#শত_ঘৃণার_পরেও_ভালোবাসি (এক ভালোবাসার গল্প)
#Maishara_Jahan
Part………..10
দিয়া আহানের গালে আরেকটা কিস করে। আহান হেঁসে দিয়ার দিকে এগিয়ে যায়, দিয়া তার চোখ বন্ধ করে মুখটা এগিয়ে আনে। আহান দিয়ার কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে,,,,,,, আমি জানি তুই নিশায় নেয়, কারন যে জুসটা তুই খেয়েছিস সেটা আমিই পাঠিয়েছিলাম, আর ঐটা কমলার জুস ছিলো।
দিয়ার চোখ বড় বড় রসগোল্লার মত হয়ে যায়, দিয়া বরফের মতো জমে যায় কি বলবে সেটাও বুঝতে পারছে না। আহান দিয়ার কানের কাছ থেকে সরে দিয়ার চেহেরার কাছে আসে।
আহান,,,,,,,,,, এতো ক্ষন তো অনেক বকবক করছিলি এখন একদমে চুপ হয়ে গেলি যে। কিছু বল।
দিয়া,,,,,,,,, আপনি কি বলতে চান হুমম, আমি সত্যি নেশায় আছি। আপনার জুস খাওয়ার পরেও আমি আরো অনেক জুস খেয়েছি, সেখানে হয়তো কিছু ছিলো। (মাতালের মতো বলে)
আহান,,,,,,,,,হতেই পারে না কারন আমার চোখ সবসময় তোর উপরেই ছিলো, আর আমি সব ওয়েটারকে বলেই রেখেছিলাম যেনো, তোকে আর রুহিকে নেশা জাতীয় কিছু না দেয়।
দিয়া,,,,,,,,,,,, আমার অনেক ঘুম পাচ্ছে, আমি গিয়ে ঘুমায় (হামি তুলে)
দিয়া উঠে যেতে নেয় কিন্তু সে উঠতে পারছে না, কারন আহান তাকে শক্ত করে সোফার সাথে ধরে রেখেছে। দিয়া অনেক বার চেষ্টা করে।
দিয়া,,,,,,, অনেক রাত হলো গিয়ে ঘুমান।
,,,,,,,,,, ঘুমাবো ঘুমাবো, কিন্তু তুই আমার সাথে কি কি করবি বলছিলি জানি।
,,,,,,,,,,, আল্লাহ কি করবো,,, কিছু না কিছু না। (লজ্জায় লাল হয়ে)
,,,,,,,,,,,একি তুই লজ্জা পাচ্ছিস, কিন্তু কিছু ক্ষন আগে তো তোর মাঝে লজ্জার ল ও দেখা যাচ্ছিলো না। হঠাৎ কি হলো।
,,,,,,,,,,,,,আমাকে যেতে দিন পিল্জ (কান্নার ভাবে)
,,,,,,,,,কি লজ্জায় কান্না আসছে।
,,,,,,,,,, না ভয়ে।
,,,,,,,,,ভয় আর আমাকে কেনো কিছু ক্ষন আগে তো অনেক ধমকাচ্ছিলি।
,,,,,,,,,,সে জন্যই ভয় লাগছে।
,,,,,,,,একি তুই কাঁপছিস কেনো গরম কালে শীত লাগছে
কিন্তু আমার কাছে তো আমার কোর্টাও নেয়, যে তোকে পরিয়ে দিবো কারন সেটা তো তুই ফেলে দিয়েছিস।
,,,,,,,,,,,, সরি, সরি আর করবো না (কান্না করে)
,,,,,,,,,, এখনি কেনো কান্না করছিস, আমি তো কিছুই করিনি, এখনো তো অনেক কিছু করার বাকি আছে।
,,,,,,,,,,, মা মা মানে,, কি করবেন।
,,,,,,,,যেটা তুই করতে চেয়েছিলি। (দিয়ার কাছে গিয়ে)
,,,,,,,,,আআআ আমার এমন কিছু নিয়ত ছিলো না,, সরেন সরেন।
আহান দিয়ার হাত ছেড়ে দেয়, দিয়া এক দৌড়ে তার রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। আহান সোফায় বসে হাসতে থাকে। দিয়া রুমে গিয়ে কেনা কান্না করছে।
দিয়া,,,,,,,,, আআআ এখন আমার কি হবে, এতো বারাবাড়ি করার কি দরকার ছিলো। মজা লাগছিলো তাই বলে যা খুশি করবি। আআআ ছিঃ ছিঃ কালকে মুখ দেখাবি কিভাবে, সব কিছু মেনে নিলাম কিস করার কি দরকার ছিলো, আর কাঁধে উঠার কি দরকার ছিলো (কান্না করে করে)
দিয়া প্রতেকটা মুহূর্ত মনে করে করে লজ্জায় বিছানায় শুয়ে নেকা কান্না করছে
,,,,,,,,,,,,,,
রুহি অনেক কষ্টে রিমানকে সামলাচ্ছে। রুহি জামে আটকে পড়েছে৷
রিমান,,,,,,,,, মনে হয় আজ চাঁদ নিচে নেমে এসেছে, আমার সামনে (হেঁসে হেঁসে)
রুহি মুশকি হেঁসে একটু লজ্জা পেয়ে রিমানের দিকে তাকিয়ে বলে,,,,,,,,,আচ্ছা কোথায়।
রিমান আঙুল দিয়ে সামনে দেখিয়ে বলে,,,,,দেখ বাটার মাথায় কতো বড় টাক, একদম চাঁদের মতো গোল।
রুহি এটা দেখে পারে না রিমানকে গিলে খেয়ে ফেলতে।
রিমান জোরে জোরে হেঁসে টাকলা টাকলা বলে চিল্লাচ্ছে। ঐ লোকে আশেপাশে দেখছে। রুহি রিমানের মুখ চেপে ধরে৷
রুহি গাড়ি চালাচ্ছে, রিমান গাড়ির জালানা দিয়ে মাথা বের করে আরো জোরে আরো জোরে করছে। রুহি একদিক দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছে অন্য দিক দিয়ে রিমানকে সামলাচ্ছে। রুহি কোনো মতে বাড়ি নিয়ে আসে রিমানকে৷
রুহি গাড়ি থেকে বের হয়ে রিমানকে বের করে।
রিমান,,,,,,,, নেমে গেলি কেনো তুই তো গেইমে হেরে যাবি, দেখ সবাই তোর আগে চলে যাচ্ছে।
,,,,,,,, চুপচাপ সোজা হয়ে দাঁড়াও,, গাড়ির মধ্যে কেও এমন করে, যদি এক্সিডেন্ট হয়ে যেতো, তখন (ধমক দিয়ে)
বলে রিমানকে বাড়ির ভিতরে নিয়ে যায়।
রিমান বার বার নিজের চোখ ঘষছে।
রুহি,,,,,,,,,,, তোমার চোখে আবার কি হলো।
রিমান,,,,,,,,, কিছু ক্ষন আগে তোর জমজ বোনের সাথে দেখা করে এলাম, এখন আবার তিন তিনটা রুহি দেখা যাচ্ছে। একটা সামলাতে পারি না, তিনটা কিভাবে সামলাবো।
,,,,,,,,,,,আমাকে তোমার সামলাতে হবে না।
,,,,,,,,তো কে সামলাবে ঐ সৌরভ, খবরদার যদি ওর কাছে যাস তুই। তাহলে আমি তোকে মেরে ফেলবো।
,,,,,,,,,, কেনো মারবা আমাকে,, আমি কি করেছি। আর আমি অন্য ছেলের সাথে মিশলেই বা তোমার কি।
,,,,,,,, আমার কি মানে আমার অনেক কিছু। তুই কেনো যাবি অন্য কারো সাথে, আমি কি মরে গেছি।
,,,,,,,,,কিন্তু তুমি তো আমাকে পছন্দ করো না।
,,,,,,,,, কে বলেছে আমি তোকে পছন্দ করি না। (রুহির দুই গাল ধরে) জানিস তুই যখন আমার কাছে আসিস তখন আমার হার্ট বিড বেড়ে যায়। তুই জিজ্ঞেস করেছিলি না, কোনো একটি সময় ও তোকে ভালো লাগে নি কিনা,,, আমার তো সব সময় তোকে ভালো লাগে৷ কোনো একটি মূহুর্ত না প্রতিটা মূহুর্তে তোকে আমার ভালো লাগে।
,,,,,,,,,,আচ্ছা তাহলে আমাকে ভালোবাসো।
,,,,,,,,,, নাহহ,, হুমম,,,, জানি না। ব্রেন বলে তোকে ঘৃণা করতে কিন্তু মনের খবর আমি নিজেই জানি না। তোকে আমি অনেক অনেক ঘৃণা করি।
,,,,,,,,,,, মনে হয় নেশায় উল্টা পাল্টা বলছে। আচ্ছা আচ্ছা আমাকে ঘৃণা করো, এখন আসো, তোমাকে শুয়িয়ে দিয়।
রুহি রিমানকে উপরে নিয়ে যাচ্ছে, আর রিমান বার বার বলছে ঘৃণা করি ঘৃণা করি। রুহি রিমানকে নিয়ে বিছানায় শুয়িয়ে দেয়।
তারপর রিমানের জুতা খুলে দেয়, রিমানের কোর্ট খুলে সাইডে রাখে, টাই খুলতে নিলেই রিমান রুহিকে জরিয়ে ধরে তার পাশে শুয়িয়ে দেয়।
রুহি,,,,,,,রিমান ছাড়ো আমাকে কি করছো।
রিমান রুহিকে জরিয়ে ধরে বলছে,,,,, আমার কাছে আসবে না, দূরে সরো আমার কাছ থেকে,, আমি তোকে ঘৃণা করি, আমার পাশে তোকে সহ্য করতে পারি না। আমার কাছে আসবি না। (চোখ বন্ধ করে, রুহিকে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে)
রুহি,,,,,,,,,,, আচ্ছা, আমাকে যখন এতোই ঘৃণা করো, তাহলে আমাকে এমন শক্ত করে জরিয়ে ধরে আছো কেনো। আমাকে ছাড়ছো না কেনো।
রিমান চোখ খুলে তাকায়, রুহির দিকে এক নজরে তাকিয়ে আছে।
,,,,,,,,,তুই আমার এতো কাছে কেনো, দূরে যা আমার থেকে,, তুই আমার এতো কাছে, আমার একদম ভালো লাগছে না, তোকে কিস করতেও ইচ্ছে করছে না।
,,,,,,,,,, তাহলে ছাড়ো আমাকে, কিস করো না।
,,,,,,,,,তোকে কে কিস করবে,, করবো না তোকে কিস। (বলে রুহির ঠোঁটের দিকে এগোতে থাকে)
,,,,,,,,,, রিমান ছাড়ো আমাকে (ভয়ে)
রিমান রুহির ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে দেয়, রুহিকে কিস করতে থাকে,, রুহি রিমানকে আটকাতে গিয়েও পারে না। কিছু ক্ষন পরে রিমান রুহিকে ছেড়ে দিয়ে বলে,,,,,তোর এতো বড় সাহস আমাকে কিস করেছিস। কেনো করলি আমাকে কিস,আমি বলেছিনা তোকে আমি ঘৃণা করি।
,,,,,,,,যাক বাবা আমি কি করলাম।
,,,,,,,,তুই অনেক কিছু করেছিস,তোর কারনে আমি সব কিছু হারিয়ে ফেলেছি, আমার জীবন এতো কঠিন এর কারন ও তুই। আমার সব কষ্টের কারন তুই। (বলে ঘুমিয়ে যায়)
,,,,,,,,,,, মানে,,, মনে হয় নেশাটা বেশি হয়ে গেছে।
রুহি উঠতে নেয় কিন্তু পারে না, রিমান রুহিকে শক্ত করে ধরে আছে। রুহি যতো ছুটাতে চাই ততোই আকড়ে ধরে। তাই রুহি সেখানেই শুয়ে থাকে।
সকালে,,,,,,,,,
রিমান রুহির এক বিছানায় ঘুমিয়ে আছে। রিমান ঘুমের মধ্যে রুহির উপর পা উঠিয়ে দেয়। কিছু ক্ষন পরে রুহিকে কোল বালিশ মনে করে রুহির পিঠের উপরে শুয়ে পড়ে। নিজের উপর ভারি জিনিস উপলব্ধি করে রুহির ঘুম ভেঙে যায়। রুহি ঘাড় একটু ঘুরিয়ে দেখে রিমান তার উপর ঘুমিয়ে আছে। রুহি নড়াচড়া করতে পারছে না।
রুহি,,,,,,, রিমান আমার উপর থেকে উঠো, আমি নিশ্বাস নিতে পারছি না। (জোরে)
রিমান,,,,,,,,, একি আমি রুহির আওয়াজ কোথা থেকে পাচ্ছি। (চোখ বন্ধ করে)
রুহি,,,,,,,,,চোখটা একটু খুলে দেখো আগে।
রিমান আস্তে আস্তে চোখ খুলে দেখে সে রুহির পিঠের উপর শুয়ে আছে৷
রিমান,,,,,,,,, এখন তুই আমার স্বপ্নে এসে জ্বালাচ্ছিস আমাকে।
রুহি,,,,,,,, এটা স্বপ্ন না বাস্তব।
,,,,,,,, হুমম বাস্তব,,, এতো সকালে তুই আমার বিছানায়, আমার সাথে এভাবে শুয়ে আছিস, এটা বাস্তব অসম্ভব।
,,,,,,,,,আরে আগে আমার উপর থেকে সরো, তারপর বাস্তব অবাস্তব বিচার করো, কতো ভারি তুমি আমার জান চলে গেলো।
রুহি ছুটার জন্য ছটফট করতে থাকে, রিমান রুহির উপর থেকে সরে উঠে বসে। রুহিও উঠে বসে।
রুহি,,,,,,,,, এভাবে কেও কারো উপর উঠে শুয়। মানুষ মানুষের উপর পা উঠায়, তুমি তো পুরো বডি উঠিয়ে দিছো, বিয়ের পর না জানি কি হবে।
,,,,,,,,,,সব কিছু বাস্তবের মতো কেনো লাগছে। (হালকা ভয়ে)
,,,,,,,,,, কারন এটা বাস্তব। (রিমানকে চিমটি দিয়ে)
,,,,,,,,,,,, আউ,,,, আমি স্বন দেখছি না,,, এই সকাল সকাল তুই এখানে কেনো,, আমার বিছানায় কি করছ।
,,,,,,,,,তোমার কিছু মনে নাই।
,,,,,,,,,, শুধু এতো টুকু মনে আছে, আমরা পার্টিতে গেছিলাম, পরে আহানের সাথে কথা বলছিলাম, পরে মনে নাই।
,,,,,,,,,, তোমার নেশা হয়ে গেছিলো,, তারপর যা করলে,, আমি অনেক কষ্টে তোমাকে বাসায় নিয়ে আসছি।
,,,,,,,,,, হ্যাঁ তা তো বুঝলাম,,কিন্তু তুই বাসায় যাসনি কেনো, এখানে আমার বিছানায় কেনো।(ভয়ে)
,,,,,,,,,,তুমি আমাকে যেতে দিয়েছো নাকি, জোর করে,,
পুরো কথা শেষ না হতেই রিমান রুহিকে ধরে বলে,,,,,,,জোর করে কি।
রিমান চোখে মুখে স্পষ্ট ভয়ের ছাপ দেখা যাচ্ছে। রুহিও রিমানকে দেখে মজা নেওয়ার চিন্তা করে।
,,,,,,,আমি আমার মুখে কিভাবে বলবো, জোর করে কি কি করেছো। (কান্না কান্না ভাব নিয়ে)
,,,,,,,,,,,, কি কি করছি।
রিমান নিজেকে ভালো করে দেখে তারপর রুহিকে দেখে বলে,,,,,,,জামা কাপড় তো ঠিকি আছে।
,,,,,,,,,,,, শুধু ঐটা ছাড়া সব কিছু করে ফেলেছো, ৫০% রেখে বাকি ৫০% করে ফেলেছো, আল্লাহ এই মুখ আমি কাকে দেখাবো (কান্নার অভিনয় করে)
,,,,,,,,,,, মা মা মানে, আমি কি তোকে টার্চ করেছি ।
,,,,,,,,,কি বলবো কোথায় কোথায় টার্চ করেছো, এখন আমার কি হবে।
,,,,,,,,,, হোয়াট,,, আম সরি, আম রেলি সরি,,, এটা আমি কি করলাম, তুই এক কাজ কর আমার উপর পুলিশ কেছ করে দে। এটা আমি কিভাবে করলাম। (নিজের উপর রাগ দেখিয়ে)
,,,,,,,আরে আমাকে বিয়ে করে নাও, তাহলেই হয়।
,,,,,,,,,আমি তোর যোগ্যই না,, আমি তোর কেনো কারো যোগ্য না, আমার শাস্তি হওয়া উচিত, নিজের উপর কন্ট্রোল রাখা উচিত ছিলো। দাঁড়া যে আমি নিজেই পুলিশকে ফোন করছি। (মোবাইটা হাতে নিয়ে)
রুহি তাড়াতাড়ি রিমানকে আটকায়, আর তাড়াতাড়ি বলে,,,,,,আরে আমি তো মজা করছিলাম, তুমি শুধু আমাকে জরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে গেছিলে আর,,, (থেমে যায়)
,,,,,,,,আর
,,,,,,,,, আ আর কিছু করো নি।
,,,,,,,,তাহলে এতো ক্ষন যে তুই বললি।
,,,,,,,,,,, মজা করছিলাম তোমার কিছু মনে, নেয় বলে।
,,,,,,,,,,,এটা কোন ধরনের মজা হুমম,,,তুই বুঝতে পেরেছিস কি বলেছিস তুই,, এটা বলার আগে লজ্জা করেনি। এটা কতোটা খারাপ হতে পারে একটা মেয়ে হয়ে বুঝিস না ইস্টুপিট,,,, এটা নিয়ে কেও মজা করে (রাগে চিৎকার করে)
রুহি মন খারাপ করে বসে, মাথা নিচু করে চুপচাপ রিমানের বকা শুনতে থাকে।
রিমান,,,,,,,,, ইচ্ছে তো করছে তোকে দেয় এক থাপ্পড়,, নিজেকে কতো বড় অপরাধী মনে করে ফেলেছিলাম জানিস,,, আমার জান বেরিয়ে গিয়েছিলো এসব ভেবে, যে আমি তোর জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছি। খবরদার যদি এমন আর করিস।
রুহি কান্না কান্না একটা ভাব চলে আসে। রিমান রুহিকে খেয়াল করে শান্ত হয়। একটু চুপ করে বসে, তারপর বলে,,,,,,,,, আচ্ছা, যা হয়েছে তা হয়েছে, এখন এসব বাদ দিয়।
রিমান রুহির দিকে তাকিয়ে দেখে রুহি এখনো মন খারাপ করে আছে।
রিমান,,,,,,,, আচ্ছা সরি,, আমার তোর উপর এভাবে চিল্লানো ঠিক হয়নি। আচ্ছা তুই সারা রাত বাড়ি ফিরিসনি তোর মা বাবা তোকে খুঁজছে না।
,,,,,,নাহহ
,,,,,,,, কেনো।।
,,,,,,আমি রাতে তাদের ফোন করে বলে দিয়েছিল যে, আমি আহান ভাইয়ার কাছে থাকবো আজকে তোমরা কেও চিন্তা করো না।
,,,,,,,,, ওও,,এক মিনিট ওরা জানে যে, আহান বাংলাদেশে।
,,,,,,,,,, আমি অনেক দিন আগেই বলে দিয়েছিলাম।
,,,,,,,,, তাই তো বলি তোর পেটে এই কথা এখনো পর্যন্ত আছে কিভাবে। আচ্ছা যা এখন ফ্রেশ হয়ে নে, আমি নাস্তা বানাচ্ছি, তুই খেয়ে তারপরে বাসায় যা।
,,,,,,,,,, কোনো দরকার নেয়,, আমি ফ্রেশ হয়ে, তোমার জন্য নাস্তা বানাচ্ছি।
রুহি বিছানা থেকে উঠে ওয়াশ রুমে যেতে নেয়, রিমান রুহিকে ডাক দেয়, রুহি পিছনে ফিরে তাকায়, রিমান জিজ্ঞেস করে,,,,,,,,রুহি আমাদের মধ্যে সত্যি কিছু হয় নি তো৷
রুহি একটা বড়ো হাসি দিয়ে ওয়াশ রুমে চলে যায়।
রিমান,,,,,,, আরে বলে যা,এখন এই হাসির মানে আমি ধরে নিবো।
রিমান নিজেকে ভালো করে চেক করে,,, নিজেকে চেক করে বলে,,,,,,, না না কিছু হয়নি।
চলবে,,,,,,,