#আষাঢ়ে_প্রণয়_সন্ধি
#লেখিকা:#ইশা_আহমেদ
#অন্তিম_পর্ব
নাহিয়ান আপন মনে হাঁটতে লাগলো। তার বুকে চিনচিন ব্যাথা করলো। অনেক বছর আগে এই শহর ছেড়ে ছিলো সে। ছেড়ে ছিলো এক কিশোরীকে। যার ভালোবাসা ছিলো নিখুত। যন্ত্রণায় ডুবিয়ে দিয়েছিলো মেয়েটিকে। যদিও সে তখন চিত্রার সাথে করা কাজের জন্য অনুতপ্ত হতে পারেনি। তবে সে এখন ভীষণ ভাবে অনুতপ্ত। সে দেখতে সুদর্শন হওয়ায় অনেক মেয়ে তার তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছে। সেও প্রেম করেছে বেশ কয়েকটা। তারপর চিত্রাকে পড়ানো শুরু করলো। চিত্রা দুর্বল হলো তার প্রতি।
পাগলামি করাও শুরু করলো এক সময়। ভার্সিটি গিয়ে যেদিন তাকে থাপ্পড় মেরেছিলো সেদিন ভীষণ রাগ হয়েছিলো তার। বিথি নামক মেয়েটিকে যে সে ভালোবাসতো তা নয়। সেও তার গুটি কয়েক প্রেমিকার মতো একজন। তবে সে একজনকে ভীষণ ভালোবেসেছিলো। মেয়েটা তাকে ঠকিয়েছে, সে যেমন ভাবে চিত্রাকে ঠকিয়েছিলো। মেয়েটিকে আসলেই সে প্রচন্ড ভালোবাসতো। তবে মেয়েটিকে হয়তো তাকে ভালোবাসেনি। তাই অন্য কাউকে বিয়ে করে সুখেই আছে। নাহিয়ানের চোখ পরলো। রাস্তার পাশের ক্যাফেতে।
সেখানে একজন মেয়েকে একজন ছেলে যত্ন করে খাইয়ে দিচ্ছে। দৃশ্যটা দেখে যন্ত্রণা হলো তার। চোখে পানি আসলো। কারণ মেয়েটি তার ভালোবাসার মানুষ। অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে আজ এই শহরে দেখা হয়ে গেলো। বিচ্ছেদটা হয়েছে আরো ছয় মাস আগে। এই ছয়টা মাস সে পুড়েছে। বড্ড বাজে ভাবে পুড়েছে। এখন ও একই যন্ত্রণায় পুড়ছে। সে এখন বুঝে চিত্রার সাথে করা অন্যায়। ভালোবাসার মানুষের ধোঁকা কতটা যন্ত্রণা দায়ক হতে পারে। নাহিয়ান আকাশের পানে তাকিয়ে বলে,,,
“আমি তাকে ঠকিয়েছি বিধায়, আমিও আজ ঠকেছি। তবে আগে যদি জানতাম ঠকানোর যন্ত্রণা এতো বাজে তবে কখনোই তাকে আমি ঠকাতাম না। আর না আমার সাথে এমনটা হতো”
–
আষাঢ় বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে। বিয়ের দু’দিন বাকি। আজকে তারা কিছু কেনা কাটা করতে যাবে। চিত্রার শাড়ি কিনবে আর আষাঢ় তার জন্য পাঞ্জাবি কিনবে। ছুটি নিয়েছে সে বেশ কয়েকদিন বিয়ের জন্য। চিত্রার জন্য অপেক্ষা করছে আষাঢ়। চিত্রাও তখন বাড়ি থেকে বের হলো। চিত্রাকে দেখে আষাঢ় আবারও প্রেমে পরলো। চিত্রার প্রতি হয়তো তার মুগ্ধতা কখনোই কমবে না। চিত্রা এসে বলে,,,
“চলুন চলুন। আজও হয়তো দেরি করে ফেলেছি। দুঃখিত তার জন্য”
আষাঢ় এখনো একই দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। চিত্রা আষাঢ়ের পানে চাইলো। লোকটি অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। চিত্রা এই দৃষ্টির মানে বুঝলো। এই দৃষ্টিতে কেবই একরাশ মুগ্ধতা আছে। নেই কোনো লালসা। চিত্রা আষাঢ়ের সামনে তুড়ি বাজিয়ে বলল,,,
“এই সাহেব কোথায় হারালেন”
“প্রাণ নাশিনী আপনার ওই গভীর কালো চোখ জোড়ায় হাড়িয়েছি আমি, আমায় খুঁজে আনুন হৃদয়হরণী।”
চিত্রা মৃদু হেসে বলে,,,“চলুন দ্রুত সাজিয়া আর নিশীথ সাহেব হয়তো দাঁড়িয়ে আছেন”
দু’জন রিকশায় চড়লো। আজও আষাঢ় চিত্রার থেকে দূরত্ব নিয়ে বসেছে। চিত্রা হাসলো। অতঃপর আষাঢ়ের কাঁধে মাথা রাখলো। লোকটা তাকে একটু বেশিই ভালোবাসে। সে ও দিন দিন কেমন এই লোকের পাগলামিতে লোকটার প্রতি দুর্বল হয়ে পরছে। আষাঢ় চমকেছে ভীষণ ভাবে। সে কখনো ভাবেইনি চিত্রা তার কাঁধে মাথা রাখবে। নিজেকে স্বাভাবিক করলো আষাঢ়। চিত্রা তার মধ্যে বলে উঠলো,,,
“আপনার কাঁধে মাথা রেখে আমি আমার গোটা জীবন পার করতে চাই আষাঢ় সাহেব। আপনি ভালোবেসে আমায় আগলে রাখবেন তো নিজের বক্ষ পিঞ্জিরায়”
“আমি আমার মৃত্যুর আগ অব্দি আপনায় ছাড়বো না চিত্রা। জীবনের প্রতিটা মুহুর্তে আমার আপনাকে চাই। আপনাকে ভালোবাসি চিত্রা এই হৃদয় কোঠায় শুধু আপনারই বসবাস”
চিত্রা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো। এই পুরুষটিকে সে একটু বেশিই বিশ্বাস করে কি না। বাবার পর সেই একমাত্র ব্যক্তি যাকে চিত্রা এতোটা বিশ্বাস করেছে, ভরসা করেছে। ভবিষ্যৎ এ ভালোও বাসবে বোধ হয়। রিকশা এসে নিজ গন্তব্যে পৌছালো। আষাঢ় চিত্রা দু’জনেই একসাথে রিকশা থেকে নেমে পরে। ভাড়া মিটিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। নিশীথ-সাজিয়াকে দূরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে দু’জনই সেদিকে এগিয়ে গেলো। নিশীথ ওদের আসতে দেখে বলল,,,
“তাড়াতাড়ি চল। কতক্ষণ দাঁড়িয়ে আছি মাথায় আছে তোর”
সাজিয়া চিত্রা হাসলো। আষাঢ় ঘড়িতে সময় দেখে বিরক্ত হয়ে বলল,,
“একদম মিথ্যা বলবি না। মাত্র দু মিনিট দাঁড়িয়েছিস। আর
তাকেই বলছিস কত সময়।”
দু’জন কিছুক্ষণ ঝগড়া করলো। এরপর চারজন মিলে মার্কেটে প্রবেশ করলো। চিত্রা খুব বেশি কিছু কিনবে না সে শাড়ি পরবে। তাই একটা শাড়ি আর আষাঢ় নিজেও শেরওয়ানি পরবে না পাঞ্জাবি পরবে। প্রথমে চিত্রার জন্য শাড়ি কিনতে একটা দোকানে ঢুকলো চারজন। চিত্রা আষাঢ় মিলে সাদা রঙের একটা জামদানী শাড়ি পছন্দ করলো। শাড়িটা পরলে চিত্রাকে দারুন লাগবে। শাড়ি কিনে আসলো মাথার ওড়না কিনতে। লালরঙা একটা ওড়না কিনলো। এরপর আষাঢ়ের জন্য পাঞ্জাবি কিনলো। আষাঢ় নিজে পছন্দ করে কিছু গহনা কিনে দিলো। সাজিয়াকেও নিশীথ শাড়ি এবং টুকিটাকি জিনিস কিনে দিলো।
এরপর যে যার যার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলো। আষাঢ় চিত্রাকে বলল,,
“চিত্রা আপনায় বউ সাজে দেখার খুব শখ আমার। আমার বউ হয়ে আমার ব্যক্তিগত মানুষ কবে হবেন। এই অপেক্ষা বেশ কষ্টদায়ক।”
“সাহেব আপনি এতোটা অস্থির হবেন না। চিত্রা শুধুই আপনার। চিত্রা বউ সাজলেও শুধু নিজের আষাঢ় সাহেবের জন্যই সাজবে। অন্য পুরুষের জন্য নয়”
আষাঢ় মৃদু হেসে চিত্রার হাতখানা নিজের মুঠোয় নিলো। শক্ত করে চেপে ধরলো। চিত্রা মৃদু হাসলো। দু’দিন পর লোকটা তার, একান্তই তার। সে তো ভাবেনি ওই ঘটনার পর তার জীবনে কেউ আসবে, কেউ ভালোবাসবে। তার জন্য এতোটা পাগল হবে। সে কাউকে বিশ্বাস ভরসা করতে পারবে এটা তার ধারনার বাইরে ছিলো। তবে সবই সম্ভব। আল্লাহ তায়ালা চাইলে। যেমন চিত্রা নিজের জীবনে একজন দায়িত্ববান পুরুষকে পাচ্ছে। যে তার এতোটুকু অসম্মানও কখনো করতে পারবে না।
–
আষাঢ় মাসের মাঝামাঝি সময়। বাইরে মেঘের হাতছানি। আজকে আষাঢ় চিত্রার জীবনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ দিন। আজ বিয়ে তাদের। চিত্রা গোসল সেরে বিছানায় বসেছে। শাড়ি পরতে হবে তাকে, বাড়িতে গুটি কয়েক কাছের মানুষ ছাড়া কেউ নেই। চিত্রা নিজের রুমে একাি বসে আছে। ফোন বেজে উঠতেই ফোনটা তুলে দেখতে পায় আষাঢ়ের কল। চিত্রা মুচকি হেসে রিসিভ করে।
“চিত্রা কি করছেন আপনি এখন? সকালে খেয়েছেন? আপনার তো সকালে আবার না খেয়ে থাকার রোগ আছে”
“আষাঢ় সাহেব অস্থির হবেন না। খেয়েছি আমি। এখন আপনার জন্য সাজতে বসবো। বিয়েটা তো বিকালে না! এখন সবাই একটু হলুদ ছোঁয়াবে। আমি তো গতকাল হলুদের অনুষ্ঠান করতে চাইনি। তাই এখন বোনেরা মিলে ছবি তুলবে আর হলুদ লাগাবে”
“চিত্রা এগুলো কি ছাদে হবে?”
“হ্যাঁ এখন রাখছি। আমায় শাড়ি পরতে হবে।”
আষাঢ় সম্মতি জানিয়ে কল কেটে দিলো। চিত্রা বাসন্তী রাঙা শাড়িটা পরে নিলো। সাজিয়াও ততক্ষণে চলে এসেছে। সাজিয়া এসে চিত্রাকে গোলাপ ফুলের গাজরা পরিয়ে দিলো। হালকা করে সাজিয়ে দিয়েছে। চিত্রা নিয়ে বসার ঘরে আসতেই দেখা মিললো নিশি রাফিনসহ চিত্রার বাকি কাজিনদের। প্রহর দাঁড়িয়ে বোনকে দেখছে। আজ একটু বেশিই সুন্দর লাগছে কি না তার বোনকে। মরিয়ম সুলতানা এগিয়ে আসলেন মেয়ের কাছে। কপালে অধর স্পর্শ করে বললেন,,
“মা শা আল্লাহ আমার মেয়েটা আজ অপূর্ব সুন্দর লাগছে।”
চিত্রা হাসলো। তাকে নিয়ে সবাই ছাদে আসলো। চিত্রার কিছু ছবি তুললো রাফিন। রাফিন আবার খুব সুন্দর ছবি তুলতে পারে। সবাই অনেক ছবি তুললো। আষাঢ় উঁকি দিয়ে দেখছে নিজের প্রিয় নারীকে। চিত্রা সবার সাথে কথা বলছে। আষাঢ় হা করে তাকিয়ে দেখছে। সমুদ্র পেছন থেকে ফিসফিস করে বলে,,
“মামা মুখটা বন্ধ কর না হয় মুখে মাছি ঢুকে যাবে। তোরই বউ ভাই। কোথাও পালিয়ে যাবে না।”
আষাঢ় বিরক্তিকর কন্ঠে বলে,,
“তুই শালা আমার বউকেও দেখতে দিবি না। আমার বউ আমি দেখবো তোর কি ভাই। নাকি ফারাহ এখনো তোকে পাত্তা দেয়নি?”
“দিয়েছে পুরো এক সপ্তাহ আমাকে পিছনে গরুর মতো ঘুরিয়ে। গতকাল মেনেছে”
আষাঢ় হেসে ফেললো। নিশীথ এতো সময় নিচে ছিলো। মাত্র উপরে এসে দু’জনকে এভাবে চোরের মতো দরজার পেছনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বলল,,
“কি রো তোরা দু’জন চোরের মতো এখানে লুকিয়ে আছিস কেনো?”
আষাঢ় সমুদ্র দু’জনেই লাফিয়ে উঠে। দু’জনই ঘাবড়ে গিয়েছে নিশীথের হুটহাট চলে আসায়। আষাঢ় ভ্রু কুঁচকে বলে,,
“তোদের দু’জনের সমস্যা টা কি ভাই বলতো?শান্তি মতো আমার বউকে একটু দেখতেও দিবি না নাকি?”
“তোর বউ মানে চিত্রা এখানে? তাহলে সাজিয়া ও তো আছে। কোথায় দেখি দেখি”
নিশীথ কথা বলতে বলতে ছাদে প্রবেশ করে। অপর পাশে থাকা সাজিয়াকে দেখে সে থমকে যায়। এই মেয়েটার প্রেমে সে প্রতি নিয়ত পরে আজও তাই হলো। সবাই নিশীথের দিকে তাকিয়ে পরে। সাজিয়া নিশীথকে এই সময় ছাঁদে দেখে বেশ অবাক হয়। চিত্রা নিশীথের পেছনে আষাঢ়কেও দেখতে পায়। যদিও আষাঢ়কে সেইভাবে দেখা যাচ্ছে না তবুও চিত্রা বুঝেছে ওটা আষাঢ়। নিশীথ দ্রুত নেমে যায়। সবাই এই নিয়ে সাজিয়াকে লজ্জা দেয় ভীষণ।
দুপুর তিনটার কাছাকাছি। বিয়ে বিকেলে হওয়ার কারণ বাড়ি পাশাপাশি যখন, তাই বিকালেই বিয়েটা হবে। নিশি আর সাজিয়া মিলে চিত্রাকে তৈরি করে দিলো। সাদা জামদানিটাতে বেশ মানিয়েছে চিত্রাকে। সাদা জামদানির সাথে মাথায় লাল ওড়না। হাতে সাদা চুড়ি লাল গোলাপের গাজরা। গলায় কানে মাথায় ছোট ছোট গহনা। ব্যাস এতেই চিত্রা তৈরি। সাজিয়া হালকা মেকাপ ও করে দিয়েছে। বিকাল পাঁচটা পর, আসরের নামাজ পড়ে সবাই উপস্থিত হলো চিত্রাদের বাড়িতে। বসার রুমে বর বসেছে। চিত্রাকেও একটু পরে এনে আষাঢ়ের সামনের সোফাতে বসিয়ে দেওয়া হলো।
গভীর রাত। কিছুক্ষণ পর পর কাক ডেকে উঠছে। দু’জন নব দম্পতি হাতে হাত রেখে পা মিলিয়ে হেঁটে চলেছে নিস্তব্ধ রাস্তা দিয়ে। আশেপাশে কেউ নেই। এই তো বিকালে তিন কবুল বলে দু’জন পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হলো। এখন তারা নিজেদের একান্ত ব্যক্তিগত সময় কাটাচ্ছে। চিত্রা আষাঢ়ের হাত জড়িয়ে বললো,,,
“এই যে সাহেব রাত তো অনেক হলো। চলুন বর মশাই বাড়িতে ফিরি। আশেপাশে কেউ নেই আমায় একটু একটু ভয় করছে”
আষাঢ় মৃদুস্বরে শুধালো,,,
“ আপনার ভয় ও লাগে চিত্রা? আমি আছি তো চিত্রা।”
“আকাশের অবস্থা দেখেছেন যখন তখন বৃষ্টি নামবে। চলুন বাড়িতে যাই”
“উহু নাহ আজ না হয় আষাঢ় মাসের বৃষ্টিতে আপনি এই আষাঢ়কে সঙ্গে নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজলেন সমস্যা কি তাতে? আপনি আমার বৈধ নারী চিত্রা এটা ভাবতেই আমি এখনো কেমন অনুভূতি হচ্ছে”
“আচ্ছা তবে ভিজলাম না হয় আষাঢ় মাসের বৃষ্টিতে আমার আষাঢ়ের সঙ্গে। হয়ে থাকলো না হয় এই রাতটা আমাদের সুখকর”
“আপনি কি এখনো আমায় ভালোবাসি বললেন না চিত্রা?”
“সব কথা মুখে বলে দিতে হয় না আষাঢ় সাহেব। আপনি জানেন আমার হৃদয়ের কথা তাই বলতে আমি চাইছি না। আপনি না হয় অনুভব করে নিলেন”
আষাঢ় সম্মতি জানালো।হাঁটা ধরলো আবারও দু’জন নিজেদের গন্তব্যে। কথার জুড়ি খুলে বসলো তারা। নিজেদের মতো কাটাচ্ছে তাদের প্রথম রাত। তাদের প্রণয় হলো অবশেষে। প্রণয় রঙে রাঙালো দু’জন দু’জনকে। সন্ধি হলো তবে চিত্রার আষাঢ় নামক পুরুষটির সাথে এই আষাঢ় মাসে। পাথর মানবী তবে ভালোবাসলো সেই কোমল ব্যক্তিত্বের পুরুষটিকে। হঠাৎ বৃষ্টি নামলো শহর জুড়ে। দু’জন মানব মানবী নিজেদের ভিজিয়ে নিচ্ছে বৃষ্টির ফোঁটায়।
“বৃষ্টির প্রতিটা ফোঁটায় না হয় তাদের প্রেম কাহিনী রচনা থাক। এক পাথর মানবী চিত্রা এবং শান্ত মানব আষাঢ়ের কাহিনী”
#সমাপ্ত