গোধূলি বেলায় প্রেম পর্ব-২০

0
4604

#গোধূলি_বেলায়_প্রেম
৳#ফাবিহা_নওশীন

|পর্ব-২০|

রীতি হাই তুলতে তুলতে বারান্দায় এসে দাড়ালো সকাল ৯টায়।প্রতিদিন ভোর বেলায় উঠলেও আজ দেরি করে উঠেছে।এতো দেরি করে ঘুম থেকে উঠার পরেও ঘুমটা কাটেনি।কেমন ঘুমঘুম পাচ্ছে।কারণ ঘুমটা ছিলো সুখের ঘুম।সুখের ঘুম সহজে কাটেনা।রীতি আবারো হাই তুলতে লাগলো।
গতকাল পরীক্ষা নামক প্যারা শেষ হয়েছে।তাই রীতি আজ সুখ ঘুম দিয়েছে।৯টায়ও উঠতোনা যদি না ওর মা ওকে টেনে তুলতো।
রীতির মেজাজ আজ ফুরফুরে।আজ যেনো ও স্বাধীন,সীমাহীন আনন্দ ভর করেছে ওর ডানায়।সেই আনন্দ নিয়ে উড়ে যাবে দূরে বহুদূরে।
রীতি দুহাত মেলে আড়মোড়া ভাঙল।তখনই চোখ পড়লো টপের দিকে।বেলীফুলের গাছে ফুল ফুটেছে ২-৩টা।রীতি তো খেয়ালই করে নি।বেলীফুল সাধারণত বর্ষাকালে ফুটে।তবে কিছু কিছু গাছে সারাবছর বিভিন্ন সময়ে ফুটে।রীতির বেলীফুলের গাছটাও তেমন।রীতি ফুল থেকে বেশ ভালো সুগন্ধি পাচ্ছে।রীতি ফুলগুলো ছুয়ে দিয়ে জোরে শ্বাস নিলো।কি সুন্দর ঘ্রাণ।মনটা আরো ফুরফুরে লাগছে।
রীতির হটাৎ সাদিবের লাগানো বেলীফুল গাছের কথা মনে পড়লো।
—-“আচ্ছা উনার গাছে কি ফুল ফুটেছে?দেখতে হচ্ছে তো।”

রীতি মেঝে থেকে উঠে দাড়িয়ে বাগানের দিকে তাকালো।সাদিবের গাছে থোকায় থোকায় ফুল ফুটেছে।তিনতলা বারান্দা থেকে সাদা সাদা ফুল স্পষ্ট চোখে পড়ছে।
“উনার গাছে এতো ফুল আর আমার গাছে তিনটা?এতো বড় অবিচার?হাইব্রিড নাকি?”
রীতির মন খারাপ হয়ে গেলো।
তারপর আবার নিজ মনেই বলে উঠলো,
—-“উনার গাছ আমার মতো টবে লাগানোনা।খোলা মেলা জায়গায়,আলোবাতাস সব পাচ্ছে তাই ফলন বেশি।এতে মন খারাপ করার কিছু নেই।”

রীতি বারান্দার বা-পাশে গিয়ে উকি দিলো।সাদিব তার বাইক পরিস্কার করছে।এমন ভাবে কাপড় দিয়ে মুছছে যেনো কালো বাইক সাদা বানিয়ে ফেলবে।কোনো কোনা বাদ যাচ্ছে না।সব জায়গায় অতি নিখুঁত ভাবে পরিস্কার করছে।
রীতির রাগ হচ্ছে একটা বাইককে এতো ঘষামাজার কি আছে?
“এটা বাইক না এটা উনার গার্লফ্রেন্ড।না গার্লফ্রেন্ড না এটা উনার বউ।নয়তো এতো আদরযত্ন করতো?ভালোবাসা উপচে পড়ছে।কি প্রেম রে বাবা।”
বিরবির করে রীতি নিজ মনে কথাগুলো বলছে।

রীতি তারপর আপন মনে হেসে ফেললো।
“রীতি তুই শেষে একটা বাইককে হিংসা করছিস?মানুষ মানুষকে হিংসা করে আর তুই একটা যন্ত্রকে হিংসা করছিস?কি লেভেল তোর।”
সাদিব বাইক মুছে বাইকের উপরে বসে বাইক স্টার্ট দিলো।সাদিব বাইকে স্টার্ট দিয়ে একবার রীতির বারান্দার দিকে তাকালো।রীতি সাথে সাথে আড়ালে চলে গেলো।
সাদিব একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বাইক চালিয়ে বাড়ির বাইরে চলে গেলো।উদ্দেশ্য বাবার সাথে ব্যবসায়ীক কাজগুলো দেখা।সকাল সকাল বাবা বের হয়ে গেছে।সাদিব এখন যাচ্ছে।
সাদিব যাওয়ার পর রীতি মাথা তুলে দাড়ালো বারান্দায়।
রীতি গভীর ভাবে কিছু ভাবছে।
সাদিবের প্রতি ওর নাহয় একটা লুকানো অনুভূতি আছে।কিন্তু সাদিবের?সাদিব কেনো এমন অদ্ভুত ব্যবহার করে?কি চলছে ওর অগোচরে?
যাই চলুক তবে রীতির নিজের অনুভূতিগুলো প্রকট হচ্ছে দিনদিন।

“কেনো হয় এমন
মন করে কেমন
কেনো অগোচরে
তুমি রও অনুভবে।”

.

রীতি ছাদে উঠে বিকেলে।সারাদিন বেকার ভালো লাগছে না।বাবাকে বলতে হবে কিছু বই এনে দিতে।
রীতি আজ প্রতিদিনের তুলনায় তাড়াতাড়ি ছাদে এসেছে।সিড়িঘর থেকে ছাদে পা রাখতেই রোদের আচ লাগলো গালে।রীতি হাত দিয়ে সূর্যকে আড়াল করছে।
সিড়ি ঘরের পাশেই চিলেকোঠার ছোট্ট ঘর।সেখান থেকে হাসির শব্দ ভেসে আসছে।রীতি কখনো চিলেকোঠার ঘরে যায়নি।সব সময় তালা লাগানো দেখেছে।বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া চিলেকোঠার ঘরের তালা খোলা হয়না।আর আজ সেখান থেকে মেয়েলী হাসির শব্দ ভেসে আসছে।
রীতি চিলেকোঠার ঘরের ভেতরটা এখনো দেখেনি।সামনে কোনো জানালা নেই।রীতি কৌতুহল বশত দরজার সামনে যায়।কিন্তু ভেতরে উকি দিতে ভয় পাচ্ছে।তারপর কিছুক্ষণ চুপ করে দাড়িয়ে থেকে সাহস সঞ্চয় করে পা টিপে টিপে ভেতরে উকি দেয়।
ভেতরে দিয়া আর সাবিহাকে দেখতে পায়।একটা খাটের উপর শুয়ে আছে দুজনে।পেছনের দিকে বড় জানালা সেই জানালায় পা রেখে দুজনে গল্প করছে আর হেসে কুটিকুটি হচ্ছে।
রীতি ওদের দুজনকে দেখে পারমিশন ছাড়াই ঠাস করে দরজা খোলে ভেতরে ঢুকে গেলো।
দিয়া আর সাবিহা দুজনেই ঘুরে দরজার দিকে তাকিয়ে রীতিকে দেখলো।

দিয়া রীতিকে দেখে মজা করে বললো,
—-“এতোদিন পরে উনাকে দেখা গেছে।আমাদের মহারাণী এসেছে জায়গা দে সাবিহা।”

সাদিবা দিয়ার দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বললো,
—-“রীতি আপুকে নিয়ে একদম মজা করবেনা।সহজ সরল পেয়েছো তো।”
তারপর রীতিকে বললো,
—-“আপু আসো বসো।কতদিন পরে তোমার দেখা।”

রীতি বসে ছোট্ট করে বললো,
—-“পরীক্ষা শেষ।”

—-“ওওহহ তাই তো তোমার দেখা মিলেছে।”

রীতি জানালার দিকে তাকালো।জানালা দিয়ে প্রচুর বাতাস বইছে।পর্দাগুলো নড়ছে।ওদের সবার চুলগুলো বাতাসে ক্ষনে ক্ষনে উড়ছে।রীতি চুলে খোপা করে নিলো।
তারপর বললো,
—-“হটাৎ এখানে? এই ঘর তো সাধারণত তালা লাগানো থাকে।আমি এই প্রথম এখানে এলাম।এর আগে দেখিওনি।”

সাবিহা রীতিকে বললো,
—-“এই ঘরের মালিক ভাইয়া।সে কাউকে আসতে দেয়না।আর তালাও খোলেনা।আজ কেনো দিয়েছে সেটাই ভেবে পাচ্ছিনা।রোদে দাঁড়িয়ে ছিলাম আমি আর দিয়াপু আর তখনই ভাইয়া চাবি দিয়ে বললো ভেতরে গিয়ে গল্প কর।এখানে প্রচুর রোদ।আমি আর দিয়াপু দুজনেই ভাইয়ার কথা শুনে থ।না জানি কখন মহারাজ এসে বলে বের হ,তালা লাগাবো।”

রীতি পুরো ঘরে চোখ বুলালো।এই ঘরে তেমন কিছুই নেই।একটা খাট আর একটা পুরনো আলমারি।তবে সব পরিস্কার পরিছন্ন।কিন্তু এই ঘরকে এতোটা ইম্পর্ট্যান্ট দেওয়ার মতো কিছু খোজে পাচ্ছেনা।শুধুমাত্র এই জানালা দিয়ে প্রবাহিত স্নিগ্ধ বাতাস ছাড়া।
তারপর রীতি ভাবছে সাদিব হয়তো দিয়ার জন্য ঘর খোলে দিয়েছে।বেচারী রোদে বেচারি পুড়বে সেটা মানতে পারেনি।

সাদিব ছাদে আসে।ওদের জন্য ওই ঘর খোলে দিয়েছে অনেক্ষন হলো।সাদিব এসে দরজায় নক করলো।
নক করে বললো,
—-“শাকচুন্নীরা বের হ।”

দিয়া লাফ দিয়ে উঠে গেলো।তারপর সাবিহার দিকে চেয়ে বললো,
—-“চলে এসেছে।চল চলে যাই।”

সাবিহা বললো,
—-“আরে বসো।কিছু হবেনা।আমি ভাইয়াকে ডাকছি।আমাদের সবাইকে একসাথে দেখলে ভাইয়া কিছুই বলবেনা।”

সাবিহা তারপর সাদিবকে জোরে ডাক দিয়ে বললো,
—–“ভাইয়া ভেতরে আয়।”

সাদিব ভেতরে ঢুকতেই রীতির দিকে চোখ পড়লো।
সাবিহা সাদিবকে বললো,
—-“ভাইয়া আজকে আমাদের একজন গেস্ট এসেছে।আমরা আর কিছুক্ষণ থাকি প্লিজ।”

সাদিব অবাক হয়ে বললো,
—–“কে গেস্ট?”

সাবিহা মিষ্টি হেসে বললো,
—–“রীতি আপু।এতোদিন তো আমাবস্যার চাদ হয়ে গিয়েছিলো আজ দেখা মিলেছে।থাকি না?”

সাবিহা তারপর সাদিবের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি মিষ্টি হাসছে।রীতি বিষয়টা খেয়াল করছে।কিন্তু সাবিহা এমন অদ্ভুৎ আচরণ কেনো করছে বুঝতে পারছেনা।এখানে এতো মুচকি হাসার কি হলো?

সাদিব বললো,
—-“ঠিক আছে।তোরা থাক আমি যাই।”

সাবিহা বাধা দিয়ে বললো,
—-“কোথায় যাবে?বসো।আমাদের সাথে তোমার আড্ডা মানায় না বাট আমাদের গেস্টকে তো একটা গান শুনাতে পারো।আর আমরা তালি দিতে পারি কি বলো দিয়াপু?”

দিয়া চট করে বললো,
—–“হ্যা অবশ্যই,আমি খুব ভালো তালি দিতে পারি ট্রাস্ট মি সাদিব ভাই।আপনি সুন্দর করে একটা গান শুনিয়ে দিন আমি কথা দিচ্ছি আমার তালি দেওয়াতে নিরাশ হবেন না।”

সাদিব ভ্রু কুচকে দিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।
সাবিহা বললো,
—-“ভাইয়া,তোমার গিটার আনতে গেলাম।”
সাদিবকে কিছু বলতে না দিয়ে দৌড়ে গিটার আনতে চলে গেলো।সাদিব না বলারও সুযোগ পেলোনা।

“ভালোবাসি হয়নি বলা তবু ভালোবাসি
পাশাপাশি হয়নি চলা তবু পাশাপাশি
তোমায় নিয়ে ফুলে ফুলে
স্বপ্ন উড়াই আকাশ নীলে
তোমাতে বিভোর থাকি,আমি বারোমাসি
ভালোবাসি হয়নি বলা তবু ভালোবাসি
পাশাপাশি হয়নি চলা তবু পাশাপাশি।
(বাকিটা নিজ দায়িত্বে শুনে নিন)

সাদিবের গাওয়া গানগুলো শুনলে রীতির মনে হয় যেনো রীতি গাইছে।নিজের মনের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে।
রীতি কেমন কাচুমাচু করছে।ওর প্রচুর বিরক্ত লাগছে।দিয়া পুরোটা সময় সাদিবের সাথে এক প্রকার ঘেঁষে বসে ছিলো।সাদিব কিছু বলে নি।যেটা রীতির অসহ্য লাগার কারণ।
রীতি উঠে দাড়ালো।সাদিব তখনো রীতিকে দেখছে।পুরো গান রীতির দিকে চেয়েই গেয়েছে।
রীতিকে বিরক্তি নিয়ে উঠে দাড়াতে দেখে সাবিহা বললো,
—–“কি হয়েছে আপু?”

রীতি জোরে শ্বাস নিয়ে বললো,
—–“আমার ভালো লাগছে না।সাফোকেটেড লাগছে।আমি ঘরে যাচ্ছি।”

রীতি চলে যাচ্ছে সাদিব ওর যাওয়া একমনে দেখছে।রীতি এমন বিহেভিয়ার কেনো করছে?রীতিকে নরমাল লাগছেনা।কিছু একটা হয়েছে।কিন্তু কি সাদিব সেটা ধরতে পারছেনা।
দিয়া,সাবিহাও রীতির যাওয়ার দিকে অবাক হয়ে চেয়ে আছে।

রীতি নিজের রুমে গিয়ে শুয়ে আছে।ওর কান্না পাচ্ছে প্রচুর কান্না পাচ্ছে।ইচ্ছে করছে চিতকার করে কাদতে।ভেতরের চাপা আর্তনাদ চিতকার হয়ে বের হয়ে আসছে।

রীতির বাবা খাবারের টেবিলে রীতিকে না পেয়ে রীতির মাকে জিজ্ঞেস করলো,
—-“রীতি কই?”

রীতির মা বললো,
—-“তোমার মেয়ে খাবেনা,ডেকে এসেছি।”

রীতির বাবা চিন্তিত ভংগীতে বললো,
—-“কেনো কি হয়েছে? শরীর খারাপ?”

—-“কিছুই বলছেনা।জিজ্ঞেস করেছি অনেক বার।বলছে ক্ষিধে নেই খাবোনা।”

রীতির বাবা চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়িয়ে বললো,
—-“আচ্ছা আমি দেখে আসছি।”

রীতির বাবা রীতির রুমের দরজায় টুকা দিতেই রীতি কাথা থেকে মাথা বের করে।রীতির বাবা রীতির মাথার পাশে এসে বসে।
রীতির মাথায় হাত বুলিয়ে বললো,
—-“আমার আম্মাজানের কি হয়েছে?”

রীতি বাবার পায়ের উপর মাথা রেখে বললো,
—-“ভিষণ মন খারাপ।”

রীতির বাবা বিচলিত হয়ে বললো,
—-“কেনো?কি হয়েছে?কেউ বকেছে?”

—-“উহু,এমনেই ভালো লাগছে না।অজানা কারনেই মন খারাপ।আমাকে কিছু বই এনে দিও তো বাবা।সময় কাটছেনা।ভালো লাগছেনা।”

—–“সারাবছরই তো পড়ে আসছো।একটু রিলেক্স করো।মামার বাড়ি ঘুরে এসো।”

—-“সে তো কয়েক মাস আগেই গিয়েছি।”

—–“তাতে কি?তখন তোমার ভালো লাগেনি কারণ ছোট মামা-মামী ছিলো না এখন তো ওরা আছে সাথে বাবু আছে।তোদের ভালো জমবে।যা ঘুরে আয়।”

রীতি চোখ বন্ধ করে ভাবলো এটাই ব্যাটার হবে।সাদিবকে ভুলে থাকা যাবে।ক্ষত গুলো যন্ত্রণা দিবেনা।রীতি চোখ খোলে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো,
—-“আচ্ছা।”

রীতির বাবা আবারো খাওয়ার কথা বললো কিন্তু রীতি মানা করে দিলো।
রীতির বাবা যেতেই রীতির সাদিবকে খুব মনে পড়তে শুরু করলো।মামা বাড়ি যাবে সাদিবকে মিস করবে খুব।এখন থেকেই মিস করা শুরু করে দিয়েছে।
রীতির ভারী একটা শ্বাস বেড়িয়ে এলো।
রীতির ফোন বেজে চলেছে অনেকক্ষণ।
রীতি ফোন কেটে দিচ্ছে কারণ সেই নাম্বার থেকে ফোন এসেছে।
রীতি ফোন রিসিভ করে একটা ঝাড়ি দিলো।
“সমস্যা কি আপনার? আপনাকে বলার পরেও কেনো আমাকে বারবার বিরক্ত করেন?বিরক্ত করবেন না প্লিজ।আপনার সাথে আমার কিছু হওয়ার নয় বুঝেছেন?না বুঝতে পারলে বুঝে নিন।আমাকে বিরক্ত করা ছাড়ুন।প্লিজ, পায়ে পড়ি।”

রীতি কথাগুলো বলতে বলতে কেদে দিলো।ওপাশের মানুষটি রীতির এমন কঠিন কন্ঠস্বর আশা করে নি।রীতির কান্নার আওয়াজ শুনে একদম ভড়কে যায়।
—-“রীতি কাদছো কেনো কি হয়েছে তোমার? মন খারাপ? কেউ কিছু বলেছে?আমাকে বলো।”

রীতির এখন আরো বেশী রাগ হচ্ছে।তাই তুই তুকারি শুরু করে।
—-“ওই তুই কে রে তোকে কেনো বলবো? তোর যদি বিন্দুমাত্র লজ্জা থাকে আমাকে আর বিরক্ত করবিনা।ছ্যাচড়া লোক।”

ওপাশের মানুষটি বেশ আহত হলো রীতির কথা শুনে।তাই আহত কন্ঠে বললো,
—–“ঠিক আছে আর কখনো বিরক্ত করবোনা।”

তারপর ফোন কেটে দিলো।
রীতির কান্নার বেগ বেড়ে গেলো।রীতি হাত দিয়ে মুখ চেপে কাদছে যাতে কান্নার শব্দ কেউ শুনতে না পায়।

চলবে….!