আপনিময়?তুমি Part-09

0
1829

#আপনিময়?তুমি [ An unexpected crazy love ]
#Written By: Åriyâñà Jâbiñ Mêhèr [ Mêhèr ]
Part: 09……….

ইহান: ওকে আনহা…. কাল আপনার সাথে দেখা হবে আমার…. কিন্তু….. [ বাকা হেশে আনহার ওড়নাটায় চুমো খেয়ে ]

পরের দিন ক্লাস শেষে আনহা ইহানকে পরাতে গেল লাইব্রেরিতে….. আনহা ইহানকে একটা ম্যাথ বুঝিয়ে সেটা দেখতে দিল। আর ইহান ও সেটা বেশ কিছুক্ষন নিয়ে দেখতে লাগল। এভাবে অনেকক্ষন যাবার পর আনহার বেশ অলসেমি লাগে। ঘুমে চোখ বুজে আসে। ইহান নিজের মত ম্যাথ করতে ব্যাস্ত….. তাই আনহার মাথাটা টেবিলে রাখল এভাবে থাকতে থাকতে কখন যে ঘুমিয়ে গেল নিজেও জানতে পারল না।
,
,
,
,
,
,

,

,
,ইহান ম্যাথ শেষ করে যেইনা আনহাকে ডাক দিতে গেল…. তখন দেখল আনহা ঘুমিয়ে গেছে এটা দেখে ইহান একটু মুচকি হাসে…. তখনি আনহার ফোনের স্কীনে আবার আদ্র নামটা লেখা উঠে….. এটা দেখে ইহানের মাথাটা আবার গরম হয়ে গেল। ও খুব সাবধানে ফোনটা নিয়ে কল কেটে দিল তারপর মোবাইলটা বন্ধ করে আনহার পাশে গিয়ে বসে পড়ল…. তারপর নিজের গায়ের জ্যাকেট টা আনহার গায়ে জড়িয়ে দিল।

টেবিলে হাতের উপর মাথা দিয়ে খুব কাছ থেকে আনহাকে দেখতে থাকে। আনহার মুখে আসা চুল গুলো ফু দিয়ে উড়িয়ে দেয় ইহান। তারপর অপলক ভাবে দেখতে থাকে আনহাকে………..

ইহান: I love u Anha…… [ আনহার হাতের আঙুলে টাচ করে ]

,
,
,
,

,
,
,
বিকেল ৫টা দিকে আনহার ঘুম ভাঙে…… আনহা আলসেমি ঝাড়তে বড় সরো একটা হাই তোলে….. ইহান সামনে বসে বই দেখছিল আর চিপস খাচ্ছিল…… আনহাকে উঠতে দেখে…..

ইহান: Good Afternoon miss… তা ঘুম ভালো হইছে…. [ মুচকি হেশে ]

আনহা: অনেক ভালো হইছে…

[ আবার টেবিলে মাথা রাখে। কিছুক্ষন পর ওর খেয়াল হয় ওর সাথে কেউ কথা বলল। উঠে সামনে তাকাতেই দেখে ইহান….. ]

আনহা: তুই এখানে কি করছিস…. ???

[ এইটা দেখে ইহান আনহার সামনে তুরি বাজায়।

ইহান: মিস অর্নি…. আপনি নিজের বাসায় নন লাইব্রেরিতে। আর আপনি এখানে আমাকে পরাতে এসেছেন আর না পরিয়ে ঘুমুচ্ছেন…. [ এক পিচ চিপস মুখে দিয়ে ]

ইহানের কথায় আনহা বেশ লজ্জা পেল। কারন ও ইচ্ছে করে না ঘুমালেও একজন স্টুডেন্ট এর সামনে ঘুমিয়ে গেছে….

আনহা: সরি আমি বুঝতে পারিনি। [ মাথা নিচু করে ]

ইহান: its ok….. [ গম্ভীর গলায় ]

তখনি আনহার চোখ যায় মোবাইলের দিকে। হাতে নিতেই দেখে মোবাইলটা অফ। দ্রুত মোবাইল অন করতেই দেখে আদ্রের প্রায় ৫৭ টা মিসকল…. সময়ের দিকে তাকাতেই চোখ কপালে তারমানে ৫ বাজে। যেখানে ১ টায় ওর ক্লাস শেষ হয়েছে….

আনহা: ৫ টা বেজে গেছে আর তুই আমাকে একটা বার ডাক দিতে পারলি না??? আমি না হয় ঘুমিয়ে গেছি তুই তো জেগে ছিলি তাই না….. ???

ইহান খুব শান্তভাবে আনহার দিকে তাকায়……

ইহান: এখানে আমি আপনার কাছে পরতে আসি আপনাকে ঘুম থেকে জাগাতে না [ বেশ মুড নিয়ে ]

আনহা: তোর সাথে কথা বলাই বেকার….. [ বলে চলে যেতে নেয়। তখনি ইহান আনহার হাত ধরে আবার চেয়ারে বসিয়ে দেয়….

ইহান: ঘুমিয়েছেন তাই ডাকিনি। কিন্তু এখন যখন ঘুম ভেঙেছে আমার পড়া কমপ্লিট করে দিয়ে যাবেন। কালকে আমার দরকার।

আনহা: এখন শীতকালের সময় একটু পর সন্ধ্যা হয়ে যাবে। আমি বাসায় যেতে পারব না। তাছাড়া তুই তো জানিস আজকে একটা পার্টি আছে….

ইহান: আমাকে এসব বলে কোনো লাভ নেই মিস আনহা…..

আনহা ডাক শুনে আনহা ইহানের দিকে তাকায়… অনেকদিন পর আনহা নামটা শুনল…..

ইহান: কি হল বসুন…

আনহা আর কিছু বলতে পারল না। বুঝতেই পারছে অংক না বুঝিয়ে আজ ইহান ওকে ছাড়বে না। তারপর আনহা ওকে পরাতে পরাতে প্রায় সাড়ে ৬ টা বেজে যায়। আনহা দ্রুত পরিয়ে বেড়িয়ে আসে। চারদিক অন্ধকার হয়ে গেছে। এসময় এদিকটায় কোনো রিক্সা পাওয়া যায় না। এখন কিভাবে যাবে বুঝতে পারছে না। আর রাস্তাটাও খুব নিরব……

আনহা ভয়ে ভয়ে হাটতে থাকে। তখনি কিছু একটার শব্দে কেপে উঠে ও… প্রচন্ড ভয় লাগছে এই অন্ধকারে। কিছুদুর হাটতেই আরেকটা শব্দে আনহার কলিজা কেপে উঠে… দেখে একটা কালো বিড়াল রাস্তার পাশে ডাকছে এইটা দেখে আনহার কলিজার পানি শুকিয়ে যায়…. আনহা কিছু না ভেবেই দৌড় দেয়…. আর কিছুর সাথে বেধে মুখ থুবড়ে পরে যেতে নেয় আর নিজের চোখ বন্ধ করে নেয়… ঠিক তখনি কেউ আনহার হাতটা ধরে নেয়… আনহা কিছুক্ষন পর চোখ খুলে ইহানকে দেখতে পায়…. ইহান শান্তভাবে ওর হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছে…. আনহা ওর দিকে তাকাতেই ইহান আনহাকে নিজের দিকে টেনে নেয়। যার কারনে ও ইহানের বুকের সাথে ধাক্কা খেয়ে আনহা নিজের নাকে ব্যাথা পায়…..

আনহা: [ ইসস… কি অবস্থা সেইত ব্যাথা পেলাম…. মনে মনে নাকে হাত ]

ইহান: এখানেই এভাবে থাকার ইচ্ছে আছে নাকি যাবেন….

আনহা:……

ইহান: আপনি থাকলে থাকতে পারেন আমার ইচ্ছে নেই…..

আনহা আর কিছু বলতে পারল না। ইহানের পিছনে হাটা শুরু করল…

আনহা: আজ তুই গাড়ি আনিসনি…..

ইহান: না… ড্রাইভার ছুটি নিয়েছে….

আনহা: তুই ড্রাইভ করতে পারিস না। ??

এইটা শুনে ইহান থেমে ভ্রু কুচকে আনহার দিকে তাকায়…..

ইহান: আচ্ছা আমাকে দেখে আপনার মনে হয় আমাকে কেউ ড্রাইভিং লাইসেন্স দেবে

আনহা: আসলে…

ইহান: থাক আর বলতে হবে না…. [ হাটুন ]

আনহা: [ এই টুকু বয়েসে এতটা পার্রসোনালিটি পায় কই এই পিচ্চি। বয়সের সাথে খুব বেশি বেমান লাগে। সবাই যেখানে নানা কাজে ব্যস্ত সে তখন নিজের জগতে বিভোর….. ]

ইহান: চলুন….

আনহা: কিভাবে যাব। এতদুর হেটে যেতে পারব…. এখানে তো আর কিছু নেই….

ইহান: আমার কাছে একটা আইডিয়া আছে যদি আপনার আপত্তি না থাকে….

আনহা: কি..??

ইহান: আজকে ভার্রসিটিতে আমি সাইকেল নিয়ে এসেছিলাম। মন চাইছিল তাই…. এখন আপনি যদি চান তবে আমার সাথে সাইকেলে যেতে পারবেন……

আনহা: সেটা এখন বলছিস….??? আগে বললে কি হত….

ইহান: হুমম… এখন বললাম তো… সে যাই হোক চলুন… সাইকেল মাঠে আছে…..

আনহা: আবার মাঠে???

[ তারপর ওরা মাঠে যায়….

ইহান: একটা সমস্যা আছে…..

আনহা: আবার কি???

ইহান: আমার সাইকেলে পিছনে সিট নেই তাই সামনে বসতে হবে.।।।।

আনহা: মানে…..

ইহান: কিছু করার নেই…..

,
,
,
,,
,,
,

,
,
,ওকে সমস্যা নাই…. তারপর ইহান সাইকেল চালায় আর আনহা ইহানের সামনে বসে….

আনহা: ইসসস কত মজা তাই নারে। ছোটবেলায় কত ট্রাই করেছিলাম সাইকেল চালানোর জন্য কিন্তু পারিনি। সে যাই হোক তুই তো পেরেছিস তাতেই খুশি…. ???

ইহান: [ আমি জানি আনহা আপনার অনেক শখ সাইকেল চালানোর তবে চিন্তা করবেন না। আপনি চালাতে পারেনি তো কি হয়েছে আমি তো আছি আমি আপনাকে নিয়ে ঘুরব ]

তারপর আনহাকে নিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেয়। পুরো রাস্তা আনহা বকবক করছিল আর ইহান খুব মন দিয়ে ইহানের কথা গুলো শুনছিল…… বাড়িতে নামিয়ে দিলে আনহা ভিতরে চলে যেতে নেয় তখনি আবার ফিরে ইহানের দিকে তাকায়…..

আনহা: ইহান….

ইহান: হুমম….

আনহা: গুড নাইট কাল দেখা হবে….. [ মিষ্টি হেসে ভিতরে চলে যায় ]

ইহান: সরি আনহা কাল নয়। আজ রাতেই আপনার সাথে আমার দেখা হবে…….
,
,
,,
,

,
,,
,

বাড়িতে ডুকতেই আনহার মোবাইলে অন্তির কল আসে…..

অন্তি: ওই তুই কি আজ পার্টিতে আসবি না নাকি…. ???

আনহা: আরে আসব তো… রাগছিস কেন???

অন্তি: ছিলি কই তুই তোকে না পেয়ে আদ্রদা আমাকে পাগল করে ফেলেছে….

আনহা: এই যা তোর সাথে পরে কথা বলছি আর আমি আসছি……

অন্তি: কিন্তু…..

আনহা: আমি আসছি……. এখন বায় [ বলেই ফোন কেটে দেয় ]

তখনি ফোনে আদ্র কল দেয়……

আনহা: হ্যালো….

আদ্র: সমস্যা কি তোমার…. [ বলেই হাজার কথা শুনাতে শুরু করে আর আনহা খালি হুমম হমম করে ]

আনহা: হয়েছে…

আদ্র: তুমি… ???

আনহা: এখন রাখি…. পার্টিতে আসছি বায়…. [ বলেই কেটে দেয় ]
,
,
,

,,
,
,
,
,

,
তারপর আনহা ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নেয়। কালো একটা গ্রাউন পরে তার সাথে স্টোনের ইয়াররিং ঠোঁটে গাঢ় লাল লিপস্টিক…… আর চোখে গাঢ় কাজল দিয়ে চুল গুলো ছেড়ে আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে একটা মুচকি হাসি দিল….

আনহা: মি. আদ্র দেখি আজকে আপনি আমাকে কি বলেন???
,
,

,
,,

তারপর আনহা অন্তির সাথে পার্টিতে যায়। কিন্তু পার্টিটা কে বা কেন দিয়েছে ও জানে না। ভার্রসিটির কেউ দিয়েছে কিন্তু কে তা জানে না। এখানে সবাই ভার্রসিটির স্টুডেন্ট……..

আনহা গিয়ে আদ্রের সামনে দাড়াতেই আদ্রের চোখ কপালে…… কিছু বলার ভাষাই যেন হাড়িয়েছে…..

অন্তি: এভাবে দেখলে আমার ফ্রেন্ডের নজর লাগবে….

আদ্র: চাঁদ যদি সামনে থাকে দেখতে তো হবেই…

অন্তি: তারজন্য ব্যবস্তা আছে…. [ একটা মাক্স এনে আনহাকে পরিয়ে দেয় আর নিজেও একটা পরে নেয়। ] এবার আর চাদে কারো নজর পরবে না। আর হ্যা আপনিও পরে নিন…..

আদ্র: ওকে…. [ নিজেও একটা মাক্স পরে নেয় ]

[ কারন এটা একটা মাক্স পার্টি। সবার মুখে মাক্স লাগানো ]

,
,
,
,,
,
,
,
,
মাক্স পরার কারনে আদ্রের কাছে সবটা গুলিয়ে গেল। কারন অনেকেই এক রকম ড্রেস পরে এসেছে। আদ্র আনহাকে খুজছে আর আনহা জুস বারে বসে মোবাইলে ইহানের ছবি দেখছে। খুব মিস করছে ওকে……

সবাই ডান্স ফ্লোরে ডান্স করছে…. আনহা ওদের দিকে তাকিয়ে একটু মুচকি হেশে আবার মোবাইলে ইহানের সাথে ওর ছোটবেলার ছবি গুলো দেখতে থাকে……

আনহা: আচ্ছা এখানে সবাই আছে…. তুই তো আমাদের ভার্রসিটির তাহলে তুই আসিস না কেন??? আমিও না তুই তো ছোট…. পিচ্চি আমার……… নাকে উপর এখনো কত রাগ….[ বলেই মুচকি হাসে ]
,
,
,
,

,

,
,

,
,তখনি লাইট নিভে আলো জলা- নেভার খেলা শুরু হয়….. হঠাৎ আনহার চোখ যায় দরজার দিকে….. দেখে খুব লম্বা একজন। কমপ্লিট ব্লাক সুট…… কালো শার্টের হাতা কনুই পর্যন্ত ফোল্ড করা আর শার্টের উপরের ২টা বোতাম খোলার কারনে ফর্সা বুকটা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু মুখে মাক্স থাকার কারনে চেহারা দেখা গেল না। কিন্তু ছেলেটার হাটার স্টাইল আর ওর লুকে যে কেউ অ্যাটাকটেড হবে। ছেলেটা খুব ধীর পায়ে সামনে এগোতে থাকে। আনহার কেন জানি মনে হতে লাগল ছেলেটা ওর দিকেই আসছে…. কিন্তু মনে ভুল মনে করে আনহা অন্য দিকে তাকায়…….

তখনি ছেলেটা এসে আনহার দিকে নিজের হাত বাড়িয়ে দেয়…… আনহা বেশ অবাক হয়।

ছেলেটি: আমি কি ডান্স করতে পারি…. [ হাত বাড়িয়ে ]

আনহা: সরি…. কারন…

[ ছেলেটা আনহাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই হাত ধরে টেনে তোলে….. তারপর ডান্স ফ্লোরে নিয়ে যায়……

আনহা: কি করছেন??? আমি বললাম তো….

তখনি ছেলেটা আনহার ঠোঁটে আঙুল দেয়….

ছেলেটা: হুসসস… আমার ব্লাক পিন্সেসকে ছেড়ে আমি কোথায় যাবো [ নেশাক্ত কন্ঠে ]

আনহা: মানে….. [ কন্ঠটা সেদিনকার স্টোর রুমে পাওয়া কন্ঠের মত ] দেখুন প্লিজ ছাড়ুন আমাকে…

বলে ছাড়িয়ে যেতে নেয়। কিন্তু ছেলেটা ওকে হ্যাচকা টানে নিজের মধ্যে টেনে নেয়….. আনহা গিয়ে ওর বুকের সাথে মিশে ওর শার্টটা আকড়ে ধরে। আর তা দেখে ছেলেটা আনহাকে জড়িয়ে ধরে। আনহা বুঝতে পেরে ওকে ছাড়ানোর জন্য ওর বুকে ভর দিতে নেয়। তখনি ওর বুকের বাম পাশের শার্টটা সরে যায়। আর ওর বুকে আনহা নিজের নাম দেখতে পায়। আনহার নজর ওর বুকের দিকে গেলেই আনহা ওকে ছাড়িয়ে যেতে চাইলেও পারে না…. আবার নিজের মধ্যে টেনে নেয় ওকে…… আনহার বুঝতে বাকি থাকে না এইটা সেই ছেলেটা যাকে ও মাঠে দেখেছিল।

আনহা: প্লিজ ছাড়ুন [ হাত ছাড়ানোর চেষ্টায় ]

ছেলেটি: এত তাড়া কিসের এখনো অনেকটা সময় বাকি আছে…. আর ছেড়ে দিলেই বা কি পালাতে পারবে কি আমাকে ছেড়ে [ বাকা হেশে ]

আনহা: মানে…. কে আপনি….. আমি ত আপনাকে চিনি না।

ছেলেটি: আচ্ছা দুনিয়ায় আমাদের কি সবাইকে চিনতে হয়….

আনহা: কিন্তু আপনি বার বার আমার সামনে আসেন কোনো কারন তো আছে নাকি….

ছেলেটি: আছে তো…….

আনহা: কি????

ছেলেটি: কিছু চাই আমার ….

,আনহা: আমার কাছ থেকে…. [ অবাক হয়ে ]

ছেলেটি: হুমম তোমার কাছ থেকে…..

আনহা: আমার কাছে আপনার চাওয়ার কি থাকতে…. আর আমি বা আপনাকে কি দিতে পারি…..

ছেলেটি: যা চাই আমার সেটা তুমি দিতে পার। আর কারো কাছ থেকে চাইলেও আমি পাব না….

আনহা: কি…. এমন কি যা আমি ছাড়া কেউ দিতে পারবে না……

ছেলেটি: শুনতে চাও….

আনহা: হুমম…..

ছ্রলেটি: #আপনিময়?তুমিকে….. [ কানের কাছে গিয়ে ]

আনহা: মানে……

ছেলেটি: তোমাকে চাই…. আর তোমাকে শুধু তুমি দিতে পারো অন্য কেউ না। তাই যা আমার চাই তা তোমার থেকেই চাই…..

আনহা ওকে ছাড়িয়ে বলে….

আনহা: কি যা তা বলছেন….

ও আবার আনহাকে নিজের সাথে শক্ত করে মিশিয়ে নিয়ে বলে……

ছেলেটি: যা তা নয়…. তুমি শুধু আমার। এখন যতই দুরে যেতে চাও কিন্তু একদিন তুমিকে আমি আমার করে দেখাব….. সেদিন তুমি আমার তুমি হবে…..

আনহা: কি সব বলছেন আপনার মাথায় সমস্যা আছে…….. ???

ছেলেটি: হুমম….. তাইত তুমি আমার crazy love
[ আমার #আপনিময়?তুমি….. আমার crazy love ]

আনহা: দেখুন…… ???
,
,
,
,
তারপর বেজে উঠে মিউজিক……..

ZindaganikeLamhokoTereNaamKarDiya
KhudKo Teri He Khatir Badnaam KarDiya
Badnamiyaan MiliTanhahiyan Badii

Her Pal Ye DilYaadTujhe KartaRehtaHai
Her Pal TereSapne Ye Dekha Karta Hai
ManaTumneRaasteApneBadalLiye
Ye BecharaBeeteKal Mein He RehtaHai

AkhiriSaansKoBhiTereNaamKarDiya
AakhiriSaansKoBhiTereNaamKarDiya
KhudKo Teri He KhatirNakaamKarDiya

BadnamiyanMili
TanhahiyanBadii

Main Teri Aankho Mein
DekhtaHoonKhudKo
TumkoKyaDikhtaHai
MeriNazro Mein Kaho…

ছেলেটার হাত থেকে বার বার আনহা ছাড়া পাওয়ার চেষ্টা করেও পারে না। একসময় এই আলোর খেলায় আনহা নিজেও সামিল হয়ে যায়…. নিজেও ছেলেটার সাথে নাচে তাল মিলায়।

নাচ শেষে ছেলেটা আনহার গালে একটা একটা কিস করে….. তখনি সব আলো একেবারের জন্য নিভে যায়….. আর আনহা নিজের ঠোঁটে কিছুর ছোয়া পায়…….. বরফের মত জমে যায়। কারন এই ছোয়াটা ওর সত্যি অচেনা হয়। এটা বারং বার পেয়েছে আনহা……..

ছেলেটা: আমার ব্লাক প্রিন্সেসকে তার প্রিন্স নিজের ভালোবাসা আর ভালোবাসার গিফট দিয়ে গেল……

[ তখনি গলায় কিছু পড়িয়ে দেওয়া মত কিছু ফিল করে আনহা ]

ছেলেটা: Happy Birthday to u my black Princess…….. [ আনহার কপালে ঠোঁট বুলিয়ে ]

তখনি লাইট জলে উঠে……. আর আনহা বরফের মত দাঁড়িয়ে থাকে। এতক্ষন যা যা হয়েছে সবটা ওর মাথার উপর দিয়ে যায়……. আনহা গলায় হাত দিতেই দেখে ওর গলায় কিছু একটা আছে…… হাতে নিয়ে দেখতেই দেখে একটা ব্লাক ডায়মন্ডের পেনডেন…… আনহা বেশ অবাক হয়। কারন কাল ওর জন্মদিন এটা অন্যকারো জানার কথা নয় তবে। আর কে বা এমন গিফট দেবে….

আনহা ছেলেটাকে খুজতে থাকে। হঠাৎ ভিরের মাঝে আনহা ছেলেটাকে দেখতে পায়….. ছেলেটা দুরে দাড়িয়ে একটা ডিংস নিয়ে খেতে খেতে বাকা ঠোঁটে হাসছিল। আনহা খুব দ্রুত ছেলেটাকে ধরার জন্য যায়। কিন্তু আলো আধারের খেলার মাঝে এই ভিড়ে আনহা বার বার ওকে পেয়েও হাড়িয়ে ফেলে……

আনহা বার বার ওর কাছে ছুটে যায়। কিন্তু বার বার ধরা দিতে গিয়েও নিজেকে লুকিয়ে নেয় সে…. সে আনহার সাথে এক অন্যরকম লুকোচুরি খেলায় মেতেছে….. আর আনহা যেন একটা মরিচিকার পিছনে ছুটছে কিছুতেই তার নাগাল পাচ্ছে না………,

,