পর্ব ২৯+৩০
#আমার_আসক্তি_যে_তুমি
#Part_29
#Writer_Asfiya_Islam_Jannat
.
?
রিয়ান এইবার মাইক নিয়ে সবার এটেনশন নিজের দিকে করে। সকলের এই আগ্রহ এইবার রিয়ানের দিকে গিয়ে স্থির হয়। সবাই কৌতূহলি দৃষ্টিতে রিয়ানের দিকে তাকিয়ে থাকে। এমনি কি আমিও।
রিয়ান একবার আমার দিকে তাকিয়ে মাইক ঠিক করে বলা শুরু করলো।
.
— আজ আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। সাথে অনেক বিশেষ ও বটে। কেন জানেন! আজ আমি আমার ভালবাসার মানুষকে পেতে চলেছি বলে। তাকে এতটা করে চেয়েছি যে তা মুখে প্রকাশ্য নয়। তাই হয়তো আজ সে আমার পাশে। আমার সাথে।
কিন্তু একটা কথা জানেন কি তাকে না কখনো ঠিক মতো প্রাপোস করা হয় নি। বলতে গেলে প্রাপোস এই করা হয় নি। পাগলা প্রেমিকের মতো তাকে কখনো সকলের সামনে স্পেশিয়াল ফিল করানো হয় নি। বলা হয় নি নিজের অনুভূতির কথা গুলো।
তাই আজ আমি সকলের সামনেই নিজের অনুভূতি গুলো প্রকাশ করতে চলেছি। আর ইউ গাইস রেডি!!
.
সবাই এইবার চেঁচিয়ে উঠে। আর আমি বিষ্ময়কর দুই নয়নে শুধু রিয়ানের দিকে তাকিয়ে আছি। পায়ের নিচ থেকে যেন জমিন খসে পড়ছে।
রিয়ান যে সকলের সামনে তার অনুভূতি প্রকাশ করতে চাচ্ছে তা আমার জন্য একদমই অবিশ্বাস্য কর। কেন না, রিয়ান কখনো কাউরো সামনে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে না। যতই যাই হোক।
কিন্তু তাও কেন যেন মনের এক কোনে খুশির ফুলঝুরি ফুটে উঠছে।
.
.
তখনই রিয়ান আমার সামনে এসে আমার হাত আলতো করে ধরে আর তুলে দাড় করিয়ে দেয়। তারপর হাটু গেড়ে বসে আমার হাত ধরেই বলে।
.
— ❤তোমাকে নিয়ে আমার যত ভাবনা, কল্পনা।
অজস্র স্বপ্নের ভিড়ে দেখি শুধু তোমায়,
সমস্ত কল্পনা জুড়ে যে শুধুই তোমারই বসবাস। তুমি হাসলে বুঝি মনে হয়,
পুরিপূর্ণ হয়ে যায় এই অন্তরটা। ❤
❤জানি না ভালোবাসার আলাদা আলাদা নিয়ম আছে কিনা, তবে আমি কোন নিয়মে তোমাকে ভালবাসেছি তাও জানিনা।
শুধু এইতুকু জানি আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি ।❤
.
এতটুকু বলে রিয়ান থামে। তারপর নিজের পকেট থেকে একটা রিং বের করে আমার সামনে ধরে বলে।
.
— ❤অনুমতি দিবে কি! এই হাত ধরে সারাটা জীবন পারি দেওয়ার?
ভালবাসবে কি তুমিও আমার মতই? হবে কি আমার জীবনের আসক্তিময় ভালবাসা!❤
Will you be mine forever and ever?
.
এইবার আমার চোখ দিয়ে কয়েক ফোটা অশ্রু বেয়ে পড়ে। কখনো ভাবি নি যে কেউ এতটা করে চাইবে আমায়। এতটা ভালবাসা দিয়ে হাত চাইবে আমার। সব কিছুই যেন আমার কাছে এক অমূল্যহীন স্বপ্নের মত।
চারদিকে শুধু একটাই ধ্বনি কম্পিত হচ্ছে আর তা হলো, ” Say yes! Say yes!”
.
আমি এইবার নিজেও হাটু গেড়ে রিয়ান মুখোমুখি হয়ে বসি। তার বলি,
.
— Yes, I will be your’s forever and ever.
.
আমি ইয়েস বলার সাথে সাথে রিয়ানের ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটে উঠে। সে আমার অনামিকা আঙুলে সেই রিংটি পড়িয়ে দেয়। আর সাথে সাথেই সকলেই করতালিতে মেতে উঠে। ফফটোগ্রাফাররা এই বিশেষ মূহুর্তকে হাত ছাড়া না করে শ খানেক ছবি তুলে ফেলে।
তখন আরিশা এসে আমার হাতে রিং দিয়ে যায়। আমি সেটা হাতে নিয়ে বলি,
.
— Now you say! Will you be mine forever and ever?
.
রিয়ান এইবার একটা মিষ্টি হাসি উপহার দিয়ে বলে।
.
— I am already your’s.
.
আমি এইবার মুচকি হেসে রিয়ানের অনামিকা আঙুলে রিংটি পড়িয়ে দেয়।
আবার চারদিকে দ্বিতীয়বারের মত করতালিতে মেতে উঠে। আর ফটোগ্রাফাররাও ব্যস্ত হতে উঠে ছবি তুলতে।
.
.
এইবার আমরা দুইজনই এই দাড়িয়ে যাই। আরিশা এসে আমায় সাইডে নিয়ে যায় আর আমার কান্না মুছে দিয়ে মেকাপ ঠিক করে দেয়। ওয়াটারপ্রুফ মেকাপ হওয়ায় মেকাপ তেমন নষ্ট হয় নি।
তারপর আমি আবার স্টেজে রিয়ানের সাথে গিয়ে যোগ দেই। ফটোগ্রাফাররা এইবার আমাদের বিভিন্ন ভাবে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
.
.
সব শেষে রিংকি স্টেজে উঠে মাইক নিয়ে বলে।
.
— এটেনশন প্লিজ!! আজ আমি ড. রিয়ানের কাজ থেকে ছোট একটা আবদার করতে চাই। আশা করি তিনি আজ এমন বিশেষ দিনে আমায় মানা করবেন না।
.
— কি আবদার আগে তা তো শুনি। ( রিয়ান)
.
— আপনি প্লিজ আজ আমাদের সকলের সামনে গান গাইবেন। আপনার গানের গলা শুনার আমার বড্ড ইচ্ছে। প্লিজ মানা করবেন না। আজ এমন বিশেষ দিনে আমি আপনার দ্বিতীয় মাত্র কিউট ইনোসেন্ট মাসুম শালিকা আপনার কাছে রিকুয়েষ্ট করছি। প্লিজ আমার রিকুয়েষ্ট ফেলবেন না।
.
তখন সকলেই তাল মিলিয়ে বলতে থাকে তারাও রিয়ানের গান শুনতে চায়। তাই রিয়ান বাধ্য হয়ে স্টেজে উঠে আসে। তা দেখে রিংকির খুশি আর দেখে কে? সে চটজলদি একটা গিটার এনে রিয়ানের হাতে ধরিয়ে দেয় আর চেয়ারের ব্যবস্থা করে।
রিয়ান এইবার মাইক ঠিক করে চেয়ারে বসে। তারপর গিটার ঠিক মত ধরে বলে।
.
— This song is only for my love.
.
এই বলে গানে সুর ধরে।
.
.
❤❤
Dil Yeh Tere Bina
Maanta Hi Nahi
Kuch Bhi Tere Siwa
Maangta Hi Nahi
Tu Zaroori Sa Hai
Ab Toh Har Haal Mein
Iske Aage Koi
Raasta Hi Nahi
Aaa Tujhme Fanaah
Kar Doon Meri Zindagi
Iss Ishq Mein Marjawan
Kuch Bhi Kasam Se Karjawan
Hadh Se Bhi Guzarjawan
Kuch Bhi Kasam Se Karjawan
Oh, Ooo Oh…
❤❤
[ Most favourite song ]
.
.
গান শেষে সকলেই আবার করতালিতে মেতে উঠে। তখনই রিয়ানের নজর গেটের দিকে যায়। আর সে গিটার রেখেই বলে উঠে,
.
— বড় ফুপু!!
.
আমরা এইবার সবাই গেটের দিকে তাকাই। দেখি একজন মধ্য বয়স্ক মহিলা। মধ্য বয়স্ক বললে ভুল হবে। খানিকটা ইয়াংই দেখছে।
রিয়ান দৌড়ে তার কাছে যায়। তাকে জড়িয়ে ধরে বলে।
.
— ইউ আর টু লেট!! এত লেট করলে কেন? সেই কখন থেকে ওয়েট করছি। (রিয়ান)
.
— কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য ফ্লাইট লেট করে টেক অফ করে। বাট তাও লেট এর জন্য সরি। (বড় ফুপু)
.
— ইট ইজ ওকে.
.
— বাই দ্যা ওয়ে হোয়ার ইজ দ্যা ব্রাইড?
.
— ওয়েট। রিয়ুপাখি কাম হিয়ার!!
.
রিয়ানের ডাক শুনে আমি সেই দিকে যাই। তারপর তার সামনে গিয়ে তাকে সালাম দেই। সে সালামের উত্তর নিয়ে বলে।
.
— মাশাল্লাহ রিয়ান। তোর বউ তো একদম চাঁদের টুকরা রে। ( বড় ফুপু)
.
— আই নো! বাই দ্যা ওয়ে ওই বাদরটা কথায়? আসে নি নাকি? (রিয়ান)
.
তখনই পিছন থেকে কেউ বলে উঠে।
— আ’ম হিয়ার ব্রো!!
.
রিয়ান আর বড় ফুপু এইবার পিছে তাকায়। আওয়াজটা বেশ পরিচিত লাগায় আমিও পিছে তাকাই। তারপর যাকে দেখি তাতে আমার হাত পা সমানে কাঁপতে শুরু করে। চোখ মুখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যে কালো অতীতকে আমি বার বার পিছে ফেলে আসতে চাচ্ছি সে বার বার আমার সামনে এসে হাজির হচ্ছে। ভয়ে আমার হাত পা ঠান্ডা হতে এসেছে। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জায়গা দখল করে নিয়েছে। আমি এইবার অস্পষ্ট সুরে বলে উঠি।
.
— আআরিয়ান…
#Part_30
#Writer_Asfiya_Islam_Jannat
.
?
যে কালো অতীতকে আমি বার বার পিছে ফেলে আসতে চাচ্ছি সে বার বার আমার সামনে এসে হাজির হচ্ছে। ভয়ে আমার হাত পা ঠান্ডা হতে এসেছে। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জায়গা দখল করে নিয়েছে। আমি এইবার অস্পষ্ট সুরে বলে উঠি।
.
— আআরিয়ান…
.
কথাটা আস্তে বলাতে তা কাউরো কান অবধি পৌঁছাতে পারে নি। রিয়ান হাসি মুখে সামনে গিয়ে আরিয়ানকে জড়িয়ে ধরে বলে।
.
— এত দেরি করলি কেন হ্যাঁ?? আমার এংগেইজমেন্ট সেরিমনি মিস করলি।(রিয়ান)
.
— জানিস এই তো আমি ধামাকা আর সাপ্রাইসটা সব কিছুর শেষেই দিতে লাইক করি। লাইক বোমম!! আর চোখে আমার দিকে তাকিয়ে মুখ বাঁকা করে হেসে। ( আরিয়ান)
.
— তো আজ কি সাপ্রাইস এনেছিস শুনি? (রিয়ান)
.
— বলবো না সরাসরি দেখাবো কিন্তু টাইম আসলে। এখন কি ভাবি এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিবি না? (আরিয়ান)
.
— এইটা আবার বলা লাগে। মিট মাই উডবি ওয়াইফ রিয়ানা। মাই লাভ, মাই রিয়ুপাখি। আর রিয়ুপাখি এ হচ্ছে আরিয়ান। আমার বড় ফুপির ছেলে। লন্ডনে আমি ওদের সাথেই ছিলাম। মানে এক সাথেই থাকতাম। (রিয়ান)
.
আমি কোন মতে জোরপূর্বক হাসার চেষ্টা করি। নিজেকে নরমাল করার চেষ্টা করতে থাকি। আরিয়ান এইবার মুখে এক রহস্যময় হাসি ঝুলিয়ে হাত এগিয়ে বলে।
.
— নাইস টু মিট ইউ রিয়ানায়ায়া ভাবিবি। শেষের কথাটা কিছুটা সুর দিয়েই বলে। (আরিয়ান)
.
আমি এইবার একবার রিয়ানের দিকে তাকাচ্ছি তো আরেকবার আরিয়ানের দিকে। তারপর এক প্রকার বাধ্য আমি কাঁপা কাঁপা হাতে, হাতটা উঠাই। আরিয়ানের হাতটা ধরার আগেই রিয়ান আরিয়ানের হাতে হাত মিলিয়ে বলে।
.
— এত ভাবি ভাবি করা লাগবে না। একটু ভাইয়া ভাইয়াও কর! (রিয়ান)
.
আমি এইবার স্বস্তির নিশ্বাস নেই আর রিয়ানের দিকে কৃতজ্ঞতা ভরা নয়নে তাকাই।
.
— বাহ বাহ!! এত ইনসিকিউরিটি! (আরিয়ান)
.
— তেমন কিছুই না।(রিয়ান)
.
— তা কোন দিন যদি জানতে পারিস যার জন্য এত ভালবাসা, এত ইনসিকিউরিটি সে এইটার যোগ্যই না। সে আসলে কলঙ্কিত!! তখন? বাঁকা হেসে। (আরিয়ান)
.
রিয়ান এইবার মুচকি হেসে বলে।
— আমি আমার ভালবাসাকে খুব ভালো করেই চিনি। চাঁদও কলঙ্কিত হতে পারে কিন্তু আমার রিয়ুপাখি না। এই বলে আরিয়ানের হাত ছেড়ে আমাকে এক হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে। আমি ছলছল চোখে তার দিকে তাকিয়ে থাকি। রিয়ান আমার দিকে তাকিয়ে বলে।
.
— এন্ড মোস্ট ইম্পোর্টেন্ট থিং ইজ আই হ্যাভ ফেইথ অন হার। আর হ্যাঁ পরের বার থেকে আমি যাতে এমন কথা তোর মুখ থেকে না শুনি। (রিয়ান)
.
— আই ওয়াস জকিং ব্রো!! তুমি দেখি সিরিয়াস হয়ে গেলে। (আরিয়ান)
.
— কি লাগিয়ে দিয়েছিস তোরা? উফফ!! এখন ভিতরে চল। সবার সাথে দেখা করতে হবে তো! (বড় ফুপু)
.
— হ্যাঁ চলো। (রিয়ান)
.
.
??
.
অনুষ্ঠানটা এখন প্রায় শেষ পর্যায়। সকল মেহমানদের খাওয়া শেষ। অনেকেই চলে গিয়েছে। এখন শুধু আমরা পরিবারের লোকজনই বাকি আছি। তাই আমরাও বসে পড়লাম খেতে।
সব গুরুজনরা বসেছে এক সাইডে। আর বাকি ছেলে মেয়ে গুলো বসেছে আমাদের সাথে। আমি রিয়ানের পাশে বসেছি। আরিশা বসেছে ড. সিয়ামের পাশে। রিংকি সাইডে এক কোন নাক ফুলিয়ে বসে আছে। ওই আজকে একদম একা হয়ে গিয়েছে। ওই বিরবির করেই চলেছে।
.
— “কালতাক মে থি সাবকি পেয়ারি। ওর আজ মে হু আবলা নারী। ”
শালী হারামি গুলি! আমাকে একা রেখে সবাই সবার মিঙ্গেল লাইফে বিজি। আর দিকে কেউ তাকায়ও না। হুহ! তোগা উপর আল্লাহ গজব দিব। গজব!! আমার মত এত কিউট একটা মেয়েকে একা ফালাইয়া রাখসোস তোরা। (রিংকি)
.
তখন পাশ থেকে একজন বলে উঠে।
.
— এমন বকবক করা কি আপনার জন্মগত অভ্যাস নাকি?
.
রিংকি এমন কথায় চমকে উঠে পাশে তাকায়। তাকিয়ে দেখে ওই ব্রিটিশ বান্দর। রিংকি ওকে দেখে ভ্রু কুচকিয়ে বলে।
.
— আপনি কোথা থেকে আমদানি হলেন ব্রিটিশ বান্দর জী?
.
— হোয়াট ডু ইউ মিন বাই ব্রিটিশ বান্দর?
.
— ব্রিটিশ বান্দর ইজ, যারা সারাদিন ইংরেজিতে বেশি পকরপকর করে তারা হচ্ছে ব্রিটিশ বান্দর। দাঁত কেলিয়ে। (রিংকি)
.
— হোয়াট দ্যা হেল!
.
— গো টু উগান্ডা। হুহ! (রিংকি)
.
ব্যাস দুইজনের মধ্যে ঝগড়া লেগে গেল।
.
.
?এইদিকে?
.
— কি ব্যপার এমন খোঁচাচ্ছেন কেন? ( আরিশা)
.
— তোমার স্কিন এত সোফট কেন? আবার খোঁচা মেরে। ( সিয়াম)
.
— উফফ!! আপনি না অসহ্য! (আরিশা)
.
— এখন তো আরও অনেক কিছু হওয়া বাকি আছে জানেমান। চোখ টিপ দিয়ে।( সিয়াম)
.
— কেন যে আপনারে ভালবাসতে গেলাম? (আরিশা)
.
— আমাকে সোয়ামি করতে। দুষ্টু হাসি দিয়ে। ( সিয়াম)
.
— আপনি না অনেক বড় অসভ্য! (আরিশা)
.
— অনলি ফোর ইউ সুইটহার্ট। (সিয়াম)
.
.
?অন্যদিকে ?
.
আমি অন্য মনোষ্ক হয়ে বসে আছি। মনের মধ্যে এক অজানা ভয় ঢুকে গিয়েছে। রিয়ান কি আমার থেকে দূরে সরে যাবে? মাঝ পথেই হাতটা ছেড়ে দূরে ছুড়ে ফেলবে?
আরিয়ান না জানি এইবার কি করে। সে যে আমায় রিয়ানের সাথে ভালো ভাবে থাকতে দিবে না তা একদম নিশ্চিত। রিয়ানকেও আমি এখন কিছু বলতেও পারবো না। কেন না আরিয়ান তার ভাই।
সে হয়তো কখনোই আমার উপর বিশ্বাস করবে না। আর বিশ্বাস করলেও হয়তো আমাকেই দোষারোপ করবে। কেন আমার সাথে সবসময় এমন হয়? কেন!
আমার সাথে এমনটা না হলে কি পারতো না।
.
যখন আমি এইসব ভাবনায় বিভোর তখন হাতের উপর কাউরো স্পর্শ অনুভব করি। সাথে সাথে আমি চমকে উঠি। পাশে তাকাতেই দেখি রিয়ান। রিয়ান আমার হাতটা চেপে ধরে বলে।
.
— আর ইউ ফাইন রিয়ুপাখি? তোমাকে সেই কখন থেকে চিন্তিত লাগছে। সব ঠিক আছে তো। চিন্তিত কন্ঠে।
.
— না আমি ঠিক আছি। একটু ক্লান্ত লাগছে আরকি। হালকা হেসে।
.
— ওকে দ্যান। বাই দ্যা ওয়ে আই হ্যাভ আ সাপ্রাইস ফোর ইউ। কানের কাছে মুখ এনে লো ভয়েসে বলে।
.
— কি সাপ্রাইস? কৌতূহলি কন্ঠে।
.
— সময় আসলেই দেখতে পাবে। এখন চুপচাপ খাওয়া শুরু করো।
.
— হুহ!
.
.
??
.
.
খাওয়া দাওয়া শেষে আমি যখন ওয়াশরুম থেকে হাত ধুয়ে বের হতে যাব তখনই আমার চোখে কেউ কালো কাপড় বেধে দেয়। আর আমার মুখে হাত দিয়ে টেনে কোথাও নিয়ে যেতে থাকে। আমি হাত পা ছুড়াছুড়ি করতে থাকি। কিন্তু তার সাথে পেরে উঠতে পারছিলাম না। কি করবো কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না! তখনই…
.
.
#চলবে