#শান্তি_সমাবেশ
#সাইয়্যারা_খান
#পর্বঃ৩৩
সকালে উঠে নিজের বুকে কারোর মাথার অস্ত্বিত্বের টের পেলো মৃত্তিকা। না চাইতেও ঠোঁটে হাসি ফুটে উঠে তার কিন্তু তা নিভতেও সময় নেয় না। মনে পরে সে বাবা’র বুকে ঘুমিয়েছিলো কিন্তু আপাতত দৃশ্যটা উল্টো। পূর্ণ তার বুকে মাথা গুজে ঘুমাচ্ছে। নিশ্চিত ঘুমন্ত অবস্থায়ই তাকে আনা হয়েছে এখানে। বাবা’র উপর অভিমান ও জমলো। মৃত্তিকা চেয়েছিলো একদিন বাবা’র কাছে থাকবে।
বাইরে মৃদু ছন্দে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ডিসেম্বরের শীত’কে নিজের সঙ্গীনি করেই এনেছে নাহলে এতটা ঠান্ডা কেন লাগছে? হাত বাড়িয়ে পূর্ণ’র পিঠে থাকা কম্বলটা টেনে একদম ঢেকে দিলো ঘাড় পর্যন্ত। চুলের ভাজে গলিয়ে দিলো নিজের আঙুলগুলো। এতে হয়তো পূর্ণ’র ঘুম হালকা হলো। গাঢ় ভাবে জড়িয়ে নিলো তার মৃত্ত’কে। ঘুম জড়ানো কন্ঠে বললো,
— উমম মৃত্ত নড়ে না।
মৃত্তিকা’র যেন শ্বাস নিতে কষ্ট হলো। এই সিনিয়র ভাই এভাবে কথা বললে তার মন দুয়ারে কিছু একটা ভেঙে যায়। একদম চুরমার হয়ে যায়। যতশত অভিমান সব উবে যায়। মুখটা তুলে ও আবার তা নামিয়ে নিলো মৃত্তিকা। ঘড়ির কাটা তখন আটটার দিকে। তার পরিক্ষা শেষ হলো গত পরসু। মৃত্তিকা’কে তবুও আজ ভার্সিটি যেতে হবে। স্বেচ্ছাসেবী’র খাতায় নাম লিখিয়েছে ও। আজ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে। যদিও সেটা বিকেলে। কিন্তু এখন উঠা দরকার ওর। গতকাল অনেক আগেই ঘুমানো হয়েছিলো। সবাই বলে চা খেলে নাকি ঘুম কেটে যায় অথচ মৃত্তিকা, সে চা খেয়েও নগদে ঘুমাতে পারে। তাই তো গতরাতে চা খাওয়া সত্ত্বেও তাকে যে এভাবে পাচার করা হলো তা টের পেলো না। পূর্ণ’কে পুনরায় সরিয়ে উঠতে নিলেই এবার ঝাপ্টে নিলো পূর্ণ। নিজের অল্প সল্প দাঁড়ি যুক্ত গালটা ঘঁষে দিলো মৃত্তিকা’র গলায়। অল্প স্বরে গুঙিয়ে উঠে মৃত্তিকা। পূর্ণ চোখ খোলার আপ্রাণ চেষ্টা করে। অল্প করে তাকিয়েই ঘুমু কন্ঠে শুধায়,
— ক্লিন করে রাখব। তাহলে আর আপনি ব্যাথা পাবেন না।
— না! একদমই না!
কিছুটা জোরেই বলে মৃত্তিকা। হঠাৎ এহেন কথায় পূর্ণ’র ঘুমটা পুরোপুরি ভাঙে। আশ্চর্য স্বরে বলে,
— কি? দাঁড়ির জন্য আপনার স্কিনে দাগ পড়ে যাচ্ছে।
— পড়ুক।
কিছুটা জড়তা পূর্ণ স্বরেই মৃত্তিকা কথাটা বলে। চোখে হাসে পূর্ণ। দুই হাতে পেঁচিয়ে নেয় নিজের কাছে। বুকটার উপর তুলে বলে,
— দাঁড়ি ভালো লাগে?
— হু।
— আমার আর কি ভালোলাগে?
— বুক।
— আর?
— সম্পূর্ণ পূর্ণটাকেই আমার ভালো লাগে।
— খারাপ লাগে না কিছু?
— লাগে তো। যখন ধমকান আবার ঐ দিন মুখ চেপে ধাক্কা দিলেন। তখন অনেক খারাপ লেগেছিলা।
— রাগ হয়েছিলো?
— উহু। বললাম না সম্পূর্ণ আপনিটাকে ভালো লাগে আমার। নিজের নিজের লাগে। আমি যেমন নিজের ভালো খারাপ সবটা মিলিয়ে হলেও নিজেকে ত্যাগ করতে পারব না তেমনি আপনার ভালো খারাপ সবটাই আমার নিকট সমান।
— বড় হয়েছেন আপনি মৃত্ত। শুরুর পাওয়া সেই নাদান মৃত্তটা বড় হলো কিভাবে?
— পূর্ণ নামক সিনিয়র ভাই পেয়ে।
কথাটা বলেই হেসে ফেললো মৃত্তিকা। পূর্ণ ও হয়তো হাসলো। চুলের পেছনে হাত দিয়ে মাথাটা নিজের কাছে ঝুঁকিয়ে আনতেই মৃত্তিকা ফট করে বললো,
— ব্রাশ করি নি।
— আমিও।
অপেক্ষা করতে হলো না। গভীর চুমু খেলো পূর্ণ মৃত্তিকার কপালে। মৃত্তিকা’কে ছাড়তেই ও ওয়াসরুমে ঢুকে পরলো। পূর্ণ’র ঠোঁটে লেগে আছে হাসি। এত কেন আদুরে তার মৃত্তটা?
_________________
বরাবর শোয়েব মির্জা বসা পূর্ণ। হাতে তার পানির বোতল। সেখান থেকেই চুমুক বসালো। সাফারাত এগিয়ে এসে জুসের গ্লাসটা ওকে দিয়ে বললো,
— জুস খা পূর্ণ। কফি আনাব?
তাচ্ছিল্য হাসে পূর্ণ। শোয়েব মির্জা বরাবর দৃষ্টিপাত করে জানতে চায়,
— দ্বিতীয় বার এই তলবের কারণ?
— পিছু হটো পূর্ণ।
— যদি না বলি?
— ভালো হবে না।
— আমার কোন বা** ছিড়তে পারেন আমিও দেখতে চাই।
সাফারাত কথা কাটে,
— পূর্ণ মুখ খারাপ করতে নিষেধ করে নি?
— তোর কথায়?
— তুই না ভয় পাস।
কিছুটা দমলো হয়তো পূর্ণ। কারণ তার জানা নেই, তবে কবর, মৃত্যু এসব তাকে পীড়া দেয়। ভিষণ ভাবে কষ্ট দেয়। না চাইতেও কি জেনো মনে পরে তার। ঐ যে সাফারাত একদিন বললো বিচ্ছুর কথা। সেটা ভাবতেও তার গায়ে কাটা দেয়। তাই তো ইদানীং মুখটা কমই খারাপ করে সে। যদিও এতে বেশ কষ্ট হয়। গালি তার জিহ্বার আগায় থাকে৷ রেগে গেলেই যেন তা বেরিয়ে আসে। অতি রাগের বশবর্তী হয়ে এই পর্যন্ত দুইবার মৃত্তিকা’র সামনেও গালি উচ্চারিত হয়েছে তার দ্বারা।
সাফারাত ওর বাবা’র দিকে তাকিয়ে শান্ত গলায় বললো,
— আব্বু। পূর্ণ’কে ডাকতে বলেছো ডেকেছি। ও এসেছে। যা বলার বলে শেষ করো। বেরুব আমি। কাজ আছে।
শোয়েব মির্জা মাহিন মিয়া’কে কিছু ইশারা করতেই তিনি বড় বড় দুটো ব্রিফকেস এনে পূর্ণ’র সামনে রাখে। পরপর তা খোলা হয়। ব্রিফকেস ভর্তি টাকা। পূর্ণ চোয়াল শক্ত করে কিন্তু রিএক্ট করে না। সাফারাত কিছুটা অবাক হয় বটে। পূর্ণ’র মতো ছেলে এখনও বসে থাকার নয়। গালির সাথে হাত চালানোর মতোই পুরুষ সে। তবে হাসি মুখ শোয়েব মির্জা’র। পূর্ণ কিছু বলছে না মানে সে রাজি। টাকা সবাই’কে হার মানায়। গলা খেঁকান তিনি। সশব্দে দম্ভের সহিত বলা শুরু করেন,
— ঐ সব রাজনীতি বাদ দাও পূর্ণ। পড়াশোনা শেষ, চাকরিতে মন দাও। দুটো কোচিং আছে তা সামলাও। শুনেছি বউ এনেছো। একদিন নিয়ে এসো। দাওয়াত রইলো। এখানে যে টাকা আছে তা ব্যাংকে রেখে অনায়াসে বউ পালতে পারবে। যদিও শুনলাম মেয়ের বাবা যথেষ্ট বিত্তশালী।
একনাগাড়ে কথাগুলো বলেন শোয়েব মির্জা। পূর্ণ আচানক তাকে অবাক দিয়ে জিজ্ঞেস করে,
— কত আছে এখানে?
— আশি লাখ। আরো লাগবে? লাগলে বলো।
— বিনিময়ে কি চাই?
— রাজপথ ছাড়।
— যদি এখনও বলি না?
— তবে ভয়ংকর কিছুর জন্য প্রস্তুতি নাও রওনাফ ওয়াহাজ পূর্ণ।
পূর্ণ উঠে দাঁড়ালো। এদিক ওদিক ঘাড় নাড়িয়ে অলস ভঙ্গিতে বললো,
— সন্ধ্যায় কর্মসূচী আছে আমার। আপাতত আর সময় দিতে পারলাম না।
একবার সাফারাত’কে পরখ করে নিয়েই আবার জানালো,
— বউ পালা অন্তত আপনার থেকে শিখতে হবে না।
কথাটা বলেই বড় বড় ধাপ ফেলে পূর্ণ। পেছন থেকে শুনা গেলো শোয়েব মির্জা’র ঠাট্টা,
— দেখি কতদিন থাকে তোমার এই বাবুই পাখি। খাঁচার দরজা খুলো। উড়াল দিবে এখনই।
পূর্ণ ঘুরে দাঁড়ালো। ভয়ংকর চাহনি দিয়ে হুংকার ছাড়লো,
— কু*ত্তার বাচ্চা ওনার দিকে নজর দিলে….
সাফারাত দৌড়ে এসে আটকে নিলো পূর্ণ’কে। এক প্রকার টেনে হিঁচড়ে বের করলো। বাইরে আসতেই সাফারাত’কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো পূর্ণ। চোখ গরম করে তাকিয়ে বললো,
— দূরে থাক।
— পূর্ণ শোন।
— একদম কাছে ঘেঁষবি না। জানে মে’রে দিব রাত!
সেই “রাত”। না চাইতেও পূর্ণ’র মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে। সাফারাত টলমলে চোখে তাকায় অথচ ঠোঁটে হাসি। পূর্ণ রাগে ফুঁসছে তখনও। সাফারাত এগিয়ে এসে ঠান্ডা হয়ে বলে,
— তোর ভেতর বাহির এক না পূর্ণ। আজও তোর কাছে সাফারাত না বরং রাত হয়েই আছি অথচ তুই মানতে নারাজ।
— রাত নামক বন্ধু’কে আমার হৃদয় মৃত ঘোষণা দিয়েছে বহু আগে।
— নিজের না করা ভুলের শাস্তি আর কত পাব পূর্ণ?সেদিন আমিও মরলে বুঝি ভালো হতো।
পূর্ণ’র র*ক্ত ছলকে উঠে। মনে পরে ভয়ংকর কিছু সত্য। কখন যে সাফারাত তাকে জড়িয়ে ধরে টের পায় না পূর্ণ। খেয়াল হয় না কখন নিজেও অজান্তে আঁকড়ে ধরেছে সাফারাত’কে। সাফারাতে’র মলিন কন্ঠে শুনা যায়,
— একটা দিন দে আমাকে আমাকে। ভেতরে র সেই পাগল আমি যে আজও ভালো হলাম না।
— দিব।
______________
এক সারিতে দাঁড়িয়ে আছে সবাই একই রঙের টিশার্ট পড়ে। তাদের মধ্যেই একজন মৃত্তিকা। পরিহিত হাটু সমান গোল টপটার উপরে ঢোলা একটা সাদা টিশার্ট তারও পরণে। ফ্রী সাইজ হওয়াতে একদম ঢোলা হয়েছে তার। যদিও সে একদম ফিনফিনে না তবে চিকন। সামনেই তাদের দুইজন ইনসট্রাক্টর বলে দিচ্ছে কারা কোন দিকে যাবে আর বিতরণ ই বা কিভাবে করবে। মৃত্তিকা মনোযোগ সহিত শুনে যাচ্ছে। পেছন থেকে উজ্জ্বল খোঁচা দিয়ে বললো,
— কিরে মৃত্তি তোর জামাই কই?
— আজব আমি কি জানি?
— তুই না জানলে কে জানবে? ভাইরে ফোন দে।
— চুপ থাক। এখন বের হব। তাকে কল দিব কেন?
হিমু পেছন থেকে উজ্জ্বলের কাঁধে উঠার চেষ্টা করতেই উজ্জ্বল একটানে ওকে পিঠে চড়িয়ে নিলো। হিমু ওর গলা জড়িয়ে ধরে বললো,
— দোস্ত আজকে তোর পিঠে চড়ে আমি স্বেচ্ছা সেবকের কাজ করব।
— হ্যাঁ হ্যাঁ কেন নয়? সারাদিন ঐ রুপার পিছনে ঘুরবা এরপর রাতে তোমার অঙ্গে অঙ্গে ব্যাথা হয়। শালা দূরে থাক আমার থেকে।
হিমু নাছর বান্দা। নড়লো না। উজ্জ্বল গা ঝাঁড়া দিয়েও লাভ হলো না। ওদের দেখে কুটকুটিয়ে হাসছে সোহানা। মৃত্তিকা ও হেসে যাচ্ছে। সোহানা পিন্চ মে’রে বললো,
— কোথায় আমাদের মৃত্তি থাকবে পূর্ণ ভাইয়ের কাঁধে সেখানে কি না এই হিমু উজ্জ্বলের কাঁধে?
উজ্জ্বল এবার জোড় করই হিমু’কে নামালো৷ হিমু হাসতে হাসতে ওদের ঠেলছে সামনে যেতে৷ উজ্জ্বল এবার থাবা বসালো ওর পিঠে। গরম স্বরে বললো,
— এই ল্যাকল্যাকা শরীর নিয়ে শালা আমাকে ঠেলে। যা সামনে যা। তোর সাথে হুরোপাসরি করতে গিয়ে ঘেমে যাচ্ছি।
— এমন বন্ধু পাবি তুই? এই শীতের রাতে তোর বউ নেই অথচ আমি গরম করে দিলাম তোকে।
–ছিঃহ শালা অশ্লীল।
উজ্জল গটগট করে হেটে সামনে গেলো। পেছন থেকে শুনা গেলো তার কন্ঠ,
— মৃত্তিকা, সোহানা সামনে আয়।
একে একে সবাই কাজে লেগে গেল। মৃত্তিকা তো অবাক তখন হলো যখন কানে এলো ভাসা ভাসা খবর, পূর্ণ এসেছে।
এই ভার্সিটির স্বেচ্ছাসেবী কাজের হেড হলো পূর্ণ। যদিও তা পূর্ব তাদের ডিপার্টমেন্টেরই একজন শিক্ষক ছিলো কিন্তু গত দুই বছর ধরে পূর্ণ করে যাচ্ছে। ডিপার্টমেন্টের হেড তাকে এই দায়িত্ব দিয়েছিলো। সবাই জানত এবার পূর্ণ আসবে না। এমপি পদে আসন্ন পূর্ণ ভাই যে ছাত্র দল ছাড়েনি তা শুনা গিয়েছিলো কিন্তু তা যে সত্যি সত্যি তা জানতো না। পূর্ণ নিজে রাস্তায় নেমেছে। হাতে হাতে সবটা কাজ করে যাচ্ছে। এই দিকে এখনও আসে নি। অন্য এরিয়াতে আছে। মৃত্তিকা’র বুকটা ধুকপুক ধুকপুক করছে। তার পুরুষটা এখানেই আছে। আশেপাশে।
উজ্জ্বলের ধাক্কাধাক্কিতে মৃত্তিকা পাতলা কম্বলটা হাতে তুলে সামনে হাটা দিলো৷ ফুটপাতে সুন্দর একটা ফুটফুটে বাচ্চা বসে আছে। সামনে একটা প্লেট। মায়া হয় মৃত্তিকা’র। হাতের কম্বলটা বাচ্চাটাকে দিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
— আম্মু কোথায় তোমার?
— মা নাই।
— আব্বু?
— ঐ পাশে আছে। আরো অন্ধার হইলেই নিতে আইব।
— ভয় পাবে না তুমি?
— আমি রাস্তায় ই থাকি। আরো আছে।
খারাপ লাগে মৃত্তিকা’র। পুনরায় কাজে লেগে পরে। এই লাইনের কাজ শেষ। সামনে যেতে নিলেই হঠাৎ গলি হতে কেউ তার বাহু টেনে অন্ধকারে টেনে দিলো। ভয়ে চিৎকার দেয়ার সুযোগ টুকুও পেলো না মৃত্তিকা। পূর্ণ তার মুখ চেপে ধরে বললো,
— আমি মৃত্ত। চিল্লায় না৷
দম নিলো মৃত্তিকা। অবিশ্বাস্য চোখে তাকায়। পূর্ণ চোখে চোখে তাকায়। মাস্কটা খুলে টুপ করে একটা চুমু খেল মৃত্তিকা’র নাকে। পকেট থেকে একটা কান টুপি বের করে ওকে পরাতে পরাতে বললো,
— বলেছিলাম না কান ঢেকে রাখতে? ঠান্ডা কতটা হুস আছে।
— মনে ছিলো না।
— আচ্ছা। আমি এইদিকে আছি। ঐ দিকের কাজ শেষ। এদিক হলেই বাসায় ফিরব। রাস্তার মোড়ে থাকবেন।
— আচ্ছা।
— যান।
মৃত্তিকা পা ঘুরালো। মনটা তার ফুরফুরা হয়ে গেল। যখনই তার মনে হয় পূর্ণ আদর কম দিচ্ছে তখনই সিনিয়র ভাইটা তার নিকট আসবে অতঃপর তাকে উলোট পালোট করে দিয়ে যাবে।
.
প্রায় ঘন্টা খানিক পরই কাজ তাদের শেষ হলো। পূর্ণ এলো আরো আধ ঘন্টা পর। দলবল বিদায় দিয়ে এসেছে। ওকে আসতে দেখেই উজ্জ্বল আর হিমু সরে দাঁড়ালো। হিমু সোহানার দিকে তাকিয়ে বললো,
— একা যেতে তো পারবি না। চল এগিয়ে দিয়ে আসি।
পূর্ণ’কে বিদায় জানিয়ে ওরা চলে যেতেই পূর্ণ মৃত্তিকার হাতটা মুঠোয় পুরলো। গালে একটু হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো,
— টায়ার্ড?
— ততটাও না। ইনজয় করেছি।
— সামনে আরো হবে।
কথাটা বলেই নিজের একপাশে জড়িয়ে নিয়ে হাটা দিলো সামনে। আন্দোলিত হলো মৃত্তিকা’র হৃদয় খানা। পূর্ণ ওকে গাড়িতে তুলতে তুলতেই বললো,
— আব্বু’কে বলেছি আসছি আমরা। ডিনারে অপেক্ষা করছে।
— আমরা থাকব কি?
— না।
— প্লিইইইজ না?
পূর্ণ গাড়ি চালাতে একটাবার দেখে নিলো তার আহ্লাদী মৃত্তটাকে। দিন কে দিন তার আবদার কমছে না বৈ বেড়েই যাচ্ছে।
#চলবে…..