অত্যাচারী বউ
লেখকঃ আবু সাঈদ সরকার
পর্বঃ ৫
সাঈদঃ সকলের সাথে পরিচয় হওয়ার সময় এমন একজনের সঙ্গে দেখা হবে সেটা ভাবতেও পারি নি…
।
মায়াঃ শুধু আমি তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম কিছু বলার সাহস হচ্ছিলো না…
।
সাঈদঃ হঠাৎ মায়া সামনে চলে আসবে সেটা কল্পনার বাইরে কিন্তু সে এখানে কী করছে ..
এ রকম হাজারটা প্রশ্ন মাথায় ঘুর পাক খাচ্ছে…
।
।
সাঈদঃ Hi im mR: Sayed and u…
।
মায়াঃ জ্বী আমি মায়া…
।
সাঈদঃ ওকে now im leave i want to meet all for tomorrow…..
.
।
তার পরে গাড়িতে বসে এখানকার সব থেকে বড় হোটেলে আগে থেকে রুম বুক করাছিলো সেখানেই চলে আসলাম…
।
রুমে এসে বার বার বাবার কথা মনে পড়ছিলো পাচটা বছর হয়ে গেলো বাবাকে দেখি নি….
।
মনটা ছটফট করছে ওনাকে দেখার জন্য…
।
বিকেল বেলা বাবাকে দেখার উদ্দেশ্য বেড়িয়ে পড়লাম…
।
।
মায়াঃ যাকে পাচ বছর আগে কথায় কথায় ছোট লোক বলে গালি দিতাম আজ সে আমার থেকেও অনেক বড় লোক…
।
সময়ের সাথে সাথে মানুষ বদলে যায় তার বাস্তব প্রমান এটাই আচ্ছা তার মনে এখনো কী আমার জন্য জায়গা রয়েছে নাকি নেই খুব জানতে ইচ্ছে করছে..
।
কাল একবার বলে দেখলে কেমন হয়….
।
।
সাঈদঃ বাসায় এসে কলিং বেলটা বাজাতেই যেমনি দরজাটা খুলে দিলো তখনি আপনি এখানে….
।
মায়াঃ রুমে বসে কথা গুলো ভাবছিলাম তখনি কেউ কলিং বেলটা বাজালো সেটা দেখতে যখন বাইরে এসে দরজাটা খুলাম তখন যা দেখলাম…
।
মায়াঃ আপনি এখানে…
।
সাঈদঃ আমার বাড়ি আমি আসবো না তে কে আসবে…
।
মায়াঃ আপনার ঠিক যতটা বাড়ি আমারো ঠিক ততটাই….
।
সাঈদঃ Are you crazy…
।
মায়াঃ কিছু টা….
।
সাঈদঃ তখনি…
।
বাবাঃ মায়া কার সঙ্গে এভাবে কোথা বলছিস…
।
মায়াঃ আপনার আদরের গুণ ধর ছেলের সঙ্গে…
।
সাঈদঃ এই মেয়েটার অভ্যাস টা এখনো পাল্টালো না…
।
বাবাঃ সত্যি কথায় আমার সাঈদ খবরের কাগজ টা ফেলে দৌরে বাইরে এসে দরজার সামনে সাঈদকে দেখে নিজের চোখের পানি কন্ট্রোল করতে পারলাম….
।
সাঈদঃ বাবা তুমি কেমন আছো আর তোমার শরীরের এই অবস্থা কেনো…
।
।
বাবাঃ তুই কোথায় চলে গেছিলিস আমায় রেখে…
।
সাঈদঃ কিছু বলতে তার আগেই…
।
মায়াঃ বাবা আপনার ঔষধ খাওয়ার সময় হয়ে গেছে.
।
সাঈদঃ কী হচ্ছে এসব এই মেয়েটার তো আকাশ এর সঙ্গে বিয়ে হয়ে গেছে তাহলে এখানে কী করছে…
।
।
বাবাঃ এত দিন পর আমার ছেলেকে কাছে পেয়েছি তার সঙ্গে কথা শেষ হলে কিছুই খাবো না…
।
সাঈদঃ ভিতরে ডুকতেই দেখলাম বাসাটা পুরো পরিবর্তন হয়ে গেছে আমি যেমনটা দেখে গেছিলাম তার ঠিক উল্টো হয়ে গেছে….
।
।
আমি বাবাকে নিয়ে তার রুমে চলে আসলাম…
।
সাঈদঃ বাবা এই মেয়েটা এখানে কী করছে আর মাকে কোথায়ও দেখছিনা কেনো…
।
বাবাঃ তোর বউ এখানে থাকবে না তো কোথায় থাকবে…
।
সাঈদঃ আমার বউ মানে ও তো আকাশের বউ…
।
বাবাঃ কে বললো ও তোর কাছে ডিভোর্স পেপার এ সাইন করিয়ে নিচ্ছিলো ঠিকি কিন্তু সে তো আর সেই কাগজে সাইন করে নি সে আকাশের সঙ্গে বিয়েটা হয়ে যাওয়ার পর সাইন করতে চেয়েছিলো কিন্তু যখন বিয়েটাই হয় নি তখন তো সে আর ডিভোর্স পেপার এ সাইন করে নি…
।
।
সাঈদঃ তোমার কথার কিছুই বুঝলাম না…
।
বাবাঃ তার পর সাঈদকে সব কিছু খুলে বললাম….
।
সাঈদঃ ও বুঝলাম কিন্তু আমাদের বাসায় কী করছে…
।
বাবাঃ মেয়েটা ওর ভুল বুঝতে পারছে তাই তোর কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য পাচটা বছর তোকে পাগলের মতো খুজেছে কিন্তু তোকে কোথাও খুজে পায় নি…
।
সাঈদঃ ????..
।
বাবাঃ মেয়েটাকে শেষ বারের মতো একটা সুযোগ দেয় নিজের ভুলের প্রচিও করার..?
।
।
সাঈদঃ কিন্তু বাবা.. আমি কিছু বলবো তার আগেই বাবা…
।
বাবাঃ দেখ কোনো কিন্তু না মেয়েটা পাচ বছর এমন কোনো রাত নেই যে তোর জন্য কাদে নি আমি সব দেখেও কিছু করতে পারি নি…
।
মেয়েটা বাইরে যেমনটা দেখতে তার থেকেও ভিতরের মনটা খুব সুন্দর কিন্তু সেটা কেউ বুঝতে পারে না…
।
সাঈদঃ তুমি যা যা বললে সব বুঝতে পারছি কিন্তু আমার মনের মাঝে যে আগের মতো আর কোনো ফিলিংস নেই সব ফিলিংস গুলো পাথর হয়ে গেছে…
।
বাবাঃ আমার যা বলার ছিলো বাকিটা তোর ইচ্ছা…
।
সাঈদঃ আচ্ছা বাবা এখন তাহলে আসি…
।
বাবাঃ কোথায় যাচ্ছিস…
।
সাঈদঃ বাবা হোটেলে ওখানেই আমার জন্য রুম বুক করা হয়েছে…
।
বাবাঃ তুই এখানেই থাকবি কোথাও যেতে পারবি না…
।
সাঈদঃ বাবা তুমি কিন্তু এবার জেদ করছো..
।
বাবাঃ তুই আমার কথা তাহলে শুনবি না. ।
।
সাঈদঃ ধুর বাবাও না কী আর করার এখানে থাকতে হলো…
।
।
তার পর নিজের রুমে যেতেই…
যা দেখলাম…
।
সাঈদঃ মেয়েটা আমার বিছানায় পা এর উপর পা দিয়ে আরাম করে ফোন টিপছে..
।
।
সাঈদঃ আপনি আমার ঘরে কী করছেন হ্যা..
।
মায়াঃ এই ঘরটা আমার বুঝলেন বাবা আমাকে দিয়েছেন …
।
সাঈদঃ বললেই হলো সরো আমার বিছানা থেকে…
।
মায়াঃ সরবো না কী করবেন হ্যা??
।
সাঈদঃ এই মেয়েটার সাথে কথা বলাই বেকার ঘাড় তেরা মেয়ে একটা….
।
।
মায়াঃ কী বলেন আবার বলেন দেখি সাহস কতটা আপনার…
।
সাঈদঃ ঘাড় তেরা মেয়ে একবার কেনো হাজার বার বলবো…
।
মায়াঃ এত বড় সাহস আপনার এর শাস্তি তো পেতেই হবে…
।
বিছানা থেকে উঠে রুমের দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে লাইট টা অফ করে দিলাম..
।
সাঈদঃ মেয়েটা দরজাটা লাগিয়ে দিলো কেনো আর সাথে লাইট টা অফ করলো কেনো আর এভাবে আমার দিকে এগিয়ে আসছে কেনো এই মেয়ের তো দেখছি মতি গতি ঠিক লাগছে না ওমনি যা ভয় পাচ্ছিলাম তাই হলো…
।
।
চলবে