান,,,,,,তোর কি তাড়াহুড়ো রুহির রুমে যাওয়ার জন্য। সত্যিটা বলতে যাবি নাকি।

রিমান,,,,,,,, মানে

আহান,,,,,,,,মানে কেনো তুই রুহিকে বিয়ে করতে পারছিস না।

রিমান,,,,,,, না, এটা বলতে পারবো না।

,,,,,,,,,,,, এজন্য বলবি না, কারন এটা শুনলে রুহি কষ্ট পাবে তাই তো। তুই ওকে এতো ঘৃণা করিস, তাহলে ও কষ্ট পেলো না পেলো তাতে তোর কি।

,,,,,,,,,,,আমার কিছুই না।

,,,,,,,,,,তাহলে আজ আমি রুহিকে সবটা খুলে বলবো।

,,,,,,,,তুই ওকে কিছু বলবি না।

,,,,,,,,, আমি বলবো, আর কেও আমাকে আজ আটকাতে পারবে না। আর একটা কথা এতে কিন্তু রুহির কোনো দোষ ছিলো না, এটা তুই যতো তাড়াতাড়ি বুঝবি ততোই তোদের জন্য ভালো।

,,,,,,,,,,ওর জন্য আমার পুরো জীবন উলোট পাল্ট হয়ে গেলো আর ওর কোনো দোষ নেয়।

,,,,,,,,,, না নেয়,, ও জেনে শুনে কিছু করেনি। আর চার বছরের মেয়ে জেনে শুনি কি বা করবে। আজ আমি ওকে বলেই ছাড়বো।

মা,,,,,,,,, খাবার লাগিয়েছি সবাই খেয়ে আয়।সবাই মানে সবাই, এখানে আর কোনো কথা হবে না।রিমান তোমার বন্ধুকে নিয়ে এক মিনিটের মধ্যে আসো।

চলবে,,,,,,,