সে আমার অপরাজিতা পর্ব-১৭

0
260

#সে_আমার_অপরাজিতা
#পর্ব_১৭
#সারা মেহেক

সুফিয়া বেগম বললেন,
” ঘটনার এক বছর হয়ে গিয়েছে বিন্দু। কবে মেনে নিবি সব?”

কথা বলতে বলতে বিন্দুর দু চোখে মুক্তোর ন্যায় নোনাজল চকচক করলো। সে বললো,
” কিভাবে মেনে নিবো খালা? গত বছর আজকের এই দিনে প্রথম যখন বাবার লা’ শ দেখি তখন নিজের চোখকে বিশ্বাস করাতে পারছিলাম না আমি। ওরা শেষ বারের মতো আমার বাবার সাথে কথা বলতে দেয়নি আমাকে। ”
বলতে বলতে সে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো। বললো,
” বারবার পুলিশকে বলেছিলাম যেনো আমার বাবার লা’ শ কা’ টা’ ছেঁ’ ড়া’ না করে। কিন্তু তারা শুনলোই না। আমার অনুরোধ তারা রাখেনি খালা। আমার বাবাকে দ্বিতীয়বার তারা হ’ ত্যা করে। এসব আমি কিভাবে মেনে নিবো খালা?”

সুফিয়া বেগম আর কিছু বলতে পারলেন না। বিন্দুর কথা ভেবে অগোচরে তিনিও নীরবে কাঁদলেন। আর কথা না বাড়িয়ে কল কেটে দিলেন তিনি। বিন্দু কিছু সময় নাহয় একা কান্না করে মনটা হালকা করুক! এই ভেবেই সুফিয়া বেগম আর কথা বাড়াননি।

বিন্দু আজ ক্লাসে যায়নি। তার পরিস্থিতি দেখে মারিয়াও আজ ক্লাসে যায়নি। কিন্তু রুমের বাকি মেয়েরা যে যার ক্লাসে চলে গিয়েছে। ফলে গণরুমে শুধু বিন্দু ও মারিয়া-ই আছে এখন।
বিন্দু বসে তার বাবার কথা ভেবে নীরবে অশ্রু বিসর্জন দিচ্ছে। বারংবার তার দৃষ্টি সম্মুখে নিজের ছোটবেলার স্মৃতি ভেসে উঠছে। মনে হচ্ছে, এই তো সেদিনই তার বাবার হাত ধরে গুটিগুটি পায়ে স্কুলে গিয়েছিলো সে। তারপর হুট করে যেনো একদিনে বড় হয়ে আবার কলেজেও চলে গেলো সে। তার বাবা সবসময় বলতো, ‘তোকে ভার্সিটিতেও এভাবে হাত ধরে নিয়ে যাবো।’
বিন্দু বাবার এ কথায় হেসে বলতো, ‘তোমার কথা শুনে মনে হচ্ছে, আমায় বিয়ে দিলে, সেখানেও হাত ধরে দিয়ে আসবে।’ তার বাবাও তার সাথে হেসে বলতো, ‘অবশ্যই দিয়ে আসবো। আমার একমাত্র মা’কে নিজ হাতে ছেলের হাতে তুলে দিবো।’
কিন্তু আফসোস, সেদিনটি আর এলো না। বিন্দু তার বাবার হাত ধরে কলেজ অব্দি পার করতে পারলেও ভার্সিটিতে আর প্রবেশ করতে পারলো না। বাবার মৃ’ ত্যু’ দিনটি কল্পনা করলে এখনও গা শিউরে উঠে বিন্দুর। কি নির্মম মৃ’ ত্যু’ টাই না জুটেছিলো তার বাবার কপালে!

বিন্দু কাঁদছে। এরই মাঝে ওয়াশরুম থেকে ফিরলো মারিয়া। বিন্দুকে কাঁদতে দেখে সে দ্রুত ছুটে গেলো বিন্দুর কাছে। গিয়েই উৎকন্ঠিত স্বরে বিন্দুকে জিজ্ঞেস করলো,
” বিন্দু! কি হয়েছে! হঠাৎ করে এতো কাঁদছিস কেনো?”

” বাবার কথা খুব মনে পড়ছে মারিয়া। ”
বলতে বলতেই মারিয়াকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো বিন্দু। মারিয়া তাকে শান্ত করার চেষ্টা করলো না। কেননা আপনজনের মৃ’ ত্যু’ র কোনো সান্ত্বনা বাণী দেওয়া সম্ভব না। যার যায় সেই বুঝে ব্যাথা।
.
বিকেলের দিকে বিন্দু তার খালার বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হলো। সকালের পর থেকে আর কান্না করেনি সে। কিন্তু সারাদিন উদাস মনে সময় কাটাচ্ছিলো।

বিন্দু ভেবেছিলো আজ বাড়ি যাবে না সে। কিন্তু দুপুরে জুবায়ের ফোন দিয়ে অনেক বোঝানোর পর সে বাড়ি যেতে রাজি হলো। বিন্দুর কারণে সন্ধ্যার পর বাড়িতে মিলাদ ও দোয়ার ব্যবস্থা করা হলো।

একা বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লো বিন্দু। মারিয়াও তার সাথে যেতে চেয়েছিলো। কিন্তু আগামীকাল সে ক্লাস করবে না বিধায় ক্লাসের নোট নেওয়ার জন্য মারিয়াকে যেতে নিষেধ করলো। মারিয়াও বিন্দুর স্বাভাবিক অবস্থা দেখে খুব একটা জোর করলো না।

সকাল থেকেই আজ আকাশের মন ভীষণ খারাপ। ধূসর কালো মেঘে ছেয়ে আছে সমস্ত আকাশ। দেখে মনে হচ্ছে এই বুঝি ঝমঝম করে বৃষ্টি নামলো। বিন্দু আকাশের অবস্থার দিকে অতোটা খেয়াল করেনি। ফলস্বরূপ তার বেখেয়ালিপনার কারণেই হয়তো বের হওয়ার বিশ মিনিটের মাথায় চারপাশ অন্ধকার করে বৃষ্টি নামলো। মেঘ বৃষ্টির আলাপনে ছেয়ে উঠলো প্রকৃতি। আকাশটা যেমন তার মেঘে ঢাকা আঁধার উপহার দিলো প্রকৃতিকে, ঠিক তেমনি বৃষ্টিও তার অস্পষ্টতায় ছেয়ে দিলো পরিবেশটা। এমন উদাসীন প্রকৃতি, গুমোট পরিবেশ দেখে বিন্দুর মনঃপীড়া যেনো আরোও বাড়লো। সে আনমনে ভেবে নিলো প্রকৃতিও আজ তার কষ্টে কাঁদছে। তার এ দুঃখপ্রদ মনকে আরোও উসকে দিতেই যেনো অটো সেই রাস্তা দিয়ে চললো, যে রাস্তায় তার বাবাকে খু’ ন করা হয়েছিলো।
সাইনবোর্ডের কাছে আসতেই জায়গাটা বেশ ভালোমতো চিনে ফেললো বিন্দু। অটোওয়ালাকে বললো,
” এখানেই রাখুন চাচা।”

বিন্দুর কথায় অটোওয়ালা চারপাশে একবার দেখে নিলেন। আশেপাশে কোথাও ঘরবাড়ির চিহ্ন নেই। তীব্র বৃষ্টিতে এ রাস্তাটাও প্রায় জনমানবশূন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন রাস্তায় একা একটা মেয়েকে নামিয়ে দেওয়া অনুচিত মনে করলেন তিনি। বিন্দুকে বললেন,
” এই বৃষ্টির মধ্যি কই নামবা মা? কোথাও তো বাড়িঘর দেহি না। ”

বিন্দু নীরবে নিশ্চুপে অগোচরে কাঁদছিলো। অটোওয়ালার কথায় সে ছোট্ট করে বললো,
” এখানেই নামবো চাচা।”
বলতে বলতে সে নেমে পড়লো। হাতে গুঁজে রাখা টাকা বের করে অটোওয়ালাকে দিলো। অটোওয়ালা চিন্তিত স্বরে বললো,
” জায়গাডা ভালো লাগতেছে না মা। সাবধানে থাইকো। ”
বলতে বলতে অটোওয়ালা চলে গেলো।

বিন্দু বৃষ্টিতে ভিজছে। আজ আর বৃষ্টির প্রতি অভিযোগ কোনো নেই। এই গা শিউরে ওঠা বৃষ্টির শীতল স্রোতে ভিজতে ভিজতে সামনে এগিয়ে গেলো বিন্দু। এই যে সেই জায়গা। সাইনবোর্ডের ঠিক পরেই এই জায়গাটা যেখানে সে তার বাবার র’ ক্ত ভেসে যেতে দেখেছিলো। বাবার র’ ক্তে জর্জরিত পুরোনো, প্রায় ছেঁড়া স্যান্ডেলের একটা রাস্তার ওপাশে পড়ে থাকতে দেখেছিলো। কলেজ থেকে ফিরতে ফিরতে এ দৃশ্য মস্তিষ্কে ভর করে নিয়ে বাড়ি ফিরেছিলো সে। এখনও ভুলভার মতো নয় সেদিনটা।

জনশূন্য রাস্তায় সজোরে চিৎকার দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে রাস্তার ধারে বসে পড়লো বিন্দু। বৃষ্টির সাথে তার অশ্রুজল মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে। অথচ এ অশ্রু দেখার মতো কেউ নেই তার পাশে। এ নিয়ে আফসোসও নেই তার। সে শুধু চেয়েছিলো জীবনের শেষ অব্দি বাবার ছায়াতলে থাকতে। কিন্তু সেই বাবা-ই তাকে দ্বিতীয়বারের মতো এতিম করে পালিয়ে যায়।
বিন্দু তার বাবার প্রতি অভিযোগ জানালো,
” আমার প্রতি কি একটুও মায়া হয় না বাবা? এই একা মেয়েটাকে দ্বিতীয়বারের মতে এতিম করে গেলে কি ভেবে? একবারও কি ভাবোনি একা এই আমিটা কিভাবে তোমাকে ছাড়া থাকবো? ”
বলতে বলতে সে রাস্তার ধারে বেড়ে উঠা ঘাসগুলো আঁকড়ে ধরে কাঁদতে থাকে।
এদিকে বৃষ্টি কমছে না একটুও। বরং প্রকৃতি যেনো আরোও রুষ্ট হয়ে চলছে। আকাশের রঙ ফিকে হওয়ার পরিবর্তে উল্টো কালো হয়ে আসছে। দূরে হঠাৎ হঠাৎ বজ্রপাতের শব্দ শোনা যাচ্ছে। মুহূর্তের মধ্যেই কাছে কোথাও সশব্দে বজ্রপাতের শব্দ শোনা গেলো। এ শব্দে চমকে উঠলো বিন্দু। কিন্তু নিজ জায়গায় অনড় রইলো সে। তার বুঝদার মনটা সহসা অবুঝ হয়ে উঠলো। পাঁচ বছরের বাচ্চার ন্যায় ভাবলো, এখানেই তার বাবা ফিরে আসবে। তার হাত ধরে পুনরায় তাদের ছোট্ট সেই নীড়ে ফিরে যাবে। কিন্তু কে তাকে বলবে, এ যে হবার নয়! এ যে একটা নিছক কল্পনা মাত্র!

অকস্মাৎ বিন্দু অনুভব করলো যে তার শরীরে আর বৃষ্টির ফোঁটা পড়ছে না। অথচ ঠিক তার সামনে দিব্যি বৃষ্টি হচ্ছে। মাথা তুলে উপরের দিকে দেখলো বিন্দু। ছাতা হাতে কাউকে দেখে খানিকটা বিস্মিত হলো। কিন্তু তার বিস্ময়ের মাত্রা বেড়ে দ্বিগুণ হলো যখন পিছে ঘুরে বৃত্তকে ছাতা হাতে দেখলো সে। বৃত্তকে দেখে বিস্মিত কণ্ঠে শুধালো,
” আপনি এখানে!”

বিন্দুর মাথার উপর ছাতা ধরে রাখতে গিয়ে বৃত্ত ভিজে জবজবে হয়ে পড়লো। সেই অবস্থাতেই হাঁটু গেঁড়ে বিন্দুর সম্মুখে বসে বললো,
” তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে এতদূর আসা। সেই সকাল থেকে ফোন দিচ্ছি তোমাকে। কিন্তু তুমি ফোন ধরছো না। আবার দুপুরের পর থেকে তো তোমার ফোনই বন্ধ পেলাম। তাই মারিয়াকে জিজ্ঞেস করলাম তোমার অবস্থা। ও তখন ঠিকানা দিলো।
কিন্তু এ রাস্তায় একা বসে কি করছো বিন্দু। সেটাও আবার এত বৃষ্টির মধ্যে!”

বিন্দু জবাব দিলো না। উদাসীন মুখভঙ্গি নিয়ে সামনের দিকে ফিরলো। বৃত্তও ছাতাসহ বিন্দুর সামনে এসে বসলো। মোলায়েম স্বরে জিজ্ঞেস করলো,
” বাড়ি যাবে না?”

বিন্দুর কান্না ধীরেধীরে থামছে। তবে অল্পবিস্তর ফুঁপাচ্ছে সে। এ পরিস্থিতিতেই সে বললো,
” আমাকে একা থাকতে দিন একটু।”

” সে সুযোগ নেই বিন্দু। আর কিছুক্ষণ পরই একদম সন্ধ্যা হয়ে যাবে। বৃষ্টির জন্য অন্ধকার চারপাশ।”

বিন্দু প্রত্যুত্তর দিলো না। বৃত্ত এবার নম্র স্বরে জিজ্ঞেস করলো,
” আংকেলের জন্য মাঝ রাস্তায় এভাবে কাঁদছো?”

বিন্দু চট করে মাথা তুললো। জিজ্ঞেস করলো,
” বাবার কথা আপনি জানলেন কি করে!”

” মারিয়া বলেছে। আজ তোমার বাবার মৃত্যুবার্ষিকী তাই না?”

বিন্দু নীরব। বাবার কথা শুনতে আবারও তার দু চোখ বেয়ে অশ্রু বন্যা বইতে শুরু করলো। তার এ কান্না দেখে ঘাবড়ে গেলো বৃত্ত। চোখের সামনে কখনো এভাবে অসহায়ের মতো বিন্দুকে কাঁদতে দেখেনি সে। সবসময় জেদি মেয়ের ন্যায় শক্ত থাকতে দেখেছে। অথচ আজ!
বৃত্ত উৎকন্ঠিত স্বরে শুধালো,
” কি হয়েছে বিন্দু! হঠাৎ এভাবে কাঁদছো কেনো?”

বিন্দু আচমকাই যেনো বৃত্ত’র সামনে ছোট বাচ্চা বনে গেলো। কেউ খেলনা কেড়ে নিলে ছোট্ট বাচ্চারা যেমন অভিযোগ করে ঠিক সেভাবে বৃত্তকে সে বললো,
” জানেন? এই জায়গা, ঠিক এই জায়গাটায় ওরা আমার বাবাকে মে’ রে ফেলে। মাঝ রাস্তায় আমার বাবাকে মে’ রে ফেলে ওরা। একটুও দয়া দেখায়নি ওরা।

বিন্দুর মুখে এহেন কথা শুনে চমকে যায় বৃত্ত। বিন্দুর বাবার যে খু’ ন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অজানা ছিলো তার। ফলস্বরূপ চমকিত স্বরে বললো,
” তোমার বাবার খু’ ন হয়েছে বিন্দু! কারা মে’ রে’ ছে তোমার বাবাকে?”

বিন্দু বৃত্তর প্রশ্নের জবাব দিলো না। বরং নিজের মতো করে পুনরায় বলতে আরম্ভ করলো,
” চোখের সামনে বাবার র’ ক্ত দেখেছি আমি। বাবার র’ ক্তে জর্জরিত স্যান্ডেলটা এ কোণায় পড়েছিলো। বাড়িতে গিয়ে বাবাকে র’ ক্তে মাখা পাঞ্জাবি পরে থাকতে দেখেছি। অথচ বাবা তখন জীবিত ছিলো না। নিঃশ্বাস নিচ্ছিলো না বাবা। তখন বাবাকে দেখে মনে হচ্ছিলো আমারই বুঝি এখন নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাবে। বাবাকে ঐ অবস্থায় দেখে আল্লাহর কাছে দোয়া করছিলাম, আমাকেও যেনো তখন উঠিয়ে নেয়। কিন্তু আল্লাহ আমার দোয়া রাখলো না। এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে আমাকে এতিম বানিয়ে রেখে গেলো আমার বাবা।”
বলেই সজোরে কাঁদতে লাগলো সে। তার এ কান্না দেখে বৃত্তর নয়নজোড়াও ছলছল করতে লাগলো। বিন্দুকে এ মুহূর্তে কি বলে সান্ত্বনা দিবে তা ভেবে পেলো না বৃত্ত। খানিকটা সময় বাদে চারপাশে অন্ধকার নামতে দেখে বিন্দুকে বললো,
” বিন্দু, তোমার সব কথা শুনবো। আগে বাড়ি চলো। এভাবে আর কতক্ষণ ভিজে থাকবে? শরীর অসুস্থ হয়ে যাবে তো।”

বিন্দু অসহায় দৃষ্টিতে বৃত্ত’র দিকে তাকালো। অবুঝের ন্যায় বললো,
” আমি আজ সারারাত এখানে থাকবো। যদি বাবা ফিরে আসে? আমাকে একা দেখে নিশ্চয়ই বাবা ফিরে আসবে। আমার হাত ধরে আমাকে বাড়ি নিয়ে যাবে।”

” এসব কি বলছো বিন্দু? যে মানুষ মা’ রা গিয়েছে সে কখনো ফিরে আসে না। তোমার বাবাও ফিরে আসবে না। ”

বৃত্ত’র কথাটা যেনো বিন্দুকে মুহূর্তেই পুনরায় বাস্তব জগতে ফিরিয়ে আনলো। পাগল পাগল হয়ে গিয়েছে সে। পুনরায় বলতে আরম্ভ করলো,
” বাবা না বলেছিলো, আমি কোনো ভার্সিটিতে চান্স পেলে আমরা একসাথে সেখানে ভর্তি হতে যাবো। সেদিনটা সারাদিন ঘুরবো। আবার বাবা বলেছিলো আমার হাত ধরে প্রথমদিন ভার্সিটিতে দিয়ে আসবে আমাকে। কিন্তু দেখুন, কি থেে কি হয়ে গেলো! যেদিন আমি প্রথম ক্যাম্পাসে পা রাখছিলাম, সেদিন পাশে বাবার অনুপস্থিতি দেখেছিলাম। কিন্তু আমি কল্পনায় আমার বাবাকে পাশে পেয়েছি। আফসোস, বাস্তবে পাইনি। কল্পনাই এখন আমার সঙ্গী।”
®সারা মেহেক

#চলবে