কমিনিটি সেন্টারে রাজ সবার সামনে অধরার বুকের উপর থেকে শাড়ির আচলটা একটানে সরিয়ে ফেলে । অধরার হাত দুটি দেয়ালে চেপে ধরে অধরার ঠোঁটের সাথে তার ঠোঁট মিলিয়ে দিল।
-অধরা রাজকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে, দু’হাতে নিজের বুকটা ঢেকে ফেলল! কাঁপা কাঁপা গলায় বললো,’ স্যার এমন করছেন কেন? সবাই তো দেখছে!
– দেখুক সবাই চিনে রাখুক তুই আমার রক্ষিতা । কেন তোর আমাকে দিয়ে হয় না? এখানে কি কাস্টমার খুঁজতে আসছিস? আর এই ছেলের সাথে তোর এতো কিসের কথা? ছেলে দেখলেই মুখে লালা পড়ে?
– সবাই অধরা আর রাজের দিকে চেয়ে আছে। রাজ অধরার সাথে কথা বলা ছেলেটাকে ইশারা করে বুঝালো পরে তাকে দেখে নিবে।
– স্যার প্লিজ ছাড়েন ব্যাথা পাচ্ছি। ছাড়েন না। রাজ তবুও অধরাকে ছাড়ছে না।
হাতে নীল রঙা কাঁচের চুড়ি গুলো ভেঙে হাতে ঢুকে যাচ্ছে। কিন্তু রাজের এ দেখে বিন্দুমাত্র কষ্ট লাগছে না। রাজ অধরাকে বাইকে করে একটানে বাসায় নিয়ে আসে।
– বাসায় এনেই অধরাকে বলে,’ নেক্সট টাইম তোকে যদি কোন ছেলের সাথে কথা বলতে দেখি তাহলে তোর পা দুটি কেটে হুইল চেয়ারে বসিয়ে দিবো। মনে রাখবি সামনের পাঁচমাস তুই আমার রক্ষিতা। তোকে যা বলবো তাই করতে হবে।
– অধরা কিছু না বলে রুমে ঢুকেই মায়ের ছবিটা বুকে জড়িয়ে কাঁদতে লাগল। হাত থেকে এখনো রক্ত ঝরছে। রক্তগুলো মুছতে গিয়ে দেখলো, ‘ চুড়ি হাতের ভেতরে ঢুকে গেছে।’ অধরার রক্ত দেখলে এমনিতেই ভয় করে তার উপর হাতের ভেতরে কাচ ঢুকে আছে। তার চিৎকার দিয়ে কান্না করতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু পারছে না। ছোটবেলায় অধরা তার মাকে হারিয়েছে। একটু বড় হতেই প্রিয় মানুষটাকেও হারিয়েছে। আর ভাগের নির্মম পরিহাসে এখন সে রক্ষিতার মতো জীবন যাপন করছে। নিজের বোনটাকে বাঁচাতে। আর রাজ সবটা জেনে অধরার সরলতার সুযোগ নিয়েছে।
– অধরার সে বৃষ্টিভেজা রাতের কথা এখনো মনে পড়ে। যেদিন ডাক্তার বলে তার একমাত্র ছোটবোনটার একটা কিডনী ড্যামেজ আরেকটা ড্যামেজের পথে। ডাক্তার বলেছে অনেক টাকা লাগবে। কত জায়গায় চাকরির এপ্লাই করেছে। অনেকে চাকরি দেবার নাম করে কুপ্রস্তাব করেছে। কেউ চাকরি দেয়নি। রাজ অধরার কাছে সবটা শুনে বলেছিল বোনের চিকিৎসার যা টাকা লাগবে সে দিবে।
– অধরা রাজের মুখে এ কথা শুনে মনে মনে ভীষণ খুশি হয়েছিল। কিন্তু তার এ খুশি বেশি ক্ষন ছিল না। যখন রাজ বললো,’ টাকা দিবে এক শর্তে।
– অধরা কাঁপা কাঁপা গলায় বললো,’ কি শর্ত?’
– শর্তটা এতো কঠিন না, তোমাকে পাঁচমাস আমার সাথে থাকতে হবে। মনে করো স্ত্রীর মতো। কিন্তু বিয়ে ছাড়া। ”
– রাজের কথাটা শুনে অধরা রাজের গালে ঠাস করে চড় বসিয়ে দিয়ে বলতে লাগল,’ ছি আপনাকে অনেক ভালো মনে করছিলাম কিন্তু আপনি এতটা খারাপ আগে জানতাম না। আপনার চাকরি আমার লাঘবে না। ”
– অধরা তার কাতজপত্র নিয়ে অফিস থেকে বের হয়ে আসলো।
– রাজ অধরার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো।
– এদিকে দিন তিনেক পরেই অধরা রাজের অফিসে গিয়ে বললো, আমি আপনার প্রস্তাবে রাজি। ”
– রাজ সাথে সাথে অধরার মাথাটা টেনে নিজের ঠোঁট দু’টি অধরার ঠোঁটে মিশিয়ে দিল। অধরা বাঁধা দিতে গিয়েও পারলো না।
– এদিকে কিছুক্ষণ পর রাজ রুমে এসে দেখে অধরা কান্না করছে! এই তুই এখানে কান্না করবি? যা আমার জন্য ডিনার রেডি কর। নয়তো বেল্টের বাড়ি খাবি।
– অধরা মাথা নাঁড়িয়ে হ্যা সূচক জবাব দেয়।
– কোনরকম তাড়াহুড়া করে রান্না করে টেবিলে খাবার পরিবেশন করে।
-রাজ খাবার মুখে দিয়েই বললো,’ এই রক্ষিতা তুই এসব কি রান্না করেছিস। এই বলে অধরার মুখটা ভাতের উপর চেপে ধরলো।
– ভাইয়া ছাড়েন আমার লাগতেছে। প্লিজ ছেড়ে দেন।
– এই কি রান্না করেছিস? এসব তো কুকুরেও খায় না। আজকে রাতে তোর খাবার বন্ধ। পার্টিতে নিজের চেহারা দেখাতে যাস তাই না?
– আমি তো আপনাকে বলেই গিয়েছিলাম আমার বন্ধুর বিয়েতে যাচ্ছি। আর ওই ছেলেটা ক্লাসমেট ছিল।
– এই তুই চুপ করবি। তুর নাটক আর শুনতে ইচ্ছে করছে না। আজ রাতে তোর খাওয়া বন্ধ!
– অধরা আর কিছু বলে না। ওয়াশরুমে গিয়ে মুখটা ধুয়ে শুয়ে পড়ে। এদিকে কিছুক্ষণ পর দরজায় নক করে রাজ।
– অধরা দরজা খুলে দিতেই, রাজ একটা নীল রঙা শাড়ি অধরার দিকে ছুড়ে দিয়ে বলে,’ এটা পরে নাও রাজ রাতে তোমার সাথে বিয়ে ছাড়া ফুলশর্য্যা হবে। রাজের কথা শুনে অধরার বুকটা ছ্যাঁত করে ওঠে। চোখ থেকে নিজের অজান্তেই অশ্রু গড়িয়ে পড়তে লাগে।
– কি হলো? তুই শাড়ি পরবি? নাকি বাসা থেকে বের হয়ে যাবি? দেখ কেউ তোকে এই কয়েকমাসে দশ লাখ টাকা দিবে না। এখন তোর ইচ্ছে চাইলেই চলে যেতে পারিস না হলে বউ সেজে বসে থাকতে পারিস। আমি একটু পর আসছি।
– রাজ শাড়িটা অধরাকে দিয়ে বের হয়ে আসলো। রাজ জানে অধরা তার সব শর্ত মেনে নিবে। কারণ তার বোনকে বাঁচাতে হলে এ ছাড়া আর কোন রাস্তা নেই।
– এদিকে রাজ কিছুক্ষণ পর রুমে গিয়ে দেখে অধরা শাড়ি বসে খাটে বসে আছে। রাজ রুমের দরজা লাগাতেই অধরার শরীরটা কেমন যেন করে উঠলো। রাজ আস্তে আস্তে তার দিকে আসছে।কাছে এসেই অধরার শাড়িটা ””’