অত্যাচারী বউ পর্ব-০৭

0
1824

অত্যাচারী বউ
লেখকঃ আবু সাঈদ সরকার
পর্বঃ ৭

সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে নিজের মুখ দেখে নিজেই ভয় পায় গেছি আমার মুখটা কেউ অতৃপ্ত আত্মার মতো করে দিয়েছে রং দিয়ে এটা মায়া ছাড়া আর কারো কাজ হতেই পারে না …..


কিন্তু মেয়েটাকে তো কোথাও দেখতে পাচ্ছি না নিশ্চয়ই ভয়ে কোথাও লুকিয়ে রয়েছে…

কিছু পর আমি নিচে এসে যা দেখলাম তা তো বিশ্বাস করার মতো একদমি না মায়া আমার বাবার দ্বিতীয় স্থী মানে আমার সৎ মায়ের সঙ্গে দিবি হেসে গল্প করছে আর সাথে রান্না বান্নাও করছে কিন্তু যে মহিলা সব সময় ঝগড়া করার জন্য একটা কুলু খুজে বেড়াতো তার সঙ্গে মায়ার এত গভীর সম্পর্ক কীভাবে…

বিষয়টা প্রচুর ভাবাচ্ছে নিচে এসে রান্না ঘরের সামনে দাড়াতে আবছা আবছা শুনতে পেলাম তারা আমাকে নিয়েই কিছু বলা বলি করছে….

কিন্তু আমি তো প্রতিশোধ না নিয়ে ছাড়াবো না সোফায় বসে টিভিতে সেই লেভেলের গান লাগিয়ে দিলাম যে গুলো গানে নায়ক নায়িকা চুমাচুমি করে + other negative কাজ করে…

তার পর সাউন্ড টা জোরে বাড়িয়ে দিলাম যাতে রান্না ঘর পযন্ত শুনতে পায়…


মায়াঃ মার সঙ্গে রান্না করছিলাম তখনি খুব জোরে গানের শব্দ আসতে শুরু করলো সেটা কমাতে বলতে যখন গেলাম..।
সাঈদঃ আমি জানতাম মায়া আসবে তখনি ফোন করার ভান করে হ্যালো জানু টিভিতে নায়ক নায়িকা যেভাবে চুমাচুমি করছে সেরকম আমারো করতে মন চাইছে???

তুমি আজ বিকেল হোটেলে দেখা করো না প্লিজ.. কী বললে দুদিন পর আচ্ছা ঠিক আছে তখন কিন্তু এ রকমের একটা কিস দিতে হবে…


মায়াঃ ??????? আমি যাকে পাওয়ার আশায়,পাচটা বছর অপেক্ষা করলাম সে এমন ভাবে পাল্টে যাবে কল্পনাও করি নি…


সাঈদঃ তার পর টিভিটা বন্ধ করে বাইরে চলে আসলাম….

এভাবে কয়েকদিন মেয়েটাকে প্রচুর কষ্ট দিয়েছি যেটা কল্পনারো বাইরে….

আর না এবার সব কিছু ঠিক ঠাক করে নিতে হবে….



সাঈদঃ আবারো রাতে…

হ্যালো জানু কী করছো তো কবে করছো আমায় বিয়ে… কী বললে কাল ?? কখন এই কথাটা আগে বলতে পারতে তো…



মায়াঃ ??? প্রেমে দেখে বাচি না আমাকে কষ্ট পেতে দেখে হয়তো ভালোই লাগছে কাল ওইটা মেয়েটাকে মেরেই ফেলবো তার পর যা হবার হবে ?


সাঈদঃ বাই এখন রাখি কাল সকাল বেলা দেখা হবে…

বলেই শুয়ে পড়লাম…

জাস্ট আজকের রাতটা কষ্ট করো তার পর সব ঠিক হয়ে যাবে….


পরের দিন সকাল বেলা আমি একটু তাড়াতাড়ি বাসা থেকে বেড়িয়ে পড়লাম আমি জানতাম মায়া আমার পিছনে পিছনে ঠিকি আসবে…

মায়াঃ আমি ওনার পিছিনে লুকিয়ে লুকিয়ে ওনাকে ফলো করতে লাগলাম আজ ওই মেয়েটাকে ছাড়বো না…


সাঈদঃ একটা শপিং মলে এসে একটা ভালো দেখে শাড়ি নিয়ে একটা হোটেলে চলে আসলাম…

পিছনে তাকিয়ে দেখলাম মায়া আমার পিছনেই আছে হোটেলে বসে ফোন করার ভান করে…

কী বলছো তোমার আসতে দেরি হবে…

কিন্তু আমার হাতে ওত সময় নেই তুমি এই হোটেলে এসে শাড়িটা নিয়ে গিয়ে পড়ে কাজি অফিসে চলে আসো…

কী বলছো বুঝতে পারছি না ও বুঝতে পারছি তুমি বিয়ের আগে তোমার মুখ দেখাবা না আচ্ছা ঠিক আছে বাবা একবারে বাসরে ঘরে দেখবো কেমন….

বলেই শাড়িটা রেখে আড়ালে চলে গেলাম আমি জানি মায়া আমার পিছনেই ছিলো আর কথা গুলোও শুনতে পেয়েছে…

মায়াঃ ধুর কেনো আসলো না মেয়েটা কীভাবে চিনবো আসলে আচ্ছা একটা কাজ করলে কেমন হয় ওই মেয়েটার বদল যদি আমি শাড়িটা পড়ে বিয়েটা করে নিয় তার পর যা হবার হবে যেমন কথা তেমন কাজ শাড়িটা নিয়ে এসে কাপড় চেনজ করে কাজি অফিসে…


সাঈদঃ আড়ালে থেকে সব দেখে নিয়েছি কাজি অফিসে এসে মায়াকে উদ্দেশ্য করে চলে আসেছো তাহলে…

মায়াঃ কথা বললে তো ধরা পড়ে যাবো তাই মাথা নাড়িয়ে হ্যা বললাম…


সাঈদঃ একটু মেয়েটাকে জালাই তুমি জানো না আমার বাসায় একটা মেয়ে আছে একদম পেচার মতো দেখতে আর কী বলবো ছ্যাকা খায় খায় বেকা হয়ে গেছে ( মায়া যে রাগে ফুলে বেলুন হয়ে যাচ্ছে সেটা বুঝাই যাচ্ছে) তবুও বলে যাচ্ছি সব শেষে মেয়েটার একটা অভ্যাস কী জানো মেয়েটাকে যাকে তাকে কিস করে বেড়ায়???


মায়াঃ কথা গুলো শুনে নিজেকে কন্ট্রোল করা মুশকিল হয়ে গেছিলো তবুও অনেক চেষ্টা করে নিজেকে কন্ট্রোল করলাম .

তার মানে ওনি আমাকে নিয়ে এসব ভাবেন না জানি মেয়েটাকে আরো কী বলেছে…


সাঈদঃ তার পর বিয়েটা সেরে ফেললাম…


এর পর বাসায় আসতে আসতে…

তুমি কিন্তু বলে ছিলে বিয়ের আগে তোমার মুখ যেনো না দেখি কিন্তু বাসায় গিয়ে কিন্তু কোনো অজুহাত চলবে না আমি কিন্তু আমার কথা রাখছি…


মায়াঃ তার পর বাসায় এসে ওনি আমাকে ওনার রুমে রেখে কোথায় জানি গেলেন তার পর যখন রুমে আসলেন তখন বুকের ভিতর টা ভয়ে ধড়ফড় করতে শুরু করেছে যখন ওনি দরজাটা বন্ধ করে এগিয়ে আসছিলেন তখন আরো জোরে জোরে ধড়ফড় করতে শুরু করলো…


সাঈদঃ মেয়েটা প্রচুর ভয় পেয়ে আছি দেখছি না এবার এসবের সমাপ্তি ঘটানো দরকার…


welcome to back miss: maya…


মায়াঃ ওনার কথাটা শুনে আরো বুকের ভিতরটা ধড়ফড় করতে শুরু করছে ধড়া পড়ে গেলাম না তো…

চলবে…