অভিনয় পর্ব-১০

0
251

#অভিনয়
#পর্ব_১০
#মুমতাহিনা_তারিন

” তোর কি মাথা আউলাই গেছে!?বিয়ের আগে বিধবা হওয়ার সখ জাগছে ছেমরি”

পারু লাঠি টা দিয়ে বাড়ি দেওয়ার আগেই শাওন ধরে ফেলেছিল। চোঁখে অসংখ্য অভিযোগ রাগ আছে কি নেই শাওন সেটা উপলব্ধি করতে পারলো না । অনেক বেশি কষ্ট দিয়ে ফেলেছে পারুকে ও। সহজে মাফ করে দেওয়ার কথা ও না ।কিন্তু শাওন ও হার মানবে না আগের মত করেই ওকে ভালোবাসা দিয়ে বুঝিয়ে দেবে আর কোনোদিন শাওন এমন ভুল করবে না ।

” তোরে আমি মেরে ফেলবো ।তুই কি শান্তি দিবি না আমাকে !!! নয়নের পিছনে যখন ছুটেছিলি ওর নিয়ে শান্তিতে থাক আমাকে কেনো আবার টানতিছিস? নাকি এ খন ও কষ্ট দেওয়ার বাকি আছে?”

পারুর শেষের কথাটায় কষ্ট পেলো শাওন । আলগা হয়ে এলো লাঠিটা কিন্তু আবারও ভালো করে ধরলো লাঠি । শক্ত করে টান দিতেই পারুর হাত থেকে ছুটে গেলো ।

” এবার তোরে দেবো বাড়ি? একটা মেয়র দেবো সোজা আকাশ পথে চলে যাবি”

পারু কি কম যায় নাকি । টিনের চালের এক কোনায় আম কাটা ছুরিটা নিলো ঝড়ের বেগে ।

” দে বাড়ি ,,,আমি ও দেবো,, তোর ভুঁড়ি ফাটায় দেবো ”

সালাম মিয়া তনুজা যেনো সেই ছোট্ট পারু আর শাওনকে দেখছে। সারাদিন ঝগড়া করবে আবার তাদের গলায় গলায় ভাব। তনুজা পারুকে মারতে গেলেই হয় এক দৌড় দিয়ে শাওনের কাছে চলে যেত পারু। যত নালিশ সব শাওনের কাছে ।আবার যত ঝগড়া তাও শাওনের সাথে । রিপা সবসময় পারুর দলে থাকতো এখন ও তাই।

শাওনের হাতে থাকা মোটা লাঠিটা একটু দূরে ফেলে দিল ।

” তোরে মারতে আমার এইসব লাঠি লাগবে না আমার হাত যথেষ্ঠ। কিন্তু সমস্যা একটাই আমি মারার পর তুই কান্নাকাটি করে কানের পোকা নাড়ায় দিবি ”

পারু কোনো কথা না বলেই ছুরি দিয়ে শাওনের হাতে একটা আঁচড় দিলো । জং ধরা ছুরি কেটে না গেলেও ছিলে গেলো অনেকটা । যেখানে আঁচড় দিয়েছে পারু সেই জায়গাটা শাওন চেপে ধরলো।এমন একটা ভাব করলো যেন কতোটা কেটে গেছে ।

” ওরে আল্লাহ মরে গেলাম । কত রক্ত বেরোচ্ছে রিপা তাড়াতাড়ি বাড়ি আয় । ব্যান্ডেজ করতে হবে”
আর কোনো কথা না বলেই শাওন চলে গেলো পিছে পিছে রিপা ও দৌড়ালো।
_______________

সূর্যের তেজ কমে গেছে । গাছের পাতা গুলো মৃদু নড়ছে পারু দের বাড়ির উলটো পাশেই বড় একটা বিল ।অনেকটা জায়গা জুড়ে বড়ো বড় গাছ লাগানো ।তাদের ঘরটা এইখানেই ছিল টিনের ঘর ।চাচাদের থেকে ও অবস্থা খারাপ ছিল নাকি পারুর আব্বু আম্মুর। যখন পারুর বয়স বারো তখন ঝড়ে ঘরটা ভেঙে যেতে দেখেছিল। এখন কিছুই অবশিষ্ট নেই। ঠান্ডা বাতাস হচ্ছে ছোটো বেলার সব কথা মনে পড়ছে। শাওন ওকে কখনোই মারতো না শুধু চিল্লায় গলা ফাটাতো। শুধু শাসাতো এই ভাবে ” ছোটো বলে ছেড়ে দিচ্ছি বড়ো হলে টপাটপ মাইর দেবো” কিন্তু আফসোস শাওনের কাছে পারু কোনোদিন বড়ো হতে পারেনি আর কোনোদিন বড়ো হবেও না।

শাওন ব্যালকনি তে এসে উকি ঝুঁকি মেরে গেছে কিন্তু কোথাও পারুকে দেখেনি ।তাই চাচীর সাথে কথা বলার নাম করে চলে এসেছে।

” চাচী কেমন আছেন?”

তনুজা বেগম যেন আকাশ থেকে পড়লো । পাশাপাশি যাদের বাড়ি হয় অধিকাংশ সময় ভালো আছে কিনা খোঁজ নেওয়া হয় না । কেনো না তারা পরিস্থিতি টা বুঝতে পাড়ে।

” আলহামদুলিল্লাহ তুই এই বিকেলে ?”

” ভাবলাম পারুর উপর অ্যাটেম টু মার্ডার এর কেস দেবো । সেই আসামি কে তাই ভালোভাবে দেখতে আসলাম”

” ওহ পারু তো বিলের ঐখানে বসে আছে”

” ওহ”

পা টিপে টিপে শাওন পারুর পিছনে দাড়ালো । পারু তখন ভাবনার অতল গহ্বরে তলিয়ে আছে । শাওন পারুর কানের কাছে মুখ নিয়ে বিকট আওয়াজ করে উঠলো। পারু ভয়তে লাফিয়ে উঠলো । ওর বুকটা ধরফর করছে। বুকে হাত দিয়ে পিছন ফিরলো পারু ।শাওনকে দেখেই মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো ।

” তুই তুই এইখানে কেন?”

” কার জন্য আসবো বল। আমার কি কেউ আছে?”

” কেনো নয়ন সুন্দরী নয়ন কই?”

” তোর সামনে তো খেদাই দিছি দেখিস নি”

” দেখ শাওন তুই যতই চেষ্টা কর আমার পক্ষে তোর কাছে ফেরা সম্ভব না”

” তোরে কেউ ফিরতে বলেছে?”

” তাহলে আমাকে আমার মতো থাকতে কেনো দিচ্ছিস না?”

“তোরে ভালো থাকতে দেখলে গা জ্বলে কি করবো বল”

মিট মিট করে হাসছে শাওন। হঠাৎ খেয়াল করলো পারুর এক চলে হালকা কেটে গেছে । সাথে সাথেই অক্ষিপটে ভেসে উঠলো । অদ্ভুত একটা সব তুলে হেসে উঠলো শাওন। অদ্ভুত শব্দটা হলো না হাসার প্রচেষ্টার ফল। শাওনকে হাসতে দেখে ব্রু কুচকে গেলো পারুর । জিজ্ঞাসু দৃষ্টি নিয়ে চাইলো শাওনের দিকে । শাওন পারুর দৃষ্টি বুঝে বললো

” সকালে কি পড়াটাই না পড়লি”

আবার ও হাসিতে লুটিয়ে পড়লো শাওন । পারুর খেয়াল হলো দুপুরের প্রতিশোধ নিলে ও সকালের টা নিতে বাকি আছে।

” এই যে মিস্টার শাওন উইথ কেলানো দাত ঘুরতে যাবি?”
” কোথায় যাবি?”

“পদ্ম বিল ছোটো বেলার মত পদ্ম তুলে দিবি”

” আচ্ছা চল ”

” রিপাকে ডেকে আনি এক সাথে যাবো”

শাওন প্রচণ্ড বিরক্ত পারুর উপরে দুইজন তো এক সাথে যেতেই পারতো ।একটু আলাদা ভাবে পারুকে খুশি করতে পারতো । অবহেলার পরিবর্তে মাফ পাওয়ার থেকে সেই অবহেলার থেকে কয়েকগুণ বেশি খুশি দিয়ে আবারও পারুর হৃদয়টা দখল করে নিত। কিন্তু না যেখানে যাবে সেখানে উনার রিপাকে লাগবে । শালা বাসর রাতে আবার রিপাকে না নিয়ে চলে আসে।
___________________

শাওন পদ্মবিলের বাওড়ে রীতিমতো নাকানি চুবানি খেয়ে এক গুচ্ছ পদ্ম পারুকে তুলে দিয়েছে । সারা শরীর ভেজা কোমর পর্যন্ত কাদার আস্তরণ পড়ে গেছে। এক প্রকার যুদ্ধ করে পদ্ম গুলো আনতে হয়েছে ।

শাওনকে দিয়ে পদ্ম তুলানো ছিল পারুর প্রতিশোধ। যে পরিমাণে কাদা আর পদ্ম তুলতে গেলে যে শাওন অর্ধেক ডেবে যাবে সেইটা ভালোভাবেই জানতো পারু।।মনে মনে পারু খুব খুশি ।আসার সময় মানুষ শুধু ঘুরে ঘুরে শাওনকে দেখেছে । কাদায় ভেজা শরীর দেখে একটা ছোটো বাচ্চা ওদের পিছু পিছু বাড়ি পর্যন্ত এসেছিল আর শাওনকে খেপাচ্ছিল। শাওনের মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছিল শুধু মাত্র বাচ্চা বলে বেছে যাচ্ছে বেচারা নইলে কখন যে ঝগড়া বেধে যেত। চোখ মুখ কুচকে বাড়ি পর্যন্ত আসলো শাওন । ওদের বিদায় দিয়ে দৌড়ে তাদের আদিকালের কলে গেলো । কয়েক মগ পানি তুলে মাথায় ঢাললো । শরীর চুলকাচ্ছে খুব। এইসময় রিপা গেট দিয়ে ঢুকলো হতে পদ্ম ফুল নাড়তে নাড়তে শাওনকে শুনিয়ে শুনিয়ে গাওয়া শুরু করলো,,

“ডাবের পানিইইই ডাবের পানি খেলে সেরে যাবে সব চুলকানি”

শাওন কটমট চোখে তাকিয়ে আছে রিপার দিকে ।মাঝে মাঝে শাওন বুঝে পাই না এইডা ওর বোন নাকি পারুর বোন।

” রিপা তুই কি আমাকে মিন করে গান গাইছিস?”

” নাতো এই জায়গায় একটা ভূতুম পেঁচা আছে তাকে বলছি”

রিপা মুখে কিছুটা নিষ্পাপ ভাব নিয়ে বললো ।
_____________________

রাত দশটা ছুঁই ছুঁই।তনুজা বেগম সালাম মিয়া খেয়ে দেয়ে শুয়ে পড়েছে । বিকেলে বিল থেকে এসে রান্না বান্না করতে হয়েছে আজকে তনুজা বেগম অসুস্থ ছিল পারু নিজে থেকেই করেছে সব। তাই অনেক ক্লান্ত ওর শরীর শোয়ার সাথে সাথেই ঘুম চলে এসেছে।

টিনের জানলায় ঠক ঠক শব্দ আসছে অস্পষ্ট ভাবে শুনতে পারছে পারু পারু ডাক ।চোখ গুলোকে জোর করে খুলে জানালার কপাট খুলে দিল । একটা বালিস নিয়ে জানালার সোজা রাখলো অর্ধ খোলা চুলগুলো পুরো খুলে দিয়ে কত হয়ে বালিসে আরাম করে শুয়ে পড়লো পারু। ওর ভয় নেই রাতের আঁধারে শাওন ছাড়া যে কেউ আসবে না সেটা পারু ভালোভাবেই জানে ।

শাওনের হাতে ছোটো চারাগাছের সেই সাদা জবা । আজকে তিনটে ফুল ফুটেছে তাই টুকুস করে তুলে পারুর কাছে চলে আসলো । পারু ঘুম ঘুম চোখে চেয়ে আছে শাওনের দিকে । চাঁদের আবছা আলোয় উজ্জ্বল ফর্সা মুখটা কি সুন্দর লাগছে । ব্রুর উপর দিয়ে ঘামের বিন্দু গুলো আরো বেশি স্নিগ্ধ করে দিয়েছে শাওনের মুখটা । এই গরমে শাওন চাদর গায়ে জানালার কাছে দাড়িয়ে আছে ।

” পারু এই পারু এইদিকে আয় জবা গুলো কানে গুঁজে দেয়।”

পারু কোনো কথা না বলেই বালিস একটু আগাই জানালার কাছে মাথা রাখলো । প্রচণ্ড ঘুম পাচ্ছে ওর ঝগড়া করার মুড নেই এখন তাই কোনো কথা না বাড়িয়ে সব মেনে নিলো।

শাওন খুব সন্তর্পনে একটা সাদা জবা পারুর কানে গুঁজে দিল। পারুর ঠোঁটে খেলা করলো একটা সুন্দর হাসি কিন্তু মুহূর্তেই সেটা মিলিয়ে গেলো । চোখে জল ভরে উঠলো শাওন কিভাবে এত স্মৃতি ভুলে নয়নের মোহে পড়েছিল? তখন কি এমন রাতে সাদা জবা কানে গুঁজে দেওয়ার কথা ওর মনে ছিল না। এতোই ঠুনকো ছিল তার আর শাওনের সম্পর্ক?

” জানি পারু তোর অভিমানের পাল্লা অনেক ভারী তোর এতে কোনো দোষ নেই । রাগ হওয়াটা স্বাভাবিক বরংচ তুই রাগ না করলে সেইটা আমার কাছে অস্বাভাবিক লাগতো। মানুষ কত ভুল করে আমি ও ভুল করেছি। আমাকে কি মাফ করা যায় না ?”

” না যায় না যে বারো বছরের ভালোবাসা ভুলে যে রূপের মোহে পড়ে তাকে কোনোভাবেই মাফ করা যায় না । ”

“আমি তো জানি তুই আমাকে মাফ করে দিবি”

“তোর জানাই ভুল আছে…প্রতিবার তুই ভুল করবি আর আমাকে মাফ করতে হবে এমন কোনো কথা নেই।”

” আচ্ছা এর আগে আমি কি ভুল করেছি?”

পারু অনেক ভেবে ও কোনো ভুলের হদিস পেলো না যা এমন গুরুতর। কিছুটা হতাশ স্বরে বলল
” এর আগে কোনো ভুল করিস নি ”

” তাহলে একবার মাফ করে দে । ”

“পারলে মাফ নিয়ে দেখা”

মুচকি হাসলো শাওন ও বুঝে গেছে পারু মাফ করে দিয়েছে । শাওন এ খন ঠিক আগেরমত করেই পারুকে আবার ইমপ্রেস করবে দরকার হলে আঠারো বছরের কিশোর হয়ে যাবে কিন্তু তার প্রিয়তমার সম্পূর্ণ মন মস্তিষ্কে শুধু শাওনের নাম লিখে দেবে ।

” চলে যা তুই বাইরে নিশ্চয় অনেক মশা ”

” মশা আমাকে খেয়ে ফেলুক কিডন্যাপ করুক তাতে কার কি?”

” তাই তো আমার কি পড়ে থাক এইখানে ।মানুষ যখন চোর ভেবে দুইডা দেবে তখন হুশ আসবে”

” আমি তো চোরই মানুষের হৃদয় চুরি করি এই ধর তোর হৃদয় যেমন চুরি করেছি ”

প্রত্ততর আসলো না। পারুর চোখে রাজ্যের ঘুম এসে হানা দিয়েছে । পাতলা লম্বা লম্বা পাপড়ির দিকে তাকিয়ে আছে শাওন। নিজের কাছেই দুএক সময় অবাক লাগে এই মেয়েটার প্রতি ওর এতো টান কেনো? ভালোবাসা কেনো? উত্তর আসে না । ভালোবাসায় কি কোনো কারণ থাকে? তিন জানলায় হেলান দিয়ে এলো কেশী রমনীকে দেখতে ব্যস্ত শাওন। চোখে কখন যে ঘুম ধরা দিয়েছে ওর জানা নেই।

_________________

অন্ধকার কেটে পরিবেশটা কেবল পরিষ্কার হচ্ছে । পারু পিট পিট করে চোখ গুলো খুললো। উঠে বসে চোখ গুলো খুলে সামনে তাকাতেই হকচকিয়ে গেল। মৃদু চিৎকার দিয়ে উঠলো। ধীরে ধীরে রাতের সব কথা মনে পড়লো ওর ।
শাওন যে সত্যি সত্যি সারারাত এইখানে দাড়িয়ে থাকবে ওর কল্পনাতেই ছিল না । ভাগ্যিস কেউ দেখনি আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া জানালো পারু ।কেউ দেখলে নিশ্চয় তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ লেগে যেত ।

” শাওন এই শাওন ।”

“পারু স্বপ্নে এসে অন্তত জ্বালাস না । তোর প্রেমে এমনি জ্বলে গেলাম ”

পারু কিছুটা লজ্জা পেলো শাওনের স্বপ্নে যে পারু আসে জানতো না । ওর কত স্বপ্নে যে শাওন এসেছে তার ঠিক নেই ।কিন্তু আপাতত এইসব ভাবনাকে টা টা বলতে হবে ।

” শাওন উঠ সকাল হয়ে গিয়েছে ”

জোরে একটা ধাক্কা দিলো শাওনকে । শাওন হম্বি তম্বি করে চারপাশ দেখলো ।

” সকাল হলো কখন!!”

” ঢং তোর বাড়ি গিয়ে কর এখন এইখান থেকে যা । মানুষ ডেকে কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে ”

” আসলে সকালে আমি ঘুম থেকে উঠে হাঁটতে বেরিয়েছিলাম। একজন অবলা নারির কণ্ঠ শুনতে পেয়ে আমি পিছে মুড়ে দেখি একজন অতি রূপসী রমনী তার হাতের ইশারায় আমাকে তলব করছে । রূপসী নারীদের ডাকে সাড়া না দেওয়া যে পূরুষ জাতির জন্য ঘোর অপরাধ । তাই আমি তার তলবে সাড়া দিয়ে কাছে আসলাম ।রমনী অতি সন্তর্পণে পঞ্চাশ টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললো । সুদর্শন পুরুষ একটু ডাল এনে দিবেন । তরকারী নেই….তার মন খারাপ দেখে আমি একটু সান্তনা দিতে এইখানে দাড়িয়ে ছিলাম । বলে দেব মানুষ জিজ্ঞাসা করলে”

” তুই যা তোর বক বক আর নিতে পারছি না ”

” তোর তো ভবিষৎ তাহলে অন্ধকার।”

” কেনো?”

“বিয়ের পর যে আমাকেই সহ্য করতে হবে তোর”

আর কোনো কথা না বাড়িয়ে শাওন নিজের বাড়ির উদ্দেশ্য হাটা শুরু করলো । শাওন মিট মিট করে হাসছে । পারুর ঘুম থেকে উঠার কিছুক্ষন আগেই ঘাড়ে ব্যাথার জন্য ঘুম ভেঙে যায় ওর । পারুর নড়া চড়া দেখে আবার চোখ বন্ধ করে নেয় শাওন দেখার জন্য পারু কি করে । পারুকে ইমপ্রেস করতেই স্বপ্নে আসার কথাটা বললো । শিস বাজাতে বাজাতে গেট পার করলো শাওন। ডুবলিকেট চাবি দিয়ে সদর দরজা খুলে সোজা নিজের রুমে গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লো। আবার পাড়ি দিলো ঘুমের রাজ্যে ……