অদ্ভুত তোমার নেশা পর্ব-১০

0
1052

#অদ্ভুত_তোমার_নেশা
#লেখিকা_লায়লা_আঞ্জুমান_ইতি
#পার্ট_____________১০




কুহু আর বিভোর গাড়িতে গিয়ে বসলো,বিভোর গাড়ি চালাতে লাগল,চলন্ত গাড়িতে বাহিরের হাওয়া প্রবেশ করছে আর বিভোরের চুল গুলো হাওয়ায় দুলছে, বিভোর এক মনে ড্রাইভ করেই চলেছে, কুহু বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে, হঠাৎ বিভোরের দিকে তাকালো, কুহুর মন আর চাইছে না বিভোরের থেকে চোখ সরাতে, কুহু মন বলছে থমকে যাক এ সময়, এই রাএি এই খন, আর আমার কাছে রয়ে যাক এই মানুষটা,যার দিকে তাকালে নিজেকে পরিপূর্ণ মনে হয়, যার কারণে আমার মনে প্রশান্তি আসে, যাকে দেখলে ঠোটের কোণে হাসিরা মেতে উঠে।কি অদ্ভুত তার প্রতি আমার অনুভূতি কেন এমন লাগে, সে কি গভীর ভাবে জরিয়ে যাচ্ছে আমার মাঝে।

হঠাৎ গাড়িতে ব্রেক পড়লো সাথে কুহুর ভাবনায়ও।দুজন গাড়ি থেকে নেমে ভিতরে গেল,অলমোস্ট অনেকেই এসেছে, কুহুর চোখ পড়লো বিভার দিকে, লাল শাড়িতে বিভাকে মহনীয় লাগছে।কুহু জোরে চেচিয়ে বলল,আপু………………..

বলার সাথে সাথে আশে পাশের সবাই কুহুর দিকে তাকালো, সবার তাকানো দেখে কুহু বুঝতে পারলো কি গাধীর মতো কাজ করেছে সে, কুহু জোর পূর্বক একটা হাসি দিয়ে বলল,সরি গাইস
কুহু বিভার কাছে গেল বিভা হেসে বলল,কুহু তুমি না আসলেই একটা পাগলী।কুহু বলল,বাদ দাও তোমাকে তো চমৎকার লাগছে দেখতে আকাশ ভাইয়া কই নিঘার্ত ঘায়েল হয়ে আছে।
বিভা হেসে বলল,চুপ কর কুহু। কুহু বলল,তোমার শাড়িটা খুব সুন্দর অনেক মানিয়েছে তোমাকে।বিভা বলল,আকাশ দিয়েছে।কুহু বলল,ওহো তাই বল আকাশ ভাইয়ার পছন্দ আছে বলতে হবে তাড়াতাড়ি বিয়েটা সেরে ফেলো।বিভা বলল,তোমাকে তো কম সুন্দর দেখাচ্ছে না কুহু এই শাড়িটায় বেশ মানিয়েছে তোমাকে আগে তো শাড়ি পড়তে দেখি নিই শাড়ি পড়লে কাউকে এতটা সুন্দর লাগে জানা ছিল না।কুহু বলল,বেশী বেশী হয়ে যাচ্ছে আপু।বিভা হেসে বলল,তাই তাহলে বন্ধ করে দেই।হঠাৎ আকাশ এসে বলল,কুহু। কুহু বলল,জ্বি ভাইয়া বলেন।

আকাশ বলল,ইফ ইউ ডোন্ট মাইন্ড আমি কি বিভাকে নিয়ে একটু ওদিকে যেতে পারি। বিভা বলল,না পারো না।আকাশ বলল,তুমি বললে আমি শুনবো নাকি।বলেই বিভার হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে যেতে কুহুকে বলল,পরে কথা হবে।কুহু আকাশের এমন কান্ড দেখে হাসতে লাগলো,কুহু গিয়ে এক জায়গায় বসলো, আর চারপাশ দেখতে লাগলো সবাই খুব আনন্দ করছে,কুহুর চোখ হঠাৎ বিভোরের দিকে পড়লো, বিভোর বসে কয়েক জানের সাথে কথা বলছে তাদের মাঝে আয়ান ও আছে,হঠাৎ কুহুর কাছে রিমি এসে বসলো, কুহু বলল,আপু কেমন আছেন। রিমি হেসে বলল,ভালো তোমাকে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে। কুহু মুচকি হেসে বলল,আপনাকেও খুব সুন্দর দেখাচ্ছে। কুহু আবার বিভোরের দিকে তাকিয়ে দেখলো কোণা বিভোরের কাছে গিয়ে বলতে লাগল,স্যার আপনার কিছু লাগবে।বিভোর একবার তাকিয়ে বলল,নো থ্যাংকস।বলে আবার সবার সাথে কথায় মনোযোগ দিল।

এসব দেখে কুহু আর রিমি হেসে উঠলো।রিমি বলল,বেচারী কোণা কখন থেকে স্যারের চোখ যেনো ওর দিকে পরে তার জন্য আগে পিছে হাটছে আর স্যার একবার তাকিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে বসে থাকে।রিমি আবার বলল,কুহু একটা জিনিস নোটিস করেছো।কুহু বলল,কি। রিমি বলল,যেই কোম্পানির সাথে আমাদের কোম্পানির ডিল হয়েছে ওই কোম্পানির বস মানে ওই যে মিস্টার আয়ান শেখ, উনি বার বার তোমার দিকে তাকাচ্ছে। কুহু বলল,আরে কি বলেন আপু আমার দিকে তাকাবে কেন।রিমি বলল,আমার মনে হয় ক্রাশ খেয়েছে।রিমির কথা শুনে কুহু হেসে উঠলো আর বলল,আপু আপনিও না খুব ভালো জোক বলতে পারেন হিহিহি। রিমি বলল,আরে মজা না।কুহু বলল,বাদ দেন আপু।

বিভা আকাশকে বলল,তুমি এভাবে নিয়ে আসলে কেন।আকাশ বলল,প্রেম করার জন্য।বিভা ভ্রু কুচকে তাকিয়ে থেকে বলল,কিছু খেয়েছো নাকি কি সব ব…বলার আগেই আকাশ বিভার কোমড় জরিয়ে ধরে নিজের কাছে নিয়ে আসলো,হঠাৎ এমন হওয়া বিভা চমকে উঠলো, তারপর বলল,কি করছো ছাড়ো আমাকে।আকাশ বলল,ছেড়ে তো দেবই তুমি এমন করছো কেন।বিভা রেগে বলল,মজা শুরু করেছো তাই না ছাড়ো আমাকে কেউ দেখলে কি ভাববে।আকাশ বলল,দেখলে ভাববে তুমি আমি প্রেম করতে ব্যস্ত কেউ ডিস্টার্ব করবে না।
বিভা বলল,তুমি চুপ করবে। আকাশ বলল,বিভা চল কাজী অফিসে যাই এখনি বিয়ে করব।বিভা অবাক হয়ে বলল,পাগল হলে নাকি।আকাশ বলল,আসলেই পাগল হসে গেছি।
বিভা বলল,আর কিছু দিন অপেক্ষা কর। আকাশ বলল,হুম বিভা একটা কিস করি তোমাকে।
বিভা অবাক হয়ে বলল,কি??আকাশ বলল,হুম শুধু একটা।বিভা বেশ কিছু খন চুপ থেকে বলল ঠিক আছে।আকাশের ঠোট বিভার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, বিভা চোখ বন্ধ করে ফেলেছে,আকাশ বিভার কাছে গিয়ে দেখলো বিভা খুব ভয় পাচ্ছে, আকাশ বিভার এমন ফেস দেখে মুচকি হাসলো তারপর বিভার কপালেএক চুমু খেলো।বিভা চোখ খুলে তাকালো আকাশের দিকে, তাকিয়ে মুচকি হেসে জরিয়ে ধরলো আকাশকে,আকাশও নিজের বুক পাজোরে জরিয়ে ধরলো বিভাকে।

কুহু বেশ কিছু খন ধরে একা একা বসে আছে, আর চারপাশ দেখছে অনেকে গল্প নিয়ে ব্যস্ত, অনেক নাচ নিয়ে, আবার অনেক ড্রিংক করতে ব্যস্ত।বিভোর অন্যদের সাথে কথা বলছে আবার এক দুবার বাকা চোখে কুহুর দিকে তাকাচ্ছে। কুহুর পাশে হঠাৎ রেহান এসে বসলো,কুহু রেহানকে দেখে বলল,কেমন আছেন।রেহান বলল,এই তো ভালো আপনাকে আজ চমৎকার দেখাচ্ছে বায় দ্যা ওয়ে আমাকে কেমন দেখাচ্ছে। কুহু খিলখিলিয়ে হেসে বলল,হুম খুব হ্যান্ডসাম দেখাচ্ছে। কুহুর কথা শুনে রেহান এক গাল হাসলো।রেহান বলল,আচ্ছা কুহু আমরা তো বন্ধু তাই না।কুহু বলল,হুম কিন্তু কেন।রেহান বলল,তাহলে আপনি আপনি করে কেন বল তুমি করে বললেও তো পার।কুহু বলল,আপনি তো আমার বড়। রেহান বলল,তো কি আমরা তো বন্ধু তাই না।কুহু বলল,হুম।রেহান বলল,তো তুমি করে বল।
কুহু বলল,ঠিক আছে তো বাড়ীর সবাই কেমন আছে আপনার না মানে তোমার।রেহান মুচকি হেসে বলল,ভালো।

বিভোর এর ঠিক হজম হচ্ছে না ওদের এমন হেসে হেসে কথা বলা।বিভোর ওদের দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে মনে মনে ভাবতে লাগলো,কিভাবে হেসে হেসে কথা বলছে ওফফ তাতে আমার কি কিন্তু এভাবে হাসার কি আছে যতসব বিরক্তিকর ।

অনেকটা সময় পার হয়ে যেতে লাগল,কুহু একা বসে আছে বিভাও ওর কাছে নেই, আকাশ বিভাকে এক সেকেন্ডের জন্যও চোখের আড়াল করছে না।কুহু একা একা চুপচাপ বসে থাকতে থাকতে ক্লান্ত। কুহু রিমির কাছে গিয়ে বসলো আর বলল,আপু আপনারা কি করছেন।কোণা বলল,জুস খাচ্ছি তুমি খাবে টেস্ট করে দেখো খুব ভালো লাগবে।
কুহু বলল,তাই তাহলে দিন। কোণা বাকা হেসে দিয়ে বলল,,নেও খুব ভালো লাগবে।কুহু মুখে নিয়ে মুখ আর এই পৃথিবীতে রাখলো না, কাশতে কাশতে বলল,এটা কেমন জুস জঘন্য খেতে ইশশ গলাটা জ্বলে গেল।কোণা জোরে জোরে হাসতে লাগল,কুহু পরক্ষণেই বলল,এতো টা খারাপ ও না আমাকে আরেক গ্লাস দেও তো।কোণা বলল,নেও নেও। কুহু এক মনে খেতে লাগলো,রিমি কোণাকে বলল,কুহু এমন করছে কেন কি খেতে দিয়েছিস ওকে।কোণা দুষ্টু হেসে বলল,ওই একটু।রিমি রেগে বলল,তুই এটা কি করলি কুহু থামো আর খেও না।

রিমি কুহুকে অন্য জায়গায় নিয়ে বসিয়ে দিয়ে বলল,কুহু এখানে চুপচাপ বসো।কুহু অস্পষ্ট কন্ঠে বলল,না আমি নাচবো ইয়াহু। রিমি বলল,কুহু প্লিজ এমন কর না। কুহু বিরক্ত হয়ে বলল,আরে আপু তুমি এমন করছো কেন আমাকে ওই বোতলটা দেও খুব ভালো খেতে হিহিহিহি।রিমি কি করবে বুঝে পাচ্ছে না, রিমি বিভাকে ডাকতে গেলো,বিভাকে ডেকে এনে বলল,বিভা কুহুকে বাড়ী নিয়ে যাও।বিভা তাকিয়ে দেখলো কেউ নেই,বিভা বলল,এখানে তো কেউ নেই।রিমি বলল,হায় আল্লাহ কোথায় চলে গেল বিভা খোজো ওকে।বিভা বলল,কিন্তু কুহু তো এইসব খায় না। রিমি বলল,আসলে কোণা মজা করে খাইয়ে দিয়েছে।বিভা আতংকে শেষ যদি কুহুর কিছু হয়ে যায় তাহলে বিভোর যে কি করবে।বিভা তাড়াতাড়ি খুজতে লাগল।

ভিতরে এত মিউজিক এর আওয়াজের জন্য বিভোর কথা বলতে পারছিল না, তাই বাহিরে এসে ওর দাদুর সাথে কথা বলছিল, হঠাৎ কেউ গান গাইছে শুনতে পেলো,বিভোর তাকিয়ে দেখে কুহু নাচছে আর গান গাইছে,

তুমি মোর জীবনের ভাবনা
হ্রদয়ের সুখের দৌলা
তোমাকে আমি ভুলতে পারি
নিজেকে যাবে না ভুলা
ও সরি সরি বলে আবার চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে বলল,
নিজেকে আমি ভুলতে পারি
তোমাকে যাবে না ভুলা আহা আহা হিহিহিহি কি সুন্দর গান গাই আমি।আমার তো সিঙ্গার হওয়া দরকার ছিল।

বিভোর ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে কুহুর দিকে, বিভোর কুহুর কাছে গিয়ে বলল,কুহু তুমি ঠিক আছো এমন পাগলের মতো করছো কেন।কুহু বিভোরের দিকে ছোট ছোট চোখ করে তাকিয়ে বলল,,হে হু আর ইউ।বিভোর ভ্র কুচকে তাকিয়ে রইলো,কুহু আবার বলল,,এন্ড হু এম আই হিহিহিহি।বিভোর বলল,তুমি কি কিছু খেয়েছো নাকি কুহু।কুহু বলল,এই কুহুটা কে আবার? বিভোর এর আর বোঝা বাকি রইলো না, বিভোর বলল,তোমার ব্যাগ কোথায়।কুহু বলল,কি জানি কোথায় চলে গেছে হয় তো চিল করতে গেছে হিহি।বিভোর সামান্য হেসে বলল,পাগল।এর মাঝে বিভা সামনে আসলো এসে বলল,ওহ তুমি এখানে।বিভোর বিভাকে বলল,তুমি কোথায় ছিলে বিভা ওর এই হাল হলো কি করে।বিভা মাথা নিচু করে বলল,সরি স্যার আসলে কোণা দুষ্টুমি করে কুহুকে জুস বলে ওইসব খাইয়ে দিয়েছে।

বিভোর বলল,ঠিক আছে আমি ওকে নিয়ে বাড়ী গেলাম।বিভোর কুহুকে নিয়ে বাড়ী চলে গেল।
বিভোর কুহুকে হোল রুমে বসালো তারপর বলল,চুপচাপ এখানে বসে থাকো নড়াচড়া করবে না কিন্তু।কুহু চুপ হয়ে রইলো।এত খন গাড়িতে বসে উল্টাপাল্টা গান গেয়ে বিভোরের মাথা খারাপ করে দিয়েছে।বিভোর ডাইনিং টেবিলের কাছে গিয়ে পানির গ্লাস হাতে নিয়ে সোফার কাছে গিয়ে দেখলো কুহু ওখানে নেই, কোথায় গেল মেয়েটা।বিভোর চারপাশ খুজতে লাগল,কিন্তু কোথাও পেল না বিভোরের খুব টেনশন হচ্ছে। বিভোর বাড়ি থেকে বেড়িয়ে বাগানে খুজতে লাগলো,গেটের সামনে গিয়ে দারোয়ান চাচাকে বলল,চাচা কুহু বের হয়েছে। দারোয়ান চাচা না বলে দিল,বিভোর আবার বাগানে গিয়ে খুজতে লাগলো কিন্তু কোথাও কুহুকে পেল না, হঠাৎ ছাদের দিকে চোখ পড়তেই কালো কিছু একটা দেখতে পেল,বিভোর বুঝতে পারলো ওইটা কুহু, বিভোর তাড়াতাড়ি ছাদে গেল গিয়ে দেখলো, কুহু অদৃশ্য কি জেনো টানছে, বিভোর ওর কাছে গিয়ে বলল,কুহু কি করছো।কুহু বলল,চাদ টানছি চাদে রশি দিয়েছি চাদ টেনে ছাদে নিয়ে আসবো আমাকে সাহায্য করুন।

বিভোর হাসবে না অবাক হবে বুঝে পাচ্ছে না। বিভোর কুহুকে কিছু না বলে কুহুকে কোলে নিয়ে হাটতে লাগল,বিভোর কুহুকে ওর রুমে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিল, বিভোর উঠতে লাগলো কিন্তু কুহু বিভোরের গলা জরিয়ে রেখেছে,বিভোর কুহুকে বলল,কুহু ছাড়ো আমাকে।কুহু অস্পষ্ট সুরে বলল,ছাড়বো না আপনি আজ আমার সাথে ঘুমাবেন।বিভোর বলল,কি?? কুহু বলল,হ্যা আপনি আমার সাথে ঘুমাবেন নইলে আমি আবার ছাদে যাব এবার চাদ না সূর্য টেনে নিয়ে আসবো।বিভোর বলল,আচ্ছা ঠিক আছে আমি শুচ্ছি।বিভোর কুহুর থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে শুয়ে পড়লো, কুহু ছোট ছোট চোখ করে তাকিয়ে রইলো বিভোরের দিকে,হঠাৎ বিদুতের গতিতে বিভোরের কাছে গিয়ে বিভোরকে জরিয়ে ধরলো,বিভোর অবাক হয়ে কুহুর দিকে তাকালো, বিভোর বলল,কুহু কি করছো ছাড়ো আমাকে।কুহু বলল,আমি দেখতে সুন্দর না। বিভোর বলল,হ্যা হ্যা তুমি অনেক সুন্দর এবার ছাড়ো।

কুহু অভিমানী কন্ঠে বলল,তাড়াচ্ছেন কেন আমাকে। বিভোর চুপ হয়ে রইলো, কুহুর চোখ দুটো ঝলঝল করতে লাগলো,এক অন্য রকম দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে বিভোরের দিকে, এ দৃষ্টি বিভোরের পরিচিত না, এর আগে কখনো কুহুকে এভাবে দেখে নিই বিভোর,কুহুর চোখের ভাষারা যতটা সহজ ঠিক ততো টাই কঠিন, বিভোর কুহুকে বলল,কুহু প্লিজ ঘুমিয়ে পড়ো। কুহু আর আষ্টেপৃষ্টে জরিয়ে ধরলো বিভোরকে, বিভোরের খুব অদ্ভুত লাগছে কুহুর এমন কাছে আসায়।বিভোর কুহুকে বলল,কুহু এখন ঘুমাও সকালে কথা বলব আমার কথা শুনবে তো ।কুহু বলল আচ্ছা কিন্তু আমি আপনার বুকে ঘুমাবো এখানে খুব শান্তি লাগে। বিভোর কিছু না বলে চুপ হয়ে রইলো,কুহু বলল, আমাকে ভালোবাসেন না কেন বিভোর। কুহুর কথা শুনে বিভোর অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো নেশার ঘোরে মেয়েটা কি বলছে। কুহু আবার বলল,আমি কি খুব পঁচা কেন ভালোবাসেন না আমায়।বিভোর কি বলবে বুঝে পাচ্ছে না কিন্তু কিছু তো বলতে হবে, কুহুকে শান্ত করার জন্য বিভোর বলল, ভা,,ভালোবাসি তো। কুহু সেকেন্ডে খুশি হয়ে বলল,সত্যি। বিভোর বলল,হুম এখন ঘুমাও।কুহু বলল ওয়েট গান শুনবো বলে কুহু ফোন বের করে গান প্লেয় করে বলল আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেন।বিভোর বলল ঠিক আছে তুমি ঘুমাও।বিভোর চুপ হয়ে কুহুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো,আর কুহু পরম শান্তিতে বিভোরের বুকে সাথে মিশে ঘুমিয়ে রইলো।নিশি রাতে সব কিছু খুব শান্ত ঘড়ির কাটার আওয়াজও পাওয়া যায়, চারপাশে নীরবতা বিরাজ করছে, জানালাটা খোলা বাহিরের থেকে হিম শীতল হাওয়া এসে কুহুর চুল গুলো উড়িয়ে দিচ্ছে, বিভোর এক মনে কুহুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে, বিভোরের মনে এক অন্য রকম অদ্ভুত অনুভূতি কাজ করছে, বিভোর এক দৃষ্টিতে কুহুর ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে আছে, আর ফোনে গান বাজছে,,

আহাটে কেসি এ আহাটে
সুন্তা হু আজ কাল এয়ে দিল বাতা…
দাস্তাকে দেতি হে দাস্তাকে
কিউ আজনাবীসে পাল এয়ে দিল বাতা…

কুচ্ছ তো হে জো নিন্দ আয়ে কাম
কুচ্ছ তো হে জো আখে হে নাম…
কুচ্ছ তো হে যো তু কেহ দে তো
হাসতে হাসতে মার জায়ে হাম…..♪♪♪

মুজছে জাদা মেরে যে সা
কই হে তোহ হে তু…
ফির না জানে দিল মেরা কিউ
তুজকো না দে সাকু….

কুচ্ছ তো হে জো দিল ঘাবড়ায়ে
কুচ্ছ তো হে জো সাস না আয়ে
কুচ্ছ তো হে জো হাম হোটোসে
কেহতে কেহতে কেহ না পায়ে…..♪♪♪

চলবে…………
ভুলক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 💙