#গোধূলি_বেলায়_প্রেম
#ফাবিহা_নওশীন
|পর্ব-৩৩|
সাদিব নির্বাক দাড়িয়ে আছে।রীতি সাদিবের পায়ের কাছে মেঝেতে বসে কেদে যাচ্ছে।
সাদিব কিছুক্ষণ পর হাটু গেড়ে রীতির মুখোমুখি বসে রীতির থুতনিতে হাত দিয়ে রীতির মুখ উচু করে ডান হাতে রীতির চোখের পানি মুছে দিয়ে বললো,
—-“চুপ! একদম চুপ।একদম কাদবে না।কিছু হবেনা।সব ঠিক হয়ে যাবে।আমার উপর ভরসা রাখো।তুমি আমাকে ভালোবাসো তো?”
রীতি মাথা উচু নিচু করে হ্যা বললো।
সাদিব মুচকি হেসে থুতনি থেকে হাত সরিয়ে বললো,
—-“তাহলে কান্না থামাও।”
রীতি চোখের পানি মুছে বললো,
—-“বাবা বলেছে এ বাড়ি ছেড়ে দিবে।নতুন বাসা অলরেডি খোজা শুরু করে দিয়েছে।পেলেই বাসা ছেড়ে দিবে।”
বাসা ছেড়ে দেওয়ার কথা শুনে সাদিবের বুকে চিনচিনে ব্যথা শুরু হলো।রীতি যদি এ বাড়ি ছেড়ে চলে যায় তাহলে সাদিব থাকবে কি করে।
সাদিব রীতিকে দাড় করিয়ে বললো,
—-“আমি বাড়িতে কথা বলবো তোমার আর আমার ব্যাপারে।তারপর আংকেলের সাথে কথা বললো।তারপর যা হবার হবে।তুমি টেনশন করোনা।”
রীতি সংশয় নিয়ে বললো,
—-“আপনার বাড়িতে কি বলা ঠিক হবে?আংকেল,আন্টি কি আমাকে মানবে?কোনো গড়বড় হবে না তো?”
সাদিবের মনেও যথেষ্ট সন্দিহান কাজ করছে বাবাকে নিয়ে।মাকে নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবছেনা।কিন্তু বাবা কি রিয়েক্ট করবে সেটা নিয়ে যথেষ্ট দ্বিধায় আছে।
—–“কিছু করার নেই রীতি।আমাদের একদিন না একদিন এই সিচুয়েশনের সম্মুখীন হতেই হবে।ভয় পেওনা।আমি কোনো মতেই তোমার হাত ছাড়বোনা।তুমি ছেড়ে দিলেও না।আমরা দুজন একসাথে এই সিচুয়েশন হ্যান্ডেল করবো।তুমি একদম টেনশন করো না।নিজের কি হাল করেছো দেখো তো?”
সাদিব রীতির এলোমেলো চুলগুলো হাত দিয়ে গুছিয়ে দিচ্ছে।
তারপর রীতিকে রাগানোর জন্য বললো,
—-“একদম রোহিঙ্গা লাগছে।রিমন ঠিকই বলে।”
রীতি নাক ফুলিয়ে ভ্রু কুচকে সাদিবের দিকে তাকালো।
রীতি সাদিবকে ঠিকমতো দেখে বললো,
—-“রোহিঙ্গা তো আপনি।নিজেকে আয়নায় দেখেছেন?আপনাকেও রোহিঙ্গা লাগছে।”
সাদিবও একদিনে চেহারার হাল খারাপ করে ফেলেছে।
—-“কি করবো? আমি আমার প্রেয়সীর বিরহে দিন কাটাচ্ছিলাম।বেচে আছি এই বেশী।”
রীতি কোনো জবাব দিলোনা।দুজনেই চুপ।
সাদিব নীরবতা ভেঙে বললো,
—-“ঘরে যাও।আংকেল তোমাকে আমার সাথে দেখলে আবারো রাগ করবে।তুমি একদম টেনশন করোনা।কান্নাকাটি করোনা।খাওয়াদাওয়া করে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হও।আর হ্যা আমার কল রিসিভ করো।”
রীতি মাথা নেড়ে পেছনে ঘুরে সিড়ি ঘরের দিকে যাচ্ছে।কিন্তু ওর পা চলছেনা।যেতে ইচ্ছে করছে না একদম।সাদিবের কাছে আরো কিছুক্ষণ থাকতে ইচ্ছে করছে।মনে হচ্ছে চলে গেলেই হারিয়ে যাবে।
রীতি দাঁড়িয়ে গেলো।পেছনে ঘুরে সাদিবের দিকে তাকিয়ে আছে।সাদিবের অসহায় দৃষ্টি তখনও রীতির দিকে।সেই দৃষ্টিতে হাজারো দীর্ঘশ্বাস।সাদিবের কাতর দৃষ্টি রীতি উপেক্ষা করতে পারছেনা।
রীতি সাদিবের দিকে ঘুরে গুটি গুটি পায়ে সাদিবের কাছে গিয়ে সাদিবের ডান বাহুতে কপাল ঠেকিয়ে কাদো কাদো হয়ে বললো,
—-“আমার যেতে ইচ্ছে করছে না।আর কিছুক্ষণ থাকি।”
সাদিবের ইচ্ছে করছে রীতিকে শক্ত করে বুকের মাঝে জড়িয়ে নিতে।কিন্তু নিজের আবেগকে কন্ট্রোল করে রীতির মাথায় হাত দিয়ে বললো,
—-“আমারো তোমাকে ছাড়তে ইচ্ছে করছে না।মনে হচ্ছিলো হৃদপিণ্ডটা ছিড়ে নিয়ে যাচ্ছো।তবুও বাধা দিচ্ছিলাম না আংকেলের জন্য।আমি চাইনা আমার জন্য নতুন করে তোমাকে আঘাত করা হোক।”
।
রীতি সাদিবের কাধে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে আছে।দক্ষিণের বেঞ্চে দুজন বসে আছে।হৃদয়ের উত্তালতার সাথে তাল মিলিয়ে দক্ষিণা উত্তাল বাতাস বইছে।
পাতলা টিশার্টে সাদিবের ঠান্ডা লাগছে।রীতি চোখ বন্ধ করেই বললো,
—-“আপনার এতো কাছে আমি কাউকে সহ্য করতে পারবোনা।আপনার সাথে অন্য কাউকে দেখার আগে যেনো আল্লাহ আমাকে নিয়ে যায়।”
সাদিব রীতির কথা শুনে নড়ে-চড়ে রাগান্বিত সুরে বললো,
—-“বাজে কথা বলোনা।আমার সাথে কাকে দেখবে? আমার সাথেতুমি থাকবে আর তুমি যদি না থাকো তবে কেউ থাকবেনা সাদিবের জীবনে।”
রীতি সাদিবের কাধ থেকে মাথা তুলে সাদিবের চোখের দিকে তাকালো তারপর অজান্তেই হেসে ফেললো।
সাদিব ফ্যালফ্যাল করে রীতির দিকে চেয়ে আছে।এমন মুহুর্তে রীতি হাসছে?
রীতি উদাসী ভাব নিয়ে বললো,
—-“তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ,বলে একটা কথা আছে না?আমিও সেদিন আপনার চোখে আমার সর্বনাশ দেখেছিলাম।সেদিন কি মাস ছিলো জানিনা তবে আপনার ব্যস্ততার মাঝে হটাৎ করে আমার দিকে চোখ তুলে এক পলক তাকানো,ব্যাস আমি ঠাস করে প্রেমে পড়ে গেলাম।”
সাদিব কৌতুহল নিয়ে রীতির দিকে চেয়ে আছে।রীতি কোন সময়ের কথা বলছে সেটা সাদিবের জানা নেই।তাই রীতিকে জিজ্ঞেস করলো,
—-“এটা ঠিক কখন?আমার মনে পড়ছেনা।”
রীতি স্নিগ্ধ হেসে বললো,
—-“সময়টা আমার প্রিয় গোধূলি বেলা ছিলো।আমি ছাদ থেকে তাড়াহুড়ো করে নামার সময় আপনাকে প্রথম দেখি।আপনি ফোন টিপতে টিপতে ছাদে আসছিলেন।ফোনে এমন ভাবে ঢুকে ছিলেন কোনো দিকে হুশ ছিলো না।আমি আপনার দিকে চেয়ে হাটছিলাম।আপনাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় হুট করে চোখ তুলে এক পলক আমার দিকে তাকালেন।আপনার চোখে আমার চোখ পড়ে গেলো।আপনি আবারো আপনার মতো করে চলে গেলেন।আমাকে একদমই পাত্তা দিলেন না।ঠিক ওই মুহুর্তে থেমে গেলো আমার পৃথিবী।আমার হৃদ স্পন্দনের পরিবর্তন লক্ষ্য করলাম।”
সাদিব ব্রেইনে প্রেশার প্রয়োগ করেও মনে করতে পারছেনা সেদিনের ঘটনা।
সাদিব নিজের গালে হাত দিয়ে বললো,
—-“তখনই ভালোবেসেছিলে?”
রীতি আবারো একটু হাসলো।তারপর বললো,
—-“উহু,তখন শুধু প্রেমে পড়েছিলাম।প্রেমে পড়া আর ভালোবাসা এক নয়।রোজ একটু একটু করে প্রেমে পড়তে পড়তে ভালোবেসে ফেললাম।”
সাদিবও ভাবনার রাজ্যে হারিয়ে গেলো।আকাশের দিকে চোখ রেখে বললো,
—-“প্রথম দেখা আমার মনে নেই।তবে মনে আছে সেদিনের কথা।আমি গিটারে সুর তুলছিলাম আর অভি খেলছিলো।হটাৎ করে অভি আমাকে বললো,”চশমা”।
তারপর তোমার কাছে নিয়ে গেলো।
একটা মেয়ে শ্যাওলা রঙের লং স্কার্ট পড়ে কানে হেডফোন গুঁজে বই পড়ছিলো।তার চোখে ছিলো চশমা আর বইয়ে ছিলো গভীর মনোযোগ।কিন্তু হেডফোন দেখে আমার কিছুটা ডাউট হলো।
মেয়েটি হটাৎ আমাকে দেখে অপ্রস্তুত হয়ে পড়েছিলো।তার কথা বারবার জড়িয়ে যাচ্ছিলো।দাড়াতে গিয়ে কোল থেকে বইটা পড়ে যায়।বই তুলতে গিয়ে চুলের খোপা খোলে যায়।একের পর এক বিপত্তি সৃষ্টি হচ্ছিলো তাতে মেয়েটি খুবই বিব্রত বোধ করছিলো।আমার প্রচুর হাসি পাচ্ছিলো।আর যখন বলে দোতলায় থাকে তখন আমার হাসি থামায় কে।তবুও হাসিটা কন্ট্রোল করে নিয়েছি।
তখন থেকেই তুমি আমার হৃদয়ে আমার অজান্তেই বিরাজ করছিলে।”
রীতি গাল ফুলিয়ে বললো,
—-“আমি ইচ্ছে করে মিথ্যা বলিনি।আমাদের বাড়িটা দুতলা।নিচতলায় ভাড়া আর দোতলায় আমরা থাকতাম।তাই বলেছি আর কি।”
রীতি হটাৎ ফোনের স্কিন অন করে।তারপর বলে,
—-“এক ঘন্টা হয়ে গেছে! বাবা চলে আসবে।আমাকে এক্ষুনি যেতে হবে।”
রীতি হন্তদন্ত হয়ে উঠে দাড়ালো।সাদিব রীতির হাত শক্ত করে ধরে ফেললো।সাদিব রীতির হাত ছাড়ছেনা।রীতি অসহায় ফেস করে সাদিবের দিকে তাকালো।সাদিব দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে রীতির হাত ছেড়ে দিলো।রীতি হাতের বাধন আলগা পেয়ে আস্তে আস্তে সাদিবের হাত থেকে নিজের হাত সরিয়ে নেয়।
তারপর মুখ ভার করে বললো,
—-“বাবার আসার সময় হয়ে গেছে।আমাকে যেতে হবে।আপনিও চলুন।ছাদে একা একা কি করবেন?”
সাদিব শুকনো হেসে বললো,
—-“তুমি যাও,আমি পরে যাবো।”
রীতি সাদিবের দিকে কিছুক্ষণ চেয়ে থেকে বুঝতে পারছে সাদিবকে হাজার বার বললেও যাবেনা।তাই রীতি মৃদু হেসে সিড়ির দিকে গেলো।
রীতি যেতেই সাদিব বুকের বা পাশে হাত দিয়ে বললো,
—-“মনে হচ্ছে এখান থেকে কিছু একটা চলে গেলো।এতো অস্থির কেনো লাগছে?কেনো এই সুন্দর সময়টা থেমে গেলোনা? এই মুহুর্তটা আর কিছুক্ষণ থাকলে কি এমন ক্ষতি হতো?”
.
রীতি মেইন ডোর খোলে ভেতরে ঢুকতেই ওর মাকে দেখে।ওর মা চেয়ারে বসে এক দৃষ্টিতে রীতির দিকে চেয়ে আছে।রীতি কোনো শব্দ না করে মাথা নিচু করে নিজের রুমে যাচ্ছে।রীতির বারবার মনে হচ্ছে এই বুঝি ওর মা পেছনে থেকে ডাকবে।তারপর বকাবকি শুরু করবে।কিন্তু না ওর মা কিছুই বলছেনা।রীতি নিজের রুমে গিয়ে জোরে শ্বাস নিলো।মা কেনো কিছু বললো না সেটা রীতি বুঝতে পারছেনা।
.
সাদিব চিলেকোঠার ঘরে শুয়ে আছে।কেনো যেনো ঘরে যেতে ইচ্ছে করছে না।সবকিছুই অনর্থক মনে হচ্ছে।জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা এসে পড়েছে।কিছুক্ষণ পর কিছু একটা ভেবে সাদিব উঠে নিজের ফ্ল্যাটে যাচ্ছে।
দরজা খোলে ভেতরে ঢুকতেই মায়ের দিকে চোখ পড়লো।সাবিহা সাদিবের দিকে চেয়ে আছে।সাবিহার নিজের ভাইকে ঠিক লাগছেনা।কেমন মুখটা ফ্যাকাসে লাগছে।মনে হচ্ছে গুরুতর কিছু হয়েছে।
সাদিব মায়ের কাছে গিয়ে বললো,
—-“মা তোমার সাথে আমার জরুরী কিছু কথা আছে।”
সাদিবের মা টিভি দেখছিলেন।ছেলের থমথমে মুখ দেখে তিনি কিছুটা ঘাবড়ে গেলেন।
টিভি অফ করে সাদিবের চোখে-মুখে হাত দিয়ে বললো,
—-“কি হয়েছে তোর?চোখ মুখ এমন লাগছে কেনো?”
সাদিব শুকনো মুখে বললো,
—-“আমি অনেক টেনশনের মধ্যে আছি মা।আমার জীবন আজ বিপর্যয়ের মুখে।”
সাদিবের মা সাদিবের কথা কিছুই বুঝতে পারছেনা।কিন্তু সাবিহা কিছুটা হলেও বুঝতে পারছে।
সাদিবের মা বললো,
—-“কি বলছিস আবল তাবল কথা?”
—-“মা আমি ঠিকি বলছি।আমি রীতিকে ভালোবাসি।(মাথা নিচু করে)”
সাদিবের মা মুখে হাত দিয়ে ফেললো সাদিবের কথা শুনে।
—-“সাদিব কি বলছিস?রীতিকে তুই..”
সাদিব মাথা তুলে বললো,
—-“হ্যা মা।আমি রীতিকে ভালোবাসি।আর রীতিও আমাকে ভালোবাসে।রীতির বাবা সবটা জেনে গিয়ে প্রচন্ড রেগে গেছেন।তাই তিনি রীতিকে বকাঝকার পাশাপাশি মেরেছেনও।দুদিন যাবত রীতির সাথে কথা বলছেন না।রীতিকে আমার থেকে দূরে রাখার জন্য বাসা ছেড়ে দেবেন বলে জানিয়েছে রীতির মাকে।এখন যা করার তোমরাই করতে পারো।মা আমি সত্যিই রীতিকে খুব খুব ভালোবাসি।”
সাদিবের মা আমতা আমতা করে বললো,
—-“তোর বাবা!”
সাবিহা বললো,
—-“বাবা না করবেন কেনো?রীতি আপু যথেষ্ট ভদ্র,ভালো একটা মেয়ে।পড়াশোনায়ও ভালো।দেখতে সুন্দর।কোন দিক দিয়ে খারাপ?তুমি বাবাকে একটু বুঝাও।”
সাদিবের মা বললো,
—-“তোর বাবার জন্য এসবই যথেষ্ট না।আমি যতদূর জানি তিনি রাজি হবেন না।তবুও আমি কথা বলে দেখবো।”
সাদিব বললো,
—-“তুমি না পারলে আমি কথা বলবো।”
সাদিবের মা কড়াভাবে নিষেধ করে বললো,
—-“না না আগে আমি কথা বলে দেখি কি বলে।”
সাদিব তাই মেনে নিলো।সাদিব নিজের ঘরে চলে গেলো।বাবার কানে কথাটা না যাওয়া পর্যন্ত সাদিব শান্তি পাচ্ছেনা।রীতির বাবা যদি ঝোকের মাথায় অন্য কোথাও চলে যায় রীতিকে নিয়ে।রীতিকে ফোন করে রীতির সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে মনটা হালকা করে নিলো।
.
রীতির বাবা অফিসের জন্য রেডি হচ্ছেন।রীতি আর ভার্সিটিতে যাবে তাই নাস্তা করার জন্য তোরজোড় করছে।রান্নাঘর থেকে সব ডাইনিং টেবিলে এনে সাজিয়ে রাখছে।তখনই কলিং বেল বেজে উঠলো।
রীতি গিয়ে দরজা খোলে দেখে সাদিবের বাবা দাড়িয়ে আছেন।সাদিবের বাবাকে দেখে কেনো জানি রীতির অন্তত আত্মা কেপে উঠলো।হাত পা কাপতে শুরু করলো।রীতি নিজেকে স্বাভাবিক করে বললো,
—-“আসসালামু আলাইকুম আংকেল।ভেতরে আসুন।”
রায়হান খান রীতির দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দিলো।তারপর গম্ভীরমুখে বললো,
—-“আমি বসতে আসিনি।তোমার বাবাকে ডাকো,কথা আছে।”
রীতি আরেকবার ভেতরে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে পারলোনা ভয়ে।তাই দরজা হাট করে খোলা রেখে বাবাকে ডাকতে গেলেন।
রীতির বাবা রীতির কন্ঠ শুনে যতটা না রাগ হলেন তারচেয়ে বেশি অবাক হলেন সাদিবের বাবা রায়হান খান এসেছেন শুনে।
তিনি গায়ে কোর্ট জড়িয়ে দরজার সামনে এসে সাদিবের বাবাকে গম্ভীরমুখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলেন।রীতির দিকে একবার তাকালেন।
তারপর মুখে সৌজন্যতার হাসি ফুটিয়ে বললো,
—-“দাদা ভেতরে আসুন।বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন কেনো?”
চলবে…..