স্বপ্নের_crush ? (in reality) Part-15+16

0
4610

স্বপ্নের_crush ? (in reality)
Part-15+16

writer : Borno ☺
ছদ্দনামঃ Samiya Arohi
.

সবাই আরোহিকে খুজতে ব্যাস্ত হয়ে গেলো,, সামনে অর্ণবকে দেখে,
আহানঃ অর্ণব, আরোহিকে দেখেছিস?

অর্ণবঃ না, কেন?
আহানঃ ওকে খুজে পাচ্ছি না
অর্ণবঃ হোয়াট! অনুষ্ঠান ছেড়ে কোথায় যাবে? সায়র কোথায় দেখ
আহানঃ সায়র এখানেই আছে। আরোহিকে খোজ
অর্ণবঃ হুম তুই চিন্তা করিস না। আমি ওদিকে দেখছি

প্রায় ৩০ মিনিট খোজার পরও আরোহিকে পেলো না, আহানতো একেবারে ভয় পেয়েছে মনে হচ্ছে।

হঠাৎ অর্ণব অরনিকে ফোন করে আরোহি বাসায় গেছে কি না খোজ করতে,
ফোনে,
অর্ণবঃ হ্যালো অরনি
অরনিঃ জি বলেন
অর্ণবঃ আরোহি কি বাসায়?
অরনিঃ না তো আপু তো কলেজে গেছে, আপনাদের অনুষ্ঠান আছে না ( অরনির মা অরনির রুমে আসে)

অর্ণবঃ হ্যা কিন্তু ওকে কোথাও খুজে পাওয়া যাচ্ছে না
অরনিঃ (জোরে) কি আপু কে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না ???
জোরে বলায় অরনির মা পাশে শুনতে পায়
অরনির মাঃ কিহ? আরোহি কোথায়?
অরনিঃ আ….আআপুকে নাকি খুজে পাওয়া যাচ্ছে না
অরনির মাঃ ওদের বল ফুচকার দোকানগুলোতে খোজ করতে

অর্ণব এদিকে লাইনেই ছিলো, অরনির মায়ের কথা শুনে বেচারা থ ?

অরনিঃ মা ও ফুচকার দোকানেও নাই
অরনির মাঃ কিইই ? ( এবার আরোহির মা টেনশনে পড়ে গেছেন, শত হোক তার মেয়ে তো) আচ্ছা তোকে কে বললো?

অরনিঃ উম…আম… আরোহি আপুর ফ্রেন্ড ?
অরনির মাঃ ( এবার উনি অনেক চিন্তিত)

অরনিঃ ( আম্মু তো আমার রুমেই বসে পড়লো, এইবার কিভাবে কথা বলবো? ?)
অর্ণবঃ এই অরনি
অরনিঃ হ্যা,,,, হ্যা ভাইয়া বলেন
অর্ণবঃ হোয়াট ভাইয়া?
অরনিঃ না না ভাইয়া একদম চিন্তা করো না, আম্মু আমার সামনেই আছে। আমি আম্মুর খেয়াল রাখছি

অর্ণবঃ মানছি তোমার মা সামনে, কিন্তু তাই বলে ভাইয়া? ? ?
অরনিঃ ( ? আমার সিচুয়েশন না বুঝে উনি ভাইয়া নিয়ে পড়ে আছেন, কেমনটা লাগে? অনেক কষ্টে রাগ কন্ট্রোল করে দাঁতে দাঁত চেপে বললাম) ওহ আপু তুমি? আচ্ছা তাহলে আজকে রাখি আপুউউউ????

অর্ণবঃ এই আমি কি মেয়ে যে আপু বলছো?
অরনিঃ না তুমি বলদ
অর্ণবঃ ?
অরনির মা এই কথা শুনে অরনির দিকে তাকাতেই
অরনিঃ আচ্ছা খবর পেলে জানিয়ো। রাখি ( বলেই ফোন কেটে দিলাম।।। ??)
অর্ণবঃ আরেএএএ, কেটে দিলো!! ? আচ্ছা আরোহিকে খুজি,,

আহান, অর্ণব, মিতু, নিশা এবং আরো অনেকে আরোহিকে খুজছে, কম্পিউটার ল্যাব একটু সাইডে হওয়াই ওদিকে কেউ যাচ্ছে না।

আহানঃ আচ্ছা সবী সব জায়গায় ঠিক করে খুজেছো তো
– হ্যা
আহানঃ কোথায় কোথায় খুজেছো?
-হল রুম, পার্কিং লট, স্টোর রুম, ক্লাস রুম, সায়েন্স রুম
আহানঃ আর কম্পিউটার রুম?
– ওটা তো তালা দেওয়া
আহান আর এক মুহুর্ত দেরী না করে কম্পিউটার রুমের দিকে গেলো

আরোহি কখন থেকে জানালার ধারে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু কেউ আসছে না, হঠাৎ অহিকে দেখতে পায়। কিন্তু বাহিরে সায়রের লোক আছে ভেবে আর ডাকতে পারে না। তবে হাতের ব্রেসলেট খুলে নিচে ফেলে দেয়। কিন্তু আহান বুঝতে পারে না। তাই অন্যদিকে চলে যায়

আরোহিঃ ধুর এখন তো আমার কাছে আর বড় কিছু নাই ?,, ( জানালার কাছে থেকে চলে আসে)

আহানঃ (ঘুরতে ঘুরতে একটা ব্রেসলেট পায়। যদিও জানে না এটা কার তবুও উপরের দিকে তাকাতেই দেখলো একটা রুমের জানালা খোলা।) কম্পিউটার রুম তো বন্ধ, তাহলে জানালা খুললো কিভাবে?

আহান কম্পিউটার রুমের সামনে গিয়ে দেখে দরজার তালা খোলা, ( আসলে একটু আগে সায়র তালা খুলে ঢুকতে নেয় আর আহান হাজির হওয়ায় ওভাবে রেখে পালিয়ে যায়)
আহানঃ তালা না লাগানো ছিল? ( ভেতরে ঢুকে কাউকে পেলাম না, অনেক খুজলাম কিন্তু পেলাম না, কিন্তু আমার মনে হচ্ছে আরোহি এখানেই আছে)

আরোহিঃ ( সায়রের গলার আওয়াজ শুনেই আমি লুকিয়ে পড়ি কিছুক্ষন পর কেউ একজন ঢুকে কিছু খুজতে থাকে। আমি লুকিয়ে থাকি)

আহানঃ (মনের কথা শুনে কয়েকবার আরোহি বলে জোরে জোরে ডাকলাম যেন আরোহি সারা দেয়) আরোহিইই আরোওহিইইই

আরোহিঃ এটা অহি ?? হ্যা এটা অহি ( আমি বের হতেই অহিকে দেখে ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরলাম আর কাদতে লাগলাম) ??

আহানঃ (ওকে দেখে মনে হচ্ছে অনেক ভয় পেয়েছে, তাই আর কিছু জিজ্ঞেস না করে ওকে নিচে নিয়ে আসলাম)

আরোহিকে দেখেই,
মিতুঃ আরোহি তুই ঠিক আছিস?
নিশাঃ আমাদের তো অনেক টেনশান হচ্ছিল,
আহানঃ থাক ওকে পরে জিজ্ঞেস করো, এখন ও ভয় পেয়ে আছে
মিতুঃ হুম বাসায় চল
আহানঃ তোমরা যাও। আমি ওকে পৌঁছে দিবো
নিশাঃ ওকে,, বাই আরোহি
আরোহি কিছুই বললো না, ও খুব ভয় পেয়েছে
অর্ণব অরনিকে কল দিয়ে জানিয়ে দিলো যে ওকে পাওয়া গেছে

আহান আরোহিকে গাড়িতে করে আরোহির বাসায় নিয়ে যাচ্ছে
.
to be continued…… ?

স্বপ্নের_crush ? (in reality)
Part-16
writer : Borno ☺
ছদ্দনামঃ Samiya Arohi

আহান আরোহিকে গাড়িতে করে আরোহির বাসায় নিয়ে যাচ্ছে,,,, আরোহি খুব ভয় পেয়ে আছে, তাই এখনই কিছু জিজ্ঞেস করছে না। আরোহি মাথাটা সিটের সাথে লাগিয়ে বাহিরে তাকিয়ে আছে আর চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। আহান আরোহির ডান হাতটা ধরলো। আরোহিও আহানের হাত ধরলো। হুট করে আহানের কাধে মাথা রেখে কান্না করতে শুরু করে। আহান গাড়ি সাইড করে আরোহির মাথাটা বুকে জড়িয়ে ধরলো। আরোহি কান্না করছে
.
আরোহির বাসার সামনে গাড়ি থামিয়ে,
আরোহিঃ মা বাবাকে কিছু বলবেন না প্লিজ
আহানঃ আচ্ছা, তোমার চোখ মুছে নাও। যে কেউ দেখলে বুঝে যাবে তুমি কাঁদছিলে

আরোহি চোখ ভালোভাবে মুছে নিলো, বাসায় ঢুকতেই,
অরনিঃ মাাাাাাাাাাাা আপু এসেছে
আরোহির মাঃ তুই ঠিক আছিস? কোথায় ছিলি? জানিস কত টেনশনে ছিলাম।
আহানঃ আন্টি ওকে ম্যাম ডেকেছিলো, তাই আমরা পাচ্ছিলাম না
আরোহির মাঃ ওহ, আমি টেনশনে পড়ে গেছিলাম। তুমি বাহিরে কেন? ভেতরে বসো

আহানঃ না আন্টি আজ আসি, লেট হয়ে গেছে, অন্য একদিন আসবো
অরনিঃ আপনার নাম?
আহানঃ ( আরোহির দিকে তাকিয়ে) অহি
অরনিঃ ওহ

আহান চলে গেলো। আরোহি সারা রাত আজকের ঘটনা টা নিয়ে ভেবেছে, সারা রাত নিহা আর সায়রের সেদিনের কথাগুলো নিয়ে ভেবেছে আর নিঃশব্দে কেঁদেছে, কিছুতেই ঘুমাতে পারেনি৷ অরনি পাশেই ছিলো, আরোহির নাড়াচাড়ায় অরনির ঘুম ভেঙে যায়, উঠে দেখে আরোহি কেদে চোখ মুখ ফুলিয়ে রেখেছে,

অরনিঃ আপি, আমি জানি কিছু একটা হয়েছে। আমাকে বল, শেয়ার করলে মন হালকা হয় তুই ই তো বলিস। আমি কাউকে বলবো না। প্রমিস

আরোহিঃ ( অরনিকে জড়িয়ে ধরে কাদতে শুরু করি ?? নিজেকে ঠিক রাখতে আমার যে এখন সত্যি একটা ভিত্তি দরকার ছিলো)

অরনিঃ [আরোহির চোখ মুছে দিয়ে] আপু কাদিস না বল

আরোহিঃ [কাদতে কাদতে অরনিকে সব খুলে বলি, কলেজের প্রথম দিনের কাহিনী থেকে আজ পর্যন্ত সব, আমার আর অহির মিট হওয়া, আমার রিজেক্ট করা, নিহার সাথে ক্লোজ হওয়া, সায়র আর নিহার হুমকি আর কালকের ঘটনা সব। তবে আমার মনে অহিকে নিয়ে রিসেন্ট ফিলিংস গুলো বললাম না]

অরনিঃ [ এখন আপুকে কি বলবো সত্যি বুঝতে পারছি না, তবে আমি সিউর আপু ঐ অহিকে ভালোবাসে। হয়তো নিজে জানে না অথবা আমাকে বলছে না। কিন্তু এইবার যে আমি অসহায় ? আহান না অহি,, আমি আপুর সাথে কারে মিলাবো ? আমি কোন দিকে যাবো ??? ??????] আচ্ছা আপু এখন ঘুমিয়ে পড়। পরে ভেবে চিনতে কিছু করা যাবে

আরোহিঃ হুম
অরনি শুয়ে পড়ে, আরোহিও শুয়ে পড়ে কিন্তু এই ঘুম পাগলির চোখ থেকে আজ ঘুম উধাও। যে মেয়ে প্রতিদিন মায়ের কাছে ঘুম নিয়ে বকা খায় তার আজ কোনোভাবেই ঘুম আসছে না।
হঠাৎ আরোহির ফোন বেজে উঠে। ফোনটা চেক করে অনেক ভেবে একটা ডিসিশন নেয় আরোহি।

আরোহিঃ আমাকে পারতেই হবে। হ্যা, পারতেই হবে অহির জন্য
কোনো মতে রাতটা পার হয়
_____=_=______=_=_______
পরদিন অরোহিকে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে দেখে আরোহির মা অবাক হয়। কারণ যে মেয়েকে সকালে ১ ঘণ্টা ধরে ডেকে উঠাতে হয়, উঠানোর জন্য পানি ঢেলে দিতে হয় গায়ে, সে আজ ৭ টায় কিভাবে উঠলো তাও আবার উইথআউট এলার্ম!!! ?? অবশ্য উঠবে না কিভাবে? সারারাত যে ঘুম ই আসেনি ওর। চোখ মুখ ফুলে একাকার
আরোহির মাঃ আজ এতো তাড়াতাড়ি উঠে পড়লি কিভাবে? আর দেখি এদিকে ঘোর ( আরোহির মুখ আমার দিকে ঘুরিয়ে) চোখ মুখ ফুললো কিভাবে?

আরোহিঃ রাতে অরনি জালিয়েছে, ওর জন্য কালকে একটুও ঘুমতে পারিনি তাই
অরনি সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামার সময় সব শুনতে পায় কিন্তু কোনো প্রতিবাদ করে না। কারণ আরোহির মিথ্যা বলার কারণ সে জানে। আর মা এসব জানতে পারলে অনেক টেনশন করবে। তাই কিছু বলেনা।
————————–
আরোহি কলেজে যায়,
আহান বার বার আরোহির সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছে কিন্তু আরোহি ইগনোর করেছে। আহানের খুব রাগ উঠে এতে। হঠাৎ করে আহানকে আর দেখতে পায় না। আরোহির খারাপ লাগে কিন্তু আহানকে যে তার ইগনোর করতে হবে। তাই আহানকে খোজা বন্ধ করে ফ্রেন্ডদের কাছে চলে যায়।

মিতুঃ আরু কেমন আছিস?
আরোহিঃ ভালো
নিশাঃ আজকে না আসলেই পারতি
আরোহিঃ কেন? আমার তো কিছু হয় নি, আমি একদম ঠিক আছি
মিতুঃ আচ্ছা বাদ দে
আরোহিঃ হুম শোন
নিশাঃ হুম বল
আরোহিঃ মা বাবা কে কিছু বলিস না প্লিজ
মিতু ও নিশাঃ ওকে
তারপর আরোহি মিতু নিশা সবাই ক্লাসে যায়।
__________________
ক্লাস শেষে আরোহি বারান্দা দিয়ে আনমনে হেটে যাচ্ছে। হঠাৎ কেউ ওকে হাত ধরে ফাঁকা রুমে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। অন্ধকারে আরোহি দেখতেও পাচ্ছে না। কিন্তু আরোহির হার্ট বিট অনেক ফাস্ট হয়ে গেছে তাই আরোহি বুঝতে পেরেছে এটা অহি ছাড়া আর কেউ না।

আরোহিঃ অহি এসবের মানে কি?
আহানঃ [ ওর সামনে এসে ওকে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরলাম] তুমি বলো এসবের মানে কি? আমাকে ইগনোর কেন করছো? আর তোমার চোখ মুখের এ অবস্থা কেন?

আরোহিঃ কারণ আমি তোমাকে পছন্দ করি না। (চিল্লিয়ে) আর আমার কি অবস্থা তা নিয়ে তোমাকে মাথা ঘামাতে হবে না।

আহানঃ শাট আপ। আমি জানি তুমি আমাকে পছন্দ করো। আর তোমাকে নিয়ে আমি ভাববো কি না সেটা আমার ব্যাপার

আরোহিঃ দেখো আমি আর কিছু শুনতে চাই না। তুমি আর আমার সামনে আসবে না। আমি তোমার সাথে কথা বলতে চাই না। প্লিজ,, এরপর আমার কোনো বিষয়েও তুমি হস্তক্ষেপ করবে না। নয়তো ভালো হবে না বলে দিচ্ছি

আহানঃ ( অবাক হয়ে) আরোহি ?

আরোহিঃ কি আরোহি হ্যা? আমার যা যা ক্ষতি হয়েছে সব কিছুর জন্য তুমি দায়ী,, একমাত্র তুমি। আর তুমি এতোটা নির্লজ্জ রিজেক্ট হওয়ার পরও আমার পিছনে পড়ে আছো। ছিঃ…….

আহানঃ (এবার আহান মারাত্মক রেগে গেছে) [ ওর হাত দেওয়ালে চেপে ধরে] আমি নির্লজ্জ তাই না? ফাইন, এরপর থেকে আমি আর তোমার ব্যাপারে কথা বলতে আসবো না। যখন নিজের ভুল বুঝবে তখন আমার সাথে কথা বলতে আসবানা

আরোহিঃ( খুব কান্না পাচ্ছে ? নিজেকে সামলে অহিকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে তাড়াতাড়ি ওখান থেকে চলে আসি, ওয়াসরুমে এসে মুখে পানির ছিটে দিই আর কান্না করতে শুরু করি) আম সরি অহি, আমার কাছে আর কোনো রাস্তা খোলা ছিলো না ?

আহানঃ (রেগে দেওয়ালে ঘুষি দিলাম ? হাতে ব্যাথা পেয়েছি কিন্তু মনের ব্যাথাটা আরও বেশি,, রুমের কিছু ব্রেঞ্চ ভাঙচুর করে বের হয়ে গেলাম)

আরোহিঃ ( ওয়াস রুম থেকে বের হতেই আবার অহির সাথে মুখোমুখি, পাশ কাটিয়ে যেতেই দেখলাম ওর হাত থেকে রক্ত পড়ছে, তাড়াতাড়ি ওর হাত ধরে) অহি তোমার হাতে রক্ত? ?? এক্ষুনি ব্যান্ডেজ করতে হবে

আহানঃ ( আমার হাতটা ছুটিয়ে নিলাম) আমি যেমন তোমার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবো না আশা করি তুমিও আমার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না ? আর আমি কি করবো না করবো তোমাকে না ভাবলেও চলবে ? [বলেই চলে আসলাম]
.
to be continued…………. ???