#অদ্ভুত_তোমার_নেশা
#লেখিকা_লায়লা_আঞ্জুমান_ইতি
#পার্ট_____________১১
।
।
।
।
কুহু সকালে ঘুম থেকে উঠে মাথা ধরে রেখেছে, ওর খুব মাথা ব্যথা করছে হঠাৎ কুহুর সামনে কেউ একটা গ্লাস এগিয়ে দিল,কুহু ঠিক মতো তাকিয়ে দেখলো গ্লাসে লেবুর শরবত। কুহু এবার গ্লাস ধরে রাখার মানুষটার দিকে তাকালো, কুহু দেখে বলল,আপু তুমি।বিভা বলল,নেও শরবত টা খেয়ে নেও ভালো লাগবে।কুহু বলল,হুম।কুহু শরবত খেয়ে বিভার কাছে গ্লাস দিল।বিভা বলল,ঘুম কেমন হলো।কুহু বলল,ভালো।বলেই চারপাশে তাকালো তারপর অবাক হয়ে বলল,আমি এখানে কেন আমি তো পার্টিতে ছিলাম।বিভা তারপর সব বলল কুহুকে, কুহু অবাক হয়ে বলল,তার মানে আমি ড্রিংক করে ছিলাম ছি ছি ছি কি খারাপ কথা বিভোর কি ভেবেছে আল্লাহ জানে আর আমি কি কি করেছি তা তো আমার মনেও নেই।বিভা বলল,থাক এইসব আর ভাবতে হবে না ভার্সিটি যাবে না।
কুহু বলল,ভালো লাগছে না আপু আজ যাব না। বিভা বলল,ঠিক আছে তুমি শাওয়ার নিয়ে খেতে আসো।কুহু বলল,ঠিক আছে।কুহু ওয়াসরুমে গিয়ে শাওয়ার অন করে ভাবতে লাগলো রাতে সে কি কি করেছে কিন্তু তার কোনো কিছুই মনে পড়ছে না উল্টো মাথা ব্যথা করছে।তাই সব কিছু মনের করার বৃথা চেষ্টা করলো না কুহু।
অন্যদিকে, বিভোর নিজের কেবিনে বসে ল্যাপ্টব এতে কাজ করছে হঠাৎ কাল রাতে কুহুর করা পাগলের মতো কান্ড গুলো ভেবে নিজের অজান্তেই হেসে দিল বিভোর। তার মাঝে বিভোর ভাবতে লাগলো কুহুর বলা সেই কথা গুলো, যেই কথা গুলো কুহু ঝলঝল দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলেছিল বিভোরকে ” কেন ভালোবাসেন না আমায় ” আবার বিভোর ভাবতে লাগলো,কুহুর সেই দৃষ্টির কথা কাল রাতে মনে হয় এক অন্য কুহুকে দেখেছে বিভোর যে কুহু চায় বিভোর ওকে ভালোবাসুক কিন্তু কুহু তো নেশায় ছিল কি থেকে কি বলেছে তা সে নিজেও হয় তো জানে না,বিভোর এসব ভাবা বন্ধ করলো আর নিজের কাজে মনোযোগ দিল।
অফিসে যাওয়ার সময় হতেই কুহু আর বিভা অফিসের জন্য বের হলো,অফিসে গিয়ে কুহু নিজের চেয়ারে বসলো, হঠাৎ রিমি এসে বলল,কুহু তুমি ঠিক আছো।কুহু শুধু বলল,হুম।
রিমি আবার বলল,না তুমি এত বড় কালো চশমা চোখে দিয়ে রেখেছো আবার মুখে মাস্ক দিয়ে রেখেছো তুমি সুস্থ তো।কুহু আবার বলল,হুম।রিমি আবার বলল,তোমার কি হয়েছে কথা বলছো না কেন শুধু হুম হুম করছো।কুহু বিভার দিকে তাকালো, বিভা রিমিকে বলল,কুহুর আসলে চোখে একটু প্রবলেম হয়েছে আর ওর গলাটা বেশী একটা ভালো না তাই কথা বলছে না।রিমি বলল,ওহ চিন্তা কর না ঠিক হয়ে যাবে।রিমি তারপর কোণাকে ডাক দিল, কোণা এসে কুহুকে বলল,কুহু আই এম রিয়েলি সরি কাল রাতে মজা করে তোমাকে জুস বলে ড্রিংক দিয়েছিলাম।
কুহু মাথা বা দিকে নাড়ালো।কোণা বলল,কুহু কি হয়েছে কথা বলছো না কেন।রিমি তারপর বলল ও অসুস্থ, কোণা বলল,ও সুস্থ হয়ে যাবে কিন্তু কুহু কাল রাতে তোমার পাগলের মতো কান্ড দেখে খুব হাসি পাচ্ছিল।কুহুর খুব লজ্জা লাগছে। রিমি কোণাকে বলল,চল এবার কাজে লাগ। বলেই রিমি আর কোণা চলে গেল।
বিভা বলল,কুহু তুমি জানো তোমাকে কত অদ্ভুত দেখাচ্ছে এই সাজে।কুহু বলল,কি করব বল আমার ভিশন লজ্জা লাগছে আল্লাহ জানে আমি কি করেছি এখানেই এত গন্ডগোল করলে আমি বাড়ীতে কি করেছি আল্লাহ জানে আমি উনার সামনে যাব কিভাবে।বিভা বলল,রিলেক্স কুহু।
কুহু বসে কিছু ফাইল দেখছিল তখনি আকাশ এসে কুহুকে বলল,কুহু এই গুলো চেক করে বিভোরকে দিয়ে আসো।ফাইল গুলো দিয়ে আকাশ চলে গেল,কুহু পড়লো মস্তবড় বিপদে এখন কি করবে, এখন তো বিভোরের সামনে যেতেই হবে।কুহু বিভাকে বলল,আপু তুমি দিয়ে আসো না। বিভা বলল,কি বলছো আমি গেলে স্যার অনেক প্রশ্ন করবে।কুহু বলল,আমি উনার সামনে যাব না। বিভা বলল,তুমি কত দিন সামনে না যেয়ে থাকতে পারবে বাড়ীতে গেলেও তো তোমাকে উনার সামনে যেতে হবে।কুহু বলল,হুম।বিভা বলল,আর সংকোচ না করে যাও।
কুহু বিভোরের কেবিনের সামনে এসে চুপচাপ দাড়িয়ে রইলো, ভিতরে যাবে কি না দ্বিধায় আছে কিন্তু এতো ভেবে কি লাভ যেতে তো হবেই, কুহু ডোরে নক করলো, বিভোর ভিতর থেকে বলল,কামিং। কুহু ভিতরে ঢুকলো, বিভোর ল্যাপ্টবের দিকে তাকিয়ে আছে, কুহু অন্যদিকে ফিরে ফাইল টেবিলে রেখে বলল,ফাইল দেখে নিন।বলেই দৌড় দিতে গেলো কিন্তু তার আগেই বিভোর বলল,কুহু।
বিভোরের ডাক শুনে বিভোরের দিকে তাকালো।বিভোর কুহুকে বলল,কুহু তোমার কি হয়েছে হাহাহা। কুহু বিরক্ত হয়ে চুপ হয়ে দাড়িয়ে রইলো,বিভোর আবার বলল,কুহু কি হয়েছে বল ওয়েট আগে তোমার এত বড় চশমা খোল আর মাস্ক ও।কুহু বলল,না থাকুক।বিভোর বলল,কি বলছ খোলো এই গুলো।কুহু আর উপায় না পেয়ে এইসব খুললো,কুহু গাল ফুলিয়ে দাড়িয়ে আছে।বিভোর সামান্য হাসলো, বিভোর কিছু বলার আগে কুহু চোখ বন্ধ করে এক নিশ্বাসে বলতে লাগল,দেখুন কাল রাতে আমি কি বলেছি বা কি করেছি তা আমার একদম মনে নেই আর যাই করেছি বা বলেছি নেশার ঘোরে বলেছি।
কুহু কথা গুলো বলে চোখ খুলে তাকালো,বিভোর বলল,আসলেই যা করেছো নেশার ঘোরেই করেছো কিন্তু কাল রাতে এটা বুঝতে পেরেছি তোমার নাচ ভালো আর গানের গলাও ভালো কিন্তু উল্টপাল্ট গান গাইছিলে হা হা হা আর মজার ব্যাপার হলো তুমি কাল রাতে চাদ টেনে নিয়ে আসছিলে কেউ এই খবর পেলে বিশ্বে তোমার নাম ছড়িয়ে যাবে হাহহাহা।কুহু আর নিতে পারছে না লজ্জায় ওর মন চাইছে জমি ফাক হয়ে জমিনের মাঝে ঢুকে পড়ুক।কুহু আর এক মিনিট ও দেরি না করে দৌড়ে কেবিন থেকে বেড়িয়ে গেল,কিন্তু এত লজ্জার মাঝেও কুহুর হাসি পাচ্ছে বিভোরের কথা শুনে। কুহু হাটার মাঝে একবার কেবিনের দিকে তাকালো হঠাৎ কারও সাথে ধাক্কা খেল, এই পড়লো বলে কিন্তু না পড়লো না কেউ ওকে ধরে ফেলল কুহু ধিরে ধিরে চোখ খুলে দেখলো আয়ান। কুহু ঘাবড়ে তাড়াতাড়ি উঠে পড়লো আর বলল,সরি সরি আমি একদম খেয়াল করি নিই। আয়ান সামান্য হেসে বলল,নো প্রবলেম। কুহু বলল,থ্যাংকস।
আয়ান বলল,কেমন আছেন।কুহু বলল,ভালো আপনি।আয়ান বলল,আমি সব সময় ভালো থাকি কাল পার্টিতে আপনার সাথে কথা বলতে পারি নিই আসলে যতবারই আপনার কাছে যেতে নিলাম ততো বারই মিস্টার বিভোর আমাকে টেনে অন্য দিকে নিয়ে কাজের কথা বলতে শুরু করে বায় দ্যা ওয়ে কাল কিন্তু আপনাকে অপরুপ লেগেছে। কুহু বলল,থ্যাংকস।আয়ান বলল,আজ ডিনার এক সাথে করতে পারি।কুহু কিছুটা ঘাবড়ে বলল,কি না করলে হয় না।আয়ান বলল,কেন কি প্রবলেম আপনার কি বাড়ীতে স্বামী আছে নাকি যার সাথে এক রাত ডিনার না করলে সে রাগ করবে।কুহু কি বলবে মুখে নকল হাসি টেনে বলল,ওকে। আয়ান বলল,দ্যাটস গুড আজ রাতে তাহলে অফিসের বাহিরে দেখা হবে আমি নিতে আসবো।কুহু বলল,না আমাকে জায়গার ঠিকানা পাঠিয়ে দিয়েন আমি চলে যাব।আয়ান বলল,ওকে।
ছুটির পর আয়ানের দেওয়া ঠিকানায় কুহু গেল,রেস্টুরেন্টের ভিতরে ঢুকে আশপাশ দেখতে লাগল, একদম কিনারের টেবিলে আয়ান বসা কুহুকে দেখে হাত উঁচু করলো,কুহুর কাছে গিয়ে টেবিলে বসলো,আয়ান বলল,তো আসতে প্রবলেম হয় নিই তো। কুহু বলল,
– না কোনো সমস্যা হয় নিই
– আ মিস কুহু, আমি কি আপনাকে তুমি করে বলতে পারি আসলে আপনি আমার থেকে অনেক ছোট
– আপনার ইচ্ছে বলুন সমস্যা নেই
– ওকে তো কুহু তোমার পরিবারের কে কে আছে
– বাবা মা কেউ নেই
– ওহ আই এম সরি
– ইটস ওকে আপনার
– আমার বাবা মা দুজনই আছে
– খুব ভালো
– এখানে কোথায় থাকো
– আআ আসলে ফ্রেন্ডের সাথে থাকি
– ওহ তো কি খাবেন
– কোনো চয়েস নেই আপনার যা ইচ্ছা তা ওর্ডার দেন
– ওকে
– শুনুন আমি তাড়াতাড়ি চলে যাব বেশী রাত হলে উনি রাগ করবেন
– উনি টা কে???
– উনি হহ,হলেন আমার ফ্রেন্ডের আম্মু
– ওহহ
আয়ান ওয়েটার ডেকে ওর্ডার দিয়ে দিল,তারপর কুহুকে বলল,,,কুহু তোমার কি স্পেশাল কেউ আছে। কুহু হেসে বলল,স্পেশাল কেই মানে।আয়ান বলল,আরে থাকেন না যাকে তুমি ভালোবাসাে।কুহু বলল,না।আয়ান এক বিরাট স্মাইল দিয়ে বলল,খুব ভালো।কুহু বলল,আপনার আছে।আয়ান বলল,লাইক সিরিয়াসলি কুহু আমাকে দেখে মনে হয় গার্লফ্রেন্ড থাকলে এতো টা শান্তিতে থাকতে পারতাম। আয়ানের কথা শুনে কুহু খিলখিলিয়ে হেসে উঠল।
বেশী দেরি না করতে চেয়েও দুই ঘন্টা হয়ে গেছে, কুহু বলল,আমি আসি।আয়ান বলল,চল আমি পৌছে দিয়ে আসি।কুহু বলল,না দরকার নেই আমি চলে যাব। আয়ান বলল,সিওর।কুহু বলল,হুম । আয়ান বলল,ওকে টেক কেয়ার বায়।কুহু বলল,বায়।বলে চলে আসলো।গাড়িতে বসে ড্রাইভারকে বলল,চাচা তাড়াতাড়ি চলেন ১১ টা বাজে।
কুহু বাড়ীর ভিতের ঢুকে দেখে, বিভোর দুই পায়ের বাহুতে দুই হাত রেখে মাথা ঠেকিয়ে রেখেছে, দেখে বুঝা যাচ্ছে খুব চিন্তিতো,কুহু বিভোরের কাছে গিয়ে বলল, আপনি কখন এসেছেন।বিভোর মাথা উচু করে কুহুর দিকে তাকালো তারপর গম্ভীর ভাব মুখে বজায় রেখে বলল,কোথায় ছিলে। কুহু কিছুটা ঘাবড়ে বলল,আআআ,আসলে। বিভোর বলল,,অনন্ত আমাকে একটা কল করে জানিয়ে দিতে কত টেনশন হচ্ছিল আমার জানো এত রাতে একটা মেয়ে বাহি একা সেফ না। কুহু মাথা নিচু করে বলল,সরি আর কখনো এমন হবে না।বিভোর বলল,কার সাথে ছিলে।কুহু বলল,আয়ান স্যারের সাথে।
কথাটা শুনে বিভোরের চোয়াল শক্ত হয়ে গেল,তারপরও নিজেকে শান্ত রেখে বলল,কি করছিলে।কুহু বলল,রেস্টুরেন্টে উনি যাওয়ার জন্য বলে ছিল উনার মুখের উপর তো আর না করা যায় না তাই যেতে হলো।বিভোর শীতল কণ্ঠে বলল,তাহলে তো ডিনার সেরে এসেছো।কুহু বলল,হুম।বিভোর আর কিছু না বলে উঠে উপরে চলে যেতে নিলো,তখনি কুহু বলল,আপনি খেয়েছেন।বিভোর পিছনে না ঘুরেই বলল,না আমি ভেবে ছিলাম তুমি আসলে এক সাথে খাবো।কুহু অপরাধী কন্ঠে বলল,সরি আর কখনো এমন হবে বসুন আমি খেতে দেই।বিভোর পিছনে না ঘুরেই বলল,দরকার নেই এখন আর খিদে নেই। বলে উপরে উঠে নিজের রুমে চলে গেল, কুহু মন খারাপ করে বিভোরের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।
বিভোর নিজের রুমে ঢুকে ,রাগের কারণে টেবিলে একটা লাথি দিল, তারপর নিজে নিজেকে বলল,রিলেক্স বিভোর রিলেক্স এতে এত রাগার কি আছে তুই তো আগে দিব্বি বলে ছিলি কুহুকে স্বাধীন ভাবে চলতে দিবি ওর কোনো সিদ্ধান্ততে বাধা দিবি না ও ওর মতো থাকবে তাহলে এত কিসের প্রবলেম তোর শুধু শুধু নিচে মেয়েটাকে রাগ দেখিয়ে আসলি কেন ওফফ হয়েছে টা কি আমার।
কুহু নিজের রুমে গিয়ে লম্বা একটা শাওয়ার নিল, কুহুর খুব খারাপ লাগছে আসলেই তো অনন্ত বিভোরকে কল করে একটাবার জানানোর প্রয়োজন ছিল মানুষটা কতটা চিন্তায় ছিল।
বিভোর সিগারেট হাতে নিল তখনি মনে পড়লো কুহুকে কথা দিয়েছে সিগারেট খাবে না,তাই সিগারেট টা ফেলে দিল, অফিসের একটা ফাইল বের করে দেখতে লাগলো, তখনি কুহু এসে বলল,আসবো।বিভোর বলল,হুম।কুহু খাবার বিভোরের সামনে রেখে বলল,কিছু খেয়ে নিন।
বিভোর শক্ত কন্ঠে বলল,খাবো না নিয়ে যাও।কুহু বলল,প্লিজ খেয়ে নিন না প্রমিস আর কখনো এমন করব না। বিভোর বলল,আমি খাবো না জোর করে লাভ নেই।কুহু বলল,
-প্লিজ খেয়ে নিন
– বললাম তো খাব না
– বাচ্চাদের মত জেদ দেখাচ্ছেন কেন
– কুহু আমাকে রাগীও না আমি খাব না
– খাবেন না তো
– না
– যদি এখন না খান তাহলে আমি কাল সারাদিন কিছু খাব না
– কি
– হুম প্লিজ খেয়ে নিন না, আমি খিদে সহ্য করতে পারি না, প্লিজ খেয়ে নিন
– খাব না যাও
– ঠিক আছে
বলেই কুহু বিভোরের রুম থেকে চলে আসলো নিজের রুমে গিয়ে জানালা খুলে দাড়ালো, বাহিরে আকাশে বিদুৎ চমকাচ্ছে, কুহুর খুব খারাপ লাগছে কারণ ওর জন্য বিভোর কষ্ট পেয়েছে যেই মানুষটা ওর জন্য এত করলো সেই মানুষটাকে কুহু কষ্ট দিয়ে ফেলল,এই কথাটা ভাবতেই কুহু কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো,আকাশ ভেঙ্গে ও বৃষ্টি শুরু আজ মনে হয় আকাশ ও কুহুর মন খারাপের সঙ্গী হতে চায়।
চলবে……….
ভুলক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 💙