আপনিময়?তুমি Part-07

0
2183

#আপনিময়?তুমি [ An unexpected crazy love ]
#Written By: Åriyâñà Jâbiñ Mêhèr [ Mêhèr ]
Part: 07……….

পরের দিন মন খারাপ করে আনহা ভার্রসিটির করিডোরে দাড়িয়ে আছে। মন খারাপ থাকবে নাই বা কেন ইহান ওর ৭ বছরের পরিচয়কে এক মুহুর্তের মধ্যে অস্বীকার করেছে। যতই বলুক গায় লাগে না কিন্তু আনহার তো ঠিকি খারাপ লাগছে। খুব বেশি খারাপ লাগছে। আর এটা ভেবে রীতিমতো কান্না পাচ্ছে যে পিচ্চি কিনা একসময় আনহার জন্য পাগল ছিল সে এখন আনহাকে চিনতে পারছে না। তারপরও নিজেকে এটা বলে শান্ত করে মানুষের মন সবসময় পরিবর্তনশীল……..

তখনি আনহা নিজের পাশে কাউকে ফিল করে। কিছুটা ভয় পেয়ে ঘাড় ঘুড়িয়ে দেখতেই দেখে আদ্র দাঁড়িয়ে আছে। ওকে দেখে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নেয় আনহা…..

আনহা: ও তুমি……

আদ্র: তো কাকে ভেবেছিলে…..???

আনহা: না কিছুনা…..

আদ্র: মন খারাপ আনহা।

আনহা: না কেন???

আদ্র: সরি কালকে তোমায় একটু বেশি বকে ফেলেছিলাম।

আনহা: ধুর আমার কি ওসব মনে আছে….

আদ্র: জানি নেই তবুও আমি চাই না আমার জন্য আমার অর্নির কোনো খারাপ লাগা থাকুক….

আনহা: আর তেল মাখতে হবে না। যতসব ডঙের কথা….. [ একটা মুড নিয়ে ]

আদ্র: তুমিও না আমার গার্লফ্রেন্ড হয়ে এমন করো যেন আরেক মেয়ের সাথে ফ্লাট করছি। এখন কি নিজের গার্লফ্রেন্ডের একটু প্রসংশা করতে পারব না।

আনহা: এসব আলগা তেল ভালো লাগে না বুঝলেন…..

আদ্র: বুঝছি বুড়ি….

এইটা শুনে আনহা ফিক করে হেশে দেয়…. আর ওর চোখে কিছু একটা ঢুকে যায়। আনহা নিজের চোখ ডলতে থাকে……

আদ্র: দেখি কি হয়েছে। অর্নি দেখি….. [ জোর করে ধরে আনহার চোখে ফু দিয়ে দিলো……

আর ঠিক তখনি ওখানে ইহান আসে….. ইহান ক্লাসে যাচ্ছিল.. ওদের ওই অবস্থায় দেখে ওর পায়ের নিচের মাটি সরে গেল। ও নির্বাক দৃষ্টিতে ওদের দিকে তাকাল। কারন ইহানের অবস্থান থেকে দেখে এটাই মনে হবে আদ্র আনহাকে কিস করছে…

আদ্র: এবার ঠিক আছে…..

আনহা: তুমিও না….. যত্তসব….

আদ্র: আজব তো মাথায় কি খড়ের বস্তা নিয়ে ঘোড়ো নাকি….. [ মাথার চুল থেকে খড় ঝেড়ে ]

তারপর ওরা দুজনেই একসাথে হেসে উঠে। আনহা পাগলের মত হাসছে আর আর আদ্র মাথা চুলকে তা দেখছে।

আদ্র: এই জন্য তোমায় এত ভালো লাগে অর্নি….. [ বিড়বিড় করে ]

,

,
,
,

,
,
,
ওদের দুজনের কাহিনী দেখে ইহানের যেন মাথাটাই ব্লক হয়ে গেল। যার পাশে ইহান অন্তিকে সহ্য করতে পারেনা। সে কিনা আজ অন্য ছেলেকে…… আর ভাবতেই পারলনা। [ ওখান থেকে সরে এসে রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে নিজের কপালে দু আঙুল দিয়ে স্লাইড করতে করতে ভাবছে কথাগুলো……

ইহান: আপনি এটা কিভাবে করতে পারলেন আনহা। আপনি তো আমার তাই না……. আপনাকে আরেকটা ছেলে কিভাবে ছুয়ে দিল….. ইহান ছাড়া আপনার সাথে কেউ কথা বলতেও পারবে না। আর তাহলে ওই ছেলেটা…… [ কান্নার সুরে ]

তারপর ইহান নিজের রাগ কন্ট্রোল করে ওদের সামনে দিয়ে হেটে যায়। তখনি আনহার চোখ পরে ইহানের দিকে। কালো জিন্সপ্যান্ট আর কাধে একটা ব্যাগ…….

আনহা: এই ছেলেটার সমস্যা কি আর কোনো জামাকাপর কি বাসায় নেই নাকি সবসময় এক রকম কালার পরে আসতে হবে…….???

আদ্র: ছাড়ত….. ওর ইচ্ছে।

আনহা: ছাড়ব মানে??? তুমি জানো কালোতে ওকে কত কিউট লাগে। আর ভার্রসিটির সব দামড়ি দামড়ি মেয়েরা ওর দিকে নজর দেয় লজ্জা করে না ওদের…..???

আদ্র: তাতে তোমার কি???

আনহা: চুপ করব মানে??? তুমি ভাবতে পারছ…..

আদ্র: কি….…???

আনহা: ধরো যদি কোনো দামরি মাইয়া আমার পিচ্চিটাকে জোর করে প্রেম করতে চায় তখন….

আদ্র: কি বলছ এসব……[ চুল টেনে ]

আনহা: দেখ আমার পিচ্চি যতই Attitude দেখাক না কেন আমি তো জানি ওর মন কতটা নরম যদি কোনো শাকচুন্নির পাল্লায় পরে…. তখন…..

আদ্র: মাফ করো তুমি তোমার পিচ্চি নিয়ে ভাবো….. [ বলেই চলে যায় ]

আনহা: আজব…. আমার কথা কেউ বিশ্বাস করে না কেন….???
,
,
,
,
,

,
,
,
,
,
তখনি আদ্র সিড়ি বেয়ে নিচে নেমে যায় আর ইহানের সাথে ধাক্কা খায়…..

আদ্র: দেখে শুনে চলতে হয় নাকি……

ইহান: সেটা তো আপনিও চলতে পারেন নাকি….. [ কিছুটা ত্যারা ভাবে বলল ]

আদ্র ইহানের মুখে আশা করেনি…….

আদ্র: তুমি তো সেই ইহান…..

ইহান: আমি ইহান নই আমি অয়ন…..

আদ্র: কিন্তু অর্নি যে বলল….

ইহান: কে অর্নি আমি এই নামে কাউকে চিনি না।

আদ্র: [ বেশ অবাক হয় ] সে যাই হোক তুমি যেই হও ইহান না অয়ন একটু দেখে শুনে চলবে।

ইহান: আমি কিভাবে চলব না চলব সেটা কি আপনি ডিসাইড করবেন নাকি….

আদ্র: তুমি এভাবে কেন কথা বলছ আমি জাস্ট….

ইহান: অয়ন আহমেদ কারো কথা শুনতে অভ্যস্ত নয়। সে যেই হোক…..

আদ্র এবার কিছুটা রেগে যায়। এইটুকু ছেলের মুখে এমন কথা শুনে….

আদ্র: আচ্ছা তুমি কি যেচে আমার সাথে ঝগড়া করছো……

ইহান: অয়ন আহমেদের একটা স্যান্ডার আছে সে তার নিজের স্যান্ডার ছাড়া কারো সাথে কথা বলতেও পছন্দ করে না……..

আদ্র: তোমার মত এরকম অসভ্য ছেলের সাথে কথা বলতে আমি ইচ্ছুক নই…. আমার আরো কাজ আছে…..[ চলে যেতে চায় ]

ইহান: নিজের রাস্তা ছেড়ে আরেকজনের পথের কাটা হলে আর কি করা যায় বলুন তো…..

আদ্র: মানে….

ইহান: নিজের কাজে কাজ রাখুন অন্য কারো কিছুর দিকে হাত বাড়ানোর ফল ভালো না। এর জন্য কিছু হলে তার দায়ী কিন্তু নিজেই হবেন……. [ বলে চলে গেল ]

আদ্র ইহানের এ্যাটিউড দেখে জাস্ট অবাক হল। এতটুকু ছেলে যার কিনা ম্যাচুরিটি আসার কথা না সে আদ্রের সাথে এমন ভাবে কথা বলছে যেন সে তার সেইম….

আদ্র: এই ছেলেটার বয়সের চেয়ে গ্রোথ বেশি হয়েছে। কিছুটা অস্বাভাবিক লাগছে একে…. আর কিসব বলে গেল….. সাইকোলজির কোনো সমস্যা আছে নাকি…. সে যাই হোক আনহা কিভাবে এরকম একটা রুড ছেলেকে এতটা পছন্দ করে………[ চলে যায়…….. ]

ইহান: আপনি আনহার বয়ফ্রেন্ড তাই না। কিন্তু কি করব বলেন একটা মেয়ের একটা মাত্র বয়ফ্রেন্ড থাকে যেটা ছোটবেলাই আনহা আমাকে বানিয়েছিল। কিন্তু তখন সেটা না বুঝলেও এখন তো বুঝি….. তাই আমি আমার গার্লফ্রেন্ডকে কেন দিব…. [ কিছুটা অভিমান নিয়ে সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে বলল ]
,
,
,
,
,
,
,
,
,

,
তখনি আনহার সাথে ওর দেখা হয়। আনহা ডাক দিতে নিলেই ইহান ওকে ইগনোর করে চলে যায়……

আনহা: যাক বাবা এই ইহানটাকে বুঝিনা বাবা….. [ চলে ক্লাসে যেতে নেয়। তখনি কোথাথেকে একটা পিচ্চি ছেলে আসে কাদতে শুরু করে ]

আনহা: কি হয়েছে কাদছ কেন???

ছেলেটা: ???

আনহা: আরে বাব কাদছিস কেন???

ছেলেটা: আমরা বাইরে খেলছিলাম। বলটা এইখানে এসে পরে একটা দুষ্ট আমার বলটাকে ওইখানে ফেলে দিয়েছে।

আনহা: আরে কোন মুসিবত…. আচ্ছা বল কোথায় ফেলেছে চল…..

তারপর ছেলেটা আনহাকে স্টোর রুম দেখিয়ে দেয়…..

আনহা: তুই দারা আমি আসছি….. [ ভিতরে গিয়ে বলটা খুজে পেয়েও যায়। কিন্তু বাইরে আসতে জামাটা পিনের সাথে আটকে যায়। ] ওই পিচ্চি নে…. [ পিচ্চি বলটা নিয়ে চলে যায় আর আনহা পিন টা ছাড়িয়ে যেই বের হতে ধরে তখনি দরজাটা লক হয়ে যায়। যেহেতু স্টোর রুম তাই ভিতরটা খুব অন্ধকার হয়ে যায়…. বেশ ভয় পায় আনহা ]

আনহা: এখানে কি কেউ আছে…….

[ তখনি আনহা নিজের ঘাড়ে কারো নিঃশ্বাস ফিল করতে পারে। আনহা ভয় পেয়ে সরে যেতে ধরলে কেউ টান দিয়ে দেয়ালে চেপে ধরে। ]

আনহা: ক—কে… [ বলার আগেই আনহার ঠোঁট জোরা নিজের আয়ত্তে নিয়ে নেয় আনহা নিজের সমস্ত শক্তি দিয়েও পেরে উঠে না বরং ছোয়াটা বারতে থাকে। এটা দেখে আনহা শান্ত হয়ে যায়। কিছুক্ষন পর আনহা কাছে ছোয়াটার তীব্রতা কম হতে থাকে।একসময় তা মিলিয়ে যায়। তখনি আনহা নিজের নাকে কারো নাক ঘষার অনুভব পায়। সে তার দুহাত দিয়ে গাল ধরে রেখেছে আনহার….. আর আনহা পাথরের ন্যায় স্থীর হয়ে গেছে,…….

সে: আমার অধিকারটা যদি আরেকজনের কাছে যায় তাহলে তো সেটা আমাকে বুঝে নিতেই হবে….. [ নেশাক্ত কন্ঠে ]

আনহার কাছে ভয়েজটা চেনা লাগল। কিন্তু বুঝতে পারল না। কেমন যেন শোনাচ্ছে।

সে: “””কি চাই জানিনা….. কিন্তু কাউকে চাইতে দিতে চাই না….. ”'” [ কথাটা বলে আনহার কপালে চুমো একে মিলিয়ে গেল ]

কিছুক্ষন পর আনহা ওখানেই বসে পড়ল। সবটা আনহার মাথার উপর দিয়ে গেলো। আর কথার ও কোনো আগামাথা পেল না………..

আনহার মাথায় কিছুই এলোনা। কে কেন এমন করছে কিছুই বুঝতে পারল না। বিষয়টি এমন যে কারো সাথে শেয়ার করতে পারল না……
,
,
,

,
,
,
,
,
,
,
পরেরদিন ভার্রসিটিতে গিয়ে আনহার মাথাটা গরম হয়ে যায়…… ইহান মাঠের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে। ও নিজে দাঁড়িয়ে আছে বললে ভুল হবে বরং বলা যায় ওকে কতগুলো মেয়ে মিলে জোর করে নিজেদের সামনে দারিয়ে রেখেছে। আর ইহান মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে…….

রিয়া: ওই পিচ্চি হান্ডসাম তুই এত কিউট কেন???

লামিয়া: আচ্ছা তোমাকে আমার ছোট বোনের হাসবেন্ড বানাবো….

মায়রা: তুই ওকে বোনের জামাই বানাবি আমি পারলে বয়ফ্রেন্ড বানিয়ে নিতাম….

এসব শুনে আনহার গা জ্বলে যাচ্ছে। ও রাগে ফুলছে…… ইহান এতগুলো মেয়েকে কিছু বলতেও পারছে না। কারন সবাই ওর বয়সে বড়…… না কেউ সমবয়সী না কেউ ছোট….

ইহান: আচ্ছা জালা তো। এখন কি করি। এদের কিছু বলতে পারছি না। কি বলব???। এবার আফসোস হচ্ছে কেনো যে নিজের চেয়ে উপরের লেভেলে এলাম??? [ ইহানের মুখটা দেখার মত হয়েছে। ও পারেনা আজ কেদেই দেবে মেয়েগুলো এমন ভাবেই ইহানকে ঘিরে রেখেছে ]

নায়রা: কিরে লিটল হিরো কাদছিস কেন???

তখনি আনহা গিয়ে সবার সামনে থেকে ইহানকে টানতে টানতে নিয়ে আসে। তখনি রিয়া সামনে এসে দাঁড়ায়….

রিয়া: কিরে আনহা তুই ওকে নিয়ে কই যাচ্ছিস দেখিস না আমরা মজা করছিলাম।

আনহা: ওকে কি কোনো চকলেট বান মনে হয় যে মজা করবি…. ???

রিয়া: ও তোর কি হয়….

আনহা: তা জেনে তুই কি করবি…..

ইহান: আমার হাতটা ছাড়ুন প্লিজ……[ আনহার হাত ছাড়াতে ছাড়াতে ]

আনহা: আরেকটা কথা বলবি তো থাপ্পড় মেরে ৩২ পাটি দাত খুলে নেব…. ???

ইহান: আমার দাত ৩০টা…..[ মাথা নিচু করে ]

আনহা: ওরে এত তাড়াতাড়ি আক্কেল দাত উঠল… ??? পিচ্চির দেখি আক্কেল হয়েছে কিন্তু বেক্কল ভাব যায়নি???

রিয়া: কই যাসছিস ওকে নিয়ে….

আনহা: তোর জেনে কি লাভ???

[ তারপর ইহানকে টানতে টানতে নিয়ে আসে। আর আনহার রাগ দেখে ইহান নিজের মনে হাসতে থাকে ]
,
,
,

,,
,
,
,
,
,
,
ইহান মাঠের শেষে গাছের নিচে মাথা নিচু করে বসে আছে। নিজের ইচ্ছায় নয় আনহা ইহানকে জোর করে বসিয়ে রেখেছে।

আনহা: ওদের সাহস কি করে হয় আমার পিচ্চিকে এসব কথা বলার। লজ্জা করে না এত বড় হয়েও এই পিচ্চিটার দিকে নজর দেয়…. ??? [ রাগে ফুসতে ফুসতে ]

এসব দেখে ইহানের বেশ মজা লাগছিল। তারপর একটা মুড নিয়ে বলে…..

ইহান: আচ্ছা আমাকে এখানে এনেছেন কেন??? [ বেবি ফেস করে ]

এমনিতেও ইহান দেখতে একদম বাচ্চা তার উপর এই রকম মুখে তাকানো দেখে আনহার রাগটা পরে গেল। কিন্তু একটু বাদেই আবার রাগ উঠে গেল…..

আনহা: ওই তোকে এসব কাইলা কাইলা কে পরতে বলে???

ইহান: খারাপ লাগে নাকি….

আনহা: না অনেক বেশি কিউট লাগে…. একদম জুনিয়র হিরো লাগে….

ইহান: তাহলে…. ???

আনহা: কাল থেকে এসব পরবি না। আল্লাহ এই বয়সে এই অবস্থা আর কয়দিন পরত এরে কেউ ভাগে পাবে না। না.. না… আমার পিচ্চিরে এসব শাকচুন্নির হাত থেকে বাচাতে হবে..…….

ইহান: আচ্ছা আপনার সমস্যা কোথায়…??

আনহা: সমস্যা আমার মানে… তোর দেখছিলি কিভাবে তোকে দেখছিল। দেখ পিচ্চি তুই ছোট এসব মেয়েদের চিনিস না। ঠিক ফুসলে ফাসলে তোকে ওসব প্রেম টেম করাবে…. হায় আল্লাহ তোর সাথে কি করে ওই গুলার বিয়ে দিব…..

ইহান: তাহলে আমি কি করব??? [ একটা দুষ্ট হাশি দিয়ে ]

আনহা: ভাই তোর জন্য আমি মিষ্টি একটা মেয়ে খুজে দিব যে তোকে খুব ভালোবাসবে কেমন??? আর ওই মিষ্টি মেয়ের সাথে তোর বিয়ে দিব…. ???

এইটা শুনে ইহানের মেজাজ খারাপ হয়ে গেল… ইহান বসা থেকে উঠে আনহার সামনে যায়…..

আনহা: কিরে কি হল…. [ ইহানের মুখের দিকে তাকিয়ে ]

ইহান: আমার জন্য আপনাকে এতটা না ভাবলেও চলবে। আমি নিজের জন্য সবকিছু নিজেই খুজে নিতে জানি।

আনহা: আমি তোর ভালোর জন্য……

ইহান: আমার ভালোটা নাহয় আমাকে বুঝতে দিন। আপনার সেটা না বুঝলেও চলবে। [ চলে যেতে নেয় ] আরেকটা কথা আজ আমাকে টাচ করেছেন কিছু বলিনি কিন্তু নেক্সট টাইমে যেন আমাকে টাচ করার কথা দুবার ভাববেন। আমার এসব একদম পছন্দ নয়………

আনহা: তুই আমার সাথে এভাবে…..

ইহান: দেখুন আমি জানিনা কি বলতে চান আপনি শুধু একটা কথা আমি আপনাকে দেখতে চাই না। সবসময় শুধু বিরক্ত করেন কেন আমাকে???

আনহা: ইহান তুই…..

ইহান: ইহান নই অয়ন….. আর দয়া করে আপনি আমার সামনে আসবেন না। ওই মেয়ে গুলার চেয়েও আপনি…. ওরা তাও কথা বলছিল কিন্তু আপনি টেনে নিয়ে এলেন আমাকে…. কি ভাবছে বলুন তো। আপনার নিজের কোনো রেপুটেশন না থাকতে পারে কিন্ত আমার আছে….. So plzz stay away from me….. [ বলে চলে যায় ]

আনহা ইহানের কথায় যতটা না অবাক হয়েছে তার চেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছে…ও কাদতে কাদতে চলে যায়….
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
তারপর আনহা ক্লাসে গিয়ে ক্লাস শেষ করে। ছুটির সময় প্রিন্সিপাল আনহাকে ডাকায়……

আনহা: May i come in sir……

প্রিন্সিপাল: yes…. Come in…

আনহা: আমায় ডেকেছিলেন….

প্রিন্সিপাল: হুমম…. [ বেশ চিন্তিত হয়ে ]

আনহা: any problem sir…..

প্রিন্সিপাল: একটা হেল্প চাই আনহা। করতে পারবে…

আনহা: জি স্যার বলুন তো আপনি…

প্রিন্সিপাল: আসলে আমার অর্নাস ফাস্ট ইয়ারের একটা স্টুডেন্ট ভর্তি হয়েছে ও একাউন্টটিং এ একটু না মানে বেশ কাচা। তুমি তো ওইটা ভালো বুঝো তাই তুমি যদি ওকে একটু পড়াও বেশ উপকার হবে….

আনহা: কিন্তু স্যার…..

প্রিন্সিপাল: কোনো কিন্তু না আনহা। আমি ওর জন্য তোমাকে সাজেস্ট করেছি। আর ১ ঘন্টাই তো। ছুটির পর পরাবে আর তোমাকে খুব ভালো এমাউন্টও প্রেমেন্ট করা হবে…

আনহা: স্যার আমার চেয়ে তো ভালো…

প্রিন্সিপাল: এত কিছু শুনতে চাই না তুমি ওকে পড়াচ্ছ বেস…. [ কপালের ঘাম মুছতে পানি খেলেন ]

আনহা: ওকে স্যার…. ???

প্রিন্সিপাল: যাও ও তোমার সাথে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করছে…. [ স্বস্তি নিয়ে ]

আনহা: আচ্ছা…..[ বলে বেড়িয়ে এলো ]

,
,
,
,

,
,
,,

,স্যারের লাইব্রেরির দিকে যাচ্ছে আনহা…..

আনহা: ব্যাপার টা কি হল স্যারকে এতটা চিন্তিত কেন লাগছিল??? সে যাই হোক আমার তো হাত খরচ হয়ে যাবে তাতেই হবে। এমনি ছোট একটা জবের জন্য ভেবেছিলাম আর তার দরকার নেই…. ??? [ বলে লাইব্রেরিতে ঢোকে ]

লাইব্রেরীতে ঢুকে দেখে জানালার ধারে কেউ একজন প্যান্টের পকেটে হাত গুজে দাঁড়িয়ে আছে……আনহা এগোতেই আচমকা বাতাসে সব কাগজ উড়ে আনহার মুখের উপর পরে….. আর জানালার তিব্র আলোতে নিজের মুখ থেকে কাগজ সরাতেই খুব চেনা একটা মুখ দেখতে পায়…

আনহা: ইহান…….