#হৃদয়ে_প্রণয়ের_বাস
#পর্ব_১২
লেখনীতেঃ রোদসী রঙ্গন
দুটো বেলকনি মুখোমুখি। কিন্তু বেলকনির মানুষ দুইজন মুখোমুখি নয়। মৃধা অনেকক্ষন দাঁড়িয়ে রইল নিজ বেলকনিতে। তাকিয়ে দেখল সামনাসামনি থাকা বেলকনিটায় নিশীথ আসে কিনা । অথচ যখন অবশেষে দেখা মিলল না তখন হতাশ হলো৷ নিশীথ একটাবার তার খোঁজ করল না আর? একটাবার তার সাথে কথা বলল না আর?একটাবার দেখতে চাইল না? অথচ সে এখনো মনে মনে কেবল নিশীথের কথাই ভাবছে। এখনো আনমনে নিশীথকে দেখার জন্যই আগ্রহ নিয়ে বসে আছে৷ মৃধার মনে মনে রাগ হলো। সূক্ষ্ম জেদ নিয়ে আচমকাই রাত দেড়টার সময়েও কল করে বসল নীলাদ্রীকে। কল রিসিভড হতেই টানটান গলায় শুধাল,
“ তোর আহাম্মক ভাই কি করছে রে নীলু?”
“ আহাম্মক ভাই? তুমি কি ভাইয়ার কথা বলছো মৃধা আপু? ”
“ হু হু, ওটা ছাড়া তোদের বাসায় আর কে আছে আহাম্মক বলতো! ”
“ বোধহয় ঘুমিয়ে গেছে। এখন তো অনেক রাত। ”
“ তুই কি করছিলি এতক্ষন ফোন নিয়ে? ”
নীলাদ্রী তোতলানো স্বরে বলল,
“ আ্ আমি তো এমনিই ঘুম আসছিল না বলে মোবাইল ধরেছিলাম। ”
“ ওকে মেনে নিলাম। রাখছি কল। ”
এটুকু শেষ করেই মৃধা নিরস মুখে চাইল। বেলকনির লাইট অফ করে এককোণায় বসে থেকে নিশীথকে বার কয়েক কল দিল। অপর প্রান্ত থেকে কল তুলল না কেউই৷ মৃধা ঠোঁট উল্টে ফোনটা রেখে দিয়ে চোখ বুঝল এবারে। তারপর একমুহুর্তেই মনে হলো সে এই পৃথিবীর সবচাইতে সুখী মানুষ। সবচাইতে! এইযে যে মানুষটাকে সে ভালোবেসেছিল সে মানুষটাও তাকে ভালোবাসে এটা ভাবতেই হৃদয় দোলা দিয়ে উঠে। আনন্দের শীতল অনুভূতি বয়ে যায় ছোট্ট হৃদপিন্ডে। ধুকফুক আওয়াজ আসে অতিরিক্ত স্পন্দনে। মৃধা ঠোঁট এলিয়ে হাসল। ঠিক তখনই কল বাঁজল। নিশীথের কল ভেবে না দেখেই দ্রুত কল তুলল মৃধা। অপর প্রান্ত থেকে কেউ বলে উঠল,
“ মৃধা? আমার সাথে কি সত্যিই একটাবার দেখা করা যায় না? তবে কি আমি ভাবব তুমি আমায় ঠকিয়েছো? যাকে ভালোবেসেছো কৌশলে তাকেই বিয়ে করেছো আমায় কিডন্যাপ করিয়ে! ”
মৃধা অবাক হলো। কন্ঠটা আবিরের। তার পরিচিত। এই নিয়ে অনেকবার কল করে কথা বলার চেষ্টা করেছিল আবির। কিন্তু মৃধাই ইচ্ছে করে কল তুলেনি আবিরের। বলা চলে নিশীথের সেদিনকার রাগ দেখার পর আর ইচ্ছে হয়নি কল তুলতে। আবিরের যে দুটো নাম্বার ছিল তার কাছে সে দুটো নাম্বার থেকে কল এলে বরাবরই ইগনোর করেছে সে। কিন্তু আজকের কথা গুলো শুনে সে শুধু অবাকই হলো। বরং কৌতুহল নিয়ে জিজ্ঞেস করল,
“ কিসব বলছেন? আপনিই বিয়ে করবেন না জানিয়েছেন সেদিন আমায়।এরপরও এত বড়বড় কথা বলছেন কি করে আপনি?”
আবির বলল,
“ কারণ সেদিন আমায় কিডন্যাপ করা হয়েছিল মৃধা। প্রাণের ভয় ছিল আমার। হুমকির মুখে রেখে কল দিয়ে আমার মুখে বলানো হয়েছিল যে আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারব না। বিশ্বাস করো। ”
মৃধা তেতে উঠল। বলল,
“ কিসের বিশ্বাস! কিডন্যাপ করা এতই সহজ নাকি? জ্বলজ্যান্ত একটা মানুষকে কেউ কিডন্যাপ করবে কেন? ”
“ তোমাকে বিয়ে করার জন্য!”
মৃধা অবাক হলো। বিস্ময় নিয়ে বলল,
“ আমাকে? ”
“ হ্যাঁ, নিশীথ করিয়েছিল কিডন্যাপটা। তোমায় বিয়ে করার জন্য। তবে ভালোবেসে বিয়ে করার জন্য নয় মৃধা, চ্যালেঞ্জ জেতার জন্য। ”
“হোয়াট? ”
এবারে আবির আরো বিস্ময়কর তথ্য ছুড়ল,
“ হ্যাঁ মৃধা! আমাদের মাঝে একটা খেলা হচ্ছিল। খেলাটা এমন যে কে মৃধাকে বিয়ে করতে পারে। কে মৃধাকে বউ বানাতে পারে। ছোটবেলা থেকেই আমাদের মাঝে কম্পিটিশন চলে সবকিছুতে। কাজিন ছিলাম। এই বেলাতে এসেও চ্যালেঞ্জ নিয়ে ফেললাম।বলতে লজ্জা হচ্ছে তবে এটাই সত্য যে আমি তোমায় চ্যালেঞ্জে জেতার জন্যই বিয়ে করতে চেয়েছিলাম মৃধা। ”
মৃধা অস্ফুট স্বরে বলল,
“ কি? ”
“ এটাই সত্যি। ”
মৃধা বিশ্বাস করতে চাইল না। বলল,
“ প্রমাণ? ”
“ পাঠাচ্ছি! ”
মৃধা চাপাশ্বাস ফেলল। দুঃখে কষ্টে হৃদয় ভার হয়ে এল। চাইল না আবির প্রমানগুলো পাঠাক। অথচ তার চাওয়া না চাওয়াকে একটুও মূল্য না দিয়ে আবির দুটো কল রেকর্ডিং পাঠাল। যেখানে স্পষ্ট শোনা গেল নিশীথ যে চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল তাকে বিয়ে করে দেখাবে তা। মৃধা হতাশ হলো। অপমানে গা জ্বলে উঠল। এমন মনে হলো যেন এতোটা অপমানিত সে কখনোই হয়নি। কখনোই না। মুহুর্তেই ফোনটা রাতের আঁধারেই ছুড়ে ফেলল বেলকনির ফ্লোরে। ঠিক তখনই অপর প্রান্তে বেলকনিটার আলো জ্বলে উঠল। গ্রিলের এপাশে এসে দাঁড়াল সুদর্শন নিশীথ। মৃধা আঁধারে বসে থেকেই চেয়ে থাকল নিশীথের দিকে। দাঁতে দাঁত চিবিয়ে বলে উঠল,
“ আশা দেখিয়ে আশা ভাঙ্গলি নিশীথ। খারাপ,তুই খারাপ! ”
নিশীথ বোধহয় শুনল না। তবে অস্পষ্ট স্বর শুনে বলে উঠল,
” এই রাতে নিলুকে কল করিয়ে আমার ঘুম ভাঙ্গানোর মানে কি বেয়াদব? আমায় মিস করছিস তা বললেই তো হয়। চলে আয়, বুকে টেনে ঘুম পাড়াব। ”
মৃধা এবারে জ্বলে উঠল। হালকা চেঁচিয়ে বলল,
“ তোর এসব ফ্লার্টিং তোর কাছেই রাখ নিশীথ। আমার সাথে দেখাবি না। আমি এসব স্বস্তা ফ্লার্টিং এ গলে যাই না। ”
নিশীথ ভ্রু বাঁকিয়ে বলল,
“ স্বস্তা ফ্লার্টিং? ”
মৃধা কেঁদে ফেলল। নরম স্বরে বলল,
“ আমার এতদিন আপসোস হচ্ছিল তোর জন্য। দুঃখ করছিলাম আঙ্কেল তোকে বলির পাঠা বানিয়ে দিয়েছে ভেবে। কিন্তু খেলাটা তো আসলে তুই খেললি। বলির পাঠা তো আসলে আমি হয়ে গেলাম। আমায় নিয়ে খেললি তুই নিশীথ? কিভাবে পারলি আমায় এতোটা নিচে নামাতে? কিভাবে? ”
নিশীথ সন্দেহী চোখে চাইল। অজানা আশংকায় বলে উঠল,
“ কি বলছিস? ”
মৃধা তেত উঠল। কঠিন স্বরে বলল,
“ বোকা সাঁজবি না একদম নিশীথ। আমি জানি, সবটা জানি আমি। ভাগ্যিস জানতে পারলাম। নয়তো জানতেই পারতাম না আমি কতোটা বোকা। ”
“ কি জানিস? ”
“ এই যে তোরা দুইজন পুরুষ মানুষ আমায় নিয়ে খেললি। আমায় নিচে নামালি। এতোটা নিচে নামালি যে আমার নিজেকে ঘৃণ্য লাগছে এখন। এর মূল্য তোকেও দিতে হবে নিশীথ। দেখি নিস! ”
কথাগুলো বলেই হনহন করে নিজের ঘরে গিয়ে লাগিয়ে দিল দরজাটা। তারপর? তারপর কিছুটা সময় চল ভাঙচুর! নিজের রাগ জেদ দমাতে ঘরের সমস্ত জিনিসপত্রের উপর অত্যাচান চালিয়ে ভেঙ্গেচূড়ে অবশেষে ক্ষান্ত হলো। তারপর ক্লান্ত শরীরের একটা ঘুমের ঔষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে গেল। এই যে এই অপমানটা ভুলার জন্য হলেও তাকে এখন ঘুমোতে হবে। ঘুমানোটা প্রয়োজন। তাই তো ঘুমের ঔষুধটা নিয়ে নিল।
.
নিশীথ মৃধার ভাঙ্গচুরের আওয়াজ থামার পর থেকেই সিগারেট ফুকছে আর সমানে কল দিচ্ছে মৃধা। অথচ নিশীথ তো জানেই মোবাইলটা অবহেলায় বন্ধ হয়ে বেলকনির ফ্লোরেই পড়ে আছে। নিশীথের চিন্তা হলো। আচমকা মনে হলো মৃধা কিছু করে ফেলবে না তো? খারাপ কিছু ঘটে যাবে না তো? পরমুহুর্তেই আবার নিজেকে মানাল। মৃধা শক্তপোক্ত মানসিকতার মেয়ে। এতোটা হ্যাংলামো সে করবে না। অথচ এই সান্ত্বনাটা নিশীথের তখনই ভেঙ্গে গেল যখন ভোরের দিকে বেলকনিতে বসেই তার চোখ লেগে এল। এবং স্বপ্নে দেখা মিলল মৃত মৃধার। নিশীথের বুক আৎকে উঠল। ঘামতর লাগল এই শীতেও। তীব্র অস্থিরতায় ঘুম ভেঙ্গেই সকাল সকাল ছুটে এল মৃধাদের বাসায়। সোজাসুজি কিছু না জানিয়ে ইনিয়েবিনিয়ে মৃধার মাকে বলল ভার্সিটিতে ভোর ভোরই কিছু কাজ আছে।যেতে হবে তাদের। উনি যেন মৃধাকে একটু ডেকে দেন। মৃধার মা প্রথমে বিশ্বাস না করলেও পরমুহুর্তেই মৃধাকে ডেকে দিতে গেল। বার কয়েক দরজায় টোকা দিয়েও যখন মৃধা উঠল না তখন নিশীথ অস্বাভাবিক ভাবেই বলে উঠল,
“ আন্টি আন্টি? দরজাটা ভেঙ্গে ফেলি আন্টি? ”
মৃধার মা অবাক হলো। এমন অনেক সময়ই হয় যখন মৃধা ঘুম থেকে দেরিতে উঠে। অনেকবার ডাকা স্বত্ত্বেও ঘুম থেকে উঠে না। অথচ একবার ডাকাতেই মৃধা সাড়া দিল না বলে দরজা ভেঙ্গে ফেলাটা উনার কাছে বোকামি মনে হলো। হেসে বলল,
“ আরেহ দূর! মেয়েটা এমন করে অনেক সময়। ঘুম থেকে উঠে আটটা নয়টায় অনেক সময়। এখন তো সবে ছয়টা। তাই হয়তো। তুমি চিন্তা করো না নিশীথ। ”
নিশীথ তখনও ঘামছে। অস্থির গলায় বলল,
“ আন্টি? একটু ডেকে দেন না। আমার খুব বেশিই দরকার। একটু ডেকে দিন আন্টি। ”
মৃধার মা কি করবে বুঝে উঠল না। তবুও ডাকল। এভাবে করে তিনবার ডাকার পরই আচমকা নিশীথ অদ্ভুত ভাবে দরজা ধাক্কাতে লাগল। চিৎকার দিয়ে দুয়েকবার বলল,
“ মৃধা? শুনছিস? দরজাটা খুল মৃধা। ভালো হচ্ছে না কিন্তু! ”
ভেতরে ঘুমে থাকা মৃধার ঘুম ততক্ষনে হালকা হয়েছে।বাইরে থেকে আসা চিৎকার শব্দ আর দরজা ধাক্কানোর আওয়াজে প্রথমে ভ্যাবাচ্যাঁকা খেলেও পরমুহুর্তেই দ্রুত উঠে দরজা খুলল। ঘুমোঘুমো চোখে এদিক সেদিক চেয়ে নিশীথকে আর মা বাবাকর চোখে পড়ল। সরু চাহনিতে নিশীথের দিকে তাকাতেই আচমকা নিশীথ রেগে তাকাল।মৃধা কিছুই বুঝে উঠল না। তবে একটু পর মায়ের কথাবার্তা শুনে ঘটনার সারসংক্ষেপ টুকু বুঝতে পারল সে। মৃধার পুণরায় রাগ হলো। তাচ্ছিল্য হেসে নিশীথকে শুধাল,
” সকাল সকাল এসব কি নাটক নিশীথ? মানে এই নাটকটা আবার তোর কোন প্রয়োজনে লাগবে জানতে পারি? ”
নিশীথ কথা বলল না। নিরব দৃষ্টিতে চেয়ে রাগ ঝাড়ল যেন। পরমুহুর্তেই হনহন করে বেরিয়ে গেল মৃধাদের বাসা ছেড়ে। রাগ হচ্ছে তার। রাগে গা জ্বলে যাচ্ছে যেন। পাগলের মতো ছুটে এসেছে সে। পুরোটা রাত অস্থিরতায় কাঁটিয়েছে সে৷ অথচ এই মেয়ে তাকে কি শুধাল? সে নাটক করছে?
.
সকালের টিউশনিটা শেষ করে যখন লিয়ন হলে পৌঁছাবে ঠিক সেসময় দেখা মিলল রাহির। সে রাস্তার ধারেই দাঁড়িয়ে আছে যেন কারোর অপেক্ষায় আছেে।লিয়ন দেখেও না দেখার ভান করে হেঁটে চলে যেতে লাগল। ঠিক তখনই রাহি ডেকে উঠল,
“ লিয়ন ভাই? শুনছেন লিয়ন ভাই? ”
লিয়ন তাকাল। উত্তর না দিয়ে উপায় নেই ভেবে বলল,
“ রাহি? তুমি এখানে? ”
রাহি হাসল। লিয়নের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বলল,
“ আপনার অপেক্ষাতেই ছিলাম লিয়ন ভাই। এতক্ষন ধরে দাঁড়িয়ে আছি। আজ কি আপনার সুন্দরী ছাত্রীকে একটু বেশিই পড়িয়েছেন? ”
লিয়ন বিরক্ত মুখে বলল,
“ ছাত্রীর সাথে সুন্দরী বিশেষণ যোগ করার মানে নেই রাহি। ”
” সে তো সুন্দরীই! আপনি মানুন কিংবা না মানুন। ”
” ওহ। ”
রাহি সরুশ্বাস টেনে শুধাল এবারে,
“ লিয়ন ভাই? যাওয়ার আগে একটা দিন সময় দিবেন আমায়? ”
কথাটায় স্পষ্ট আকুতি। চাহনিতে স্পষ্ট প্রার্থনা। লিয়ন সে চাহনিতে চেয়ে কথা ঘুরিয়ে বলল,
“ এতোটা অনুভূতিপ্রবণ হওয়া চলে না রাহি। নিজেকে আরো কঠিন বানাও। ”
রাহি সে কথা না শুনে পুণরায় বলল,
“ বলুন না, একটা দিন সময় দিবেন? ”
লিয়ন হতাশ হলো। এই মেয়েটার থেকে যতোটা দূরে থাকা যায় ততোটাই ভালো। একটা দিন! গোটক একটা একসাথে কাঁটালে সে আরো দুর্বল হয়ে যাবে। না না!সে দুর্বল হতে চায় না। তাই তো বলল,
“ আজ তো সময় নেই রাহি। টিউশন আছে আমার। অন্য একদিন। ”
রাহি হাসল। বলল,
” অযুহাত দিলেন? বেশিকিছু তো চাইছি না লিয়ন ভাই, একটা দিন আপনার সাথে সময় কাঁটাতে চাইছি। সারাজীবন নাহয় ঐদিনটা স্মৃতিতে রেখে দিলাম আমি। ”
লিয়ন মুহুর্তেই ভ্রু উঁচিয়ে বলল,
” কেন? তুমি আর কখনো আসবে না এদেশে? ”
“আসব। কিন্তু আপনার আর কখনো পাব কিনা তা তো অনিশ্চিত লিয়ন ভাই। তখন হয়তো আমিও বদলাব। এতোটা অনুভূতি প্রবণ মেয়ে হয়তো তখন আর থাকব না। ”
লিয়নের বুকে অদ্ভুত ব্যাথা হলো। নিঃশ্বাস দুঃসাধ্য ঠেকল। বলতে ইচ্ছে হলো, ” সে দেশে গিয়ে বদলে যাবে নিশ্চয় রাহি? অথচ এই রাহিটা আমার বড্ড প্রিয়। তুমি প্লিজ এরকমই থেকে যেও সবসময় রাহি! ঠিক এভাবেই আমার প্রতি অনুভূতি দেখিও রাহি।”
অথচ বলা হলো না। বলতে পারল না সে..
#চলবে…